জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আমাদের সবাইকে  জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয় সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। কেননা জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে, শেষপর্যন্ত শিশুর পরিণতি অনেক ভয়াবহ হয়। চলুন, নবজাতকের ওজন কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
কম ওজনের বাচ্চা গুলো পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই গর্ভবতী মায়েদেরকে খুবই সচেতন থাকতে হবে।খুবই নিরাপদ ভাবে চলতে হবে যেন বাচ্চার ওজন কম না হয়। তাই জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

 পোস্টসূচিপত্রঃজন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

কম ওজনের নবজাতক কাকে বলে

কম ওজনের নবজাতক কাকে বলে তা হলো, যদি কোন শিশুর ওজন ২ থেকে ৩ কেজির মাঝামাঝি হয় তাহলে সেটা সুস্থ বাচ্চা। আর যদি ২ কেজির কম হয় তাহলে সেটা কম ওজনের বাচ্চা হিসেবে ধরা হয়।

জন্মকালীন স্বল্প ওজনের কারণ

অনেক শিশুর জন্মের সময় ওজন কম হয়ে থাকে এর পিছনে অনেক কারণ থাকে। নিম্নে জন্মকালীন স্বল্প ওজনের কারণ গুলো বর্ণনা করা হলো,
  • গর্ভস্থ ব্রণের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া
  • মায়ের পুষ্টির অভাব
  • গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ
  • মায়ের অসুস্থতা যেমন রুবেলা ভাইরাস, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস ইত্যাদিতে সংক্রমিত হওয়া
  • জন্মগত সমস্যা
  • নির্ধারিত সময়ের পূর্বে জন্ম নেওয়া, এটি একটি অন্যতম জন্মকালীন স্বল্প ওজনের কারণ।
  • কম বয়সে সন্তান ধারণ
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার ঘরোয়া উপায় জানুন ও ঘামাচি দূর করুন
  • ঘনঘন গর্ভবতী হওয়া
  • প্রসবের রাস্তা প্রদাহ
  • মূত্রনালীর প্রদাহ
  • গর্ভকালীন অবস্থায় ধূমপান বা মদ্যপান
  • এইচআইভি এবং এইডস রোগে আক্রান্ত
  • মায়ের পুষ্টি শিক্ষার অভাব
উপরোক্ত বিষয়গুলোর কারণে জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হয়। তাকে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলেই তার ওজন আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে।

জন্মকালীন স্বল্পজনের পরিনিতি

জন্ম এর সময় যে সকল শিশুর ওজন কম হয় তাদের অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। নিম্নে জন্মকালীন স্বল্পজনের পরিণতি কি হতে পারে তা বর্ণনা করা হলো।
  • যে সকল গর্ভবতী মায়ের গর্ভধারণের পূর্বেই ৪০ কেজির ওজনের কম হয় এবং গর্ব অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে ১০ থেকে ১২ কেজি ওজন হলে স্বাভাবিক ওজন বাচ্চা হবে কিন্তু যদি ৬ কেজির নিচে হয় তাহলে সেটা অসুস্থ বাচ্চা হিসেবে পরিগণিত হবে এবং কম ওজনের বাচ্চা হিসেবে ধরা হবে।
  • শিশুর জন্মকালীন স্বল্পজনের পরিনিতি হয় রোগ ও শিশুর মৃত্যুর হার বাড়ায়।
  • সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যেমন ঘন ঘন ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ইত্যাদি হয়
  • গর্ভকালীন সময়ে যেসব শিশুর ভ্রনের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় তারা খাটো হালকা গড়নের হয় এবং পরিণত বয়সেই এই অবস্থা সহজে কাটিয়ে উঠতে পারে না এবং বিশেষ করে স্বল্প ওজন নিয়ে বেড়ে ওঠার মেয়ে শিশুরা তাড়াতাড়ি বয়সন্ধিতে চলে আসে এবং অপুষ্টির শিকার এসব মেয়ে। 
  • গর্ভাবস্থায় যদি একজন গর্ভবতী মা পুষ্টিকর খাবার না খায় তাহলে সে পরবর্তীতে অপুষ্টিকর বাচ্চা জন্ম দেবে। আবার বাল্যবিবাহের কারণে অপুষ্টিতে ভুগতে থাকে যার কারণে অপুষ্টিকার বাচ্চা জন্ম দেয়। 
  • জন্মকালীন স্বল্পজনের পরিনীতি অনেক ভয়াবহ হয়ে থাকে কেননা এই সকল বাচ্চা সাধারণত স্বাস্থ্যকর হয় না  এবং পুষ্টির অভাবে বড় বড় রোগ ব্যাধি দেখা যায় যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি

জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয়

একটি শিশুর জন্মের সময় ওজন কম হলে খুবই ক্ষতিকর হবে। তাই জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয় সম্পর্কে নিম্নের বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
  • মায়েদের পর্যাপ্ত সুষম আমিষ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা
  • গর্ভবতী মহিলাদেরকে নিয়মিত গর্ভকালীন চেকআপ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা
  • একজন গর্ভবতী মা একজন স্বাস্থ্যকর্মের মাধ্যমে চেকআপ করাতে হবে এবং তার শরীর স্বাস্থ্য ঠিক আছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • গর্ভবতী মহিলা নববিবাহিতা মহিলা ও কিশোরীদের নিয়মিতভাবে ডাক্তারের বা স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ অনুযায়ী ট্যাবলেট গ্রহণ করতে হবে
আরো পড়ুনঃ পানিতে ডোবা রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন
  • যে সকল কাজ করলে গর্ভবতী মা আর ক্ষতি হতে পারে সে ধরনের গৃহস্থালি কাজগুলো না করাই ভালো। অর্থাৎ অনেকে ওজনের জিনিসপত্র তোলা যেমন কাঁথা পরিষ্কার করা, জিন্স প্যান্ট পরিষ্কার করা এগুলো করতে গেলে তলপেটে চাপ লাগতে পারে তাই এগুলো কাজ থেকে বিরত থাকাই ভালো।
  • ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকাতে মশারি ব্যবহার ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ঔষধ সেবন করতে হবে
  • গর্ভকালীন সময়ে ধূমপান বা তামাক পাতা গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে
  • এইচআইভি এবং এইডস আক্রান্ত মহিলাদের অতিরিক্ত ভিটামিন খেতে হবে
  • অতি তাড়াতাড়ি বাচ্চা নেওয়া যাবে না এক বাচ্চা থেকে আরেক বাচ্চা নেওয়ার সময় গ্যাপ থাকবে তিন বছর তাহলে সুস্থ স্বাভাবিক বাচ্চা হবে।
জন্মের পূর্বেই একজন গর্ভবতী মা যদি নিজেকে যত্ন নিতে থাকে, তাহলে অবশ্যই সুস্থ এবং স্বাভাবিক ওজনের বাচ্চা হবে কিন্তু যদি গর্ভাস্থায় যত্নবান না হয়। তাহলে শিশুর ওজন কম হয়। তাহল একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শিশু চিকিৎসা করা।

