চোখের রোগ প্রতিরোধে কী করতে হবে, জেনে নিন

চোখের রোগ প্রতিরোধে কী করতে হবে? জানা আমাদের খুবই প্রয়োজন। কেননা চোখ হলো অমূল্য সম্পদ। জন্মগত, আঘাত, এবং ডায়াবেটিস,কারণে চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে যায়। চলুন, চোখের সমস্যার প্রতিরোধ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
ডায়াবেটিসের অনেক রোগী অন্ধ হয়ে যায়। আরো বড় ধরনের অনেক রোগ রয়েছে যে কারণে অনেক সময় চোখের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই চোখের রোগ প্রতিরোধে কী করতে হবে? সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃচোখের রোগ প্রতিরোধে কী করতে হবে জেনে নিন

ভূমিকা

চোখের দৃষ্টি শক্তি অমূল্য সম্পদ। এটি রক্ষা করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করা উচিত। চোখের আঘাত প্রতিরোধ করা এবং চিকিৎসা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা অনেক ক্ষেত্রে এগুলো দৃষ্টিহীনতার কারণ হতে পারে। অপুষ্টির কারণে শিশুর অন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই চোখের যত্ন অবহেলা না করে, কিভাবে চোখের রোগ প্রতিরোধ করা যায় সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

চোখের বিভিন্ন রোগের নাম

চোখের বিভিন্ন রোগ রয়েছে তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রোগের নাম গুলো দেওয়া হল

চোখে ছানি পড়া চোখেঃ চোখের অস্বচ্ছতা দেখতে মনে হয়, সূর্যের আলোর প্রতিচ্ছবি বা দ্বিগুণ দেখতে পাওয়া। চোখে ঝাপসা দেখা এ ধরনের সমস্যা হলেই বুঝতে হবে চোখে ছানি পড়েছে।বিশেষ করে বৃদ্ধ লোকগুলো এই সমস্যায় হয় বেশি।

ডায়াবেটিকে রেটিনা ক্ষয়ঃ যারা ডায়াবেটিসের রোগী ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রয়েছে। তাদের সাধারণত চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে সে অন্ধত্ব হয়ে যায়।

দৃষ্টিভঙ্গিঃ দৃষ্টিভঙ্গি হলো চোখে কম দেখা বা দূরে কম দেখা, কাছে দেখতে পায় না এই ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য চোখে চশমা নিতে হয়। যার জন্য পরবর্তীতে সে ভালো দেখতে পায়।
এছাড়াও আরো অন্যান্য ধরনের চোখের সমস্যা রয়েছে
চোখের প্রদাহঃ হলেও চোখে ব্যথা, চোখ লালভাব হয়ে যাওয়া, চোখের আঘাত লাগা এটা যে ধরনের সমস্যাকে চোখের প্রদাহ বলা হয়ে থাকে ও সাধারণত বিভিন্ন ধরনের এলার্জি সংক্রমণ বা আঘাতের কারণে এই সমস্যা হয়।

চোখের জ্বালাপোড়াঃ চোখের জ্বালা পোড়া বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে যেমন দীর্ঘক্ষণ যাবত কম্পিউটারে স্কিনের কারণে হতে পারে, ধুপ বা বাতাসে দূষণের কারণে, চশমার লেন্সের কারনে ও চশমার লেন্সের তৈরির ত্রুটির কারণেও হতে পারে।

চোখের লাল ভাবঃ চোখে সাদা অংশে সাধারণত লাল হয়ে যায়, চোখের লাল ভাব বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন এলার্জি, ক্লান্তি,ঘুম কম হওয়া ,আঘাতের কারণে চোখের লাল হতে পারে।

চোখের ব্যথাঃ চোখের ব্যথা বিভিন্ন কারনে হতে পারে। চোখে অনেক সমস্যা দূরে দেখতে পায় না অথবা কাছে দেখতে পারে না, এ কারণে চশমা ব্যবহার না করলে চোখে ব্যথা করে। মাথা ব্যথা করে এছাড়া আঘাত পেলেও ব্যথা করে। বিভিন্ন সংক্রমণের কারণে ও ব্যথা করে।

