খাদ্যের শ্রেণীবিভাগ, খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কে বিস্তারিত
খাদ্য এমন একটি বিষয় যেটা খাওয়ার মাধ্যমে আমরা এবং প্রাণীকুল বেঁচে থাকি। খাদ্যের শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে আমাদের জানা খুবই দরকার। চলুন, খাদ্যের ও পুষ্টি বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
পোস্টসূচিপত্রঃখাদ্যের শ্রেণীবিভাগ, খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কে বিস্তারিত
শিশু, গর্ভবতী মা, বুকের দুধ পান করানো মা ও অন্যান্য বিভিন্ন বয়সের অনেক জনগণ ও প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য পায়না। তাই এই পোস্টে খাদ্যের শ্রেণীবিভাগ, খাদ্য ও পুষ্টির সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ভূমিকাঃ
বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগণ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। পাঁচ বছরে নিচের শিশুদের মধ্যে শতকরা ৪১ জন শিশুর ওজন বয়সের তুলনায় কম। শতকরা ৩৬ জন শিশুর উচ্চতা বয়সের তুলনায় কম, শতকরা ১৪ জন শিশুর ওজন উচ্চতার তুলনায় কম এবং প্রায় শতকরা ৩ জন শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। এই হার পরিবর্তনশীল। বর্তমানে এই হার শতকরা ৪৩ ভাগ অর্থাৎ প্রতি ৫ জনের ২ জন অপুষ্টিতে ভুগছে।
খাদ্য কি? জেনে নিন
সুস্থ, সবল ও কর্ম অক্ষম থাকার জন্য আমরা যা কিছুই খাই তাই খাদ্য। খাদ্য হচ্ছে এমন কতগুলো প্রয়োজনীয় উপাদানের সমষ্টি যা গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও কর্মতৎপরতা বজায় থাকে,
খাদ্য আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। তাই আমাদেরকে শক্তি যোগাতে ও ক্যালরি প্রয়োজন তাই খাদ্য খাওয়া খুবই দরকার।
পুষ্টি কি? জেনে নিন
শরীরে পরিশোধিত খাদ্যের প্রতিফলনই হলো পুষ্টি।পুষ্টি হল একটি গতিশীল প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে গ্রহণ করা খাদ্য দেহে শোষিত হয়ে শরীরে তাপ ও শক্তি উৎপন্ন হয়।শরীরের বৃদ্ধি সাধন করে সর্বোপরি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সৃষ্টি করে।
খাদ্যের উপাদান কয়টি? জানেন কি
- খাদ্যের ছয়টি পুষ্টি উপাদান রয়েছে নিম্নে দেওয়া হলো
- শর্করা
- আমিষ
- স্নেহ
- ভিটামিন বা খাদ্য প্রাণ
- খনিজ লবণ
- পানি
খাদ্যের কাজ গুলো কি
শর্করাঃ শরীরের তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে
আমিষঃ আমিষ শরীরের ক্ষয় পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন করে। শিশুদের, গর্ভবতী মা সবগুলো উপাদান থাকে বলে আমিষ কে সেকেন্ড ক্লাস বলা হয়।
স্নেহঃ স্নেহ শক্তি উৎপাদনকারী খাদ্য
ভিটামিন বা খাদ্য প্রাণঃ ভিটামিন রোগ প্রতিরোধকারী খাদ্য বলা হয়
খনিজ লবণঃ খনিজ লবণ মানব দেহের গঠন ও সুস্থতা রক্ষার জন্য খনিজ লবণ প্রয়োজন
পানিঃ শরীরের সকল কোষ ও উপাদানের (রক্তে) পানির উপস্থিতি একান্ত ভাবে প্রয়োজন। দেহের ৭০ ভাগই পানি। অপ্রয়োজনীয় বিষাক্ত পদার্থ কে পানি শরীর থেকে বের করে দেয়।
খাদ্যের উৎস গুলো কি কি
শর্করাঃ এর উৎস চাল, গম, চিনি, সুজি, আলু, গুড় ইত্যাদি
আমিষঃ এর উৎস মাছ, ডাল, ডিম, সয়াবিন, সিমের বিচি, দুধ ইত্যাদি
স্নেহঃ এর উৎস তেল, ঘি, মাখন, চর্বি ইত্যাদি
ভিটামিনঃ এর উৎস সকল তাজা সবুজ ও রঙিন শাক-সবজি ও ফলমূল ইত্যাদি
