মেনোপজ হলে কি হয়- মেনোপজ হলে করণীয় কি
মেনোপজ হলে কি হয়, তাহলো এমন একটি বিষয় যা নারীদের এক সময় স্বাভাবিকভাবে হয়ে থাকে। একটা নির্দিষ্ট সময়ে মহিলাদের নিশ্চয় মেনোপজ হবে। এ সম্পর্কে জানার জন্য এই পোস্টটা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃমেনোপজ হলে কি হয়- মেনোপজ হলে করণীয় কি
সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ বছর পর থেকেই মহিলাদের ডিম্বাশয় দ্রুত কর্ম ক্ষমতা হারায় এবং ডিম্বাশয় কর্তৃক নিঃসৃত হরমোন এস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টরের ঘাটতি ঘটে এবং স্থায়ীভাবে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। তাই প্রতিবছর ১৮ই অক্টোবর মেনোপজ দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।
মেনোপজ কি
প্রতিটি নারী নিজ শরীরে ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টরনের প্রভাবে মাসিক বা ঋতুচাপ শুরু হওয়া থেকে মেনোপস বা রজনীবৃত্তি পর্যন্ত একটি শরীরবৃত্তীয় ছন্দের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে।
মাসিক আরম্ভ হওয়ার মতোই একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একটি সম্পন্ন স্বাভাবিক শরীর বৃত্তীয় ব্যাপার। সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর পর থেকেই মহিলাদের দ্রুত কার্যক্ষমতা হারায় এবং ডিম্বাশয় কর্তৃক নিঃসৃত হরমোন অস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টরের ফলে মাসিক স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায় একেই মেনোপজ বলে।
মেনোপজ হলে কি হয় ও লক্ষণ গুলো কি
মেনোপজ হলে কি হয়, তা হলো বেশিরভাগ মহিলার ক্ষেত্রে মেনোপজ হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে মাসিক চক্রের পরিবর্তন আসে যেমন এই সময় দীর্ঘ সময় ধরে মাসিক চলতে পারে বা দীর্ঘ সময় বারবার মাসিক হতে পারে।আবার অনেক সময় দীর্ঘকাল বন্ধ থাকার পর মাসিক হতে দেখা যায়।এই সময় ডিম্বাশয়ের ইস্ট্রোজেন হরমোন
উৎপাদনের মাত্রা কমে যায় বলে শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই পরিবর্তন আসে। ডিম্বাশয় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এবং নিয়মিত আর মাসিক হয় না এই সময় সাধারণত যে লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তা হলো
- হঠাৎ করে গরম অনুভূত হওয়া
- অতিরিক্ত ঘাম হওয়া এবং পরবর্তী সময়ে ঠান্ডা অনুভব করা
- ত্বকের শুষ্কতা ও দাগ পড়া
- বুক ধরফর করা জীমনি ভাব হওয়া
- ব্যক্তিভেদে খাওয়ার ইচ্ছা হ্রাস বৃদ্ধি ঘটা, পেটে বিভিন্ন সমস্যা যেমন পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি
- প্রসাব নিয়ন্ত্রণে অক্ষমতা, প্রসাবে জ্বালাপোড়া করা
- যোনিতে শুষ্কতা এবং যোনির স্থিতিস্থাপকতা কমে যাওয়ার ফলে যৌন মিলনের সমস্যা হয়
- যৌন আকাঙ্ক্ষার পরিবর্তন, স্তন ব্যথাযুক্ত স্পর্শকাতর হয়ে পড়া
- স্নায়বিক ও মানসিক সমস্যা যেমন হতাশা উত্তেজনা, নার্ভাসনেস, বিরক্তিবোধ,মাথাব্যথা অনিদ্রা, দুর্বলতা বোধ করা ইত্যাদি
- মেনোপজ এর সময় হাড়ের ক্যালসিয়াম এবং রক্তের স্টেজ ওজনের মাত্রা কমে যায় বলে হারের ভঙ্গতা বেড়ে যায়
- অস্থিসন্ধিতে ব্যথা
- বিপাকীয় পরিবর্তন যেমন রক্তে চর্বির মাত্রা বেড়ে যাওয়া
- মেনোপজ সময় হট ফ্লাসিং দিনে কয়েকবার হতে পারে, এটা আগের তুলনায় বেশি হতে পারে
মেনোপজ হলে করনীয় কি
- উপরের লক্ষণ গুলো দেখলে রোগীকে ডাক্তারের কাছে যেতে পরামর্শ দেবেন
- ডাক্তার রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করলে তা ফলোআপ করবেন
- রোগীকে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ট্যাবলেট খেতে দিবেন
- রোগীকে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার বেশি খেতে বলবেন যেমন দুধ, ছোট মাছ, ফলমূল, শাকসবজি ইত্যাদি
- কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে রোগীকে তার শারীরিক পরিবর্তন মেনে নিতে সহায়তা করবেন এবং বিষন্নতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবেন।
মেনোপজ এরপর কি বাচ্চা হয়
মেনোপজ পর গর্ভধারণের জন্য কিছু কিছু জিনিস মেনে চলতে হবে
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
