দেশি বা ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আমরা অনেকেই মুরগির মাংস খেতে পছন্দ করি কিন্তু মুরগির মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানি না। এই মুরগির মাংসের ক্ষতিকর দিক রয়েছে। চলুন মুরগির মাংসের পুষ্টিগুণ ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আমরা অনেকেই দেশি মুরগি খেতে পছন্দ করি কিন্তু এই মুরগি খাওয়া শরীরের জন্য উপকার হবে সেটা আমরা অনেকেই জানিনা। তাই মুরগির মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃদেশি বা ব্রয়লার মুরগির মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
মুরগির মাংসের পুষ্টিগুণ
মুরগির মাংসের পুষ্টিগুণ রয়েছে তাই এই মুরগির মাংস সাধারণত অন্যান্য মাংসের চেয়ে সাশ্রয় মূল্যে পাওয়া যায়। যার মাধ্যমে পুষ্টি রয়েছে তবে ক্যালোরি কম আছে। এজন্য লাল মাংস খাওয়ার পরিবর্তে মুরগির মাংস খাওয়া যেতে পারে।
একদিকে ওমেগা-৩ ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড ভিটামিন বি ফলেট ভিটামিন ই ভিটামিন এ এছাড়া অনেক ভিটামিন আছে। এছাড়াও এর মাঝে আছে খনিজ পদার্থ যা আমাদের সেলেনিয়াম এর চাহিদা পূরণ করে থাকে।
আর গবেষণায় বলা হয়েছে যে মুরগির মাংস ক্রিয়েটিন এর জন্য উপকার করে থাকে এবং শক্তি বাড়িয়ে দেয় এছাড়াও এর মাঝে যে উপাদানগুলো রয়েছে। তা হার্টের হার এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ১০০ গ্রাম মুরগির মাংস প্রায় ১২৪ ক্যালোরি এবং দশ গ্রাম প্রোটিন থাকে তিন গ্রাম ফ্যাট আছে।
তাছাড়া মুরগির মাংসের আয়রন জিং ভিটামিন এ ছাড়া আরো অনেক মুরগির মাংসের পুষ্টিগুণ আছে। সুস্থ এবং সাশ্রয় দামে পুষ্টি উপাদান পেতে হলে মুরগির মাংস খেতে পারেন। যদিও মুরগির মাংসের উপকারিতা আছে, তবে পরিমান মত খেলে ক্ষতির পরিমাণটা খুবই কম হবে।
মুরগির মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা
মুরগির মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে, তবে দেশি মুরগির মাংসের উপকারিতা আরো বেশি আছে। তাই দেশি মুরগির মাংস খাওয়া সবচাইতে ভালো। নিম্নে দেশি মুরগির মাংসের পুষ্টিগুণ উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়ঃ যদি আপনি পরিমাণ মতো দেশী মুরগির মাংস খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার পোষ্টির ও চাহিদা পূরণ হবে এবং সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়তে থাকবে। কেননা গবেষণায় বলা হয়েছে যে প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া দেশি মুরগির মধ্যে থাকে।
যার কারণে এই মুরগি আমরা খাওয়ার পরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্থাৎ রোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে থাকে এর জন্য শরীরের রোগ ব্যাধি কম হয়। তাই যাদের রোগ হলে সারতে চায় না তারা নিয়মিতভাবে দেশী মুরগী খেতে পারেন। সপ্তাহে একদিন হলেও মুরগির মাংস খেতে পারেন।
