নবজাতকের নাড়ি কাটার নিয়ম সম্পর্কে ও নবজাতকের যত্ন কিভাবে নিতে হয়, জেনে নিন
নবজাতকের নাড়ি কাটার নিয়ম সম্পর্কে ও নবজাতকের যত্ন কিভাবে নিতে হয়, তা গ্রামের অদক্ষ দাই জানেনা। চলুন, কিভাবে নবজাতকের নাড়ি কাটা যায় তা বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
প্রতিদিন ৯ হাজার ৩০০ জন্মগ্রহণকারী শিশুর মধ্যে নবজাতক অবস্থায় মারা যায় ৬০৫ জন তাই নবজাতকের যত্ন ও নবজাতকের নাড়ি কাটার বিষয়ে দক্ষ ও প্রশিক্ষক মিডওইফ দ্বারা বাচ্চা প্রসব করাতে হবে। তাই নবজাতকের নাড়ি কাটার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পোস্টে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃনবজাতকের নাড়ি কাটার নিয়ম সম্পর্কে ও নবজাতকের যত্ন কিভাবে নিতে হয়, জেনে নিন
ভূমিকা
জন্মের পর থেকে ২৮ দিন পর্যন্ত শিশুকে নবজাতক বলা হয়।এই সময়টুকু শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময় তাদের সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার জন্য বিশেষ কিছু যত্নের প্রয়োজন হয়। প্রতি ১০০০ জন্মগ্রহণকারী শিশুর মধ্যে ৩৭ জন মারা যায়।প্রায় ৩০ থেকে ৩৫% নবজাতক কম ওজন অর্থাৎ ২৫০০ গ্রাম এর কম নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।এটা এছাড়াও অন্যান্য কারণ রয়েছে তার মধ্যে নাড়ি কাটার নিয়ম। নবজাতকের যত্ন,কম জন্ম ওজনের শিশুদের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই সকল কারণে নবজাতকের মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে।
নবজাতক জন্মের পর করণীয়
জন্মের পর পর তাৎক্ষণিকভাবে নবজাতকের যে সকল পরিচর্যা প্রয়োজন বা করণীয় নিম্নেতা দেওয়া হলো
শুষ্ক ও উদ্দীপ্ত করাঃ অবিলম্বে শিশুর মাথাসহ সমস্ত শরীর শুষ্ক করুন এবং উদ্দীপ্ত করুন একটি পরিষ্কার শুকনা কাপড় ব্যবহার করে, শিশুর শরীর ভালো করে মুছে দিন এবং সাথে সাথে উদ্দীপ্ত করুন। এর পরে নবজাতকের নারী কাটতে হবে।
শ্বাস প্রশ্বাস এবং গায়ের রং নিরূপণ করাঃ শিশুকে শুষ্ক করার সময় শিশুর শ্বাস নিচ্ছে কিনা যাচাই করুন, শিশুর রং দেখুন, তার মুখ মন্ডল বুক ও মাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় গোলাপী থাকবে।
রিসাসিটেশন প্রয়োজন কিনা সিদ্ধান্ত নেওয়াঃ শিশু যদি শ্বাস না নেয় অথবা যদি নিতে কষ্ট হয় তাহলে রিসাসিটেশন প্রয়োজন, নাড়ি বাধুন এবং কাটুন।
উষ্ণ রাখতে নবজাতককে মায়ের কাছে দেওয়াঃ জন্মের পর শিশুকে শুকানোর জন্য ব্যবহারকিত ভেজা কাপড় সরিয়ে ফেলুন, জন্মের পরপরই শিশুকে উষ্ণ রাখার জন্য মাঝখানে কাপড় না রেখে মায়ের বুকের সাথে লাগিয়ে রাখো রাখুন। মা ও শিশুকে গরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন এবং শিশুর মাথা ঢেকে রাখুন।
নবজাতকের নাড়ি কাটার নিয়ম
শিশু যদি মায়ের বুকের সঙ্গে লেগে থাকে তবে মাকে বলুন শিশুর এক দিক উঁচু করে ধরতে যেন আপনি সহজে নাড়ি দেখতে পান তা কাটতে পারেন। নবজাতকের নাড়ি কাটার নিয়ম ও ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
১। শিশুর নাড়িতে শক্ত করে তিনটি গিট দিন
প্রথম নাড়ি বন্ধনঃ প্রথম গিট হবে বাচ্চার পেট থেকে দুই আঙ্গুল দূরে
দ্বিতীয় নাড়ি বন্ধনঃ দ্বিতীয় গিট হবে প্রথম গেট থেকে এক আঙ্গুল দূরে
তৃতীয় নাড়ি বন্ধনঃ তৃতীয় গিট হবে দ্বিতীয় গিট থেকে চার আঙ্গুল দূরে
২। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গিট এর মধ্যে দ্বিতীয় গিট থেকে এক আঙ্গুল দূরে নতুন ব্লেড অথবা জীবাণুমুক্ত কাচিঁ দিয়ে কাটুন
