ইসলামে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ এ সম্পর্কে কোরআন হাদিসের আলোকে জেনে নিন

অনেকে জানতে চায় যে ইসলামে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ, তাহলো ইসলামে যদি জন্মদিন পালন করা জায়েজ থাকতো। তাহলে রাসূল সাঃ জন্মদিন পালন করতেন। চলুন, জন্মদিন পালন করা নিয়ে হাদিস ও কোরআনে কি বলা হয়েছে জানা যাক।
ছবি
ইসলামে জন্মদিন পালন করা যাবে না এটা অনেকেই জানে কিন্তু তারপরও এ জন্মদিন পালন করে থাকে। এটা যে কত বড় অপরাধ তা অনেকেই জানে না। তাই ইসলামে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃইসলামে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ এ সম্পর্কে কোরআন হাদিসের আলোকে জেনে নিন

ইসলামে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ

ইসলামে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ, এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। কেননা জন্মদিন পালন করা ইসলামের দৃষ্টিকোণ জায়েজ না হারাম এ বিষয়ে বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলো।

আমরা যে জন্মদিন পালন করে থাকি মূলত প্রতিবছর যে তারিখে জন্ম হয়েছে সেদিনটা বিভিন্ন ধরনের উদযাপন করা বা সে দিনটা উপলক্ষে অনুষ্ঠান করা কে আমরা জন্মদিন বলে থাকি। মূলত জন্ম তারিখ টা মনে রাখতে হয় এবং প্রতি বছর ওই তারিখেই জন্মদিন পালন করা হয়। সেটা ধনী হোক আর গরিবই হোক না কেন এই দিনটা অনেক মুসলমান পালন করে থাকে।

এই দিনটা পালন না করলে তাদের মন খারাপ হয়ে যায় বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আমাদের পরিবার-পরিজন বেশি উৎসাহিত থাকে। এজন্য তার সন্তানরাও এই দিনটা আসলে জন্মদিন পালন করার জন্য ব্যাকুল হয়ে যায়। এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে তার একটা ছোট বাচ্চার অভিভাবক ছোটবেলা থেকে যখন তার জন্মদিন পালন করতো।

তখন সে এই জিনিসটা অভ্যাস হয়ে যায়। ছোট বয়সেই তাদের জিদ বা আকাঙ্ক্ষা বেশি থাকে। তাই এক লোকের তার সন্তানের জন্মদিন পালন করতে না পারার কারণে সন্তান আত্মহত্যা করে মারা যায়। এরকম অহরহ আমাদের বাংলাদেশের ঘটনা ঘটেছে। তাই বাস্তবতার আলোকে বলতে চাই যে আপনারা যারা এই বিষয়টা ছোটবেলা থেকেই যদি তাদেরকে বুঝতে না দিতেন।

যে জন্মদিন পালন করতে হয় তাহলে তারা এটা অভ্যস্ত হতো না এবং আকাঙ্ক্ষা থাকত না। এজন্য জন্মদিন পালন না করায় ভালো। এমনও কিছু বড়লোক আছে যারা তাদের কুকুরের জন্মদিন পালন করে থাকে এবং সেই কুকুরের জন্মদিন উপলক্ষে তার বন্ধুবান্ধবকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবারের অনুষ্ঠান করে এবং আনন্দ উল্লাস মদ্যপান করে নর্তকি দিয়ে নাচিয়ে ফুর্তি করে।

এখন আমরা জানবো ইসলামে জন্মদিন পালন জায়েজ কিনা এ সম্পর্কে কোরআন হাদিস কি বলে। এ সম্পর্কে কোরআন হাদিসের কোথাও ব্যাখ্যা নেই যে জন্মদিন পালন করতে হবে। এই জন্য আনন্দ ফুর্তি করা এবং মদ্যপান করে নাচানাচি করা এটা ইসলাম সমর্থন করে না। কোরআন হাদিসের কোথাও এর ভিত্তি নাই। যদি কোরআন হাদিসে উল্লেখ থাকতো তাহলে অবশ্যই কোথাও না কোথাও লেখা থাকতো যে সাহাবীরা তারা জন্মদিন পালন করত।

