হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধের উপায় সমূহ ও হাত পা ঘামার চিকিৎসা জানুন
গ্রীষ্মকালে প্রায় সবারই হাত-পা ঘেমে যায়। তাই পা ও হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানা সবারই প্রয়োজন। চলুন, হাত পা ঘামার চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
যাদের অতিরিক্ত এই সমস্যা হয়, তারা হাত পা ঘামার স্প্রে ও ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার অনেকটাই উপকার হবে এবং কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে সুস্থ এবং সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন।
পোস্টসূচিপত্রঃহাতের তালু ঘামা প্রতিরোধের উপায় সমূহ ও হাত পা ঘামার চিকিৎসা
হাত-পা ঘামার কারণ
হাত পা ঘামার পিছনে কিছু কারণ থাকে নিম্নে হাত-পা ঘামার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো,
ঘাম উৎপাদনকারী গ্রন্থি বা গ্ল্যান্ড শরীরের বিভিন্ন স্থানের চেয়ে হাত পা একটু বেশি পরিমাণে থাকে। স্বাভাবিকভাবে এর মাত্রা বা ফিজিওক্যাল লিমিট পর্যন্ত ঘাম থাকে। কিন্তু এই ঘামের প্রয়োজন আছে অন্যথায় হাত পা বেশি শুষ্ক হয়ে চামড়া ফেটে যেত।
যদি এই ঘাম না হতো এবং শরীর শক্ত হয়ে যেত, তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘাম ঠিক নয়। হাত-পা অতিরিক্ত ঘামা একটি অস্বস্তিকর অবস্থায় এবং বিশাল সমস্যা। এছাড়া অনেকের অতিরিক্ত হাতের তালু ঘেমে যায়। আর এই হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ও স্প্রে অথবা ঘন ঘন হাত ধোয়া ইত্যাদি।
জ্বর এবং জ্বর ভালো হওয়ার পর কয়েক মাস পর্যন্ত শরীর বেশি ঘামতে থাকে।
তাছাড়া হাত-পা ঘামার কারণ গুলো হল; ম্যালেরিয়া, যক্ষা, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান, ঘন ঘন বমি করা, ডায়াবেটিক, নিউরোপ্যাথি শর্করার পরিমাণ নেমে গেলে, অতিরিক্ত মোটা শরীর, মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক বন্ধ হওয়ার পর থেকে, থাইরয়েড গ্রন্থির অধিক কার্যকারিতা, পিটিওইটারি গ্রন্থির অধিক কার্যকারিতা, এমনকি কখনো কখনো ক্যান্সার জাতীয় অসুখের কারণে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
এছাড়া আবহাওয়ার অতিরিক্ত তাপমাত্রা, আর্দ্রতা বেশি, ব্যায়াম করা অবস্থায়, পারকিনসন্স ডিজিজ ফিউক্রো মোসাইটোমা এবং স্পিন জাতীয় ওষুধ, অতিরিক্ত সেবন করার ফলে শরীর ঘামতে পারে।
- শুধু হাত-পা ঘামে এমন কারণ এর মধ্যে রয়েছে মানসিক দুশ্চিন্তা এবং ভয়ের কারণে, মানসিক কারণে হাত-পা ছাড়া বগল ও কুচকি গেমে থাকে অনেক সময়।
- গ্রীষ্মকালে অধিকাংশ হাত-পা ঘাম বেশি হয়
- ধীরে ধীরে হাত-পা ঘামাটা সাধারণত মানসিক কারণে হতে পারে।
- বংশগত কারণে অনেক সময় হাত-পা ঘামতে পারে।
শীতকালে হাত-পা ঘামার সমস্যাটাই প্রায় অধিকাংশই আছে। হাত-পা ঘামার শীতকালে হবার কারণ হলো নির্দিষ্ট স্থানের অতিরিক্ত তাপমাত্রা। যেহেতু শীতকালে জুতা ও মজা প্রায় সারাদিনই অনেকের পড়ে থাকতে হয়।সেই কারণে তাপমাত্রা বেশি পা ঘেমে যায়,অতিরিক্ত ঘামাতে সমস্যা তেমন নাই এর সমস্যা হচ্ছে দুর্গন্ধ হওয়া।
দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম হওয়াকে বলে ড্রোমহাইড্রোসিস এই ঘামে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি কারণে এই দুর্গন্ধের হতে পারে। গ্যাস্ট্রেটরি হাইপার হাইড্রোসিস এর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার, টমেটো সস, চকলেট, চা কফি এগুলো খাওয়ার পর ঠোট কপাল বুকের মধ্যস্থ স্থান অতিরিক্ত ঘামের সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও ধূমপান করা, টাইট পোশাক পরিধান করা, কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেকে অতিরিক্ত মধু খাবার খাওয়ার কারণে ও শরীর থেকে ঘাম ঝরতে থাকে। অনেকের শুধু হাতের তালু ঘেমে যায়। সে ক্ষেত্রে ঘন ঘন হাত ধুতে হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকতে হবে। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে বিভিন্ন স্প্রে ব্যবহার করলে সুস্থ হয়ে যাবে।
হাত পা ঘামার চিকিৎসা
হাত-পা ঘামার তেমন নির্দিষ্ট কোন ওষুধ নেই তবে হাত পা ঘামার চিকিৎসা কিছু ঔষধ এর মাধ্যমে দেওয়া যেতে পারে। যেমন, ২০% এলুমিনিয়াম ক্লোরাইড হেক্সা হাইড্রেট ইন অ্যালকোহল নামক ওষুধ নির্দিষ্ট নিয়ম ব্যবহার করলে কিছুটা ভালো থাকা যায়।
একনাগাড়ে এক মাস রাতে শোয়ার সময় এই মলমটি হাতে পায়ে মেখে শুতে হবে।পরবর্তীতে এক সপ্তাহে একবার মারতে হবে। ওষুধটি ব্যবহারে কিছুটা জটিলতা রয়েছে তাই ব্যবহারের আগে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিয়া উচিত।
সমস্ত শরীর ঘেমে থাকলে হাত পা ঘামার পর যদি সমস্ত শরীর ঘেমে থাকে। তাহলে সে ক্ষেত্রে একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে চিকিৎসা করা নেওয়া উত্তম। সে ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। মানসিক কারণে অনেক সময় ধরতে পারে এবং তা থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। মানসিক থেকে মুক্ত থাকতে চেষ্টা করতে হবে।
সাধারণত ২৫ বছর বয়সের পর নিজে নিজে থেকেই এই সমস্যা দূর হতে পারে। যদিও কোন চিকিৎসায় অতিরিক্ত ঘাম সম্পন্ন নিরাময়ের
সক্ষম নয়। তবে আয়ান্তরেসিস নামক চিকিৎসা ব্যবস্থার কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিকে ছাড়া অনেকদিন ভালো থাকা যায়।
পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য মুজা ঘনঘন বদলাতে হবে। এছাড়া পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট মেশানো হালকা বেগুনি রঙের গরম পানিতে প্রতিদিন প্রায় ৩০ মিনিট করে কয়েক দিন পা ভিজিয়ে রাখলে অনেকটা কমে যাবে। তবে একাধারে দুই সপ্তাহের বেশি যাবেন না এবং পানির রং আরো বেগুনি করবেন না।
এছাড়াও আরো কিছু হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধে যা করবেন যেমন
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
- স্ট্রেস কমানো
- ঠান্ডা পানিতে গোসল করা
- ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা
- এন্টিপারস্পিরেন্ট ব্যবহার করা
- ঔষধ ব্যবহারে কিছুটা ঘাম কম হওয়া
- এন্টিকোলিমার্জিক ওষুধ
- বটক ইনজেকশন
- সিমপ্যাথেটিক নার্ভ ব্লক করা
- থোরাসিকসিমটা থেকে
- এছাড়াও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমেও চিকিৎসা করা যেতে পারে
- পানিতে বারবার হাত-পা ধুয়ে ফেলা
- কর্পূর ব্যবহার করা
- বেকিং সোডা ব্যবহার করা
- অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করা
- সবুজ চা খাওয়া
উপরোক্ত বিষয়গুলোর মাধ্যমে আপনি হাত পা ঘামার চিকিৎসা করতে পারবেন।
হাত পা ঘামার স্প্রে
বাজারে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন ধরনের হাত পা ঘামার স্প্রে পাওয়া যায়। নিম্নে কিছু জনপ্রিয় স্প্রে এর নাম দেওয়া হল,