ত্বকের জন্য উপকারঃ মুরগির মাংসে প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ভিটামিন সি যথেষ্ট পরিমাণ থাকার কারণে ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। তাছাড়া চুলকানি তাকে লাল ভাবের সমস্যা সানবার্ন ইত্যাদি এই ধরনের সমস্যা বা প্রতিরোধ করতে পারে। তাই মুরগির মাংস ত্বকের যত্নের উপকার রয়েছে সেজন্য আপনি দেশি মুরগিটা খেতে পারেন।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারেঃ একদল গবেষক বলেছেন যে মুরগির মাংসের মধ্যে এক ধরনের গোসী পাল নামক পুষ্টি উপাদান থাকে। যার কারণে মুরগির মাংস খেলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। এজন্য নিয়মিত ভাবে দেশি মুরগি খেতে পারেন কেননা দেশি মুরগির মাংসের উপকারিতা সবচেয়ে বেশি রয়েছে।
হার্টকে সুস্থ রাখেঃ মুরগির মাংস হিমোকিস্টাইনের পরিমাণ কমিয়ে নিয়ে আসে এবং হার্টের কার্ডিও ভাস্কুলার রোগের ক্ষেত্রেও প্রতিরোধ করতে পারে। তাই মুরগির মাংস খেলে অনেকটাই হার্টের উপকার হবে।
বিষন্নতা দূর করেঃ মুরগির মাংসের মধ্যে উচ্চমাত্রায় ট্রাইবটোফেন এক ধরনের অ্যামিনো এসিড থাকে যা প্রতিদিন এক বাটির মুরগির মাংসের সুপ যদি কেউ খেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে বিষন্নতাবোধ অনেকটাই কেটে যাবে এবং মস্তিষ্কে সেরেটোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিবে টেনশন মুক্ত থাকবে
ঠান্ডা থেকে রক্ষা করেঃ মুরগির মাংসের সুপ যদি নিয়মিত খাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে শরীরে উষ্ণতা তৈরি হবে এবং ঠান্ডা থেকে মুক্তি পাবে তাই যদি কারো সর্দি কাশি বা ঠান্ডা লাগে সেক্ষেত্রে মুরগির সুপ খেতে পারেন।
হাড় ক্ষয় প্রতিরোধঃ যেসকল বয়স্ক লোকদের হাড় ক্ষয় হয়ে গেছে তারা মুরগির মাংস খেলে এই হাড় ক্ষয়ের প্রতিরোধ করতে পারবে। কেননা এর মধ্যে যে প্রোটিন আছে তাহার ক্ষয় রো ধ করতে পারে
রক্তস্বল্পতা উপকার করেঃ যাদের রক্তস্বল্পতা আছে অর্থাৎ আয়রনের অভাব আছে তারা নিয়মিতভাবে মুরগির মাংস খেতে পারেন। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের এই সময়ে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় তাই মুরগির মাংস খাওয়া যেতে পারে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ গরুর মাংস খেলে সাধারণত হজমের সমস্যা বেশি দেখা যায় কিন্তু মুরগির মাংস অতি সহজে হজম করতে পারে। এর মাঝে আছে ভিটামিন-৬ শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ফ্যাট হতে বাধা দেয়, খাবার হজম করতে দ্রুত কাজ করে এবং রক্তনালী সঠিক রাখে তবে পরিমাণে মত খেতে হবে।
চোখ ভালো রাখেঃ যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত মুরগির মাংস খেতে পারেন। কেননা এর মাঝে আছে আলফা রেটিনঅল বিটা ক্যারোটিন এছাড়া আরো অনেক ভিটামিন এ অনেক থাকে যার কারণে চোখে সুস্থ রাখে।
ব্রয়লার মুরগির মাংসের অপকারিতা
ব্রয়লার মুরগি খাচ্ছেন তো কিন্তু এটা অনেক ক্ষতি করতে পারেন। কেননা ব্রয়লার মুরগির মাংসের অপকারিতা রয়েছে নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
