দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ ও মলম - রানের চিপায় দাউদ হলে করণীয়
আপনার যদি দাউদ হয় সেক্ষেত্রে দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ গুলো প্রয়োগ করতে পারেন। কেননা দাউদ একটি ফাংগাল ইনফেকশন রোগ। এটা একটি অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি করে। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
যারা দীর্ঘদিন যাবৎ দাউদে ভুগছেন এবং অনেক ক্রিম ব্যবহার করার পরও সারছে না। এই পুরাতন দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃদাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ ও মলম - রানের চিপায় দাউদ হলে করণীয়
পুরাতন দাদ এর চিকিৎসা
আমাদের শরীরে এক ধরনের রিং এর মত গোলাকার ছত্রাক হয়ে থাকে কিন্তু আমরা সাধারণত এই ধরনের ছত্রাক কে দাউদ বলে থাকি। তাই নিম্নে পুরাতন দাদ এর চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
শরীরে বিভিন্ন জায়গায় গোলাকার দাগ হয়ে থাকে, এ গোলাকার দাগের মধ্যে ছোট ছোট দানার মত পাশাপাশি অবস্থান থাকে। গোলাকার দাগের মাঝখানের ত্বক তুলনামূলক মসৃণ ও চকচকে থাকে। এগুলো খুব চুলকায়, চুলকালে লাল হয়। কষ বের হয়। এই অবস্থায় দাউদ নিরাময়ের জন্য এন্টিফাঙ্গাল মলম ব্যবহার করেও অনেক সময় লাভ হয় না।
এক্ষেত্রে করনীয় হলো মুখে এন্টিফাঙ্গাল ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। তবে ওষুধটি সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে কিডনি যাদের ঠিকমতো কাজ করে না এরা এই ধরনের ওষুধ খাবেন না। সুতরাং চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে এই ওষুধটি গ্রহণ করতে হবে। শরীরের যে কোন স্থানের এই পুরাতন দাদ এর চিকিৎসা এর জন্য ফ্লকোনাজল জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে।
১৫০ মিলিগ্রাম এর একটি ক্যাপসুল ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ খেতে হবে। তাহলে সেরে যাবে কিন্তু পরবর্তী যেন এটি আর না হয় সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। তার জন্য আপনার ত্বক পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখা জরুরী। এবং পাশাপাশি আপনি ঘরোয়া ঔষধ গুলো ব্যবহার করতে পারেন যেমন নারিকেলের তেল, হলুদ, রসুন, নিমপাতা ইত্যাদি। আর গর্ভাস্থায় এবং স্তন্যদায়ী মা খেতে পারবেনা।
শিশুদের দাদ হলে করনীয়
শিশুদের অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে যেমন হাতে, পায়ে, বুকে, পিঠে দাউদ দেখা দিয়ে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে দাউদ মলমে না সারলে সেক্ষেত্রে শিশুদের দাদ হলে করনীয় হল মুখে খাওয়ার অ্যান্টি ফাংগাল ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। এন্টিফাঙ্গাল ওষুধের মধ্যে ফ্লকোনাজল উপাদান সমৃদ্ধ সাসপেনশন বিভিন্ন মাত্রায় দেওয়া যেতে পারেঃ
- ১ বছর বয়সের ৯ কেজি ওজনের বাচ্চার জন্য অর্ধেক চামচ
- ১ থেকে ২ বছর ১২ কেজি ওজনের জন্য ১ চামচ এই ওষুধ খাওয়াবেন
- ২ থেকে ৩ বছর বয়সের ১৪ কেজি শিশুদের জন্য দেড় চামচ
- ৩ থেকে ৪ বছর ১৬ কেজি শিশুর জন্য ২ চামচ
- ৪ থেকে ৬ বছর ২০ কেজি ওজনের শিশুর জন্য আড়াই চামচ ঔষধ দিতে হবে।
তবে উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী একজন চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমে খাওয়ালে সবচাইতে ভালো হয়। এবং প্রথমত আপনি বাড়িতে শিশুদের এই ধরনের দাউদের জন্য ঘরোয়া ঔষধ গুলোর মধ্যে নারিকেলের তেল খুবই ভালো কার্যকারিতা করে থাকে। এটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম
