মুখের ব্রণের জন্য কি ব্যবহার করা উচিত, জেনে নিন

মুখের ব্রণ প্রায় প্রত্যেক মানুষেরই হয়ে থাকে। তবে এ ব্রণ সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে বেশি হয়ে থাকে। এই বয়সের ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে যা ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আসলে মুখের ব্রণের জন্য কি ব্যবহার করা উচিত, তা নির্ধারণ করবেন একজন চিকিৎসক।
ছবি
তবে তাদের জন্য পরামর্শ হলো মুখে ব্রণ হলে খুঁটা খুঁটি করা যাবে না। কিছু নিয়ম মেনে চললে অনেকটা একাই সেরে যাবে। তাই মুখের ব্রণের জন্য কি ব্যবহার করা উচিত? সম্পর্কে জানতে পোস্টে পোস্টে পোস্টটা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃমুখের ব্রণের জন্য কি ব্যবহার করা উচিত

মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ কি

আমরা মুখের ব্রণ নিয়ে অনেক চিন্তিত কিন্তু মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ কি সেটা জানতে চাই না। আসলে  এই বিষয়টা আগে জানা উচিত। কেননা মানুষের মুখের সৌন্দর্য হলো সবচাইতে আকর্ষণীয়। কিন্তু কারো যদি মুখে ব্রণ হয় তাহলে সৌন্দর্যটা নষ্ট হয়ে যায়।

প্রতিটা মানুষই চায় তার মুখটা যেন সৌন্দর্য থাকে। কোন ব্রণ বা কোন দাগ যেন না থাকে। আর এই সুন্দর মুখের জন্যই সুস্থ সুন্দর ত্বক অপরিহার্য। মুখের ত্বক নিয়ে আমরা সকলেই কম বেশি সচেতন।

আমাদের আকর্ষণীয় মুখের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য ছোট একটি দাগ যথেষ্ট। মুখ মন্ডলে বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ পড়তে পারে তবে এর মধ্যে সৌন্দর্যহানির জন্য সবচাইতে বেশি দায়ী হচ্ছে ব্রণের দাগ।

ব্রণ নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা বলে থাকে তবে মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ কি সেটা জানতে হবে। তাহলেই এর চিকিৎসা নিতে সুবিধা হবে। 
আমাদের ত্বকের ভিতর প্রতিদিনই কিছু না কিছু সমস্যা হয়ে থাকে। তার মাঝে এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ থাকে।

আমাদের ত্বক দিয়ে বের হয় যা লোমকূপের গোড়ায় দিয়ে ত্বকের মধ্যে নরম মসৃণ করে রাখে।যদি কোন কারনে এই পদার্থ উৎপাদনের হার বেড়ে যায়। তাহলে এর নির্গমনের পথ বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে ব্রণের সৃষ্টি হয়।

পরবর্তীতে জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে এর তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পায়। তেল জাতীয় গ্রন্থিগুলো মুখের ত্বকের বেশি থাকে বলে মুখে ব্রণ উঠে বেশি।তবে বুকে পিঠে এবং শরীরের অন্য স্থানে ব্রণ হয়। এন্ট্রোজেন নামক এক ধরনের তৈল গ্রন্থীর উৎপাদন ও নিঃসরণ বেড়ে যায়। বয়ঃসন্ধিক্ষণে এই হরমোনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।

এজন্য বয়ঃসন্ধির সময় ব্রণ বেশি দেখা যায়। আবার ৪০ বা ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত এই ব্রণ হতে পারে। ব্রণ কার হবে, না হবে এটা বলা যাবে না। কত বয়স পর্যন্ত ব্রণ থাকবে এটাও আগে থেকে কেউই বলতে বা কেউই জানে না। তবে যাদের মুখে তৈলাক্ত বেশি এদের মুখে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এতক্ষণে হয়তো জানতে পেরেছেন যে মুখে ব্রণ হওয়ার পিছনে কারণ গুলো কি।

মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিক শুরু হওয়ার বয়স থেকে বন্ধ হওয়ার বয়স পর্যন্ত এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক মানসিক পারিপার্শ্বিক প্রয়োজনের সাথে সাথে ব্রণের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় বা কমে। যারা অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকে কিংবা মেয়েদের মাসিকের পূর্বে অতিরিক্ত কসমেটিক সামগ্রী ব্যবহার করলেও ব্রণ বৃদ্ধি পায়।

