ডায়াবেটিস রোগী কি মাল্টা খেতে পারবে, ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানুন
ডায়াবেটিস রোগী কি মাল্টা খেতে পারবে? এ বিষয়ে আমরা অনেকে জানিনা। বাংলাদেশে অনেক ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছে। যারা জানে না যে কোন কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে বা বাড়ে।
ডায়াবেটিস রোগীরা মিষ্টি জাতীয় ফল খেতে পছন্দ করে। মালটা একটি মিষ্টি জাতীয় ফল এটা খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়বে? চলুন, ডায়াবেটিস রোগী কি মাল্টা খেতে পারবে? সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পোস্টসূচিপত্রঃডায়াবেটিস রোগী কি মাল্টা খেতে পারবে, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ডায়াবেটিস কি
অনেকের জানার আগ্রহ যে ডায়াবেটিস কি, ডায়াবেটিস রোগটি হলো খুবই জটিল শারীরিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। যা সহজ ভাষায় ডায়াবেটিস হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীরের রক্তের মধ্যে শর্করা বা চিনির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় থাকে।
তাই আপনি যদি চিনি জাতীয় জিনিস আরো বেশি খান তাহলে ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পাবে এবং কিছু মিষ্টি ফল খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে। স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তের শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকে।
ইনসুলিন নামে এক ধরনের হরমোন (এক ধরনের রস অগ্নাশয় গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হয়) রক্তের শ্রেণীর মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াবেটিস হলে শরীরে যে ইনসুলিন উৎপন্ন হয় তা শরীরের প্রয়োজন মেটাতে পারে না এবং রক্তে চিনির পরিমাণ বেশি মাত্রায় থেকে যায়। এর ফলে প্রসাবের মধ্যে চিনি বা শর্করা দেখা দেয়। আশা করি ডায়াবেটিস কি, এ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন।
ডায়াবেটিস কত প্রকার
ডায়াবেটিস কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। নিম্নে ডায়াবেটিস কত প্রকার সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো,
প্রাথমিকঃ যা সবচেয়ে বেশি হয়
টাইপ ১ঃ ইনসুলিন নির্ভরশীল
টাইপ ২ঃ ইনসুলিন নির্ভরশীল নয়
গৌণঃ যা অন্য কোন অঙ্গের অস্বাভাবিকতার কারণে হয় যেমন অগ্নাশয় কিছু হরমোন এবং লিভার এছাড়াও থাইরয়েড স্তরে ইত্যাদি জাতীয় কিছু ওষুধের কারণেও এটা হতে পারে
বংশগতঃ বংশগত কারণে এটা হতে পারে
ডায়াবেটিস রোগী কি মাল্টা খেতে পারবে
ডায়াবেটিস রোগী ফল খাওয়াতে তেমন বাধা নেই কিন্তু ডায়াবেটিস রোগী কি মাল্টা খেতে পারবে, সেটা জানা খুবই প্রয়োজন কেননা মাল্টা তে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম ইত্যাদি। মাল্টা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি থাকার কারণে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।আর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মাল্টা উপকারী রয়েছে, তবে পরিমাণ মতো।
কেননা এটা মিষ্টি জাতীয় একটি ফল আবার সুগার বাড়িয়ে দিতে পারে। তাছাড়া মাল্টা আরো অনেক উপকার করে থাকে,
কেননা মাল্টাতে অনেকগুলো ভিটামিন রয়েছে- মাল্টা কোলন ক্যান্সার ও নারীদের বেস্ট ক্যান্সার ক্ষেত্রে অনেকটা উপকার করে থাকে।
শিশুদের জ্বর ঠান্ডা সর্দি কাশি ইত্যাদি থাকলেও বেশি বেশি মাল্টা খাওয়ালে জ্বর, ঠান্ডা,সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। তবে পরিমাণ বেশি খেলে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিস কি কারনে হয়
