জ্বর ঠোসার দাগ দূর করার উপায় ও ক্রিমের নাম জেনে নিন

যাদের জ্বর ঠোসা হয়েছে তাদের জ্বর ঠোসার দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। কেননা জ্বর ঠোসার কারণে বিশ্বে অনেক মানুষ অন্ধুত্ব হয়ে যেতে পারে। চলুন, জ্বর ঠোসা সারানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
জ্বর ঠোসা সাধারণত ৭ দিন থেকে ১০ দিনের মাঝেই একা একাই সেরে যায়। তবে এই জ্বর ঠোসা এটা সাধারণত অনেক ব্যথা এবং চুলকায়ও অসহ্য লাগে। তাই জ্বর ঠোসার দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃজ্বর ঠোসার দাগ দূর করার উপায় ও ক্রিমের নাম জেনে নিন

জ্বর ঠোসার দাগ দূর করার উপায়

জ্বর ঠোসার পর যে দাগ থেকে যায় সে দাগগুলো দূর করার জন্য নিম্নে জ্বর ঠোসার দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে বর্ণনা করা হলোঃ

ট্রি অয়েলঃ হল প্রাকৃতিক এন্টি ব্যাকটেরিয়াল অ্যান্টিসেপটিক জীবনে ধ্বংসকারী ওষুধের মত কাজ করে। এটি ট্রি দাগ দূর করতে সাহায্য করে এই তেলের সাথে তুলার দিয়ে তেল লাগিয়ে যেখানে ফুসকার দাগ রয়েছে তার উপরের দিন। কয়েক দিন এভাবে দিলেই দাগ উঠে যাবে।
লেবুর রসঃ লেবুর রস রয়েছে ভিটামিন সি যা বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। তাই লেবুর রস একটি তুলার বলের সাথে লেবুর রস জ্বর ঠোসার উপর চেপে ধরন ।এতে কয়েকদিন দিনের কয়েকবার ব্যবহার করতে থাকো দেখবেন দাগ দূর হয়ে গেছে

জ্বর ঠোসা হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন, যেখানে যা ঠোসা হয়েছে সেখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং ঘন ঘন পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন ।এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যান্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে নিজেকে একটু দূরে রাখবেন কারণ তবে ১০ দিনের পর হলে অবশ্যই চিকিৎসার পরামর্শ

জ্বর ঠোসা

জ্বর ঠোসা সাধারণত ভাইরাস জনিত রোগ, যা সাধারণত ঠোঁটের কোনায় অথবা ঠোঁটের আশেপাশে ছোট ছোট আকারে গুচ্ছবদ্ধ ভাবে ফুসকুড়ির মত ওঠে। এটি একটি হারপিস ভাইরাসজনিত রোগ। যদি 
একবার শরীরে প্রবেশ করে তাহলে সারা জীবন থেকে যায়। যদিও এই রোগ এর ভাইরাসটি সাধারণত নিষ্ক্রিয় ভাবে থাকে, মাঝে মাঝে এটা জেগে ওঠে জ্বর ঠোসা হিসেবে।

জ্বর ঠোসা হয় তাদের যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তাই আপনার জ্বর ঠোসার ফলে অনেক সময় ঠোঁটে দাগ পড়ে যায়। আপনি প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। যেমন,প্রচন্ড ব্যথা হলে বরফ লাগিয়ে ব্যাথাটা কমিয়ে নিয়ে আসতে পারেন।

জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ

জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ হলো হারপিস ভাইরাসের কারণেই জ্বর ঠোসা উঠে। যখন কোন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, মাঝে মাঝে জ্বর হয় এর কারণে উপস্বর্গ হিসেবে জ্বর ঠোসা হয়ে থাকে। নিম্নে আরো কিছু কারণ দেওয়া হলঃ
  • মানসিক চাপে থাকা কারণে
  • ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা, সর্দি কাশি হওয়া
  • অতিরিক্ত রোদ্রের তাপমাত্রার কারণে ত্বক পুড়ে যায়
  • শরীরের ইমুনিটি কমে যাওয়া
  • ত্বকের কোন জায়গায় আঘাত পাওয়া
  • ক্যান্সারের রোগীদেরও হতে পারে
  • এইচআইভি বা এইডস হওয়ার কারণেও
  • জ্বরের কারণে শরীর দুর্বল হলেও জ্বর ঠসা উঠে, এটা একটি অন্যতম জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ।
  • মহিলাদের মাসিকের সময় ও অনেক সময় জ্বর ঠোসার উঠে

