আচিল দূর করার ঘরোয়া উপায় - আচিল থেকে ক্যান্সার হতে পারে
আপনার যদি আচিল হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে আচিল দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো প্রয়োগ করতে পারেন। যদি এর চিকিৎসা না করেন, তাহলে পরবর্তীতে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। চলুন, আচিল এর চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অনেকের বেশিরভাগ আঁচিল গুলো মুখে, হাতে, পায় হয়ে থাকে। আবার কারোর যৌনাঙ্গে আঁচিল হয়, সে ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে যদি চিকিৎসা না নেয় তাহলে ক্যান্সার হতে পারে। তাই আচিল থেকে ক্যান্সার কিভাবে হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃআচিল দূর করার ঘরোয়া উপায় - আচিল থেকে ক্যান্সার হতে পারে
আচিল কি
আসলে আচিল কি তা দেখতে খুবই ছোট। অনেকেই আচিল ও তিল একই মনে করে। আঁচিল সাধারণত মানুষের মুখে, হাত, ঘাড়ে, গলায় এ সকল জায়গাতে বেশিরভাগ হয়ে থাকে। এটা কে বলা হয় বিনাইন টিউমার। অনেক চিকিৎসক বলে থাকে বিনাইন টিউমার হল নন ক্যান্সার যেটাতে ক্যান্সার হবে না।
কিন্তু যদি এই আচিল যৌনাঙ্গ এ হয় সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসা না করলে অনেক সময় ক্যান্সার হতে পারে। আর অন্যান্য জায়গায় যদি হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে ক্যান্সার নাও হতে পারে। কারণ অনেকে বুঝতেই পারে না যে আমার আঁচিল হয়েছে কেননা আচিল কোন ব্যথা অনুভূত হয় না।
চুলকাইও না কিন্তু যদি যৌনাঙ্গ হয় সে ক্ষেত্রে চুলকায় এর কারণে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই আচিল অবহেলার বিষয় নয় এটা হলে আপনি একজন চিকিৎসকের মাধ্যমে অপারেশন করে ফেলে দিতে পারেন।
আঁচিল কেন হয়
এখন আমরা জানবো আঁচিল কেন হয় নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
এটা সাধারণত বংশগত রোগ বলা যায়। যে সকল পরিবারের ডায়াবেটিসের রোগী আছে এবং তাদের বংশ কারো ডায়াবেটিস আছে। তাছাড়া আপনার যদি ওজন বেশি হয় এবং বহুমূত্র রোগ থাকে, তাদের অল্প বয়সেই দেখা যায় ত্বকে আচিল হওয়া শুরু করে।
প্রকৃতপক্ষে আঁচিল কেন হয় তা হল যে ব্যক্তি আঁচিল আক্রান্তিত হয়েছে তার ব্যবহারের জিনিসপত্র যদি আপনি ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে আঁচিল হতে পারে। আবার সেলুনে যদি আপনি চুল কাটান সেখানে ওই কাঁচি এর মাধ্যমে এবং ক্ষুরের মাধ্যমে এই রোগ সারাতে পারে।
যে সকল মায়ের আঁচিল রয়েছে তার সন্তানেরও হতে পারে কেননা সন্তান তার মায়ের বুকের দুধ খেয়ে বড় হয়।
অনেকেরই একটা মুদ্রা দোষ রয়েছে সেটা হল নখ কামড়ানো, এর মাধ্যমে মুখের ভিতর অথবা জিহবা তে আচিল হতে পারে।
আপনার শরীরে যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একদমই কম থাকে সেক্ষেত্রে আপনার আচিল হতে পারে।
যে ব্যক্তির যৌনাঙ্গে আঁচিল থাকে তার সাথে যদি আপনি মেলামেশা করেন সেক্ষেত্রে আপনারাও হতে পারে। কারণ এটি ছোঁয়াচে রোগ এবং যৌনাঙ্গের মাধ্যমে যে আঁচিলটা ছড়ায় সেটা সাধারণত ওই ব্যক্তির পায়ু পথের চারিদিক দিয়ে প্রচুর পরিমাণে আচিল হতে পারে।
যে সকল মহিলা গর্ভবতী হয়েছে তাদের যদি এই ধরনের আচিল হয় সেই ক্ষেত্রে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে আচিল গুলো আরো বড় হতে থাকে। যদি যৌনাঙ্গে হয় সে ক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারি হতে অনেক কষ্ট হয়।
আপনার যদি আচিল হওয়ার পরে একাই আবার পড়ে যায় বা সেরে যায় তবে পরবর্তীতে তার না হতে পারে কিন্তু যাদের আচিল হয় তাদের এমনিতেই প্রচুর পরিমাণে আচিল হওয়া শুরু করে।