আসলে ডায়াবেটিস কি কারনে হয়, জানেন কি? ডায়াবেটিস বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে তবে তার মধ্যে প্রধান কারণ হলো বংশগত কারণে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। টাইপ ২ ডায়াবেটিস সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সাধারণত টাইপের কম বয়স্ক ৩০ বছরের নিচে এবং টাইপ ২ বেশি বয়স্ক ৩০ বছরের উপরে লোকদের বেলায় দু'রকমের রোগীর প্রধানত পার্থক্য রয়েছে
টাইপ ১ঃ ৩০ বছরের নিচে দেখা দেয়
- লক্ষণ গুলার স্থায়িত্ব সপ্তাহ
- ওজন স্বাভাবিক বা কম
- প্রসাবে অতিরিক্ত শর্করা থাকে
- ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা না করলে খুব শীঘ্রই মৃত্যু হতে পারে
- রোগ নির্ণয়ের সময় জটিলতা হয় না
- পারিবারিক ইতিহাস থেকে হতে পারে
টাইপ ২ঃ
- ৩০ বছরের উপরে দেখা দেয়
- লক্ষণ গুলোর স্থায়িত্ব মাস অথবা বছরে হয়
- ওজন বেশি হয়
- প্রসাবে অতিরিক্ত শর্করা থাকে
- ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা না করলে খুব শীঘ্রই মৃত্যু নাও হতে পারে
- রোগ নির্ণয় জটিলতা ১০ থেকে ২০%
- পারিবারিক ইতিহাস হতেও পারে নাও পারে যদিও সঠিক কোন কারণ এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি,তবে কিছু কিছু উপাদান ডায়াবেটিস রোগের জন্য দায়ী বলে গণ্য করা হয় যেমন-
- অত্যাধিক ওজন অলস প্রকৃতির
- বংশগত বিশেষ করে টাইপ ১- এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্যঃ যমজ একজনের ডায়াবেটিস হলে অন্য জনের ৩৬% সম্ভাবনা,মায়ের ডায়াবেটিস হলে ২০% সম্ভাবনা থাকে সন্তানের,বাবার ডায়াবেটিস হলে ৬০% সম্ভাবনা।
- কিছু ভাইরাস এর কারনেও হয়ে থাকে
- অগ্নাশয়ের রোগ থেকে হতে পারে
- গর্ভ অবস্থায় সাধারণত একটু বেশি ওজনের মহিলারা আক্রান্ত হয় বেশি।যাদের গর্ভ অবস্থায় ডায়াবেটিস দেখা দেয় তাদের শতকরা ৮০ ভাগ স্থায়ী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়
- সুপ্ত গর্ভ অবস্থায় প্রদাহ অথবা ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে এদের ডায়াবেটিস হয়
- সম্ভাব্য বংশগত বা পারিবারিক যাদের নিকট আত্মীয়দের ডায়াবেটিস আছে তাদের মধ্যে ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে
ডায়াবেটিসের লক্ষণ
যদি প্রাথমিক অবস্থায় ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দেয় তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা,
লক্ষণ বিহীনঃ এই সকল রোগীর অন্য কোন কারণে রক্ত প্রসব পরীক্ষা করলে প্রসবের মাত্রা অতিরিক্ত সুগার বা শর্করা পাওয়া যায়
টাইপ ১- রুগীঃ তীব্র ডায়াবেটিসের লক্ষণ সমূহ যেমন মারাত্মক পানি ও লবণ স্বল্পতা (ঢিলা চামড়া,শুক্ন জিবা,ফাটা ঠোঁট, নিম্ন রক্তচাপ,চোখ বসে যাওয়া,ঘন ও বড় বড় শ্বাস,দ্রুত নাড়ীর গতি,ঘুম ঘুম প্রায় অজ্ঞান অবস্থা হয়ে যায়।
- সাধারণ লক্ষণ সমূহবেশি ক্ষুধা লাগা
- পিপাসা পাওয়া মুখ শুকিয়ে যাওয়া
- খুব বেশি পরিমাণে প্রসব হওয়ার
- ওজন কমে যাওয়া
- দুর্বল বোধ করা
- চোখের দৃষ্টি অস্পষ্ট হওয়া
উপরোক্তই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে অতিসত্বর একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
টাইপ ২- সাধারণ লক্ষণ সমূহ(টাইপ ১- রোগীর সাধারণ লক্ষণ সমূহ)
জটিলতা সহ
সম্ভাব্য ডায়াবেটিসঃ যাদের পরিবারে কোনো সদস্য ডায়াবেটিস আক্রান্ত তারা লক্ষণবিহীন অবস্থায় অথবা সাধারণ লক্ষণ নিয়ে আসতে পারে
সুপ্ত ডায়াবেটিসঃ গর্ভ অবস্থায় মানসিক শারীরিক অত্যাধিক চাপের মুখে, কোন ঔষধ খাওয়ার সময় ডায়াবেটিসের লক্ষণ নিয়ে আসতে পারে
ডায়াবেটিস কি বংশগত রোগ