জ্বর ঠোসার কোথায় হয়

এটা সাধারণত ঠোঁটের কোণে, ঠোঁটের উপরে, ঠোঁটের নিচে বা মুখের ভিতর, জিবার তলায়। এছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন জায়গায়,যেমন, গাল, কপালে, নাকের উপর, নাকের দুপাশে, চোখের কোনায়, জ্বর ঠোসা মুখের বাইরে অনেক সময় হয়ে থাকে। জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণে অনেক সময় দাগ পড়ে যায়। অ্যালোভেরা জেল দিয়ে প্রাকৃতিক ভাবে এই দাগ দূর করতে পারবেন।

জ্বর ঠোসার ঔষধ এর নাম

জ্বর ঠোসার হারপিস ভাইরাসের মাধ্যমে হয়ে থাকে। হারপিস ভাইরাস প্রতিরোধ কিছু ওষুধ রয়েছে। নিম্নে জ্বর ঠোসার ঔষধ এর নাম গুলো দেওয়া হলঃ

অ্যান্টিভাইরাল ঔষধঃ এন্টিভাইরাল ঔষধ সেবন করলে অতি দ্রুত সেরে যেতে পারে

ব্যাথা নাশক ঔষধঃ জ্বর ঠোসা আসলে অত্যন্ত ব্যথা হয়ে থাকে আর ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল বা এই ধরনের ওষুধ খেলে ব্যথার অনেকটাই কমে যায়।
এন্টিহিস্টামিন ওষুধঃ জ্বর ঠোসার কারণে চুলকানি হয়ে থাকে তাই এন্টিহিস্টামিন রয়েছে সে ওষুধ খেলে চুলকানিটা কমে যাবে।

আপনি উপরোক্ত ক্রিম গুলো ব্যবহার করার পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসা করাটাই ভালো। কেননা এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। 

জ্বর ঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায়

জ্বর ঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে নিম্নে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। চলুন কিভাবে জ্বর ঠোসার সারাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বরফঃ জ্বর ঠোসার উপর বরফ লাগালে অনেকটা ব্যথা কমে যায়, এক টুকরা বরফ নিয়ে তার সাথে কাপড় দিয়ে মড়িয়ে জ্বর ঠোসার উপরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চেপে ধরবেন, ব্যথা কমে যায় এভাবে দিনে কয়েকবার করলে ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।

ঠান্ডা সেক দেওয়াঃএটা দিলেও অনেকটা উপকার পাওয়া যায়। তাই একটি তোয়ালে নিয়ে ঠান্ডা পানির মাঝে ভিজিয়ে সেই তোয়ালে দিয়ে চেপে ধরুন, এভাবে দিনে কয়েকবার করতে থাকুন

মধুঃ মধুতে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টি এক্সিডেন্ট যা জ্বর ঠোসার কমাতে সাহায্য করে। একটু তুলার সাথে মধু মিশিয়ে জ্বর ঠোসার চেপে ধরুন এভাবে দিনে কয়েক বার করতে থাকেন

রসুন রসুনের রয়েছে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এটা অনেকটাই উপকার করে থাকে। এক কোয়া রসুন নিয়ে সেটা থেতলে জ্বর ঠোসার উপুর চেপে ধরুন। এভাবে দিনে কয়েকবার করতে থাকেন

অ্যালোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা জেল রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। একটি তুলার বলের সাথে অ্যালোভেরা জেল জ্বর ঠোসার ওপর ঘষে দিন। এভাবে দিনে কয়েকবার করতে থাকুন।

জ্বর ঠোসায় আক্রান্ত স্থানে হাত স্পর্শ করবেন না। এন্টিভাইরাসটা হাতে স্পর্শ লাগার কারণে অন্যজনকে স্পর্শ করলে এটা ছড়িয়ে যাবে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার রাখুন বিশেষ করে প্রতিদিন মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখবেন
  • আক্রান্ত স্থানে ঘষাঘষি চাপাচাপি থেকে বিরত থাকতে হবে
  • জ্বর ঠোসার টা কখনো গেলে দিবেন না কারণ, এখান থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে
  • জ্বর ঠোসার কোন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করা যাবে না
  • উপরোক্ত কাজগুলো করার পরেও যদি জ্বর ঠোসার না সরে ওঠে তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের কাছে যাবেন

জ্বর ঠোসার ক্রিমের নাম

বাজারে বিভিন্ন ধরনের জ্বর ঠোসার ক্রিম পাওয়া যায়। তার মধ্যে জনপ্রিয় জ্বর ঠোসার ক্রিমের নাম নিম্নে বর্ণনা করা হলো।

অ্যাসিকলোভিরঃ এই ক্রিমটি এন্টিভাইরাল ক্রিম নামে পরিচিত যারা ব্যথা নাশক এবং চুলকানি থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে

ভ্যালাসিক্লোভিরঃ অ্যান্টিভাইরাল ক্রিম ব্যবহার করা, যা জ্বর ঠোসার ভাইরাসকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