অনেকের দীর্ঘদিন যাবত দাউদ হয়েছে কিন্তু সারছে না। তাই এই পুরাতন দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম গুলো সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
অনেকের প্রায়ই শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রথমে ফুসকুড়ির মত ওঠে এবং পরে আস্তে আস্তে তা রিং এর মত গোলাকার রূপ ধারণ করে। এগুলো খুবই চুলকায়, চুলকালে কষ বের হওয়া শুরু করে। এটাকে বলা হয় এক ধরনের ছত্রাক জনিত সমস্যা। যা আমরা বাংলা ভাষায় দাউদ বলে থাকি।
যদি অল্প জায়গায় হয়ে থাকে তবে Conasyd cream নামক ওষুধটি প্রতিদিন রাতে একবার করে ব্যবহার করুন। এতে মাস খানেক ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। সমস্যাটি যদি আরও বেশি হতে থাকে, তাহলে খাওয়ার ওষুধ খেতে হবে। সেই ক্ষেত্রে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে তিনি যে খাওয়ার ওষুধ দেবেন সেটা খেতে হবে। এছাড়া আরো কিছু দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম নাম নিম্নে দেওয়া হলঃ
1. Suconal Cream 1 gm/100gm বাংলাদেশের স্কয়ার কোম্পানি এটা তৈরি করেছেন।
2. Tycon Cream এটা বাংলাদেশের একমি কোম্পানি তৈরি করেছে।
3. "বেনজায়িক স্যালিসাইলিক এসিড" এটা প্রায় একশো ভাগ কার্যকারী একটি মলম যা আপনি বিনামূল্যে সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক হাসপাতালে পাবেন।
দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ
দাউদ হলে আমরা সাধারণত ওষুধের চিন্তা বেশি করে থাকি কিন্তু দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ গুলো যদি আমরা প্রয়োগ করি, তাহলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই উপকৃত হব। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো।
নারিকেলের তেলঃ নারিকেলের তেলে থাকে এন্টিফাঙ্গাল এবং মাইক্রোবিয়াল। যা দাউদ দূর করতে সাহায্য করে। আপনি প্রতিদিন রাত্রিতে শোয়ার আগে অল্প একটু নারিকেলের তেল নিয়ে হালকা গরম করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিন। আপনি এভাবে একবার ব্যবহার করেই দেখুন। আশা করি কিছুদিন ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
হলুদঃ হলুদে থাকে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল, যা দাউদের সংক্রমণকে দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনি একটু হলুদের গুড়া বা কাঁচা হলুদের রস নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর আক্রান্ত স্থানে দিনে তিনবার ব্যবহার করতে থাকুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করে দেখুন দাউদ সেরে যাবে।
রসুনঃ রসুনে থাকে এক ধরনের এন্টিফাঙ্গাল, যা যে কোনো ছত্রাক ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। তাই তাই দাউদের মতো এন্টিফাঙ্গাল দূর করতে রসুন কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
আপনি অল্প করে রসুন নিয়ে ভেলেন্ডার করুন, এরপর আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিন। এক ঘন্টা পরে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন এতে অনেক উপকার পাবেন।
নিমপাতাঃ নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল যা যেকোনো জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে ফাংগাল ইনফেকশন গুলো দূর করতে পারে।