এমনকি জন্মদিন এর প্রতি তেমন একটা আগ্রহ ছিল না সাহাবীদের মাঝে। যদি আমরা খেয়াল করি তাহলে দেখতে পারবো তারা কোন দিন জন্মগ্রহণ করেছে এটাই অনেকের মনে নাই তারিখ তো দূরের কথা। এমনকি আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ মাসের কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন এটা অনেকেই নির্দিষ্টভাবে কেউ বলতে পারেনা।
কেননা সাহাবীরা তারা আল্লাহর রাসূলের কোরআন-হাদিস মুখস্থ করেছেন কিন্তু এই জন্ম তারিখ কি মনে রাখতে পারতেন না। অবশ্যই পারতেন কিন্তু এই জন্মদিন পালন করা জায়েজ নেই বিধায় তারা এটা কোথাও লিপিবদ্ধও করেনি এবং এটা পালনও করে নাই। এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় যে জন্মদিন পালন করা ইসলামের সমর্থন করে না।

এখন বলতে পারেন তাহলে এই জন্ম তারিখ বা জন্মদিন পালন করা কোথা থেকে আসলো। এই বিষয়ে আলোচনা করা যায় আমাদের দেশে সাধারণত কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হয়। এই জিনিসটা কোথা থেকে আসলো আমরা শিখলাম কিভাবে অবশ্যই পশ্চিমা দেশগুলো থেকে আমরা এই জন্মদিন পালন করার শিখেছি। যা খ্রিস্টানরা বহু পূর্ব থেকেই এ জন্মদিন পালন করে আসতেছিল।

সংস্কৃতির বেগান সংস্কৃতির লোকজন তারা মানুষ মারা গেলে সেই আত্মা দেখে ভয় পেত যার কারণে তারা প্রতি বছর যে দিনটাতে জন্মগ্রহণ করেছিল সেই দিনটাকে বেশি ভয় পেত এবং বিশ্বাস করত যে এই দিনটাতে আরো বেশি ভয়ংকর হতে পারে। তাই তারা এই দিনটাতে দৈনন্দিন কার্যকলাপ বন্ধ রেখে সকল আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবকে দাওয়াত করে বাড়িতে বসে আনন্দ ফুর্তি এবং খাবার দাবার খেয়ে একসাথে থাকতো।

যার কারণে তাদের মনে আর ভয় লাগতো না, তারা মনে করত বয়স যত বাড়বে আত্ম তত আরো ভয়ঙ্কর হবে। সেজন্য এই দিনটাতে আনন্দ ফুর্তি করে বা হাসি তামাশা করে সবাই বসে চারদিকে আত্মাটাকে ঘিরে রাখত যেন এটা ক্ষতি না করতে পারে। ক্ষতি যেন না হয় আর উপহারের পরিবর্তে অনেকেই জন্মদিনটা শুভ এবং মঙ্গলময় কামনা করতে বেশি।

যাই হোক এ বিষয়ে আপনারা হয়তো এতক্ষনে বুঝতে পেরেছেন, যে ইসলামে এটা সমর্থন করে না। বর্ণনা আছে যে ফেরাউনের থেকে জন্মদিন পালন করা হতো বাইবেলের বুক অফ জেনেসিস বর্ণনা আছে।

যে তৃতীয় দিনটা ছিল ফেরাউনের জন্মদিনের দিন অর্থাৎ ফেরাউন তার সব দাসদের জন্য উৎসবের আয়োজন করেছিলেন এবং এই সময়ে একজন রুটিয়ালাকে এবং যারা খাবার পরিবেশন করে তাদেরকেও কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। এ বর্ণনাও রয়েছে প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে এই ঘটনাটি পাওয়া যেতে পাওয়া যায়।

