মৃগী রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা, সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
যাদের পরিবারে মৃগী রোগী রয়েছে তাদের মৃগী রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। কারণ এ রোগটি মেয়েদের বেলায় গোপনীয়তা বেশি করা হয়। কিন্তু রোগটি গোপন না করে চিকিৎসা করে নেওয়া উচিত।
তারা মনে করে রোগটি জানাজানি হলে পরিবারের জন্য ক্ষতিকর। মেয়েটির বিয়ে দিতে অসুবিধা হবে। এই রকম ধারণার বশবর্তী হয়ে চিকিৎসা না করে আরো ক্ষতি করা হয়। চলুন মৃগী রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হোক।
পোস্টসূচিপত্রঃমৃগী রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা, সম্পর্কে বিস্তারিত
মৃগী রোগ কি
আসলে মৃগী রোগ কি, অনেকেই ভালোভাবে জানে না। যার মস্তিষ্কের স্নায়বিক দুর্বল হয়। এই দুর্বলতার জন্য তারা জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়। অনেক সময় প্রসব বের হয়ে যায় নিজের অজান্তেই এবং কাঁপুনি হয় । অথবা খিচুনি শুরু হয় এটাই মৃগী রোগ। এ রোগের আক্রমণ মাসে একাধিকবার বা কখনো কখনো কম হতে পারে। কোন কোন সময় কয়েক দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার আক্রমণ হতে পারে
তারপর কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে আর নাও হতে পারে। তবে মৃগী রোগ প্রাথমিক চিকিৎসা এর মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যেতে পারে অথবা বেশ কমানো যেতে পারে। স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব হতে পারে। আশা করি এতক্ষণে হয়তো বুঝতে পেরেছেন মৃগী রোগ কি, তাহলে এ ধরনের যাদের সমস্যা আছে তারা অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।
মৃগী রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা
মৃগী রোগের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পরিবারের সকল সদস্যদের যেসব বিষয়ে জানা উচিত নিম্নে সেই সব বিষয় বর্ণনা করা হল,
- ধীরস্থির থাকতে হয় এবং ভয় পাওয়া যাবে না
- রাস্তা বা আগুন থেকে দূরে নিরাপদে নিয়ে রোগীকে শুয়ে রাখুন
- কাপড় ভাঁজ করে রোগীর মাথার নিচে অথবা রোগীর মাথা এমন ভাবে ধরে রাখতে হবে যাতে কোন শক্ত জিনিসের সাথে আঘাত না লাগে।
- পরনের কাপড় ঢেলে করে দিতে হবে
- রোগীকে একপাশে কাত করে শুয়ে রাখতে হবে যাতে জিহবা মুখের বাইরে চলে না আসে এবং লালা সহজে মুখ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। লালা বেরিয়ে আসলে রোগী অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মনে করে।
- রোগীর আশেপাশে ধারালো কোন জিনিসপত্র থাকলে সরিয়ে ফেলুন
- এই সময় রোগীকে কোন কিছুই মুখে দেবেন না এমনকি পানি ও না
- খিচুনি থেমে গেলে রোগীকে ঘুমাতে দিতে হবে
- ঘাবরাবেন না
- রোগীর শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে সিপিআর প্রয়োগ করুন
- খিচুনি বারবার হলে বা অনেক সময় স্থায়ী হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
- রোগীকে জিহবায় কামড় দেওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন যেমন দাঁতের ফাঁকে কাপড়ের পুটলি বা কাপড় পেচান বা চামচ রাখতে পারেন।
- কোন লতাপাতা বা ঔষধ খেতে দিবেন না
- রোগীর নড়াচড়া বন্ধ অথবা নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করবেন না। কোন কবিরাজ বা ঝাড় ফু এর চেষ্টা করবেন না।
মৃগী রোগের প্রাথমিক লক্ষণ
মৃগী রোগ একটি স্নায়বিক মস্তিষ্কের দুর্বলতা রোগ যেটার কারণে রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং মাঝে মাঝে খিচুনি দিয়ে থাকে।
