স্ট্রোকের লক্ষণ গুলো কি কি জানুন ও ব্রেন স্ট্রোক হলে কি করা উচিত, জেনে নিন
যারা উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতো বড় ধরনের রোগে ভুগছেন তারা স্ট্রোকের লক্ষণ গুলো কি কি, জেনে নিন। অনেকেই স্ট্রোক বলতে হৃদপিন্ডের অসুখ বুঝে থাকেন,আসলে স্ট্রোক মস্তিষ্কের অসুখ। চলুন স্ট্রোকের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অনেকের ধারণা স্ট্রোক দুই প্রকার হার্টের আর ব্রেনের। এ থেকে মুক্ত হতে বর্তমানে ব্রেনের এই অসুখকে স্ট্রোকের বদলে ব্রেন অ্যাটাক হিসেবে পরিচিত করা হচ্ছে। এটাই হল ব্রেন এটাক। সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কনটেন্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃস্ট্রোকের লক্ষণ গুলো কি কি ও ব্রেন স্ট্রোক হলে কি করা উচিত, জেনে নিন
ব্রেন স্ট্রোক
বর্তমানে ব্রেইন স্ট্রোক একটি কমন সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। যার পরিণতি মারাত্মক। তিন ভাগের একভাগ রোগী সাথে সাথেই মারা যেতে পারে এবং তিন ভাগের এক ভাগ রোগী চিরদিনের জন্য পঙ্গ হয়ে যেতে পারে। আপনারা অনেকেই এরকম রোগী দেখেছেন।
পৃথিবী জুড়েই ব্রেন স্ট্রোক মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি।
ব্রেইন স্ট্রোক হঠাৎ শরীরে একাংশ, মুখ মন্ডলে, হাত বা পা ইত্যাদি অবশ অথবা দুর্বল হয়ে পড়ে। রোগী কখনো কখনো অজ্ঞান হয়ে যায়।
কথা বলতে বা দেখতে অসুবিধা হয়, শরীরে একাংশ ঝিমঝিম করতে পারে খিচুনি বা মাথাব্যথা হতে পারে,অনেক সময় রোগী স্মৃতি হারিয়ে ফেলে।
স্ট্রোক কত প্রকার
সাধারণত স্ট্রোক কত প্রকার হতে পারে, আসলে স্ট্রোক প্রধানত তিন প্রকার। নিম্নে স্ট্রোকের প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো।
ইস্কেমিক স্ট্রোকঃ মস্তিষ্কের রক্তনালীর ভিতরে রক্ত জমাট বাধা হওয়ার কারণে রক্ত চলাচল করতে পারে না। যার কারনে কিছু ব্রেন টিস্যু মারা যায়। এটাই ইস্কেমিক স্ট্রোক। ইস্কেমিক স্ট্রোক ৮৫% মানুষ মারা যায়। তাই এই স্ট্রোকের লক্ষণ গুলো কি কি তা আমাদের জানা খুবই প্রয়োজন। আর এই স্ট্রোকের লক্ষণ হলো উচ্চ রক্তচাপ।
হেমোরেজিক স্ট্রোকঃ এ ধরনের স্ট্রোক সাধারণত রক্তনালী ছিড়ে যায়, মস্তিষ্কের ভিতরে কোন রক্তনালী ছিড়ে গেলে এ ধরনের স্ট্রোক হয়। আর এই স্ট্রোক মানুষ তিন মাসের বেশি বাঁচতে পারে না।
মিনি স্ট্রোকঃ এ ধরনের স্ট্রোক সাধারণত মস্তিষ্কের রক্তনালীতে কিছু একটা বাধা প্রাপ্ত হয়ে কিছু সময়ের জন্য রক্ত চলাচল বন্ধ হয়। পরবর্তীতে এটা ভালো হয়ে যায়। একে মিনি স্ট্রোক বলা হয়ে থাকে। উপরোক্ত আলোচনা থেকে হয়তো বুঝতে পেরেছেন স্ট্রোক কত প্রকার।
স্ট্রোক কিভাবে হয়
প্রকৃতপক্ষে স্ট্রোক কিভাবে হয় তা হলো, ব্রেনের রক্তশিরা জালের মত বিস্তৃত। এই জালের কোন এক জায়গায় কোন সমস্যা হলে সেই জায়গায় রক্ত চলাচল কমে যাওয়ার ফলে স্ট্রোক হয়। সাধারণত রক্তশিরা বন্ধ অথবা ছিড়ে যায় এর ফলে ব্রেনের যে জায়গায় নষ্ট হয়, সেই জায়গার কাজের উপর ভিত্তি করে প্রকাশ পায়। রোগীর অসুবিধা কি হবে বলে রাখা ভালো যে ব্রেনের এক একটি এলাকা এক একটি নির্দিষ্ট কাজ করে।
যেমন কোন অংশ ডান হাতের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে, এই ধরনের একটি অঞ্চলকে আমরা কর্মকেন্দ্র বলি। আরেকটি মজার ব্যাপার হলো ব্রেনের বাম দিক নিয়ন্ত্রণ করে, শরীরের ডান দিক এবং ডান দিক নিয়ন্ত্রণ করে, বাম দিক।
সবচেয়ে বেশি স্ট্রোক হয় কোনটি