জন্মদিন পালন করা হারাম কেন

এখন আমরা জানবো জন্মদিন পালন করা হারাম কেন এই বিষয়ে ইসলাম কি বলে এবং কেনই বা এ জন্মদিন হারাম করা হলো। এটা আমাদের জানা খুবই প্রয়োজন নিম্নে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ জন্মদিন বিবাহ বার্ষিকী এগুলো সাধারণত পালন করে থাকে কিন্তু এটা যে কতটা ক্ষতিকর ইসলামের দৃষ্টিকোণে আমরা তা জানি না। যদি আসলে জানতাম তাহলে এই দিনটা আমরা এই সকল দিবসগুলো পালন করতাম না। ইসলাম ধর্মে কোন জায়গায় লেখা নাই জন্মদিন বিবাহ বার্ষিকী এগুলো পালন করার কথা।

কেননা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এবং কোনদিনও এই সকল দিবস পালন করেন নাই। তাহলে আমরা এই জিনিসটা কেনই বা পালন করি সে ক্ষেত্রে বলা যায় যে এটা পালন করা শরীয়ত বিরোধী বেদাত। যা অমুসলিমদের একটি পন্থা ঈসা আঃ এর বাবা ছাড়া জন্ম নিয়েছিলেন কিন্তু জন্মদিন টা কি বিশেষ মনে করা হতো।

তার অনুসারীরাই জন্মদিনটা পালন করতো কিন্তু সেজন্য এটা সম্পূর্ণ অমুসলিমদের জন্য তারা পালন করতে পারে। আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি অমুসলিমদের কোন কিছু অনুসরণ করবে সে যেন আমাদের দলভুক্ত না হয় এবং অমুসলিমদের পথ অনুসরণ করলে তারাও অমুসলিম হিসেবেই গণ্য হবে।

সহি বুখারীর হাদিস ও মুসলিম এই হাদিসগুলোতে সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাহলে আমরা প্রতিদিন কেন এই নতুন করে জন্মদিন পালন করি। আমরা অনেকে জানি কিন্তু এটা মানে না তবে যারা এখনো এই দিনটা পালন করে থাকেন। তারা আল্লাহর দরবারে তওবা করে নিবেন এবং আল্লাহর কাছে আপনি ওই দিনটার জন্য শুকরিয়া আদায় করবেন।

যে আল্লাহ তুমি আমাকে এই দিনটাতে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছো এটাই হয়তো আল্লাহর নিকট বড় একটি উপহার। এটা আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে পারি এবং বিবাহ একটি ফজিলতপূর্ণ কাজ তাই এই দিনটা কখনোই আমরা এভাবে উদযাপন করব না। এই দিনে আপনি এবং আপনার স্ত্রী দুজন মিলে আপনার সৃষ্টিকর্তার কাছে অবশ্যই দোয়া করবেন।

কেননা এই দিনটার মাধ্যমেই আপনাদের মাঝে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছিল এবং পৃথিবীতে নতুন অতিথি আসা শুরু করেছে। আপনার স্ত্রীকে ওই দিনই খুশি করতে হবে এমন কোন কথা নেই আল্লাহর প্রতিটা দিনই খুবই সুন্দর তাই প্রতিদিনই আপনার স্ত্রীকে খুশি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের জিনিস উপহার দিতে পারেন। নির্দিষ্ট কোনদিনই দিতে হবে এরকম কোন হাদিস বা কোরানে নেই।

তাই আপনি ওই দিনে নির্দিষ্ট করে কেক নিয়ে আসবেন মোমবাতি নিয়ে আসবেন এগুলো আসলে নিয়তের উপরে নির্ভর করে। তাই এই দিনটাতে কখনোই আপনার এই বিষয়টা খাওয়া যাবে না এবং 

