কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন-কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিস একটি সুস্বাদু খাবার কিন্তু কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে অনেকে জানে না। কেননা যদি কেউ অতিরিক্ত খায় তাহলে ক্ষতি হবে। চলুন, কিসমিসের উপকারিতা এবং কিসমিসের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কিসমিস সাধারণত রাত্রিতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়। তাছাড়া ভিজানো কিসমিসের উপকারিতা বেশি। তাই কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃকিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন-কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম
কিসমিস শুধু খেলেই হবে না, কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানতে হবে। তাহলে আপনি এর পুষ্টি উপাদান পাবেন। তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
কিসমিস খাওয়ার নিয়মঃ আপনি প্রতিদিন রাত্রে ১০০ গ্রামের মতো কিংবা এর চেয়ে কম কিসমিস পরিষ্কার করে এক গ্লাস পানির ভিতরে ভিজিয়ে রাখবেন। সকালবেলা কিসমিস গুলো খাবেন এবং পানি টুকু হালকা গরম করে খেয়ে নিবেন। তবে আধা ঘন্টার মাঝে কোন খাবার খাওয়া যাবে না।
এভাবে সপ্তাহ আপনি তিন থেকে চার দিন খেতে পারেন। কিছুদিন খেলে ফলাফল বুঝতে পারবেন। যদি ভিজিয়ে খাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে ছয় সাতটা কিসমিস পরিষ্কার করে নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন।
বিভিন্ন খাবারের সাথেঃ আপনি এমনিও খেতে পারেন আবার কিছু সুস্বাদু খাবার রয়েছে সেগুলোর সাথে মিক্স করে খেতে পারেন। লাচ্চা, সেমাই, পায়েশ, জর্দা, কোর্মা, পোলাও, ফিরনি এছাড়াও আরো খাবার রয়েছে সেগুলোর সাথে মিক্সড করে খেলে অনেক সুস্বাদু লাগবে এবং পুষ্টি ও পাবেন।
সকালের নাস্তায়ঃ আমরা সকাল বেলায় অনেকে কলা, রুটি, জেলি দিয়ে খেতে পছন্দ করি। অনেকে দুধ খেতেও পছন্দ করে সে ক্ষেত্রে এর সাথে আপনি কয়েকটা কিসমিস নিয়ে দুধের সাথে মিক্স করে খেলেন অনেক স্বাদ লাগবে এবং পুষ্টি পাবেন।
অন্যান্য খাবারের সাথেঃ সকাল বেলায় অনেকে কেক, বিস্কিট খেতে পছন্দ করে। তাই বাটারের সাথে কিসমিস সংযোগ করতে পারেন। এছাড়া অনেকে সালাত খেতে পছন্দ করে, সালাতের সাথেও মিক্সড করতে পারেন।
আবার অনেকে সবজি খেতে পছন্দ করে সে ক্ষেত্রে ঘি দিয়ে সবজির মধ্যে কিছু কিসমিস দিলে আরো সুস্বাদু হয়। অনেকে বিভিন্ন ধরনের পুডিং খাওয়ার খেতে পছন্দ করে এর সাথে কিসমিস দিল আরো ভালো মজা পাবে।
কত পরিমান খাবেনঃ কিসমিস খাওয়ার নিয়ম হল ১০০ গ্রামের মত তবে এর বেশি খাওয়া যাবে না। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও কিসমিস প্রতিদিন না খেয়ে সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত আপনি খেতে পারেন।
কিসমিসের উপকারিতা
কিসমিস একটি মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং সুস্বাদু। তাছাড়া কিসমিসের উপকারিতা রয়েছে অনেক। নিম্নে কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
রক্তশূন্যতা দূর করেঃ কিসমিসের মধ্যে আছে এক প্রকার লৌহ যা রক্তশূন্যতা দূর করে। রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি পায়, তাই নিয়মিতভাবে কিসমিস খেতে পারেন।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত কিসমিস খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। কেননা কিসমিসের মাঝে আছে পটাশিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে উচ্চ রক্তচাপের রোগী অবশ্যই পাশাপাশি ওষুধ খাওয়া লাগবে, ওষুধ বন্ধ করা যাবে না।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় তাদের জন্য নিয়ম হল, রাত্রিতে ভিজিয়ে রাখার পর সকাল বেলা কিসমিস ভেজানো পানিটুকু হালকা গরম পানি দিয়ে খেতে হবে। কিসমিস এর পানি খেলে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে। তবে এর মাঝে আধাঘন্টা কোন খাবার খাওয়া যাবে না।
হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ যাদের খাবার হজমের সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিতভাবে কিসমিস ভিজিয়ে খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। কেননা এর মাঝে রয়েছে এন্টিএক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ যারা ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা নিয়মিতভাবে কিসমিস খেতে পারেন। কেননা এর মাঝে রয়েছে আন্টিএক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আপনি ঘন ঘন অসুস্থতার সমস্যা দূর হবে।
ওজন বৃদ্ধি করেঃ নিয়মিতভাবে কেউ যদি কিসমিস খায় সে ক্ষেত্রে তার একটু হলেও ওজন বৃদ্ধি পাবে। তবে সকাল বেলায় খালি পেটে খেতে হবে, তাহলেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।
ঘুমের সমস্যা দূর করেঃ যাদের রাত্রিতে নিয়মিত ঘুম হয় না, তারা যদি রাত্রিতে শোয়ার আগে ৫-৬ টা কিসমিস খান। তাহলে দেখবেন রাতে খুব সুন্দর ঘুম হবে, কারণ এটা বিজ্ঞানীরা গবেষণা করেছেন।
সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
এতক্ষণ আমরা জেনেছি কিসমিসের উপকারিতা, এখন জানবো সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। কেননা সকাল বেলা কিসমিস খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম হলো একটি বাটিতে ১০০ গ্রামের কম কিসমিস সারারাত ভিজিয়ে রাখবেন। এরপর সকাল বেলা খালি পেটে কিসমিস খেয়ে নিবেন। আর পানিটুকু হালকা গরম করে খেয়ে নিবেন দেখবেন পেট অনেক পরিষ্কার হয়েছে। তবে এর আধা ঘন্টার মাঝে কোন খাবার খাওয়া যাবেনা।
কিসমিস যদি সারারাত ভিজিয়ে রাখেন তাহলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কেননা ভিজিয়ে রাখা কিসমিস এর ভিতর যে প্রোটিন, স্নেহ, শর্করা, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, খনিজ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস পটাশিয়াম সোডিয়াম যা কিছু আছে সব মিক্সড হয়ে যায়, এর কারণে গুণাগুণ বেশি পাওয়া যায়।
একজন মানুষের শরীরে অনেকগুলো পুষ্টির অভাব থাকতে পারে, সেজন্য আপনি যদি কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা নিয়মিত ভাবে খালি পেটে খান। তাহলে কিসমিসের মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আপনার শরীরের পুষ্টির চাহিদা মিটাবে।
শরীরে এনার্জিটি নিয়ে আসবে। তাই সকালবেলা ১০ থেকে ১৫ টা কিসমিস সুন্দর করে পরিষ্কার করে খেয়ে নিতে পারেন।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে কিসমিসের গুনাগুন এবং সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়
সাধারণত আঙ্গুর শুকানোর পর কিসমিস হয়, তাই এই শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় তা নিম্ন বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
শুকনো কিসমিস খেলে সাধারণত দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে এবং চোখে ছানি পড়ার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনি নিয়মিত ভাবে শুকনো কিসমিস খেতে পারেন।
যাদের রক্ত কম রয়েছে এবং রক্তের বিভিন্ন ধরনের এলার্জি সমস্যা, হৃদরোগের সমস্যা এছাড়াও এসিডিটি সমস্যা রয়েছে, তারা কিসমিস খেলে এই ধরনের সমস্যাগুলো সমাধান হয়। তবে কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো পরিমাণে বেশি খাওয়া যাবেনা। প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ টা কিসমিস খেলে উপকার পাবেন।
কিসমিস গ্লুকোজ এবং ফ্রূকটোজ বৃদ্ধি করে, শরীরের শক্তি যোগায়। কিসমিসের মধ্যে আছে এক ধরনের অ্যান্টব্যাক্টরিয়াল উপাদান যা শরীরের মধ্যে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে।
আপনার শরীরে যদি বিভিন্ন জায়গায় ইনফেকশন হয় এবং লিভার জনিত কোন সমস্যা, কোলেস্টেরল দূর করতেও এই কিসমিস সাহায্য করে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়।
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিস কেউ শুকনা খেতে পছন্দ করে আবার কেউ ভিজিয়ে খেতে পছন্দ করে। তবে কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সবচাইতে বেশি। তাই কিভাবে কিসমিস ভিজিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায় নিম্নে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
