হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত ও বেতন সম্পর্কে জানুন

 
বাংলাদেশ থেকে অনেকে হাঙ্গেরিতে যেতে চায় কিন্তু বর্তমানে হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত হতে পারে, এটা অনেকে জানে না। চলুন, হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ ও বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অনেক লোক দালালের খপ্পরে পড়ে বুঝতে পারেনা যে আসল ভিসা নাকি নকল ভিসা। তাই সঠিক তথ্য জেনে তারপর ভিসা করবেন। তাই হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত? সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃহাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ ও বেতন সম্পর্কে জানুন

হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত

আপনি যদি হাঙ্গেরিতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিটের মাধ্যমে গেলে ভালো হয়। আর হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত এটা অনেকেই হয়তো জানে না। তাই নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

বাংলাদেশের লোকজন সাধারণত হাঙ্গেরি যাওয়ার কথা বলে পরে ওই দেশ থেকে ইউরোপের অন্য দেশে চলে যেত। এই জন্য বর্তমানে হয়তো ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে অনেকটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাই বাংলাদেশের লোকজনের জন্য হাঙ্গেরির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে গেছে।

কেননা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার সুবিধা হল আপনি ওই দেশে অনেকদিন যাবত থাকতে পারবেন। এই জন্য এই ভিসা পদ্ধতি অনেকটা ভালো হবে। তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গেলে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে যেতে হবে, তাহলেই ওই দেশের দূতাবাস আপনাকে অনুমতি দিবে।
যদি আপনি বেসরকারি ভাবে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে খরচ পড়বে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। আর যদি সরকারি ভাবে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে খরচ কিছুটা কম হবে।

সরকারিভাবে যদি হাঙ্গেরি ওয়ার্ড পারমিট ভিসায় যেতে চান তাহলে খরচ পড়বে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। তবে এর থেকে কিছু কম বেশি হতে পারে। কেননা বর্তমানে সবকিছুই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি বিস্তারিত জানতে সরকার অনুমতিত বিভিন্ন এজেন্সিতে যোগাযোগ করতে পারেন।

আপনি যদি হাঙ্গেরিতে ভ্রমণ ভিসায় যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। আর সরকারিভাবে যদি যেতে পারেন তাহলে এর থেকে আরো কিছু কম খরচ হতে পারে। আর এজন্য আপনি বিভিন্ন সরকারি অথবা সরকারি এজেন্সিতে যোগাযোগ করতে পারেন।

হাঙ্গেরি সর্বনিম্ন বেতন কত

বর্তমানে হাঙ্গেরিতে বাংলাদেশের লোকজন এর চাহিদা বেশি রয়েছে। তাই হাঙ্গেরি সর্বনিম্ন বেতন কত এটা অনেকেই জানতে চায়। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

বর্তমানে হাঙ্গেরিতে কাজের সংখ্যা বেড়েছে এবং বেতন অনেক টাকা বেড়েছে একজন শ্রমিকের এখন বেতন হলো প্রায় ৬৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকে। তবে এখানে যারা ফ্যাক্টরি বিষয়ে যায় তারা একটু বেতন বেশি পায়। তাদের ক্ষেত্রে ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

এই ফ্যাক্টরি থেকে তারা বেতন পেয়ে থাকে বা ইনকাম করে থাকে যে সকল লোকজন কাজের প্রতি বেশি মনোযোগী এবং দক্ষতা রয়েছে তাদের বেতন ১ লাখ টাকার উপরেও আছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে হাঙ্গেরি সর্বনিম্ন বেতন কত। তাই বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি যাওয়ার জন্য আগ্রহতা বেশি।

হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন

আপনি যদি হাঙ্গেরিতে যেতে চান ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সে ক্ষেত্রে আপনাকে হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার পদ্ধতি জানতে হবে এবং আবেদন করতে কি কি দরকার সেগুলো জেনে নিতে হবে।
ছবি
সকল কিছু জেনে তারপরে আপনাকে আবেদন করতে হবে। যে সকল কাগজ পত্র আপনাকে অনলাইনে এবং হাঙ্গেরি এম্বাসিতে জমা দেওয়া লাগবে তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
  • আপনার যদি বৈধ পাসপোর্ট থাকে সেটার ফটোকপি জমা দিতে পারবেন।
  • আপনি অনলাইনে হাঙ্গেরির ভিসার আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিয়ে দিবেন।
  • দুই কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি যদি থাকে এবং ছবিগুলো অবশ্যই যে কোন গেজেটেড অফিসার দিয়ে সত্যায়িত করে নিতে হবে।
  • অবস্থিত হাঙ্গেরিতে যে সকল কোম্পানি রয়েছে সেগুলো যে কোন একটি কোম্পানির সাথে আপনার চুক্তি করে ডকুমেন্টস দিতে হবে।
  • আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সার্টিফিকেট থাকে সে ক্ষেত্রে অরজিনাল সার্টিফিকেট গুলো জমা দিতে হবে।
  • আপনাকে হাঙ্গেরিতে বৈধ ভিসা এর জন্য আবেদন করা লাগবে।
এই উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করবেন। এছাড়াও আপনার উপরোক্ত ডকুমেন্টস গুলো অবশ্যই সংগ্রহ করতে হবে এবং আবেদন করতে এগুলো লাগবে। এছাড়া আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই জেনে নিবেন হাঙ্গেরি পার্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত হবে। 
কেননা পরবর্তীতে দালালরা অনেক ঝামেলা করতে পারে। যা হোক বর্তমানে অনেকেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার জন্য দালালের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। তাই অবৈধ পথে আপনারা কখনোই বিদেশে যাবেন না।

বিদেশে যাওয়ার জন্য অবশ্যই যে সরকার অনুমোদিত এজেন্সি রয়েছে সেগুলোর সাথে যোগাযোগ করে আপনি যেতে পারেন অথবা সরকারি ভাবে চেষ্টা করলে আপনি যেতে পারবেন। এজন্য এজেন্সি ব্যতীত পাসপোর্ট অন্য কারো কাছে জমা দেওয়া যাবে না।

হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট পেতে কত দিন লাগে

অনেকেই জানতে চায় যে হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট পেতে কতদিন লাগে, তা হল আপনি যদি হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সুন্দর মতো আবেদন করে থাকেন। তাহলে আপনার বেশি সময় লাগবে না। যদি আপনি সঠিক পথে কাগজ পাতি এবং ডকুমেন্টগুলো দিয়ে থাকেন।

সেই ক্ষেত্রে তিন মাসের মধ্যেই আপনি হাঙ্গেরির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে পারেন। এছাড়াও অনেকের চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যেও আপনি হাঙ্গেরি চলে যেতে পারবেন। বর্তমানে এই দেশে যাওয়ার জন্য মানুষ চেষ্টা করছে কেননা খুবই কম খরচ।

হাঙ্গেরি ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

অনেক লোক জানেই না যে হাঙ্গেরি এর টাকা টাকার মান বাংলাদেশের টাকার চাইতে অনেক কম কিন্তু টাকার কথা দিয়ে ওই রাষ্ট্রকে বিবেচনা করা যাবে না। কেননা দেশটিতে টাকা হয়তো বেশি ছাপানো রয়েছে যার কারণে টাকার মানটা কম। তাই বলে যে দেশের সব মানুষ গরিব তা কিন্তু নয়। তাই টাকার মান দিয়ে বিবেচনা করা যাবে না।

কেননা এরকম বহু দেশ রয়েছে যাদের টাকার মান আমাদের বাংলাদেশের চাইতেও কম। তার মধ্যে যেমন দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান আমাদের বাংলাদেশের টাকার তুলনা টাকার মান কম। দেশটি উন্নত রাষ্ট্র বর্তমানে হাঙ্গেরি ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা তা হলো, বাংলাদেশের টাকার অনুপাতে ৩১ অথবা ৩২ পয়সা হতে পারে।

