রক্তশূন্যতার কারণ কি বিস্তারিত জানুন
রক্তে হিমোগ্লোবিন বা লোহিত কণিকার পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনা কম থাকলে রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া দেখা দেয়। রক্তশূন্যতার কারণ কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া হল রক্তে লাল রক্তকণিকা অথবা হিমোগ্লোবিনের অপর্যাপ্ত পরিমাণের কারণে শরীরে অক্সিজেন পর্যাপ্ত পৌঁছানোর অবস্থা। তাই রক্তশূন্যতার কারণ কি এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃরক্তশূন্যতার কারণ কি-বিস্তারিত জানুন
রক্তশূন্যতার কারন গুলো কি কি
যে সকল কারণে রক্তশূন্যতা হয় নিম্নে রক্তশূন্যতার কারণ কি? সম্পর্কে আলোচনা করা হলো,.
১.দেহে আয়রনের ঘাটতি হলেঃ অর্থনৈতিক অবস্থা এবং অজ্ঞতার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের অভাবে আয়রন গ্রহণের পরিমাণ কমে যায় ।স্বাভাবিক সময়ের পূর্বে জন্মগ্রহণকারী
শিশু ও কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের শরীরে আয়রন কম থাকে এবং স্বল্প বয়সেই তাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। গর্ভকালীন সময়ে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের অভাবে শিশুর মধ্যেও এর অভাব দেখা যায়। এছাড়াও পুর্ণ ছয় মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ না খাওয়ালে শিশুদের মধ্যে রক্তস্বল্পতা দেখা যায়।
২. খাদ্যের মাধ্যমে যে পরিমাণ লৌহ গ্রহণ করা হয় তা যথাযথভাবে শরীরে পরিশোধিত না হলেঃ খাদ্যের মাধ্যমে যে পরিমাণ লৌহ গ্রহণ করা হয় তা যথাযথভাবে শরীরে পরিশোধিত না হলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়, যেমন- শিশুদের সেই পরিপূরক খাবার দেওয়া হয় যা প্রায়ই কম লৌহ, কম ক্যালরি এবং কম ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার হয়ে থাকে। উদ্ভিজ লৌহসমৃদ্ধ খাবারে লৌহ পরিশোষণের হার কম। তবে এই
খাদ্যের সাথে আমিষ জাতীয় খাবার ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে লৌহ পরিশোষণের পরিমাণ বেড়ে যায়। কলিজা, মাংস , ডিম ইত্যাদি প্রাণিজ খাদ্যে যে লৌহ থাকে তা সহজেই দেহে পরিশোধিত হয়। প্রধান খাবারের সঙ্গে চা বা কফি খেলে তা ক্যালসিয়াম বা লৌহ পরিশোষণ কমিয়ে দেয়। এই ধরনের খাবার খেলে দেহে লৌহ পরিশোষণের পরিমাণ কমে যা। লৌহজাতীয় খাবার বা ঔষধ পরিশোধিত হওয়ার জন্য খাবারে প্রাণিজ আমিষ থাকা প্রয়োজন।
৩. বিভিন্ন কারণে দেহে লৌহের চাহিদা বেড়ে যাওয়াঃ শিশুদের শরীর বৃদ্ধি দ্রুত হয় ,সেই তুলনায় খাদ্যে লৌহ সরবরাহ কম থাকার কারণে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। কিশোর বা কিশোরীদেরও দ্রুত শারীরিক বৃদ্ধির সময় এবং কিশোরী ও মহিলাদের মাসিকের সময় রক্তক্ষরণের কারণে লৌহ চাহিদা বেড়ে যায়। ছেলেদের বেলায় ১২ থেকে ১৫ বছরের এবং মেয়েদের বেলায় ১০ থেকে ১২ বছর বয়সে শরীরের বৃদ্ধির সাথে লৌহের চাহিদাও বেড়ে যায়। এছাড়া সংক্রমণ যেমন- কৃমি ,ম্যালেরিয়া ইত্যাদির কারণেও রক্তস্বল্পতা হতে পারে।
রক্তস্বল্পতার লক্ষণ বা উপসর্গ সমূহ
- দুর্বলতা ,মাথা ঘোরা এবং বুক ধরফর করা
- ক্ষুধা মন্দ হওয়া
- চামড় ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া
- চুল পড়ে যাওয়া
- চোখের আবরণ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া
- নখের গোড়া , হাতের তালু ,দাঁতের মাড়ি ও জিহবা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া
- কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত বোধ করা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া
আয়রনের কাজ গুলো কি
আয়রন একটি খনিজ উপাদান যা রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরির একটি প্রধান উপাদান ।এই হিমোগ্লোবিন ফুসফুস থেকে মাংসপেশিতে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন বহন করে, যার কারণে শরীর কর্মক্ষম থাকে এবং মাংসপেশী থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ফুসফুসে প্রেরণ করে ।কোষ বৃদ্ধি ও উৎপাদনে লৌহ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। মানুষের শরীরে ৭০ শতাংশ লৌহ লোহিত কণিকার হিমোগ্লোবিনে থাকে, বাকি ২৫ শতাংশ লৌহ যকৃত অস্থিমজ্জায় জমা থাকে এবং অল্প পরিমাণ মাংসপেশিতে ও এনজাইমে থাকে।