- স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা
- ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করা
- যদি আপনার বয়স ৩৫ এর উপরে হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুতি নিবেন।
এছাড়াও আরো কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করে মেনোপজ এর পরেও গর্ভধারণ করা সম্ভব।সেই পদ্ধতি গুলো হল যেকোনো মহিলা মেনোপজ এর পর যদি গর্ভধারণ হতে চায় তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে
ডাক্তারের সাহায্যে গর্ভধারণ করতে পারেন। যদি ওই মহিলার জরায়ু ভালো থাকে। যদিও ডিম্বাশয় ডিম্বানো নিঃসরণ বন্ধ করে দেয় তবে দাতা্র ডিম ও সাপ্লিমেন্ট এর ব্যবহারের ফলে গর্ভধারণ সম্ভব। এছাড়াও এক ধরনের ইনজেকশন রয়েছে সেটার মাধ্যমেও মেনোপজ পরও একজন মহিলা গর্ভধারণ হতে পারবে।
তাড়াতাড়ি মেনোপজ হয় কি কারনে
একজন নারীর তাড়াতাড়ি মেনোপজ হলে কি হয় নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
জীবনযাত্রার ধরন, খাদ্য অভ্যাস, শারীরিক ব্যায়াম এবং আপনার জীবনযাত্রার বিভিন্ন অভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে তাড়াতাড়ি মেনোপজ হতে পারে।
ধূমপান নিয়মিত ধূমপানের কারণে অ্যাস্ট্রোজন হরমোনের অভাব দেখা দেয় যার ফলশ্রুতিতে অতি তাড়াতাড়ি মেনে পৌছাতে পারে।
হালকা-পাতলা মহিলা যে সকল মহিলা অনেক হালকা পাতলা এবং চিকন তাদের ইস্ট্রোজন খুবই কম থাকে এবং তাদের তাদের স্টকে যে ইস্ট্রোজন রয়েছে সেটা কমতে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে অতি তাড়াতাড়ি মেনোপজ হয়।
আমিষের অভাব এক গবেষণায় দেখা গেছে যে সকল মহিলা শরীর চর্চা করে না এবং শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার খেয়ে থাকে এছাড়া সূর্য আলোকে সংস্পর্শে আসে না তাদের শরীরে ইস্ট্রোজন সংখ্যা কমে যার কারণে তাদের তাড়াতাড়ি মেনোপজ দেখা যায়।
জেনেটিক গঠন আপনার মা-বোন এদের যদি তাড়াতাড়ি মেনোপজ হয়।তাহলে আপনারাও হতে পারে তাই মনে পড়ে হওয়ার আগেই তার জন্য আপনাকে সতর্ক হতে হবে এবং সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে।
ক্রোমোজোম সমস্যা ফাজাইল এক্স সিনড্রম বা টার্নার সিনড্রম। যে সকল মহিলার মধ্যে এ গুলো রয়েছে। তাদের ডিম্বাণুও কাজ করে না,বিধায় তাদের তাড়াতাড়ি মেনোপজ হয়।
অটো লিওন রোগ এ রোগের কারণে মহিলাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় বিধায় তাদের শরীরে ইমুনিটি কম থাকে এ কারণে তাড়াতাড়ি মেনোপজ হয়।
খিচুনি বা মৃগী রোগ যে সকল মহিলার মধ্যে রয়েছে যাদের সাধারণত ডিম্বাশয় প্রতুলতা দেখা দেয়। যার কারণে তাড়াতাড়ি মেনোপজ শুরু হয় এবং তাদের হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন হয় বিধায় তাদের খিচুনির উপর প্রভাব ফেলে।
মেনোপজ কত বছর বয়সে হয়
অধিকাংশ মহিলার ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সেই সাধারণত মেনোপস হয়ে থাকে, তবে অনেক মহিলার ৩০ বা ৪০ বছরের আগেও হতে পারে আবার অনেক সময় ৬০ বছরের নাও হতে পারে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে একজন মহিলার বা বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে একজন মহিলার গড়ে ৫১ বছর বয়সে একজন মহিলার মেনোপজ হয় আবার অন্যদিকে একজন মহিলার ৫৫ বছর বয়সেও মেনোপজ হতে পারে যেটাকে লেট মেনোপজ বলা হয়ে থাকে।
মেনোপজ এর চিকিৎসা
মেনোপজ চিকিৎসায় চিকিৎসকগণ বলে থাকেন এটার সাধারণত আশিভাগ একাই সুস্থ হয়ে যায় অর্থাৎ ১০ জনের ৮ জন সুস্থ হয়ে যায়।দুজনের সমস্যা হতে পারে এটা সাধারণত হরমোন জনিত সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। তাই একজন চিকিৎসক হরমোন থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এছাড়া কিছু মেডিসিন ও দিয়ে থাকেন।
ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে বলেন বিশেষ করে নারীদের ৪০ বছর পার হলে হাড় ক্ষয় হতে থাকে বিধায় তাদেরকে কিছু ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট দিয়ে থাকে। আপনি যদি মেনোপজ এর লক্ষণ গুলো দেখতে পান।