ড্রাই সলিউশন এন্ড টিপারস্পিরেন্ট স্প্রেঃ এই স্প্রেটি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড হেক্সাহাইড্রেট স্প্রে যা ঘামের উৎপাদনকে কমাতে পারে। যার কারণে হাত পা এবং বগল ঘাম কিছুটা কমে যায়।
ড্রাই এন্ড ক্লিয়ার অন অ্যান্টিপার স্পিরেন্ট স্প্রেঃ স্প্রেটা রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড হেকজা হাইড্রেট স্প্রে যা হাত পাও এবং বগলে ব্যবহার করতে পারবেন। এটি একটি স্বচ্ছ এবং সুগন্ধহীন স্পর্শ স্পর্শ কাতর ত্বকের জন্য এটা নিরাপদ রয়েছে।
আর্মিডেল অ্যান্টিপারিসপিরেন্ট স্প্রেঃ এতে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম জারকনিয়াম ক্লোরাইড হেকজা হাইড্রেট স্প্রে যা হাত-পা এবং বগলের ব্যবহার করা যাবে। অনেক শক্তিশালী ঘামের বিরুদ্ধে কাজ করে।
ডব এন্টি পারস্পিরেন্ট স্প্রেঃ হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধের উপায় হিসেবে এই স্প্রে টা ব্যবহার করা যেতে পারে। স্প্রেটি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড হেক্সা হাইড্রেট যাহা হাত পা এবং বগলে ব্যবহার করা নিরাপদ।এটি একটি সুগন্ধযুক্ত স্প্রে যা দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা প্রদান করতে পারে।
নাইট সোয়েট এন্টিপারস্প্রেঃ এতে রয়েছে ঘামের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এটি হাত-পা এবং বগলে ব্যবহার করা যেতে পারে এটা একটি শক্তিশালী স্প্রে যা অতিরিক্ত ঘামের জন্য ভালো থাকে।
হাত পা ঘামার স্প্রে ব্যবহার করার সময় নির্দেশে বলেই ভালোভাবে পড়ে নিবেন।
অবশ্যই স্প্রেটি শুষ্ক ত্বকে লাগানো উচিত। ঘুমানোর আগে এটি ব্যবহার করা ভালো। সেটা ব্যবহারের পরেও কোন জ্বালাপোড়া বা অসুবিধা হলে চুলকানি হলে তাহলে ব্যবহার বন্ধ রাখবেন এবং একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
হাত-পা ঘামার ঔষধ
হাত-পা ঘামার ওষুধ আছে বাজারে পাওয়া যায়। তবে আপনার জন্য কোনটা বেস্ট হবে সেটা একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্রয় করতে হবে।
তবে কিছু চিকিৎসক যে ঔষধ গুলো বলে থাকেন তাহলে
- এন্ট্রিপারস্পিরেন্ট ওষুধগুলো হল
- ড্রাই ছল
- ওডাভান
- রেক্সোনা
- টপডগ
- এক্সিড্রাই
- ওষুধ অ্যান্টিকোলোনার্গিজ ঔষধ
- প্রো প্যানব্যান্থাইন
- ডাইসাইক্লোবিন
- রবিনুল
- এছাড়া আর অন্যান্য
- লাইভ গ্লাইকো পাইরোলেট
- মিথেনামিন
হাত-পা ঘামা কিসের লক্ষণ
আসলে হাত-পা ঘামার কিসের লক্ষণ তা হল; হাত-পা ঘামা একটু স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্র অতিরিক্ত হাত-পা ঘামা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে,
হাত পা ঘামার কিছু সাধারণ লক্ষণগুলো হলো,
- উত্তেজনা উদ্বেগ ভয় ভীতি ইত্যাদি
- গরমের আবহাওয়ার কারণে
- কঠোর পরিশ্রম করলে
- কিছু খাবার এবং পানীয় যেমন ঝাল খাবার, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল ইত্যাদি
- কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে হতে পারে
- এবং অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা যেমন
- হাইপার থাইরয়েডিজম
- হাইপো গ্লাইসেমিয়া
- মেনোপজ
- কিছু সংক্রমণের কারণে
- কিছু স্নায়বিক রোগের কারণে
- এছাড়া ক্যান্সারের রোগীদেরও হতে পারে
- যদি ঘাম অতিরিক্ত হয় এবং দৈনন্দিন জীবনে বিঘ্ন ঘটায়
- যদি এত ঘামা কোন স্পষ্ট কারণ ছাড়া ঘটে
যদি হাত-পা ঘামার সাথে অন্য কোন লক্ষণ থাকে যেমন জ্বর ওজন কমে যাওয়া, ক্লান্তি বোধ করা