রক্তশূন্যতা হলে যেসব খাবার খেতে হবে
প্রাণিজ উৎসঃ মাংস, মাছ , কলিজা , ডিমের কুসুম ,শুটকি মাছ ,গুড় ,খেজুর ইত্যাদি।
উদ্ভিজ উৎসঃ লাল শাক ,পালং শাক , মিষ্টি কুমড়া , সাজনা , ধনিয়া পাতা , ফুলকপি , সিম , বরবটি কালোজাম , তরমুজ ,পাকা তেতুল ,ডুমুর , পেয়ারা ইত্যাদি।
মেয়েদের রক্তশূন্যতার লক্ষণ গুলো কি
নারী বা শিশুদের রক্তশূন্যতার কারণ কি এ সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
শিশুঃ শিশুদের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য লৌহ অপরিহার্য। লৌহ ঘাটতির কারণে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, স্বাভাবিক জ্ঞান বৃদ্ধির বিকাশ কমে যায় এবং পড়ালেখার প্রতি মনোযোগ অনেক অংশে হ্রাস পায়। ফলে শিশু স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। লৌহ ঘাঁটতির কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, সহজে যে কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং যার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ নিরাপদ খাবার নিরাপদ জীবন-বিস্তারিত জানুন
কিশোর কিশোরী (১০ থেকে ১৯ বছরঃ কৈশোরকাল শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। লৌহের অভাবে এই বৃদ্ধির বিলম্বিত হতে পারে। বিশেষ করে কিশোরীদের বৃদ্ধি ও মাসিকের কারণে শরীরে লৌহের চাহিদা বেড়ে যা। ভবিষ্যতে সুস্থ মা হিসেবে নিজেকে তৈরি করার জন্য কিশোরীদের দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে লৌহ জমা থাকা প্রয়োজন। পরবর্তী প্রজন্মকে সুস্থ রাখার জন্য মাকেও সুস্থ থাকতে হ।
গর্ভবতীঃ গর্ভকালীন সময়ে মায়ের লৌহের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। গর্ভকালীন রক্তস্বল্পতার কারণে সহজেই যেকোনো রোগের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে এবং প্রসব- উত্তর রক্তক্ষরণের ফলে মাত্মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় ।গর্ভকালীন রক্তস্বল্পতার কারণে মা ও শিশুর ওজন বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং গর্ভকালীন সময় সংক্ষিপ্ত হয়।শিশু পরিপূর্ণ বয়সের আগেই জন্মগ্রহণ করতে পারে। স্বল্প ওজন নিয়ে জন্মানো শিশুদের শরীরে অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানের মত লৌহের পরিমাণও কম থাকে, যে কারণে ওই সমস্ত শিশুরা সহজে কোন রোগে সংক্রমিত হতে পারে এবং এতে শিশু্র মৃত্যুর ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
প্রাপ্তবয়স্কঃ প্রাপ্তবয়স্কদের লৌহের ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং এতে বিভিন্ন রকমের রোগ সংক্রমনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। লৌহের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতার কারণে মানুষের কর্ম ক্ষমতা কমে যায় যা পরবর্তীতে অর্থনৈতিক উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে।
রক্তস্বল্পতা দূর করার ২০ টি ঘরোয়া উপায় সমূহ
রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য বেড়ে যায়। লৌহের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতার কারণে মানুষের কর্ম ক্ষমতা কমে যায় যা পরবর্তীতে অর্থনৈতিক উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে।রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য অনেকগুলো ঘরোয়া উপায় রয়েছে। এই উপায় গুলো রক্ত পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করতে পারে এবং স্বাস্থ্যকর ও সহজলভ্য হতে পারে ।নিচে রক্তস্বল্পতা দূর করার.২০টি ঘরোয়া উপায় উল্লেখ করা হলো,
১.লাল মিষ্টি ফল সমূহঃ লাল জলপাই, করম যা, আপেল , স্ট্রবেরি ইত্যাদি লাল মিষ্টি ফলগুলো রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
২. শাকসবজিঃ শাকসবজি যেমন- লাল শাক ,বাঁধাকপি ,পালং শাক ইত্যাদি মিনারেল এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার রক্ত গঠনের সাহায্য করতে পারে।
৩. লেবু: লেবুর রসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে যা রক্ত পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে.
