লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন-লাউ খেলে কি ঠান্ডা লাগে
অনেকে লাউ শাক খেতে পছন্দ করে কারণ লাউ শাক সহজে পাওয়া যায়। তাই এই শাক ভাজি করে খেতে পারেন। কেননা লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। চলুন লাউ শাক ভাজি রেসিপি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
লাউ শাক খাওয়ার পাশাপাশি অনেকের লাউয়ের তরকারি খেতে পছন্দ করে। লাউ খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তাই লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃলাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন-লাউ খেলে কি ঠান্ডা লাগে
লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা
লাউ শাক অনেকই পছন্দ করে এবং এর ভিতর অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। কেননা লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
লাউ শাকের মধ্যে আছে ফলিক এসিড যা গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই দরকার। এই সময় তাদের ফলিক এসিড এবং আয়রন এর প্রয়োজন। শিশুর বৃদ্ধির জন্য এবং শিশুর মস্তিষ্ক সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজন। তা না হলে অনেক সময় গর্ভস্থ শিশু প্রতিবন্ধী হতে পারে অথবা মৃত হতে পারে। তাই লাউ শাকের অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
লাউ শাকের মধ্যে আছে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং ঠান্ডা কাশি থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। তাই আপনি নিয়মিত লাউ শাক খেতে পারেন।
লাউ শাকের মাঝে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে তা মানুষের মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে এবং ঠান্ডা রাখে। রাত্রিতে ঘুমের সমস্যা হয় না এছাড়াও শরীরকে ঠান্ডা রাখে, তাই আপনি নিয়মিত লাউ শাক খেতে পারেন।
লাউ শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে বা আশ যুক্ত হওয়ার কারণে এটা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। এছাড়াও তাদের পাইলস ফিস্টুলা, এনাল ফিসার রয়েছে তারা নিয়মিতভাবে লাউ শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে না। তাই এ থেকে মুক্তি পেতে হলে নিয়মিত লাউ শাক খেতে পারেন।
লাউ শাকের মধ্যে থাকে বিটা ক্যারোটিন এবং লুটেইন, বিটা কারোটিন আমাদের শরীরের রোগের বিরুদ্ধে প্রতিহত করে। আর লুটেইন এটা চোখের যত সমস্যা রয়েছে সেগুলো থেকে রক্ষা করে। তাই আপনি নিয়মিত শরীরকে সুস্থ রাখা এবং চোখকে ভালো রাখার জন্য নিয়মিত লাউ শাক খেতে পারেন।
লাউ শাকের মাঝে রয়েছে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের হাড় কে শক্ত করে এবং ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েরা বেশি বেশি লাউ শাক খেলে তাদের গর্ভস্থ শিশুর হাড় গঠন এবং দাঁত মজবুত হবে। তাই নিয়মিত ভাবে লাউ শাক খেতে পারেন।
লাউ শাক অত্যন্ত ক্যালরি মুক্ত এবং কোলেস্টেরল ও ফ্যাট নেই বললেই চলে। যার কারণে এটা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং যাদের বেশি ওজন তারা নিয়মিতভাবে লাউ শাক খেলে ওজন কমতে থাকবে। তাই আপনি ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত ভাবে লাউ শাক খেতে পারেন।
লাউ শাকের মধ্যে আছে পটাশিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং যাদের পটাশিয়ামের অভাব তারা এই লাউ শাক খেতে পারেন।
