বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে জেনে নিন-ইউরোপ ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ

অনেকে ইউরোপের দেশ গুলোতে যেতে চায় কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে, এ বিষয়ে জানে না। চলুন, ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে এবং বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে জানা যাক।
ছবি
অনেক মানুষ ইউরোপের এই দেশগুলো যাওয়ার জন্য বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে যেয়ে থাকে। এতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। তাই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে? সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলটি ধৈর্যের সাথে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে জেনে নিন-ইউরোপ ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ

সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে কিছু রাষ্ট্রতে সরকারি ভাবে যাওয়া যায় তাই সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় গুলো জানা খুবই দরকার। কেননা যারা ইউরোপের কান্ট্রিগুলোতে যেতে চান তাদের এই পদ্ধতি গুলো জানা দরকার নিম্নে এই বিষয়ে আলোচনা করা হলো,

অনেকে দালাল বা কোন এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ যেতে চান না, তাদের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে কিছু কাজ করা হয়ে থাকে। এজন্য কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে প্রথমত তাদেরকে একটি নিবন্ধন করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও পরিসংখ্যান কেন্দ্রীয় যে ব্যাংক রয়েছে সেখানে আপনাকে প্রথমে নিবন্ধন করতে হবে।

এরপর আপনাকে এখানে কিছু প্রশিক্ষণ দিতে হবে সে ক্ষেত্রে দক্ষ অদক্ষ অল্পদক্ষ নারী-পুরুষ সবাই নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধন যিনি করবেন তার বয়স সর্বনিম্ন আঠারো বছর হতে হবে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নারী গৃহকর্মীদের বেশি নিতে চায় সেক্ষেত্রে বয়স ২৫ থেকে ৪৫ বছর হলে চলবে।

নিবন্ধনকারী সর্বনিম্ন ছয় মাসের একটি পাসপোর্ট লাগবে এবং নিজস্ব একটি মোবাইল থাকতে হবে। কেননা এর জন্য তাকে আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে এসএমএসের মাধ্যমে। আপনি যখন নিবন্ধন করলেন তারপর থেকে শুরু করে যে কোন সময় আপনার সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি দপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যেতে হবে।

নিবন্ধনের সময় আপনার যত যোগ্যতা রয়েছে সেগুলো সনদ ডাটা ব্যাংকে সংযুক্ত করতে হবে। এছাড়া নিবন্ধনের জন্য মেয়াদ হবে দুই বছর এ সময় কোন যোগ্যতা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলে যোগ্যতার উপর ভিত্তি করেই সরকারিভাবে আপনি কাজের ব্যবস্থা পেয়ে যাবেন। যারা আগ্রহী তারা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ২০০ টাকা এর মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা দিতে পারবেন। যেমন বিকাশ নগদ রকেট ইত্যাদির মাধ্যমে।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে

ইউরোপ মহাদেশে সবাই যেতে চায় কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে তা হয়তো অনেকে জানে না। আজকে চলুন এ বিষয়ে আলোচনা করা যাক। বাংলাদেশের লোক ইউরোপে সব দেশে যেতেও পারে না তবে যে দেশগুলোতে যেতে পারবে সেগুলোর নাম নিম্নে দেওয়া হল,
  • ইতালি
  • জার্মানি
  • ফ্রান্স
  • অস্ট্রিয়া
  • সুইজারল্যান্ড
  • হাঙ্গেরি
  • রোমানিয়া
  • ফিনল্যান্ড
  • নেদারল্যান্ড ইত্যাদি রাষ্ট্রগুলোতে যেতে পারবে।
এ দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে যেতে পারবে। উপরোক্ত দেশগুলো যেতে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। তবে ইউরোপের এক দেশের জন্য একেক রকম টাকা লাগতে পারে। এর চেয়ে কম বেশি হতে পারে কোন দেশে কত টাকা লাগবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

ইতালিঃ ইতালিতে যদি আপনি সিজনাল ভিসাতে যান অর্থাৎ ছয় মাসের জন্য সেই ক্ষেত্রে ৪ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। আর যদি সিজনাল ছাড়া যেতে চান সে ক্ষেত্রে সম্পন্ন খরচ হবে ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। তবে দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে যদি যান সে ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ টাকাও লাগতে পারে।

যদি স্টুডেন্ট ভিসাতে যান একটু খরচ কম হবে। প্রাথমিকভাবে ৬০ হাজার টাকা লাগবে ভিসা করতে আর বায়োমেট্রিক খরচ ছাড়াও আরো আনুষঙ্গিক সর্বমোট খরচ একটু বেশি লাগতে পারে। আর যদি আপনি ভ্রমণ বিষয়ে যান সেই ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ৯০ দিনের মতো থাকতে পারবেন। এর জন্য প্রায় ৪ লাখ টাকা লাগতে পারে।

