গরম পানিতে বা আগুনে পোড়া দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন
আমরা অনেকেই আগুনে পোড়া দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় জানিনা। প্রতিটা মানুষ কাজ করতে গিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে পুড়ে যায় এবং ক্ষত সৃষ্টি হয়। তাই এই আর্টিকেলে আমরা ক্ষত বা পোড়া দাগ দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
আমরা অনেকেই বিজ্ঞাপন দেখে পোড়া দাগ দূর করার জন্য বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ক্রয় করে থাকি এবং সেগুলো প্রতিনিয়ত ব্যবহার করি কিন্তু পরবর্তীতে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়।
পোস্টসূচিপত্রঃগরম পানিতে বা আগুনে পোড়া দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন
আগুনে পোড়া দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
রান্না করার সময় সাধারণত মানুষের হাত- পা বা শরীরে বিভিন্ন অংশ আগুনে পড়ে যায় এবং পুড়ে যাওয়ার পর দাগ হয়ে যায়। তাই আগুনে পোড়া দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিন,
ভিনেগারঃ ভিনেগারে থাকে অ্যাসিটিক অ্যাসিড যেটা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। আগুনে পোড়ার পর যে দাগ ও ক্ষত হয় সেটা কমাতে ভিনেগার অনেক উপকারী।
২ চামচ ভিনেগার এবং ২ চামচ পানি মিশিয়ে নিন। এরপর এটা নিয়ে তুলা দিয়ে ক্ষতস্থানে দিন। এভাবে প্রতিদিন .২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করুন।
সরিষা বীজঃ এতে থাকে অ্যালাইল আইসোথিওসায়ানেট। এটা ক্ষতস্থানে লাগালে ব্যথা ও রক্ত প্রবাহ কমিয়ে নিয়ে আসে।
১ চামচ সরিষার বীজ এর সাথে অর্ধেক চামচ পানি ভালোভাবে ব্লেন্ডার করুন। এরপর এই মিশ্রণটি ক্ষতস্থানে লাগিয়ে নিন।
অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা তে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ব্যথা ও প্রদাহ কমিয়ে নিয়ে আসে।
এটা ব্যাকটেরিয়াকে বাধা দেয় যার কারণে আগুনে পোড়ার দাগ ও ক্ষত মুছে যেতে সাহায্য করে।
এক চামচ এলোভেরা জেল নিয়ে ক্ষত জায়গায় সুন্দর করে লাগিয়ে দিন। প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার লাগিয়ে দিন।
মধুঃ মধু একটি অ্যান্টিবায়োটিক যার উপকার বলে শেষ হবেনা।পুড়ে গেলে যে ক্ষত হয়, সেখানে সংক্রমণ যেন না হয় এজন্য বাধা দেয়। এছাড়াও মধু জ্বালাপোড়াকে উপশম করে ও ক্ষতস্থান এর ঘা শুকাতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে।
তাই জেনে নিন; ২ চামচ মধু নিয়ে যেখানে ক্ষত হয়েছে সেখানে লাগিয়ে দিন। প্রতিদিন তিনবার এভাবে লাগাতে পারেন।
টি- ব্যাগঃ চা পাতার টনিক এসিড, পুড়ে গেলে যে জ্বালাপোড়া হয় তা প্রশমিত করে। এটা ক্ষতস্থানের ঘা শুকাতে সাহায্য করে ও ব্যথা কমিয়ে দেয়।
২ থেকে ৩ টি ব্যবহার করা টি ব্যাগ নিতে পারেন। এরপর ঠান্ডা হলে আগুনে পোড়া স্থানে লাগিয়ে দিন। ১০-১৫ মিনিট রেখে দিতে পারেন। এভাবে দিনে দুইবার ব্যবহার করুন।
নারিকেলের তেলঃ নারিকেলের তেল আগুনে পোড়া স্থানের ঘা শুকানোর জন্য অনেক উপকারী। আগুনে পুড়ে গেলে প্রচন্ড জ্বালাপোড়া করে ও ব্যথা করে ইত্যাদি এই সকল যন্ত্রনা থেকে অনেকটাই মুক্তি দেয়।
১ থেকে ২ চামচ নারিকেলের তেল নিয়ে যেখানে পুড়ে গেছে সেই স্থানে মেখে দিন। যতক্ষণ না এটা শুকাচ্ছে ততক্ষণ রেখে দিন। ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন তিনবার ব্যবহার করুন।
উপরোক্ত ঘরোয়া উপায় গুলো প্রয়োগ করার পরও যদি না সাড়ে তবে বাজারে কিছু ক্রিম পাওয়া যায় একজন চিকিৎসকের পরামর্শে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
রোদে পোড়া দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
