শিশুদের অপুষ্টি জনিত রোগের নাম, সম্পর্কে জেনে নিন
শিশুদের অপুষ্টি জনিত রোগের নাম সমূহ জানা সবার প্রয়োজন। কেননা গর্ভবতী নারী, শিশু ও দুগ্ধ দানকারী মায়েদের মাঝে অপুষ্টির লক্ষণ বেশি দেখা যায়। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
যে সকল শিশুর অপুষ্টির লক্ষণ দেখা দেয়। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম থাকে। এই সকল শিশু অতি সহজেই বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃশিশুদের অপুষ্টি জনিত রোগের নাম, সম্পর্কে জানুন
অপুষ্টি কি
আমাদের অনেকেরই অপুষ্টি কি এ সম্পর্কে জানার আগ্রহ বেশি থাকে। কারণ প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কিংবা অপর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে দেহে যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে অপুষ্টি বলে। আমাদের দেশের সাধারণত খাদ্য গ্রহণের অপর্যাপ্ততার কারণে অপুষ্টি দেখা দেয়।
অপুষ্টি কত প্রকার
অপুষ্টি কত প্রকার হয়ে থাকে তা আমরা এখন জানবো। অপুষ্টির বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে নিম্নে এই বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
অপুষ্টি দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় প্রয়োজনের তুলনায় কোন পুষ্টি উপাদান কম বা কোন পুষ্টি উপাদান বেশি পরিমাণে থাকলে এবং সে সাথে এ ধরনের খাবার বহুদিন যাবত গ্রহণ করলে এই পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়।
কম পুষ্টি এই অবস্থায় সব রকমের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয় অর্থাৎ আমিষ, শর্করা, তেল, ভিটামিন বা খাদ্য প্রাণ ও খনিজ লবণ ইত্যাদি উপাদানের ঘাটতিজনিত পুষ্টিহীনতার লক্ষণ দেখা দেয়।
অতি পুষ্টি বা স্থলতা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার গ্রহণ ও কম শারীরিক পরিশ্রমের কারণে অতি
পুষ্টির সমস্যা দেখা দেয়।অতি পুষ্টি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কর্মক্ষমতা হ্রাসসহ মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।
শিশুদের অনেক সময় নির্দিষ্ট খাদ্য উপাদানের অভাব জনিত অপুষ্টি। এই ধরনের পুষ্টিহীনতা বিশেষ কোনো খাদ্য উপাদানের ঘাটতি থাকে। তাই শিশুদের পুষ্টির অভাবে অনেক রোগ হয়ে থাকে। যেমনঃ লৌহ ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা ভিটামিন 'এ" ঘাটতি জনিত রাতকানা, আয়োডিন ঘাটজনিত কারণে মেধা শক্তি কম হওয়া ইত্যাদি।
অপুষ্টির কারণ
নিম্নলিখিত কারণ গুলো ক্রমাগত চলতে থাকলে শরীরে অপুষ্টি দেখা দেয়। যার কারণে বিভিন্ন রকম অপুষ্টির কারণ সৃষ্টি হয়।
- খাদ্য সুষম না হলে
- অপরিমিত বা অপর্যাপ্ত খাবার গ্রহণ করলে
- এক বা একাধিক পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হলে
- পরিপাক বা পরিশোষণের ব্যাঘাত ঘটলে
- মদ্যপান
- হজম সমস্যা
- ক্রনস ডিজিজ বা আলসার সমস্যা
- দারিদ্র
- স্বল্প আয়
- অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ
- কৃমি সংক্রমণ
- অশিক্ষা
- মহামারী প্রাদুর্ভাব
- প্রাণীজ আমিষ এর অভাব ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের অপ্রাপ্যতা
- ত্রুটিপূর্ণ খাবারের অভ্যাস বা কম পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ
- খাবার ও পুষ্টিমান সম্পর্কে অজ্ঞতা
- রান্নার পদ্ধতি
- স্থানীয় সহজলভ্য ও পুষ্টির খাদ্যের সঠিক ব্যবহারে অজ্ঞতা বা অক্ষমতা