লাউ শাক খেলে আপনার আয়রন এর চাহিদা পূরণ হবে এবং হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও রক্ত লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি পাবে, বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের এই সময়ে হিমোগ্লোবিনের প্রয়োজন বেশি। তাই বেশি বেশি লাউ শাক খাওয়া যেতে পারে, কেননা লাউ শাক খাওয়ার পুষ্টিগুণ সবচাইতে বেশি রয়েছে।
লাউ শাকের অপকারিতা
যাদের হজম সমস্যা রয়েছে এবং ঘন ঘন পেটের সমস্যা হয় তাদের জন্য লাউ শাকের অপকারিতা রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাঃ লাউ শাক খেলে সাধারণত যাদের গ্যাসের সমস্যা আগে থেকেই রয়েছে, তাদের আরো বেশি গ্যাস্ট্রিক বাড়িয়ে তুলবে। কেননা এর মাঝে এক ধরনের এনজাইম এবং ফাইবার থাকার কারণে বেশি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও অন্ত্রের বা পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে পেট ব্যথা এবং পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া হতে পারে। তাই যাদের এই সকল সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য লাউ শাকের অপকারিতা রয়েছে। তারা এ শাক থেকে বিরত থাকবেন।
এলার্জি সমস্যাঃ যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তারা বিভিন্ন ধরনের শাক খেলে চুলকানি শুরু হয় অথবা এলার্জি শুরু হয়। সে ক্ষেত্রে আপনার যদি লাউ শাক খাওয়ার পরে এলার্জি বেশি হয় তাহলে এই শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।
কেননা লাউ শাক অনেক সময় এলার্জি বাড়িয়ে দিতে পারে। অথবা শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা হতে পারে। যদি আপনার সমস্যা না হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে লাউ শাক খেতে পারেন।
অক্সলেট অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়ঃ লাউ শাকের মাঝে আছে এক ধরনের অক্সালেট এসিড আছে, যা আপনার শরীরে ক্ষতি করতে পারে বিশেষ করে কিডনি স্টোন হতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি আপনার লাউ শাক খাওয়ার সমস্যা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে না খাওয়াই ভালো। তবে সবার ক্ষেত্রেই যে ক্ষতি করবে তা কিন্তু নয় যাদের সমস্যা হয় তারা এড়িয়ে চলবেন।
মসুর ডাল দিয়ে লাউ শাক
অনেকেই ডাল দিয়ে শাক রান্না করতে পছন্দ করে বিশেষ করে মসুর ডাল দিয়ে লাউ শাক রান্না করলে অনেক সুস্বাদু হয়। নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
লাউ শাকের অনেক পুষ্টিকরণ রয়েছে, তার সাথে যদি মসুরের ডাল দিয়ে রান্না করা হয় সেক্ষেত্রে অনেক সুস্বাদু হবে এবং অনেক পুষ্টি পাওয়া যাবে। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। বিশেষ করে লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে।
অনেক বেশি কিন্তু অনেকে খেতে হয়তো পছন্দ করে না। তাই ডাল দিয়ে রান্না করে খেলে অনেক সুস্বাদু হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মসুরের ডাল ও লাউ শাক কিভাবে রান্না করা যায়।
প্রথমে আপনি ছয়টি লাউ পাতা নিতে পারেন এরপর পরিষ্কার করবেন। লাউ পাতাগুলো ছোট ছোট করবেন এবং আধা কাপ মসুরের ডাল নিতে পারেন। পরিমাণ মতো লবণ, ধনেপাতা কুচি করে দিতে পারেন, কাঁচামরিচ পরিমাণ মতে দিবেন, সরিষার তেল তিন থেকে চার চামচ দিতে পারেন এবং হলুদের গুঁড়া হাফ চামচ দিবেন।
এরপরে এগুলো সুন্দর করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিবেন। সবগুলোই একসাথে মিক্স করে মেখে নিবেন। এরপরে লাউয়ের পাতার মধ্যে ডাল দেওয়ার পরে লাউ শাকগুলো এমন ভাবে রাখবেন যেন লাউ শাকগুলো গলে না যায় পারলে এগুলো বেঁধে দিতে পারেন।