জার্মানিঃ বাংলাদেশ থেকে জার্মানি কাজ করার জন্য যেতে প্রায় ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত লাগবে। এর মধ্যে থাকবে ভিসা প্রসেসিং বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে সম্পূর্ণ। তবে যদি উচ্চ শিক্ষার জন্য স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান সেই ক্ষেত্রে ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে। আর শর্ত হলো জার্মানি ব্যাংকের একাউন্টে ৮০৪০ ইউরো ডিপোজিট থাকতে হবে এবং ভিসার জন্য প্রায় ১০০০০ ইউরো মত লাগতে পারে।

রোমানিয়াঃ আপনি যদি রোমানিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সরকারি নিয়মে যেতে চান সে ক্ষেত্রে খরচ হবে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। আর যদি বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে খরচ হবে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা এবং স্টুডেন্ট ভিসায় ৭০ থেকে ১০০ ইউরো এবং ফ্যামিলি ভিজিট করার ক্ষেত্রে ১০০ থেকে ১২০ ভিসার জন্য খরচ হবে। এছাড়া অন্যান্য খরচ সবকিছু মিলে প্রায় ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে।
ফ্রান্সঃ ফ্রান্সে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে আপনার ভিসা ও সবকিছু মিলে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। আর ভ্রমণ ভিসা ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে। তবে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষতা থাকতে হবে এবং আইইএলটিএস থাকলে কম খরচে স্টুডেন্ট ভিসা আপনি যেতে পারবেন।

পর্তুগালঃ পর্তুগাল যেতে আপনাকে চার ধরনের ভিসায় যেতে পারবেন এর মধ্যে ভিসা খরচ এবং যাতায়াত খরচ রয়েছে। ওয়ার্ক পারমিট বিষয়ে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মত লাগবে। স্টুডেন্ট ভিসায় ৫ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। তবে স্কলারশিপ নিয়ে গেলে খরচ কম হবে। ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে। মেডিকেল ভিসায় গেলে চার লক্ষ টাকার মত খরচ হবে।

হাঙ্গেরিঃ হাংগিরির মতো রাষ্ট্রে আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিটে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে গেলে ৪ থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। যদি আপনি ভিজিটের ভ্রমণ বিষয়ে যান সে ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হবে।

সুইজারল্যান্ডঃ বর্তমানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সুইজারল্যান্ড পাওয়া অনেক কঠিন। তবে কাজের ভিসায় সুইজারল্যান্ড যাওয়ার জন্য আপনার খরচ হবে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। আর এজেন্সির মাধ্যমে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৬ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে। পৃথিবীর সবচাইতে সৌন্দর্য দেশ সুইজারল্যান্ড যদি আপনি ভ্রমণের জন্য যেতে চান সেই ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে।

ফিনল্যান্ডঃ ফিনল্যান্ড যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে ওখানে আপনার কোন পরিচিত লোক থাকে তার মাধ্যমে গেলে মাত্র দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে। আর যদি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাগবে এবং স্কলারশিপ নিয়ে যদি ফিনল্যান্ডে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ১ লক্ষ বা তারও কম খরচ হতে পারে। তবে স্কলারশিপ ছাড়া খরচ অনেক বেশি হবে।

নেদারল্যান্ডঃ নেদারল্যান্ড আপনি সরকারি ভাবে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে খরচ হবে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত। তবে আরো বেশি লাগতে পারে প্রায় ৯ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত। দালাল ও এজেন্সির মাধ্যমে গেলে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। আর উচ্চ শিক্ষার জন্য নেদারল্যান্ডে গেলে সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৬ থেকে ২০০০০ ইউরোর মত।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় রয়েছে বিভিন্নভাবে। সেক্ষেত্রে আপনি পারিবারিক ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা স্টুডেন্ট ভিসা ভ্রমণ ভিসা ইত্যাদির মাধ্যমে যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে একটি দেশের যদি আপনি ভিসা পেয়ে যান তাহলে প্রায় ২৭ টি দেশ ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন।
ছবি
এই সুযোগটা ইউরোপের সেনজন ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যদি আপনি ভিসা পেয়ে যান। ইউরোপের প্রায় দেশগুলোই অনেক উন্নত মান রয়েছে। এছাড়াও স্টুডেন্ট ভিসা গুলোতে যুক্তরাষ্ট্র কানাডা বা অন্যান্য উন্নত রাষ্ট্রের চাইতে একটু কম খরচ হয়ে থাকে এবং পদ্ধতি গুলো সহজ হয়ে থাকে। নিম্নে ইউরোপের দেশগুলোতে কিভাবে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সমূহ নিম্নে বর্ণনা করা হলো,

