বেশি জ্বর হলে কি করা উচিত,জেনে নিন-জ্বর সম্পর্কে বিস্তারিত

বেশি জ্বর হলে কি করা উচিত? এ সম্পরকে জানা প্রয়োজন। জ্বর কোন রোগ নয়, জ্বর হলো কোন রোগের লক্ষণ। চলুন, বেশি জ্বর হলে কি করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
যখন কোন লোক রোগ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়,তখন তার জ্বর হয়। রোগ জীবাণু বাতাসে, মাটিতে, পানিতে বা সংক্রামিত প্রাণী কিংবা মানুষের দেহে থাকে। এই জীবাণু শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে। তাই বেশি জ্বর হলে কি করা উচিত? 

পোস্টসূচিপত্রঃবেশি জ্বর হলে কি করা উচিত,জেনে নিন-জ্বর সম্পর্কে বিস্তারিত 

জ্বর কি

আসলে জ্বর কি তা হলো আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭.০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড বা ৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট এবং যখন শরীরে তাপমাত্রা ৩৭.৫ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড অর্থাৎ ৯৯.৫° ফারেনহাইটের চেয়ে বেশি হয়।

তখন বুঝতে হবে জ্বর হয়েছে।স্কুলে যাবার বয়স হয়নি এমন শিশুদের যদি তাপমাত্রা৩৮. ০° সেন্টিগ্রেড অর্থাৎ ১১.৪ সেন্টিগ্রেড বা ১০০. ৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট এর বেশি হয়, বুঝতে হবে সে খুব অসুস্থ। ডায়রিয়ার মত জ্বর হলেও শরীর থেকে প্রচুর পানি কমে যায়।

জ্বর কেন হয়

অনেক কারণে জ্বর হতে পারে বিশেষ করে জীবাণু শরীরের অভ্যন্তর প্রবেশ করে জ্বর আসতে পারে। জ্বর কেন হয় নিম্নে তা বর্ণনা করা হলো,

সংক্রমণঃ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক বা পরজীবীর মাধ্যমে শরীরের প্রবেশ করতে পারে যার কারণে জ্বর হতে পারে।

প্রদাহঃ শরীরের ব্যথা বা প্রদাহ এর কারনে বেশি জ্বর হলে কি করা উচিত, প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।

ক্যান্সারঃ ক্যান্সার হলেও জ্বর হতে পারে সেটা যেকোনো ধরনের ক্যান্সার হতে পারে, লক্ষণ হিসেবে জ্বর আসতে পারে।
ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ অনেকে ওষুধ আছে যেগুলো ক্ষতি করতে পারে, সে কারণে জ্বর আসতে পারে।

অন্যান্য কারণঃ এছাড়াও আরো জ্বর কেন হয় তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো,
  • তীব্র পরিশ্রম করার কারণে
  • মানসিক চাপের কারণে
  • থাইরয়েড গ্রন্থের সমস্যা বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে
  • তীব্র ব্যথার পরিবর্তনের কারনে হতে পারে
  • অনেক দিন যাবত শরীরে ব্যথা হলে

জ্বর কিভাবে হয়

আসলে জ্বর কিভাবে হয়, বিভিন্ন উপায়ে আসতে পারে। জ্বর আসলে কোন রোগ নয়, কোন রোগের উপসর্গ মাত্র। জ্বর হওয়ার কারণ হলো শরীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। জ্বর বিভিন্নভাবে আসতে পারে নিম্নে দেওয়া হলো,
  • বায়ুর মাধ্যমে যা আমরা শ্বাসের সাথে নিয়ে থাকি। যেমন টিউবারকুলোসিস রোগ
  • দূষিত খাদ্য ও পানি এর মাধ্যমে যেমন ডায়রিয়া হতে পারে, যার কারণে জ্বর আসতে পারে।
  • ত্বকের ক্ষত মশা ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ অথবা কুকুরের খাবারের মাধ্যমে
  • বিভিন্ন বড় ধরনের রোগের কারণে যেমন এইডস এবং  সংক্রমণের মাধ্যমে ছড়ায় সেই সকল নারীদের সাথে বা পুরুষের সাথে যৌন মিলন করলে হতে পারে
  • রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে জ্বর আসতে পারে
  • ১০ টা জ্বরের মধ্যে ৯ টাই ভাইরাস জ্বর। যা ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায়
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে হয়তো বুঝতে পেরেছেন জ্বর কিভাবে হয় উপরোক্ত কারণগুলোতেই জ্বর আসে।