৪. শুকনো ফলঃ খুবই শুকনো ফল ,আম , আঙ্গুর , কিসমিস ইত্যাদি রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে
৫. পানিঃ প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা রক্ত পুনরুদ্ধার সহায়ক
৬. শুকনো মিষ্টি দ্রব্যঃ যেমন মিষ্টি নারিকেল , কাজুবাদাম , পেস্তা বাদাম ইত্যাদি রক্ত ্স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
৭. শুকনো ভুট্টাঃ শুকনো ভুট্টা যেমন -বাতাসা , ইত্যাদি রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে
৮. নিমের পাতাঃ নিমের পাতা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে
৯. সবুজ চাঃ সবুজ চাটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে
১০. খেজুরঃ খেজুরের রস রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে
১১. মাছ ঃ মাসে ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড থাকায় রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে
১২. ধনিয়া পাতা ও পুদিনাঃ এই ধনিয়া পাতা পুদিনা এরমধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে
১৩. লাল মাংসঃ লাল মাংসের প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে এবং এটি রক্তের কোষ গঠন করতে সাহায্য করে
১৪. ভিটামিন সি জাতীয় ফলঃ লেবু , কামরাঙ্গা , মালটা ,আঙ্গুর ,কমলা ইত্যাদি ভিটামিন সি রয়েছে যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে
১৫. যোগাযোগ চিকিৎসাঃ আপনার ডাক্তারের সাথে সবসময় যোগাযোগ করুন এবং প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি নির্দেশনা অনুসরণ করে মেনে চলুন
১৬. যোগাযোগের সামগ্রিক স্বাস্থ্যঃ প্রাকৃতিকভাবে শরীরের স্বাস্থ্য বজায় রাখা যেমন প্রতিদিন সূর্যের আলো গ্রহণ করা
১৭. ধ্যানঃ মেডিটেশন যোগব্যায়াম ইত্যাদি মাধ্যমে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে
১৮. পুষ্টিকর ফলঃ পুষ্টিকর ফল যেমন আম, জাম , লিচু ইত্যাদি হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে
১৯. স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টঃ স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কমাতে হবে প্রতিদিনের যে মানসিক চাপ সেগুলো ম্যানেজ করে চলতে হবে তাহলে রক্তের পরিমাণ বাড়তে থাকবে
২০. প্রতিদিন ব্যায়ামঃ নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা রক্তের অধিক অক্সিজেন পৌঁছে দেয় যার মাধ্যমে হিমোগ্লোবিন তৈরি হয়
রক্তস্বল্পতা দূর করতে হলে উপরোক্ত ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো গ্রহণ করলে অবশ্যই আপনি রক্তস্বল্পতা থেকে দূর পাবেন এছাড়াও উপরোক্ত পদ্ধতির পাশাপাশি চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধের উপায় গুলো কি
- পর্যাপ্ত পরিমাণ লৌহ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা বিশেষ করে গর্ভকালীন সময়ে
- সহজে পড়ি শোষিত হয় এমন লৌহ শ্রমিক তো খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে নিয়মিত খাওয়া
- কম পরিশোষণ হয় এমন লভজাতীয় খাবারের সাথে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বা আমি জাতীয় খাবার খাওয়া
- শিশুকে পূর্ণ ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানো এবং ৬ মাস পূর্ণ হলো মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে পারিবারিক সুসং খাবার খাওয়ানো