তাই আপনি কিছু নিমপাতা নিয়ে গুড়া করে বা রস বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিন। এর সাথে অল্প পরিমাণ নারিকেলের তেল দিতে পারলে আরো ভালো কাজ করবে। তাই আপনি এটা নিয়মিত ব্যবহার করুন আশা করি উপকার পাবেন।
অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা এর মধ্যে আছে এক ধরনের এন্টিফাঙ্গাল ও এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা দাউদের ইনফেকশন ও প্রদাহ, ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনি এক টুকরো অ্যালোভেরা জেল নিয়ে আক্রান্ত স্থানে দিনে দুই থেকে তিনবার লাগিয়ে দিন। আশা করি ভালো ফল পাবেন।
রানের চিপায় দাউদ
রানের চিপায় দাউদ বাংলাদেশের প্রতি পাঁচ জন মানুষের একজনকে বছরের একবার হলেও এ ছত্রাক আক্রমণ করে বা যাকে আমরা দাউদ বলে থাকি। আর এই ধরনের দাউদ গুলো সাধারণত মানুষের রানের চিপায় হয়ে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা অনেক হলেও ছত্রাক যে সকল জায়গায় আক্রান্ত করে থাকে। সাধারণত ত্বক, নখ ও চুলে।
এ জাতীয় সমস্যা রোগ গুলো জীবননাশের কারণ না হলেও জীবনযাত্রাকে অনেক মারাত্মক ব্যাহত করে ফেলে। যেমন অতিরিক্ত চুলকানি হয়, কখনো কখনো কষ বের হতে থাকে। পুজ বের হয় ইত্যাদি জীবনকে একেবারে দুর্বিষহ করে তোলে। মানুষ রানের চিপায় দাউদ বা ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে সাধারণত পোষা প্রাণী থেকে, সেলুনে ব্যবহৃত থেকে একাধিক মানুষ ব্যবহার করার কারণে, সিনেমা হলের সিট থেকে, অন্যের ব্যবহার করা টুপির মাধ্যমে।
সর্বোপরি কথা হল একজন মানুষ থেকে অন্য মানুষের সংস্পর্শে আসলে এই রোগটা ছড়ায়। এছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে এই ছত্রাক ছড়িয়ে থাকে। যারা সারাদিন জাংগিয়া সহকারে প্যান্ট পড়ে থাকে তাদের এই ধরনের রানের চিপায় দাউদ বা ছত্রাক হতে পারে। আবার অনেকে সবসময় জুতা পড়ে থাকে তাদের এই ধরনের সমস্যাটা হতে পারে।
সাধারণত এই রোগটি রানের চিপায় বা কুচকিতে এবং পায়ের আঙ্গুলের মাঝখানে এই ধরনের ছত্রাক বা দাউদ দেখা দেয়। মাইক্রোস্কোপ বা ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে ছত্রাক দেখতে লতা পাতার মতো। তবে এটা খালি চোখে তো দেখা যায় না শুধু দেখা যায় অসুখের লক্ষণগুলো। সাধারণ ভাষায় আমরা যাকে বলে থাকি দাউদ কিন্তু ইংরেজিতে সাধারণত এর নাম হচ্ছে রিংওয়ার্ম ইনফেকশন মানে হল আংটির মতো গোলাকার দেখতে তাই এটাকে বলা হয়ে থাকে রিংওয়ার্ম।
গোলাকারের ভিতরেই এই অসুখটা বেশি ছড়াতে থাকে স্থান বিশেষে এ জাতীয় অনেক জায়গায় রিং এর মত দেখা যায় না তখন সাধারণ মানুষ এটাকে চিনতেও পারে না। বিভিন্ন জায়গার দাউদ বিভিন্ন রকম দেখতে হয় যেমন মাথায় সাধারণত ছোট ছেলেমেয়েরা যারা স্কুলে যায় তাদের এই ধরনের মাথায় দাউদ দেখা যায়। এই দাউদটা বিভিন্ন রকমের দেখা দিতে পারে হঠাৎ করে দেখা যাবে মাথার কিছু জায়গায় গোল গোল টাকের মতো পড়েছে।
আবার অনেক জায়গায় ছোট ছোট চুল বা শুধু চুলের কালো গোড়ায় দেখা যেতে পারে। মনে হবে যে তেলাপোকা রাতে ঘুমের সময় চুল খেয়ে ফেলছে কিন্তু আসলে এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা এটি এক ধরনের ছত্রাক যার ফলেই এই ধরনের হয়ে থাকে।
এছাড়া অনেকের মুখে, দাড়িতে এই ধরনের দাউদ গুলো দেখা দিতে পারে। এই ধরনের দাউদ থেকে মুক্তি পেতে হলে দাউদের ঘরোয়া ঔষধ হিসেবে আপনি প্রতিদিন পরিষ্কার পানি ধরা রানের চিপায় ধুয়ে ফেলবেন তাহলেই জীবাণু গুলো চলে যাবে।
রানের চিপায় দাউদ হলে করণীয়
