শিশুর জন্মের কতদিন পর আকিকা দিতে হয় ও আকিকা দেওয়ার নিয়ম

শিশুর জন্মের পর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কাজ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো আকিকা দেওয়া। তাই জন্মের কতদিন পর আকিকা দিতে হয় সেটা জানাও খুবই জরুরী। চলুন আকিকা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
শিশুর জন্মের পর পর আকিকা দেওয়াই ভালো। তবে এখন যদি না পারেন, তাহলে পরবর্তী দিলেও হবে কিন্তু যদি আকিকা না দেন, তাহলে গুনাগার হতে হবে। তাহলে আকিকা না দিলে কি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃশিশুর জন্মের কতদিন পর আকিকা দিতে হয় ও আকিকা দেওয়ার নিয়ম জানুন

আকিকা দেওয়ার নিয়ম

প্রত্যেক মুসলমানের তার সন্তানের জন্য আকিকা দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের দৃষ্টিকোণে আকিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই নিম্নে আকিকা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

একটি শিশুর জন্মের পর তার আকিকা করা সুন্নত এবং এই সুন্নত পালন করা অত্যাবশাকীয়। তাই আপনি অবশ্যই আপনার শিশুর আকিকা করবেন। আকিকা করা ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শিশুর জন্মের পর যদি আকিকা করেন তাহলে তার জীবনের যদি কোন বিপদ-আপদ আসে সেটা আল্লাহতালা দূর করে দিবেন। কেননা আপনার ঘরে যখন নতুন শিশুর আগমন ঘটবে তখন অনেক আনন্দ লাগবে। তাই এই আনন্দে নবজাতকের জন্য আকিকা করেন, সেই ক্ষেত্রে আল্লাহতালা খুশি হন। 
আমাদের সমাজের অনেকে ছেলে-মেয়েকে দুই রকম ভাবে দেখেন। তাই আপনি আপনার ছেলে বা মেয়ে যেটাই হোক তাদের জন্য আকিকা দিবেন। কেননা আকিকা হলো সুন্নত ইসলামী নিয়ম অনুসারে প্রত্যেক শিশুর জন্যই আকিকা দিতেই হবে। তা না হলে আল্লাহ তা'আলা হয়তো অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতে পারে। যার কারণে সন্তানের উপর বড় ধরনের বিপদ আপাদ হতে পারে।

আকিকা দেওয়ার নিয়ম হল শিশু জন্মগ্রহণের পর ৭ দিনের দিনে দিতে হয়। আর আপনি যদি সাত দিনে দিতে না পারেন তাহলে ১৪তম দিনে দিলেও হবে অথবা ২১তম দিনে দিতে পারেন। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেছেন যে, "আকিকা সাধারণত সপ্তম দিনেই দিয়ে দেওয়া ভালো। তাতে যদি না দিতে পারেন তাহলে ১৪ তম দিন তাও যদি না পারেন তাহলে ২১তম দিনে দিতে হবে।"
আর যদি এই তিন দিনের মধ্যে দিতে সমর্থ্য না হন তাহলে পরবর্তীতে সন্তান বড় হলেও দিতে পারবেন। কেননা আকিকা দেওয়া হল সুন্নত এটা কোন ওয়াজিব নয়। বিধায় যে কোন এক সময় দেওয়া যাবে এতে কোন পাপ হবে না।

আর একটা হাদীসে হযরত আনাস (রাঃ) বলেছেন যে, "রাসূল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবুয়ত প্রাপ্তির পর তিনি নিজের আকিকা নিজেই দিয়েছিলেন, হাদিসে (বায়হাকী)।"

আরো একটি হাদিস হলো হযরত সামুরা ইবনে জন্দুব বর্ণনা করেছেন যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন "প্রত্যেক শিশুর জন্মগ্রহণ করার পর তার আকিকা করতে হবে এবং শিশুর সপ্তম দিনে পশু জবাই করে, তারপর মাথা মন্ডন করবে এবং নাম রাখবে (সুনানে আবু দাউদ)।"

আশা করি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছেন যে শিশুর জন্মের কতদিন পর আকিকা দিতে হয়, এতে যদি আপনার কোন জানার বা সন্দেহ থাকে তাহলে আপনি একজন বিজ্ঞ আলেমের কাছে পরামর্শ নিতে পারেন।