গর্ভাস্থায় বাচ্চার ওজন কম হলে করণীয়

একজন গর্ভবতী মা তার বাচ্চার ওজন যেন কম না হয়, সেজন্য গর্ভাস্থায় তার নিজের প্রতি অনেক যত্নবান থাকতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চলতে হবে। তাহলে সুস্থ এবং স্বাভাবিক ওজনের বাচ্চা জন্মগ্রহণ করবে। নিম্নে গর্ভাস্থায় বাচ্চার ওজন কম হলে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
  • গর্ভবতী মায়েদের প্রতিদিন অন্য সময়ের চাইতে বেশি পরিমাণে ও বেশি বারে বারে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে
  • গর্ভ অবস্থায়্ভ্রুন পার্সেন্টটা ও আনুষাঙ্গিক অন্যান্য কোষ কলা বৃদ্ধির জন্য গর্ভবতী অবস্থায় মায়েদের পুষ্টির চাহিদা বেড়ে যায়
  • যদি গর্ভ অবস্থায় মা ও পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে তবে ভ্রুনের বৃদ্ধির জন্য মায়ের পুষ্টির অবস্থা বাধা প্রাপ্ত হবে বা ঘাটতি দেখা দিবে
  • স্বাভাবিক প্রসব প্রক্রিয়ার জন্য মায়ের অনেক শক্তির দরকার হয় তাই গর্ভকালীন অবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে
  • এমন সব পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে যেন মা সুস্থ থাকে এবং গর্ভস্থ শিশু সুস্থ থাকে।  আর পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে বেশি বেশি তাহলে দুজনই সুস্থ থাকবে।
  • খাদ্যের যদি ঘাটতে হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে বাচ্চা প্রতিবন্ধী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং কম ওজন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।
  • প্রতি মাসে অন্তত একবার প্রসব পূর্ব সেবা এএনসি গ্রহণ করবেন।
  • একজন গর্ভবতী মাকে নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে অথবা নিকটস্থ কোনো স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে এবং তার পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে যেন তার গর্ভস্থ শিশুর সুস্থ এবং স্বাভাবিক ওজনের বাচ্চা হয়। 
  • একজন গর্ভবতী মাকে প্রতিদিন আয়রন ট্যাবলেট নিয়মিতভাবে খেতে হবে এতে শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর হবে।
  • আয়রন এবং ফলিক এসিড ট্যাবলেট একজন গর্ভবতী মাকে অনেক সহায়তা করে থাকে রক্ত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। বিশেষ করে বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পাবে এবং পুষ্ট বাচ্চা হবে। তাই নিয়মিতভাবে গর্ভাবস্থায় আয়রন এবং ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেতে হবে।
  • ভারী কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং প্রতিদিন অন্তত দিনে দুই ঘন্টা এবং রাতে আট ঘন্টা বিশ্রাম নিতে হবে
  • এই সময় ভারী কাজ করলে মায়ের শরীরের ক্ষতি হতে পারে যা প্রকৃতপক্ষে শিশুর ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রয়োজনে ভারী কাজ ভেঙ্গে ভেঙ্গে করবেন, মায়ের অতিরিক্ত বিশ্রামের প্রয়োজন আছে যা আসলে শিশুর জন্যই ভালো
  • দুগ্ধদানকারি অবস্থায় প্রতিদিন অধিক ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে
  • স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রতিবার দুই মুঠ বা আধা পেট বা এক বাটি বাড়তি ভাত, ডাল ,তরকারি মাছ , ডিম ,মাংস ফলমূল ইত্যাদি অথবা প্রতিদিন অতিরিক্ত একবার খেতে বলুন
  • যেহেতু শিশু জন্মের দুই বছর পর্যন্ত দুধ খাওয়াতে হবে সেহেতু প্রসূতি বা দুগ্ধ দানকারী মাকে দৈনিক কমপক্ষে দু'বার অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে এবং স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণের সময়ও কিছুটা করে অতিরিক্ত খাওয়া প্রয়োজন। 
  • খাবার খেতে হবে কারণ দুধ খাওয়ানোর সময় মায়ের পিপাসা লাগে এবং তরল জাতীয় খাবার দুধের পরিমাণ বাড়ায়
  • কালোজিরা ,শিং মাছ ইত্যাদি খেতে পারেন যা থেকে মা প্রয়োজনে পুষ্টি পাবেন
  • সম্ভব হলে প্রসূতি বা দুগ্ধদানকারী মা প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে সামান্য তেল অথবা রান্নার সময় অতিরিক্ত রান্নার তেল খাবেন
  • প্রসবের সঙ্গে সঙ্গে সম্ভব হলে ১৪ দিনের মধ্যে অন্ততপক্ষে ৪২ দিনের মধ্যে একটি ভিটামিন এ ক্যাপসুল ২ লক্ষ আইইউ খেতে হবে। শিশুর ৬মাস বয়স পর্যন্ত ভিটামিন এর চাহিদা মায়ের দুধের মাধ্যমে পূরণ হতে পারে ।যদি মা ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
উপরোক্ত বিষয়গুলোর মাধ্যমে প্রয়োগ করলে একটি স্বাভাবিক শিশু জন্মগ্রহণ করবে কিন্তু ওজন কম হলে করণীয় হলো শিশুকে অতি শীঘ্র হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ চলতে হবে।