খনিজ লবণঃ এর উৎস মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, দুধ, ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ, আয়োডিনযুক্ত লবণ, সকল তাজা রঙ্গিন শাকসবজি ও ফলমূল ইত্যাদি।
পানিঃ এর উৎস আর্সেনিক মুক্ত টিউবলের পানি, ফুটানো পানি ও অন্যান্য নিরাপদ পানি।
- ১গ্রাম শর্করা = ৪ কিলো ক্যালরি
- ১ গ্রাম আমিষ = ৪ কিলো ক্যালরি
- ১ গ্রাম স্নেহ = ৯ কিলো ক্যালরি
খাদ্যের শ্রেণীবিভাগ সমূহ
খাদ্য এর কয়েক ধরনের শ্রেণীবিভাগ রয়েছে। নিম্নে খাদ্যের শ্রেণীবিভাগ গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
উৎস হিসেবে খাদ্যকে দু ভাগে ভাগ করা হয়েছে
প্রাণীজ খাদ্যঃ প্রাণী থেকে যে সকল খাদ্য আমরা পেয়ে থাকি তাদের কে প্রানিজ খাদ্য বলা হয়ে থাকে। যেমন মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, দই, পানির, ঘি, মাখন, মিষ্টি ইত্যাদি।
উদ্ভিদ খাদ্যঃ উদ্ভিদ বা গাছপালা থেকে যে খাদ্য আমরা পেয়ে থাকি তাকে উদ্ভিদ খাদ্য বলা হয়ে থাকে। যেমন শাক-সবজি, ফলমূল, বাদাম, বীজ ইত্যাদি।
প্রক্রিয়াজাত অনুযায়ী খাদ্য কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে।যেমন
কাঁচা খাদ্যঃ যেসকল খাদ্য রান্না বান্না ছাড়াই বা যে কোন প্রক্রিয়া ছাড়ায় সরাসরি কাঁচা খাওয়া যায় যেমন বিভিন্ন ধরনের ফলমূল এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি রয়েছে যেমন টমেটো, গাজর ইত্যাদি।
সম্পূর্ণ খাদ্যঃ যে সকল খাদ্য সরাসরি খাওয়া যায় যেটাকে প্রাকৃতিক খাদ্য বলা হয়ে থাকে।
প্রক্রিয়াজাত খাদ্যঃ যে সকল খাদ্য বিভিন্ন মসলা এবং রান্নাবান্না করে প্রক্রিয়াজাত করে করা হয়, তাকে আমরা প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বলা হয়ে থাকে।
পুষ্টির চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়, তা হল
১। তাপ ও শক্তি উৎপাদনকারী খাদ্যঃ যেমন, ভাত, রুটি, চিনি, আলু, মিষ্টি আলু, পাউরুটি, চাপাতি ,তেল, মাখন, মধু , বিস্কুট, বাদাম, নারিকেল ইত্যাদি
২।শরীরের ক্ষয় পূরণ ও বৃদ্ধিকারক খাদ্যঃ যেমন মাছ, মাংস, দুধ ডিম কলিজা আর বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খেলে শক্তি পাওয়া যায় এবং শরীরে ঘাটতি পূরণ করে।
৩।রোগ প্রতিরোধকারী খাদ্যঃ গার রঙ্গিন ও সবুজ রঙের সব ধরনের ফলমূল, পাকা আম, পাকা পেঁপে, পাকা কাঁঠাল, আনারস, পেয়ারা, কলা, লেবু, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, ছোট মাছ, দুধ, শিম,কলিজা
সুষম খাদ্য সম্পর্কে
সুষম খাদ্য হচ্ছে সেই খাদ্য যাতে খাদ্যের সব পুষ্টি উপাদান দেহের প্রয়োজন মত, বয়স ও লিঙ্গ ভেদে সঠিক মাত্রায় থাকে। অর্থাৎ সুষম খাদ্য এমন একটি খাবার যা শক্তিধায়ক শরীর বৃদ্ধি কারক ও রোগ প্রতিরোধক।
সুষম খাবার বলতে আমরা এমন খাবারই বুঝবো যাতে শরীরের প্রয়োজনীয় সবকিছু উপাদানই থাকে। অর্থাৎ আমিষ, শর্করা, স্নেহ বা তেল, খাদ্য প্রাণ বা ভিটামিন ও খনিজ লবণ শরীরের চাহিদা অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে থাকে।ব্যক্তিগত চাহিদা ও তার কারণসমূহের উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে।
কেননা একই পরিমাণ খাবারের সবার চাহিদা মেটে না। বয়স, লিঙ্গ, কাজ ও শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে কার কতটা খাবার দরকার। যার বয়স যত কম আমিষ জাতীয় খাদ্যের প্রয়োজন তার তত বেশি। পূর্ণ
বয়স্কদের মাঝে গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মা'দের আমিষ খাবারের দরকার বেশি কারণ, মায়ের খাবারের আমিষ উপাদান নিয়েই শিশুর শরীর বাড়ে। আবার কার কতটা শক্তি দরকার তা নির্ভর করে সে কি কাজ করছে তার ওপর।