ব্রণ হয় কেন ও দেখতে কেমন

অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে যে ব্রণ হয় কেন , আসলে ব্রণ বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি যে সময়ে ব্রণ হয় সেটা হল বয়ঃসন্ধিকালে বা যৌবনের বিভিন্ন সমস্যার কারণে।যৌবনের অবাঞ্ছিত সমস্যা। সুন্দর মুখোশ্রীর উপর ঝাপটে বসে থাকে।

যা একটি ছেলে মেয়ের কারণে চিন্তার তখন শেষ থাকে না। শতকরা ৯০ জনেরই এই রোগটি কম বেশি হয়ে থাকে। বিশ বছর বয়স হলেই এই ব্রণ একা একাই সেরে যায় এবং অনেকের স্থায়ী হয়ে থাকে।আসলে ব্রণ দেখতে কেমন, এটা দেখতে বিভিন্ন রকম হয় তবে সাধারণত কয়েক ধরনের ব্রণ হয়ে থাকে।গোটার মত দেখতে কিছু যন্ত্রণা আর সেটাই হলো ব্রণ।

সেগুলো সবার মাঝেই দেখা যায় লোমের গোড়ায় হয়ে থাকে ব্রণের মূল যে জিনিস তা চাপ দিলে ভাতের দানার মত বের হয়। তবে কখনো কখনো শুধু দানা আকারে পুজ সহকারে গহবর যুক্ত দানা বা বড় গোটা গোটা যা দেখতে কেমন যেন বিশ্রী লাগে। কতগুলো গুড়ি দানার মত লালচে গোটা কতগুলো ইনফেকশন হয়ে পুজ সহ বড় বড় চাকাও হয়।

এ অবস্থায় প্রচন্ড ব্যথাও করে তাই ব্রণ হলে উপযুক্ত চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। অনেকে বলে থাকে ব্রণ বয়সের দোষে হয় একসময় এমনি ভাল হয়ে যাবে কিন্তু কথাটি নিয়ে বসে থাকলে চলবে না ব্রণ হয় কেন সেটা ও জানতে হবে। তাতে স্থায়ী কালো দাগ পড়ে যেতে পারে অনেক হয়তো ফুটো ফুটো হয়ে যেতে পারে। তাই ত্বকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এর চিকিৎসা নেওয়া দরকার।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে হয়তো এতক্ষণে জানতে পেরেছেন ব্রণ সম্পর্কে চিকিৎসা করার জন্য অবশ্যই একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলে জেনে নিবেন।

মুখে ব্রণ হয় কেন

শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ব্রণ হতে পারে তবে মুখে ব্রণ হয় কেন, কারণ মুখে তৈলাক্ত গ্রন্থি বেশি থাকে। আর ব্রণ সাধারণত গ্রন্থির কারণেই হতে পারে। সাধারণত মুখে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা দেয় যেমন নাক, কান, গলা, কপাল, থুতনি এগুলোতে বেশি দেখা যায়। এছাড়াও শরীরের ঘাড় শরীরে সকল জায়গাতেও ব্রণ হতে পারে।

যেসব কারণে মুখে বেশি ব্রণ হয়ে থাকে তা হল কিছু বংশগত কারণ হতে পারে। প্রোপাইনিন ব্যাকটেরিয়াম একনেস নামক এক ধরনের জীবাণু সাধারণত লোমের গোড়াতে থাকে। এন্ড্রোজন হরমোনের প্রভাবে সেবাম এর নিঃসরণ মাথা মুখ এ সকল জায়গায় তেলে তেলে ভাব হয় এবং বেড়ে যায়। লোমের গরাতে যে জীবণু ও আছে সেই জীবাণু ফ্রী ফ্যাটি এসিড তৈরি করে।

আর এই এসিডের কারণে লোমের গোরাতে প্রদাহর সৃষ্টি হয় এবং রাতে কেরাটিন জমা হতে থাকে।
মুখে ব্রণ হয় কেন, এর অন্যতম কারণ হলো মহিলাদের মাসিকের সময় সপ্তাহখানেক পূর্বে ৫ থেকে ১০ টির মত ব্রণ হতে পারে।কসমেটিকের কারণে ও মুখে অল্প অল্প পরিমাণ ব্রণ হতে পারে এবং পরে ব্রণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে।

