ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা- ডাবের জল দিয়ে রূপচর্চা

ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা হলো মুখে বিভিন্ন ধরনের দাগ, ব্রণ, ত্বক শুষ্ক এবং বসন্তের দাগ ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে। চলুন, ডাবের পানি মুখে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অনেকের রোদে পোড়া দাগ রয়েছে, চুলের সমস্যা আরও বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা থাকতে পারে। এজন্য আপনি নিয়মিত ডাবের পানি দিয়ে রূপচর্চা করতে পারেন। তাই ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা- ডাবের জল দিয়ে রূপচর্চা

ডাবের পানি মুখে দেওয়ার নিয়ম

ডাবের পানি মুখে দেওয়ার নিয়ম হলো প্রথমে আপনি একটি বাটির ভিতরে কিছু ডাবের পানি নিন। এরপরে তুলা ভিজিয়ে রাখুন এবং ভেজা তুলাটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকের সমস্যা চলে যাবে। এছাড়াও চালের গুড়ার মধ্যে একটু মধু এবং ডাবের পানি মিশিয়ে নিন এবং সেই মিশ্রণটি মুখে দুই মিনিট মালিশ করবেন তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে এরপর ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন। এছাড়া আরো কিছু উপাদান মিশ্রণ করে ডাবের পানি মুখে দেওয়ার নিয়ম হলো; আপনি মুসুরির ডালের গুড়া, গোলাপজল ডাবের পানি মিশিয়ে তুলার সাথে নিয়ে আপনি আক্রান্ত স্থান দিতে পারেন এবং ২০ মিনিট রাখার পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা ব্রনের দাগের ক্ষেত্রে অনেক উপকার করে থাকে।

এছাড়াও একটি বাটিতে তিন চামচ ডাবের পানি নিয়ে হালকা এবং স্কিনকে উজ্জ্বলতা রাখতে হলে ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিবেন। আপনার স্কিনে যত ধরনের দাগ রয়েছে বা সংক্রমণ অভিযানের সমস্যা রয়েছে সেগুলো দূর করতে ডাবের পানি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া আপনি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ডাবের পানি ব্যবহার করতে পারেন।

ডাবের পানির উপকারিতা

ডাবের পানি খাওয়ার মধ্যে অনেক উপকার রয়েছে অথবা মুখে ব্যবহার করলেও উপকারিতা পাবেন। ডাবের পানির উপকারিতা প্রধানত পানি শূন্যতা ক্ষেত্রে সাহায্য করে। এছাড়া আমাদের ডায়রিয়া হলে আমরা ডাবের পানি খেয়ে থাকি অতিরিক্ত ঘামের কারণেও যদি শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়।

সে ক্ষেত্রে ডাবের পানি খেলে অনেক উপকার রয়েছে। কেননা চিকিৎসকরা ডায়রিয়া, কলেরা এই ধরনের রোগীদের কে সাধারণত ডাবের পানি এবং স্যালাইন খেতে বলে।

আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হন সেই ক্ষেত্রে রক্তের গ্লুকোজ কমাতে হলেও এ ডাবের পানি ব্যবহার করতে পারেন।

আপনার ত্বকের যদি উজ্জ্বলতা এবং সৌন্দর্য ধরে রাখতে চান সে ক্ষেত্রে ডাবের পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন নিয়মিতভাবে, কেননা ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা রয়েছে।

আপনার যদি হজম সমস্যা থাকে সেই ক্ষেত্রে ডাবের পানি নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আমাদের পেটের ভিতরে যে এসিডিটি হয়ে থাকে সেটা দূর করতে সাহায্য করে এই ডাবের পানি এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।

ডাবের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য এবং হাড় মজবুত করার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ডাবের পানি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করতে পারে কারণ এর মধ্যে রয়েছে ফাইবার। আর ফাইবার সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে।

ডাবের পানির মধ্যে ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা আপনার শরীরের রক্তচাপ কমাতে পারবে।
যাদের মূত্রনালীতে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে ডাবের পানি খেলে যদি কোন ইউটিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে এটা অনেক উপকার করতে পারে। অনেকের প্রচণ্ড পরিমাণ মাথা ব্যাথা করে মাইগ্রেনের ব্যথা করে এক্ষেত্রে আপনি ডাবের পানি ব্যবহার করতে পারেন।

ডাবের পানির উপকারিতা রয়েছে অনেক যেমন ডাবের পানির ভিতরে যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি ধরনের উপস্থিতি আছে এর কারণে দাঁতের উজ্জ্বলতা ভালো থাকবে এবং দাঁতের মাড়ি কে মজবুত রাখবে।

