জুতা, মোজা বা পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রে এর কার্যকারী উপায়
আপনার যদি অতিরিক্ত পা ঘামে এতে যদি দুর্গন্ধ হয়, তাহলে পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। কেননা পা ঘেমে যাওয়ার কারণে ব্যাকটেরিয়ার তৈরি হয় এবং এতে পায়ের দুর্গন্ধ শুরু হয়। চলুন পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।
আপনি পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। তাই পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃজুতা, মোজা বা পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রে এর কার্যকারী উপায় জানুন
পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ
পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ হলো যখন পা ঘেমে যায় তখন ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়। আর এই ব্যাকটেরিয়ার কারণেই পায়ে দুর্গন্ধ হয়। আপনার পা যদি বেশি ঘামে, তাহলে আরো এই সমস্যা বেশি হবে। এটা আপনাকে মানুষের সম্মুখে একটি অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিবে। আপনি যে মোজা পড়ছেন সেটাতে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে কিনা, সেদিকে খেয়াল করতে হবে।
কেননা আপনি এমন মোজা পড়বেন যে মোজাটা অত্যন্ত নরম এবং আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে। ভালো মানের মোজা পরিধান করবেন। কেননাই মোজার কারণে পা বেশি ঘামতে থাকে এবং পা বেশি ঘামলে ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন হয়। আর ব্যাকটেরিয়া পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ। এছাড়া আমাদের পায়ে এমনিতেই এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যার কারণে কিছু তেল উৎপাদন করে।
আর এই তেলের কারণ এবং ব্যাকটেরিয়ার দুইটা মিলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। অনেকেই এমন জুতা পড়ে যেটার কারণে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। এর কারণে পা বেশি ঘামতে পারে। এছাড়া অনেকে প্লাস্টিকের জুতা পড়ে, যার ভিতর দিয়ে আলো বাতাস প্রবেশ করতে না পারে, যার কারনে পা ঘামতে থাকে বেশি। ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় এবং পায়ে দুর্গন্ধ শুরু হয়।
এছাড়া অনেকেই গ্রীষ্মকালেও জুতা পরিধান করে কাজ কর্মে যায়। গ্রীষ্মকালে এমনি শরীর গরম থাকে তারপর আবার জুতা পরলে আরো বেশি পা ঘামতে থাকে, যার কারণে পা দুর্গন্ধ হয়। তাই আপনি যখন বাহিরে যাবেন জুতা পরে বাহিরে যাবেন।
পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
কারো কারো ক্ষেত্রে প্রায় প্রতিদিন মোজা বদল করেও পায়ের দুর্গন্ধ যাচ্ছে না। তাই নিম্নে পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় গুলো বর্ণনা করা হলোঃ
পায়ের ঘাম ও ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে যে ঘাম তৈরি হয় তা দুর্গন্ধ পা থেকে মোজায় যায়। জুতায় এই দুর্গন্ধ হতে একটু সময় লাগে, তাই জুতোতে গন্ধ লাগার আগেই মজা বদলাতে হবে এবং পা পরিষ্কার রাখতে হবে। যদি একবার এই গন্ধ জুতায় লেগে যায় তখন আর মোজা বদলাও কাজ হবে না।
তখন দুর্গন্ধ শুরু হয়ে যাবে। তাই আপনার পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় হিসেবে প্রতিদিনই মজা পরিবর্তন করতে হবে।
পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার ঔষধ
পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার ঔষধ ব্যবহার তখনই করবেন যখন দেখবেন মোজা পরিবর্তন করে কাজ হচ্ছে না। তখন আপনি সাধারণভাবে সাবান দিয়ে পা ধোয়ার পরও যদি পায়ের দুর্গন্ধ না যায় সেই ক্ষেত্রে পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার ঔষধ পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেটের কয়েকটি দানা হালকা কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে পা প্রতিদিন ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন। এভাবে দুই সপ্তাহ বা পরবর্তী সপ্তাহে একবার করে প্রতিরোধক হিসাবে আবার ভিজালে গন্ধ কম হবে।
তবে পটাশের দানা এমন পরিমাণ মিশাতে হবে যে পানির রং হালকা বেগুনি যেন হয়, বেশি গাঢ় হলে পায়ে পটাশের দাগ পড়ে যেতে পারে এবং তা শুষ্ক হয়ে চুলকানি সৃষ্টি হতে পারে। তাই এটা খুবই সাবধানে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও যদি এটাও কাজ না হয় তাহলে বাজারে ভালো মানের কোম্পানি দেখে পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রে পাওয়া যায়। সেটাও আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
পায়ের ঘাম দূর করার উপায়
জুতা, মোজা পড়ার পর কারো কারো পা খুব বেশি ঘেমে যায়। আর এ কারণে দুর্গন্ধ শুরু হয়। যা একটা অস্বস্তিকর অবস্থা। তাই আপনার পায়ের ঘাম দূর করার উপায় গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ
কুসুম গরম পানিতে হালকা রং সৃষ্টিকারী পরিমাণে পটাশ দিয়ে তাতে পা ২০ মিনিট ভেজালে পটাশের প্রভাবে পা একটু কম ঘাম অনুভূতি হয় এবং ব্যাকটেরিয়া সংখ্যাও কমে যাবে। এই ব্যাকটেরিয়ার কারণেই পায়ের দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়, তাই পায়ের ঘাম দূর করার উপায় হিসেবে আপনি প্রতি দুই সপ্তাহ এইভাবে করার পরের সপ্তাহে একবার করে এভাবে পা ভিজিয়ে রেখে পরিষ্কার করলে পায়ের দুর্গন্ধ আর থাকবে না।
পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রে
পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রে বিভিন্ন অনলাইনের মাধ্যমে আপনি কিনতে পারবেন। বিশেষ করে এই স্প্রে গুলো বিদেশি হয়ে থাকে। তাই বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি কিনতে পারেন। যে অনলাইন ওয়েবসাইট গুলো বিশ্বস্ত হয়েছে সেগুলো থেকে আপনি এই স্প্রে কিনে নেবেন। নিম্নে কিছু বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটের কিছু স্প্রের নাম দেওয়া হলঃ
১। ডাক্তার রাজেস স্যারের একটি ভালো মানের পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রে হলো, ডাঃ রাজেশ ওডোর রিপেলেন্ট ফুট স্প্রে
২। হ্যানসাপলাস্ট ফুট প্রোটেকশন টু ইন ওয়ান ডিও ( Hansaplast foot protection 2 in 1 deo)
৩। ফ্লেক্সিটল ফুট ক্রিম ( Flexitol foot cream )
৪। বিউটি ফর্মুলাস ওডোর কন্ট্রোল ফুট স্প্রে
৫। ডাঃ স্কলস ফুট ওডোর প্রোবায়োটিক স্প্রে ( Dr. scholls foot odour proboitic spray)
৬। অ্যাকুইস্ট ফুট এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ডিওডোরান্ট স্প্রে
উপরোক্ত প্রোডাক্ট গুলো থেকে যে কোন একটি আপনার স্প্রে হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে একজন চিকিৎসকের মাধ্যমে এগুলো ব্যবহার করলে আরো ভালো ফলাফল পাবেন।
পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
আপনার পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো যদি ব্যবহার করেন। তাহলে সবচাইতে ভালো হয়, কেননা এগুলো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হীন প্রাকৃতিক ঘরোয়া চিকিৎসা। নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ
ব্লাক টিঃ ব্ল্যাক টি তে আছে এক ধরনের ট্যানিক অ্যাসিড, যা ব্যাকটেরিয়াকে দূর করে। যেহেতু ব্যাকটেরিয়ার কারণেই দুর্গন্ধ হয় এবং ব্যাকটেরিয়া যদি মারা যায় তাহলে আর দুর্গন্ধ হবে না। তাই আপনি নিঃসন্দেহে এই ব্লাক টি ব্যবহার করতে পারেন। কারণ রং চা জীবাণু ধ্বংস করতেও সাহায্য করে এবং পায়ের যে লোমগুলো রয়েছে সেগুলোর গোড়া থেকে বন্ধ করে দেয়।