এখন আমরা জানবো রানের চিপায় দাউদ হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কুচকি বা রানের চিপায় যেখানে রান ভাজ হয়ে থাকে সেই সকল জায়গাতে এই ধরনের দাউদ বেশি হয়ে থাকে বা ছত্রাক গুলো ছড়িয়ে থাকে। তবে এই ছত্রাক গুলো বিভিন্ন রকম দেখা দিতে পারে এবং সাধারণত রিং বা গোলাকার আকারই বেশি দেখা দিয়ে থাকে, আর এই রিং বা গোলাকার ভাব দেখে মানুষ অতি সহজেই এটাকে চিনতে পারে দাউদ নামে। যা কিনা অন্যান্য জায়গাতে চিনতে একটু অসুবিধা হয়।
এখন আশি এ ধরনের রানের চিপায় দাউদ হলে করণীয় ও চিকিৎসা সম্পর্কে নিম্নে বর্ণনা করা হলো,
যদি আক্রান্ত জায়গা অল্প হয়ে থাকে তবে যে কোন এন্টিফাঙ্গাল ক্রিম যেমন কেনেষ্ট্যান ক্রিম ব্যবহার করলেই উপকার পাওয়া যাবে। বাইরে থেকে আসার সাথে সাথেই বিশেষ করে রানের ভাজ বা কুচকি ধুয়ে মুছে শুকনো করে রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলে জীবাণুগুলো চলে যাবে।
প্রয়োজনে জাংগিয়া পরিবর্তে সুতির পাতলা বা ঢোলা হাফপ্যান্ট পড়তে পারেন এবং জাংগিয়া যদিও পড়েন তাহলে প্রতিদিন একটা করে ব্যবহার করতে হবে অথবা ওইটাই প্রতিদিন ধুয়ে আবার ব্যবহার করতে হবে। একটাই বারেবারে ব্যবহার করলে এই ধরনের সমস্যাগুলো বেশি হয়ে থাকে। আর পায়ের ক্ষেত্রে বিশেষ করে অজু বা গোসলের পরে মুছে শুকনো করে রেখে দিলে ভালো হয়।
ভালো হওয়ার আগ পর্যন্ত জুতা না পড়ে স্যান্ডেল ব্যবহার করতে পারেন। আক্রান্ত স্থানের পরিমাণ যদি বেশি হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে ওষুধ খেতে হবে। তার মধ্যে সবচেয়ে লেটেস্ট জেনারেশনের ওষুধ হল ফ্লকোনাজল ক্যাপসুল এটা সবচাইতে বেশি কার্যকারী একটি খাওয়ার ওষুধ। তবে মাথা ও নখ বাদ দিয়ে, বাদবাকি জায়গায় যদি হয় সেই ক্ষেত্রে দাউদের জন্য ৫০ এমজি এর ক্যাপসুল প্রতিদিন একটি করে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে।
বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায় সেটাও ব্যবহার করতে পারেন। মাথা ও নখের চিকিৎসা একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ মাধ্যমে নিতে হবে, কারণ নখের ক্ষেত্রে এক বছর পর্যন্ত ওষুধ খাওয়া লাগতে পারে। মাথার ক্ষেত্রে বিশেষ করে চিকিৎসা ব্যবস্থা না নিলে যে টাক পড়ে যাবে সে জায়গায় চুল পুনরায় নাও গজাতে পারে। তাই যেকোন ওষুধ খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। তাহলে আপনি নিরাপদ থাকবেন। তবে লাগানোর ওষুধ নিরাপদে লাগাতে পারেন তেমন একটা ক্ষতি নেই।
অনেকেরই কুচকির দুই পাশে খুব চুলকায় ভেজা থাকে সামান্য দুর্গন্ধ হয়। সেটা হল যখনই আপনি বাসায় আসবেন তখনই প্যান্ট আন্ডারওয়্যার খোলার সাথে সাথেই প্রথম কাজ হচ্ছে বাথরুমে গিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে কুচকি ধুয়ে তারপরে শুকানো কাপড় দিয়ে জায়গাটা মুছে ফেলা।
আর এছাড়াও এর সাথে এক ধরনের মাইক্রোসিন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এটা অনেকটাই ভালো কাজ করে। যদি না সারে তাহলে আপনি খাওয়ার ওষুধ খেতে হবে। একজন চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমে। চেষ্টা করবেন প্রতিদিন একটা করে জাংগিয়া অথবা অন্তরভাস পরিবর্তন করার একই অন্তরবাস জাংগিয়া পড়লে ইনফেকশনটা বেশি হতে পারে।
দাউদের চিকিৎসা বাংলাদেশ