- দুপুর এবং রাতের প্রধান খাবারের সাথে চা কফি দুধ না খাওয়া
- মলমূত্র নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা এবং বল মূত্রত্যাগের পরে দুই হাত ভালো করে সাবান বা ছাই দিয়ে ধুয়ে ফেলা খাওয়ার আগে দুই হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলা এবং খালি পায়ে না হাটা এতে কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কম হবে
- ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মের পরামর্শ নিয়ে ছয় মাস অন্তর কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করা
- সংক্রমণযুক্ত এলাকায় যথাক্রমে আসুক ট্যাবলেট ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ খাওয়া ও মশারি ব্যবহার করা
রক্তস্বল্পতার চিকিৎসা বা ঔষধ গুলো কি
গর্ভবতী প্রসূতিমা নববিবাহিতা কিশোরী এবং শিশুকে ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন ট্যাবলেট খেতে হবে গর্ভবতী মায়েদের নিয়মিত আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া অপরিহার্যএরিথ্রোপোইটিনঃ এটি একটি হরমোন যা বৃহত্তর রক্তশূন্যতার জন্য প্রযোজ্য হতে পারে এটি সাধারণত কিডনি দ্বারা উৎপাদিত হয় এবং রক্তের লোহিতের উৎপাদন বাড়ায়
ট্রান্সফিউজন মেডিসিনঃ এটি ব্যবহার করা হয় অনেকগুলো বিভিন্ন ধরনের রক্ত প্রদানের জন্য অবশ্যই প্রয়োজন হলে রক্তশূন্যতা সমাধান করতে সাহায্য করে
আয়রন সাপ্লিমেন্টসঃ রক্তশূন্যতার মূল কারণ হতে পারে আয়রনের অভাব আয়রন সাপ্লিমেন্টস অভাব পূরণ করে রক্তশূন্যতা দূর করতে পারে
ফলিক এসিডঃ ফলিক এসিড এবং ভিটামিন বি -১২ এই সাপ্লিমেন্ট অনুশীলন করা হয় রক্ত তৈরি করার জন্য এবং শরীরের রক্তশূন্যতার সমাধান হবে
অক্সিজেন থেরাপিঃ যে কোন রক্তশূন্যতার সমস্যার সম্মুখীন হলে অক্সিজেন থেরাপি ব্যবহার করা হয় যাতে প্রাণ শক্তি উন্নত হয় এবং অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়
এসি্ড এনালগেসিকঃ যখন রক্তশূন্যতা একটি মেডিকেল প্রবলেম সমস্যা দেখা দেয় তখন এই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয় যা রক্শন্যতার দূর করতে সাহায্য করে
তবে এই ওষুধগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত এবং প্রয়োজনীয় সময় ডাক্তারের নির্দেশনা অনুসরণ করা উচিত। কোন ঔষধই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয় সবসময় স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য সর্বোচ্চ নির্দেশনা এবং ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণ সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও প্রতিকার সমূহ কি
- বমি বমি ভাব হতে পারে খাওয়ার সাথে সাথে খাওয়ার পরে আয়রন ট্যাবলেট খেলে এই পার্শ্বপ্রতী দিয়া বহু অংশে প্রতিরোধ করা যায়
- পায়খানা শক্ত হতে পারে বেশি বেশি সবজি ও পানি খেলে এই সমস্যার প্রতিকার করা যায়
- ওষুধের কারণে পায়খানা রং কালো হতে পারে যখন ভয়ের কিছুই নেই
উপসংহারঃ রক্তশূন্যতার কারণ কি বিস্তারিত জানুন
পরিশেষে বলা যেতে পারে যে উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি মেনে চলা হয়, তাহলেই রক্ত স্বল্পতা থেকে মুক্তি পাবেন। আশা করি রক্তশূন্যতার কারণ কি? এ সম্পর্কে পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। তাই পোস্টা পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url