স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধগুলো সেবন করার ফলেও ব্রণ বৃদ্ধি পায়।স্টেরয়েড যেমন এ জাতীয় ওষুধগুলো একাধারে খেতে থাকলে মুখে ব্রণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া মহিলারা ব্রণের জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকে। তাই মুখে ব্রণের জন্য কি ব্যবহার করা উচিত তা একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে জেনে নিন।

ব্রণ এর চিকিৎসা 

ব্রণ একবারে সেরে যাবে এরকম কোন ঔষধ এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। এ ব্রণ যাদের হয় তাদের একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্তই হতে থাকে। তবে ব্রণ এর চিকিৎসা নিলে, ব্রণের পরিমাণ কমিয়ে যায়। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে মুখমন্ডলকে রক্ষা করা যায়। ব্রণ সারানোর সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ধৈর্য সহকারে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের অধীনে চিকিৎসা নিতে হবে। অন্যথায় মুখে ব্রণের কালো দাগ ও গর্তের 

দাগ আরো বেশি বসে যাবে। ব্রণের চিকিৎসা নির্ভর করে ব্রণের অবস্থার উপর ভিত্তি করে। চিকিৎসার পাশাপাশি কিছু উপদেশ মানতে হবে। চিকিৎসা নিতে হয় ধৈর্য সহকারে পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে ব্রণের চিকিৎসা নেওয়া লাগতে পারে। হঠাৎ করে ব্রণ সারিয়ে তোলা সম্ভব নয় চিকিৎসা করানো উচিত।

সামান্য ব্রণঃ অনেকের মুখে ছোট ছোট কিছু দানার মত দেখা যায়। যা পেকে গিয়ে চাপ দিলে সাদা শ্বাসের মতো বের হয়। একসময় চলে ও যায়, এ ধরনের ব্রণ এর চিকিৎসা হলো রেটিন এ ক্রিম ০.০৫% শুধুমাত্র রাত্রিতে এই দানার উপর লাগিয়ে দিতে হবে।

ত্বক সামান্য লাল ভাব হয়ে হালকা জলতে পারে তবে খুব বেশি অসুবিধা হলে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং পরবর্তীতে অল্প সময়ের জন্য ব্যবহার করা করতে হবে। এই ক্রিম দিনের বেলায় ব্যবহার করা যায় না। এই ক্রিম দিনে ব্যবহার করলে সূর্যরশির সঙ্গে বিক্রিয়ায় ত্বক কালো করে দিতে পারে।

এই ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করে যেতেই হবে। ব্রণ উঠলে দানার উপর এটি ব্যবহার করতে হয়। আর সকালে মুখ দিয়ে ফেলতে হবে।তাই দিনে দুই থেকে তিনবার সাদা সাবান দিয়ে মুখ ধুতে হবে। ব্রণ খোটা যাবে না, খুটলে দাগ বসে যাবে। দিনের বেলায় মুখে ক্লোজেন বা ভিটামিন এ ক্রিম মাখতে পারেন এভাবে নিয়ম মেনে চললে এক সময় সেরে যাবে।

বড় আকারের ব্রণঃ কারো কারো মুখে বড় আকারের ব্রণ হয়ে থাকে। যেটা দেখতে এক ধরনের ফোঁড়ার মতো। এই ক্ষেত্রে রাতের বেলা রেটিন এ ক্রিম ০.০৫% লাগাতে পারেন। এতে ব্রণের শ্বাস বের না হলে তখন একটি বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে চর্ম বিশেষজ্ঞ ব্রনের শাল গুলো বের করে দেয়।

তবে ব্রণ টিপে খুটে শ্বাস বের করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। বিশেষ যন্ত্র ছাড়া ক্রায়োসার্জারি করে ব্রণের শ্বাস বের করা যায় এবং দাগ প্রতিরোধ করা যাবে। এজন্য অবশ্যই চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে কোন ঔষধ কার্যকারী ভাবে সাহায্য করতে পারে না।

ব্রোন ও বিউটি পার্লারঃ আজকাল বিউটি পার্লার গুলো ব্রণ এর চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকে। এটা মোটেও করবেন না এবং তারা যত গ্যারান্টি দিক না কেন বুঝতে হবে এর ভিতরে যত গ্যারান্টি দেবে যত, তত ক্ষতি বেশি। চিকিৎসা কখনো গ্যারান্টি দিয়ে হবে না। বিউটি পার্লারে অতিমাত্রায় পিলিং এজেন্ট সহযোগে মুখে প্যাক দিয়ে দ্রুত ব্রণের মুখ ফাটিয়ে শ্বাস বের করে। মোটেই চিকিৎসা সম্মত নয় এতে ত্বকের আরো বেশি ক্ষতি হয়।