খ্রিস্টানদের কালচার বা সংস্কৃতি ফলো করা যাবে না আপনি আপনার জন্মদিনে রোজা রাখতে পারেন কারণ আমার নবী করীম সাঃ এই রোজা পালন করেছেন বা আল্লাহর কাছে ঐদিন বেশি বেশি প্রার্থনা করতেন আপনার স্ত্রী যদি নেককার হন তাহলে তার স্বামীর জন্য দোয়া করবেন এবং আল্লাহর কাছে তার নেক হায়াত দারজ প্রার্থনা করবেন।

যেন তার কোন রোগব্যাধি না হয় তারা দুজনে যেন খুব সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারে আমাদের ধর্ম কখনো কারোর উপর জুলুম করে নাই কেননা দেখুন এই দিনটার জন্য অনেকেই অনেক টাকা খরচ করে যদি এই দিনটা আমাদের ইসলাম ধর্মে বাধ্যতামূলক করা হতো তাহলে অনেক গরীব মানুষ এই ধরনের আয়োজন করতে পারত না এবং অনেক কষ্ট হতো।

তাই ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম এখানে কোন বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করে না যা বান্দার উপর কষ্ট হয় যা কিছুই আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এটা খুবই মঙ্গল বাস্তবতাও জীবনেও মঙ্গল এবং পরকালেও আমাদের উপকার হবে।

তাই শুধু শুধু আমরা এই খ্রিস্টানী কালচার বা সংস্কৃতি টা আমরা পালন করব না এবং যদিও যারা পালন করেছেন তারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ইসলাম ধর্মে জন্মদিন পালন করা হারাম কেন।

জন্মদিন পালন করা নিয়ে হাদিস

জন্মদিন পালন করা নিয়ে হাদিস এ বিস্তারিত জানার জন্য জেনে নেওয়া যাক। জন্মদিন পালন করা যদি জায়েজ থাকতো বা অনুমতি থাকতে তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ও জন্মদিন পালন করতেন। তাই রাসূল সাঃ এ বিষয়ে তেমন একটা আগ্রহ ছিল না কিন্তু বর্তমান যুগে ইহুদী-খ্রিস্টানদের সাংস্কৃতিগুলো মুসলমানরা বেশি পালন করে থাকে কিন্তু এটা আমাদের ধর্মে জায়েজ কি হারাম এই বিষয়টা তারা বুঝতে পারে না।
ছবি
তাই আজকে আপনাদের সম্মুখে জন্মদিন ইসলামে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ এ বিষয়ে হাদিস কি বলা হয়েছে আলোচনা করা হলো হাদীস শরীফে বলা হয়েছে যে হযরত ইবনে ওমর রাঃ হতে বর্ণনা করা হয়েছে রাসুল সালাম বলছেন যে ব্যক্তি তার সম্প্রদায়ের অনুরূপ অন্য সম্প্রদায়ের অনুরূপ কিছু অবলম্বন করল তাহলে সে তাদেরই দলের দলভুক্ত হয়ে গেল সুনানে আবু দাউদ ৪০৩১ ।

জন্মদিন পালন করা নিয়ে হাদিস দ্বারা স্পষ্ট বোঝা মানুষ যদি অন্যর কিছু অনুকরণ করে বা অন্য ধর্মের কোন কিছু নিজের পালন করে থাকে। তাহলে সে সেই ধর্মেরই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। তবে ইহুদী ও খ্রিস্টানদের সংস্কৃতি তারা পালন করছে ভালো আমরা তাদেরকে নিষিদ্ধ করবো না।

কিন্তু আমাদের ধর্মে যেহেতু জন্মদিন পালন করা নিষেধ সেজন্য তাদের ধর্মে এটা পালন করা জায়েজ। তাই আমরা তাদেরকে অনুকরণ করবো না সেটা তাদের ভালোবেসেও যদি করি আমাদের হারামের মধ্যে পড়ে যাবে।