অনেক সময় রক্ত বের হয় এবং অনেকে কষ্ট অনুভুতি করে সে ক্ষেত্রে আপনি ডাবের পানি ব্যবহার করতে পারেন। দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া তারপর কালচে হয়ে যাওয়া এই ধরনের সমস্যাগুলো সমাধান করতে আপনি ডাবের পানি ব্যবহার করতে পারেন।

ডাবের পানির অপকারিতা

একজন সুস্থ মানুষের জন্য ডাবের পানি খুবই উপকারী এবং কিডনি ভালো থাকে কিন্তু যাদের কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে ডায়ালাইসিস করে থাকেন সে সকল রোগীদের কে ডাবের পানি দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে ডাবের পানির অপকারিতা রয়েছে। কেননা ডাবের পানির ভিতরে পটাশিয়াম থাকে আর কিডনি রোগীগুলো তাদের পটাশিয়াম বের করতে পারেনা।

তাই তাদের শরীরের ভিতরে পটাশিয়াম এবং ডাবের পানির পটাশিয়াম এক হয়ে ক্ষতি হতে পারে। এমনকি রোগি মারাও যেতে পারে। তাই অসুস্থ বা এই সকল রোগীদের কে ডাবের পানি খাওয়ানোর পূর্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং যাদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে তাদেরও ডাবের পানি খাওয়া যাবে না। ডাবের পানির অপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
ওজন কমে যায়ঃ সাধারণত যদি নিয়মিত ডাবের পানি খেয়ে থাকে তাহলে অনেকটাই ওজন কমে যাবে। ডাবের পানির মধ্যে যে উপাদান গুলো রয়েছে তা শরীরে ক্যালরি মাত্রাটা বাড়িয়ে তোলেন অন্যান্য পানীয় জাতীয় খাবার খেলে যে প্রচুর পরিমাণে সুগার থাকে বা চিনি থাকে কিন্তু ডাবের পানির মধ্যে তুলনামূলক চিনির পরিমাণ খুবই কম তারপরও ডাবের পানি অনেক উপকারী রয়েছে।

উচ্চ রক্তচাপঃ যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা ডাবের পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কেননা এর ভিতরে যে সোডিয়াম রয়েছে সেটা উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। আর যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নেই তারা প্রতিনিয়ত ডাবের পানি খেতে পারে তবে সপ্তাহে দুই এক দিন খেলে তেমন একটা ক্ষতি হবে না।

আপনি যদি বেশি বেশি ডাবের পানি খেয়ে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে ডায়রিয়া হতে পারে।
যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ তারপরে ডাবের পানি খাবেন। এছাড়া যাদের সর্দি, ঠান্ডা লেগেই থাকে তারা ডাবের পানি না খাওয়াই ভালো।

ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা

আমরা সাধারণত ডাবের পানি খেয়ে থাকি পানি শূন্যতা বা ডায়রিয়া হলে এবং শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে তাই এই ডাবের পানি উপকার করে থাকে। ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা হলো যাদের শুষ্ক ত্বক রয়েছে তারা ডাবের পানি ব্যবহার করলে আর শুষ্ক ত্বক থাকবে না। অনেকের মুখে প্রচুর পরিমাণে ব্রণ রয়েছে আর এ ব্রণ দূর করতে হলে নিয়মিত ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন।
ছবি
আপনার ত্বকে আক্রান্ত স্থানে প্রতিদিন ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে এ সকল ত্বকের দাগ থাকবে না। এর জন্য আপনি ডাবের পানিতে কিছু তুলা ভিজিয়ে রেখে সেটা দিয়ে মুখে বা আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এভাবে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন দিনে এক বেলা হলেও আপনি এই কাজটা করতে পারেন।

রোদে পোড়া দাগ দূর করতে এবং যাদের শুষ্ক ত্বক ডাবের পানির ভিতরে দশটি কাঠবাদাম ভিজিয়ে রেখে সেই পানি মুখে ব্যবহার করলে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে এই সমস্যার সমাধান হবে। অবশ্যই ডাবের পানি ব্যবহার করার সময় চোখ, মুখ বন্ধ রাখবেন এবং পানি দিয়ে সুন্দর করে পরিষ্কার করে নেবেন। ভালো একটি ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিবেন এরপর ডাবের পানি ব্যবহার করবেন।

ডাবের পানি মুখের তৈলাক্ততা দূর করে। অর্থাৎ তৈলাক্ত স্থানগুলোতে যে ময়লা জমে তা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এজন্য আপনি ডাবের পানি দিয়ে পরিষ্কার করে রাখতে পারবেন। এছাড়া অনেকের মুখে বসন্তের দাগ রয়েছে দেখতে ভালো লাগে না এই দাগ দূর করতেও আপনি ডাবের পানি ব্যবহার করতে পারেন।