সবচেয়ে বেশি স্ট্রোক হয় ইস্কেমিক স্ট্রোক। এই স্ট্রোক কিভাবে হয় তা হলো রক্তনালীর মস্তিষ্কের রক্তনালী বাধা প্রাপ্ত করে অথবা মস্তিষ্কের অন্যান্য কণাগুলো রক্ত নালীকে ব্লক করে দেয়।
স্ট্রোকের লক্ষণ গুলো কি কি
এখন আমরা জানবো স্ট্রোকের লক্ষণ গুলো কি কি, নিম্নে এর লক্ষণ গুলো বর্ণনা করা হলো,
দৃষ্টিভ্রমঃ এক চোখে বা দুচোখেই ক্ষণস্থায়ী ঝাপসা দেখা অথবা একেবারেই না দেখা
অবশঃ শরীরের কোথাও অথবা একাংশ অবশ ভাব লাগা বা দুর্বল বোধ করা
মৃগীঃ হঠাৎ খিচুনি বা ধপ করে পড়ে যাওয়া
কথা বলার সমস্যাঃ কথা বলতে সমস্যা হয় তোতলিয়ে যায় কথা বলতে বলতে আওড়িয়ে যায়।
হতবিহবলঃ হঠাৎ করে কিছুক্ষণের জন্য কোন মানসিক কারণ ছাড়াই হতবিহবল হয়ে পড়া
অসুস্থ বোধ করাঃ মাথা ঝিমঝিম করা, দৃষ্টি ঘোলা লাগা, বমি বমি বোধ করা অথবা বমি হওয়া একটি জিনিস দুটো দেখা বা কখনো পা দুটিতে দুর্বল বোধ করা।
এই লক্ষণ গুলো বেশিরভাগ সময় একবারই হয় এবং স্থায়ী হয় স্ট্রোক রূপ নেয় কখনো স্বল্প লক্ষণ হিসেবে দেখা যায়।
স্ট্রোক হলে তাৎক্ষণিক করণীয়
স্ট্রোক করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলে অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই নিম্নে স্ট্রোক হলে তাৎক্ষণিক করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
- রোগীকে কাত করে শোয়ায়ে দিতে হবে। এই মুহূর্তে তাকে খাদ্য দেওয়া যাবে না। কেননা খাদ্য গলায় আটকে যেতে পারে
- গায়ে জামা কাপড় ঢেলে করে দিতে হবে
- চোখের সমস্যা হলে চোখ ঠিক করে দিতে হবে
- শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে কিনা, রক্ত চলাচল করছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
- মূত্রথলির সমস্যা হলে প্রয়োজনে ক্যাথেলা পরাইয়া দিতে হবে
- এবং অতি দ্রুত গতিতে নিকটস্থ কোনো হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে তার পূর্ববর্তী যদি কোন ফাইল থাকে তাহলে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে
- মুখে বমি অথবা লালা যদি জমে থাকে সেটা পরিষ্কার করে দিতে হবে
ব্রেন স্ট্রোক এর পরবর্তী সমস্যা
যেসব কারণে ব্রেন স্ট্রোক হয় ও তার পরবর্তী সমস্যাগুলো দেখা দেয় নিম্নে দেওয়া হলো
- শরীরে কোন অংশ যেমন মুখমন্ডল হাত-পা অথবা শরীরে একাংশ অবশ অথবা দুর্বল বোধ করা
- চোখে বিশেষত এক চোখে ঝাপসা দেখা
- কথা বলতে অথবা বুঝতে অসুবিধা
- প্রচন্ড মাথা ব্যথা, বমি, অজ্ঞান হওয়া
- মাথা ঝিমঝিম করা, হাঁটতে অসুবিধা পড়ে যাওয়ার ভাব
- ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণ গুলো কি কি, তবে এ লক্ষণ সবগুলো একসাথে নাও দেখা দিতে পারে। তাই একটি হলেও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ব্রেন স্ট্রোক কি কারনে হয়
ব্রেন স্ট্রোক বিভিন্ন কারণে হতে পারে তবে নিম্নে ব্রেন স্ট্রোক কি কারনে হয় তা বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো।
- যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে
- যাদের ডায়াবেটিস আছে অথবা চিকিৎসা করে না
- ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণ এর মধ্যে অন্যতম লক্ষণ ও কারণ হলো হার্টের অসুখ, বিশেষ ভাল্বের সমস্যা আছে।
- যাদের শরীরের বাড়তি ওজন আছে অর্থাৎ যারা মোটা
- যাদের রক্তে চর্বি ও শর্করার আধিক্য বেশি আছে
- জন্মগতভাবে ব্রেনের অসুবিধা শক্ত হয়ে যাওয়া রক্তক্ষরণের প্রবণতা ইত্যাদি রোগ থাকলেও স্ট্রোক হতে পারে