চোখের রোগের কারণ 

  • নোংরা হাত বা কাপড় দিয়ে চোখ রাখলে রগড়ালে
  • কাজ করার সময় চোখের যথোপযুক্ত যত্ন না নিলে উদাহরণস্বরূপ কাঠ কাটার,ইট পাথর ভাঙ্গার সময় , ধান কাটা ও মাড়াই অথবা মেশিনে কাজ করার সময়।
  • পর্যাপ্ত ভিটামিন এ সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য না খেলে যেমন সবুজ বা অন্যান্য রঙ্গিন শাকসবজি, গাজর ,পেঁপে কাঁঠাল, আম ও অন্যান্য ফলে ভিটামিন এ পাওয়া যায়।
  • শিশুরা খেলার সময় অনেক সময় চোখে আঘাত পেলে
  • চোখে রোগের লক্ষণ
  • চোখের রোগের লক্ষণের মধ্যে লাল হয়
  • চোখে ব্যথা হওয়ার
  • চোখে লাল ভাব হয়ে যাওয়া
  • চোখ দিয়ে পানি পড়া
  • চোখে চুলকানি
  • চোখে ঝাপসা দেখা
  • চোখের পাতা ভুলে যাওয়া ফুলে যাওয়া
  • চোখের পাতা লালচে ভাব হয় লালচে
  • চোখের আলোর সংবেদনশীলতা
  • চোখের ধূসর বা কালো আলো না দেখা
  • চোখের সামনে মনে হয় উড়ন্ত কিছু চলে যাচ্ছে
  • চোখে অন্ধকার দেখা বা চোখে ঝাপসা ঝাপসা দেখা
  • দৃষ্টিশক্তির তীক্ষ্ণ তারাশ ক্রাশ রাস
  • দৃষ্টির পরে পরিসর হ্রাস
  • দৃষ্টির ক্ষতি হওয়া

চোখের রোগ প্রতিরোধে কী করতে হবে

চোখের রোগ প্রতিরোধে কী করতে হবে? সে ব্যাপারে আপনার কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে সে বিষয়ে জানতে হবে। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
  • সাবান ও পানি দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে পরিষ্কার রাখা আঙ্গুল অথবা গামছা কিংবা শরীর ধোঁয়া মশার কোন কাপড় দিয়ে চোখ ঝগড়ানো উচিত নয়।
  • মাছি চোখের রোগ ছড়ায় সুতরাং মাছি কমানোর জন্য ঘরবাড়ি ও আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখা উচিত
  • সকল প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়া উচিত।দ সুষমা খাদ্য খাওয়া উচিত
  • স্কুলের শিশুদের পরিছন্নতার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত এবং কিভাবে চোখের রোগ এড়ানো যায় তা তাদের জানানো উচিত
  • নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করানো উচিত প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি দুই বছর পর পর এবং ৪০ বছর বয়সের উপরে দিয়ে এক বছর পর পর চোখ পরীক্ষা করানো উচিত।
  • সূর্য থেকে চোখকে রক্ষাঃ করার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করা যেতে পারে। কেননা সূর্যের অতিবেগুনি রশিতে চোখের ক্ষতি করতে পারে ।তাই সানগ্লাস টুপি অথবা অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সে ব্যবস্থা নিতে হবে অথবা সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
  • ভিটামিন যুক্ত খাবারঃ খাওয়া যেমন চোখের সমস্যার কারণে ভিটামিন এ সি ই এসকল ভিটামিন যে সকল খাবারের মধ্যে রয়েছে ।সে খাবারগুলো খাওয়া যেমন ভিটামিন এর উৎস হল ডিম, দুধ, গাজর, মিষ্টি আলু, পালং শাক ভিটামিন সি এর উৎস হল লেবু ,পেয়ারা, কমলা,টমেটো ও সবুজ শাকসবজি ভিটামিন ই এর উৎস হল বাদাম বীজ ও সবার শাকসবজি সবুজ।
  • ধূমপান ত্যাগ করাঃ কেননা ধূমপানের কারণে চোখের লেন্সের সমস্যা হয় চোখে ছানি পরে গ্লুকোম া হয়
  • বেশি সময় কম্পিউটারের সামনে না থাকা কেননা কম্পিউটার সামনে থাকার কারণে মাথা ব্যাথা করতে পারে এবং চোখে ব্যথা করতে পারে তাই কম্পিউটারে কাজ করার মাঝে মাঝে বিরতি দিতে হবে এবং চোখের যত্ন নিতে হবে।
  • সঠিক দৃষ্টিশক্তি দেখার জন্য কেউ যদি চোখে কাছে দেখতে পায় না অথবা দূরে দেখতে পায় না এ ধরনের লেন্সের সমস্যা হলে অবশ্যই সেই পরিমাপ করে চোখে চশমা নিতে হবে কেননা এর কারণে অনেক ক্ষতি হতে পারে।
  • এছাড়াও কেউ যদি কম ঘুমায় তাহলে সে কারণেও চোখে ব্যথা করে এবং চোখের সমস্যা হয়
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা চোখের রক্ত চলাচল করতে পারে যার কোন চোখ ভালো থাকে
  • মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা কেননা মানসিক চাপ নিয়ে কারণেও চোখে ব্যথা করে এবং চোখের সমস্যা হতে পারে
চোখের সব অসুখ-বিসুখ ও দৃষ্টি হল তার জন্য সবারই চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন তাই আপনি কিভাবে 
অপরিচ্ছন্নতা ও অপুষ্টিকারের সাথে চক্ষুররকম তথ্য সম্পর্ক কিভাবে পুষ্টি ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা পরিষ্কার পানি ছাড়া এবং প্রণালী পয় প্রণালী নিষ্কাশন পয়েন্ট নিষ্কাশন ব্যবস্থা বিষয়গুলো চোখ ভালো রাখে দৃষ্টি 
আসন্ন কারী কোন কোন রোগ ধীরে ধীরে শুরু হয় কিন্তু খুব শীগ্রতাগুলো তার আকার ধারণ করতে পারে চোখে দৃষ্টি আগের মতো ভালো নয় এটা লক্ষ্য করার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা নেওয়া উচিত