নবজাতকের ওজন বৃদ্ধির উপায়

এতক্ষণে আমরা জেনেছি  জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয় সম্পর্কে। এখন জানব নবজাতকের কিভাবে ওজন বৃদ্ধি করা যায় চলুন সে সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

নবজাতকের জন্য তার মায়ের ঘন ঘন দুধ খাওয়াতে হবে। মায়ের বুকের দুধ প্রচুর পুষ্টি। তাই মাকে পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে, তাহলেই শিশু বুকের দুধ বেশি পাবে। মায়ের বুকের দুধে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালরি, ভিটামিন খনিজ পদার্থ ইত্যাদি। যা একজন শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মায়ের বুকের দুধের কোন তুলনা নেই।

নবজাতককে নিয়মিত খাওয়ানোঃ নবজাতকের ওজন বৃদ্ধির উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, মাকে খেয়াল রাখতে হবে শিশুকে কখন দুধ খাওয়াতে হবে। শিশু কিছু ইঙ্গিত দিতে পারে সে ইঙ্গিত গুলো যেমন, হাতের আঙ্গুল চোষা, মুখ নাড়ানো, হাত পা নাড়ানো ইঙ্গিত গুলো বুঝেও তাকে দুধ খাওয়াতে হবে।

প্রতি দুই ঘন্টা পর পর অথবা বাচ্চার পেট ভরছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।একজন নবজাতক যদি দিনে ৮ থেকে ১০ বার প্রসাব করে তাহলে বুঝতে হবে সে দুধ পাচ্ছে এবং সে পেট ভরে খাচ্ছে।
পরিপূরক খাবারঃ শিশুর যখন ৬ মাস বয়স পার হয়ে যাবে তখন তাকে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি পরিপূরক খাবার দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে যেমন মাছ, মাংস, ডিম, শাক-সবজি ইত্যাদি।