তারপরে একটি কড়াই নেবেন এর মধ্যে পানি নিয়ে তার সাথে লাউ শাক ঢেলে দিবেন এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবেন। যখন দেখবেন লাউশাক সিদ্ধ হয়ে গেছে তখন নামিয়ে ফেলুন। এরপরে দেখবেন সুন্দর একটা ফ্লেভার চলে আসছে এবং এরপরে খাবারের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে। আশা করি এভাবে মসুর ডাল দিয়ে লাউ শাক রান্না করলে অনেক সুস্বাদু হবে।
লাউ শাক ভাজি রেসিপি
লাউ শাক দিয়ে অনেক কিছুই রান্না করে খাওয়া যায় তবে এটা ভাজি করতে অনেকে পছন্দ করে। তাই নিম্নে লাউ শাক ভাজি রেসিপি সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো,
প্রথমে কিছু লাউ শাক নিবেন এরপর পেঁয়াজকুচি করবেন কাঁচা মরিচ কেটে নিবেন, রসুন কুচি কুচি করে নেবেন, শুকনা মরিচ কয়েকটা নিবেন, লবণ পরিমাণ মতো নিয়ে প্রথম একটি কড়াইয়ের ভিতরে সামান্য পানি দিয়ে তেল দিবেন।
এরপরে শুকনা মরিচ ভালোভাবে ভেজে নেবেন, ভাজার পর শুকনো মরিচ গুলো উঠিয়ে নিবেন, এরপরে কড়াইয়ের মধ্যে একটু তেল ঢেলে দিবেন সেখানে রসুন কুচি গুলো এবং কাঁচামরিচ দিয়ে নাড়াচাড়া করবেন।
এরপরে লাউ শাকের সাধারণত আঁশগুলো ছাড়িয়ে নিবেন এবং যেন ময়লা বা অপরিষ্কার না থাকে সেজন্য পানি দিয়ে সুন্দর করে ধুয়ে নেবেন অথবা পানির মাঝে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এরপরে আলু কুচি কুচি করে সুন্দর করে ধুয়ে নিতে পারেন এবং লাউ শাকগুলো ছোট ছোট করে কচি কচি করে নেবেন।
এরপরে একটা কড়াইয়ের ভিতরে ঢেলে দিবেন। আলু কচি এবং লাউ শাক একত্রে ঢেলে দিবেন। যত ধরনের মসলা রয়েছে সকল মসলা দিবেন এবং লাউ শাক ঢেলে দিবেন দেওয়ার পরে ভালোভাবে নাড়াচাড়া দিবেন। এরপর পরিমাণ মতো পানি দিবেন দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবেন।
এরপরে সামান্য আচে জাল দিবেন, কিছুক্ষণ পর আবার নাড়াচাড়া দিবেন এটা যেন লেগে না ধরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাছাড়াও লবণ হয়েছে কিনা সেটা টেস্ট করে নিবেন এর পরে এটা নামিয়ে ফেলবেন। আশা করি লাউ শাক ভাজি রেসিপি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
এভাবে ভাজি খেলে অনেক সুস্বাদু হবে পুষ্টি ও পাবেন শাকের পুষ্টিও পাবেন এবং অন্যান্য সবজিরও পুষ্টি পাবেন। তাই এভাবে আপনি শাক ভাজি করে খেতে পারেন।
লাউ খেলে কি ঠান্ডা লাগে
অনেকেই জানতে চায় যে লাউ হয়তো ঠান্ডা সবজি তাহলে লাউ খেলে কি ঠান্ডা লাগে এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
লাউ এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যার কারণে ঠান্ডা প্রকৃতির সবজি বলা হয়ে থাকে। তবে এটার অনেক উপকারিতা আছে, তাই লাউ এর মাঝে পানি থাকার কারণে আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখে। রাতে সুন্দর ঘুম হয়, গরমের দিনে লাউ খেলে অনেক ভালো লাগবে।
বিশেষ করে শরীর ঠান্ডা থাকবে, এতে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে, আমাদের শরীর থেকে ঘাম বের হওয়ার কারণে পানির শূন্যতা দেখা দেয় এজন্য লাউয়ের তরকারি খেলে শরীরে পানি পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকে এবং এই ঘাটতিটা পূরণ করে থাকে। তাই লাউ খাওয়ার পাশাপাশি খেতে পারেন লাউয়ের পাতা বা শাক।
লাউ এর মধ্যে যেমন ভিটামিন রয়েছে ঠিক তেমনি লাউ শাকে ভিটামিন সি রয়েছে যা আমাদের ঠান্ডা জ্বর সর্দি কাশি এই ধরনের সংক্রমণ রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।
আমাদের শরীরের সাধারণত গ্রীষ্মকালে বেশিরভাগ পানি শূন্যতা দেখা যায় এবং জ্বর ঠান্ডা সর্দি কাশি ডায়রিয়া এই ধরনের রোগ গুলো বেশি দেখা যায় এতে অনেক সময় শরীর থেকে অনেক পানি বের হওয়ার কারণে পানি শূন্যতা হয়ে যায়।
আর এই পানি শূন্যতার অভাব পূরণ করার জন্য লাউ খেতে পারেন। কেননা এতে অনেক উপকার রয়েছে, এতক্ষন হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে লাউ খেলে কি ঠান্ডা লাগে। লাউ খেলে কখনোই ঠান্ডা লাগে না তবে শরীর ঠান্ডা থাকে।