আকিকার অনুষ্ঠান করা কি জায়েজ

আকিকার অনুষ্ঠান করা কি জায়েজ এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন নির্দিষ্ট হাদিস নেই। তবে আকিকার গোস্ত নিজেরা খাওয়া যাবে এবং আশেপাশের প্রতিবেশী গরিব মানুষ থাকলে তাদেরকেও দেওয়া যাবে। তাছাড়া আত্মীয়-স্বজন কেউ দেওয়া যাবে। এক কথায় কোরবানির গোস্ত যেভাবে বন্টন করা হয় ঠিক আকিকার গোস্ত বন্টন করতে হবে।

তবে অনুষ্ঠান যে করতে হবে এই ধরনের কোন ইঙ্গিত কোন হাদিসে রাসূল সাঃ দিয়ে যান নি। তবে আমরা সাধারণত আত্মীয়-স্বজনকে খাওয়াতে পছন্দ করি এবং রাসূল সাঃ অতিথি আপ্যায়ন পছন্দ করতেন। সেই হিসেবে অতিথিদেরকে আপ্যায়ন করে যদি খাওয়াতে পারেন তাহলে এটা কোন ক্ষতি নেই। তবে বাধ্যতামূলক যে খাওয়াতেই হবে অনুষ্ঠান করে এরকম কোন নিয়ম নেই বা এটা না করলে যে পাপ হবে এ ধরনের কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই।

কিন্তু বর্তমানে আমাদের সমাজে আকিকা একটা ফ্যাশন হিসেবে মনে করে। আকিকার দিনে বিভিন্ন ধরনের নাচ গান ইত্যাদি করে থাকে যেটা আসলে ইসলামী শরীয়ত মত নয় অথচ দেখেন তারা হয়তো অনেকে জানেই না যে একটা শিশুর জন্মের কতদিন পর আকিকা দিতে হয়। কিন্তু অনুষ্ঠান করে নাচ গান তোলপাড় শুরু করে দেয়, এটা আসলে ইসলামে বৈধ নয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন আকিকার অনুষ্ঠান করা কি জায়েজ হবে কিনা।

আকিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার শিশুর জানের পরিবর্তে জান দেওয়া কে বোঝায় অর্থাৎ আপনি একটি জীবন পেয়ে যেরকম খুশি হলেন অনুরূপভাবে আল্লাহকে খুশি করার জন্য একটি পশু আল্লাহর রাস্তায় উৎসর্গ করলে আল্লাহতালা খুশি হন। কেননা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য তাই নিজে খুশি হলেই শুধু চলবে না, আল্লাহকে খুশি করার জন্য হলেও আপনার শিশুর আকিকা দিতে বাধ্যতামূলক।

এই বিষয়টা নিয়ে অনেক আলেম ওলামার মাঝে মতানৈক্য রয়েছে। তবে সবাই একমত যে শিশুকালেই আকিকা দেওয়া ভালো। আর এটা একমাত্র তার বাবা-মার উপরে দায়িত্ব পড়ে যায়।

জন্মের কতদিন পর আকিকা দিতে হয়

একটি শিশুর ভূমিষ্ঠ হবার পর কিছু কাজ থাকে তার মাঝে অন্যতম হলো শিশুর আকিকা দেওয়া। এখন প্রশ্ন আসে যে জন্মের কতদিন পর আকিকা দিতে হয় তো চলুন জেনে নেওয়া যাক, ইসলামের দৃষ্টিকোণে আকিকা করার নিয়ম হলো নবজাতকের সপ্তম দিনে আকিকা দেওয়া হল ভালো।

কেননা রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "তোমরা তোমাদের শিশু জন্মের পর আকিকা করো এবং মাথা মন্ডন করো, নাম রাখো।" আরো একটি হাদিসে বলা হয়েছে যে তোমরা যদি সপ্তম দিনে না পার তবে ১৪ তম দিনে করো, এরপরও যদি না পারো তাহলে ২১তম দিনে করবে। তবে শিশুর জন্মের পর পরই করা সবচাইতে ভালো হবে।
কেননা এটা একজন আপনার অভিভাবক হিসাবে শিশুর আকিকা করা আপনার উপর দায়িত্ব। শিশু বড় হয়ে তার নিজের আখিকা কেন করবে যদিও এই বিষয়ে আলেমদের মাঝে অনেক মতানৈক্য রয়েছে। তবে সর্বোপরি কথা হলো আকিকা শিশুকালে দেওয়ায় ভালো। আর একান্তই যদি আপনার সামর্থ্য না থাকে তাহলে পরবর্তীতেও দিতে পারবেন।

কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তার আকিকা নিজেই দিয়েছিলেন, সেই হিসাবে বলা যেতে পারে দেরিতে দেওয়া যাবে।

ছেলেদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম

আকিকা দেওয়া হল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশনা এবং এটি একটি সুন্নত যা পালন করা অবশ্যক। তাই প্রত্যেকটা শিশুর পিতা-মাতার উচিত তার সন্তানের আকিকা দেওয়া। এখন জেনে নেওয়া যাক ছেলেদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আসলে ইসলামের দৃষ্টিকোণে রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর সুন্নত হিসেবে ছেলেদের জন্য দুটি ছাগল দিয়ে আকিকা করতে হবে।
ছবি
এখন সেই ক্ষেত্রে ছাগল দুটি অবশ্যই বয়স হতে হবে এবং রোগা ছাগল চলবে না। এখন অনেকেই প্রশ্ন করে যে শিশু জন্মের কতদিন পর আকিকা দিতে হয়, রাসূল সাঃ এর সুন্নত অনুযায়ী সপ্তম দিনে দেওয়াই ভালো।তবে কারো যদি সামর্থ্য না থাকে দুটি ছাগল দিয়ে আকিকা করার, তাহলে একটি দিয়ে দিলেও আকিকা হয়ে যাবে কিন্তু রাসুল সাঃ এর সুন্নত হিসেবে দুইটা দেয়াই ভালো হয়।

যদি আবার পরবর্তীতে সামর্থ্য বান হন তখন আরেকটি দিয়ে দিলেও হবে। আর যদি সামর্থ্য না থাকে তাহলে একটি দিলেও তার আকিকা হয়ে যাবে। কেননা নিয়ম হচ্ছে জীবনের বিনিময় জীবন দেওয়া, আপনি একটি শিশু জীবন পেলেন তার বিনিময়ে আল্লাহর রাস্তায় রক্ত প্রবাহের জন্য একটি অথবা ছেলেদের দুটি ছাগল দেওয়া আকিকা করা সুন্নত। উপরোক্ত আলোচনা থেকে হয়তো বুঝতে পেরেছেন ছেলেদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে

মেয়েদের আকিকার নিয়ম

ছেলে-মেয়ে দুজনেরই আকিকা দিতে হবে এটা ইসলামের জরুরী একটি আবশ্যকীয় সুন্নত। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে ইসলামের দৃষ্টিকোণে রাসূল সাঃ নির্দেশনা হল মেয়েদের আকিকার নিয়ম একটি ছাগল দিয়ে আকিকা করতে হবে। এখন আমাদের সমাজে অনেকেরই কিছু কুসংস্কার এবং ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে তারা সন্তান মনে না করে লিঙ্গ বৈষম্য করে।

ছেলেদের দিকে গুরুত্ব বেশি দেয় মেয়েদের দিকে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না তাই ছেলে সন্তানের আকিকা করলেও মেয়েদের আকিকা করে না। কিন্তু এতে গুনাগার হতে হবে। তাই এই বৈষম্য না করে অবশ্যই ছেলে হোক আর মেয়ে হোক আকিকা দিবেন। তার আপনার মেয়ে সন্তান জন্মের পর হালাল পশু দিয়ে আকিকা দিবেন এবং কুরআন ও হাদিসের আলোকে একটি সুন্দর অর্থবহ নাম রাখবেন। 

আরো একটি কাজ করবেন সেটা হল মাথার চুলগুলো মন্ডণ করবেন। এগুলোই হল একটা শিশুর জন্মের পর জরুরী কাজ। হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন "তোমাদের মেয়ে সন্তানদের জন্য একটি পশু দিয়ে আকিকা করো।" এখন অনেকেই পশু বলতে গরু-ছাগল মহিষ ভেড়া ইত্যাদি বূঝে থাকে তবে যেকোনো একটি দিয়ে করলেই হবে। আর সামর্থ্য না থাকে তাহলে তা ছাগল দিয়ে দিলেও হবে। এতক্ষণে হয়তো বুঝতে পেরেছেন মেয়েদের আকিকার নিয়ম সম্পর্কে।

আকিকার মাংস কারা খেতে পারবে

আকিকার মাংস কারা খেতে পারবে এই বিষয়ে ইসলামে কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই। তাই আকিকার মাংস সবাই খেতে পারবে। আপনার পরিবার আত্মীয়-স্বজন গরিব মিসকিন সবাই এই গোস্ত খেতে পারবে। কেননা হযরত আয়েশা রাঃ বলেন আকিকার গোস্ত নিজে খেতে পারবেন এবং অন্যদেরকে খাওয়াতে পারবেন এবং কিছু গোস্ত সদগা হিসেবে দান করতে হবে।