আসলে ডায়াবেটিস কি বংশগত রোগ? হ্যাঁ, ডায়াবেটিসে একটি বংশগত রোগ। যদি বাবা-মার কারো থাকে তাহলে সন্তানের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বাবার হলে ৬০% মায়ের হলে ৩০% ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি সন্তানের। তাই ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানতে হবে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে।
ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়ার কি উপায়,ডায়াবেটিসের জন্য শারীরিক ব্যায়াম ওজন কম হতে হবে এবং সুস্থ থাকতে হবে। যে খাবারগুলো খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং যে খাবার গুলো ডায়াবেটিস বাড়বে। আসলে ডায়াবেটিস রোগী মাল্টা খেতে পারবে তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে, বেশি খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়
শরীরের যে কোন অংশে ডায়াবেটিসের বহুমাত্রিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। নিম্নে ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় তা বর্ণনা করা হলো,
- কিডনিতে সমস্যা
- চোখে ছানি পড়া,কম দেখা, অন্ধ হয়ে যাওয়া
- ধমনীতে সমস্যা হতে পারে
- হৃদরোগ,উচ্চ রক্তচাপ,স্ট্রোক
- চর্ম সমস্যা,ঘা হওয়া এবং তা সহজে ভালো না হওয়া
- গর্ভ অবস্থায় মৃত বাচ্চা প্রসব,২৮ দিনের মধ্যে শিশুর মৃত্যু,অপ্রাপ্ত শিশু প্রসব,বেশি ওজনের শিশু প্রসব, ত্রুটি নিয়ে শিশুর ভূমিষ্ঠতা,জন্মের সময় আঘাত প্রাপ্ত (খুব বেশি ওজনের শিশু প্রসাবের কারণে)
কত পয়েন্ট হলে ডায়াবেটিস ধরা হয়
কিছু পরীক্ষা আছে যা দ্বারা বোঝা যায় রোগী নিশ্চিত ভাবে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। আসলে কত পয়েন্ট হলে ডায়াবেটিস ধরা হয়, তা হলো ৮ ঘন্টা না খেয়ে থাকার পর রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ১২৬ মিলিগ্রাম বা ৭ মিলি মল বা তার বেশি তাহলে তাকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত পরীক্ষা হল , পরীক্ষার জন্য শুধু ডাক্তারগণ পরামর্শ দিতে পারবেন। চলুন তাহলে কত পয়েন্ট হলে ডায়াবেটিস ধরা হয় জেনে নেওয়া যাক, অভুক্ত অবস্থায় ৬.১ এর নিচে থাকলে ডায়াবেটিস ধরা হয় না।
ভুক্ত অবস্থায় খাওয়ার পর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খাওয়ার ২ ঘন্টা পর ৭.৮ থেকে ১১.১ পর্যন্ত নিরাপদ রয়েছে। তবে ১১.১ এর পরে যদি হয় তাহলে সেটাকে ডায়াবেটিস বলা হয়ে থাকে।
এর সাথে সাথে প্রসব পরীক্ষা করালে প্রসাবে গ্লুকোজ পাওয়া যেতে পারে
গ্লুকোমিটার ও স্টিলের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে রক্তের সুগার নির্ণয় করা যায়
ডায়াবেটিস হলে করণীয় কি
আপনার ডায়াবেটিস হলে করণীয় কি জানতে নিচের বিষয়গুলো জেনে নিন,
- ওজন বেশি থাকলে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ,মৃত ব্যায়াম ও হাঁটাহাঁটি করে ওজন কমানো
- চর্বিযুক্ত মিষ্টি খাবার কম খাওয়া
- বেশি পরিমাণে আশ জাতীয় খাবার গ্রহণ যেমন তাজা ফল,শাকসবজি সালাদ ইত্যাদি
- রক্ত,মূত্রে শর্করা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক
- শর্করাযুক্ত খাবার ভাত, আলু ,আটা ইত্যাদি পরিমিত খেতে হবে
ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময়ের ঔষধ আবিষ্কার
আসলে ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময়ের ঔষধ আবিষ্কার এখনো হয়নি। তবে আশা করা যায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। ডায়াবেটিস এর নিরাময়ের এক মহা ওষুধের নাম হল "সিমাগ্লোটাইড" যা সপ্তাহে একবার এই ইনজেকশন দিলে ডায়াবেটিস অনেকটা কমিয়ে নিয়ে আসবে।অন্যান্য ইনসুলিন চাইতে এই ইঞ্জেকশন সবচাইতে বেশি কার্যকারিতা পালন করেছে।