- যে সমস্ত মহিলার জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি খান। যারা মদ্যপান, ধূমপান বা তামাক জাতীয় দ্রব্যাদি গ্রহণ করেন
- বয়স যত বাড়বে ব্রেইন স্ট্রোক ঝুঁকি তত বাড়বে
ব্রেন স্ট্রোক হলে কি করা উচিত
রোগ হওয়ার পূর্বেই কি করা উচিত সেটা আমাদের জানা প্রয়োজন। তাই নিম্নে ব্রেন স্ট্রোক হলে কি করা উচিত, সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
- শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলা এবং মোটামুটি আদর্শ ওজন বজায় রাখা
- নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা এবং বেশি থাকলে সঠিকভাবে চিকিৎসা করা
- ধূমপান বা মধ্যপান সম্পন্নভাবে ছেড়ে দেওয়া
- স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য অভ্যাস গড়ে তোলা, যাদের রক্ত চর্বির আধিক্য আছে তাদের চর্বি কমাতে হবে এবং ডিমের কুসুম খাওয়া বন্ধ করতে হবে
- মানসিক চাপ পরিহার করার চেষ্টা করা
- যদি কারো ডায়াবেটিস থাকে তবে সঠিকভাবে চিকিৎসা করা
- রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে তা কমিয়ে ফেলা
- বিশেষত যারা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করেন না তারা নিয়মিত ব্যায়াম করা
স্ট্রোকের চিকিৎসা
যেহেতু স্ট্রোক ব্রেনের রক্ত চলাচল কমে যাওয়ার জন্য হয় এবং ব্রেন কম রক্ত প্রবাহ নিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারে না। তাই স্ট্রোকের চিকিৎসা তাৎক্ষণিকভাবে শুরু করতে হয়, হার্ট অ্যাটাকের মতোই স্ট্রোক কে গুরুত্ব দিতে হবে।
- চিকিৎসা শুরুই হবে ব্রেনের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় আনার চেষ্টার মাধ্যমে এজন্য রক্তচাপ সঠিক রাখতে হবে। হার্টের ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে হবে। কখনো কখনো ওষুধ প্রয়োগ করে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে
- প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পর বহুদিন পর্যন্ত অথবা সারাটা জীবন উপযুক্ত ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন হতে পারে
- রক্তের জমাট বাধা অবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য স্ট্রোকের চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
- বুঝতে পারার সাথে সাথে বিশেষজ্ঞ অথবা নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
স্ট্রোক রোগীর খাবার
স্ট্রোক করার পর রোগী কি খাবার খাবে সে বিষয়টা একজন ডাক্তার অবশ্যই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নিম্নে স্ট্রোক রোগীর খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
শাকসবজি ও ফলমূলঃ শাকসবজি ও ফলমূলে থাকে অ্যান্টিএক্সিডেন্ট। আর এক্সিডেন্ট রক্তনালী ক্ষয় হ্রাস প্রতিরোধ করে। এছাড়াও শাকসবজি এবং ফলমূলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। আর পটাশিয়াম ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি ২৪% কমাতে পারে।
আপনি এতক্ষণে হয়তো জানতে পেরেছেন যে স্ট্রোকের লক্ষণ গুলো কি কি, তার মধ্যে অন্যতম লক্ষণ হলো উচ্চ রক্তচাপ। তাই উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে কলা, আম, জাম, বরই ,লেবু, কমলা লেবু, ফুলকপি ইত্যাদি। আর একটা কলার ভিতরে পটাশিয়াম থাকে্টা ৪২২ মিলিগ্রাম।