এক কথায় যেহেতু এটা খ্রিস্টানদের ধর্ম থেকে বা তাদের পালন করাই জন্মদিনটা আমাদের ধর্মে যেহেতু রয়েছে বিধায় এটা পালন করা যাবে না।
এখন কেউ যদি বলে আমি জন্মদিন একটি শুকরিয়া স্বরূপ আমল করব কিন্তু এই ব্যাপারে ইসলাম বলে যে এটাও একটি বেদাত করা। নতুন কিছু আবিষ্কার করা যা ইসলাম সমর্থন করে না। কেননা আল্লাহর কাছে প্রত্যেকটা দিনই সুন্দর এখানে কোন স্পেশাল দিন বলতে জন্মদিন পালন করা যাবে না । কেননা আল্লাহর এই পৃথিবীতে প্রতিদিনই কোনো না কোনো মানুষ জন্ম নিচ্ছে।

আরেকটা হাদিসে বলা হয়েছে হযরত আয়েশা রাঃ তা'আলা আনহু থেকে বর্ণনা রাসূল সাঃ বলেছেন কেউ আমাদের শরীয়তে সংগত নয় এই সকল বিষয়ে যদি অনুপ্রবেশ ঘটায় তাহলে সেটা প্রত্যাখ্যান করা হবে। সহিহ বুখারি হাদিস নাম্বার ২৫৫০ সহীহ মুসলিমে হাদিস নাম্বার ৪৫০০৮৯ ৪৫৮৯।

জন্মদিন পালন সম্পর্কে আরেকটা হাদিস বলা হয়েছে হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত রাসুল সাঃ বলেছেন আল্লাহতালার নিকট পছন্দনীয় আমল হলো প্রতিদিন আমল করা সেটা কম বেশি যাই হোক সহি বুখারি হাদিস নাম্বার ৬০৯৯ ছয় মুসলিম হাদিস শরীফ হাদিস নাম্বার ৭৮৩।

এখন কারো জন্মদিনটি যদি তার বিশেষ দিন মনে করে তাহলে ইহুদীদের মুর্শিদদের তাদের বিশ্বাসের সাথে তাদের কালচারের সাথে বা সংস্কৃতির সাথে আমাদের মিলে যায় না। তাই জন্মদিন কারো জন্য বিশেষ দিন নয় রাসূল সাঃ ইহুদি ও মোর্শেকদের সাথে কখনোই সাদৃশ্য করতেন না এবং তাদের যে আমল করে সেগুলো করতে নিষেধ করেছেন।

তাই কোন মুসলিম জন্মদিনের মতো অহেতুক একটি কাজ ইহুদী-মুশরিকদের কাজ এই ধরনের কাজ আমাদের করা যাবে না।

জন্মদিন পালনে ইসলাম কি বলে

জন্মদিন পালনে ইসলাম কি বলে এ সম্পর্কে জানার আগে জানতে হবে যে এই সংস্কৃতি কোথা থেকে উৎপাদিত হলো। এটা আসলে ইহুদি খ্রিস্টানদের একটি কালচার তাই আমাদের ইসলাম ধর্মে এটা পালন করা নিষিদ্ধ রয়েছে। জন্মদিন পালন করা আসলে খ্রিস্টানদের সংস্কৃতি থেকে আসছে এবং এক বর্ণনায় পাওয়া গিয়েছে ফেরাউনের আমল থেকে শুরু হয়েছে।

যা ইসলামী স্থান নেই তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। ইসলামের যদি জন্মদিন পালন করা জায়েজ থাকতো তাহলে সাহাবায়ে কেরামরা এই জিনিসটা অবশ্যই পালন করতেন এবং তারা এ বিষয়ে দলিল হিসেবে কোরআন হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা করতেন কিন্তু এটা জায়েজ নয় এজন্যই তাদের সন্তানাদির জন্য তারা পালন করে নাই।