তাহলে প্রতিদিন ৫০০ অথবা ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। আরেকটা বিষয় চিকিৎসকরা দেখে থাকেন সেটা হল ভিটামিন ডি এর অভাবে এই সমস্যাগুলো বেশি হয়ে থাকে তাই চিকিৎসকরা ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেতে বলেন।
কেননা একজন মহিলা সাধারণত সূর্য আলোকে খুবই কম আসেন এবং মহিলারা পোশাকে পরিধান করেন না বিধায় তাদের ভিটামিন ডি এর অভাব হয়ে থাকে।তাই আপনি ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার ও সূর্যালোকে আসতে হবে।
অনেক মহিলার হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি দেওয়া হয়ে থাকে তবে এটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সবার ক্ষেত্রেই এই থেরাপি দেওয়া যাবে না বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বেশি রয়েছে তাদেরকে এ থেরাপি দেওয়া যাবে না।
কেননা হরমোন থেরাপি দেওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সবচেয়ে ভয়ানক। এটার কারণে জরায়ু ক্যান্সার হতে পারে, এজন্য চিকিৎসকরা সব সময় খুবই সতর্কতার সাথে এটা দিয়ে থাকে এবং ডাক্তারের ফলোআপে থাকতে হবে।
প্রি মেনোপজ কি
৪০ এর কাছাকাছি বা আশেপাশে যে সকল মহিলাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাদেরকে প্রি মেনোপজ বলা হয়ে থাকে। প্রি মেনোপজ এর লক্ষণ গুলো হল
- অনিয়মিত মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া
- হঠাৎ রেগে যাওয়া
- ওজন বেড়ে যাওয়া
- ঘুম না হওয়া
- দুশ্চিন্তা করা
- এছাড়াও ঘুমের মধ্যে বেশি ঘাম হওয়ার কারণে ঘুম ভেঙ্গে যায়।
এ কারণে এই সকল লক্ষণ গুলো দেখা দিলে বুঝতে হবে প্রি মেনোপজ হয়েছে। তাই অতিশীঘ্র চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
যোনিপথে শুষ্কতা প্রি মেনোপজ শুরু হলে অনেকেরই যোনিপথের আশেপাশে শুষ্ক ভাব দেখা দেয়। এতে অনেক সময় যৌন মিলনে সমস্যা হয়। যদি অনেকের এই বিষয়টা তেমন একটা গুরুত্ব দেন না তবে এটাও একটি প্রি মেনোপজ লক্ষণ।
মেনোপজ কারণে যে সমস্যাগুলো হয়
আসলে মেনোপজ হলে কি হয় এবং এর কারণে যে সমস্যা গুলো হয় নিম্নে সেগুলো বর্ণনা করা হলো,
- যেমন ওজন বেড়ে যাওয়া
- প্রসাবের সমস্যা হওয়া
- হার্টের সমস্যা হওয়া
- হাড় ক্ষয় হওয়া
- মেটাবলিক সিনড্রোম
- ক্যান্সার হওয়া
- মানসিক সমস্যা ইত্যাদি।
মেনোপোজার সময় ডায়েট চাট মেনে চলা
এ সময় মেয়েরা সাধারণত শরীরের প্রতি তেমন একটা যত্ন নেন না। কারণ তার শরীরের ভিতরে ভালো লাগেনা।তাই খাবার-দাবারও খুব কম খেয়ে থাকে এছাড়াও শাকসবজি জাতীয় খাবার খায় না। এই সময়ে তাকে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে এবং খুব কম বা বেশি খাবার খাওয়া যাবে না।
এই সময় প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়ামের অভাব হয়ে থাকে, তাই তাকে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে।যেমন- দুধ, ডিম, শাকসবজি, মাছ এছাড়াও তরল জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে এবং পোশাকের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। যেন এই রোগের কারণে আবার অন্য রোগ না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেতে হবে। সর্বোপরি চিকিৎসকের পরামর্শ মত চলতে হবে।
মেনোপজের পর গর্ভধারণের ঝুঁকি
চল্লিশের পরে গর্ভবতী হলে সে সকল নারীর সাধারণত প্রি একলামশিয়া হওয়া, বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ হওয়া, এই সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে। তাছাড়া আরো বিপদ রয়েছে নিম্নে আলোচনা করা হলো
- পিরিয়ড মিস হওয়া
- স্তন ফুলে যাওয়া
- বমি ছাড়া বমি বমি ভাব হওয়া
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- খাদ্য সংবেদনশীলতা
লেখকের শেষ কথা
পরিশেষে বলা যেতে পারে এটি একটি মারাত্মক ব্যাধি। যদি কারোর ভিতরে এই লক্ষণ গুলো দেখা যায়, তাহলে অতিদ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। কেননা নারীরা এ বিষয়ে খুবই অসচেতন এবং লজ্জার কারণে তারা এ বিষয়টি এড়িয়ে চলে। মেনোপজ হলে কি হয় তা পরবর্তীতে মারাত্মক ধারণ করলে দেখা যায় ক্যান্সারে পরিণত হয়। যদি আপনার পোস্টটা ভাল লাগে, তাহলে বন্ধুদের নিকট শেয়ার করবেন।ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url