যে কাজ যত কঠিন অর্থাৎ শারীরিক যত বেশি শক্তি খরচ হবে প্রত্যেকের সামর্থের উপর নির্ভর করে সে কি ধরনের সুষম খাবার খেতে পারে। বেশি খরচ করে যেমন সুষমা খাবার খাওয়া যায় তেমনি অল্প খরচে সুষম খাবার খাওয়া যায়।
শিশুদের খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত
১। শিশুর জন্ম থেকে ছয় মাস পর্যন্তঃ শিশুর জন্মের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সর্বোচ্চ এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুর মায়ের শাল দুধ খাওয়াতে হবে এবং ছয় মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে এবং দিনে রাতে ২৪ ঘন্টায় কমপক্ষে ৮ বার অথবা শিশু যতবার চায় ততবার খাওয়াতে হবে।
২। শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলেঃ তাকে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিপূরক খাবার দিতে হবে। খিচুড়ি, কলা, ডিম, মাছ ,মাংস, ফল ও সবজি নরম করে খাওয়াতে হবে। প্রথমে তরল তারপর গারো তরল এবং আস্তে আস্তে শক্ত খাবার দিতে হবে।
মায়ের দুধের সাথে এই সকল খাবার দিনে ৩ থেকে ৪ বার দেওয়া যেতে পারে। আর মায়ের দুধ না পেলে না খেলে এই খাবার দিনে ৫ বার দিতে হবে। খাবারের পরিমাণ ও কতবার খাবে সেটা তার বয়সের উপর নির্ভর করে।
৬ থেকে ৮ মাসঃ ২৫০ মিলি বাটি দিনে ১ বার সেই সাথে দুবার নাস্তা। দেশি ফল বিস্কুট অথবা সামর্থ্য অনুযায়ী ঘরে তৈরি খাবার বা নাস্তা যেমন মুড়ি, পিঠা ইত্যাদি।
৯ থেকে ১১ মাসঃ আধাবাটি ২৫০ মিলি বাটি দিনে তিনবার সেইসাথে দুইবার নাস্তা ফল বিস্কুট ইত্যাদি
৩। ১২ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্তঃ মায়ের দুধের পাশাপাশি খিচুড়ি, কলা, ডিম, মাছ, মাংস, ফল ও সবজি মোট পাঁচবার দিতে হবে।
২৫০ মিলি বাটি দিনে তিনবার সেইসাথে নাস্তা, ফল, বিস্কুট ইত্যাদি।
৪। .২ বছরের ঊর্ধ্বে স্বাভাবিক পারিবারিক খাবারে দিনে তিনবার এবং সেই সাথে ফলমূল বা হালকা অন্য খাবার দিনে দুইবার অর্থাৎ মোট পাঁচবার দিতে হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে শিশুর পাকস্থলী ছোট তাই সে বেশি খাবার একসাথে খেতে পারবে না তাই শিশুকে তার খাবার বারে বারে দিতে হবে। শিশুর খাবার শক্তি বা ক্যালোরি সমৃদ্ধ করতে শর্করা আর পরিমাণ কমিয়ে তেলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে এবং যেহেতু তার শারীরিক বৃদ্ধি খুব দ্রুত ঘটছে।
তাই তার খাবারের আমিষের পরিমাণটা একটু বাড়িয়ে দিতে হবে।
এই সময়ে নিয়মিত অর্থাৎ প্রতি মাসে একবার শিশুর ওজন দেখতে হবে সাধারণত জন্মের সময় যে ওজন হবে ৬ মাস পর তার দুই গুন এবং ১ বছর পর জন্মের ৩ গুন ওজন এবং ২ বছর পর জন্মের ৪ গুণ ওজন হবে। সুষম খাদ্য না পেলে জন্মের পর শিশুর বৃদ্ধি দেরিতে হয়।
শিশুদের খাবার খাওয়ানোর জন্য বিশেষ কিছু কৌশল রয়েছে নিম্নে দেওয়া হল
- শিশুদের নতুন নতুন খাবারের সাথে পরিচয় করে দিন। কেননা তারা নতুন খাবার খেতে পছন্দ করে এবং তারা সেই খাবারগুলো খুবই ধীরে ধীরে খায়। আপনিও ধৈর্য ধারণ করে তাদেরকে খাওয়াবেন এবং খাওয়াতে উৎসাহিত করবেন।
- শিশুদের খাওয়ানোর সময় আনন্দ দেওয়া উচিত। কেননা আনন্দের সাথে তারা খেতে খুবই পছন্দ করে এবং অনেক দ্রুত গতিতে খেয়ে থাকে।