জ্বরের সময় কি খাওয়া উচিত না জেনে নিন
বেশি জ্বর হলে কি খাবার খাওয়া দরকার নিম্নে বর্ণনা করা,
  • জ্বরের সময় খাবার-দাবারের বিষয়ে একটু খেয়াল রাখতে হবে, কেননা জ্বর এমন একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থার মাধ্যম শারীরিক শক্তি খরচ হয়।এই সময় খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের পুষ্টি পূরণ করতে হবে।
  • জ্বরের সময় যে সকল খাবার খাওয়া উচিত নয়
  • ভাজাপোড়া তৈলাক্ত খাবার খাওয়া যাবে না
  • শক্ত খাবার বা কাঁচা খাবার খাওয়া যাবে না
  • বাইরের প্রসেসিং খাবার খাওয়া যাবে না যেমন হোটেলের খাবার, রাস্তাঘাটের খাবার
  • দুধ চা, ড্রিংকস জাতীয় পানি, অ্যালকোহল বা মদ পান করা যাবে না

বেশি জ্বর হলে কি করা উচিত

বেশি জ্বর হলে কি করা উচিত তাহলো প্রথমে কারো জ্বর আছে মনে হলে তার শরীরে তাপমাত্রা মাপুন। তাপমাত্রা যদি ৩৭.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড অথবা ৯৮.৫° ফারেনহাইট হয় তাহলে তার জ্বর এসেছে।
যদি আপনার ২৪ ঘন্টার কম সময় জ্বর আছে এবং অন্য কোন উপসর্গ নেই
  • যদি আপনার জ্বর বেশি হয় অর্থাৎ৩৯. ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর বেশি হয়। তবে ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর মুছে দিলে জ্বর নেমে যায় এতে রোগী ভালো বোধ করবে।
  • আপনি অল্প কয়েকদিন হল এমন এলাকায় গিয়েছিলেন যেখানে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ রয়েছে। যদি এরকম জায়গায় গিয়ে থাকেন তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরু করুন। ম্যালেরিয়া চিকিৎসার জন্য সচরাচর ক্লরোকুইন দেওয়া হয় কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ক্লরোকুইন উপযোগী নাও হতে পারে। আপনার এলাকায় কিভাবে ম্যালেরিয়া চিকিৎসা ও প্রতিরোধ করা যায়, সেটা আপনি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জেনে নিতে পারেন।
  • আপনার এলাকায় যদি ম্যালেরিয়া না থাকে তাহলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট বা সিরাপ খেতে পারেন।
  • আপনি যদি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট রাতে খেতে পারেন। আপনার শুয়ে থাকা উচিত। কিছুটা লবণ পানি পান করা উচিত, বাচ্চাদের সিরাপ খাওয়াতে হবে।
  • প্যারাসিটামল ট্যাবলেট বা সিরাপ খাওয়ার পর দুদিনের মধ্যে যদি আপনি সুস্থবোধ না করেন, তাহলে অবশ্যই স্বাস্থ্য কেন্দ্র অথবা হাসপাতালে যেতে হবে।
ওষুধের ডোজ ও পরিমাণটা একজন স্বাস্থ্যকর্মী অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ করে খাবেন।
ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি যা খাবেন তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো,
  • নিরাপদ ও টাটকা খাবার খাওয়া
  • নিরাপদ বা ফুটানো পানি পান করা
  • খাওয়ার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত দেওয়া
  • মলত্যাগের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া
  • সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত লোকের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা
  • যাদের যৌন রোগ আছে তাদের সাথে মেলামেশা করবেন না
  • বাড়ির চতুর্দিক এবং আশেপাশে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে
  • কীটপতঙ্গ ও জন্তুর কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে
  • সাধারণ সংক্রামক ব্যাধির টিকা নেওয়া
যদি বয়স ৫০ এর উপর হয়, তাহলো প্রথম ডোজ হিসাবে এক হাজার মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে যদি বেশি জ্বর হয়।
জ্বর আসলেও আমরা অনেকেই গোসল করতে চাই না কিন্তু জ্বর আসলে গোসল করতে হবে