আবার অনেকের মুখে পিম্পল বা গোটা গোটা উঠে থাকে সেটাও দূর করতে পারে, এর জন্য আপনি ডাবের পানি একটি গ্লাসের মধ্যে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। বরফ দিয়ে আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত লাগিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যাবে।

খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

হাড় শক্ত করেঃ এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে ডাবের পানিতে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে সেটা একজন মানুষের হাড়কে শক্ত করতে পারে, স্বাস্থ্যের উন্নত এবং ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করতে পারে। এছাড়াও এর মাঝে ম্যাগনেসিয়ামও আছে যা অন্যান্য ক্ষেত্রেও সাহায্য করে। বৃদ্ধ বয়সে যাদের হাড়ের সমস্যা হয়ে থাকে তারা সাধারণত সকালে উঠে যদি ডাবের পানি খায় তাহলে তাদের অনেক উপকার হবে।

শরীরকে বিষমুক্তঃ আমাদের শরীরে ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে প্রাকৃতিক উপাদানের ভূমিকার সবচাইতে বেশি তার মধ্যে যদি প্রতিনিয়ত আপনি সকালবেলা ডাবের পানি খেয়ে থাকেন। তাহলে এতে খারাপ টক্সিন গুলো বের হয়ে যাবে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধিগুলো আক্রমণ করতে পারবে না।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণঃ খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা হলো, এক গবেষণায় দেখা গেছে ডাবের পানিতে অ্যামাইনো এসিড থাকার কারণে এবং এক ধরনের ডায়েটারি ফাইবার থাকার কারণে ইনসুলিন এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেয়। তার কারণে ব্লাড সুগার বা রক্তের শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই চিকিৎসকরা রক্তের শর্করা মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য ডাব খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

কিডনি ভালো থাকেঃ ডাবের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম আছে এর জন্য কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এছাড়াও শরীরের টক্সিন ইউরিন গুলা বের করে দিতে সাহায্য করে। তবে যাদের কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে ডাবের পানি খাওয়া নিষিদ্ধ।
পানি শূন্যতা দূর করেঃ সারাদিন কাজ করার পরে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ ঘাম বের হয়ে যায় এতে অনেক পানি শূন্যতা দেখা যায় এবং শরীর থেকে পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম বের হয়ে যায় এর কারণে আমরা যদি পরিমাণ মতো ডাবের পানি খায় তাহলে আমাদের এই শরীরে পানির শূন্যতাটা দূর হবে।

সেই সঙ্গে ডায়রিয়া হলেও অনেক সময় পানি শূন্যতা দেখা যায় এই জন্য আমরা ডাবের পানি খেতে পারি। গরমকালে বিশেষ করে শরীর ঘামার কারণেও আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হওয়ার কারণে পানি শূন্যতা হবে বিধায় আমরা এই পানি শূন্যতা পূরণ করার কারণ জন্য ডাবের পানি খেতে পারি।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়েঃ ত্বকের সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য আপনি প্রতিনিয়ত যদি ডাবের পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে থাকেন অথবা আক্রান্ত স্থানগুলো ডাবের পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন।

সে ক্ষেত্রে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে এবং বিভিন্ন ধরনের দাগ বা বিভিন্ন ব্রণের বা দাগগুলো দূর হয়ে যাবে এবং চোখের নিচে কালি এগুলো দূর হয়ে যাবে এবং উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য ধরে রাখবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ ডাবের পানির মধ্যে এমন কিছু ভিটামিন উপাদান রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিশেষ করে আমাদের শরীরে যদি কোন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে সেটাকে প্রতিরোধ করার জন্য এই ডাবের পানির মধ্যে যে উপাদান গুলো রয়েছে সেগুলো প্রতিরোধ করতে পারে। এর মাঝে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল যা বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণকে প্রতিহত করতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা

একজন গর্ভবতী মা গর্ভ অবস্থায় তার বাচ্চার সুস্থতার জন্য ডাবের পানি খেতে পারেন। এতে অনেক উপকার রয়েছে নিম্নে গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো,

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ একজন গর্ভবতীর সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি হয়ে থাকে। গর্ভবতী মায়েদের হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এবং আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার কারণেও সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। এই সময় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যুক্ত খাবার এবং ডাবের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।

শিশুর মস্তিষ্ক ভালো থাকেঃ একজন গর্ভবতী মা যদি নিয়মিত ডাবের পানি খায় তাহলে তার শিশুর মস্তিষ্ক উন্নতি হবে এবং ভালো থাকবে মেধা শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং মা সুস্থ থাকবে।