- শিশুদের খাবারের জন্য চাপ দিবেন না। কেননা শিশুদেরকে খাবারের জন্য জড়াজড়ি করলে তারা খেতে চায় না।তাই পরবর্তীতে খাবারটা রেখে দিয়ে যখন তাদের ক্ষুধা লাগে তখন খাবার চায়, তখন খেতে দিবেন।
গর্ভবতী মায়ের খাবার সম্পর্কে
একজন গর্ভবতী মাকে গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত খাবার দেওয়া প্রয়োজন। ওই সময় তাকে স্বাভাবিক খাবারের সাথে প্রতি বেলায় অতিরিক্ত নূন্যতম এক মুঠো চালের ভাত, এক বড় চামচ পরিমাণ ডাল অথবা মাছ, মাংস, ডিম, দুধ খেতে দিতে হবে।
সাথে বিভিন্ন ফল এবং রক্তবর্ধনকারী ও ভিটামিন এর সমৃদ্ধ শাকসবজি যেমন লাল শাক, কপি শাক, ধনেপাতা খাওয়া উচিত। গর্ভবতী অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি খেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ রক্তশূন্যতার কারন কি বিস্তারিত জানুন
প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ একজন গর্ভবতীর প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া খুবই জরুরী কেননা তার গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির জন্য প্রোটিনযুক্ত খাওয়া দরকার। প্রোটিন যুক্ত খাবারের মধ্যে যেমন মাছ, মাংস, ডাল, ছোলা, সিমের বিচি ইত্যাদি।
ক্যালসিয়ামঃ গর্ভস্থ শিশুর হাড় ও দাঁত গঠনের জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন। এছাড়াও একজন মা সুস্থ থাকতে হলে তার ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। তাই ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই জরুরী যেমন দুধ, দই, ছানা, মাখন, ঘি ইত্যাদি।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবারঃ একজন মায়ের রক্ত দিয়েই শিশু গঠিত হয় এবং শিশুর মেধাবিকাশ ও বৃদ্ধির জন্য রক্তের প্রয়োজন। তাই রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন যেমন লাল মাংস, কলিজা, ডিম, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি।
ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবারঃ খাওয়া খুবই প্রয়োজন যেমন লেবু, কমলা, লেবু, ডিম ইত্যাদি
ভিটামিন ডিঃ একজন গর্ভস্থ শিশুর হাড় ও দাঁত গঠনের জন্য ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন। এছাড়াও মেধা বিকাশের জন্য ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন। ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে হচ্ছে সূর্যমুখী তেল, ডিম, মাছ ,সামুদ্রিক মাছ।
এছাড়াও সবচেয়ে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সূর্য আলো থেকে। সূর্যের আলো সবচাইতে বেশি ভিটামিন ডি রয়েছে। তাই একজন গর্ভবতী মা প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হলেও রৌদ্রে থাকতে হবে।
উপরোক্ত খাবারগুলো অবশ্যই খাবেন কিন্তু যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে তার মধ্যে হল ক্যাফিনযুক্ত খাবার যেমন চা-কফি ইত্যাদি ।এছাড়াও লাল মাংস, চিনি, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে এবং নিয়মিত ঘুম দিতে হবে তাহলে সুস্থ বাচ্চা হবে। মা সুস্থ তো বাচ্চা সুস্থ।
লেখক এর শেষ কথা,
পরিশেষে বলা যেতে পারে যে খাদ্যের শ্রেণীবিভাগ গুলো উপরে আলোচনা করা হয়েছে। তাই খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কে উপরোক্ত বিষয় থেকে আশা করি যতটুকু জানতে পেরেছেন। এগুলো আপনার জন্য অনেকটাই উপকার হবে। তাই আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে, তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url