প্রসব পরবর্তী চেকআপ- প্রসব পরবর্তী সেবার গুরুত্ব
বাচ্চা হওয়ার পর একজন মায়ের প্রসব পরবর্তী সেবার গুরুত্ব রয়েছে। তাই প্রসব পরবর্তী চেকআপ করা। তাই এই বিষয়ে মনোযোগ সহকারে আমার এই পোস্টটি পড়ুন।
একজন গর্ভবতী মা বাচ্চা গর্ভে থাকলে যে পরিমাণ যত্ন নিতে হবে, ঠিক তার চেয়ে বেশি প্রসব পরবর্তী নিজের এবং নবজাতকের যত্ন নিতে হবে। তাই প্রসব পরবর্তী সেবার গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন
পোস্টসূচিপত্রঃপ্রসব পরবর্তী চেকআপ- প্রসব পরবর্তী সেবার গুরুত্ব
ভূমিকা
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করে। তারা সাধারণত কুসংস্কারে বেশি বিশ্বাসী হয়ে থাকে। বিধায় তারা নবজাতক কে নিয়ে কখনোই হাসপাতালে যেতে চায় না কিন্তু নবজাতকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চেকআপ করা এবং তার যত্ন নেওয়া। তাই আপনি যদি গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করে থাকেন, তাহলে দেখবেন পাশেই কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। প্রসব পরবর্তী একজন মাকে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে চেকআপ করা হয় এবং ৯০ দিন পর্যন্ত ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রন ট্যাবলেট দিয়ে থাকে।
প্রসব পরবর্তী সেবা কাকে বলে
প্রসবের পর পরই মায়ের এবং নবজাতক শিশুর যত্ন নেওয়া এবং প্রসবের পর ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত ও শিশুর অবস্থা ফলোআপ করাকে প্রসব পরবর্তী সেবা বলা হয়।
প্রসব পরবর্তী চেকআপ
প্রসব পরবর্তী চেকআপ একজন গর্ভবতী মায়ের চারটি চেকআপ করা হয়, নিম্নে সেগুলো দেওয়া হল
প্রথম চেকআপ প্রসবের ২৪ ঘন্টার মধ্যে
দ্বিতীয় চেকআপ প্রসবের ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে
তৃতীয় চেকআপ ৪থেকে ৭ দিনের মধ্যে
চতুর্থ চেকআপ প্রসবের ৪২ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে।
প্রসব পরবর্তী সেবার গুরুত্ব
প্রসব পরবর্তী সেবার গুরুত্ব রয়েছে। কেননা প্রসব পরবর্তী সময়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ মাতৃমৃত্যু হয় এবং ৭০% মৃত্যুহয় প্রসবের ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে। তাই এই সময় উপযুক্ত প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদান করা গেলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মায়ের অসুস্থতা এবং মৃত্যু কমানো বা রোধ করা সম্ভব। নিম্নে প্রসব পরবর্তী যে গুরুত্ব বিষয় গুলো রয়েছে নিম্নে আলোচনা করা হলো।
জরায়ুর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাঃ এই প্রক্রিয়ায় প্রসবের পর জরায়ু ক্রমান্বয়ে প্রায় গর্ভাবস্থার আগের পর্যায়ে ফিরে যায়। ক্রমসংকোচন এর হার নিচে উল্লেখ করা হলো।
- প্রথম ২৪ ঘণ্টা কোন পরিবর্তন হয় না
- ২য় থেকে ১১ তম দিন পর্যন্ত জরায়ুর উচ্চতা বা ফান্ডাস প্রতি ২৪ ঘন্টায় আধা ইঞ্চি হারে কমে যেতে থাকে এবং ১১ তম জরায়ু পিউবিক সিম্ফাইসিসের পেছনে চলে আসে এবং পেলভিসের অংশ হিসাবে থাকে।
- ৬ সপ্তাহে জরায়ু গর্ভঅবস্থার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। জরায়ু ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে শক্ত বলের মতো হয়ে যায়।
জন্মের পর নবজাতকের কিছু তথ্য জানা দরকারঃ
- শিশুটি পুরো মাসের বা অপরিণত কিনা
