পেয়ারা পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম-পেয়ারা পাতা দিয়ে চুলের যত্ন
সবাই চুলের যত্ন করতে পছন্দ করে কিন্তু পেয়ারা পাতা দিয়ে যে চুলের যত্ন নিতে হয় এটা অনেকে জানেনা। তাই আগে পেয়ারা পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম গুলো জানতে হবে। চলুন পেয়ারা পাতা দিয়ে চুলের যত্ন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পেয়ারা পাতার গুনাগুন অনেক রয়েছে। আমরা হয়তো অনেকেই এ সম্পর্কে জানিনা। এটা দিয়ে মুখের দাগ বা বিভিন্ন ধরনের রূপচর্চা করা যায়, এতে কোন ক্ষতি নেই। তাই পেয়ারা পাতা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃপেয়ারা পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম-পেয়ারা পাতা দিয়ে চুলের যত্ন
পেয়ারা পাতার রসের উপকারিতা
পেয়ারা পাতার রসের উপকারিতা অনেক রয়েছে তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা গুলো উপস্থাপনা করা হলো,
পেয়ারা এমন একটি ফল যা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায় এবং দামে খুবই কম যার কারণে প্রায় সবাই খেয়ে থাকে। তবে পেয়ারা পাতার দিয়ে যে বিভিন্ন উপকার হয় সেটা অনেকে জানে না। আজকে আমরা পেয়ারা পাতা রসের উপকারিতা সম্পর্কে জানব। তার আগে জেনে নেই পেয়ারা পাতার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, এ এবং এক্সিডেন্ট বিভিন্ন ধরনের গুনাগুন রয়েছে। নিম্নে পেয়ারা পাতার রসের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো,
ত্বক ও চুলের যত্নঃ ত্বকের ক্ষেত্রে পেয়ারা পাতার উপকারিতা রয়েছে। তাই আপনি কিছু পেয়ারা পাতা নিয়ে পেস্ট বানিয়ে আপনি মুখে লাগাতে পারেন। যেখানে আপনার বিভিন্ন ধরনের পিম্পল এবং বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা থাকতে পারে এটা নিয়মিত করলে আপনার ত্বক সুন্দর থাকবে এবং উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। কারণ এর মাঝে রয়েছে ভিটামিন সি এবং আরো অন্যান্য উপাদান রয়েছে।
চুলের জন্য খুবই উপকার চুলকে স্টেট রাখতে এবং চুলের সৌন্দর্য রাখতে, চুলের বৃদ্ধির জন্য এটা খুবই উপকারী।তাই কিছু পেয়ারা পাতা নিয়ে এবং পানি সিদ্ধ করে এই মিশ্রণটি আপনার চুলে সরাসরি লাগালে চুলের পুষ্টি পাবে এবং চুলও ভালো থাকবে, বৃদ্ধি পাবে।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ পেয়ারার মাঝে যে ভিটামিন রয়েছে সেই উপাদানটি একজন মানুষের ওজন কমাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে পেয়ারা পাতা দিয়ে রস বানিয়ে তার সাথে চা মিশ্রণ করে যদি আপনি প্রতিদিন বিকেলে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের মেদ এবং ভুড়ি কমে যাবে এতে ওজনও কমে যাবে।
তাই আপনি বিকেলে ভাজি পোড়া না খেয়ে এক দুটি পেয়ারা খেলে আপনার অতি তাড়াতাড়ি পেট ভরে যাবে এবং এতে প্রক্রিয়াজাত খাবার গুলো খেতে মন চাইবে না এতে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে না বরং ওজন আরো ঠিক থাকবে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ পেয়ারা পাতার মাঝে যে মাইক্রোবিয়াল উপাদানটি আছে তার মাধ্যমে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। পেটের ভেতরে গ্যাস, পেট ফাপা দিয়ে থাকে এই ধরনের সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। তাই আপনি হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য পেয়ারা পাতার রস দিয়ে চা বানিয়ে নিয়মিত খেতে পারেন। এতে আপনার পেটের গ্যাস থাকবে না যার কারণে খাদ্য হজম করতে সাহায্য করবে।
কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ পেয়ারা পাতার রস দিয়ে প্রতিদিন যদি আপনি চা খেয়ে থাকেন। তাহলে আপনার শরীরের মাঝে যদি কোন খারাপ কোলেস্টেরল থাকে সেগুলো মেরে ফেলবে এবং যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা এই পেয়ারা পাতার রস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। এটা ইনসুলিন উৎপাদন করতে সহযোগিতা করে থাকে। এটি রক্তের শর্করা যে বৃদ্ধি পায় সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করেঃ আপনার যদি ঘন ঘন দাঁতের ব্যথা হয়ে থাকে অথবা অ্যালার্জি, গলা ব্যথা, শরীর দুর্বল ইত্যাদি এই ধরনের সমস্যা থাকলে প্রাকৃতিক উপায় আপনি পেয়ারার পাতা রস করে খেতে পারেন। এতে দাঁতে ব্যথা অনেক ভালো হয়। এছাড়াও আমাদের যদি কোন খারাপ ব্যাকটেরিয়া এবং কোষ থেকে থাকে সেগুলো ধ্বংস করতেও পেয়ারা পাতা কাজ করে থাকে।
তাছাড়া পেয়ারা পাতা বড় ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে এবং আমাদের ভিতরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করতে পারে। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা করার জন্য আপনি পেয়ারা পাতা নিয়মিত খেতে পারেন।
প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ পেয়ারা পাতা আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে সেটা হল যাদের যৌন সমস্যা রয়েছে এবং সন্তান ধারণ ক্ষমতা কম তারা এই পেয়ারা পাতার রস খেতে পারেন অথবা চা এর সাথে মিক্সড করে খেতে পারেন। এতে আপনার প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
এটা নারী-পুরুষ সবার জন্যই উপকার রয়েছে সবাই খেতে পারবেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণু বৃদ্ধি পাবে এবং নারীদের ক্ষেত্রে মাসিকের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা হয়ে থাকে, সেটাও দূর হবে। এছাড়াও আরো অনেক বড় বড় ধরনের সমস্যা সমাধান করে থাকে।
পেয়ারা পাতা দিয়ে চুলের যত্ন
পেয়ারা পাতা দিয়ে চুলের যত্ন খুবই উপকারী একটি উপাদান। যা আপনি নিয়মিত এই পেয়ারা পাতা দিয়ে চুলে যত্ন করতে পারেন। এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ ছাড়া আরো অ্যান্টব্যাকটেরিয়া উপাদান রয়েছে। যা আমাদের ত্বকের জন্য এবং চুলের যত্নের জন্য খুবই উপকারিতা।
এছাড়া অনেকের চুল পড়ে যায় সে ক্ষেত্রে পেয়ারা পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন। যা চুল পড়া বন্ধ করতে পারে পেয়ারা পাতা চুলের জন্য সবচাইতে ভালো কাজ করে থাকে। এটা অনেক চিকিৎসকের সাজেস্ট করে থাকেন। তাই আপনি নিঃসন্দেহে এই প্রাকৃতিক উপাদানটা চুলের ব্যবহার করতে পারেন।
এতে চুল বড় হবে এবং সতেজ থাকবে সুন্দর সিল্কি থাকবে এবং চুল ঘন হবে চুলের মাথা ভরপুর, হবে লম্বা হবে দেখতে সুন্দর লাগবে। তাই পেয়ারা পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম হলো,
এই পেয়ারা পাতার সঙ্গে আপনি পেঁয়াজের রস মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করবেন এর সাথে আরো কিছু নারিকেলের তেল যোগ করে চুলে লাগাতে শুরু করেন এবং আধা ঘন্টা পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনি মাথাটা ধুয়ে ফেলুন।
এছাড়া কয়েকটি পেয়ারা পাতা নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর মাথায় লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট লাগানোর পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন, অনেক উপকার পাবেন।
একমুঠো পেয়ারা পাতা নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন পানিতে ফুটানোর পর সেই পানি ঠান্ডা করে মাথা পরিষ্কার করে লাগিয়ে দেন। এরপরে মেসেজ করলে চুলের গোড়ায় পৌঁছে গেলে অনেক উপকার পাবেন।
পেয়ারা পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম
পেয়ারা পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম জানার আগে পেয়ারা পাতার গুনাগুন সম্পর্কে জানা দরকার। কেননা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে এই পেয়ারা পাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই পেয়ারা পাতা দিয়ে সাধারণত চুলের এবং ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকে। কেননা এই প্রাকৃতিক উপাদানটির মাঝে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এতে কোন ক্ষতি হবে না।