তারা জন্মদিন তো পালন করেনই নাই এবং কারো জন্ম সাল ও মনে রাখার চিন্তাভাবনা করেনি। কেননা রাসূল সাঃ এর জন্ম মাস হলো রবিউল আউয়াল মাস কিন্তু কত তারিখে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই জিনিসটা কেউ নির্দিষ্ট করে বর্ণনা করতে পারে নাই। অনেকে রবিউল মাসের ১২ তারিখ কেউবা ১১ তারিখ কেউবা ১৩ তারিখ ইত্যাদি বলে থাকে।

তবে অধিকাংশর মতামতে ১২ই রবিউল আউয়াল নবী করীম সাঃ জন্ম গ্রহণ করেছেন তবে বিষয়টা নিয়ে মতামত রয়েছে। যার কারণে জন্মদিন পালন করা অপরিহার্য নয়। যদি তাই হতো তাহলে আমাদের পালন করতে হত এবং আমাদের উপরে সেটা সুন্নত হিসেবে হলেও পালন করা লাগতো। আমরা বর্তমানে দেখে থাকি ফেসবুকে কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।

আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব যত কিছু আছে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় অনেকে বিশেষ দোয়া সালাম উপহার পেশ করে অনেকে মোমবাতি জ্বালিয়ে ফু দিয়ে নিভায় কেক কাটে ইত্যাদি ধরনের অপচয় মূলক কাজ করে থাকে যা ধর্মীয় একজন ধার্মিক মুসলিম পরিবার লোকজন করবে না।

জন্মদিন পালনে ইসলাম কি বলে তা রাসূল সাঃ সালাম এক হাদিসে বলছেন তোমরা যদি অন্য ধর্মের সংস্কৃতি অনুসরণ কর তাহলে তোমরা তাদের দলেরই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। তাই ইহুদী-খ্রিস্টানরা যেহেতু এই জন্মদিন পালন করে থাকে তাহলে আমরা যদি এই জন্মদিন পালন করি তাহলে আমরা ইহুদী-খ্রিস্টানের দলভুক্ত হয়ে যাব।

রাসূল সাঃ অন্য একটি হাদিসে বলছেন যারা আমাদের দল থেকে ছেড়ে অন্য দলে গিয়ে অন্য ধর্মের সংস্কৃতি সাদৃশ্য ফলো করে তাহলে তারা আমাদের দলে থাকবে না। জন্মদিন পালন সম্পর্কে আল্লাহতালা বলেছেন, তোমাদের উপর তোমাদের প্রতিপালক যে আদেশ দিয়েছেন সেগুলো পালন করো এবং তার আদেশ ব্যতীত অন্য কারোর অনুসরণ করবে না। সূরা আরাফ, আয়াত নাম্বার ৩

এজন্য উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটাই প্রমান হয় যে কোরআন হাদিসের আলোকে বলা হয়েছে বা বলা যেতে পারে যে জন্মদিন পালন করা জায়েজ নয়। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে ইসলামে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ ইসলামে জন্মদিন পালন করা নিষেধ করা হয়েছে।

কেক কেটে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ

কেক কেটে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ এ সম্পর্কে ইসলামে কখনো সমর্থন করে নাই। তাই কেক কেটেই হোক আর যে কোনভাবেই হোক না কেন জন্মদিন পালন করা জায়েজ নেই।

বর্তমান যুগে অনেকেই জন্মদিনে বিবাহ বার্ষিকী পালন করা এটা একটি সম্মানজনক মনে করে কিন্তু ইসলাম এটা নিষেধ করেছেন কেননা এটা হল ইহুদী নাসারাদের কালচার
ছবি
রাসুল সঃ বলেছেন অবশ্যই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তী জাতির অনেক কিছু অনুসরণ করবে এবং অধিক পরিমাণই করবে এমনকি ইহুদি খ্রিস্টানরা যদি গো সাপের গর্তেও প্রবেশ করে তাহলে তোমরাও মনে করবে যে আমাদেরও প্রকাশ করতে হবে আবার তারা যদি প্রকাশ্যে যা ইসলামের জায়েজ নেই সে সকল কাজগুলো করে তাহলে তোমরাও হয়তো অনুসরণ করবে।