তবে দেশটির উন্নয়নের জন্য যে কোন মুহূর্তে তাদের টাকার মান কমবেশি হতে পারে। আপনি যদি হাঙ্গেরি থেকে দেশ থেকে রেমিটেন্স গুলো বাংলাদেশ পাঠাতে চান সে ক্ষেত্রে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠালে কিছু টাকা কম পাবেন। আর যদি ব্যাংক ছাড়া পাঠানো হয় সেই ক্ষেত্রে একটু বেশি রেট পাবেন। তবে ব্যাংকের সে যে সকল কোম্পানিগুলো মানি এক্সচেঞ্জ হিসেবে কাজ করে তারা বেশি রেটে টাকা গুলো দেয়।

তাছাড়া আমাদের দেশের টাকা পাঠানোর এখন অ্যাপস আছে আপনি সেভাবে টাকা পাঠাতে পারেন নিশ্চিন্তে। তাই এই দেশটিতে আপনি ওর পারমিট ওয়ার্ক পারমিট ভিসাভেসে গেলে সবচাইতে বেশি সুবিধা পাবেন।

হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট চেক অনলাইন

আপনি যখন হাঙ্গেরি যাওয়ার জন্য আবেদন করবেন সে ক্ষেত্রে হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট চেক অনলাইন এ আপনার আবেদন কপি চেক দিবেন। তারপরে নিশ্চিত হবেন। বর্তমানে অনেক দালাল হাঙ্গেরি এর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২ নম্বর দিয়ে থাকে। যা একজন সাধারণ মানুষ অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ছবি
এজন্য আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই অনলাইন এ চেক দিতে হবে। আর এজন্য হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট চেক করার কোন ওয়েবসাইট হয়তো নেই। এজন্য হাঙ্গেরি পারমিট ভিসা আসল কিনা সেটা চেক করতে হলে অবশ্যই এম্বাসিতে যেতে হবে।

এছাড়া এম্বাসি মেইল করার মাধ্যমে যদি যোগাযোগ করেন। সেই ক্ষেত্রে জাস্টিফাই করে দিবে, আর আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে নিচে একটি কোম্পানি সহযোগিতা করে থাকে এজন্য প্রথমে আপনাকে থাকা নিম্ন বিষয়গুলো উল্লেখ থাকতে হবে।
কোম্পানির নাম, রেজিস্ট্রেশন নাম্বার, ট্যাক্স নাম্বার যদি ব্যবহার করে থাকে সেটা যদি সচল থাকে সে ক্ষেত্রে দিতে পারবেন। তারপর রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ট্যাক্স নাম্বার ইত্যাদি এগুলো করলে একজন কোম্পানি ভাল থাকে।

কোম্পানি যাচাই করতে হলে আপনাকে কিছু বিষয় মানতে হবে এক নাম্বার কোম্পানি আসল না নকল সেটা চেক করতে নিচের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন nemzeticegtar.hu তারপরে আপনি কোম্পানির ডাটা অপশন ক্লিক করবেন। এরপরে কোম্পানির নাম দিবেন, কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে দিবেন। এরপরে কোম্পানির ট্যাক্স নাম্বার দিবেন। তারপরে সার্চ অপশনে ক্লিক করবেন। 

এরপরে কোম্পানির সকল তথ্য বিস্তারিত আকারে পেয়ে যাবেন। আপনার ভিসা চেক করার পর আপনি এজেন্সি থেকে সকল তথ্য জেনে নেবেন।

শেষ কথাঃ হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত ও বেতন সম্পর্কে জানুন

সর্বশেষ বলা যেতে পারে যে হাঙ্গেরি এখন একটি উন্নত রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য অনেকেই চেষ্টা করে থাকে। যা বিস্তারিত আকারে উপরে এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত? তা জানতে পেরেছেন। আজকের পোস্ট টা যদি আপনার কোন উপকারে আসে তাহলে আমার এই পোস্ট লেখা সার্থক। তাই পোস্টটা যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