আরো পুড়ুনঃ চোখের রোগ প্রতিরোধে কি করতে হবে, জেনে নিন
যে লক্ষণ গুলো দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে মৃগী রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।
- শরীরের এক অংশে ঝাঁকুনি দিয়ে উঠবে, যা ছড়িয়ে পড়তে পারে সম্পূর্ণ শরীরে
- পড়ে যাওয়া এবং নড়াচড়া
- জ্ঞান হারানো বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
- বিভ্রান্তি মনে করা
- মৌখিক বা মুখের ঝাঁকুনি দিতে থাকবে
- সংবেদনগত পরিবর্তন হতে পারে যেমন আলো, শব্দ এবং গন্ধের পরিবর্তিত অনুভূতি হওয়া
- আপনি যদি এই লক্ষণগুলো আপনার মাঝে দেখতে পান এবং আপনার পরিবার অথবা পরিচিতদের মধ্যে এই লক্ষণ গুলো দেখা দেয়, তবে প্রথমে মৃগী রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা দিবেন। এরপর যদি জটিল আকার ধারণ করে তাহলে অবশ্যই দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে অধিকাংশ রোগী ভালো হয়ে যায় এবং সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করতে পারে। মৃগী রোগের সাধারণ লক্ষণ যেগুলো দেখা যেতে পারে
- আবেগের পরিবর্তন হতে পারে যেমন হাসি বা কান্না
- পেটের ব্যথা
- মাথা ব্যথা করা
- ঘুম কম হওয়া
আপনি যদি মৃগী রোগের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো দেখতে পান বা অনুভব করতে পারেন তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মৃগী রোগ কি বংশগত
মৃগী রোগ কি বংশগত হতে পারে, তবে অনেক সময় নাও হতে পারে
অনেক ক্ষেত্রে রোগীর জিনগত ত্রুটির কারণ হতে পারে। জিনগত ত্রুটির কারণে মস্তিষ্কের স্নায়বিক কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে কাজ করতে থাকে। যার কারণে অনেক সময় খিচুনি হয়। তবে জিনগত ত্রুটির কারণেই যে মৃগী রোগ হবে তা কিন্তু নয় অন্য কারণে এই রোগ হতে পারে। পরিবেশগত কারণে হতে পারে।
- মাথায় আঘাত লাগার কারণে
- স্ট্রোকের কারণে
- মস্তিষ্কের সংক্রমণের কারণে
- জন্মের সময় জটিলতার কারণে
- অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করার ফলে
- কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে হতে পারে
মৃগী রোগ কি বংশগত কিনা সেটা নির্ণয় করা খুব কঠিন। তবে আপনার পরিবারের যদি মৃগী রোগের ইতিহাস থাকে তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। যদি আপনার লক্ষণ গুলো দেখা দেয় ডাক্তার আপনাকে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে ঔষধ দিতে পারেন। যার কারণে পরবর্তীতে আপনার খিচুনি থেকে রক্ষা পাবেন এবং সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবেন।
মৃগী রোগ কেন হয়
মৃগী রোগ কেন হয় এটা এখনো সঠিক জানা যায়নি তবে কিছু কারণে হতে পারে, নিম্নে মৃগী রোগ কেন হয় সেই বিষয়ে আলোচনা করা হলো,
- জন্মের সময় কোন শিশুর মাথায় আঘাত পেলে অথবা অস্ত্র পাচার করলে এবং স্ট্রোক করলে মৃগী রোগের ঝুঁকি থাকে।
- মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের কারণে এই রোগ হতে পারে যেমন ম্যালেরিয়া, মেনিনজাইটিস, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগের কারণে হতে পারে।
- জন্মগত ত্রুটির কারণে মৃগী রোগের ঝুঁকি রয়েছে
- মস্তিষ্কের টিউমারের কারণে মৃগী রোগ হতে পারে
- জিনগত পরিবর্তনের কারনেও এই রোগ হতে পারে
এছাড়া আরো অন্যান্য কারণ রয়েছে যেমন ঘুম কম হওয়া, শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া। নেশাদ্রব্য