শিশু ও নবজাতকের চোখ লাল হওয়ার কারণ

  • নবজাতকের যদি চোখ লাল হয় এবং এক বা উভয়চক থেকে পূজ বের হয় তাহলে এটা অত্যন্ত গুরুত্বর। যদি তাৎক্ষণিক এটার সঠিক চিকিৎসা না হয় তাহলে শিশু অন্ধ হয়ে যেতে পারে জন্মের সব পথে। চোখের এই সংক্রমণ হয়ে থাকে প্রসব এতে বোঝা যায় মা এবং সম্ভবত বাবার এমন কোন রোগ আছে যা যৌন সংস্পর্শে বিস্তার লাভ করে ।তাই আপনার উচিত তাৎক্ষণিক বাচ্চা ও তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অথবা শিশুকে যে কাজগুলো করতে পারেন চোখ থেকে ময়লা ধুয়ে ফেলুন এবং পরিষ্কার কাপড় বা তুলা ও পানি দিয়ে চোখের পাতা পরিষ্কার করুন। প্রথমে পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নেবেন। পানি দিয়ে চোখের পাতা পরিস্কার করুন সাবধান এই চোখের ময়লা খুব সংক্রমক সাবান ও পানি দিয়ে আপনার হাত ভালো করে ধুয়ে নিন। টেট্রাসাইক্লিক ইন চোখের মলম লাগাবেন এরপর মা ও শিশুকে চিকিৎসা দিতে হবে।
  • চোখ লাল হওয়ার আরো কিছু কারণ রয়েছে সেটা হল শিশুর চোখ লাল হওয়ার কিছু কারণ হলো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হলে চোখ লাল হয়ে যায়। চোখ দিয়ে জল পড়ে। চোখে চুলকায়
  • শিশুর চোখে ধুলোবালি, পশুর লোম এ সকাল চোখে গেলে চোখে চুলকায় চোখ লাল হয়ে যায় চোখ ,দিয়ে পানি পড়ে
  • শিশুরা সাধারণত অনেকক্ষণ যাবৎ চক্ষু খোলা রাখে, যার কারণে ও চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে

প্রাপ্তবয়স্ক দের হঠাৎ চোখ লাল হলে করণীয় 

  • চোখ লাল হলে এবং তা থেকে পুজ বের হলে ওই ব্যক্তির কি করা উচিত
  • সাবান ও পানি দিয়ে মুখ মণ্ডল ধোয়া এবং দিনে তিনবার পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধোয়া
  • পাঁচ দিন দৈনিক তিনবার উভয় চোখে টেট্রা সাইক্লিন চোখের মলম লাগানো
  • দিনে কয়েকবার সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে হাত পরিষ্কার রাখা
  • যদি পাঁচ দিন পর চোখ থেকে কোন ময়লা বের না হয় বুঝতে হবে রোগ সেরে গেছে। যদি না সারে তাহলে হাসপাতালে পাঠানো লাগবে।
  • যখন চোখ লাল এবং চোখের সামনে পরিষ্কার অংশে এমন একটি স্থান বা দাগ আছে যা পরিষ্কার নয় তখন এভাবে তার চিকিৎসা করুন অনেক রোগীকে আপনাকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হবে
  • কারো চোখ লাল ও যন্ত্রণাদায়ক হলে এবং দৃষ্টি শক্তি কিছুটা কমে গেলে তাৎক্ষণিক রোগীকে হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে

চোখ অন্ধ হওয়ার কারণ

ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি চোখের রোগ প্রতিরোধে কী করতে হবে? সম্পর্কে। এখন জানবো চোখ অন্ধ হয়ে কি কারনে চলুন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

কোন ব্যক্তির এক বা উভয় চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন যদিও চোখে ব্যথা নেই তাকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে যাওয়া উচিত। যদি কোন শিশুর চোখের উপরিভাগ শুষ্ক মনে হয় অথবা শিশুটি সন্ধ্যা বেলা ভালো দেখেনা তাহলে সাধারণত বোঝা যায় যে শিশুটির ভিটামিন এ এর অভাব রয়েছে।

যে সকল কিশোর ভিটামিন এ এর অভাব রয়েছে, শিশ এক বছরে বেশি হয় তাহলে তাকে একটি ভিটামিন এ ক্যাপসুল দিতে হবে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল না থাকলে শিশুটিকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে পাঠাতে হবে।

মা-বাবাকে বুঝিয়ে এবং মা-বাবার চেনা উচিত জানা উচিত ভিটামিন এ  সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়ালে শিশুটি অন্ধ হয়ে যেতে পারে সবুজ ও অন্যান্য রঙিন শাকসবজি যেমন পাকা কুমড়া লাল শাক বৈশাখ পেঁপে আম প্রভৃতি ফল এবং গাজর কচুশাকে ভিটামিন এ আছে
  • সচরাচার চোখ ঘোলাটে হয়ে যায় সেটাকে ছানি বলা হয় কিছুদিন পর চোখের ভিতর দিয়ে আলো যেতে পারে না এবং প্রবীণ ব্যক্তি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।আই ড্রপ বড়ি বা ইনজেকশনের উপকার হয় না কিন্তু অপারেশনের পরে পুনরায় দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া সম্ভব সুতরাং রোগীর অবশ্যই চিকিৎসা নিলে সে সুস্থ হয়ে যাবে। তাই তাকে হাসপাতালে যেতে হবে
  • রেটিনা রোগ চোখের রেটিনার মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই সেই চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে যায় যখন কোন ব্যক্তির অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকে। যার কারণে চোখের রেটিনাকে ধ্বংস করে দেয় এবং পরবর্তীতে সে অন্ধ হয়ে যায়।
  • আঘাতের কারণে যেমন চোখের লাথি মারা, ঘুষি মারা এর কারনে চোখের সমস্যা হতে পারে এবং পরবর্তীতে অন্ধ হয়ে যেতে পারে

চোখ খচ খচ করলে করণীয়

যখন ময়লা ধুলাবালি অথবা অন্য কিছুর কণা চোখের মধ্যে বা পাতার নিচে চলে যায়। তখন চোখের ক্ষতি হতে পারে, চোখের উপরিভাগ অথবা চোখের পাতার ভেতরের অংশ পরিষ্কার কাপড় বা তুলে আলতোভাবে মুছে সেটা সরাতে চেষ্টা করুন।

পরিষ্কার পানি নিয়ে চোখে ছিটিয়ে তা ধুয়ে ফেলতে চেষ্টা করুন চোখের পাতার নিচে টেট্রা সাইক্লিন মলম লাগান এবং চোখে পুনরায় তাহলে রোগীকে আবার 
স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে নিয়ে যান যদি আপনি করাটি সরাতে না পারেন অথবা চোখ খচ খচ করতে থাকে। রোগীকে তখনই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হবে। যখন চোখের উপরিভাগে কোন আছর লাগে চোখের পাতার নিচে টেট্রা সাইক্লিন মলম লাগান এবং হালকা ব্যান্ডেজ দিয়ে রোগীকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হবে।

এর উপর একটি পরিষ্কার ড্রেসিং করতে হবে, তাড়াতাড়ি রোগী হাসপাতালে যেতে হবে
অনেক সময় আপনার চোখ জ্বালাপোড়া করতে পারে আর এই জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এন্টিহিস্টামিন বা চোখের ড্রপ লাগাতে পারেন।