পেয়ারা পাতা দিয়ে পেস্ট বানিয়ে চুল এবং ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। যাই হোক প্রথমে কিছু পেয়ারা পাতা নিবেন এরপর ১ লিটার পানি নিয়ে তার ভিতরে মেশাবেন। মেশানো পানিটুকু ২০ মিনিটের মত ফুটিয়ে এরপর পানিটুকু ছেকে নিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা কোন স্থানে রেখে দিয়ে পানি যখন ঠান্ডা হবে। তখন গোসল করে চুলটা পরিষ্কার করে চুল শুকানো পর চুলগুলো কয়েকটি ভাগে ভাগ করে এই মিশ্রণটি সুন্দর করে লাগিয়ে দিতে হবে।
১০ মিনিটের মত মেসেজ করবেন এতে আপনার রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। চুলগুলো সুন্দর থাকবে এভাবে দুই ঘণ্টার মতো রাখতে পারেন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। তবে খুব গরম পানি দেওয়া যাবে না। এভাবে আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার লাগালে চুল পরিষ্কার চুল বৃদ্ধি এবং সুন্দর হবে।
পেয়ারা পাতার উপকারিতা
পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও গুনাগুন অনেক। তাই নিম্নে পেয়ারা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
১। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা নিয়মিত এই পেয়ারা পাতার রস দিয়ে চা বানিয়ে খেলে অনেক উপকার পাবেন। কেননা এটা রক্তের ভিতরে যে গ্লুকোডাইস থাকে এটা কমাতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের যে শর্করা বৃদ্ধি পায় এটাও নিয়ন্ত্রণ করে।
২। পেয়ারা পাতার ভিতরে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল রয়েছে যা পাতলা পায়খানা এবং ডায়রিয়া ক্ষেত্রে অনেক উপকার করে।
৩। যাদের কাশি হয় এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তারাও এই পেয়ারা পাতার চা খেতে পারেন।
৪। পেয়ারা পাতা যদি নিয়মিত খান তাহলে আপনার ওজন কমতে থাকবে এবং যদি কোন চর্বি থাকে সেগুলো ভেঙ্গে দিয়ে ওজন কমাতে পারবে।
৫। পেয়ারা পাতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হল চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুল বৃদ্ধি করে চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
৬। পেয়ারা পাতার মধ্যে যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল রয়েছে সেটা আমাদের পেটের ভিতরে যত ধরনের সমস্যা আছে সেটা উপকার করে থাকে। বিশেষ করে যাদের ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয়, আমাশায় রয়েছে এ ধরনের সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারে।
৭। চুলের যত্ন নিতে পেয়ারা পাতা পানিতে ফুটানোর পর এই পানি ছেঁকে নিয়ে মাথায় যদি দেওয়া হয় তাহলে চুল ভালো থাকে এবং চুল বৃদ্ধি পায় সৌন্দর্য ফিরে আসে।
৮। একটা গবেষণায় বলা হয়েছে যে প্রতিদিন চায়ের সাথে যদি পেয়ারা পাতার রস খাওয়া হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে খারাপ কোষ ও কোলেস্টেরল গুলো নিয়ন্ত্রণে থাকবে বা মারা যাবে।
৯। শরীরের আমাদের কোন জায়গায় যদি কেটে যায় সেই ক্ষেত্রে যে সংক্রমণ হতে পারে অথবা ঘা হতে পারে, এই পেয়ারা পাতা সেই ক্ষেত্রে লাগিয়ে দিলে অনেক উপকার হয়।
এছাড়াও পেয়ারা পাতা প্রোস্টেট ক্যান্সার এর ক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতা করে থাকে।
১০। পেয়ারা পাতার জুস বানিয়ে খেলে যদি কারো ডেঙ্গু জ্বর হয় এটা অনেক উপকার করে।
১১। নারী পুরুষের যৌন সমস্যা থাকলে সে ক্ষেত্রে এই পেয়ারা পাতা উপকার করে।
পেয়ারা পাতার অপকারিতা