এটা আবিষ্কারের ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা সপ্তাহে একদিন মাত্র এই ইনজেকশন ব্যবহার করবে। সাত দিনের মধ্যে তার ডায়াবেটিস অনেক কমে থাকবে এবং হৃদরোগের ও কার্যকারিতা পালন করবে।
আরো পড়ুনঃ জ্বর ঠোসার দাগ দূর করার উপায়,জেনে নিন
"সিমাগ্লোটাইড" ইনজেকশনটা দেড় এমএল ও তিন এমএল এ ওষুধটা বাজারের দাম ১৪ হাজার ২৫৯ টাকা।
ডায়াবেটিস টাইপ ২- ১০ হাজার লোকের উপর ট্রায়াল করার পর এটা অনেকটাই সফলতা অর্জন করেছে অন্যান্য ইনজেকশনের চাইতে। এই ইনজেকশনটা সবচাইতে বেশি কার্যকারিতা পালন করেছে।তাই এই ইনজেকশনটি আসার কারণে ডায়াবেটিস চিকিৎসা এক অনন্য ঔষধ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তাই বিশ্বে যথেষ্ট পরিমাণ গবেষণা চলছে ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময়ের ঔষধ আবিষ্কার করার জন্য।
ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রথমে শর্করা জাতীয় খাবার, না খেয়ে যদি আপনি ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো প্রয়োগ করেন। যেমন শাকসবজি জাতীয় খাবার প্রথমে খান।তাহলে শর্করার পরিমাণ কম থাকবে। তাই খাওয়ার আগে আপনি শাক সবজির পরিমাণ বেশি খাবেন,তারপর শর্করা জাতীয় খাবার খাবেন।
করলার জুসঃ প্রতিদিন আপনি যদি খালি পেটে দু-তিনটা করলা নিয়ে বীজগুলো ফেলে দিয়ে রসগুলো বের করে পানির সাথে মিশে যদি খেতে পারেন,তাহলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ থাকবে।কেননা করলা ইনসুলিনের নিঃসরণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
পেঁয়াজের নির্যাসঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকটা ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনি ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায় হিসেবে পিয়াজের নির্যাস নিতে পারেন। কেননা পেঁয়াজ প্রায় ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে।
পিয়াজের মধ্যে রয়েছে মেটফরমিন সেটা একটি ওষুধের নাম যার মাধ্যমে ডায়াবেটিস অনেকটা কমিয়ে নিয়ে আসে।আপনি মেটফরমিন ওষুধের পরিবর্তে প্রাকৃতিকভাবে পেঁয়াজ এর নির্যাসটা নিতে পারেন তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে।
দারুচিনিঃ যাদের ডায়াবেটিস টাইপ ২- রয়েছে তারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য দারুচিনির গুড়া চা ইত্যাদি খেলে তাহলে অনেকটাই কমে থাকবে।
মেথিঃ আপনি দুই চামচ মেথি এক গ্লাস পানির মাঝে ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিন এবং সকাল বেলায় পানিটুকু খেয়ে নিবেন,কেননা মেথি ইনসুলিন উৎপাদনে সহযোগিতা করে থাকে। মেথি এর মধ্যে ফাইবার আছে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
পানিঃ পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা কেননা গবেষণায় দেখা গেছে ডায়াবেটিসের রোগীরা পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেলে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম এর কারণে ডায়াবেটিস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে।
একজন সুস্থ মানুষ কমপক্ষে .৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমালে সে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাবে। শারীরিক দাম আপনি প্রতিদিন সকাল বিকাল শারীরিক ব্যায়াম করেন অথবা হাঁটাহাঁটি করেন তাহলে রক্তের শর্করা অনেক কমে যাবে যার কারণে আপনি সুস্থ থাকবেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে
টমেটোঃ টমেটোতে রয়েছে এন্টিএক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি যার কারণে আপনি যদি প্রতিদিন ২০০ গ্রাম পরিমাণ কাঁচা টমেটো রান্না করে অথবা যেভাবেই খান না কেন এটা আপনার শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করবে। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে,এছাড়াও ক্যান্সার এবং হৃদরোগ বড় বড় ধরনের রোগ থেকে উপকার করেছে।