- প্রয়োজনের চেয়ে ক্রমাগতভাবে অধিক পরিমাণে খাবার গ্রহণ করা
অপুষ্টির লক্ষণ
অপুষ্টির লক্ষণ গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো,
- দেহের কর্মক্ষমতার অভাব হয়
- দেহের স্বাভাবিক গঠন ও বৃদ্ধি ব্যাহত হয়
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ফলে দেহ দ্রুত রোগ আক্রান্ত হয়
- অপুষ্টি দীর্ঘমেয়াদী হলে মারাত্মক অসুস্থতা বা মৃত্যু হতে পারে
- ওজন কমে যাওয়া
- মাথাব্যথা কর করা
- পেট ফাঁপা দেওয়া
- বিষন্নতা
- শক্তি কমে যাওয়া
- ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়
- একবার অসুস্থ হলে আর সুস্থ হতে দেরি হয়
শিশুদের অপুষ্টি জনিত রোগের নাম
শিশুদের অপুষ্টি জনিত রোগের নাম গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো
- আমিষ, খাদ্য শক্তির অভাবজনিত রোগ হল হাড্ডিসার ্ম্যারাসমাস)
- ৬ মাস থেকে ১ বছরের শিশু।
- গা-ফুলা রোগ যা কোয়াশিওরকর বলা হয়, ১ বছর থেকে ৩ বছরের শিশুর
- ভিটামিন এ অভাবজনিত রোগ হল-রাতকানা, অন্ধত্ব
- ভিটামিনবি১ জনিত রোগ- বেরিবেরি রোগ
- ভিটামিন বি২ জনিত রোগ- ঠোটের কোনায় ঘা হয় এবং চুল পড়ে যায়
- ভিটামিন সি জনিত রোগ নাম- স্কার্ভি (দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়ে ও মারি ফুলে যায়।
- ভিটামিন ডি জনিত রোগের নাম -শিশুদের রিকেটস, বড়দের অস্টিওমালয়েশিয়া রোগ হয়
- আয়োডিনের অভাবে গলগন্ড, বামন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, বিকলাঙ্গের শিশুর জন্ম, গর্ভপাত, মেধা শক্তি কম হয়। অনেকের বাচ্চা হয় না ইত্যাদি।
- লৌহ ফলিক এসিডের অভাবে রক্তস্বল্পতা ও নার্ভের বৈকাল্যতা হয়।
শিশুর অপুষ্টির লক্ষণ
প্রতিটি বাবা-মা চায় তার শিশু যেন পুষ্টিকর হয় কিন্তু বিভিন্ন কারণে শিশুর অপুষ্টির লক্ষণ দেখা দেয় তাই নিম্নে এই বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
ওজন কমে যাওয়াঃ শিশুর বয়সের তুলনায় ওজন যদি কমে যায় তাহলে এটা শিশুর অপুষ্টির লক্ষণ।
বৃদ্ধি থেমে যাওয়াঃ শিশুর যদি দীর্ঘ সময় হলো উচ্চতা বা ওজন বৃদ্ধি না পায় তাহলে অপুষ্টি হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
পাতলা চেহারাঃ শরীরের চর্বি ও পেশি কমে গেলে সাধারণত শিশুর মুখ ও শরীর হালকা পাতলা দেখা যায়।
শুষ্ক ও খসখসে ত্বকঃ শিশুর ত্বকে পর্যাপ্ত পুষ্টি না থাকলে ত্বক শুষ্ক হয় ও খসখসে হয়।
পেট ফোলাঃ সাধারণত যদি কোন শিশুর পেটে পানি জমে যায় বা অন্ত্রের সংক্রমণের কারণে পেট ফুলে যায় তাহলে মনে করতে হবে শিশুর অপুষ্টির লক্ষণ।
পেশি দুর্বলতাঃ অনেক সময় শিশু অনেক দুর্বলতাবোধ করে অতি সহজে ক্লান্ত হয়ে যায় এবং খেলাধুলা করতে পারেনা তাহলে মনে করতে হবে শিশুর বেশি দুর্বল রয়েছে।
চুল পড়াঃযদি কোন শিশুর পুষ্টির ঘাটতি হয় তাহলে তার মাথার চুল পড়তে থাকে।
বারবার সংক্রমণ হওয়াঃ অপুষ্টি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে যার কারণে বারবার সংক্রমণ হতে পারে।
আচরণগত লক্ষণ সমূহ
ক্লান্তি ও অবসাদ হওয়াঃ যদি শিশু সব সময় ক্লান্ত থাকে এবং অবসন্ন থাকে, মন খারাপ থাকে তাহলে বুঝতে হবে এই শিশুর অপুষ্টির লক্ষণ রয়েছে।
খিটখিটে স্বভাবঃ অপুষ্টির কারণে বাচ্চার মেজাজ সব সময় খিটখিটে থাকবে এবং অল্পতে রাগান্বিত হয়ে যাবে।
মনোযোগহীনতাঃ অপুষ্ট বাচ্চা পড়াশোনা করতে গেলে মনোযোগ আসে না, ভালো লাগে না সহজেই রেগে যায়, এটাও একটি অপুষ্টির লক্ষণ।
