মাইগ্রেন বা দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে জানুন

দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। কেননা কিছু ব্যথা রয়েছে যেগুলো মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। চলুন দ্রুত মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আমাদের দেশের লোকজন যারা ব্যথাকে কোনরকম পাত্তাই দিতে চায়না। তারা কোন ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ইচ্ছামত ওষুধ কিনে খাওয়া শুরু করে। ফলে পরবর্তীতে এটা একটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। কিন্তু মাথা ব্যথা কেন হয়, সেই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

পোস্টসূচিপত্রঃমাইগ্রেন বা দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে জানুন

মাথা ব্যথা

মাথা ব্যথা ছাড়া এমন কোন লোক আছে কিনা খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। মাথা ব্যথা হলে অনেক সময় সাথে ঘাড়ের মাংস পেশিতেও ব্যথা হয়। এছাড়া মাথা ব্যথার সাথে বমি বমি ভাব লাগে, ঘুম ঘুম ভাব হয়। এবং আলো, শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা শুরু হয়। মাথা ব্যথার হাজার অনেক কারণ রয়েছে বা বিভিন্ন রকমের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

অনেক সময় চিকিৎসা ছাড়াই ৯০ ভাগ মাথা ব্যথা সেরে যায়। তাই আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ খাবেন না। মাথা ব্যথা হলে এটা সাধারণ বিষয় হিসেবে দেখা উচিত নয়, যদি বারে বারে হতে থাকে তাহলে অবশ্যই এর জন্য চিকিৎসা নিতে হবে।

মাথা ব্যথা কেন হয়

মাথা ব্যথা কেন হয়, আসলে বিভিন্ন কারনে হতে পারে যেমন মানসিক অস্থিরতা, টেনশন, উত্তেজনা, সাইনাসের প্রদাহ, চোখ, নাক, কান, গলা কিংবা মেনিনজাইটিস ও মস্তিষ্কের টিউমারের জনিত কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে। 
আবার মাইগ্রেনের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। নিম্নে মাথা ব্যথা কেন হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

টেনশনে মাথা ব্যাথা হওয়ার লক্ষণ সমূহ
  • টেনশনের কারণে অনেক সময় মাথা ব্যথা করে থাকে এবং বিভিন্ন লক্ষণ গুলো দেখা যায় নিম্নে দেওয়া হল
  • টেনশন থেকে হতে পারে মাথা ব্যথা সেটা সমস্ত মাথা জুড়েই হতে পারে। এছাড়াও ঘাড়ে এ ধরনের ব্যথা বেশি হয়ে থাকে।
  • টেনশনের কারণে যে ব্যথা হয় এটা বেশ কয়েকদিন ধরেই চলতে থাকে, এই ব্যথা কখনো বেড়ে যায় আবার কখনো কমে থাকে।
  • অনেক সময় কাজের বেশি চাপ থাকার কারণেও এবং মানসিক অস্থিরতার কারণে এই ব্যথা হয়ে থাকে।
  • এই ধরনের মাথাব্যথার কারণে অনেক সময় বমি হয় না কিন্তু বমি ভাব হয় এবং মাথা ব্যথা নিজে নিজেই স্বাভাবিক হয়ে যায় এবং কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া যায়।

মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

মাথা ব্যাথায় কি ধরনের কাজ করলে ওষুধ ছাড়া কমে যাবে। তাই মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো,

প্রথমত মাথা ব্যথা হলে অনেক সময় দেখা যায় যে সামান্য অল্প একটু মেসেজ করলেই মাথা ব্যথা টা সেরে যায়। আপনি প্রথমত এই টিপসটা অনুসরণ করতে পারেন। মাথা ব্যথার সাতটি স্থান এবং ব্যথা নির্গমনের ছয়টি স্থান চিহ্নিত আছে। চীন দেশে এই ধরনের চিকিৎসাকে বলা হয় আকু প্রেসার।