ফ্যামিক্লোভিরঃএটি একটি অ্যান্টিভাইরাসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে

জ্বর ঠোসা হলে করণীয়

জ্বর ঠোসা একটি সাধারণ রোগ কিন্তু এর চিকিৎসা না নিলে বিপদ হতে পারে। তাই জ্বর ঠোসা হলে করণীয় সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
  • জ্বর ঠোসার ব্যাথা কমানোর জন্য লিডোকাইন জেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে
  • জ্বর ঠোসার ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন
  • জ্বর ঠোসার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখুন এবং কোন ধরনের ঘষাঘষি চাপাচাপি থেকে বিরত থাকুন
  • জ্বর ঠসা আক্রান্ত ব্যক্তি ঘনিষ্ঠতা থেকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন খুবই কাছাকাছি যাবেন না
  • আপনি যদি চোখে হাত দিয়ে থাকেন, তাহলে সে হাত তাড়াতাড়ি পরিষ্কার করুন। তাই তাই কেননা অতি তাড়াতাড়ি যদি পরিষ্কার না করেন তাহলে সেখানে দাগ পড়ে যাবে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা নেওয়া।
  • আপনি যদি লজ্জাস্থান বা জরায়ু স্থানের হাত দিয়ে থাকেন। সে হাত পরিষ্কার করুন কেননা এর মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে
  • আক্রান্ত ব্যক্তি শিশুদেরকে চুমু খেতে বিরত থাকুন ,কেননা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম যার কারণে তাদের এভারে সরিয়ে পড়তে পারে
  • আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে বড় ধরনের রোগ যেমন ডায়াবেটিস হাই প্রেসার স্ট্রোকের রোগী স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন এই ধরনের রোগ এদের খুব কাছাকাছি যাওয়া যাবে না।

জ্বর ঠোসা হলে যা করা ঠিক না

সাধারণত জ্বর আসার পূর্বে অনেকেরই জ্বর ঠোসা হয়ে থাকে। তাই জ্বর ঠোসা হলে যা করা ঠিক না, এ সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন। তাহলে আপনি এটা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এই ধরনের জ্বর ঠোসা হারপিস সিম্প্লেক্স ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। এজন্য দেখা যায় ঠোটের বিভিন্ন জায়গায় ফোসকার মত উঠে থাকে এবং প্রচন্ড ব্যথা করে। তাছাড়া মানসিক চাপ এবং হালকা ঠান্ডা জ্বর এবং অন্যান্য সংক্রমণ জ্বর জ্বর মনে হয়। এটা সাধারণত ব্যথা করে জ্বালাপোড়া যন্ত্রণা অনুভূতি হয়ে থাকে।

তারপর একটি ফোসকা ওঠে প্রাথমিক অবস্থায় এটা ঠোঁটেই বেশিরভাগ দেখা যায় আবার অনেকের মুখের বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে। যেমন নাকের আশে পাশেও অনেকের হয়। এজন্য আপনি যে কাজগুলো করবেন না, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কড়া প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না, এটা উঠলে ত্বক পরিচর্যা করতে হবে। এই সময় সাধারণত এক্সফ্লিয়েটিং অ্যাসিড জাতীয় কোন কিছু ব্যবহার করবেন না। এতে আরও জ্বালাপোড়া বেশি হবে। ত্বকের সাধারণত এগুলো কমন জায়গা হয় যেখানে আপনি এই জাতীয় কোন কিছু ব্যবহার করবেন না। 

যে পর্যন্ত এই ঘা বা ক্ষত না শুকায় সে পর্যন্ত এসিড জাতীয় কোন কিছু ব্যবহার করবেন না। এখানে সাধারণত মেকআপ ব্রাশ ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে কটনবাড ব্যবহার করা যেতে পারে।

ব্রণ যেমন খচানো ঠিক নয় এটাও তেমন খোঁচানো যাবে না, এতে আরো দাগ বৃদ্ধি পাবে। ক্ষতস্থানে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন, এতে ক্ষতটা তাড়াতাড়ি শুকাতে পারে।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে এটা ত্বককে সূর্য থেকে রক্ষা করবে এবং এই ধরনের ত্বকের জন্য সানব্লক ও ব্যবহার করতে পারেন। যদি ঘন ঘন এই ধরনের সমস্যা দেখা যায় সে ক্ষেত্রে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

শেষ কথাঃ জ্বর ঠোসার দাগ দূর করার উপায় ও ক্রিমের নাম জেনে নিন

পরিশেষে বলা যেতে পারে একটি হারভীজ ভাইরাস দ্বারা গঠিত কারো শরীরে ঢুকলে প্রায় সারা জীবন থেকে যায়। তাই জ্বর ঠোসার দাগ দূর করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো;  আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। যদি পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন।ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