সুইজারল্যান্ডঃ ইউরোপ কান্ট্রির মধ্যে সবচাইতে সৌন্দর্য দেশ হলো সুইজারল্যান্ড প্রকৃতির অপরূপ এবং সবচেয়ে সুখী রাষ্ট্র বলা হয়ে থাকে। তাই এই রাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য সবারই স্বপ্ন থাকে এজন্য বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ডের যাওয়ার জন্য সহজ উপায় হল টুরিস্ট ভিসা অথবা স্টুডেন্ট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে আবেদন করা যেতে পারে।

এই সুযোগ সুবিধা টা সুইজারল্যান্ড দিয়েছে তাই আপনি যদি সুইজারল্যান্ড যেতে চান সেজন্য আপনাকে আগে প্রথমে আবেদন করতে হবে। এরপর টুরিস্ট অথবা স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে আপনি সে রাষ্ট্রে যেতে পারবেন।
ফ্রান্সঃ বিশ্বের সৌন্দর্য দেশের মধ্যে ফ্রান্স একটি অন্যতম আর ইউরোপের এই দেশটি ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবচাইতে মনমুগ্ধকর। পৃথিবীর সৌন্দর্য দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্স একটি বিশেষ করে ফ্রান্সের প্যারিস শহরটা খুবই সৌন্দর্য। এখানে বিশাল আইফেল টাওয়ার আছে বড় বড় সাহিত্যিকরা রয়েছেন তাই ইউরোপের এই দেশটিতে যাওয়ার জন্য সবারই আগ্রহ থাকে।

বর্তমানে ফ্রান্সের জব ভিসা পাওয়া খুবই কঠিন এর জন্য আবেদন করা আসলে আপনার জন্য বোকামি ছাড়া কিছুই নাই। এখানে আবেদন করলে চাকরি হবে না। তবে স্টুডেন্ট ভিসা আপডেট এ দেশে যেতে পারেন এজন্য প্রয়োজন এবং কয়েকটি পদ্ধতিতে ভিসা পেতে পারেন।
  • পারিবারিক ভিসা হিসাবে পেতে পারেন
  • ব্যবসা ভিসা করতে পারেন
  • স্টুডেন্ট ভিসা যেতে পারেন
  • পর্যটন ভেসে যেতে পারেন
পর্তুগালঃ ইউরোপের অন্যতম একটি রাষ্ট পর্তুগাল যাকে সাগরকন্যা বলা হয়ে থাকে। এদেশটি আটলান্টিক মহাসাগরের কাছাকাছি অবস্থিত। দীর্ঘতম ঝুলন্ত ব্রিজ এছাড়াও সবুজ শ্যামল ঘেরায় সৌন্দর্য। এই দেশটি আপনি ইউরোপের এই পর্তুগাল রাষ্ট্রটিতে আসতে পারেন সহজ উপায়।

আসলে ইউরোপের এই দেশগুলোতে আসার জন্য সহজ উপায় হল চাকরি ভিসার মাধ্যমে আসতে পারেন। এজন্য বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল আসার জন্য ভিসা আবেদন করতে হবে। তবে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করতে হলে অবশ্যই আপনার আইএলটিএস থাকতে হবে।

মাল্টা রাষ্ট্রঃ এ রাষ্ট্রটিতে বাংলাদেশের লোকজন দের জন্য সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এবং ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে তারপর স্টুডেন্ট ভিসা অনুমতি রয়েছে। এই রাষ্ট্রে আপনি খুব সহজেই যেতে পারবেন এবং ভিসা পেতে পারেন। এ রাষ্ট্র সাধারণত সাতটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি দেশ ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে। এই দেশটির অত্যন্ত সৌন্দর্যরা রাষ্ট্র এজন্য এ দেশে আপনি করতে পারেন।

উপরোক্ত দেশগুলো সুযোগ-সহ সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বলা হলো কিন্তু এই সমস্ত রাষ্ট্রগুলো ইউরোপের মহাদেশের মধ্যে অবস্থিত।