জ্বর হলে কি স্যালাইন খাওয়া যাবে

জ্বর হলে কি স্যালাইন খাওয়া যাবে, সমস্যা নেই। কেননা জ্বরের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়। এই পানি স্বল্পতার জন্য স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। পানি শূন্যতার কারণে মাথা ব্যাথা, দুর্বলতা, প্রসব কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে, তাই স্যালাইন খেলে পানি শূন্যতা ও লবণের ঘাটতি পূরণ হবে।
  • জ্বর হলে স্যালাইন খাওয়ার কিছু উপকারিতা রয়েছে তা হল
  • পানি শূন্যতা দূর করে
  • জ্বর কমাতে সাহায্য করে
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • শরীরের ক্লান্তি দূর করে
  • স্যালাইন জ্বরের সময় স্যালাইন খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে
  • স্যালাইন ঠান্ডা বা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সেলাইন খাওয়া ভালো
  • একবারে বেশি করে স্যালাইন খাওয়া যাবে না পরিমাণ মতো খেতে হবে
  • স্যালাইন পান করার পর মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন
  • বেশি জ্বর হলে শুধু স্যালাইন খেতে হবে তা নয় পাশাপাশি তরল জাতীয় খাবার যেমন ডাবের পানি, ফলের রস, লেবুর শরবত খেলে অনেক ভালো লাগে।

রাতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ

অনেকের অনেক ভাবে জ্বর আসে বিভিন্ন সময়ে জ্বর আসে যেমন কারো রাতে জ্বর আসে। তাই নিম্নে রাতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ সম্পর্কে বর্ণনা করা হলোঃ

সংক্রমণঃ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবী দ্বারা আমাদের শরীরে জ্বরের মাধ্যমে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। সাধারণত রাত্রিতে জ্বর আসে বেশি যার কারণে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। যে সকল সংক্রমণ রাতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার কারণ, তা হলঃ
  • সর্দি কাশি
  • ইনফ্লুয়েঞ্জা
  • ডেঙ্গু জ্বর
  • ম্যালেরিয়া
  • টাইফয়েড
  • নিউমোনিয়ার
  • যক্ষা
এলার্জি সমস্যাঃ এলার্জির প্রতিক্রিয়ার কারণে ও অনেক সময় রাতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর হতে পারে

ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যে ওষুধ খেলে খিচুনি হয় বা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে

ক্যান্সারের কারণেঃ ক্যান্সার আক্রান্ত হলে সেই ধরনের রোগীর কারণে দিয়ে জ্বর আসতে পারে

অন্যান্য কারণঃ এছাড়াও থাইরয়েড সমস্যা, কিডনির সমস্যা, রক্তের সমস্যা, লিভারের সমস্যা হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের কারণে রাত্রিতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে।

জ্বরের সাথে যদি অন্য কোন কারণ থাকে,তাহলে রোগ নির্ণয় দরকার যেমন সর্দি কাশি, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, শরীর ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া এই সকল যদি উপসর্গ থাকে এবং এলার্জির কারণে জ্বরে চুলকানি, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি কারণে বেশি জ্বর হলে তার জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা দরকার।

ভাইরাস জ্বর কতদিন থাকে

ভাইরাস জ্বর কতদিন থাকে সাধারণত ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে এটি দুই সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে ভাইরাস জ্বর নিজেই একটি রোগ, তাই এটির শরীরে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