অধিকাংশ মানুষ যখন রোদে যায় তখন তার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে কালো দাগের মতো দেখা যায়। এজন্য আপনারা অনেকেই হয়তো বিভিন্ন ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন কিন্তু স্থায়ী কোন সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন না। তাই চলুন আজকে রোদে পোড়া দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক;
আলুর রসঃ আলুর রসে থাকে ব্লিচিং এজেন্ট। যেটা ত্বককে সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে পারে। এছাড়াও রোদে পুড়ে গেলে যে দাগ পড়ে সেটাও দূর করতে পারে।তাই বলা যেতে পারে আলু অনেক উপকারী একটি ফসল।
একটা বড় আলোকে কেটে রস বের করে নিয়ে মুখে ও যেখানে কালো দাগ রয়েছে সেখানে ১০ থেকে ১২ মিনিট রাখবেন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করুন। আশা করি রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে যাবে।
লেবু এবং মধুঃ লেবুর রসের থাকে ব্লিচিং। এটা পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে। অল্প লেবুর রস নিয়ে তার সাথে মধু মিশাতে পারেন। এরপর মুখে ৩০ মিনিট মাখুন এরপর মুখপরিষ্কার করুন।
দই এবং টমেটোঃ টমেটোর এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল করতে পারে এবং টক দই এর মধ্যে ল্যাকটিক এসিড থাকে। যা ত্বককে খুবই নরম রাখে।
তাই ঘরোয়া উপায় হল; একটি টমেটোর খোসা ছাড়ানোর পর, এর সাথে এক থেকে দুই চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। তারপর যেখানে পুড়ে গেছে সেই স্থানে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।
শসাঃ শসা কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে রস বের করুন। তুলা দিয়ে রসগুলো মুখে মেখে নিন। শুকানোর পর মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করুন।
মসুরের ডাল ও অ্যালোভেরাঃ মসুরের ডাল পোড়া দাগ দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মসুরের ডাল ভিজানোর পরে পেস্ট তৈরি করবেন। ২ চামচ টমেটো ও অ্যালোভেরা মিশিয়ে নিন। ২০ মিনিট মুখে মাখিয়ে নিন।পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন।
উপরোক্ত ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো যদি আপনি প্রয়োগ করেন, তাহলে আশা করা যায় আপনার রোদে বা আগুনে পোড়া দাগ দূর করতে সহায়তা করবে।
গরম পানিতে পোড়া দাগ দূর করার উপায়
অসাবধানতার কারণে অনেক সময় গরম পানি দ্বারা শিশুর শরীর পুড়ে যায়। তাই সতর্ক থাকতে হবে যেন গরম পানিতে শিশুরা পড়ে না যায়। গ্রাম অঞ্চলের অনেক মানুষ গরম পানিতে পোড়া দাগ দূর করার উপায় হিসেবে অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা করে থাকে।
সেগুলো হলো কাঁচা ডিম ভেঙে দেয় অথবা নারকেলের তেল দিয়ে মাখিয়ে দেয়। যা একদমই করা ঠিক নয় এতে শিশুটা সুস্থ তো হয় না বরং আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আর পরিবারের অসাবধানতার কারণে অনেক সময় শিশুরা গরম পানিতে অথবা আগুনে পড়ার কারণে শিশুর শরীরে ক্ষত বা দাগ হয়ে যায়। তাই ঘরোয়া উপায় হল; গরম পানিতে বা আগুনে কারো শরীর অথবা হাত বা কোন অংশ পুড়ে গেলে প্রথমে ঠান্ডা পানি নিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত যে স্থানে পুড়ে গেছে সেখানে ধুয়ে ফেলুন।
কখনোই বরফ দিবেন না, কিছু ওষুধের জন্য আপনি বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। এছাড়াও সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র অথবা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে নিওমাইসিন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এরপর দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।
গরম তেলে পোড়া দাগ দূর করার উপায়