পরিবেশগত কারণঃ একজন নবজাতকের সুস্থতা নির্ভর করে পরিবেশের উপরও। কেননা পরিবেশ যদি অন্ধকার হয়, তাহলে বাচ্চার নিউমোনিয়া, বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি দেখা দিতে পারে। তাই আলোকিত জায়গায় তাকে রাখতে হবে এবং ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করার জন্য রৌদ্রেও নিতে হবে। তাই পরিবেশ দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বয়স অনুযায়ী বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক শিশুদের বয়স অনুযায়ী ওজন কত হওয়া উচিত এবং উচ্চতা কত হওয়া উচিত। সেই বিষয়ে একটি নির্দেশনা দেওয়া আছে নিম্নে বয়স অনুযায়ী বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত তা দেওয়া হল,
ছেলেদের জন্যঃ
  • ০ থেকে ৬ মাস বয়সের ওজন হবে ৩.২ থেকে ৭.৭ কেজি পর্যন্ত
  • ৬ -১২ মাস বয়স হলে ওজন ৫.৭ - ৯.৯ কেজি হতে হবে
  • ১ থেকে ২ বছর বয়সের ওজন হবে ৭.৮ থেকে ১২.৩ কেজি পর্যন্ত
  • ২ থেকে ৩ বছর বয়সের ওজন হবে ৯.৮ থেকে ১৪.৬ কেজি পর্যন্ত
  • ৩ থেকে ৪ বছর বয়সের ওজন হবে ১১.৭ থেকে ১৬.৮ কেজি পর্যন্ত
  • ৪ থেকে ৫ বছর বয়সের ওজন হবে ১৩.৫ থেকে ১৮.৯ কেজি পর্যন্ত
  • ৫ থেকে ৬ বছর বয়সের ওজন হবে ১৫.৩ থেকে ২১ কেজি পর্যন্ত
  • ৬ থেকে ৭ বছর বয়সের ওজন হবে ১৭ থেকে ২৩ কেজি পর্যন্ত
  • ৭- ৮ বছর বয়স হলে তার ওজন ১৮.৭ - ২৫.১ কেজি পর্যন্ত
  • ৮ থেকে ৯ বছর বয়সের ওজন হবে ২০.৪ থেকে ২৭.২ কেজি পর্যন্ত
  • ৯ থেকে ১০ বছর বয়সের ওজন হবে ২২ .১ থেকে ২৯.৩ কেজি পর্যন্ত
  • ১০ থেকে ১১ বছর বয়সের ওজন হবে ২৩.৮ থেকে ৩১.৪ কেজি পর্যন্ত
  • ১১ -১২ বছর বয়স এ  ওজন হয় ২৫.৫ - ৩৩.৫ কেজি পর্যন্ত
মেয়েদের জন্যঃ
  • ০ - ৬ মাস বয়স হলে তার ওজন ২.৮ - ৭.২ কেজি পর্যন্ত 
  • ৬ থেকে ১২ মাস বয়সের ওজন হবে ৫.২ থেকে ৯.৩ কেজি পর্যন্ত
  • ১ - ২ বছর বয়স এর  ওজন হয় ৭.৩ - ১১.৬ কেজি পর্যন্ত
  • ২ - ৩ বছর বয়স ওজন হয় ৯.৩ - ১৩.৭কেজি পর্যন্ত
  • ৩ - ৪ বছর বয়স ওজন হবে ১১.১ থেকে ১৫.৮ কেজি পর্যন্ত
  • ৪ - ৫ বছর বয়সের ওজন হয় ১২.৮ - ১৭.৯ কেজি পর্যন্ত
  • ৫ - ৬ বছর বয়সের ওজন হয় ১৪.৫ - ১৯.৯ কেজি পর্যন্ত
  • ৬ থেকে ৭ বছর বয়সের ওজন হবে ১৬.২ থেকে ২২ কেজি পর্যন্ত
  • ৭ বছর থেকে ৮ বছর বয়সের ওজন হবে ১৭.৮ থেকে ২৪.১ কেজি পর্যন্ত
  • ৮ - ৯ বছর বয়স ওজন হয় ১৯.৪ - ২৬.২ কেজি পর্যন্ত
  • ৯ থেকে ১০ বছর বয়সের ওজন হবে ২১ .১ থেকে ২৮.৩ কেজি পর্যন্ত
  • ১০ -১১ বছর বয়সের ওজন হয় ২২.৮ - ৩০.৪ কেজি
  • ১১ থেকে ১২ বছর বয়সের ওজন হবে ২৪.৫ থেকে ৩২.৫ কেজি পর্যন্ত

লেখক এর শেষ কথা

পরিশেষে বলা যেতে পারে যে, একজন গর্ভবতীর গর্ভে বাচ্চা থাকা অবস্থায় নিজেকে পরিপূর্ণ রূপে যত্ন নিতে পারে । পুষ্টিকর খাদ্য খায় এবং নিয়ম তান্ত্রিকভাবে জীবন যাপন করে । তাহলে সুস্থ স্বাভাবিক ওজনের বাচ্চা জন্মগ্রহণ করবে কিন্তু  জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে করনীয় সম্পর্কে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। পোস্টটা পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে, তাহলে পোস্টটা আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