তারা এই পদ্ধতিতে দুটিকে দুই দিকে চারটি স্থানে মাথা ধরার সময় বেদনা অনুভূত হয় বলে চিহ্নিত করেন এবং ওই অঞ্চলকে যদি বৃত্তাকারের চাপ প্রয়োগ করা যায়,তবে দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ এর পরিবর্তে এইসব পদ্ধতি কিছুটা উপশম হয়। এই চারটি স্থান গুলো, নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
  • গলা এবং কাঁধের প্রান্ত বিন্দুর মাঝামাঝি স্থান একটি
  • টাম্পলের মাঝামাঝি স্থানকে বলা হয়
  • মাথার খুলির পিছনের দিকটা ধরা হয়
নাকের উৎসের উপরিভাগে দৃঢ় চাপ দিয়ে বৃত্তাকারে এবং হালকা ভাবে এবং চারটি স্থানে মৃত ভাবে মালিশ করে দিলে অনেকটাই প্রশান্তি পাওয়া যায়। আপনি চাইলে এই চীনাদের এই আকু প্রেসার পদ্ধতিতে মাথা ব্যাথার মেসেজটা করতে পারেন।
নিম্নে মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় হল, কিভাবে মেসেজ করবেন।
  • প্রথমে চোখের উপরে আলতোভাবে চেপে ধরতে হবে
  • কপালের মাঝ লাইন দিয়ে ভুরু থেকে চুলের গোড়া পর্যন্ত চাপ দিতে হবে
  • কপালের উপর খুবই আস্তে আস্তে হাত দিয়ে মালিশ করতে হবে
  • নাকের উৎসের উপর চেপে চেপে মেসেজ করলে ভালো লাগবে
  • চোখের ভ্রুর উপর বুড়ো আঙ্গুল ও তর্জনীয় আঙ্গুলের সাহায্যে আস্তে আস্তে মেসেজ করলে ভালো লাগবে
  • বুকে এবং কাঁধের উপরে বৃত্তাকার ভাবে ঘুরে ঘুরে ম্যাসেজ করলে এর পরবর্তীতে মেসেজ করতে হবে ভালো লাগবে
  • ঘাড় ও কাঁধ মেসেজের পর কাঁধ বরাবর মাথার খুলির দিকে গিয়ে কানের চারদিকে মেসেজ করলে ভালো লাগবে
মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ এড়িয়ে যাবেন এবং কিভাবে যেন মাথা ব্যথা না হয়, সে পদ্ধতি নিম্ন আলোচনা করা হলো।
  • আপনি যখন রোদে যাবেন তখন সানগ্লাস কিংবা ছাতা ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন
  • একটানা অনেকক্ষণ ধরে টিভি বা ভিসিআর দেখবেন না
  • অনেকক্ষণ যাবত কোন কাজের দিকে অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া ঠিক হবে না। মাঝে মাঝে বিরতি নিতে হবে তাহলে মাথা ব্যথা হবে না।
  • নিয়মিত পরিমিত এবং নির্দিষ্ট সময় মত ঘুমাতে হবে
  • মুক্ত আলো বাতাসে কিছু সময় ধরে বেড়ানো উচিত
  • শরীর এবং মনের সাথে অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বলা হয়ে থাকে। তাই সব সময় ঘরের মধ্যে সময় না কাটিয়ে মনের প্রশান্তির জন্য হলেও একটু এক্সারসাইজ করা দরকার।যেটা শরীরের জন্য মাথা ব্যথার জন্য উপকার।
  • আপনি অনুশীলন করতে পারেন একটি চেয়ারে পেট সোজা ও ধীরে করে বসুন, পা দুটা আরাম করে রেখে হাত দুটি কোলের উপরে রেখে দেন। চোখ বন্ধ করে অবসাদ শূন্যভাবে তিন চার মিনিট নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে থাকুন।এই অনুশীলন টি ১৫ মিনিট করলে শরীরের পেশীগুলো শীতল হয়ে যাবে এবং মাথা ব্যথা অনেকটা দূর হয়ে যাবে।
রিফ্লেক্সলজি এই মোতাবেক মানুষের শরীরের অধিকাংশ রোগের উৎস হিসেবে বল প্রয়োগের দেহের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। এই বিভিন্ন অংশগুলোকে মেসেজ করলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের প্রভাবিত হয়ে রোগ নিরাময় করতে পারে।

আপনার মাথা ব্যথা হলে ধরে নিতে হবে যে প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটেছে বলে এই মাথা ব্যথা হচ্ছে। ওদের ভাগের বিভিন্ন অংশগুলো বুড়ো আঙ্গুলের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাই সামনের দিকটা ভালোভাবে মেসেজ করলেই মাথা ব্যাথা টা অনেকটাই কমে যাবে।