আমিষ জাতীয় খাবারঃ ফাইবার বা আশযুক্ত খাবার। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও স্ট্রোকের রোগীদের জন্য অনেক সহযোগিতা করতে পারে। ফাইবার বা আশযুক্ত খাবার গুলো ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখেন। তাই ব্রেন স্ট্রোক ঝুঁকি কম থাকে। এজন্য স্ট্রোক রোগীর খাবার হতে পারে; লাল আটা, লাল চাল, সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে। কেননা ১০০ গ্রাম পালং শাকে ২.৪ গ্রাম ফাইবার থাকে যা স্ট্রোক ঝুঁকি থেকে বাঁচায়।
ম্যাগনেসিয়ামঃ স্ট্রোক ঝুঁকি কমাতে ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন সকল ধরনের বাদাম, ডাল, গম, ভুট্টা, খেজুর, কফি ইত্যাদি খেতে হবে।
ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামঃ ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম পেতে হলে সকাল দশটা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সূর্যের আলোতে কিছুক্ষণ সময় থাকতে হবে। এতে ক্যালসিয়াম এর উৎপাদন হবে। এছাড়াও স্ট্রোক রোগীর খাবার হিসেবে খাওয়া যেতে পারে টমেটো, গাজর ,পেয়ারা, তরমুজ , ইত্যাদি ফলগুলো খেতে পারে।
ওমেগা ৩- জাতীয় খাবারঃ যেমন ইলিশ মাছ, টুনা মাছ, পাঙ্গাস ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে চর্বি থাকে
স্ট্রোক রোগীর ব্যায়াম
ব্রেন স্ট্রোক রোগীর ব্যায়াম বিভিন্ন রকমের হতে পারে, তবে রোগী বিভিন্ন ধরনের প্যারালাইজড হতে পারে মুখ বেঁকে যাওয়া, ঘুমাতে গিয়ে চোখ বন্ধ না হওয়া, তারপর কথা বলতে না পারা, খাবার খেতে না পারা এই সকল সমস্যাগুলো হতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে একজন ডাক্তার যেভাবে ব্যায়াম দিয়ে থাকেন।
সেই ব্যায়ামগুলো করা দরকার এবং এই ব্যায়ামগুলো আস্তে আস্তে করতে থাকলে সে খেতে পারবে বা লিখতে পারবে। যাই হোক একজন রোগীর জন্য তার পরিবারের সকল সাপোর্ট খুবই দরকার। মানসিকভাবে সাপোর্ট দরকার সে মানসিকভাবে অনেকটাই ভারসাম্যহীন
হয়ে পড়ে।
আর ডাক্তার যে ব্যায়ামগুলো দিয়ে থাকে সেগুলো পরিবারের লোক আস্তে আস্তে করতে করতে সেটা তারা শিখে ফেলে। তাই তাদেরকে এই কাজগুলো করতে হবে। তা না হলে মুখে কথা বলতে পারবেনা, মুখ খেতে পারবেনা। দেখা যাবে নলের মাধ্যমে খাওয়াতে হবে অথবা হাত গুলো প্যারালাইজড হয়ে গেলে সেখানে গাওয়া হয়ে যেতে পারে।
আরো সমস্যা যেমন চোখ বন্ধ করে যদি ঘুমাতে না পারে তাহলে চোখে ইনফেকশন হতে পারে ইত্যাদি।
মানুষ স্ট্রোকের চিকিৎসা কেন করে না।
- আসলে অনেকে জানেই না যে স্ট্রোকের লক্ষণ কি? যার কারনে তারা কোন রোগের চিকিৎসা করবে এটা বুঝতে পারে না।
- মনে করে যে লক্ষণ সমূহ ভয়ের কিছু নয় বা জরুরী কিছু না
- মনে করে লক্ষণগুলো অচিরেই দূর হয়ে যাবে
- চিকিৎসার ব্যয় সংক্রান্ত ভীতি
- স্ট্রোক হয়েছে এটা নিজের কাছেই স্বীকার করতে ভয় পায়।
- ডাক্তার বা হাসপাতালে যেতে ভয় পায়
লেখকের শেষ কথা
পরিশেষে বলা যেতে পারে যে, স্ট্রোক একটি মারাত্মক রোগ। এটা পরিবারের কাছেও অনেক কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়ায়। একে তো তাকে সেবা করতে হয় দ্বিতীয়ত তার পিছনে ব্যয় করতে হয়। তারপর যদি পরিবারের একমাত্র উপার্জন ব্যক্তি স্ট্রোক করে তাহলে আরো কষ্ট । তাই স্ট্রোকের লক্ষণ গুলো কি কি, যদি আপনি প্রাথমিক পর্যায়ে জানতে পারেন। তাহলে চিকিৎসা করলে রোগী অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠবে। যদি আপনার কাছে আমার পোস্টটি ভালো লাগে, তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url