পায়ের গিরা ব্যাথার ঔষধ ও গোড়ালি ব্যথায় যা করবেন
হাত বা পায়ের গিরা ব্যাথার ঔষধ গুলো প্রায় মানুষ খেয়ে থাকে। সাধারণত যে কোন ব্যাথার জন্যই লোকজন ব্যাথানাশক ঔষধ খেয়ে থাকে। যা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। চলুন, পায়ের গিরা ব্যথা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
এই ব্যাথানাশক ঔষধ খাওয়ার কারণে অনেকের কিডনি নষ্ট হয়ে যায়, উচ্চ রক্তচাপ হয়। আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি হয়। তাই পায়ের গিরা ব্যাথার ঔষধ গুলো সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃপায়ের গিরা ব্যথার ওষধ ও গোড়ালি ব্যথায় যা করবেন
গিরায় গিরায় ব্যাথা
যেসব কারণে গিরায় গিরায় ব্যাথা হয় সেগুলো হচ্ছে,
আঘাতঃ খেলাধুলার কারণে পায়ের গিরায় ব্যথা করতে পারে অথবা অনেকক্ষণ যাবত বসে থাকলে, পায়ের গিরা ব্যথা করে।
জীবাণু সংক্রমণ বা অন্যান্য অসুখ যেমন গিরা ফুলে গেছে ও গরম হয়েছে বৃদ্ধ বয়সে গিরায় পরিবর্তনের জন্য।
আরো পড়ুনঃ আগুনে পোড়া দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় জানুন
প্রদাহঃ গলার জয়েন্ট প্রদাহ হলে গিরায় ব্যথা করে। বিভিন্ন সংক্রমণের কারণেও হতে পারে।
গিরায় ব্যথার আরো অন্যান্য কারণ রয়েছে তা হল,
- মাইগ্রেনের ব্যথা কারণে
- টনসিল বা গলা ব্যাথার কারণে
- ঠান্ডা লাগার কারণেও হতে পারে
- টিউমার বা ক্যান্সারের কারণে হতে পারে
- ভিটামিন ডি অথবা ক্যালসিয়ামের কম থাকার কারণে হতে পারে
পায়ের গিরা ব্যাথার ঔষধ
বাজারে পায়ের গিরা ব্যাথার ঔষধ বিভিন্ন নামে পাওয়া যায়। তবে এটা ব্যাথার তীব্রতার উপর নির্ভর করে পায়ের ব্যথার জন্য যে ওষুধগুলো দেওয়া হয় নিম্নতা দেয়া হলো।
ইনফ্লেমেটরি ঔষধঃ বেদনাশক এই ওষুধটি ব্যথা বা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এর মধ্যে রয়েছে এর মধ্যে রয়েছে অ্যাসপিরিন ইমুপ্রোফেন , ডাইক্লোফেনাক স্টেরেটস হরমোন কমাতে সাহায্য করে। এটা ইনজেকশন এবং ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়।
আন্টিকুয়াগুলেন্টস এই ওষুধটা রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় রক্তনালী রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না যা পায়ের ব্যথার জন্য অনেক কাজ করে থাকে। পায়ের গিরা ব্যথার জন্য ওষুধের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার রয়েছে ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আপনার ডাক্তার থেকে শুনে নিবেন ওষুধের ডোজ এবং কিভাবে খেতে হবে সেটা জেনে নিবেন।
ব্যাথার ঔষধ গুলো খাওয়ার পর যদি আপনার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শুরু হয়, তাহলে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের সাথে দেখা করবেন বা যোগাযোগ করবেন। পায়ের গিরা ব্যথার বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে তা একজন চিকিৎসকের থেকেই রোগ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসা নিবেন।
পায়ে আঘাত লেগে ফুলে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা কোনটি