লাউ এর উপকারিতা
লাউ শাক খাওয়া যেতে পারে লাউয়ের তরকারি খাওয়া যেতে পারে বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে এবং লাউ এর উপকারিতা ও রয়েছে অনেক। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
লাউয়ের মধ্যে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে এর মাঝে ভিটামিন সি এবং ডি আছে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস আয়রন ইত্যাদি। তাই আপনার এগুলো যদি অভাব হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে নিয়মিতভাবে লাউ খেতে পারেন এবং অন্যান্য সংক্রমণ রোগ ব্যাধি থেকেও প্রতিহত করতে পারে। তাই চিকিৎসকরা সাধারণত লাউ তরকারি বেশি খেতে বলেন।
লাউ এর মধ্যে ক্যালোরি কম থাকার কারণে চাইলে ওজন কমাতে পারেন অথবা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এছাড়াও এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা করে। তাই আপনি ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত লাউ এবং লাউ শাক খেতে পারেন।
লাউ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে যার কারণে আপনার শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে পারবে তাই নিয়মিত লাউ খেতে পারেন।
লাউ এর মধ্যে ফাইবার, আঁশযুক্ত খাবার হওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তারা লাউ এবং লাউয়ের শাক খেতে পারেন। এছাড়া অনেকের পাইলস এনাল ফিসার এই ধরনের রোগ হতে পারে যার কারণে লাউয়ের শাক খেতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের লাউ খেতে বলেন। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীরা লাউ খেলে তাদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাছাড়া লাউ খেলে সাধারণত পেট ঠান্ডা থাকে পেটের ভিতর গ্যাস হয় না।
কিডনিকে ভালো রাখতে হলে নিয়মিত লাউ খেতে হবে এতে কিডনি সুস্থ থাকবে এবং পরিষ্কার থাকবে কেননা এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে।
যে সকল মানুষের পেটের সমস্যা রয়েছে অথবা আইবিএস সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিতভাবে লাউ খেলে হজমের সমস্যা হবে না এবং লাউ অতি সহজেই হজম হয়ে যাবে। পুরাতন আমাশয় এবং আইবিএস সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে তাই আপনি নিয়মিত লাউ খেতে পারেন। কেননা লাউ এর উপকারিতা আছে।
লাউয়ের মাঝে পটাশিয়াম এবং ফাইবার থাকার কারণে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে এছাড়াও হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে কমায়। এছাড়াও হার্ট সুস্থ রাখতে হলে লাউ খাওয়া যেতে পারে কেন এটা রক্ত চলাচল দ্রুত করতে বৃদ্ধি করে এবং রক্তের কোলেস্টেরল কমিয়ে নিয়ে আসে।
লাউ এর মাঝে যে ভিটামিন রয়েছে তা আমাদের ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এছাড়াও লায়ের মাঝে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আছে যা আমাদের লবণের ঘাট ঘাটতি পূরণ করবে।
এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে যে লাউ খাওয়ার কারণে অনেকেরই রাতে খুব সুন্দর ঘুম হয় সেই ক্ষেত্রে নিয়মিত লাউ খেতে পারেন এতে আপনার শরীর মন দুটোই ভালো থাকবে।
লেখকের শেষ কথা,
পরিশেষে বলা যায় যে লাউ এমনই একটা সবজি যা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে। কেউ তরকারি করে খেতে পছন্দ করে, কেউ ভাজি খেতে পছন্দ করে, এছাড়া লাউ শাক খাওয়া যেতে পারে। তাই লাউ শাক খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url