নাড়ির গোড়ায় কিছু লাগাবেন না, নাড়ি শুকনা ও খোলা রাখুন
শিশুর নাড়ি কাটার পর ৭.১ ক্লোরোহেক্সাডিন দিতে হবে।
নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম
জন্মের পরপরই শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে মাকে সাহায্য করতে হবে। জন্মের এক ঘন্টার মধ্যে শিশুকে অবশ্যই মায়ের শাল দুধ দিতে হবে।শাল দুধ শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এটা শিশুর জীবনের প্রথম টিকা, যা শিশুকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। অবশ্যই একজন মায়ের জানা উচিত
৬ মাস অর্থাৎ ১৮০ দিন পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ দিতে হবে। অন্য কোন খাবার দেওয়া যাবে না। মায়ের দুধের মধ্যে সকল পুষ্টিকর খাবার আছে। এ সময় ভুলক্রমেও শিশুকে কখনো পানি, চিনির পানি, মধু, গ্লুকোজ, কৌটার দুধ বা পশুর দুধ অর্থাৎ গরু, ছাগলের দুধ দেওয়া যাবে না। দিনে ও রাতে শিশু যত বার দুধ খেতে চায়, ততবার দুধ খাওয়াতে হবে। তবে কমপক্ষে .৮ বার মায়ের দুধ দিতে হবে।
নবজাতকের যত্ন কিভাবে নিতে হয়
বাড়িতে যত্ন বা প্রথম বাড়িতে সাক্ষাতের সময় নবজাতকের যত্ন যেভাবে নিতে হয় নিম্নেতা দেওয়া হলো
ছোট শিশুর রোগ প্রতিরোধ করার জন্য প্রসবের সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে
যে কক্ষে মায়ের প্রসব হবে সে কক্ষটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, উষ্ণ আলো বাতাস পরিপূর্ণ থাকতে হবে
যে ব্যক্তি শিশুটিকে প্রসবের সময় বের করবেন আগেই তার হাত সাবান ও পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। প্রসবের সময় শিশুটিকে ধরার সময় শুকনো এবং পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করতে হবে।
যদি সম্ভব হয় তাহলে ডিসপোজিবল প্রসবের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয় নতুন বেড এবং পরিস্কার সুতা রাখতে হবে। যেগুলো প্রসবের সময় ১০ মিনিট ফুটন্ত পানিতে রাখতে হবে। যা
দিয়ে শিশুর নাড়ি কাটতে হবে এবং বাধতে হবে।
নাভিতে অন্য কিছু ব্যবহার করা যাবে না। অনেক মায়েরা বিভিন্ন জিনিস নাভি পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করেন, যা অধিকাংশ সময় নাভির সংক্রমনের জন্য দায়ী। এছাড়া নবজাতকের নাড়ি শুকাচ্ছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তাই নাড়ি পরিষ্কার এবং নবজাতকের নাড়ি কাটার নিয়ম গুলো উপরে আলোচনা থেকে জেনে নিবেন। জন্মের কয়েকদিন পর নাভি শুকিয়ে যায় এবং নিজে নিজে পড়ে যায়।
একজন মা কে জানতে হবে শিশুর প্রসাব এবং পায়খানা দিয়ে যেন নাভি ভিজে না যায়। যদি ভিজে যায় সে ক্ষেত্রে পরিষ্কার পানি দিয়ে নাভি পরিষ্কার করতে হবে এবং শুকনো কাপড় দিয়ে মুছতে হবে।
নবজাতকের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ করা
ছোট শিশুর তাপমাত্রা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ হয় না, তাই সব ছোট শিশুকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে হবে। ঠান্ডা থেকে শিশুকে রক্ষা করতে হলে প্রসব করানোর জন্য এমন একটি কক্ষ বেছে নিতে হবে, যার তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত বেশি।