তবে গর্ব অবস্থায় উপরোক্ত মেসেজগুলো করা যাবে না। গর্ভ অবস্থায় যে মেসেজগুলো করা দরকার সেটা একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে করতে হবে এবং এই মেসেজগুলো করতে গিয়ে যেন তার পেটের চাপ না লাগে যার কারণে গর্ভপাত হতে পারে।

দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ 

বাজারে বিভিন্ন ধরনের দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ রয়েছে। তার মাঝে কিছু ওষুধের নাম নিচে দেওয়া হল,
ছবি
অ্যাসিটামিনোফেনঃ এই ওষুধটি সাধারণত মাথা ব্যথা ব্যাকপেইন এবং অন্যান্য ব্যথার কারণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও জ্বরের কারণেও হতে পারে যার কারণেও ওষুধটি খাওয়া যেতে পারে।

আইবুপ্রোফেনঃ এটি মাথা ব্যথা ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও এটি , ব্যাক পেইন এবং অন্যান্য ওষুধের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা থাকে। এটা বিশেষ করে প্রদাহ জনক ব্যাথার কারণে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

নাপ্রোক্সেনঃ যার মাথা ব্যথা এবং ব্যাক পেইন, প্রদাহ জনিত ব্যথা এবং অন্যান্য ব্যাথার কারনেও এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ওষুধটি দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঔষুধ হিসেবে বেশি ব্যবহৃত হয়।

ট্রিপট্যান্সঃ এই ওষুধটি মাইগ্রেন ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়াও প্রেসক্রিপশন ছাড়াও কেনা যেতে পারে, নাকের স্প্রে হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ইনজেকশন ও ট্যাবলেট আকারে ওষুধটি পাওয়া যায়।

এরগোটামিনসঃ এটি একটি ব্যথার ওষুধের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটা ইনজেকশন ট্যাবলেট পড়ে এবং সাপোটারি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই এই মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে উপরোক্ত ঔষধ গুলো যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন।

মাইগ্রেন ব্যথার কারণ

মাইগ্রেন ব্যথার কারণ অনেক সময় মাথা ব্যথা করে, তার লক্ষণ গুলো হলো।
  • মাইগ্রেন সাধারণত অল্প বয়সে মেয়েদের বেশি হয়। মেয়ে ও ছেলে রোগের অনুপাত হিসেবে বলা হয়ে থাকে ৩ঃ১
  • মাইগ্রেন ব্যথার কারণ বেশি প্রকোপ দেখা যায় মেয়েদের মাসিকের সময় বা এর পূর্বে এবং মাসিক বন্ধের পরে মেয়েদের বেশি মাথা ব্যথা করে।
  • মাইগ্রেনের এই ব্যথা যে কোন মুহূর্তে শুরু হতে পারে আবার কয়েক ঘন্টা পরে স্থায়ী হয়ে যেতে পারে।
  • মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তি আলোর দিকে ঠিক মত তাকাতে পারে না। আলোর দিকে তাকালে আরো মাইগ্রেনের ব্যথাটা বেশি করে।
  • এছাড়াও মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তির বমির ভাব হতে পারে এবং বমি হয়েও যেতে পারে।
  • মাইগ্রেনের ব্যথা মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, মানসিক অবসাদ, দুরভাবনা ইত্যাদি কারণে হতে পারে।
  • পরিবেশগত কারণেও মাইগ্রেনের ব্যথা তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে যেমন ঋতু পরিবর্তন জনিত সমস্যা, শিল্প কারখানার পরিবেশ দূষণের কারণেও হতে পারে।
  • ব্যক্তিগত কারণে অনেক সময় হতে পারে যেমন ধূমপান করার, সুগন্ধি ব্যবহার করা, ঝকঝকে আলোকিত ও পরিবেশগত কারণে হতে পারে।
  • শারীরিক পুষ্টি জনিত কারণে মাইগ্রেন হতে পারে যেমন পনির, চকলেট, লেবু জাতীয় ফল এবং কফি জাতীয়, পানীয় পান করলে মাইগ্রেন হতে পারে।
ওষুধের কারণে অনেক সময় মাথা ব্যথা করতে পারে যেমন ড্রাগস, নিশা জাতীয় ঔষধ, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, এইগুলো মাথাব্যথা যদি মৃদু ধরনের হয় তবে বেশি একটা গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। অধিক মাত্রায় যদি কেউ প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খায় তাহলে তার লিভারের ক্ষতি হতে পারে।