ভাইরাসের যে সকল কারণে হতে পারে তার দেওয়া হল,
  • সর্দি কাশি
  • ফ্লু
  • ইবোলা
  • ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া
  • ম্যালেরিয়া
  • ভাইরাস জ্বর সাধারণত কিছু লক্ষণ নিয়ে আসে
  • জ্বর আসতে পারে
  • মাথাব্যথা
  • শরীর ব্যথা হতে পারে
  • গলা ব্যথা হতে পারে
  • নাক দিয়ে পানি পড়া
  • কাশি হতে পারে
চিকিৎসার জন্য সাধারণত কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে জ্বর কমানোর জন্য সাধারণত প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলেই উপকার পাওয়া যায় এবং বিশ্রাম নিতে হবে।
যদি আপনার ভাইরাস জ্বর সাথে আরো কিছু লক্ষণ।

জ্বর যদি তিন দিনের বেশি হয়

  • জ্বর ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট এর বেশি যদি হয়
  • জ্বর হঠাৎ করে শুরু হয়
  • জ্বর ছাড়া অন্যান উপসর্গ দেখা যায় যেমন শ্বাসকষ্ট বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া বা খিচুনি দেখা দেয় তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

জ্বর হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত

জ্বর আসলে কোন রোগ নয় রোগের লক্ষণ এটা একটি লক্ষণ মাত্র। জ্বর এর প্রাথমিক চিকিৎসা হলো ওষুধ না খাওয়াই ভালো, তবে যদি জ্বর খুব বেশি হয় তাহলে ওষুধ খেয়ে কমানো যেতে পারে। জ্বর হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত নিম্নে তা দেওয়া হল,
  • প্যারাসিটামল
  • আইব্রুফেন
  • এসপিরিন
সাধারণত এই ঔষধ গুলোই প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিছুটা হলেও কার্যকর রয়েছে এবং জ্বর কমাতে সাহায্য করে। তবে বেশি জ্বর হলে কি করা উচিত তার জন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
হবে। জ্বরের ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না। কারণ জ্বর সাধারণত ভাইরাসের কারণে হতে পারে।

আর ভাইরাসের জন্য এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন। এন্টিবায়োটিকের কোর্স একমাত্র চিকিৎসকের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। একজন রেজিস্টার এমবিবিএস ডাক্তারের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক খেতে হবে।

ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসার কারণ

ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসার কারণ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো সংক্রমণ। যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক দ্বারা সংক্রমণ হলে জ্বর ছেড়ে ছেড়ে আসে।এছাড়া জ্বর ছেড়ে ছেড়ে আসার কিছু কারণ রয়েছে

ইনফেকশনঃ ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসার সবচেয়ে সাধারণ বিষয় হলো ইনফেকশন হওয়া, ভাইরাস ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে।

টাইফয়েড জ্বরঃ টাইফয়েড জ্বর একটি ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়, টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ গুলো হল ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসার কারণ।

ডেঙ্গু জ্বরঃ ডেঙ্গু একটি ভাইরাস আমাদের শরীরের ভিতরে এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায় এতে জ্বর ছেড়ে ছেড়ে আসতে পারে।

ম্যালেরিয়াঃ ম্যালেরিয়া পরজীবী সংক্রমণ এর মাধ্যমে ছড়ায় অ্যানাফিলিস মশার কামড়ে ছড়ায় যার কারনে ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসে।

টিউবারকোলসিসঃ এটা একটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ রোগ যা ফুসফুসের মাধ্যমে হার বা অন্যনাঙ্গ কে আক্রান্ত করতে পারে টিবারকুলোসিস এর কারনেও জ্বর ছেড়ে ছেড়ে আসে।
এছাড়াও আরো অন্যান্য কারণ রয়েছে তার মধ্যে
  • অ্যালকোহল উইথড্রল
  • ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
  • থাইরয়েড সমস্যা
  • ক্যান্সারের কারণে হতে পারে
  • মেটাবোলিক সমস্যা

লেখকের শেষ কথা

পরিশেষে বলা যেতে পারে যে, আপনার বেশি জ্বর হলে কি করা উচিত তা হল উপরোক্ত বিষয়গুলোর মাধ্যমে আপনার কেমন জ্বর হয়েছে, কি চিকিৎসা নিতে হবে সুন্দরভাবে বুঝতে পারবেন। তাই জ্বর নিয়ে অবহেলা করার কিছু নেই যদি বেশি জ্বর হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ করে ওষুধ সেবন করবেন। যদি পোস্টটা পড়ে ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