খাওয়ার কারণে, অ্যালকোহল বেশি পান করার কারণে, তীব্র মানসিক চাপের কারণে মৃগী হতে পারে।
মৃগী রোগীর খাবার
মৃগী রোগীর খাবার এককভাবে কোন খাবার নেই। তবে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাবার খেলে খিচুনি কম হয় এবং সুস্থ থাকা যায় সেগুলো হল
- শাকসবজি এবং ফলমূল প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকে, যার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য কে উন্নত করে। যাতে খিচুনি হয় না।
- শস্যদানায় প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে। আর শর্করা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও শক্তি যোগায় এবং চর্বি, প্রোটিন যাতে রয়েছে বছর পরিমাণে ফাইবার। আর ফাইবার সাধারণত খিচুনি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে বা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- মৃগী রোগের খাবার এর সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে মৃগী রোগীদের জন্য পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে অনেকটা খিচুনি রক্ষা করতে সাহায্য করে, প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- মৃগী রোগীদের প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যে সকল প্রক্রিয়াজাত খাবার রয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগ চিনি, অস্বাস্থ্যকর চর্বি ও কৃত্রিম উপাদান বেশি থাকার কারণে রোগীকে খিচুনি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
মৃগী রোগের ব্যায়াম
মৃগী রোগের ব্যায়াম এর জন্য কিছু নিরাপদ ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো করলে অনেকটাই সুস্থতা মনে করবে সেগুলো হলো
হাটাঃ মৃগী রোগীদের জন্য হাটা অত্যন্ত একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম, যার মাধ্যমে আপনার হৃদয়, ফুসফুস এবং মেজাজকে বা মস্তিষ্কে অনেক উন্নত করে।
সাঁতার কাটাঃ সাঁতার কাটা একটি শরীরের অন্যতম ব্যায়াম যা আপনার জয়েনগুলোকে সহজ করে দেবে এবং পেশীগুলোকে শক্তিশালী করবে। এছাড়াও আপনার নমনীয়তা উন্নত সাহায্য করবে।
স্থির বাইকঃ ব্যবহার করার ফলে রোগীদের একটি কার্যকর উপায় হিসেবে কাজ করবে। এটাতে আপনার কার্ডিও উন্নত করতে পারে এটা আপনার বেশি গুলোকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
যোগ ব্যায়ামঃ যোগব্যায়াম একটি দুর্দান্ত উপায়,যা আপনার শক্তি, নমনীয়তা ভারসাম্যতা উন্নতি করবে। এই ব্যায়াম আপনার মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করবে।
পাইলেটসঃ হল এক ধরনের পেশি শক্তিশালী করার উপর বেশি সাহায্য করবে।
মৃগী রোগ থেকে মুক্তির উপায়
আসলে একেবারে মৃগী রোগ থেকে মুক্তির উপায় বা নিরাময় করা সম্ভব না, তবে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনা যাবে। যদি নিম্নের বিষয়গুলো মেনে চলা হয়
ঔষধঃ
মৃগী চিকিৎসার ওষুধ সবচাইতে বেশি কার্যকর
নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে খিচুনি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তাই মৃগী রোগীদের অবশ্যই নিয়মিত ওষুধ
খেতে হবে।
নিয়মিত ডাক্তারের ফলোআপ করতে হবে। ডাক্তারের ফলোআপে যেতে হবে, কেননা ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করা লাগতে পারে।
অস্ত্র পাচারঃ
ঔষধে যদি নিয়ন্ত্রণ না হয় তাহলে অবশ্যই অস্ত্রপাচার করতে হবে
মস্তিষ্কের যে সমস্যা হয় অর্থাৎ যে অংশে সমস্যা হয় সে অংশটা অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণ করতে হবে।
কিটোজেনিক ডায়েটঃ