আঁচিল কি ছোঁয়াচে
অনেকেই জানে না আঁচিল কি ছোঁয়াচে রোগ, হ্যাঁ আসিল ছোঁয়াচে রোগ। আঁচিল এর একটি প্রকারভেদ কে ইংরেজিতে বলা হয় মোলাস্কাম কনটাজিওসাম। তাই সাধারণত এই রোগটি ছোট ছেলেমেয়েদেরকে বেশি হয়ে থাকে। কারণ তারা একসাথে স্কুলে যায় একই সাথে ঘোরাফেরা করে মিশতে থাকে যার কারণে একজনের থেকে আরেকজনের ছড়িয়ে পড়ে।
এছাড়া পরিবারে কারো যদি হয়ে থাকে তার জিনিসপত্র যেমন তোয়ালে চিরুনি তার ব্যবহৃত প্রত্যেকটা জিনিসই যদি অন্য কেউ ব্যবহার করে সে ক্ষেত্রেও এই আঁচিল হতে পারে। এছাড়া আঁচিলের আরো একটি প্রকারভেদ রয়েছে সেটার নাম হলো ওয়ার্ট বা ভেরুকা এই আঁচিল কি ছোঁয়াচে অসুখ, হ্যাঁ এটি ছোঁয়াচে এবং সংখ্যায় সাধারণত একটি বা কখনো কখনো অনেক হতে পারে।
দেখতে এটিও গোলাকার তবে বাহিরের আবরণটি এক্ষেত্রে অস্বচ্ছ শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে এর আকৃতি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে এটাও সাধারণত বাচ্চাদের বেশি হয়ে থাকে যদি মুখে অনেক হয় তবে বড়দের ক্ষেত্রে যখন হয় তখন সংখ্যায় দুটি বা তিনটির মতো দেখা দেয়।
আচিল এর চিকিৎসা
আচিল এর চিকিৎসা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায় যেমন অনেকেই আছেন যাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু আঁচিল আছে। বিভিন্ন ধরনের বিকল্প চিকিৎসা গ্রহণ করেও সেরে উঠছে না এক্ষেত্রে আসলে আচিল এর চিকিৎসা কি, তারা জানতে চায়। এক্ষেত্রে ইলেকট্রোকটারী করে নির্মূল করা যায়। তবে এটা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা সাধারণত কাজটা করে থাকে।
আপনার এ ধরনের আচিল থাকলে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন। এখনো অনেক মানুষ বিশ্বাসই করেনা যে আঁচিলের আবার এরকম চিকিৎসা করতে হয়। তাদের আচিল সম্বন্ধে সাধারণত মনে এই একটি ভুল ধারণা আছে যে এর কোন চিকিৎসা এলোপ্যাথিক নেই। এটা হোমিওপ্যাথি দ্বারা আচিল দূর করার ঘরোয়া উপায় এ চিকিৎসা করতে হবে।
অপারেশন ছাড়া অন্য কোন ব্যবস্থা করলে সবচেয়ে ভালো হয় এই ধারণা যারা পোষণ করেন। তাদের সঠিক তথ্য জানানোর জন্য আজকের আমার এই পোস্টটি লেখা। আচিল বলতে সাধারণত মানুষ যা বোঝেন তার বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে তবে প্রকারভেদ যাই হোক না কেন এটি কখনো কখনো নিজে থেকেই কিন্তু ভালো হয়ে যায়।
আর নিজ থেকে ভালো হয়ে যাওয়ার কারণেই অনেকের এর প্রতি চিকিৎসা না করে বিরত থাকেন এবং মনে করেন যে বিভিন্ন ধরনের গাছ, লতা পাতা দিয়ে ব্যবহার করে অথবা কবিরাজি অথবা হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে মনে হয় আমার এটা সেরে গেছে কিন্তু আসলে একা একা এটা সেরে গেছে। এই ভুল ধারণা থেকে চিকিৎসা না নেওয়ার কারণে কখনো কখনো চিকিৎসা ব্যবস্থা তো দূরের কথা এলোপতির চিকিৎসকদেরই হিমশিম খেতে হয়।
কখনো কখনো চিকিৎসা প্রায় অসম্ভব কিন্তু চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে বিষয়টি চিকিৎসা করা বলে থাকেন তাহলে সংখ্যা খুব বেশি হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বাড়িয়ে তোলার জন্য গ্রাইসোফুলভিন নামক ওষুধটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়ানো যেতে পারে। যা কিনা একজন চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমেই খেতে হবে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সারিয়ে তোলার জন্য অনেক ধরনের সার্জিক্যাল ব্যবস্থা নেওয়া যায় যেমন কিউরেট করা বা চেছে ভেতরের জীবাণু বের করে ফেলা।
আঁচিল দেখতে কেমন