কোরবানির গোশত যেমন পরিবারের সবাই খেতে পারে ঠিক তেমনি আকিকার গোস্ত শিশুর বাবা-মা ভাই-বোন দাদা-দাদী যারা আছেন সবাই খেতে পারব। আশা করি বুঝতে পেরেছেন আকিকার মাংস কারা খেতে পারবে।

আকিকা না দিলে কি হয়

আকিকা দেওয়া হলো সুন্নত আর এই সুন্নাত পালন করা আবশ্যকীয়। তাই আকিকা না দিলে কি হয় তাহলো গুনাগার হতে হবে। কেননা রাসুল রাঃ বলেছেন তোমরা তোমাদের সন্তানের আকিকা দাও কিন্তু যদি আপনি এই মুহূর্তে সামর্থ্য না থাকে সেই ক্ষেত্রে পরবর্তীতে দেবেন। তাহলে জন্মের কতদিন পর আকিকা দিতে হয়, আসলে জন্মের সপ্তম দিনেই আকিকা দেওয়া জরুরী।

তবে আল্লাহ জোরপূর্বক কোনো কাজের নির্দেশ দেননি যেটা আপনার কষ্ট হবে। ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। আপনার যদি একাধিক সন্তান হয়। সেই ক্ষেত্রে আকিকা দিতে সামর্থ্য না থাকে, তবে পরবর্তীতে 
দিয়ে দিবেন। রাসূল সাঃ যে কাজগুলো করতে বলেন সেগুলো আমাদের অবশ্যই করতে হবে এবং যে কাজ গুলো নিষেধ করেন সেগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।

কেননা রাসূল সাঃ অবশ্যই যে কাজ করতে গুলো বলেছেন সেগুলো অবশ্যই আমাদের বাস্তব জীবনেও উপকার রয়েছে। তাই আপনি যদি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আকিকা দিয়ে থাকেন তাহলে এতে আপনার সন্তানের মঙ্গল হবে এবং আপনার পরিবারেরও মঙ্গল হবে। কেননা আল্লাহ যদি সন্তুষ্ট হন অবশ্যই আপনার জীবনে দারিদ্রতা থাকবে না।

আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম

আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম হলো ইসলামের দৃষ্টিকোণে কোরবানির গোশত যেভাবে বন্টন করা হয় সেভাবে আকিকার গোস্ত বন্টন করতে হবে। অর্থাৎ তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজেদের জন্য রাখা, আরেক ভাগ আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী যারা আছে তাদেরকে দেওয়া এবং আরেকভাগ গরীব মিসকিনকে দিতে হবে।
ছবি
তবে চেষ্টা করবেন গরিব মিসকিনকে অগ্রাধিকার বেশি। কারণ তারা অনেকে গোস্ত কিনে খেতে পারে না। এখন আসা যাক অনেকেই জিজ্ঞেস করে এটা কি কাঁচা মাংসই ভাগ করে দেবো। চাইলে কাঁচা মাংস ভাগ করে দিতে পারেন, আবার রান্না করেও আপনি আপনার প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজন গরিব মিসকিন যারা আছে তাদেরকে খাওয়া দিতে পারেন। এতে কোন ধরা - বাধা কোন নিয়ম নেই।

আকিকা দেওয়ার উদ্দেশ্য হল সন্তানের নাম রাখা এবং তার নাম,তার জীবনের জন্য দোয়া করা। তাই মানুষকে দোয়া করতে বলতে হবে। আবার অনেকে জিজ্ঞেস করে জন্মের কতদিন পর আকিকা দিতে হয়, তা হলো শিশুর জন্মের সপ্তম দিন আকিকা দিলে শিশুর বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা পাবে।

লেখকের শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যেতে পারে যে একটি শিশুর জন্মের কতদিন পর আকিকা দিতে হয় তা বুঝতে পেরেছেন। তাই অনেকের টাকা থাকতেও আকিকা দিতে কার্পণ্য করে। এই ধরনের কাজ করবেন না তাহলে গুনাগার হতে হবে। সামর্থ্য থাকলে নবজাতক অবস্থায় আকিকা দেওয়া ভালো। কেননা রাসূল সাঃ এই বিষয়ে অনেক গুরুত্ব দিয়ে কথা বলেছেন। তাই আমার পোস্টটা পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে, তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