মাল্টাঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিস রোগী কি মাল্টা খেতে পারবে, হ্যাঁ ডায়াবেটিস রোগী মাল্টা খেতে পারবে যদি পরিমান মত খায় তাহলে কোন সমস্যা হবে না।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
কার্বোহাইড্রেট খাবারের দিকে নজর দিতে হবে: আপনি গর্ভবতী ডায়াবেটিসের রোগী যদি হয়ে থাকেন তবে প্রথমে আপনার খেয়াল রাখতে হবে,আপনি কি পরিমাণ শর্করা জাতীয় খাবার খাচ্ছেন। তারপর ভিত্তি করে আপনাকে ইনসুলিন দিতে হবে এবং পরীক্ষা করতে হবে গ্লুকোমিটার দিয়ে প্রতিনিয়তই।
আপনার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে তারপর শর্করা জাতীয় খাবার কতটুকু খেতে হবে সেটা আপনি খাবেন।তাছাড়া আপনি যদি পরীক্ষা না করে শর্করা জাতীয় খাবার পরিমাণ বেশি খান তাহলে বিপদ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কমানোর উপায় গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো,
শাকসবজি: আপনি যদি গর্ভবতী ডায়াবেটিসের রোগী হন তাহলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে। কেননা প্রথমে যদি আপনি শাকসবজি খান,তারপর যদি আপনি শর্করা জাতীয় খাবার খান এতে ডায়াবেটিসে কমানোর ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাবেন।
পানি পান করা: আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করবেন কেননা পানি পান করলে এতে কোন শর্করা বৃদ্ধি পায় না বরঞ্চ পানি পান করলে আপনি ইনসুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। শর্করা বৃদ্ধি পাবে না তাই বেশি বেশি পানি খাবেন এবং ডায়াবেটিসের রোগীদের কিডনির সমস্যা হতে পারে তাই পানি পান করলে কিডনিও ভালো থাকবে।
খাবারের রুটিন: আপনি যদি ডায়াবেটিসে গর্ভবতী মা হয়ে থাকেন তাহলে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হল; আপনাকে প্রথমে নজর দিতে হবে খাবারের দিকে।কেননা আপনি তিনবেলা শর্করা জাতীয় খাবার খাবেন খুবই কম তবে তার মাঝে আরও তিনবেলা অল্প অল্প করে অন্যান্য খাবার খাবেন যেমন ফল ফ্রুট, শুকনা খাবার এগুলো খাবেন তবে শর্করা জাতীয় খাবার কম খাবেন।
নিয়মিত ব্যায়াম করা: একজন গর্ভবতী মা সে নিয়মিত ব্যায়াম করবে কারণ আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি ডায়াবেটিসের রোগী,তাহলে অবশ্যই আপনি নিয়মিত হাটা চলাচল করবেন। কমপক্ষে দিনে দুই তিনবার হাঁটবেন তাহলে আপনার পায়ে পানি আসা এবং রক্তের সুগার অনেক নিয়ন্ত্রণ থাকবে এতে আপনার বাচ্চাও সুস্থ থাকবে।
ফলমূল খাওয়াঃ ডায়াবেটিসের রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলমূল খেতে হবে। কেননা তাদের ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে। তাই আসলে ডায়াবেটিসের রোগী প্রায় সব ফলই খেতে পারবে, তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে।
ডাক্তারি চেকআপ: একজন সাধারণ ডায়াবেটিস ছাড়া গর্ভবতী মা তিনিও চারটি চেকআপের জন্য ডাক্তারের কাছে যাবেন।আর আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে এবং গর্ভবত হন তাহলে তো আপনি অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আপনার কোন কিছুই করা যাবে না।
একজনবিশেষজ্ঞ ডাক্তার যেভাবে বলবেন সেভাবেই আপনাকে চলতে হবে। কেননা আপনার হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ, একলেমশিয়া, যে কোন মুহূর্তে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে,তাই আপনি অবশ্যই ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থাকবেন।
