শরীরে চুলকানি দূর করার ক্রিম-শরীরের চুলকানির ঔষধ
অনেকের বিভিন্ন কারণে চুলকানি হয়, আর কি কারনে চুলকানি হচ্ছে সেটা নির্ণয় করার পর আপনি শরীরে চুলকানি দূর করার ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। চলুন, শরীরের চুলকানির ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অধিকাংশ মানুষ যেকোনো ধরনের চুলকানি হলেই চুলকানির ঔষধ খেয়ে থাকে কিন্তু কি কারনে চুলকানি হচ্ছে সেটা নির্ণয় করে না। তাই শরীর চুলকানির কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃশরীরে চুলকানি দূর করার ক্রিম-শরীরের চুলকানির ঔষধ
গোসলের পর শরীর চুলকায়
অনেকের গোসলের পর শরীর চুলকায় এই ধরনের চুলকানির অসহ্যকর লাগে। তাই এর থেকে পরিত্রাণের জন্য কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। যদিও এই ধরনের সমস্যা ধীরে ধীরে কিছুদিন পর ঠিক হয়ে যায়। তাই যাদের গোসলের পর শরীর চুলকায় এ নিয়ে তেমন টেনশন করার কিছু নেই।
তবে সাময়িকভাবে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ খেতে পারেন। যেমন ট্যাবলেট সিটিন ১০ এমজি একটি করে রাতে, ১ বা ২ মাস খেলে উপকার পেতে পারেন। তবে ওষুধটি খাওয়ার পূর্বে অবশ্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং পাশাপাশি শরীরে চুলকানি দূর করার ক্রিম এফান ১% ব্যবহার করতে পারেন।
শরীর চুলকানির কারণ
অনেকেই শরীর চুলকানির কারণ না জেনে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেয়ে থাকে কিন্তু আপনাকে আগে শরীর চুলকানির কারণ জানতে হবে, তারপর ওষুধ খেতে হবে। আপনার শরীর কেন চুলকায় তা অবশ্যই এর পেছনে কারণ রয়েছে। আবার অন্যদিকে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ আপনার শরীরে ক্ষতি করতে পারে। কারণ এলার্জি জনিত কারণে শরীরে চুলকানি শুরু হতে পারে।
শুধুমাত্র সেইসব ক্ষেত্রেই এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ কাজ করবে যাদের এলার্জি রয়েছে। অন্য কারণে শরীর চুলকালে সে ক্ষেত্রে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ আপনার শরীরে কাজ করবে না। তাই নিম্নে যে সকল কারণে চুলকানি হতে পারে এবং এগুলোর জন্য এন্টিহিস্টামিন ওষুধ খাওয়া যাবে না। নিম্নে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলোঃ
- আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে সে কারণে ত্বক অনেক সময় শুষ্ক হয়ে যায় এর কারণেও চুলকানি হতে পারে।
- মানসিক কারণে কিংবা চকলেট চা-কফি ইত্যাদি ক্যাফেইন জাতীয় খাবার খেলে অনেক সময় শরীর চুলকায়।
- অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে শরীর ঘেমে যায় সেখান থেকে চুলকানি হতে পারে ও বেশি তাপমাত্রার কারণে শরীর ঘেমে চুলকানি হতে পারে।
- রক্তশূন্যতা দেখা দিলে, জন্ডিস হলে, কিডনি দুর্বল ও কাজ না করলে এ ধরনের সমস্যা হয়।
- আপনার রক্ত ইউরিয়া পরিমাণ যখন বাড়তে থাকলে চুলকানি হতে পারে।
- অনেকে এর এমনি হঠাৎ চুলকানি শুরু হয়।
- গর্ভাবস্থায় শীতকালে যদি আপনি বেশি গোসল করেন ও অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করেন।
- মাথা চুলকালে, কৃমি, ফাঙ্গাস কারণে চুলকানি হতে পারে।
- ব্যাকটেরিয়ার কারণে পায়ুপথ এবং পায়ুপথের আশেপাশে চুলকানি হলে এন্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট খেয়ে কাজ হবে না। তখন ওই ধরনের রোগের চিকিৎসা করতে হবে।
তাই আপনি যে কোনো ধরনের চুলকানি হলেই যে এন্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট খেতে হবে এটা ঠিক নয়। তাই যে কারণে রোগ চুলকানি হয়েছে তার চিকিৎসা নিতে হবে।
শরীর চুলকানির ঔষধ
শরীর চুলকানি প্রায় লোকেরই হয়ে থাকে। অধিকাংশ লোক শরীর চুলকানির ঔষধ হিসাবে এন্টিহিস্টামিন ঔষধ খেয়ে থাকে, নিম্নে ওষুধ গুলোর নাম বর্ণনা করা হলোঃ