যার কারণে আর ঘাম তৈরি করতে পারে না বিধায় দুর্গন্ধ হবে না। এখন আপনি আশি এই ব্লাক টি কিভাবে ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক। আপনার পা ভেজানোর জন্য যতটুকু পানি নেওয়ার প্রয়োজন ততটুকু নিবেন এবং তার ভিতরে দুটি ব্লাক টি দিবেন, দেওয়ার পর কিছুক্ষণ পানিটা ফুটিয়ে নিবেন।
পানি ফুটিয়ে নেওয়ার পর হালকা কুসুম গরম পানির মাঝে আপনার পা ২০ মিনিটের মত ভিজিয়ে রাখুন। দেখবেন পা থেকে জীবাণুগুলো চলে গেছে ব্যাকটেরিয়া গুলো মারা গেছে। এভাবে নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করতে থাকুন আশা করি আপনার পায়ের দুর্গন্ধ চলে যাবে।
মোজা পড়ুনঃ বাহিরে যাওয়ার সময় প্রতিদিন মোজা পরিধান করবেন। আর মোজা অবশ্যই অনেক নরম এবং যাতে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে, সেই ধরনের মোজা পরিধান করবেন। আর এই মোজা পড়ার কারণে আপনার পায়ের ভিতর যে ঘামটা তৈরি হবে, সেই ঘামটা মোজা শোষণ করে নিবে।
যার কারণে আপনার পা আর ঘামবে না। কারণ এতে আপনার বেশি ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে পারবেনা, দুর্গন্ধ হবে না। তবে মনে রাখবেন অফিস থেকে অথবা কাজে থেকে বাসায় আসার পরপরই মোজা টা ধুয়ে দিবেন। প্রতিদিন নতুন মোজা পরিধান করে অথবা ধোয়ার পর পড়বেন তাহলে আর কোন ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন হবে না।
জুতা পরিবর্তন করুনঃ চেষ্টা করবেন দুই জোড়া জুতা বাড়িতে রাখার জন্য, কেননা একই জুতা প্রতিদিন পরিধান করলে এর সাথে দুর্গন্ধ লেগে থাকতে পারে। যার কারনে ব্যাকটেরিয়াও থাকতে পারে তাই আপনার দুই জোড়া জুতা থাকলে একদিন একটা পায়ে দিলেন, পরের দিন আবার আরেকটা পায় দিবেন। আর যে জোড়া পায়ে দিলেন না সেটার রোদে শুকাতে দিবেন। এবং জুতা পড়ার পূর্বে অবশ্যই একটু বেকিং সোডা দিয়ে দিবেন তাহলে ব্যাকটেরিয়া গুলো মারা যাবে।
বেকিং সোডা ও লেবুর রসঃ বেকিং সোডা তে থাকে এক ধরনের সোডিয়াম কার্বনেট এবং লেবুতে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড দুইটা মিশ্রণের ফলে ব্যাকটেরিয়া মারা যাবে। তাই আপনি এ দুটো জিনিস পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন রাত্রিতে শোয়ার আগে ১০ - ১৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখবেন।
কিছুদিন করতে থাকেন আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন। এরপরও যদি আপনার পায়ের দুর্গন্ধ না যায় তাহলে উপরোক্ত অনেকগুলো স্প্রের নাম বলা হয়েছে তার মধ্যে থেকে একটি ব্যবহার করতে পারেন।
মোজার দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
অনেকে শীতের মাঝে জুতা পড়লে ও মোজার দুর্গন্ধটা বেশি হয়ে থাকে। আবার অনেকের সারা বছরই মোজার দুর্গন্ধ হয়। তাই নিম্নে মোজার দুর্গন্ধ দূর করার উপায় সম্পর্কে বর্ণনা করা হলোঃ
আপনি কখনোই একই মোজা প্রতিদিন পড়বেন না। চেষ্টা করবেন প্রতিদিনের মোজা প্রতিদিন পড়া একই মোজা দুদিনের বেশি পড়া যাবে না, একদিন পড়লেই ভালো হয়। মোজা খোলার পর মেলে রাখতে হবে। জুতোর মধ্যে কখনোই মজা রাখবেন না। কেননা এতে মোজার দুর্গন্ধটা জুতা লেগে যাবে। তাই বাহির থেকে আসার পর আপনি মোজার দুর্গন্ধ দূর করার উপায় হিসেবে প্রথমে আগে মোজাটা খুলে মেলে দিবেন এরপরে না হলে ধুয়ে ফেলবেন।
সবচেয়ে ভালো হয় জুতা খোলার পর পা সুন্দর করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে যদি আপনি কিছুদিন এটা পালন করতে থাকেন। তাহলে আশা করি মোজার দুর্গন্ধ আর হবে না।
জুতার দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