রান্না করতে গিয়ে অনেক মহিলার প্রায় হাতে তেল ছিটা লাগে অথবা শরীরের কোন অংশে তেল ছিটে লেগে পুড়ে যায় বা দাগ হয়ে যায়।তাই অধিকাংশ মহিলা গরম তেলে পোড়া দাগ দূর করার উপায় হিসেবে, বরফ ব্যবহার করে যা একদম ঠিক নয়। বরফ অনেক ক্ষতি করে যা চামড়াকে সংকুচিত করতে পারে, রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয়। তাই কিভাবে পোড়া দাগ দূর করা যায় তার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন;
মধু ও দুধঃ মধুকে বলা হয় প্রকৃতিক ওষুধ এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যথা কমাতে পারে। আর দুধ যদি ব্যবহার করতে চান তাহলে ১৫ মিনিট পর্যন্ত লাগিয়ে রাখতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ বিষ খেলে মানুষ মারা যায় কেন, জেনে নিন
এছাড়াও গরম তেল বা আগুনে পোড়া দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় হল, কলার খোসা পোড়া স্থানে লাগালে অনেক উপকার পাবেন। আক্রান্ত স্থানে কলার খোসা কালো না হওয়া পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। এরপর কালো হয়ে গেলে ফেলে দিন।
তেলঃ নারিকেলের তেলে থাকে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি এসিড। যা ফাঙ্গাস এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। কালো দাগ দূর করতেও নারিকেলের তেল অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর সাথে কিছু লেবুর রস মিশিয়ে যদি দাগের উপর লাগাতে পারেন তাহলে অনেক উপকার হবে।
উপরোক্ত ঘরোয়া বিষয়গুলো আপনি ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাবেন এবং গরম তেলে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।
হাত ও পায়ের রোদে পোড়া দাগ দূর করার উপায় সমুহ
আমরা যখন কাজে বের হই তখন সাধারণত শরীরের যত্ন নিয়ে থাকি কিন্তু হাত ও পায়ের যত্ন তেমন একটা নেই না। যার কারনে অনেক সময় আমাদের হাত-পা রোদে পুড়ে যায়। সেদিকে আমরা কোন খেয়াল রাখি না কিন্তু শরীরের যেমন যত্ন নিতে হয় ঠিক তেমনি হাত পায়ের যত্ন নেওয়া দরকার। তাই হাত ও পায়ের রোদে পোড়া দাগ দূর করার উপায় গুলো জেনে নিন।
লেবু এর ব্যবহারঃ লেবুতে থাকে অ্যাসিড, যার কারণে কালো দাগ তুলতে সাহায্য করে। এর সাথে যদি পানি মিশিয়ে একটু তুলা দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে সেটা আপনার আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দেন। তাহলে ধীরে ধীরে সেরে যাবে। এই মিশ্রণের সাথে যদি আপনি বরফ মিক্সড করে নেন তাহলে আরো ভালো হবে।
টমেটোঃ টমেটো একটি ভালো উপকারী সবজি। যা পেস্ট করে আপনার পায়ে অথবা হাতের যেখানে দাগ রয়েছে সেটা উপরে যদি লাগান, তাহলে অনেক উপকার পাবেন। প্রতিদিন টমেটোর পেস্ট হাত ও পায়ে লাগানোর জন্য তাহলে পায়ের মৃত কোষগুলো নষ্ট হয়ে যাবে এবং নতুন কোষ বৃদ্ধি পাবে। পায়ের কালচে যে দাগগুলো রয়েছে সেটা উঠে যাবে।
নারিকেলের পানি যে কোন দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনি নারিকেলের পানি হাতে বা পায়ে কিংবা যে কোন আক্রান্ত স্থানে, যেখানে দাগ হয়েছে। সেই স্থানে প্রতিনিয়ত এটা লাগাতে পারেন। গোসলের পূর্বে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। কিছুদিন পর পুনরায় ব্যবহার করবেন।
পাকা পেঁপেঃ পাকা পেঁপে রোদে পুড়ে যে স্থানের দাগ হয়েছে। সেখানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এর পেস্ট তৈরি করার পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগালে দাগ দূর হয়ে যাবে। রোদে শরীরে কোন অংশ পুড়ে গেলে সে ক্ষেত্রেও এর পেস্ট লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
তাই আপনি উপরউক্ত ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন, আশা করি অনেক উপকৃত হবেন।
এসিডের পোড়া দাগ দূর করার উপায়