কিসমিস শরীরে পুষ্টির উপাদান হিসেবে খেতে চান সে ক্ষেত্রে ১০০ গ্রামের কম খেতে পারেন। রাত্রিতে একটি বাটির ভিতরে ভিজিয়ে রাখবেন সকালবেলা এই কিসমিস খেয়ে নিবেন। এর সাথে যে পানি থাকে সেটুকু হালকা গরম করে খেতে পারেন।
কেননা এই নিয়মে যদি আপনি কিসমিস খেতে পারেন, তাহলে আপনার শরীরে আয়রন পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ফাইবার ইত্যাদির যদি অভাব থাকে তাহলে পূরণ হবে। তবে যাদের প্রেসারের সমস্যা রয়েছে প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণ করবে। কেননা এর মাঝে পটাশিয়াম আছে, যা হাই প্রেসার কে কমিয়ে রাখে।
রক্তস্বল্পতা কমিয়ে রাখে, তাই আপনি নিয়মিত ভাবে কিসমিস খাওয়ার পরে দেখবেন আপনার শরীরে আয়রন এবং হিমোগ্লোবিনের অভাব দূর হয়ে গেছে এছাড়াও লাল রক্ত কণিকা বৃদ্ধি পাবে।
শরীরে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য অথবা প্রাকৃতিক কারণে দূষিত হয়, সেই জন্য প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খান। তাহলে শরীর থেকে বিষমুক্ত হয়ে যাবে।
যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে পায়খানা নিয়মিত হয় না অথবা অতিরিক্ত পায়খানা হয়। পেটের মাঝে বিভিন্ন ধরনের শব্দ হয় এক কথায় যাদের আইবিএস প্রবলেম রয়েছে। তারা এই কিসমিস রাত্রিতে ভিজিয়ে রাখবেন সকাল বেলা এর পানি খালি পেটে খাবেন। দেখবেন পেটের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
কিসমিসের ক্ষতিকর দিক
এতক্ষণ আমরা জানলাম কিসমিসের অনেক উপকারিতা কিন্তু কিসমিসের ক্ষতিকর দিক ও আছে। তাই কিসমিস খেলে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে সেগুলো আমাদের জানা খুবই প্রয়োজন। তাই নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা কিসমিস না খাওয়াই ভালো, কেননা এটা একটি মিষ্টি জাতীয় খাবার এতে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।
যাদের প্রচুর পরিমাণে এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা কিসমিস খেলে আরো বেশি অ্যালার্জি বৃদ্ধি পায়।
কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো প্রতিদিন ১০০ গ্রামের কম কিসমিস খেতে হবে। যদি আপনি প্রতিদিন ১০০ গ্রামের বেশি কিসমিস খান, তাহলে হজমের সমস্যা হতে পারে অথবা পেটের ব্যথা এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে, পেট ফাঁপা দিবে ইত্যাদি।
যাদের উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন কিসমিস খেলে বেশি ক্ষতি হবে, সে ক্ষেত্রে সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার খাওয়া যেতে পারে।
যাদের ওজন এমনিই বেশি তারা যদি কিসমিস খায় তাহলে ওজন আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। এজন্য অতিরিক্ত কিসমিস না খাওয়াই ভালো।
যদি বেশি পরিমাণে কিসমিস খান আর আপনার যদি শ্বাসকষ্ট সমস্যা থাকে অর্থাৎ শ্বাসকষ্ট সমস্যা এবং এজমা রোগী হন সে ক্ষেত্রে কিসমিস খেলে দেখা যায় শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পেতে পারে।
কেউ যদি অতিরিক্ত কিসমিস খেয়ে ফেলে তাহলে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হতে পারে। তাই ১০০ গ্রামের নিচে কিসমিস খাওয়া, এর বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে।
রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়
অধিকাংশ মানুষ সকালে কিসমিস খেতে পছন্দ করে, তবে অনেকে রাত্রেও খেতে চায়। তাই জানতে চায় রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়, এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
রাতে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা হলো রাত্রিতে খুব সুন্দর ঘুম হবে এবং যাদের পেটের সমস্যা আছে বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে। তারা যদি রাত্রে কিসমিস খায় তাহলে সকালে তাদের পেটের সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
রাত্রিতে সাধারণত মানুষের সকল কিছু কাজ করে ভালো সে ক্ষেত্রে আপনার যদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে, তাহলে রাত্রিতে কয়েকটি কিসমিস খেয়ে নিবেন। এতে দেখবেন আপনার হাড় মজবুত হবে শরীরে পুষ্টি যোগান দেবে, দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবে এবং প্রচুর পরিমাণ ফাইবারের চাহিদা পূরণ করবে ক্যালসিয়াম আয়রন ইত্যাদি।