- হিস্টাসিন ট্যাবলেট
- এন্টিহিস্টা ট্যাবলেট
- হিস্টাল ট্যাবলেট
- এভিল ট্যাবলেট
- ফ্লুগাল Flugal ১০ এমজি ট্যাবলেট
- রুপা ১০ এমজি ট্যাবলেট
- ওকাসেট ১০ এমজি ট্যাবলেট
- ফানজিনিল ৫০ এমজি ক্যাপসুল
- ফেক্সো ১২০ এমজি ইত্যাদি
উপরোক্ত ঔষধ গুলো অবশ্যই আপনি একজন চিকিৎসকের মাধ্যমে খাবেন। কেননা আপনার কোন ধরনের চুলকানি হয়েছে সেটা একজন চিকিৎসক বুঝে উপরোক্ত যে কোন একটি ওষুধ হয়তো দিতে পারেন। নিজে নিজেই কখনোই ফার্মাসিতে গিয়ে এ ধরনের ওষুধ কিনে খাবেন না। তবে এই শরীর চুলকানির ঔষধ গুলো এন্টিহিস্টামিন হিসাবে কাজ করে।
তাই উপরোক্ত আলোচনা করা হয়েছে এসব জাতীয় ওষুধ সব ধরনের চুলকানিতে কার্যকর নয় কিন্তু অনেকেই যে চুলকানিতে ওষুধ নিজে নিজে খেয়ে ফেলেন। এটি মোটেও ঠিক কাজ নয়। চুলকানির কারণ না জেনে অযথা ওষুধ খেয়ে উপকার হবে না। এতে শুধু ঔষধ গুলোর ক্ষতি করবে তাই অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ওষুধ খাবেন।
গরমে শরীর চুলকানি
গরমে শরীর চুলকানি প্রায় সব মানুষেরই হতে পারে। তবে যারা বেশিরভাগ টাইট ফিটিং পোশাক পরিধান করে। যার কারণে শরীরের ভিতরে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। তাদের শরীরে বেশি চুলকানি হয়ে থাকে। কেননা ঘামগুলো লোমের মাঝে আটকে গিয়ে আর বের হতে না পারলেই এতে দেখা যায় লাল ফুসকুড়ির মত ওঠে সেগুলো গলে যায় এবং চুলকানি সৃষ্টি হয়। আবার অনেকের গরমের কারণে ফাংগাল ইনফেকশন হয়ে শরীরের ভিতরে চুলকানির সৃষ্টি করে। আর এই ধরনের শরীরে চুলকানি দূর করার ক্রিম হিসাবে অ্যান্টিফাংগাল ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
তাই অবশ্যই এই ফাংগাল ইনফেকশন আপনার শরীরে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এছাড়া গরমের কারণে অনেকেই জুতা, মোজা পরিধান করার কারণে পায়ের ভিতর ঘেমে যায় এরপর সৃষ্টি হয় ব্যাকটেরিয়া। ফলে পা দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় এর কারণেও পা চুলকানি শুরু হতে পারে। এই গরমে শরীর চুলকানি কারণে গ্রামের অনেক মানুষ খালি গায়ে থাকতে পছন্দ করে যার কারণে শরীরে ময়লা আবর্জনা ধুলাবালি লেগে যাওয়ার কারণে এলার্জির সমস্যা হয়ে চুলকানি সৃষ্টি করে।
শরীরে চুলকানি দূর করার ক্রিম
অনেকেই শরীরে চুলকানি দূর করার ক্রিম ব্যবহার করে থাকে। সাধারণত চিকিৎসকরা যে সকল চুলকানির জন্য যে সকল ক্রিম প্রেসক্রিপশন করে থাকে। তবে আপনি অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমেই এই ক্রিমগুলো ক্রয় করবেন। নিম্নে সে সকল কিছু ক্রিমের নাম দেওয়া হলঃ
ফানজিডাল এইচসি ক্রিম ব্যবহার করে দেখতে পারেন
মাইকোসন ক্রিম এটা প্রয়োগ করতে পারেন
এফান ১% ক্রিম এটা ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়
এরিস্টোডার্ম ক্রিম যা অ্যারিস্টোফার্মা তৈরি করেছে
এন্টিফাঙ্গাল ক্রিম এটিও ভালো মানের একটি ক্রিম
পেভিসন ক্রিম চুলকানির জন্য ব্যবহার করতে পারেন
মাইকোসন ক্রিম এটা প্রয়োগ করতে পারেন
এফান ১% ক্রিম এটা ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়
এরিস্টোডার্ম ক্রিম যা অ্যারিস্টোফার্মা তৈরি করেছে
এন্টিফাঙ্গাল ক্রিম এটিও ভালো মানের একটি ক্রিম
পেভিসন ক্রিম চুলকানির জন্য ব্যবহার করতে পারেন
উপরোক্ত ক্রিম গুলোর দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে হবে, তবে কম বেশি হতে পারে।
আপনি উপরোক্ত যে কোন একটি ক্রিম ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে তার পূর্বে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ নিয়ে কি কারনে চুলকানি হচ্ছে তারপরে যেকোনো একটি ক্রিম ব্যবহার করবেন।