ধীর বুদ্ধি বৃত্তিক বিকাশঃ অনেক শিশুর বুদ্ধিভিত্তিক বিকাশ খুবই কম হয়, আস্তে আস্তে কাজ করে তাহলে বুঝতে হবে এই শিশুর অপুষ্টি রয়েছে।
খাওয়ার প্রতি অনীহাঃ যেসব শিশু খাইতে চায় না, খাবার দেখলেই বমি বমি ভাব লাগে এবং জোর করে খাওয়াতে হয় এ ধরনের শিশুর অপুষ্টি রয়েছে
এছাড়া আরো শিশুর অপুষ্টির লক্ষণ হল,
ঘুমের সমস্যাঃ অপুষ্টকর শিশুরা সাধারণত ঘুমাতে অসুবিধা হয় ঘুমাতে চায় না।
দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়াঃ শিশু প্রায় সময় ডায়রিয়া লেগে থাকে এবং অনেকদিন শিশুর ডায়রিয়া হলে অনেকদিন লাগে।যার কারণে শিশুর ডায়রিয়ার সাথে পুষ্টি বের হয়ে যায়।এজন্য বাচ্চা অপুষ্টিতে ভোগে।
রাতকানাঃ অপুষ্টির কারণে অনেক শিশুর রাতে ঠিকমতো চোখে দেখতে পারে না।কেননা তার প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এর অভাব রয়েছে।
অপুষ্টি শিশুর ছবি
অপুষ্টিকর শিশুর চেহারা এরকম দেখতে ।অপুষ্টি শিশুর ছবি
অপুষ্টি প্রতিরোধের উপায়
অপুষ্টি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম থাকে। তাই শিশুর অপুষ্টি প্রতিরোধের উপায় সমূহ নিম্নে বর্ণনা করা হলো,
- জন্ম থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানো
- শিশুর অপুষ্টি প্রতিরোধের উপায় হল, ৬ মাস পূর্ণ হলে তাকে মায়ের দুধের পাশাপাশি খিচুড়ি, কলা, ডিম, মাছ, মাংস, ফল ও সবজি নরম করে খাওয়াতে হবে।
- সকল রঙ্গিন তাজা শাকসবজি ও হলুদ ফল, মাছ, মাংস, ডিম, গুড়া বা ছোট মাছ, গাজর, তেল, পাকা পেঁপে, পাকা আম,টমেটো, ধনেপাতা ইত্যাদি খাওয়া।
- ঢেঁকি ছাটা চাল, গম, ছোলা, মটর, ফুলকপি, বরবটি, গরু ছাগলের কলিজা, বাদাম, ফল ও সবজি খাওয়া।
- সবুজ শাকসবজি ও ফল, মাছ, সিম, দুধ ইত্যাদি খাওয়া।
- লেবু, টমেটো, কাঁচা আম, পেয়ারা, আমলকি, কামরাঙ্গা, ধনেপাতা ইত্যাদি খাওয়া।
- মাছের তেল (বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছের তেল) ডিম, মাখন, ঘি, চর্বি ইত্যাদি খাওয়া।
- আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়া।
- মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, কলিজা, সয়াবিন, সিমের বিচি, দুধ, কচু শাক, ফল, গুড়, খেজুর ইত্যাদি খাওয়া।
অপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ
শিশুদের অপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ চিহ্নিতকরণের পদ্ধতির মধ্যে শরীর মাপ পদ্ধতি সহজ এবং প্রচলিত পদ্ধতি।
০ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের শরীর মাপ পদ্ধতি নিলে নিম্নে দেওয়া হল
বয়সের তুলনায় উচ্চতাঃ যদি শিশুর উচ্চতা বয়সের তুলনায় কম হয়, তাকে বলা হয় বেটে বলা হয়
বয়সের তুলনায় ওজনঃ শিশুর অপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ মধ্যে অন্যতম হলো, ওজন বয়সের তুলনায় কম হয় তাকে ওজন স্বল্পতা বা শুকনা বলা হয়
উচ্চতার তুলনায় ওজনঃ যদি শিশুর ওজন উচ্চতার তুলনায় কম হয় তাকে শুকনা বা ক্ষীণকায় বলা হয়
মধ্য বাহুর পরিধি নির্ণয়ঃ যদি শিশুর এর মধ্যে বাহুর পরিধি ১১৫ মিমি এর কম হয় তাকে মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত বলা হয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা দেয় শিশু রাতে চোখে দেখেনা যেমন শিশুদের অপুষ্টি জনিত রোগের নাম হল রাতকানা রোগ।
ত্বকের ভাঁজের গুরুত্ব মাথা ও বুকের পরিধির অনুপাত পদ্ধতির মাধ্যমেও পুষ্টি অবস্থা নির্ণয় করা হয়ে থাকে।