এতক্ষণে আমরা পেয়ার পাতার অনেকগুলো গুন সম্পর্কে জানলাম কিন্তু এখন আমরা জানবো পেয়ারা পাতার অপকারিতা সম্পর্কে যেটা একটু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলো,
প্রত্যেক জিনিসেরই যেমন উপকার রয়েছে তেমন ক্ষতিকারক দিক রয়েছে। তাই পেয়ারা পাতারও ক্ষতি করতে পারে। যদি আপনি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন সে ক্ষেত্রে উপকার চেয়ে ক্ষতি বেশি হতে পারে।
পেট ফাঁপাঃ পেয়ারা পাতার অপকারিতা হলো এর মধ্যে রয়েছে ফ্রুক্টস রয়েছে যদি আপনি বেশি খেয়ে ফেলেন সেই ক্ষেত্রে আপনার কিছু ব্যাকটেরিয়া মিলে পেটে গ্যাস হতে পারে এবং পেট ফাপা দিতে পারে।
ব্যাকটেরিয়াঃ এই ফলটিতে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে যদি পেয়ারার চামড়া ফেটে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় আক্রমণ করার সময়।
সুগার বৃদ্ধিঃ আপনি যদি অধিক পরিমাণ পেয়ারার পাতার রস বানিয়ে খান সে ক্ষেত্রে আপনার সুগার বাড়তে পারে এবং প্রোটিন বা ফ্যাট না থাকলে আপনার শরীর অনেক পেট ভরা থাকলেও দেখবেন ক্ষতিকর হতে পারে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যেতে পারে যে পেয়ারা পাতা অতিরিক্ত যেকোনো ভাবেই ব্যবহার করলে ক্ষতি হতে পারে।
পেয়ারা পাতা দিয়ে রূপচর্চা
অনেকেই পেয়ারা পাতা দিয়ে রূপচর্চা করে থাকে। কিছু পেয়ারা পাতা নিয়ে এবং তার মাঝে অল্প পানি নিয়ে একটু লেবুর রস নিন তারপর পেয়ারা পাতা পানি দিয়ে মিশে ব্লেন্ডার করে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এরপর দুই চামচ পেয়ারা পাতা পেস্ট নিয়ে মাথায় বা মুখে বা আপনার ত্বকের আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে আধা ঘন্টা রাখার পর অর্থাৎ শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এতে ত্বকে যত ধরনের তৈলাক্ত রয়েছে সেগুলো চলে যাবে এবং পরিষ্কার সৌন্দর্য ফিরে আসবে এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকুন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। আপনি পেয়ারা পাতা দিয়ে রূপচর্চা করতে পারেন
ব্রণ ও ব্ল্যাকহেড দূর করবেঃ এ পেয়ারা পাতা এবং পানি একটু গুড়া হলুদ, অ্যালোভেরা জেল এই কয়েকটি জিনিস নিয়ে আপনি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এরপরে এক চামচ পেয়ারা পাতার এই মিশ্রণটি সাথে এলোভেরা জেল ও হলুদ গুঁড়া নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ফেলুন। এরপরে এই মিশ্রণটি মুখে লাগানোর পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করেঃ পেয়ারা পাতার যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ত্বকের ভিতরে যদি কোন জ্বালাপোড়া করে সেটা দূর করতে সাহায্য করে। এটা আপনি যেভাবে ব্যবহার করবেন তাহলে কিছু পরিমাণ পানি নিয়ে তার সাথে পেয়ারা পাতা মিশিয়ে পানিটুকু ফুটিয়ে নিন এরপরে পানিটুকু থেকে নিয়ে ছেঁকে নিয়ে পানিটা ঠান্ডা করে রেখে দেন। তারপর একদম পাতলা করে নিবেন যাতে করে আক্রান্ত স্থানগুলো তে স্প্রে করবেন।
তাহলে দেখবেন অনেক উপকার পাবেন। বিশেষ করে মশা, মাছি কামড়ালে অনেক জ্বালাপোড়া করে সেই ক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করলে আপনার জ্বালাপোড়াটা কমে যাবে। এছাড়া আপনি পেয়ারা পাতার রস চুলের ব্যবহার করতে পারবেন।
উপসংহারঃ পেয়ারা পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম-পেয়ারা পাতা দিয়ে চুলের যত্ন
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি এই নিয়মে যদি ব্যবহার করেন তাহলে আশা করি অনেক উপকৃত হবেন। এছাড়াও পেয়ারার মধ্যে অনেক ভিটামিন রয়েছে যা শরীরের জন্য অনেক উপকার। পেয়ারা পাতার গুনাগুন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে আশা করি আর্টিকেল থেকে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমার এই পোস্টটা পড়ে যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url