- জন্মকালীন কম ওজন আড়াই কেজির কম কিনা সেটা জানতে হবে
- শিশু সাধারণ অবস্থা কেমন
- শিশু চুষতে পারে এবং খেতে পারে কিনা
- নাভিরজ্জুর অবস্থা অর্থাৎ নাভি কাটার পর ক্লোরোহিক্সাডিন ৭.১% দিয়েছে কিনা
- প্রসাব বা পায়খানা করেছে কিনা
- প্রসবকালীন শিশুর কোন সমস্যা হয়েছিল কিনা
- হওয়ার সাথে সাথে কেঁদেছিল কিনা
- প্রসব হওয়ার কয় ঘন্টা আগে পানি ভেঙ্গেছিল
- জন্মগত কোন ছুটি আছে কিনা
প্রসবকালীন সমস্যাঃ
- অনেকক্ষণ পূর্বে গর্ভপর্দা ছেড়ে গিয়ে পানি বের হয়ে গিয়েছিল কিনা তবে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত নিরাপদ
- উচ্চ রক্তচাপ
- অতিরিক্ত রক্তস্রাব
- বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্থ প্রসব
- অজ্ঞান বা খিচুনি
- শিশুর মাথার পরিবর্তে শিশুর নাড়ী বা অন্য কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেখা যাওয়া বা বের হয়ে আসা
- শিশুর নড়াচড়া বা হার্টবিট কম না পাওয়া।
বর্তমান সমস্যাঃ
- বর্তমানে কোন ব্যথা বা অস্বস্তি আছে কিনা
- যোনিপথে স্রাবের পরিমাণ এবং ধরন (অতিরিক্ত অথবা দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব)
- পায়খানা বা প্রসবের সময় কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা(প্রসাব ধরে না রাখতে পারা )
- যোনিপথ দিয়ে কিছু বের হয়ে আসে কিনা
- অতিরিক্ত রক্তপাত হচ্ছে কিনা ১ম প্যাড ২ ঘন্টার কম সময়ের মধ্যে ২য় প্যাড ৬ ঘন্টার কম সময়ের মধ্যে যদি ভিজে যায়।
মানসিক অবস্থাঃ
- ভালো বোধ করছেন, নতুন বাচ্চা পেয়ে খুশি কিনা
- শিশু যত্ন নিতে পারবেন বলে মনে করছেন
- বিশ্রাম ও ঘুমের অবস্থা কেমন
- খাবার রুচি এবং তরল খাবার গ্রহণ।
- প্রসাব পায়খানা ঠিকমতো হচ্ছে
- জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা
প্রসব পরবর্তী মায়ের খাবার
প্রসব পরবর্তী সময়ে বুকের দুধ খাওয়ানোর চাহিদা পূরণের জন্য মোট ২১০০ + ৫০০ কিলোক্যালরি দরকার। এজন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় নিচের খাবারগুলো থাকা প্রয়োজন।
- প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম, মাংস, মাছ, দুধ ,ডাল, সিমের বিচি, মটরশুঁটি ইত্যাদি
- প্রচুর পরিমাণে পানি এবং সবুজ পাতার শাকসবজি
- প্রতিদিন এক মুঠো অতিরিক্ত ভাত এবং ডাল
- প্রসব পরবর্তী একজন মা প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার ও পানি খাবেন। বিশেষ করে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর আগে তরল খাবার অথবা পানি পান করে নিতে হবে। একজন মা প্রায় তিন থেকে চার লিটার তরল খাবার খাবে, তাহলে বাচ্চা অনেক দুধ পাবে
- এক মাসের জন্য আয়রন এবং ফলিক এসিড। এই ওষুধ টা আপনি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে পাবেন। আপনার পাশের কমিউনিটি ক্লিনিক অথবা সরকারি কোনো স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করবেন।
- প্রসবের ৬ সপ্তাহের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ২ লক্ষ আই ,ইউ খেতে হবে।
প্রসব পরবর্তী মায়ের যত্ন
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে বিশেষ করে দুপুরের আহারের পর ২ ঘন্টা এবং রাতে ৮ ঘন্টা ঘুম দিতে হবে
- ভারী কাজ না করা
- তামাক পাতা, জর্দ্দা না খাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর্মীর বা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন না করা