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক আঁচিল দেখতে কেমন তা হল এটি দেখতে গোলাকার দুই থেকে পাঁচ মি.মি ব্যাসার্ধে। এটার সাদা অথবা গোলাপি রঙের হয়ে থাকে এবং শক্ত এবং মোমের মত স্বচ্ছ আবরণ যুক্ত হয় এবং মাঝখানের সুন্দর একটি গর্ত থাকে আর এটা সাধারণত হাত, মুখ, তলপেট এবং যৌনাঙ্গ বেশি হয়ে থাকে তবে ঠোঁট, জিহবা এমনকি মুখের ভিতরেও হয়ে থাকে।
এই অসুখটি ভাইরাস দ্বারা হয়ে থাকে। ভাইরাস গ্রুপের সাধারণত যাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি চিকিৎসার ক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে অনেক সময় ভালো হয়ে যায় সংখ্যা খুব বেশি হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য। আশা করি উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন আঁচিল দেখতে কেমন।
আঁচিল কি বিপজ্জনক
আঁচিল কি বিপজ্জনক সেটা জানতে চলুন জেনে নেওয়া যাক। যদিও বিষয়টি নিয়ে অনেকেই কোন টেনশন করে না কিন্তু কিছু কিছু আঁচিল রয়েছে যেটা বিপদজনক হতে পারে।
আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে এর আকৃতি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে সাধারণত বাচ্চাদের এটি হয়ে থাকে এবং সংখ্যা অনেক হয়। তবে বড়দের ক্ষেত্রেও যখন হয় তখন সংখ্যা দুটি অথবা তিনটির মত বেশি হয়। আক্রান্ত স্থান সাধারণত হাত তবে এর বিপদজনক দিক হচ্ছে শরীরের যেকোন স্থানে হয়ে থাকে নাক, কান বা মুখের ভিতর যখন হয়।
তখন চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই জটিল হয়ে পড়ে। হাতে অসুখটি থাকার পর যাদের দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস থাকে তাদের জিহবাতে হয়ে থাকে এবং মুখের ভিতরে হয়ে থাকে। তখন চিকিৎসার ব্যবস্থা খুব জটিল হয়ে যায়। তেমনিভাবে নাক, কানের ভিতরও হয়ে থাকে শুরুতে অবশ্য দেখতে এগুলো আলপিনের মাথার সমান স্বচ্ছ আবরণ যুক্ত হয়ে থাকে। আস্তে আস্তে যত সময় যেতে থাকে উপরের আবরণটি একটু স্বচ্ছ হয়ে যায়। এ ধরনের আচিল ভাইরাসজনিত।
ভাইরাসটির নাম হচ্ছে হিউম্যান পিপিলোমা ভাইরাস। পিপিলোমা ভাইরাস আপনার ভিতরে এই সকল জায়গাতে বা এই ধরনের সমস্যা যদি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই মনে করবেন এই আঁচিলটি অত্যন্ত বিপদজনক হতে পারে। তাই এই ধরনের লক্ষণ দেখার প্রাথমিক অবস্থায় ঘরোয়া উপায় প্রয়োগ করবেন, এরপরে কাজ না হলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এটার সমাধান করবেন।
আঁচিল থেকে ক্যান্সার
আঁচিল থেকে ক্যান্সার শুনতে অনেক ভয় লাগে যে আঁচিল থেকে কিভাবে আবার ক্যান্সার হয়। যে সব জায়গায় আঁচিল থেকে ক্যান্সার হতে পারে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঁচিল হয়ে থাকে যেমন চোখের পাতা, মাথা, মুখ, হাত, পা, শরীরের এমনকি যৌন অঙ্গেও হয়ে থাকে। যৌনাঙ্গে অসুখটি খুবই ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করে। এ ধরনের লক্ষণগুলো যদি দেখা দেয় প্রথম পর্যায়ে আচিল দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসাবে বিভিন্ন উপাদান প্রয়োগ করবেন।
এরপর যদি এর চিকিৎসা ব্যবস্থা না করা হয় তবে পরবর্তীতে ক্রায়োসার্জারি ছাড়া উপায় নেই। এর চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় অসম্ভব হয়ে যায় যৌনাঙ্গ অনেকদিন আক্রান্ত থাকাতে অনেক সময় ক্যান্সারের রূপ নিতে পারে। তখন যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।
এই অসুখটি বিনা চিকিৎসায় ভালো হয়ে যেতে পারে। তবে মলাস্কাম কোন্টাজুয়েশন যত তাড়াতাড়ি নিজে থেকে ভালো হয়ে যায়। অতি দ্রুত সারিয়ে তোলা যায় এমন একটি চিকিৎসা ব্যবস্থার নাম হচ্ছে ইলেক্ট্রোবেসিকেশন তবে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন হয়।