জন্মের সাথে সাথে শিশুকে পরিষ্কার সুতি নরম শুকনো কাপড় দিয়ে মোরাতে হবে এবং শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের মধ্যে দিতে হবে। উষ্ণ রাখার সর্বত্তম স্থান জন্মের আধা ঘন্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। যা শিশুকে কম তাপমাত্রা থেকে রক্ষা করে।
জন্মের সাথে সাথে শিশুকে শুকনা স্থানে রাখতে হবে।পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মোরাতে হবে,রক্ত,
মিকোনিয়াম এবং ভার্নিক্স (জন্মের সময় শিশুর শরীরের সাথে লেগে থাকা অস্থায়ী আবরণ) পরিষ্কার করা উচিত না। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় বরঞ্চ শিশুর শরীর হতে তাপমাত্রা বের হতে বাধা দেয়।
জন্মের প্রথম ৩ দিন অর্থাৎ ৭২ ঘন্টা শিশুকে গোসল করানো যাবে না।যেসব শিশুর ওজন কম তাদেরকে প্রয়োজনে বেশ কিছুদিন গোসল করানো যাবে না।
গ্রীষ্মকালে শিশুকে ঢিলা সুতির কাপড় পরাতে হবে এবং ঘরের মধ্যে রাখতে হবে।
নবজাতকের ওজন কত হওয়া উচিত
শিশুর জন্মের পর পরই তার ওজন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুটিকে হালকা সুতির নরম কাপড় দিয়ে মোরাতে হবে এবং ওজন নিতে হবে, ওজন নেয়ার সময় শিশু যেন খালি গায়ে না থাকে।
১। ২৫০০ গ্রাম বা বেশি স্বাভাবিক ওজন, এটা বাড়িতে যত্ন নিতে হবে।
২। ১৮০০ গ্রাম থেকে ২৫০০ গ্রাম পর্যন্ত কম জন্ম ওজন, একে স্বাস্থ্যকর্মীর তত্ত্বাবধানে বাড়িতে যত্ন নিতে হবে।
৩। ১৮০০ গ্রামের কম যদি হয়, তাহলে খুব কম জন্ম ওজন বলা হয়ে থাকে। যেটা অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
নবজাতকের ওজন কম হলে করণীয়
- নবজাতকের রিসাসিটেশন প্রয়োজন হলে নিতে হবে
- শিশুকে গরম রাখতে ত্বকে ত্বক লাগিয়ে রাখতে হবে, মায়ের গায়ের সাথে রাখা উচিত।
- জন্মের পরপরই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো
- যদি মায়ের দুধ টেনে খেতে না পারে তাহলে মায়ের দুধ চিপে বের করার পর কাপ দিয়ে খাওয়ানো। গালানো দুধ, ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ভালো থাকে এবং মায়ের দুধ ঢেকে রাখতে হবে।
- সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রতিরোধক মূলক ব্যবস্থা নেওয়া
যদি জন্ডিসের লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে
- শিশুকে সকালে সূর্যের আলোতে রাখা
- শিশুকে অধিক পরিমাণে মায়ের দুধ খাওয়ানো
- প্রয়োজনে শিশুকে হাসপাতালে নিতে হবে
ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার
মাঝখানে কাপড় না রেখে শিশুর সামনের অংশের সঙ্গে মায়ের বুকের সংস্পর্শে আনতে হবে। শিশুর জন্মের পরপরই একনাগারে দিন রাত শিশুকে মায়ের বুকের সঙ্গে লাগিয়ে রাখা। কম ওজনের শিশুদের ঘন ঘন মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে শিশু যথেষ্ট পরিমাণ দুধ টানতে পারে না। এইসব ক্ষেত্রে প্রতি .২ ঘন্টা অন্তর অন্তর মায়ের দুধ বের করে কাপ দিয়ে খাওয়ানো উচিত।
শিশু দুধ টানতে না পারলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে,খুব কম ওজনের শিশুরা মায়ের দুধ টেনে খেতে না পারলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
খুব কম ওজনের শিশুরা যথেষ্ট ভাবে মায়ের দুধ টানতে পারে না। এইসব শিশুকে কাপ দিয়ে দুধ খাওয়াতে হবে।
বুকের দুধ বের করার পদ্ধতি
যেভাবে মায়ের বুকের দুধ বের করতে হয়, মায়ের দুধ বের করার আগে মায়ের দুই হাত সাবান ও পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। যে দুধ বের করার সময় তার বৃদ্ধাঙ্গুল যাতে বোটার ওপর কালো অংশে থাকে
আরো পড়ুনঃ চোখের রোগ প্রতিরোধে কি করতে হবে, জেনে নিন