কিটোজেনিক ডায়েটের মাধ্যমে কার্বোহাইড্রেট পরিমাণ কমিয়ে চর্বির পরিমাণ বাড়ানো যায়, যার কারণে খিচুনি থেকে অনেকটা মুক্তি পায়।
কিছু ক্ষেত্রে এই ডায়েট করার ফলে খিচুনি নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে
মৃগী রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আরো কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, নিম্নে সেগুলো দেওয়া হল
- নিয়মিত ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎ করা
- ওষুধ সময় মতো সঠিকভাবে খাওয়া
- পরিমাণ মতো ঘুম ও বিশ্রাম নেওয়া
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে
- মদ্যপান ও ধূমপান হতে বিরত থাকতে হবে
- খিচুনির পূর্বাভাস পেলেই সতর্ক থাকতে হবে
মৃগী রোগীদের জন্য কিছু টিপস বা কিছু উপদেশমূলক কথা
নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি সবসময় সচেতন থাকতে হবে আগে নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে
পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে যেন এই রোগ জাগ্রত হলে
অবশ্যই তারা যেন ব্যবস্থা নিতে পারে।
সামাজিক ও কর্মজীবনে কাজকর্ম করতে হবে
আত্মবিশ্বাসী হতে হবে ও নেগেটিভ চিন্তাভাবনা করা যাবে না
রোগীর পরিবারের সদস্যদের এবং তার আত্মীয়-স্বজনের জানানো উচিত মস্তিষ্কের অন্তত ছোটখাট দুর্বলতার জন্য মৃগী রোগ হয়।
মূর্ছা দেওয়া সত্ত্বেও অধিকাংশ রোগী মূর্ছা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে।যেসব ছেলে মেয়ের খিচুনি হয় বা মূর্ছা হয় তারাই স্কুলে যেতে পারবে। স্বাভাবিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে স্বাভাবিক ব্যক্তি হিসেবে তাদেরকে গ্রহণ করা আমাদের সবার কর্তব্য হওয়া উচিত।
মূর্ছা প্রতিরোধের জন্য রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ খাওয়াতে হবে।
মূর্ছা রোগ নয়, এটা একজন থেকে অন্যজন কখনো ছড়ায় না।
এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই তাই মৃগী রোগীকে সহযোগিতা করবেন।
মূর্ছা সময় মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়ে আসতে পারে।যদি আসে তা বেশি ক্ষতিকর নয়, এটা দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
ছয় বছরের কম বয়সে কোন কোন ছেলে মেয়ে অত্যাধিক মূর্ছা যেতে পারে এরূপ যদি মাত্র একবার বা দুইবার হয় তাহলে কি রোগ নয় মৃগী নয়।
মৃগী রোগীদের সবচাইতে সতর্কবার্তা হল বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের যারা বসবাস করে তারা পুকুরে
গোসল করতে গেলে তার সাথে লোক নিয়ে যাবেন। কেননা ঐ সময় যদি খিচুনি হয় তাহলে অনেক যেতে পারে অথবা মৃত্যু হতে পারে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মৃগী রোগ থেকে মুক্তির উপায় হল তাকে কখনোই একা একা চলাফেরা করা সুবিধার হবে না এবং কখনোই নির্জন স্থানে একা একা যাওয়া যাবেনা। কেননা তার মাথায় রাখতে হবে যে, যে কোন মুহূর্তে কিছু কিছু একটা ঘটতে পারে।
আমাদের শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় যে, মৃগী রোগী আমাদের মতই স্বাভাবিক মানুষ। তাই তাদের সাথে কোন খারাপ আচরণ করা যাবে না। এটি একটি স্নায়বিক রোগ মস্তিষ্কের দুর্বলতার কারণে এই রোগটা হয়ে থাকে।তাই আমরা কখনো তাদেরকে ঘৃণা করবনা কিন্তু একজন মৃগী রোগীকে দেখে আমরা ভয় পাই এবং তাকে ঘৃণার চোখে দেখি এই দৃষ্টিকোণ পরিবর্তন করে মৃগী রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা করব। যদি আপনার পোস্টটা পড়ে ভাল লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url