অনেকের পায়ের দুর্গন্ধ থেকে জুতার দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। তাই এটি একটি অস্বস্তিকর অবস্থা হয়। নিম্নে জুতার দুর্গন্ধ দূর করার উপায় গুলো বর্ণনা করা হলোঃ
আপনি জুতা খোলার সাথে সাথে পা থেকে এমন দুর্গন্ধ অনেকের বের হতে থাকে, যে একবারে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। অনেকে ভদ্রতার কারণে কিছু বলতে চায় না। অনেকে ভদ্রতা না দেখিয়ে অনেক সময় বলেই ফেলে যে ভাই আপনি পা ধুয়ে আসুন কিন্তু পা ধুয়ে আসার পরেও গন্ধ ছাড়াতেই থাকে।
ছবিঃ সংগৃহীতকিছুক্ষণ পর আবার পা থেকে দুর্গন্ধ বের হয়ে আসে। হয়তো বুদ্ধিমান লোকেরা অনেক সময় জুতা খুলেই না কিন্তু এটা তো আর সমাধান নয়। প্রকৃত সমাধান হলো আবার অনেকে এর সমাধানের প্রয়োজন মনে করে না। কারণ তাদের ধারণা যে গরমকালে জুতা পড়লে গন্ধ হবেই অথবা শীতকালে অনেকক্ষণ যাবৎ জুতা পড়ে থাকে গন্ধ হবে না এর একটি সমাধান নেওয়া উচিত।
প্রথমে আসা যাক শীতকালে পা অতিরিক্ত ঘামে কেন শীতকালের সবসময় জুতা এবং মোজা পড়ে থাকাতে পায়ের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। শরীরে অন্যান্য অংশ থেকে যেহেতু শরীর ঠান্ডা তাই শরীরের ঘাম আর হয় না কোথাও না কোথাও দিয়ে ঘাম তো বের হতেই হবে। যেহেতু পায়ের তাপমাত্রা বেশি তাই পা দিয়ে ঘাম বের হয়।
সেখান দিয়েই বের হওয়ার চেষ্টা করে এবং সেখানে দুর্গন্ধ হয়। আর গ্রীষ্মকালে সম্পূর্ণ শরীরের ঘামতে থাকে পা আরো বেশি ঘামবে তাই গ্রীষ্মকালে জুতা না পড়াই ভালো। পারলে খোলামেলা জুতা পড়ে পরিধান করে যেতে হবে। ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় এই দুর্গন্ধ কিন্তু প্রথমে মোজাতে আসে তারপরে সমস্ত জুতায় দুর্গন্ধ শুরু হয়ে যায়।
তাই জুতার দুর্গন্ধ দূর করার উপায় হল জুতাতে গন্ধ লাগার আগেই মোজা আপনাকে বদলাতে হবে। অর্থাৎ একই মজা পরপর দুইদিন ব্যবহার করা যাবে না। যদি একবার জুতাতে গন্ধ শুরু হয়ে যায় তাহলে সে জুতা চেঞ্জ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তাই প্রতিদিন চেষ্টা করবেন প্রতিদিন মজা পরিবর্তন করা।তবে এর কিছু চিকিৎসাও আছে যেমন আপনি বাহির থেকে এসে হালকা কুসুম গরম পানি এবং তার ভিতরে লবণ দিয়ে পা যদি ভিজিয়ে রাখেন।
এতে দেখবেন আপনার পা থেকে দুর্গন্ধ চলে গেছে এবং ব্যাকটেরিয়া গুলো মারা গেছে। এভাবে কিছুদিন করতে থাকেন আশা করি পায়ের দুর্গন্ধ চলে যাবে। এছাড়াও এটা যদি আপনার কাছে কঠিন মনে হয় বা ঝামেলা মনে হয় তাহলে আপনি বাজার থেকে বিভিন্ন অনলাইনের মাধ্যমে জুতা ও পায়ের দুর্গন্ধ এর স্প্রে পাওয়া যায় সেই স্প্রে অফিসে যাওয়ার সময় বা কাজে যাওয়ার সময় ব্যবহার করতে পারেন।
তাহলে দেখবেন পা ঘামলেও সেই জুতা থেকে দুর্গন্ধ হবে না কেননা এতে এক ধরনের কেমিক্যাল দেওয়া আছে যার কারণে পা ঘামতে দেয় না। সবসময় শুষ্ক থাকে আর ব্যাকটেরিয়া গুলো মারা যায়। আর তখন দুর্গন্ধ হয় না।
শেষ কথাঃ জুতা, মোজা বা পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রে এর কার্যকারী উপায়
আপনি যদি জুতা, মোজা ও পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য উপরোক্ত ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করেন। তাহলে অনেক উপকৃত হবেন। তবে যার পায়ের দুর্গন্ধ অতিরিক্ত তারা একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে কিছু ঔষধ অথবা বাজারে ভালো মানের স্প্রে পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন। যদি আমার আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগে, তাহলে আপনার বন্ধু- বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url