দাউদের চিকিৎসা বাংলাদেশ এ নির্দিষ্ট ভাবে কোন হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্র নেই। তবে প্রত্যেকটা সরকারি হাসপাতাল বা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় গ্রাম অঞ্চলে সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। সেখানে আপনি এই দাউদের জন্য এক ধরনের মলম পাবেন যার নাম "বেনজায়িক স্যালিসাইলিক এসিড" ব্যবহার করলে একশো ভাগ কার্যকারিতা পাওয়া যায়।
তাই আপনি সেখান থেকে বিনামূল্যে এই মলমটা সংগ্রহ করতে পারেন। অনেক উপকার পাবেন। এছাড়াও দাউদের চিকিৎসা বাংলাদেশ এর বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানি গুলোও কিছু দাউদের জন্য মলম তৈরি করেছে নিম্নে সে নাম গুলো দেওয়া হল,
১। গ্যাকোজিমা বিখ্যাত একটি মলম এটা দিয়েও দেখতে পারেন
২। স্কয়ার কোম্পানির এ ফান ক্রিম অনেক কার্যকারী একটি মলম
৩। ফানজিডাল HC 1% ক্রিম আপনি ব্যবহার করতে পারেন
এছাড়া আরো অনেক বাজারে ক্রিম পাওয়া যায় সেগুলো আপনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ব্যবহার করতে পারেন।
দাউদের ছবি
অনেকে দাউদ চিনতে পারে না তাই নিম্নে দাউদের ছবি দেওয়া হল।
দাউদের ছবি
দাউদ হলে কি কি খাওয়া নিষেধ
দাউদ হলে সাধারণত শরীরের আক্রান্ত স্থানে প্রচুর পরিমাণে চুলকায়। যার কারণে আপনি চুলকানিও জাতীয় খাবার গুলো এড়িয়ে চলবেন। তাই দাউদ হলে কি কি খাওয়া নিষেধ নিম্নে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলোঃ
বেগুনঃ বেগুন এমন একটি সবজি যা অনেক গুনাগুন রয়েছে। তবে যদি আপনার প্রচণ্ড এলার্জি থাকে অথবা দাউদের কারণে সেখানে প্রচুর পরিমাণে চুলকায়। যদি আপনার বেগুনের তরকারি খাওয়ার পর চুলকানি শুরু হয়, তাহলে এটা না খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
চিংড়ি ও ইলিশ মাছঃ দাউদ হলে কি কি খাওয়া নিষেধ তার মধ্যে অন্যতম হলো চিংড়ি ও ইলিশ মাছ।সাধারণত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা এলার্জি জনিত সমস্যা ও দাউদের কারণে চুলকানি অথবা যেকোনো চুলকানির জন্যই ওষুধের পাশাপাশি তারা চিংড়ি ও ইলিশ মাছ খাইতে নিষেধ করে। তাই আপনি ওষুধ খাওয়া অবস্থায় এ দুটি মাছ না খাওয়ার পরামর্শ রইলো।
দুধ ও দুধের তৈরি খাবারঃ অনেকের দুধ ও দুধের তৈরি মিষ্টি জাতীয় খাবারে এলার্জি থাকে। তাই যাদের এ ধরনের সমস্যা হয় তারা দুধ এবং দুধের তৈরি খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। কেননা দুধে এক ধরনের এসিড থাকে যেটা চুলকানিকে বাড়িয়ে দিতে পারে। এজন্য আপনি মিষ্টি জাতীয় খাবার না খেয়ে ঘরোয়া ঔষধ হিসেবে মধু খেতে পারেন। যা আপনার চুলকানি অনেকটা কমিয়ে দিবে এবং দাউদ উপশম করতে সাহায্য করবে।
চা ও কফিঃ চা ও কফি এক ধরনের ক্যাফেইন যুক্ত খাবার। যা রাতের ঘুমের অসুবিধা হতে পারে। তাই যাদের দাউদ বা চুলকানি রয়েছে তারা রাতে ঘুমাতে না পারলে আরো বেশি চুলকাবে এবং ইনফেকশন বেশি হবে। যদি আপনার চা বা কফি খাওয়ার পর ঘুমের ব্যাঘাত হয়, তাহলে না খাওয়ার পরামর্শ রইল।
আমাদের শেষ কথা
আপনি উপরোক্ত দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ হিসেবে যে প্রাকৃতিক বিষয়গুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে পারেন। অথবা উপরোক্ত যে ক্রিমগুলোর কথা বলা হলো সেগুলো আপনি একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ক্রমে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে এই দাউদ আশাকরি সেরে যাবে। যদি আমার পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লাগে বা উপকৃত হন, তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে পোস্টটা শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url