তাহলে একজন চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ নিতে হবে। এবং হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধের উপায় সমূহ হলো ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত দেওয়া হাত পরিষ্কার রাখা ওরা হাত ঘন ঘন হাত মোছা ইত্যাদি এই কাজগুলো করলে রোগী অনেকটা আরাম পাবে।
হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধের উপায়
হাতের তালু ঘামা একটি অস্বস্তিকর অবস্থা এটার জন্য হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধের উপায় খুঁজে বের করতে হবে নিম্নে কিছু উপায় গুলো দেওয়া হল। কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে
- প্রথমত হাতের তালু কেন ঘামছে সেটার মূল কারণ বের করে নিতে হবে
- চিকিৎসা গত কারণে হতে পারে যেমন
- চিন্তাভাবনা দুশ্চিন্তা উদ্বেগ কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি
- পরিবেশগত কারণে হতে পারে ঝাল মসলাযুক্ত খাবার ইত্যাদি
- উপরোক্ত কারণগুলো যদি দেখা যায় তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে হবে
- পরিবেশ কারণে যদি হাত ঘামা হয়ে থাকে তাহলে হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধে পরিবেশ ঠান্ডা এবং শুষ্ক রাখার চেষ্টা করুন
- পোশাক এর ক্ষেত্রে অবশ্যই সুতীর পোশাক পড়ুন, যা ঘাম শোষণ করতে পারে এমন রঙের কাপড় পড়ুন।
- খাদ্যের ব্যাপারে অবশ্যই ঝাল মসলাযুক্ত কম খাবার খেতে হবে এছাড়াও চা কফি, অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে।
- মানুসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে শারীরিক ব্যায়াম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এগুলোর মাধ্যমে মানসিক চাপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণের আসে।
- এছাড়াও কিছু ওষুধের মাধ্যমেও প্রতিরোধ করা যেতে পারে যেমন
- অ্যান্টি পার্টসপেরেন্ট হাতের তালুতে ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে
- হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধে প্রয়োগ করা যেতে পারে ড্রাই পাউডার, যেমন অনেক বেবি পাউডার, ট্যালকম পাউডার, কর্পূর গুড়া ব্যবহার করতে পারেন।
- লেবুর রস, বেকিং সোডা, টমেটোর রস, কর্পূরের পানি ব্যবহার করতে পারেন।
- হাত নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার রাখুন
- হাতের তালুতে তোয়ালে দিয়ে ঘুষে শুকিয়ে নিতে হবে
- হাতের তালুতে টিস্যু পেপার সব সময় রাখুন
- হাতের তালুতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।
লেখকের শেষ কথা
পরিশেষে বলা যেতে পারে যে, হাত পা ঘামার কোন নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। কিন্তু হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধের উপায় হল; কিছু ক্রিম ব্যবহার করলে অনেকটাই ভালো হয়ে যায়। তবে কি কারনে হাত পা ঘামছে সেটাকে খুঁজে বের করতে হবে। যদি কোন রোগের কারণে হাত পা ঘেমে যায় তাহলে সে রোগের চিকিৎসা করতে হবে। যদি বংশগত কারণে হয়ে থাকে বা অন্য কোন কারণে হতে পারে সেটা নিয়ে এতটা টেনশন করার কিছু নেই। উপরোক্ত যে কোন একটি ক্রিম আপনি ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি আমার এই পোস্টটি থেকে একটু হলেও উপকৃত হবেন। যদি আপনি পড়ে উপকৃত হন তাহলে পোস্টটি আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করুন ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url