তৈলাক্ত মুখ ও ব্রণঃ অনেকের মুখ অতিরিক্ত তৈলাক্ত, মুখে ব্রণও আছে মুখের তৈলাক্ত এর সঙ্গে ব্রণের কোন সম্পর্ক আছে? অবশ্যই মুখের তৈলাক্ত এর সাথে মুখের ব্রণের সম্পর্ক আছে। তাই মুখ ডোভ সাদা সাবান দিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার ধুয়ে নিতে হবে।

মুখে শালঃ কারো কারো ঠোঁটের নিচে, থুতনির উপরে, নাকের উপর কালো গভীর দাগ দেখা যায় এবং এগুলোর মাঝে চুলকে টিপ দিয়ে শাল বের করে দেয়। এটা মোটেও ঠিক নয়, এই ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য এ ধরনের দাগের জন্য রেটিন এ ০. ০৫% ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।

ক্রিমটি সাধারণত রাতের বেলায় দিতে হবে। দিনের বেলা কখন এই ক্রিমটি দেওয়া যাবে না কিন্তু একদিন পরপর একবার মাখতে হবে এবং তা কেবল কালো দাগের উপরেই দিতে হবে। কয়েক মাস ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
এই ওষুধটি ব্যবহার সামান্য শুকনো চামড়া খোসা করে উঠতে পারে। এতে চিন্তা পাওয়ার কিছুই নেই। ক্রিমটি ব্যবহারের ফলে খুব বেশি লাল হলে ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে।

ব্ল্যাকহেডঃ অনেকের নাকে ছোট ছোট লোমের মত হয় এগুলো টিপ দিলে শাল বের হয়ে যায়। এ ধরনের সমস্যার সমাধান হলো, এগুলোকে সাধারণত ব্ল্যাকহেড বলে এগুলো টিপে শাল বের করা কোন মতেই ঠিক নয়। এদের একপর্যায়ে নাক মোটা হয়ে যেতে পারে। যেহেতু নাক মোটা হওয়ার বিষয়টি ধীরে ধীরে হয় তাই বুঝতে পারে না।

এজন্য রেটিন এ ক্রিম ০.০৫% রাতে একবার গোটার উপর লাগাতে হবে।লাগানোর এক ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলতে ধুয়ে ফেলবেন। এটি ব্যবহারের ফলে বেশি লাল হলে বেশি চুলকালে খুব বেশি চামড়া উঠলে এই সকল সমস্যা দেখা দিলে দুই বা তিন দিন পর ব্যবহার করতে হবে। পর পর এভাবে বেশ কিছুদিন ব্যবহার করলে তাহলে ব্ল্যাকহেড সেরে যাবে। তবে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থেকেই এই চিকিৎসাটা নেওয়া উচিত।

মুখের ব্রণের জন্য কি ব্যবহার করা উচিত

চিকিৎসা ব্যবস্থায় মুখের ব্রণের জন্য কি ব্যবহার করা উচিত তা ব্রণের প্রকারভেদের উপর নির্ভর করে। ব্রণের পরিমাণ যদি খুব বেশি হয় ও ইনফেকশন থাকে, তবে ট্রেট্রাসাইক্লিন বা এরাইথ্রোমাইসিন খেতে পারেন। যেহেতু ওষুধগুলো এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক তাই একজন চিকিৎসকের পরামর্শে খাবেন।

তবে সাধারণভাবে রেটিন এ ক্রিম এবং জেলটনিক জেল ২.৫ শতাংশ জেল টি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি নিরাপদ তবে এটা ব্যবহার করতে হবে সূর্য ডোবার পর ও সন্ধ্যার পর শুধু গোটা গুলোতে এক থেকে দুইবার এক বা দুইবার লাগানো যায়। এটা ব্যবহার প্রথম প্রথম একটু চুলকানি হতে পারে এবং লাল ভাব হতে পারে ২-১ দিন পর ব্যবহারের পর ঠিক হয়ে যাবে। খুব বেশি হয় তাহলে ক্রিমটি বন্ধ রাখবেন।