তখন রাসুল সাঃ কে সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করছে এরা কারা এরা কি ইহুদি খ্রিস্টানরা তখন রাসূল সাঃ বলছিলেন তবে আবার কারা অবশ্যই তারা বুখারী মুসলিম শরীফ এখানে একটি কথা না বললেই নয় যে ইহুদীরা যদি বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করে।

তাহলে সেটা আমাদের পালন করা বৈধ নয় কেননা তারা যে বিষয়টা পালন করবে সেটা যদি আমরা পালন করি তাহলে তারা তাদের দলভুক্ত আমরা হয়ে গেলাম।
যেমন জন্মদিন মৃত্যুদিন বিবাহ কেননা এই বিষয়ে আপনি খানাপিনার ব্যবস্থা করা উৎসবের আয়োজন করা এগুলো ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ নেই। ইসলামের দৃষ্টিকোণে এই দিনটা অনেকেই গরিব যারা রয়েছেন তারা বড় ধরনের আয়োজন করতে পারবে না। যার কারণে এটা ইসলামের দৃষ্টিকোণে নিষেধ করা হয়েছে।

যখন রাসূল সাঃ এর একটি বর্ণনায় রয়েছে যে রাসূল সাঃ হুনায়নের যুদ্ধে যখন বের হলেন তখন তিনি মুরশিকদের কে একটি বৃক্ষর নিকট দিয়ে যেতে বললেন এজন্য তাদের অস্ত্র সাহায্য ঝুলিয়ে রেখেছিল। এই বৃক্ষটিতে জাতীয় বলা হয় যার কারণে এক নম্বর মুসলিম বলল যে হে আল্লাহর রাসূল ঐ সমস্ত মসজিদ অবলম্বন করা দরকার তাদের মতো আমাদের করা উচিত হবে না।

কেননা তারা যে রূপ করছে ওইটা যদি আমরা করি তাহলে আমরাও তাদের সম্প্রদায়ের লোক হয়ে যাব। তাই ওই সমস্ত লোকদের পথ অনুসরণ করবে না যারা তোমাদের পূর্ববর্তী অতীত হয়ে গেছে। এ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে নির্ধারিত দিনের মাধ্যমে কল্যাণ কামনা করা বা কোন কিছু প্রার্থনা করা সেই ধরনের কাজ করলে বা ওই দিনকে মনে করে যদি কোন কিছু উৎসব অনুষ্ঠান করা হয় বা কাউকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

তাহলে সেটা শিরক হয়ে যাবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কেক কেটে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ হবে। তবে পিছনে কোন কারণ যদি না থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবে পালন করা হয় সেক্ষেত্রে শিরক যদি নাও হয় তাহলে সেটা হারামের মধ্যে গণ্য হবে। যখন মক্কা থেকে মদিনায় গেলেন তখন দেখলেন মক্কার লোকেরা দুই দিনের খেলাধুলা করতে পছন্দ করে ছিলেন।

যে আমরা জাহেলিয়াতের যুগ থেকেই এই দুইটা দিন পালন করে আসে। তখন বাতিল করে তোমরা মুসলিমদের জন্য দুটো দিন নির্ধারণ করো এবং খেলাধুলা করন। তার একটি হলো ঈদুল ফিতরের দিন ছাড়া আর কোনদিন পালন করা ঠিক হবে না কিন্তু তিনি তা না করে মদিনা শুরু করেছিলেন।

লেখকের শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায় যে ইসলামে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ তা উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হয়েছে সে ক্ষেত্রে যেহেতু আমরা মুসলিম তাহলে আমাদের আদর্শ হলেন আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ। যেহেতু তিনি এই জন্মদিন পালন করেন নাই তাই আমাদেরও পালন করা ঠিক হবে না। অতএব আশাকরি বুঝতে পেরেছেন আজকের পোস্ট যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে পোস্টটি আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