কি কি খাবার খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে
ডায়াবেটিস রোগীরা সব সময় চিন্তা করে যে, কি কি খাবার খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে এবং কমে। তা নিম্নে আলোচনা করা হলো,
তৈলাক্ত খাবারঃ আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হন তাহলে তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।এতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি ও ফ্যাট রয়েছে। যদি আপনি খান তাহলে ঠিকমতো ইনসুলিন কাজ করতে পারে না। তৈলাক্ত খাবারের মধ্যে যেমন ফাস্টফুড আপনি এড়িয়ে চলবেন।
ভিটামিন সি যুক্ত ফলঃ ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ভিটামিন সি যুক্ত ফল অনেক উপকারী। কেননা ভিটামিন সি এর মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যেটা ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য উপকারী। কেননা মাল্টাতে ভিটামিন সি রয়েছে। খাওয়া যাবে তবে পরিমাণ মতো।
কিন্তু কিছু কিছু ফলের মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি থাকার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতি হতে পারে।সে সকল ফলের মধ্যে রয়েছে- আম,কাঁঠাল,লিচু,তরমুজ এগুলো এড়িয়ে চলবেন।
অ্যালকোহলঃ যদি আপনি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে জেনে নিন, কি কি খাবার খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে তার অন্যতম কারণ হলো মদ্যপান করা। এ সব থেকে বিরত থাকুন কেননা অ্যালকোহলের মধ্যে ক্যালরি পরিমাণ বেশি থাকে।
অধিক পরিমাণের ক্যালরি ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।এছাড়াও মধ্যপান করলে লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে,তাই আপনি অ্যালকোহল জাতীয় পান করা থেকে বিরত থাকুন।
এলোপ্যাথি ঔষধঃ কিছু এলোপ্যাথি ঔষধ খাওয়ার কারণে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায় যেটা ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই আপনি যদি কোন ঔষধ খেতে চান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ ওষুধ খাবেন।কেননা এলোপ্যাথি ওষুধের মধ্যে রয়েছে স্টেরেড,এর কারণে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
সাদা চালঃ আপনি যদি ডায়াবেটিস ২-এর রোগি হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে সাদাচাল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।কেননা সাদা চাল প্রক্রিয়াজাত করে সাদা করা হয়, এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সুগার রয়েছে।
২০১২ সালে গবেষণায় দেখা গেছে একজন ডায়াবেটিসের রোগীর সাদা চাল খাওয়ার কারণে প্রতিদিন তার ১১ শতাংশ ঝুকি বৃদ্ধি পায়,তাই আপনি সাদা চালের পরিবর্তে লাল চাল খাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং লাল চাল ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অনেক উপকারী।
লাল চাল এর মধ্যে অনেক ফাইবার রয়েছে যেটা ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
কলা ও তরমুজঃ যদিও ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যেটা ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য অনেক উপকার কিন্তু কলা ও তরমুজের মাঝে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ রয়েছে,যেটা ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য অনেক ক্ষতিকর।
চর্বিযুক্ত মাংসঃ ডায়াবেটিস রোগীর জন্য চর্বিযুক্ত মাংস খুবই ক্ষতিকর কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে। বিশেষ করে রেড মিট উচ্চ রক্তচাপ,হৃদ রোগের জন্য ক্ষতিকর। তাই আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হন তাহলে রেড মিট থেকে বিরত থাকুন এবং সামুদ্রিক মাছ বেশি বেশি খাবেন এটা ডায়াবেটিসের জন্য অনেক উপকার।