আপনার পায়ে আঘাত লেগে ফুলে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা কোনটি করবেন তা নিম্নে আলোচনা করা হলো,
আঘাতের কারণে ব্যথাঃ গিরার পার্শ্ববর্তী হাড় ভেঙ্গে গেলে তীব্রভাবে ব্যথা অনুভূত হয়। এজন্য গিরার চারপাশের স্থান ফুলে যায়। গিরাকে শক্তভাবে ধরে রাখার জন্য এর চারপাশের ব্যান্ডেজ বাধুন। এটা চলাফেরা জনিত ব্যথাকে কমাবে। ব্যান্ডেজ খুব শক্ত বা ঢিলা হবে না। যদি ব্যান্ডেজ খুব শক্ত হয় তাহলে গিরার নিচে আঙ্গুলে ব্যথা হবে বা আঙ্গুল ফুলে যাবে।
যদি এরকম হয় এবং হালকাভাবে আবার বাধা উচিত। রোগীর উচিত জখমের স্থানকে বিশ্রামে রাখা। প্যারাসিটামল একটি বা দুটি খেতে পারেন। তিন দিনের মধ্যে রোগীকে আবার চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। যদি ভালো না হয় ও ব্যথা খুব বেশি হয়। তাহলে আরো তিন চারদিন বিশ্রামে থাকতে হবে। যদি অবস্থান উন্নতি না হয়,তাহলে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
গিরার ব্যথা জনিত নয় বা রোগী কিশোরী অথবা শিশুঃ যদি দেখেন এক বা একাধিক গিরায় ব্যথা হয়েছে ফুলে গেছে এবং গরম। তাহলে আপনার কয়েকদিনের মধ্যে গলা ব্যথা বা ডায়রিয়া হয়েছে কিনা। যদি হয়ে থাকে তাহলে আপনি স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে চলে যান। তারপর হাঁটাচলা উচিত নয় এবং যদি হাঁটাচলা না করতে পারেন তাহলে বিশ্রাম নিতে থাকুন যতক্ষণ পর্যন্ত না ব্যথা বা ফুলা সেরে যায়।
ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতে থাকুন, তিনদিন পর আবার স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে দেখা করুন। যদি অবস্থান উন্নতি না হয় তাহলে অবশ্যই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা মেডিকেলে চলে যাবেন। যদি অবস্থান উন্নতি হয় কিন্তু আপনার যখন স্বাভাবিক মনে হবে তখন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা করা উচিত।
যতক্ষণ পর্যন্ত গিরা গরম না হয় ও গিরার ফুলা না কমে ততক্ষণ পর্যন্ত বিশ্রাম নিতে থাকবেন।
ব্যথার প্রদাহ উপশমের জন্য এক বা দুই টি ট্যাবলেট প্যারাসিটামল দিনে তিনবার করে খেতে হবে।
ব্যথা বাড়তে পারে এমন চলাফেরা পরিহার করতে হবে কিন্তু ব্যথা হওয়ার শক্ত হয়ে যাওয়া উপশমের জন্য মাঝেমাঝে অবস্থানের পরিবর্তন করতে হবে।
গিরা যাতে শক্ত হয়ে না যায় সেজন্য প্রতিদিন কয়েকবার গিরা নাড়াচাড়া করতে হবে। এভাবে গিরাটিকে যতটুকু সম্ভব নাড়াচাড়া করতে হবে এরূপ করলে গিড়ার স্বাভাবিক ব্যবহার সম্ভব হবে। ব্যথা ও ফুলা গিরা নিয়মিত নাড়াচাড়া করলে চারপাশের শক্তি বৃদ্ধি পায়। তিন দিন পর আপনি আবার ডাক্তারকে দেখান।অবস্থার উন্নতি হচ্ছে কিনা, না হলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলে যাবেন।
রোগী যদি বৃদ্ধ হয় বা মহিলা হয়ঃ বৃদ্ধদের বেলায় ব্যথাযুক্ত গিরা সচরাচর গরম বা খোলা থাকে না কিন্তু বিশ্রাম বা ঘুমের পর শক্ত হয়ে থাকে। অল্প চলাফেরা গিরা শক্ত হওয়ার উপশম হয়। বেশি শারীরিক ব্যায়াম বা হাঁটাচলায় গিরার ব্যথা ও শক্ত হয়ে বেড়ে যায়।