মাইগ্রেনের ব্যথার জন্য ওই ব্যথার ট্রিগার ফ্যাক্টর কিংবা কার্যকরণ সমূহ এড়িয়ে যেতে হবে। এজন্য এই রোগের চিহ্নিত করণ করে সেই বিষয়গুলো এড়িয়ে চললেই আর ওষুধ খাওয়া লাগবে না।

আকুপ্রেসারে দূর হবে মাথা ব্যাথা

মাথা ব্যথার জন্য সাধারণত মানুষ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকে, তবে ব্যায়ামের মাধ্যমে যদি আপনি এটা দূর করতে পারেন, তাহলে ভালো হয়। তাই আকুপ্রেসারে দূর হবে মাথা ব্যাথা এ সম্পর্কে যদি জানেন তাহলে আপনার মাথা ব্যাথা দূর হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক,

মাথাব্যথা হলে আমরা বিভিন্ন ধরনের মানসিক টেনশন করি যে, কি কারনে মাথাব্যথা হচ্ছে বা বড় ধরনের কোন অসুখ হলো কিনা কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলেছেন মাথাব্যথা অনেক ধরনের হতে পারে। আমরা মাত্র জানি দুই তিন ধরনের মাথা ব্যাথা সম্পর্কে। তাই এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি যা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়ে ক্ষতি হতে পারে।

তাই প্রাকৃতিক উপায়ে আকুপ্রেশার ব্যায়াম করা যেতে পারে। তাহলে আপনার মাথা ব্যাথা দূর হবে। বিভিন্ন কারণে আপনার এই মাথাব্যথা হতে পারে। যেমন অনেকেই বেশি রাত জাগে, মানসিক টেনশন, পরিবারের অশান্তি, ঘুম না হওয়ার কারণ, সাইনোসাইটিস এর কারণে, পানির ঘাটতির কারণে, অনেকের ডায়াবেটিস ও হাই প্রেসার থাকার কারণে অ্যান্টিবায়োটিক ও হরমোন জনিত রোগের কারণে যে সকল ওষুধ খাওয়া হয় ইত্যাদি এই সকল কারণেই সাধারণত মাথা ব্যথা হয়ে থাকে।

তাই আপনার আগে মাথা ব্যথার কারণটা খুঁজে বের করতে হবে, তারপরে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ওষুধ খাবেন। আর যদি ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন না হয় সে ক্ষেত্রে আকুপ্রেশার এর মাধ্যমে মাথাব্যথা দূর করা যেতে পারে।

এই ব্যায়াম যেভাবে করবেনঃ মাথাব্যথা যেকোনো কারণে হতে পারে, তাই এই ব্যায়ামের মাধ্যমে দূর করতে পারবেন। এজন্য কিভাবে করবেন সেটা আপনাকে জানতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রথমে আপনার দুই হাতের তালু ভালো করে ঘষে নিবেন, হাতের তালু ঘষার পরে হাত গরম হয়ে যাবে। হাতের পয়েন্টগুলো দুই মিনিট চেপে ধরবেন, চাপ আস্তে আস্তে বা জোরে জোরে দেওয়া যাবে। তারপর কপালের মাঝখান থেকে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিবেন তারপর ধীরে ধীরে আঙ্গুলটা ঘোরাতে থাকবেন।

সঙ্গে একটু চাপ বাড়াবেন এভাবে দুই মিনিট আকুপ্রেশার করবেন। মাথাব্যথা যদি থাকে সেই ক্ষেত্রে দুই মিনিট থেকে ছয় মিনিট পর্যন্ত আগে আকুপ্রেশার করা লাগবে। যাদের মাথা ব্যথার কারণ জানা থাকে না তারপরও কিন্তু অনেকের মাথা ব্যাথা করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে সকালে এবং রাত্রিতে এভাবে আকুপ্রেশার ব্যায়ামটা করা যাবে।