ব্রণের চিকিৎসা অনেকটা দীর্ঘস্থায়ী। ব্রণের ধৈর্য সহকারে এর চিকিৎসা করতে হবে। কারো কারো ব্রণ আপনি আপনি সেরে যায়। যতদিন এমনি এমনি ভাল না হলে ততদিন চিকিৎসার মাধ্যমে, উপদেশ ও ঔষধ দ্বারা তা আয়ত্ত রাখতে হবে। আজকাল বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং লাগানোর জন্য ওষুধ ব্যবহার করা হয়।

ব্রণের তীব্রতা এবং রোগীর শারীরিক মানসিক আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে ওষুধ দেওয়া হয়। তবে মুখের ব্রণের  একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ব্রণের চিকিৎসা নিন।ব্রনের চিকিৎসায় খাওয়া-দাওয়া তেমন কোন বাজ বিচার নেই। খাওয়া দাওয়া তেমন কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই সবই খাওয়া যাবে।

গ্রাম অঞ্চলে অনেকেই অনেক খাবার বন্ধ করে দেয়। যার কারণে আরো তার শরীরে ভিটামিন না থাকায় আরো বেশি সমস্যা হয়।কিছু কিছু চর্ম রোগে সাবান লাগানো যায় না তবে ব্রণের বেলায় তা কিন্তু উল্টো ব্রণ হলে দিনে দুইবার সাবান আর গরম পানি দিয়ে মুখ ধুতে হবে।অনেকের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ব্রণ খুঁটাখুটি করার অভ্যাস রয়েছে যা ইনফেকশন হয়ে পরবর্তীতে কালো দাগের হয়ে যেতে পারে।

তাই নখ কেটে ছোট রাখতে হবে এবং খুঁটা খুঁটি করা যাবে না। যথেষ্ট পরিমাণে ভালো খাবার দাবার খেতে হবে, প্রচুর পানি খেতে হবে এবং যথেষ্ট পরিমাণ ঘুমাতে হবে। ব্রণ চিকিৎসকের নিকট শারীরিক কিংবা মানসিক কোন সমস্যা থাকলে সেটা বলতে হবে। বিভিন্ন কারনে ব্রণ বাড়তে বা কমতে পারে।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যেতে পারে যে মুখের যে কোন সমস্যার জন্য অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ব্যবহার করতে হবে। কেননা মানুষের মুখের সৌন্দর্য ই হলো আসল সৌন্দর্য। তাই উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলার পাশাপাশি ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।

ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার ক্রিম

ছেলেদের সাধারণত ব্রণ বয়ঃসন্ধিকালে বেশি হয়ে থাকে। ওই বয়সে ব্রণের জন্য তারা অনেক টেনশন পড়ে যায়। অনেক মুখে ব্রণ থাকলে তারা খোঁটা খুঁটি বেশি করে যার কারণে গর্ত হয়ে যায়। তাছাড়া ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার ক্রিম বাজার অনেক রয়েছে। তাই অনেকেই এই ক্রিম ক্রয় করে ব্যবহার করে থাকে। যা অনেকটাই ক্ষতিকর দিক হতে পারে। তো আজকে তাদের জন্য কিছু জনপ্রিয়  ক্রিমের নাম ও কার্যকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো,

ডিফারেন্ট জেলঃ ০. ১% এটি এডাপালিন রেটিনয়েড জন্য অনেক কার্যকরী ক্রিম জেল। এই ক্রিম রেজাল্ট টি হালকা বা ছোটখাটো ব্রণ গুলোর জন্য অনেক ভালো কাজ করে। এই ক্রিম তৈলাক্ত কমাতে সাহায্য করে যার কারণে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। ব্রণগুলো সারিয়ে তুলতে পারে।

নিউট্রোজেনা অয়েল ফ্রি ব্রোন ওয়াশঃ ছেলেদের মুখের ব্রণের জন্য অয়েল ফ্রি ব্রণ ফেসওয়াশ যা মৃত ত্বকের কোষ অপসারণ করতে সাহায্য করে এবং লোমগুলোকে খোলা রাখে। তৈলাক্ত ত্বক যুক্ত লোকদের জন্য এটা সবচাইতে ভালো।
প্রোএকটিভ সলিউশন স্কিন রেনিং স্ক্রাবঃ একটি গ্লাইকোলিক এসিড যা তাকে কোষগুলোকে অপসারণ করে এবং ত্বককে মসৃণ করে দাগগুলো ভালো করে।