বোটার উপর কালো অংশে থাকে এবং বোটার পিছনের কালো অংশটি দুই আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিতে হবে। এভাবে কালো অংশের সবদিকে চাপ দিতে হবে। দুধ বের করে পরিষ্কার ঢাকনাযুক্ত পাত্রে রাখতে হবে। মায়ের দুধ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় .৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর্যন্ত রাখা যায়।
সে সকল শিশুদের জন্য প্রযোজ্য যাদের
- কম জন্ম ওজন শিশু
- অসুস্থ শিশু
- কর্মজীবী মায়ের শিশু
নবজাতকের বিপদ চিহ্ন
নবজাতকের বিপদসমূহ নিম্নে বর্ণিত লক্ষণ গুলোর যদি একটা শিশুর মাঝে দেখা দেয় তাহলে তাকে অতি শীঘ্র হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে
- মায়ের দুধ খেতে পারে না বা বন্ধ করে দিয়েছে
- অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে
- জ্বর অনুভব হয় অথবা শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে
- দ্রুত শ্বাস নিচ্ছে
- শ্বাস কষ্ট হচ্ছে
- মনে হয় রক্ত যাচ্ছে
- খিচুনি, অজ্ঞান বা নেতিয়ে পড়লে
- সব কিছুই বমি করে ফেলে দিচ্ছে
এই সকল সমস্যা দেখা দিলে অতি শীঘ্র হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে
নবজাতকের মৃত্যুর কারণ
- শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পারা
- নবজাতকের সংক্রমণ
- কম জন্ম ওজন
- জন্মের সময় আঘাত বা ক্ষত
- এবং আরো অন্যান্য কারণ থাকতে পারে
নবজাতকের ব্যাপারে আপনার দায়িত্ব হচ্ছে কিভাবে ছোট শিশুকে বাড়িতে যত্ন নিতে হবে। সে ব্যাপারে আপনি একজন মা হিসেবেই সতর্ক থাকবেন এবং ছোট বাচ্চাদেরকে যত্ন নেওয়া খুবই জরুরী বিষয়
শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়
শিশুদের টিটেনাস প্রতিরোধ করার জন্য সকল অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে টিটি ইনজেকশন দিতে হবে। যদি পূর্বেই তাকে পাঁচ ডোজ সিডিউল অনুযায়ী টিকা না দেওয়া হয়ে থাকে এবং তার সাথে শিশুকে পূর্ণ ছয় মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ দিতে হবে।
নিম্নলিখিত বিষয়গুলো পালন করলে,নবজাতক শিশুকে রোগ প্রতিরোধ থেকে প্রতিরোধ করা যাবে
- শিশুকে প্রতিবার ধরার আগে হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে, নখ ছোট করে কাটতে হবে
- চোখে কখনো কাজল বা সুরমা দেওয়া যাবে না
- যে ব্যক্তি অসুস্থতায় ভুগছেন তিনি যেন কখনোই শিশুকে না ধরেন এবং শিশুর কাছে না আসেন
- জন্মের ছয় সপ্তাহের মধ্যে অর্থাৎ ৪২ দিন বয়সে শিশুকে টিকা দিতে হবে
- সাবান দিয়ে দুই হাত ধোয়ার পদ্ধতি হল
- হাত এবং আঙ্গুল পরিষ্কার করতে হবে
- হাতের পিছনের দিক পরিষ্কার করতে হবে
- আঙ্গুলের কোণাগুলো পরিষ্কার করতে হবে
- বৃদ্ধাঙ্গুল পরিষ্কার করতে হবে
- আঙ্গুলের অগ্রভাগ পরিষ্কার করতে হবে
- কবজি থেকে কুণই পর্যন্ত পরিষ্কার করতে হবে।
লেখকের শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় যে নবজাতকের যত্ন একজন মাকে নেওয়া সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম। তাই কিভাবে একজন নবজাতকের যত্ন নিতে হয় ও নবজাতকের নাড়ি কাটার নিয়ম সেই সম্পর্কে এই পোস্টটিতে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি পোস্টটা পড়ে উপকৃত হয়েছেন। যদি আমার এই পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে, অবশ্যই আপনার বন্ধু -বান্ধবের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url