সাধারণত দিনের বেলায় বেশি করার প্রয়োজন নাই। যেকোনো বয়সের মানুষই এই ব্যায়ামটা করতে পারবেন। এটার জন্য খাবারের আগে এবং পরের তেমন কোন বাধ্যবাধকতা নাই। মাথা ব্যাথা হলেই এই ধরনের ব্যায়াম করা যেতে পারে, সাধারণত দিনে অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটারের মত পানি পান করতে হবে। সেই সঙ্গে চিনি খাওয়া সম্পন্ন নিষিদ্ধ কেননা চিনি মাথা ব্যথা তৈরি করতে পারে।

মাইগ্রেন এর ব্যাথা কমানোর উপায়

মাইগ্রেনের ব্যথা স্বাভাবিক হতে পারে এরকম জীবনটা অনেকটাই কষ্টদায়ক হতে পারে। তবে মাইগ্রেন এর ব্যাথা কমানোর উপায় গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা
  • সুষম খাদ্য খাওয়া
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম দেওয়া
  • মানুষিক চাপ কমানো
  • এছাড়া কিছু ওষুধ ব্যবহার করার মাধ্যমে
  • সাধারণত প্যারাসিটামল, অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারেন।
  • বমি নাশক ঔষধ খাওয়া যেতে পারে
  • এছাড়াও অক্সিজেন থেরাপি নেওয়া যেতে পারে

মাথা ব্যাথা ও বমি কোন রোগের লক্ষণ 

নিম্নে মাথা ব্যাথা ও বমি কোন রোগের লক্ষণ তা বর্ণনা করা হলো,

মাইগ্রেন সমস্যাঃ মাইগ্রেনের ব্যথার কারণে প্রচুর পরিমাণ মাথা ব্যাথা হতে পারে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত মাথার এক পাশে হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোকে গেলে আরো বেশি ব্যথা হতে পারে।
ছবি
টেনশনে মাথাঃ এটা মাথার চারপাশে ব্যথা করে যার কারণে বমি ভাব হতে পারে।

সাইনাস ইনফেকশনঃ মুখের চারপাশে অথবা নাকের উপরে ভাগে এ ধরনের ব্যাথা হয়ে থাকে।

মেনিনজাইটিসঃ এই ব্যথা সাধারণত মেরুদন্ডের হাড়ে ব্যথা করে, ঘাড়ে ব্যথা করে, মাথার চারিদিকে ব্যথা করার কারণে বমি ভাব হতে পারে।

ব্রেন টিউমারঃ প্রচন্ড মাথা ব্যথা, জ্বর,বমি বমি ভাব, দৃষ্টি ঝাপসা দেখা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

গর্ভাবস্থায় ব্যথাঃ গর্ভাবস্থায় মহিলাদের হরমোনের পরিবর্তন হওয়ার কারণে মাথা ব্যথা করতে পারে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।

ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ মাথা ব্যথা ও বমি হতে পারে
খাদ্যে ভেজালের ও খাদ্যের বিষক্রিয়ার ফলে মাথা ব্যথা করতে পারে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারনে পেটের ভিতর পা বাঁধা দেওয়ার কারণে বমি বমি ভাব হতে পারে
অনেকে গাড়িতে চললে মাথা ব্যথা করে এবং সাথে বমি হতে পারে।

অ্যালকোহল বা মদ্যপান করার কারণে অনেক সময় হতে পারে এবং মাথা ব্যাথা করতে পারে।
ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে এর সাথে মাথা ব্যথা এবং বমি হতে পারে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো পাশাপাশি যদি জ্বর আসে ঘাড় ব্যাথা অন্যান্য আরো কারণ দেখা দিতে পারে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

শেষ কথাঃ মাইগ্রেন বা দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে জানুন

পরিশেষে বলা যেতে পারে যে, মাথা ব্যথা একটি কমন বিষয় প্রায় সবারই হয়ে থাকে। তাই সাধারণত দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ অনেক বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। যদি দীর্ঘদিন যাবত এই মাথা ব্যথা হয় তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ওষুধ সেবন করতে হবে। তাই আমার পোস্টটি পড়ে যদি আপনি একটু উপকৃত হন। তাহলে পোস্টটি আপনার বন্ধু-বান্ধবীদের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