বর্তমানের শিশুদের .(০ থেকে ৫ বছর) পুষ্টি অবস্থা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০৬ রেফারেন্স অনুযায়ী 'Z' স্কোর পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে।
পুষ্টিহীনতা দূর করার উপায়
পুষ্টিকর শিশু এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে কিন্তু পুষ্টিহীন শিশু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে। তাই শিশুর এই পুষ্টিহীনতা দূর করার উপায় সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো,
- মারাত্মক অপুষ্ট শিশু একসাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ খেতে পারে না, তাদেরকে অল্প অল্প করে বারে বারে যেমন সারাদিন আট বার উচ্চপুষ্টি মানসম্পন্ন বিশেষভাবে তৈরি খাবার দিতে হবে।
- ০ থেকে ১ বছর বয়সী মারাত্মক অপুষ্ট শিশুকে প্রথমে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে, তারপর উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন বিশেষভাবে তৈরি খাবার দিতে হবে। ১ বছরের উর্ধ্ব শিশুকে প্রথমে উচ্চ পুষ্টি সম্পন্ন বিশেষভাবে তৈরি খাবার খাওয়াতে হবে এবং পাশাপাশি মায়ের দুধ ২ বছর বয়স পর্যন্ত খাওয়াতে হবে।এই সময় শিশুদেরকে যথেষ্ট পরিমাণ নিরাপদ পানি পান করাতে হবে। কারণ তারা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি তৃষ্ণার্ত থাকে।
- মারাত্মক শিশুর দ্রুত পুষ্টি পুনর্বাসনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি খাবার খুবই দরকারি। পরিমাণে কম কিন্তু বেশিবার দিনে চার-পাঁচবার দিতে হবে। মারাত্মক শিশুর সংক্রমণ বা অন্যান্য জটিলতা থাকলে তার দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। পুষ্টি বা স্বাস্থ্য কর্মীর বা ডাক্তারের পরামর্শ মত শিশুকে উচ্চ পুষ্টি মান সম্পন্ন বিশেষভাবে তৈরি খাবার ও ওষুধ খাওয়াতে হবে। তাছাড়া বড় ধরনের রোগ হতে পারে যেমন শিশুদের অবশ্যই জনিত রোগের নাম এর মধ্যে অন্যতম হলো নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, রাতকানা, ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়া ইত্যাদি সমস্যা গুলো হতে পারে।
- বড়দের অপুষ্টি নির্ণয়ের জন্য বিএমআই দেখা হয়ে থাকে কারো যদি বিএমআই ১৮.৫ এর নিচে পাওয়া যায় তবে তাকে অপুষ্টি রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।
মারাত্মক অপুষ্টি রোগী যদি সে খাবার খেতে না পারে তাহলে হাসপাতালে যে ধরনের নল দিয়ে রোগীকে খাওয়ানো হয়। সে নল দিয়ে প্রয়োজনে অল্প অল্প করে তাকে খাওয়াতে হবে। তবে হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
হাসপাতাল গুলোতে মারাত্মক অপুষ্টি রোগীকে ফিডিং টিউবের মাধ্যমে রোগীকে খাদ্য খাওয়ানো হয়। এছাড়াও হাসপাতালে সাধারণত এই রোগীকে পেটের কোন একটা একটা সাইটে অস্ত্র প্রচার করে নলটি ঢুকিয়ে দিয়ে খাদ্যনালী পর্যন্ত দিয়ে থাকে এবং আস্তে আস্তে তাকে খাবার দেওয়া হয়।
আমাদের শেষ কথা
পরিশেষে বলা যেতে পারে যে, শিশু যদি অপুষ্টিতে ভুগতে থাকে তাহলে তারা শারীরিক, মানসিকভাবে সকল দিক দিয়েই সমস্যায় ভুগতে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা যায় যেমন শিশুদের অপুষ্টি জনিত রোগের নাম হল, রাতকানা, বেরি বেরি, হাড্ডিসার ইত্যাদি। যদি আপনার শিশুর উপরোক্ত লক্ষণ গুলো দেখা যায়, তাহলে অতিশীঘ্র হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url