ইউরোপ ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ

ইউরোপের ভিসা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তি করতে হয় এবং বিভিন্ন দালালের খপ্পর পরে অনেক টাকা ক্ষতি হয়ে যায়। তাই নিম্নে ইউরোপ ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো,
ছবি
এজেন্সির নামঃ আল ওমর রিকমেন্ট, লাইসেন্স নাম্বার হল ১৬০০ এবং যোগাযোগের ঠিকানা ১৫৫ শহীদ নজরুল ইসলাম সরণী, নতুন ৩৯ কাকরাইল, নাভানা রহিম, আরেন্ট ১০ তলা, স্যুট বি ১০, ঢাকা ১০০০। এই ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও মোবাইল নাম্বার হল ০১৮২৮-৫৫৫৫১৮ । এই এজেন্সির মেয়াদ হল ১৬ /১২/২৪ সাল

এজেন্সির নাম হলঃ জব উলেস, লাইসেন্স নাম্বার হলো ২০৫৮ । যোগাযোগ করতে পারেন এই ঠিকানায় তা হল ২৫০/১ তৃতীয় তলা গুলশান লিংক রোড তেজগাঁও সি/এ ঢাকা ১২০৮। মোবাইল নাম্বার হল ০১ ৭১৯ ৮৫৬ ৯৫৫ আর এই এজেন্সির মেয়াদ শেষ হবে ১৯-০৫ ২০২৫ সাল পর্যন্ত।
এজেন্সির নাম হলঃ এ হোসেন ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড। লাইসেন্স নম্বর হলো ২০৪১। যোগাযোগের ঠিকানা হলো ৭৮ নয়া পল্টন, সানজারি টাওয়ার, ছয় তলা ঢাকা ১০০০। মোবাইল নাম্বার হল ০১৮৮৩৩০৮৯৭৭ এই এজেন্সির মেয়াদ শেষ হবে ২০- ০৩- ২০২৫ সাল পর্যন্ত।

এজেন্সির নাম হলোঃ এ হালিম ইন্টারন্যাশনাল, লাইসেন্স নাম্বার হলো ০৮৫২। যোগাযোগ করতে পারেন এই ঠিকানায় ৬৭/১ ইস্ট টাওয়ার নিকট পল্টন চায়না টাউন, সুট ১০/৩, ৯ তলা নয়া পল্টন, ঢাকা ১০০০। মোবাইল নাম্বার হল ০১৮২০২৯৭৬৫৯। এই এজেন্সির মেয়াদ থাকবে ৩১ /১২ /২০২৫ সাল পর্যন্ত।

এজেন্সির নাম হলঃ আহলান সার্ভিসেস লিমিটেড, লাইসেন্স নাম্বার হল ২২৭১। যোগাযোগের ঠিকানা আরএস ভবন ৫ তলা রুম নাম্বার ৬০৫ ১২০/এ মতিঝিল ঢাকা ১০০০। মোবাইল নাম্বার হল ০১৬১ ৩০০৩৩৬২৮ এজেন্সির মেয়াদ হল ০২ /০২ /২০২৬ সাল।

ইউরোপ ভিসা আবেদন

আপনি যদি এর উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে অবশ্যই ইউরোপ ভিসা আবেদন পদ্ধতি জানতে হবে। তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। কেননা অনেকে দালালের খপ্পরে পড়ে ভিসা আবেদন পদ্ধতি না জেনে তাদের উপর ছেড়ে দেওয়ার কারণে অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই নিম্নে কিভাবে ইউরোপ ভিসা আবেদন করা যায় তা আলোচনা করা হলো,

আপনি যদি ইউরোপ দেশগুলোতে যেতে চান তাহলে উপরোক্ত যে এজেন্সির নামগুলো দেওয়া হয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এরপর সরকার অনুমোদিত এগুলো এজেন্সি কিনা সেটা জাস্টিফাই করে নিবেন এবং বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয়গুলো বিভিন্ন এজেন্সির সাথে কথা বলে যেটা আপনার ভালো লাগবে সে এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারবেন।

এরপরে সরকার অনুমতিতে এজেন্সি এদের সাথে পরামর্শ করে ইউরোপ ভিসা আবেদন পদ্ধতি তাদের থেকে জেনে আপনি আবেদন করবেন এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের যে জব নিয়োগ দিয়ে থাকে সেগুলোতে আবেদন করতে পারেন।

উপসংহারঃ 

পরিশেষে বলা যায় যে ইউরোপ একটি সৌন্দর্য এবং অধিকাংশ সুখী রাষ্ট্র সেখানে অনেকেই যেতে চায়। তবে বিভিন্ন দালালের খপ্পরে পড়ে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তাই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে? এ বিষয়ে অনেকেই জানে না। আপনি এজেন্সি গুলোর সাথে অথবা সরকারি ভাবে যোগাযোগ করে যাবেন। আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন, যদি আমার এই পোস্টটি ভাল লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