চোখে আঘাত লাগলে প্রাথমিক চিকিৎসা

  • বাংলাদেশের ধানের মৌসুমে বিশেষত ধান রোপন, কাটা মাড়াই ও শুকানোর সময় চোখে আঘাত লেগে হাজার হাজার কৃষি শ্রমিকের দৃষ্টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দৃষ্টিহীন হয় কোন কোন সময় চোখ উঠিয়ে ফেলার মত চিকিৎসায় সিদ্ধান্ত নিতে হয় নেতা সম্পন্ন বন্ধ করা এই দরিদ্র দেশের কাজ করবেন তাদের জন্য পরামর্শ হলো কৃষি কাজের সময় বিশেষত ধানকাটা মারার সময় সুরক্ষা করে ব্যবহার করতে পারেন চোখ সুরক্ষাকারী চশমা ব্যবহার করতে পারেন।
  • চশমা ব্যবহারের উপকারিতা ও ব্যবহার না করলে সম্ভব ও চোখের আঘাত জনিত দৃষ্টিহীনতা বা অন্ধত্ব আর্থিক ক্ষতির বিষয় মন ধরা যেতে পারে
  • চোখে আঘাত লাগলে তা যত সামান্যই হোক আঘাতের কিছু পর আরম্ভ করলেও দ্রুত এবং যেদিন আঘাত পেয়েছেন সেদিনই নিকটস্থ করা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলে যাবেন
  • আগুনে পুড়ে যায় প্রচুর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে তাৎক্ষণিক
  • চোখের পাতার নিচে টেট্রা সাইক্লিন মলম লাগান
  • এরপর রোগীকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হবে
  • চোখে ঘষাঘষি এবং হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন
  • উপরের তো সমস্যাগুলো হয়ে থাকে তাহলে কখনোই নিজে নিজেই কোন ওষুধ খাবে না না এবং কোন চোখের ড্রপ লাগাবেন না ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া

চোখের দৃষ্টি পরীক্ষা

  • ওই ব্যক্তিকে হাত দিয়ে চোখ হাত দিয়ে এক চোখ বন্ধ করতে হবে যে ব্যক্তি দৃষ্টির সমস্যা হয়েছে তার থেকে ৬ মিটার দূরে পাবেন এবং আপনার এক হাতের যেকোনো সংখ্যক আঙ্গুল তুলে ধরুন আপনি কয়টি আঙ্গুল তুলেছেন তারা তাকে বলতে বা দেখাতে বলুন
  • তিনি যদি যথাযথভাবে আপনার আঙ্গুল কয়টি দেখেন হল তা না পান তাহলে বুঝতে হবে চোখে দেখা শক্তি গুরুতর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যের চোখের জন্য কেউ এই পদ্ধতি পুনরাবৃত্তি করুন তিনি যদি ছয় মিটার থেকে যেকোনো চোখ দিয়ে আমরা আঙ্গুল দেখতে দেখতে হবে আঙ্গুল দেখতে না পারে তাহলে তাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে

চোখের রোগের চিকিৎসা

চোখের রোগীর চিকিৎসা নির্ভর করে চোখের ধরন রোগীর ধরন রোগীর স্বাস্থ্য ইত্যাদি
  • চোখের ড্রপ সাধারণত কোন সংক্রমণ ঘটলে সেই ধরনের সংক্রমণকে দূরে সরে ফেলার জন্য বিভিন্ন ধরনের আই ড্রপ ব্যবহৃত হয়।
  • চোখের মলম চোখের মলম দেওয়া হয় তখনই যখন চোখের সংক্রাম চোখে ব্যথা ও চোখের শুষ্কতা কারণেই মলম ব্যবহার করা হয়ে থাকে
  • মুখে খাওয়ার ওষুধ যে সকল রোগী সমস্যা যেমন রেটিনা সমস্যা ডায়াবেটিসের কারণে হাই প্রেসার ইত্যাদি এই ধরনের কারণে মুখে খাওয়ানোর ওষুধ দেয়া হয়
  • সর্বশেষ ঔষধ ড্রপ, ক্রিম, খাওয়ার ওষুধ কোন কিছুতে যদি কাজ না করে তাহলে অবশ্যই সার্জারি করার মাধ্যমে চোখের দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে
  • চোখের ছানি পড়লে সেটা অপারেশন করতে হয় অস্ত্র পাচার করতে হয়। তারপর রেটিনার সমস্যা হলেও অপারেশন করতে হয়
  • এছাড়া আরো চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে
  • লেজার থেরাপি ইলেকট্রিক্যাল থেরাপ
  • কম্পিউটার ভিত্তিক থেরাপি

আমাদের শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায় যে চোখ আমাদের মহামূল্যবান সম্পদ। তাই চোখের যত্ন নিতে হবে, বিশেষ করে যে ধরনের খাদ্য খেলে চোখ ভালো থাকবে সে ধরনের খাবার খেতে হবে। উপরোক্ত আলোচনা থেকে হয়তো জানতে পেরেছেন যে চোখের রোগ প্রতিরোধে কী করতে হবে। যদি এই পোস্টটি ভাল লাগে, তাহলে আপনার বন্ধুদের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