পটাশিয়ামের ঘাটতিঃ গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা হলো, একজন গর্ভবতী মায়ের এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়ামের প্রয়োজন হয় সেই ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্ট এর পাশাপাশি যদি সে ডাবের পানি খেয়ে থাকে তাহলে তার পটাশিয়ামের ঘাটতিটা পূরণ হয়ে যাবে।

কেননা এর অভাবে অনেক সময় গর্ভবতী মায়ের পা ফুলে যায় পায়ে পানি এসে যায় এই ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পটাশিয়ামের প্রয়োজন হয়। আর এই জন্য ডাবের পানি খাওয়া খুবই দরকার।

বুক জ্বালাপোড়া করাঃ গর্ভবতী মায়ের এই সময়ে সাধারণত পেটের এসিডিটি বেড়ে যায় এবং বুক জ্বালাপোড়া করতে থাকে তার কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থাকে, তাই ডাবের পানি এই এসিডিটিকে কমিয়ে দিতে পারে এছাড়াও খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে থাকে।

ত্বকের সমস্যাঃ গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের সাধারণত মুখে বিভিন্ন ধরনের ব্রণ বা বিভিন্ন ধরনের দাগ, এবং তাকে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে।

ক্লান্তি দূর করাঃ গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত সকালবেলা ক্লান্তি দূর করার জন্য হলেও এক গ্লাস ডাবের পানি খাওয়া দরকার। কেননা এর মাঝে যে ম্যাগনেসিয়ামের, ক্যালসিয়াম রয়েছে সেটা দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে পারে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করাঃ একজন গর্ভবতী মায়ের সাধারণত যাদের উচ্চ রক্তচাপ নেই তাদের সাধারণত দেখা যায় লো প্রেসার হয়ে যায়। আর এটা বৃদ্ধি করার জন্য বা স্বাভাবিক রাখার জন্য ডাবের পানি খেলে রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং বৃদ্ধি পাবে কারণ এর মাঝে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম।

ডাবের জল দিয়ে রূপচর্চা

আপনার মুখের বা হাত পায়ের বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা থাকতে পারে সেই ক্ষেত্রে ডাবের জল দিয়ে রূপচর্চা করতে পারেন।

রোদে পড়ার দাগ দূর করাঃ আপনার ত্বকে রোদে পড়ার দাগ যদি থেকে থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনি ডাবের পানির সাথে মুলতানি মাটি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। এটা নিয়মিত পোড়া স্থানে লাগাতে থাকুন এবং ২০ মিনিট পরে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
ছবি
এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার আগুনে পোড়া দাগ দূর হবে। এছাড়াও ডাবের পানি আরো অনেক উপকার করে দিতে পারে। অথবা গোসলের পানিতে ডাবের পানি মিশিয়ে গোসল করতে পারেন এভাবে ব্যবহার করলেও ইনফেকশন দূর হবে।

ফেসওয়াশ হিসাবেঃ ডাবের পানির দিয়ে আপনি ফেসওয়াশ তৈরি করতে পারেন। দিনে দুইবার আপনি ব্যবহার করবেন এতে দাগগুলো চলে যাবে এবং মুখের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। তাই আপনি নিয়মিত ভাবে ডাবের জল দিয়ে রূপচর্চা করতে পারেন।
চুলের সমস্যাঃ অনেকের চুলের সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে ডাবের পানি অনেক উপকার করে থাকে এবং ব্যবহার করার ফলে মাথার স্কাল্পের ভিতর রক্ত চলাচল দ্রুত করতে পারে।

এছাড়া চুল পড়ে না, চুলকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে হলে এ ডাবের পানি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও যদি আপনার চুলের খুশকি হয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে এই ডাবের পানির ব্যবহার করলে দূর হয়ে যাবে।

মুলতানি মাটিঃ এই মুলতানি মাটির সাথে আপনি ডাবের পানি নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে পেস্ট বানান। যা হালকা করে ত্বকে লাগিয়ে দিতে পারেন এছাড়াও মুখে দেওয়ার পরেও আপনি ঘাড়ে গলায় ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় দিতে পারেন। 

স্কিনের উজ্জ্বলতাঃ আপনি যদি আপনার স্ক্রিন এ উজ্জ্বলতা নিয়ে আসতে চান, তাহলে অবশ্যই ডাবের পানি ব্যবহার করবেন। কেননা এই ডাবের পানির ভিতরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বককে সুন্দর সতেজ রাখে এবং উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসে। আপনি একবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন অনেক উপকার পাবেন।

আমাদের শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায় যে, আপনার ত্বকের যদি কোন সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে ডাবের পানি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও ডাবের পানি খেলেও অনেক উপকার রয়েছে। কেননা ডাবের পানির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, মিনারেল ইত্যাদি উপাদান রয়েছে। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা রয়েছে। এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