কেআরভি ফর্মিং ফেসিয়াল ক্লিনারঃ এই ফেসওয়াস দিয়ে ত্বককে শুষ্ক না করে পরিষ্কার করে। এটি একটি সংবেদনশীল ত্বক যুক্ত লোকদের জন্য ভালো উপকার করে।
উপরোক্ত ক্রিমগুলো ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার ক্রিম, যা আপনি যে কোন একটি ক্রিম বেছে নিতে পারেন। আপনার ত্বকের সাথে যেটা মানানসই হয় তবে একজন বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলে নিতে হবে।

চিকিৎসার জন্য টিপস গুলো হলো
  • আপনার মুখ দিনে দুবার দিয়ে একটি মৃদু ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
  • অয়েল ফ্রি এবং নন কমেডি জেনিক প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন
  • অপসারণের জন্য সপ্তাহে একবার স্ক্রাব করুন
  • চিপিং করবেন না কখনোই খোঁটাখুটি করবেন না
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম দেন
  • মানসিক টেনশন থেকে মুক্ত থাকেন

মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ক্রিম মেয়েদের জন্য

বাজারে বিভিন্ন ধরনের মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ক্রিম মেয়েদের জন্য পাওয়া যায়। তার মধ্যে কিছু জনপ্রিয় ক্রিম হলো,

বেনজয়েল পারঅক্সাইডঃ ব্রণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয় এই ক্রিমটি ব্যাকটেরিয়াকে হত্যা করে ব্রণের জন্য কার্যকর।

এজিলিক এসিডঃ এই ক্রিমটি প্রেসক্রিপশন ডাক্তাররা করে থাকেন যা ব্রনের চিকিৎসার জন্য দাগ তোলার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি মেলানিন উৎপাদন করে বাধা দেয়। ত্বকের রং উজ্জল হয়।

হাইড্রোকুইনোনঃ মেয়েদের মুখের ব্রণের জন্য কি ব্যবহার করা উচিত তা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। তবে এই ক্রিমটি প্রেসক্রিপশন করে থাকেন ডাক্তাররা। ব্রণের দাগ তুলতে কার্যকারিতা রয়েছে এটাও মেলানিন উৎপাদন কে বাধা দেয় এবং ত্বকের রং তৈরি করে।

আপনার জন্য কোন ক্রিমটি পারফেক্ট হবে সেটা নির্ধারণ করে দেবেন একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ। তাই মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ক্রিম মেয়েদের ক্ষেত্রে ত্বকের উপর নির্ভর করে। তাই আপনার ত্বকের সাথে যে ক্রিমটা মানানসই হবে সেটাই ব্যবহার করবেন।

কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় 

মুখে ব্রণ হওয়ার জন্য অনেক ভিটামিনের অভাবের কারণেও হতে পারে। তবে কোন কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়; তার মধ্যে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, জীবাণু সংক্রমণ, ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ এবং অনিয়মিত যত্নের কারণে এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। তবে ভিটামিনের অভাবে ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী রয়েছে।

ভিটামিন এঃ ভিটামিন এ ত্বক ও কোষের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য কাজ করে ভিটামিন এ এর অভাবে ত্বক রুক্ষ থাকে শুষ্ক খসখসে হয়ে যায় তাই ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।

ভিটামিন বিঃ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর মাধ্যমে ত্বকের উন্নতি লাভ করে। ভিটামিন বি এর অভাবে ত্বক খসখসে, শুষ্ক, ঠোট ফাটা এবং ফুসকুড়ি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।

ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজল তৈরি করে যা ত্বককে টানটান ও স্থিতিস্থাপ করে। এছাড়াও ভিটামিন সি ত্বকের ব্যথা বা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে ব্রণের যে দাগ বা ব্যথাগুলো রয়েছে ঘা গুলো শুকাতে সাহায্য করে।

ভিটামিন ইঃ ভিটামিন ই ত্বকের জন্য অনেক উপকারী বিশেষ করে কোষের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে। তাকে রেডিক্যালের ক্ষতিকর থেকে মুক্ত রাখে এবং ভিটামিন এর অভাবে ত্বকে শুষ্ক রুক্ষ প্রমাণ হয়ে থাকে বেশি।