আচিল দূর করার ঘরোয়া উপায়
নিম্নে আচিল দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো,
কলার খোসাঃ কলার খোসার মধ্যে থাকে এক ধরনের এনজাইম এবং অক্সালিক ও অ্যাসক্যারবিক এসিড। তাছাড়া কলার মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে সেটা আপনার আঁচিল অনেকটাই সেড়ে তুলতে পারে। আপনি কলার খোসার ভিতরের অংশ নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন দিনে দুই থেকে তিনবার।
আবার কলার খোসা ভেতর অংশগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগানোর পর সুতি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন। এরপরে সকালে সারারাত রাখার পরে সকালে খুলে ধুয়ে ফেলুন এভাবে কিছুদিন করতে থাকেন ভালো ফলাফল পাবেন।
রসুনঃ রসুনের মধ্যে আছে এক ধরনের অ্যান্টি মাইক্রোবয়াল। যা আপনি প্রথমত কয়েক টুকরো রসুন নিয়ে করে ব্লেন্ডার করে এরপরে আক্রান্ত লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ লাগানোর পর আপনি সুতি কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রাখতে পারেন। এরপরে কিছুক্ষণ পর আপনি হালকা গরম পানি পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এভাবে নিয়মিত কিছুদিন করলে অনেক উপকার পাবেন। কেননা রসুন থাকা মাইক্রোবায়াল আঁচিল দূর করতে সাহায্য করে।
আলুঃ আলু এমন একটি উপাদান যা আপনার আঁচিল দূর করতে অনেক সাহায্য করতে পারে। কেননা এর ভিতরে যে উপাদানটি রয়েছে তা ভাইরাসকে ধ্বংস করে দিবে। তাই আপনি একটি কাঁচা আলু নিবেন আলু টা কে চাকা চাকা করে কাটবেন। এরপরে আচিল উপরে ঘুষতে পারেন। এছাড়াও আপনি এটা রেখে দিতে পারেন এবং এভাবে কিছুদিন করতে থাকেন। এভাবে আপনি আচিল দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো প্রয়োগ করলে আঁচিল দূর হয়ে যাবে।
অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা মুখের ত্বকের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এর মধ্যে ভিটামিন এনজাইম ও খনিজ মিনারেল ইত্যাদি রয়েছে। তাই আপনি প্রথমে আগে অ্যালোভেরা থেকে জেল গুলো বের করে নিবেন। সেগুলো একটা বাটির মধ্যে রাখার পরে আপনার যেখান দিয়ে আচিল রয়েছে সেখানে লাগাবেন এবং কোন সুতি কাপড় দিয়েও পেচিয়ে রাখতে পারেন। ২ ঘন্টা রাখার পরে সেটা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন করতে থাকলে আপনার আচিল দূর হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড থাকে। এসিড আপনার আচিল পুড়ে ফেলতে সাহায্য করতে পারে। এখন আশি কিভাবে ব্যবহার করবেন, সাবধান এটা পরিমাণ মতো ব্যবহার করবেন।
আপনার আচিল এ যতটুকু দরকার সেটুকু নেবেন, নেওয়ার পরে এক টুকরা তুলা দিয়ে ভিজিয়ে আপনার আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এভাবে সারা রাত থাকার পরে আপনি সকাল বেলা ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ভাবে করতে থাকলে আপনার আচিল পুড়ে যাবে এবং ভালো হয়ে যাবে।
আমাদের শেষ কথা
পরিশেষে বলা যেতে পারে যে, আপনার আঁচিল হলে উপরোক্ত আচিল দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন, অনেক উপকার পাবেন। আঁচিল একটি এমন একটি রোগ যা মানুষ বেশিরভাগ অবহেলা করে থাকে কিন্তু কিছু জায়গাতে বা স্থানে আঁচিল হলে যেটা আরো বেশি ছড়িয়ে পড়ে ও বিপদ হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ এর চিকিৎসা নিবেন। আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি একটি হলেও উপকৃত হয়েছেন। যদি আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লাগে, তাহলে আপনার বন্ধু - বান্ধবের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url