গর্ভাবস্থায় প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি
সাদা স্রাবঃ অধিকাংশ নারীর গর্ভাবস্থায় প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি হয়ে থাকে। কেননা এই সময়ে হরমোনাল পরিবর্তন হয়ে থাকে যার কারণে প্রচুর পরিমাণে গর্ভবতী মায়ের সাদা স্রাব হতে থাকে। এতে জায়গাটাতে ইনফেকশন হয়ে চুলকানি শুরু হয়। তাই এই সময়ে সব সময় এটা পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
বিশেষ করে যতবার প্রসাব করতে যাবেন ততবার লবণ এবং কুসুম কুসুম গরম পানি মিশিয়ে আপনি প্রসাব করার পরে এই পানি দিয়ে ধৌত করবেন। এতে জীবাণুগুলো চলে যাবে এবং ইনফেকশন হবে না চুলকানিও হবে না। তাছাড়া যোনিতে বা শরীরে চুলকানি দূর করার ক্রিম হিসেবে এফান ১% ক্রিমটা অনেক ভালো কাজ করে এটা আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণঃ গর্ভবতী মায়েদের এই সময়ে প্রসাবের রাস্তায় সাধারণত খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো আক্রমণ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করতে থাকে অথবা সেই জায়গায় চুলকানি হতে পারে। আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে ফুসকুড়ি উঠতে পারে। যদি আপনি এ ধরনের সমস্যা দেখেন তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ঔষধ খেতে হবে। তাহলে খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো মারা যাবে এতে ইনফেকশন বা চুলকানি কমে যাবে।
বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারঃ অনেক মা গর্ভবতী অবস্থায় অনেক প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। যেমন সুগন্ধি যুক্ত সাবান, লোশন তারপর অন্তর্বাস বেশি সময় ধরে পরিধান করা। এছাড়া অনেকে কনডম ব্যবহার করে থাকে এর কারণে প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করতে পারে অথবা র্যাশ উঠতে পারে, ফুসকুড়ি উঠতে পারে এবং চুলকানি হতে পারে।
সে ক্ষেত্রে আপনি এই প্রসাধনীগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন এবং যেগুলো সুগন্ধ কম, ক্ষতিকার নয় সেগুলো আপনি ব্যবহার করে দেখতে পারেন এবং যে সাবান বা লোশনগুলো হাইফোএলার্জিক কাজ করে সেগুলো থেকে বিরত থাকবেন।
যৌন সংক্রমণঃ যারা গর্ভবতী অবস্থায় যৌন সঙ্গম করতে গিয়ে দেখা যায় অনেক সময় এই রোগ দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি এর কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। অনেকেই বিভিন্ন ধরনের লোকের সাথে যৌন কার্যক্রম করে থাকে এর মাধ্যমে প্রসাবের রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের চুলকানি হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই এ বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
কেননা গর্ভাবস্থায় হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে এমনিতেই অনেক চুলকানি হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে যদি যৌনকর্মে লিপ্ত হয়। তাহলে আরো চুলকানি বেশি হতে পারে। এতে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে, এই ক্ষেত্রে যারা এই ধরনের কাজ করেন তারা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। আর তা না হলে অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে।
মূত্রনালীর সংক্রমণঃ অনেক গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি বা যোনিতে সংক্রমিত হয় সেই ক্ষেত্রে প্রসাবে জ্বালাপোড়া, প্রসাবে ইনফেকশন এবং প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হবে।
শরীর চুলকানির ঘরোয়া চিকিৎসা
আপনার শরীরে চুলকানি হলে প্রাথমিক পর্যায়ে শরীর চুলকানির ঘরোয়া চিকিৎসা নিতে পারেন নিম্নে ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