মুখে ব্রণ রোধে ভিটামিন খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরো কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। তা হল
মুখ নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে, দিনে দুবার হালকা সাবান দিয়ে মুখ দিয়ে ফেলতে হবে।
তেলযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না যেটা মুখে তৈলাক্ত হয়। কেননা তৈলাক্ত থেকেই ব্রণ সৃষ্টি হয়।

নিয়মিত ব্যায়ামের কারণে তৈলাক্ত মুখটা অনেকটাই কমে যাবে। যার কারণে শরীরের রক্ত সঞ্চালন করার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা দরকার এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নত করার জন্য ব্যায়াম করা উচিত।

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ফাস্টফুড জাতীয় খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। ফল শাক-সবজি এই ধরনের খাবার ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো।
সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে। একজন সুস্থ মানুষ কমপক্ষে তাকে.৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। এতে ত্বকের অনেক উপকার হবে। ঘুমের কারণে ত্বকের কোষগুলো উজ্জীবিত হবে এবং ব্রণের ঘা গুলো শুকাতে দ্রুত সাহায্য করে।

উপরোক্ত যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো, আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়, তাই সেই সকল ভিটামিন জাতীয় খাবার গুলো নিয়মিত খাবেন।

কি খেলে ব্রণ দূর হয় 

আসলে কি খেলে ব্রণ দূর হয় এমন কোন নির্দিষ্ট খাবার নেই। তবে ত্বকের উপকারের জন্য যে খাবারগুলো খেলে ভালো সেগুলো নিম্নে দেওয়া হল,

পেঁপেঃ পেপের ভিতরে রয়েছে ভিটামিন এ, সি সমৃদ্ধ যা ত্বকের কোষ গঠনে বৃদ্ধি করে।

কমলাঃ কমলার ভেতরে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বকের ঘা শুকাতে সাহায্য করে।

আপেলঃ আপেল ফাইবারযুক্ত খাবার যা হজম শক্তির সাহায্য করে। রক্তের শর্করা বৃদ্ধি করে যার কারণে ত্বকের সৌন্দর্য ফিরে আসে।

জাম্বুরাঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি খাবার যা ত্বকের ক্ষতিরোধ করতে সাহায্য করে।
শাকসবজির জন্য অনেক উপকার। নিম্নে সেই শাকসবজি গুলোর নাম বলা হলো,

পালং শাকঃ এতে রয়েছে ভিটামিন সি, এ এবং ই জাতকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

গাজরঃ ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাদ্যজাতকের জন্য ত্বকের কোষ গঠন করতে সাহায্য করে।

টমেটোঃ এতে রয়েছে লাইকোপিন সমৃদ্ধ খাবার। লাইকোপিন রয়েছে যা ত্বকের করতে পারে।

শসাঃ শসা পানি জাতীয়।পানির মধ্যে যা ত্বকের হাইড্রেট করতে সাহায্য করে।

বাদাম ভিটামিন ই এবং অমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা ত্বকের জন্য ভালো।

দইঃদই প্রোবায়োটিক দ্বারা গঠিত এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ত্বক ভালো থাকে।

তবে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে কি খেলে ব্রণ দূর হয়, প্রকৃতপক্ষে আমি বলব যে ত্বককে হাইড্রেট রাখতে হলে অবশ্যই পানির বিকল্প কিছু নেই। তাই প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন। প্রচুর পরিমাণে ফল ও শাক-সবজি খান, চর্বিযুক্ত খাবার প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং চিনিযুক্ত খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন পর্যাপ্ত ঘুমান ত্বককে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন মানসিক টেনশন থেকে মুক্ত থাকুন। তাহলে আপনার ত্বক সুন্দর থাকবে এবং ব্রণ হবে না।

উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়মিত পালন করলে আশা করি ব্রণ অনেকটাই আরোগ্য লাভ করবে। তবে যদি বেশি হয়ে যায় এবং তীব্র ব্যথা করে তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

লেখকের শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায় যে একটা সময় প্রত্যেকেরই ব্রণ হবে। তবে এটা নিয়ে টেনশন করার কিছু নেই সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে এবং আপনার মুখের ব্রণের জন্য কি ব্যবহার করা উচিত তা উপরোক্ত আমার এই পোস্টের মাধ্যমে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আশা করি এখান থেকে অনেক উপকৃত হবেন। যদি আমার পোস্টটা আপনার নিকট ভাল লাগে, তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