তাই রাত্রের খাবারের পরে কিসমিস খেলে আপনার রক্তের শর্করা স্থিতিশীল রাখবে এবং যদি আপনি এমন কিছু খাবার খান যেগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তবে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে কিসমিস খেলে। যদি আপনি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন।
সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পরিমাণ মতো খাবেন কেননা কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো রাত্রিতে ছয় থেকে সাতটি কিসমিস। এমনি খেতে পারেন অথবা ভিজিয়ে রেখেও খেতে পারেন।
তাহলে কিসমিস খাওয়ার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপকার হলো পেটের সমস্যার সমাধান হবে। চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখবে এবং শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর করবে। কেননা এর মাঝে পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম এছাড়া যাদের রক্ত সমস্যা রয়েছে সেটাও দূর হবে।
কেননের মাঝে রয়েছে আয়রন এবং গর্ভবতী মায়েরা যদি খায় তাহলে তাদের চাহিদা এবং হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এতে করে সন্তানের মস্তিষ্কের বৃদ্ধি পাবে এবং তাই রাত্রিতে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়।
দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
দুধের মাঝে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে এবং পাশাপাশি কিসমিস আরো পুষ্টি রয়েছে। দুধ এবং কিসমিস যদি আপনি মিক্স করে খেতে পারেন তাহলে দুইটির পুষ্টির উপাদান আপনার শরীরের ভিতরে কাজ করবে। দুধের মাঝে থাকে ক্যালসিয়াম প্রোটিন ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য উপাদান রয়েছে। যা শরীরের হাড় ক্ষয় এবং দাঁত মজবুত করতে পারে।
আর কিসমিসের মাঝে যে উপাদান গুলো রয়েছে তাও একজন মানুষের শরীরে ক্যালসিয়াম ভিটামিন ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করে থাকে। তবে যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে তারা দুধের সাথে কিসমিস না খাওয়াই ভালো।
তাহলে আরো বেশি সমস্যা হতে পারে অর্থাৎ ডায়রিয়া হতে পারে তারা রাত্রিতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা খেয়ে হালকা গরম পানি করে খেয়ে নিবেন। এতে করে পেটের সমস্যার সমাধান হবে।
দুধের মাঝে যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে এবং কিসমিসের মাঝেও যে পুষ্টি উপাদান আছে দুইটা মিলে শরীরের জন্য সবচাইতে ভালো কাজ করতে থাকে। তাই নারী-পুরুষ প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে কিসমিস এবং দুধ একসাথে খেতে পারেন, এতে উপকার পাওয়া যাবে।
বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে কেননা কিসমিসের মাঝে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও হৃদরোগের জন্য ভালো কাজ করে, রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া দুধ এবং কিসমিস একসাথে খাওয়ার কারণে যদি কারো যৌন সমস্যা থাকে সে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
দুধের মাঝে যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে, তা তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাতে পারে এবং হাড় ও মাংস পেশি মজবুত করে। এছাড়াও কিসমিসের আরো গুণ রয়েছে যা মানুষের শরীরের সকল পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে থাকে।
উপসংহারঃ কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন-কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
পরিশেষে বলা যায় যে কিসমিস একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাদ্য। যা শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত খেতে পছন্দ করে। তাই আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির অভাব থাকতে পারে সে ক্ষেত্রে কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ মতো খেতে হবে। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি উপকৃত হবেন, তাই যদি আজকের পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url