পায়ের গিরা ব্যথা
বিভিন্ন কারণে পায়ের গিরা ব্যথা হতে পারে নিম্নে কিছু কারণ দেওয়া হল,
অস্থি ক্ষয়ঃ সাধারন তো বয়স্ক লোকদের অস্থি ক্ষয় হয়ে যায়। যার কারণে গিরায় গিরায় ব্যথা করে।
পেশি দুর্বলতাঃ পায়ের পেশি যখন দুর্বলতা হয়ে যায় তখন পায়ের গিরা ফুলে যায় এবং অনেক ব্যথা করে থাকে।
রক্তনালীর সমস্যাঃ পায়ের রক্তনালীর সমস্যা হলে, পায়ে অক্সিজেন এবং রক্ত চলাচল করতে সমস্যা হয় এবং পায়ের পুষ্টি না পাওয়ার কারণে পায়ের গিরা গুলো ব্যথা করতে থাকে।
পা ফুলে যাওয়াঃ পা যখন অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যায় তখন পা ফুলে যায় এবং গিড়া গুলো ফুলে যায় পরে তীব্র ব্যথা করে।
শক্তি হ্রাসঃ পায়ের গিরা যখন ফুলে যায় বা ব্যথা হয় তখন পা অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। যার কারনে চলাফেরা করা এবং শক্তি পাওয়া কমে যায় গিরা নড়াচড়া করতে অনেক কষ্ট হয়।
যদি পায়ের ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে ঠান্ডা বরফ দিয়ে সেক দেওয়া যেতে পারে এবং আঘাতের কারণে ব্যথা হলে ব্যথা নাশক ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
বাতের কারণে ব্যাথা হলে ফিজিওথেরাপি ও অন্যান্য শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে এটা কমে নিয়ে আসতে পারে। অস্থির ক্ষয় হওয়ার কারণে ও ফিজিওথেরাপি ও ব্যথা নাশক ওষুধের মাধ্যমে সেরে উঠতে পারে এবং পেশি দুর্বল বা শক্তি হ্রাস হওয়ার কারণে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে।
রক্তনালীর সমস্যার মূল কারণ বের করে চিকিৎসা নিতে হবে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন, নিয়মিত সুষম খাবার খান, শারীরিক ব্যায়াম করুন, আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সতর্ক থাকবেন।
গোড়ালি ব্যথায় কি করবেন
অনেকের পায়ের গোড়ালি ব্যথা হয়ে থাকে তাই গোড়ালি ব্যথায় কি করবেন? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
পায়ের গোড়ালের ব্যথার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো প্লান্টার ফ্যাসাইটিস। এর জন্য পায়ের তলায় বিশেষ করে হিল বা গোড়ালিতে খোঁচা লাগার কারণে ব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে পা ফেললে তীব্র ব্যথা করে থাকে। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটির পর ব্যথা কমতে থাকে।
পায়ের সামনের দিকে ছোট ছোট হাড় পেছনের দিকে গোড়ালের সাথে হাড়ের সাথে সংযুক্ত যা লিগামেন্ট দিয়ে থাকে। সেটা আমরা প্লান্টার ফ্যাসাইটিস বলে থাকি, শরীরের ওজন সরাসরি পায়ের হাড়ের উপর চাপ প্রয়োগ করে না। সেজন্য এই ব্যান্ড কাজ করবে, এই ব্যান্ডের প্রদাহ দেখা দিলে গোড়ালিতে ব্যথা হয় তখন এটিকে বলে প্লানটা ফ্যাসাইটিস।
সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মানুষ এই সমস্যা হয়, বিশেষ করে নারীদের। যেসব কাজের গোড়ালের কাজ করে চাপ পড়ে যেমন দৌড়, নৃত্য এই ধরনের সমস্যা গুলো বেশি হয়ে থাকে। আবার যাদের ওজন বেশি এদেরও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অথবা বিভিন্ন পেশার লোকজন আছে যারা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় অথবা গর্ভবতী নারীদের শেষের দিকে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যারা আর্থাইটিস এর সমস্যায় ভুগছেন তারা দীর্ঘদিন শক্ত হিলের জুতা ব্যবহার করে থাকে তাদেরও এই সমস্যা দেখা দেয়।
যা করবেনঃ পায়ের যথাযথ বিশ্রাম নেওয়া লাগবে পা উঁচু টুলের উপর রাখার চেষ্টা করা লাগবে। পায়ের ব্যথা যুক্ত জায়গায় বরফ বা আইসপ্যাক রাখা যেতে পারে এতে ২০ মিনিট রাখবেন। ২ থেকে ৩ ঘন্টা পর পর পা সকালে ও রাত্রিতে হালকা কুসুম গরম পানিতে ভিজায় রাখা লাগবে।
২০ মিনিটের মত। এছাড়া ওজন যাদের বেশি তাদের ওজন কমানো লাগবে, আরামদায়ক নিচু হিলের নরম জুতা পড়া লাগবে পায়ের উপর যেন চাপ না পরে, এই ধরনের ব্যায়াম এবং সাঁতার কাটা যেতে পারে।
যা করা যাবে নাঃ অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি বা দাঁড়িয়ে থাকার কাজ করা যাবে না। হাইহিল বা স্লিপার জুতা পরা যাবে না, শক্ত স্লিপার করা যাবে না অথবা খালি পায়ে উঁচু নিচু জায়গায় হাটা চলাফেরা করা যাবে না।
ব্যায়াম করবেনঃ মেঝেতে বা চেয়ারে বসে যে কোন একপা সোজা করে রাখতে হবে, এরপরে একটু বড় ফিতা পাতার সামনের দিকে আটকে দুই হাত দিয়ে ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখা লাগবে। এভাবে উভয় পা আধা লিটার পানির বোতল পুরোপুরি বরফ জমাট করে পায়ের নিচে রেখে দিতে পারেন ৩০ সেকেন্ডের মত। হাত দিয়ে পায়ের পাতায় মেসেজ করা যেতে পারে।
হাত পায়ের গিরায় ব্যথা
ইতিপূর্বে ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি পায়ের গিরা ব্যাথার ঔষধ সম্পর্কে। এখন জানব হাত বা পায়ের ব্যথা কেন হয় সে সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আঘাতঃ হাত বা পায়ের কোন ধরনের আঘাত লাগলে গিরায় ব্যথা হতে পারে যেমন খেলাধুলা, ধাক্কা খাওয়া, পড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণে ব্যথা হতে পারে। বাতের ব্যথা একটি রোগের নাম যা বয়স্ক লোকদের সাধারণত বাতের ব্যথা বেশি হয়ে থাকে, এর জন্য শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে গিরায় গিরায় ব্যথা করে।
সংক্রমণঃ সংক্রমনের কারণেও হাত পায়ের গিরায় ব্যথা হতে পারে। এছাড়া সর্দি কাশি, টনসিল, মূত্রনালীর সংক্রমণের কারণেও গিরায় ব্যথা হতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী রোগঃ ডায়াবেটিস, লিভার রোগ, থাইরয়েড ইত্যাদি রোগের কারণে ব্যথা করতে পারে এছাড়া আর অন্যান্য কারণে গিরায় ব্যথা করতে পারে।
- গর্ভকালীন ব্যথার কারণে গিরায় ব্যথা করে
- একটা স্থানে অনেকক্ষণ যাবৎ বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকলেও গিরা ব্যথা করে
- ধূমপান করলে এই সমস্যা হতে পারে
- অতিরিক্ত ওজনের কারণে হতে পারে
- কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে হতে পারে