- এ সময় মায়েরা সাধারণত শিশুকে যত্ন করতে গিয়ে নিজের যত্ন নিতে ভুলে যান কিন্তু তাকে প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার এবং আমিষ জাতীয় খাবার খেতে হবে কেননা সে যদি সুস্থ না থাকে তাহলে তার সন্তানও সুস্থ থাকবে না
- এ সময় মায়েদের সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। তার এই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য হাটাহাটি করতে হবে, শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে এবং আশ জাতীয় খাবার খেতে হবে
- এ সময় একজন মা ৪৫ দিন শুধু বিশ্রাম নেবে এর মাঝে কোন শারীরিক মেলামেশা করা যাবে না
- ছোট শিশুদের ছোট কৃমি হয় এবং এখানে মৃত্যু হয়। ছোট বা গুড়া কৃমি হলে সামান্য তুলার সাথে নারিকেল বা সরিষার তেল দিয়ে মলদ্বারে হালকা ভিতরে দিয়ে রাতে রাখলে ছোট কৃমি মরে যায়।
- ঘন ঘন প্রসাব করতে হবে (মূত্রথলি খালি করার জন্য)
- অন্ত্র বা পেট খালি করার জন্য প্রচুর পরিমাণে তরল এবংসবুজ শাকসবজি খেতে হবে
- পেরিনিয়াম এর ক্ষত বা ইপিসিওট্মির ক্ষত শুকনো এবং পরিষ্কার রাখতে হবে
- স্তনের যত্ন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কতে হবে
- নবজাতক শিশুর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য বজায় রাখা
- পেরিনিয়াম এর ব্যায়াম অর্থাৎ মলদ্বার চাপ দিয়ে ধরবেন এবং ছাড়বেন এর ফলে প্রসাব যারা ধরে রাখতে পারেনা তারা ধরে রাখতে পারবে।
নবজাতক শিশুর প্রথম টিকা
- জন্মের পর পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিসিজি টিকা দেওয়া
- ইপিআই এর আওতায় টিকার সময়সূচী অনুযায়ী শিশুকে ৮টি রোগ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে টিকা দেওয়া
নবজাতকে দুধ খাওয়ানো
- জন্মের সঙ্গে সঙ্গে অর্থাৎ এক ঘন্টার মধ্যে শাল দুধ খাওয়ানো
- প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো
- প্রথম ছয় মাস শুধুমাত্র মায়ের দুধ পুষ্টি রক্ষার জন্য যথেষ্ট
- মায়ের বুকের দুধ শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ এবং ডায়রিয়া থেকে রক্ষা করে
- শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ালে মায়ের দুধ ছাড়া অন্য কোন খাবার বা পানিও না দিলে এবং মায়ের মাসিক না হলে শিশু জন্মের প্রথম ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের গর্ভধারণের কোন আশঙ্কা থাকে না।
প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা
প্রসব পরবর্তী সময়ে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার না করলে এমনকি মাসিক বন্ধ থাকলেও মহিলা খুব তাড়াতাড়ি গর্ভবতী হয়ে পড়তে পারেন। অধিকাংশ মহিলারাই মনে করেন যে মায়ের দুধ খাওয়ালে
জন্মনিয়ন্ত্রণের কাজ করবে। ফলে প্রায়ই অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ হতে দেখা যায়। এমনকি মায়ের দুধ
খাওয়ানোর কারণে মাসিক বন্ধ থাকলে সন্তান গর্ভে আসতে পারে। এতে মায়ের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে এবং পরিবারের সুখ শান্তি বিনষ্ট হওয়া ছাড়াও অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট সৃষ্টি করে।
প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সমূহঃযে মা দুধ খাওয়ান তার জন্য