যে সকল দুর্বৃত্তরা এসিড নিক্ষেপ করে তারা সাধারণত এসিডের মধ্যে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড এবং সালফিউরিক অ্যাসিড দিয়ে তৈরি করে। আর এই এসিড নিক্ষেপ করার কারণে শরীরের গভীর অংশে পুড়ে যায়। মানুষের শরীর চামড়া পুরে তৃতীয় ও চতুর্থ স্তর পর্যন্ত চলে যায় যেখানে হাড় পর্যন্ত।
এমন ক্ষত হয় যা সেরে উঠতে অনেক সময় লাগে। সম্পূর্ণ সেরে ওঠার জন্য এখন পর্যন্ত তেমন কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু হয়নি। তাই এসিডের পোড়া দাগ দূর করার উপায় হল, এটা প্লাস্টিক সার্জারি করা যেতে পারে কিন্তু সেটা করলে পূর্বের ন্যায় ভালো হবে না। তবে একটু ভালো দেখা যাবে।
প্লাস্টিক সার্জারি করা অনেক ব্যয়বহুল এবং কষ্টদায়ক। তাই যখন এসিড অথবা আগুনে পুড়ে গেলে সাথে সাথে পানি ঢালতে হবে যেন শরীরের চামড়ার তৃতীয় ও চতুর্থ স্তর পর্যন্ত পুড়ে না যায়। তাহলে পরবর্তীতে চিকিৎসা করলে সুস্থ হয়ে যেতে পারে এবং এই পোড়া দাগ দূর হয়ে যেতে পারে।
পাতিলের পোড়া দাগ তোলার উপায়
ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন ধরনের পোড়া দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনেছি কিন্তু এখন পাতিলের পোড়া দাগ তোলার উপায় কি সে সম্পর্কে জানব। অনেকেই প্রশ্নটা করে থাকে। সাধারণত নারীরা রান্না-বান্না করতে গিয়ে অনেক সময় পাতিল পুড়িয়ে ফেলে।
যার কারণে অনেক দুর্গন্ধ হয় এবং সেটা তোলার জন্য বিভিন্ন সাবান অথবা ভীমবার ব্যবহার করে থাকেন কিন্তু এতে পরিষ্কার হয় না। এদিকে হাতের ত্বক নষ্ট হয়ে যায়। তাই এটা তোলার জন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে অতি সহজেই পাতিলের পোড়া দাগ উঠে যাবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, পাতিলের, প্রথমে পাতিলটির মধ্যে পানি দিন আবার চুলার উপর দিয়ে গরম করুন। চামিচ নাড়া দিন এরপরে দেখবেন আস্তে আস্তে পোড়া দাগ উঠে যাচ্ছে।
তারপর সাবান অথবা অন্য কিছু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন একদম পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। আশা করি বিষয়টা কাজে লাগবে।
ছেলেদের রোদে পোড়া ত্বকের ক্রিম
ছেলেরা সাধারণত কাজের জন্য বাইরে থাকতে হয়। তাই তাদের সবসময় ধুলাবালি লাগার কারণে এবং রোদে ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। চোখের নিচে দাগ পড়ে যায়, মুখের বিভিন্ন জায়গায় ঘামে যাওয়ার কারণে নাকের চতুরদিকে ব্ল্যাকেহেড দেখা যায়। তাই প্রত্যেক ছেলেদের রোদে পোড়া ত্বকের ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।
যখন অফিসের উদ্দেশ্যে বাহিরে যাবেন তখন ব্যাগের ভেতর এই ক্রিম রাখতে পারেন। এছাড়াও এছাড়াও ছেলেদের রোদে পোড়ার কারণে চোখের নিচে দাগ পড়ে যায়। তাই যদি আপনার রোদে পড়ে ত্বক নষ্ট হয়ে যায়।
তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি রাত্রে শোয়ার আগে উপটান ব্যবহার করতে পারেন অথবা চন্দন ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায় একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ক্রয় করে ব্যবহার করুন।
শেষ কথাঃ গরম পানিতে বা আগুনে পোড়া দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে আগুনে পোড়া দাগ অথবা বিভিন্ন কারণে মানুষের ত্বক হাত-পা ইত্যাদি জায়গায় পুড়ে যাওয়ার কারণে সেখানে দাগের সৃষ্টি হয়। আর সব ধরনের পুড়া বা আগুনে পোড়া দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে উপরোক্ত বিষয়গুলো আপনি যদি প্রয়োগ করেন।
তাহলে অনেক উপকৃত হবেন এবং এই দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়া যদি সমস্যা বেশি হয় তাহলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাবেন। আমার পোস্টা টা পরে যদি আপনার ভালো লাগে, তাহলে আপনার বন্ধু- বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url