কোন জিনিস তুলতে হলে আপনাকে উভয় হাত ব্যবহার করতে হবে। কোন জিনিস উপরে উঠানোর জন্য কোন টুল বা মই ব্যবহার করতে হবে। যখন কব্জিতে খুব ব্যথা হয় তখন দৃঢ়ভাবে ধরে রাখার জন্য একটা ব্যান্ডেজ করা উচিত।
এতে ব্যথা কমে যাবে, নাড়াচড়া সম্ভব হতে হবে ঢিলে করে দিতে হবে। যারা খাওয়ার সময় চামচ বা হেটে বা ঘুরে বেড়ানোর সময় ছরি সহজে ব্যবহার করতে পারেনা। তাদের মোটা কোন কিছু জরিনা এতে বাসন ধরার সময় ব্যথা কম হবে।
পায়ের গিরা ফুলে যাওয়ার কারণ
পায়ের গিরা ফুলে যাওয়ার কারন গুলো হল পায়ে অতিরিক্ত পানি জমে যায়। সাধারণত এই ফুলা কে বলা হয় ইডিমা। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা বা বসে থাকার কারণে পায়ের শিরায় রক্ত জমাট বেধে যায় বা পানি জমে যায়।
অতিরিক্ত ওজনঃ অতিরিক্ত ওজনের কারণে পায় শিরা গুলোতে পানি জমে যায়।
গর্ভধারণঃ গর্ভধারণের শেষ কয়েক মাসের দিকে গর্ভবতীর পায়ে পানি জমে যায়।
কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণেও পায়ের গিরা ফুলে যায় এর মধ্যে রয়েছে হার্টফেলার।
কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়াঃ যে সকল রোগীর কিডনি নষ্ট হয়ে যায় সে সকল রোগীর পায়ের গিরা ফুলে যায়। পুরো পা ফুলে যায় কারণ পানি বের করে দিতে পারেনা যার কারণে রক্তের সাথে মিশে শরীর ফুলে যায় পায়ের গিরায় গিরে ফুলে যায়।
আরো পড়ুনঃ জ্বর ঠোসার দাগ দূর করার উপায়, জেনে নিন
থাইরয়েড হরমোনের কারনেঃ গর্ভবতী নারীদের সাধারণত থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা দেখা দেয় এর কারণেও পায়ে গিরা ফুলে যায় এবং পায়ে পানি জমে যায়।
অপুষ্টির কারণেঃ শরীরে পানি চলে আসে এবং শরীরের ভারসাম্যটা নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে শরীরে পুষ্টির চাইতে পানির পরিমাণ যখন বেশি হয় তখন পায়ের গিরা ফুলে যায়। পা ফুলে যাওয়ার সাথে অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে সেগুলো যদি দেখা দেয় তাহলে যে সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে। তা হলো
- শ্বাসকষ্ট হতে পারে
- ফুলে যেতে পারে
- পেট ফুলে যেতে পারে
- মুখ ফুলে যেতে পারে
- জন্ডিস হয়ে থাকে
- প্রসব কম হওয়া বা না হওয়া এর কারণ ও পা ফুলে যেতে পারে
- গলার স্বর পরিবর্তন হলে
যদি পা ফুলে যায় সাথে সাথে পরামর্শ নিতে হবে এবং নির্ভর করে তার ব্যথার তীব্রতার উপরে। এই ব্যথা নাশক ওষুধ পায়ের ব্যথার জন্য ভালো কাজ করে বা ফুলা কমাতে সাহায্য করে।
ইনফ্লেমেটরি ঔষধঃ এটা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
ভেনাটনিক ঔষধ এটা রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে।
শেষ কথাঃ পায়ের গিরা ব্যাথার ঔষধ ও গোড়ালি ব্যথায় যা করবেন
পরিশেষে বলা যেতে পারে যে, পায়ের গিরা ব্যাথার ঔষধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা ব্যথার ওষুধ অনেক ক্ষতিকর। তাই আপনি আগে রোগ নির্ণয় করবেন একজন ডাক্তারের মাধ্যমে। এর পরে আপনার চিকিৎসা নিতে পারেন। আশা করি আমার এই পোস্টটা পড়ে আপনি উপকৃত হবেন। যদি এই পোস্টটা আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url