- শিশু জন্মের পর ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ ঘন ঘন খাওয়ালে, শিশু যখন চাইবে তখনই মায়ের দুধ খাওয়ালে, দিনে রাতে দুধ খাওয়ালে এবং মায়ের মাসিক ফিরে না আসলে গর্ভধারণের আশঙ্কা থাকে না।
- যেকোনো সময় কনডম ব্যবহার করা
- ছয় সপ্তাহ পর আইইউডি
- ছয় সপ্তাহ পর ইঞ্জেকশন
- ৬ সপ্তাহ পর ইমপ্লান্ট ইত্যাদি পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করতে পারেন
- বন্ধাকরণ অর্থাৎ দুই সন্তানের জননী এবং ছোট সন্তানের বয়স এক বছরের অধিক
- যে মা মায়ের দুধ খাওয়ান না অর্থাৎ মৃত বাচ্চা হলে বা বাচ্চা মারা গেলে তাদের জন্য উপরোক্ত পদ্ধতির সময় ছাড়াও ছয় সপ্তাহ পর খাবার বড়ি শুরু করা যেতে পারে।
প্রসব পরবর্তী জটিলতা ও সমাধান
প্রসব পরবর্তী একজন মায়ের যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় ও এর সমাধান কি নিম্ন আলোচনা করা হলো
স্তন ফুলে যাওয়াঃ প্রসব পরবর্তী সময়ে একজন মায়ের স্তন ফুলে যায় বা স্থানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এটা থেকে সমাধানের উপায় হল
- গরম পানির সেক দিতে হবে
- নিয়মিত দুধ বের করতে হবে এবং মায়ের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে
- যে স্তন খাবে ১০ মিনিট ধরেই খাওয়াবেন কারণ প্রথমে পানি থাকে
স্তনের বোটা ফেটে যাওয়াঃ অনেক মায়ের স্তনের বোঁটা ফেটে যায়, যার কারণে অনেক অসুবিধা সম্মুখীন হতে হয়। এই ধরনের সমস্যা হলে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেটা হলো
- হাত দিয়ে দুধ বের করতে হবে
- মায়ের দুধ খাওয়ানোর সঠিক অবস্থান এবং স্থানে শিশুর সংযোগ দেখিয়ে দিতে হবে
- মায়ের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে
রক্তস্বল্পতা বা সাধারণ দুর্বলতাঃ প্রচুর পরিমাণে রক্ত ক্ষরণের কারণেপ্রসব পরবর্তী একজন মায়ের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়, তাই এই রক্তঅভাব পূরণ করার জন্য নিম্নের ঔষধ ও খাবার খেতে হবে।
- আয়রন, ফলিক এসিড ট্যাবলেট ১ মাস খাওয়ান
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
প্রসব পরবর্তী বিপদ চিহ্ন
প্রসব পরবর্তী মায়েদের গুরুতর সমস্যা হয়ে থাকে এবং অনেক সময় বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হয় নিম্ন আলোচনা করা হলো
- প্রসব পরবর্তী অতিরিক্ত রক্ত স্রাব হওয়া
- প্রসব পরবর্তী একলাম্পশিয়া
- প্রসব পরবর্তী ভীষণ জ্বর হলে বা প্রসব পরবর্তী সংক্রমণ
- মূত্রনালীর সংক্রমণ হওয়া
- স্তন প্রদাহ বা স্তনে ফোড়া হওয়া
- জরায়ুর মুখ বা পেরিনিয়াম ছিড়ে যাওয়া
- মূত্রথলি যোনিপথের সংযোগ তৈরি যেটাকে বলা হয় ভেসিকা ফিস্টুলা
- পায়ুপথে যোনিপথের সংযোগ রেক্টো ফিস্টুলা
উপরোক্ত সমস্যাগুলো দেখা দিলে অবশ্যই রোগীকে অতি দ্রুত গতিতে নিকটস্থ উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স বা জেলা সদর হসপিটাল বা মেডিকেল নিয়ে যেতে হবে।
উপসংহারঃ প্রসব পরবর্তী চেকআপ- প্রসব পরবর্তী সেবার গুরুত্ব জানুন
পরিশেষে বলা যেতে পারে যে বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে অধিকাংশ মা মৃত্যু হয়েছে প্রসব পরবর্তী সেবার গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে এবং নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে প্রসব পরবর্তী কয়েক ঘন্টা অথবা কয়েক দিনের মধ্যেই মারা যায়। তাই এসব পরবর্তী সময়ে মায়ের প্রতি যত্ন নিতে হবে এই পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url