নারিকেলের তেলঃ নারকেলের তেল অনেক উপকারী একটি প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। সেটা হল যেকোনো ধরনের চুলকানির ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে নারকেলের তেল কাজ করে। তাই আপনার যে জায়গায় চুলকানি হয়েছে সেখানে সামান্য পরিমাণ নারিকেলের তেল লাগিয়ে দিলে অনেক উপকার পাবেন।
যদি সারা শরীরে হয় সেক্ষেত্রে পুরো শরীর নারিকেলের তেল লাগিয়ে দিতে পারেন। অথবা যদি সারা শরীর দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে অল্প পরিমাণ কুসুম কুসুম গরম পানি নিয়ে তার মধ্যে নারিকেলের তেল মিশিয়ে আপনি গোসল করে নিতে পারেন এতে অনেক উপকার পাবেন।
নিমপাতাঃ নিম পাতার অনেক ওষুধি গুণাগুণ রয়েছে। এটা আমরা অনেকেই স্বীকার করি কেননা নিমপাতা সবচাইতে ভালো কাজ করে। তাই আপনার যদি চুলকানি হয়ে থাকে শরীরে যে কোন জায়গায় তাহলে আপনি শরীর চুলকানির ঘরোয়া চিকিৎসা হিসাবে কিছু নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
কুসুম কুসুম গরম পানি নিয়ে তার ভেতর নিমপাতা দিয়ে জাল করলে নিম পাতার রসগুলো যখন পানির সাথে মিশে যাবে তখন ওই পানি দিয়ে আপনি গোসল করে নিতে পারেন। এতে আপনার শরীরের যে জীবাণুগুলো রয়েছে সেগুলো মারা যাবে এবং চুলকানি কমে যাবে। এগুলো ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনার আপনি শরীরে চুলকানি দূর করার ক্রিম এরিস্টোডার্ম ১% ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেলঃ এটি এন্টিফাঙ্গাল ক্রিমের মত কাজ করে থাকে। তাই আপনার যেই স্থানে চুলকানি শুরু হয়েছে সেখানে আপনি অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে দিতে পারেন। আপনি আধা ঘন্টা রাখার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে দেখবেন অনেকটাই আরোগ্য লাভ করেছে। অ্যালোভেরা জেলের অনেক গুণাগুণ রয়েছে এছাড়াও যদি আপনার অ্যালার্জিও থাকে সে ক্ষেত্রেও এই অ্যালোভেরা জেল প্রয়োগ করতে পারেন।
বেকিং সোডা ও লেবুর রসঃ আপনার যদি চুলকানি বা অ্যালার্জির সমস্যা প্রায়ই দেখা দেয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে গোসল করার পূর্বে আপনি কুসুম কুসুম গরম পানির মাঝে এক চামচ পরিমাণ বেকিং সোডা ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে আপনি যদি গোসল করেন সেই ক্ষেত্রে আপনার চুলকানি দূর হয়ে যাবে। এভাবে নিয়মিত সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার যদি ব্যবহার করেন তাহলে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।
পেট্রোলিয়াম জেলিঃ পেট্রোলিয়াম জেলিতে যে ধরনের উপাদান রয়েছে তা আপনার শরীর যদি সেনসেটিভ উপাদান নিয়ে গঠিত হয়। তাহলে সেই ক্ষেত্রে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। কেননা পেট্রোলিয়াম জেলিতে যে উপাদান থাকে সেটা চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও এলার্জি বা যে কোন ধরনের চুলকানি হোক না কেন এটা লাগিয়ে দিলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তাই আপনার প্রত্যেকের ঘরেই পেট্রোলিয়াম জেলি থাকে তাই আপনি এই জিনিসটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
উপসংহারঃ শরীরে চুলকানি দূর করার ক্রিম-শরীরের চুলকানির ঔষধ
পরিশেষে বলা যায় যে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় যদি আপনার চুলকানি হয় সে ক্ষেত্রে আপনি নিজের ইচ্ছামত ওষুধ খাবেন না। তবে আগে কি কারণে চুলকানি হচ্ছে সেটা নির্ণয় করার চেষ্টা করবেন। তারপরে একজন চিকিৎসকের মাধ্যমে পরামর্শ নিয়ে শরীরের চুলকানির ঔষধ সেবন করতে পারেন। আপনি যদি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url