ফলের রসঃ অনেক রোগী সকালের নাস্তায় ফলের রস রাখেন কিন্তু ফলের রসে প্রচুর পরিমাণ মিষ্টি হওয়ার কারণে সুগারের লেভেল বেশি থাকে এবং দোকান বা রাস্তাঘাটের ফলের রস তো অবশ্যই খাবেন না। কেননা এতে চিনি মিশানো থাকে। তবে যদি আপনি মাল্টার জুস খেতে চান তাহলে দুই এক টুকরা ফল আপনি কেটে জুস বানিয়ে খেতে পারেন। এটা আপনার ফলের রসের চাহিদা মিটে যাবে।
কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে
কিছু ফল রয়েছে যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা ইনসুলিন তৈরিতে অনেক সহযোগিতা তৈরি করে। নিম্নে কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে সেই সব ফলের বর্ণনা দেয়া হলো,
পেয়ারাঃ আপনি ডায়াবেটিস ২- টাইপ রোগী হোন, তাহলে নিয়মিত পেয়ারা খান। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা ডায়াবেটিসের জন্য অনেক উপকার। তাছাড়া পেয়ারা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও পেয়ারা রয়েছে ভিটামিন সি।
তরমুজঃ তরমুজ রয়েছে লাইকোপিন। আপনি যদি ডায়াবেটিসে রোগী হন তাহলে আপনার কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর কিডনি ড্যামেজ থেকে রক্ষা করতে পারে লাইকোপিন। আর এই লাইকোপিন থাকে তরমুজের মধ্যে,তাই আপনি পরিমাণ মতো নিয়মিত তরমুজ খান কিডনির সমস্যা থেকে মুক্তি পান।
পেঁপেঃ পেপে প্রাকৃতিক এন্টি এক্সিডেন্ট ফল,আপনি যদি ডায়াবেটিসে রোগী হন তাহলে আপনার ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার কারণে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বা নার্ভ ড্যামেজ হতে পারে। পেঁপে সেল ড্রামেজ প্রতিরোধ করে এবং সেলগুলো সুস্থ রাখে।
চেরি ফলঃ চেরি ফলে রয়েছে অ্যান্থসায়ানিন যা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ইনসুলিন তৈরি করতে সাহায্য করে।
আপেলঃ আমেরিকার এক নিউট্রিশন গবেষণায় দেখা গেছে আপেল ডায়াবেটিস ২ রোগীদের জন্য সুগার লেভেল কমিয়ে নিয়ে আসে।
মাল্টাঃ মাল্টা তে রয়েছে ভিটামিন সি কিন্তু ডায়াবেটিস রোগী কি মাল্টা খেতে পারবে, এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগী মাল্টা খেতে পারবে কিন্তু পরিমানে কম যা তার জন্য খুবই উপকারী।
স্ট্রবেরিঃ স্ট্রবেরি তে রয়েছে লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। যেটা গ্লুকোজের মতো রক্তে ধীরে ধীরে প্রবেশ করে পরবর্তীতে এটা ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং ওজন হ্রাস করতে সহযোগিতা করে।
আঙ্গুরঃ আঙ্গুরে রয়েছে রেসভেরাট্রল নামে এক ধরণের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে নিয়ে আসে, এছাড়াও আঙ্গুর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার।
বেদানাঃ এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেলস ও ক্রনিক ডিজিজ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা ফলটি খেতে পারেন।
আমাদের শেষ কথা
পরিশেষে এটাই বলা যায় যে, ডায়াবেটিস থেকে একে বারে মুক্তি পাওয়ার উপায় নেই। তবে এটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।ডায়াবেটিস রোগী খাবারের মাধ্যমে,হতে পারে শারীরিক ব্যায়াম,প্রাকৃতিক ফলমূল খেয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। প্রাকৃতিক ফল মাল্টা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অনেক উপকার তবে ডায়াবেটিস রোগী কি মাল্টা খেতে পারবে, হ্যাঁ খেতে পারবে তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে। যদি আমার পোস্ট টি পড়ে আপনার কাছে ভালো লাগে, তাহলে আপনার বন্ধু -বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url