অনেকেই গবেষণা করে দেখছেন যে ব্রয়লার মুরগিকে যে খাবার দেওয়া হয় সেগুলো কিভাবে তৈরি করা হয়। অনেকেই জানিনা সাধারণত চামড়া তৈরি করার পর যে বর্জ্য পদার্থ গুলো থাকে সেগুলো দিয়ে খাবার করে মুরগির খাবার তৈরি করে এই বর্জ্য পদার্থ গুলোর মধ্যে আছে বিষাক্ত ক্রোমিয়াম যেটা মানব দেহের জন্য মানবদেহের শরীরের ভিতরে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি করতে পারে।
তবে সব ফার্মেই যে এই ধরনের খাদ্য দেওয়া হবে তা কিন্তু নয় যে ফার্মে এই ধরনের খাদ্য দিয়ে মুরগি উৎপাদন করে সেই মুরগিগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। মুরগি ক্রোমিয়াম আগুনেও নষ্ট হয় না এটা সহ্য করতে পারে।
২৯০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড কিন্তু আমরা যখন রান্না করি তখন ১০০ থেকে ১৫০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড থাকে। তাহলে এই ক্রোমিয়াম তো নষ্ট হলো না যা আমাদের শরীরে ক্ষতি করতে পারে।
লিভার অকেজো করতে পারে এবং পরবর্তীতে ক্যান্সারও হতে পারে। তাই মুরগির মাংস খাওয়ার পূর্বে এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন। চেষ্টা করবেন দেশি মুরগি খাওয়ার জন্য। কেননা তারা প্রাকৃতিকগত খাবার খায়। এজন্য পরিমাণ মতো এবং যে সকল মুরগি প্রাকৃতিকতা খাবার খায় সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
বিশেষ করে বয়লার মুরগির মাংসের মাঝে ক্রোমিয়াম আছে। একজন মানুষ নিয়মিতভাবে ব্রয়লার মুরগি খাওয়া যাবে না।কেননা ব্রয়লার মুরগির মাংসের অপকারিতা আছে। কেননা অতি সহজেই তার ক্যান্সার অথবা বড় ধরনের রোগ হতে পারে।
বিশ্বাস স্বাস্থ্য সংস্থার মতে একজন মানুষ সাধারণত ৩৫ মাইক্রগ্রাম ক্রোমিয়াম খেতে পারবে, এর বেশি যদি কেউ খায় তাহলে শরীরের জন্য ক্ষতি হবে।
সে ক্ষেত্রে আমরা ২৫০ গ্রাম ওজনের এক টুকরো মাংস যদি খায় তাহলে দেহে প্রায় ৮৫ ভাগ মাইক্রগ্রাম ক্রোমিয়াম খেয়ে ফেললাম। যা শরীরের জন্য অনেক বেশি হয়ে গেল। এছাড়া যদি ৬০ গ্রাম এর মত মাংস খায় সে ক্ষেত্রে ২২ মাইক্রগ্রাম ক্রোমিয়াম খেয়ে ফেললাম। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
এছাড়াও এই ব্রয়লার মুরগির মধ্যে সাধারণত তাদেরকে ওষুধ হিসেবে অ্যান্টিবায়োটিক বেশি প্রয়োগ করা হয়। যা আমাদের শরীরে প্রবেশ করে যেটা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। একদল কৃষি গবেষকরা বলেছেন মুরগির মাংস এবং ডিমের প্রচুর পরিমাণে এন্টিবায়োটিক থাকে এর কারণে এন্টিবায়োটিক মুরগির মাংস ডিম যদি আমরা খাই তাহলে সেটা আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এর কারণেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের কমে যাচ্ছে।
যাহোক সর্বোপরি বলা যেতে পারে যে বিষাক্ত ফার্মের খাদ্য খায় যে মুরগিগুলো লালন পালন করা হয় সেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ করে আমরা ছোট বাচ্চাদেরকে মুরগির মাংস খাওয়াতে বেশি পছন্দ করি কিন্তু এটার ভিতরে যে পরিমাণ ক্ষতি করার জিনিস খাওয়ানো হয়।
সেটা শিশুটার শরীরে প্রবেশ করার ফলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। তাই ফার্মের মুরগির যেগুলো বিষাক্ত খাবার খাওয়ায় সেই মুরগি খাওয়া থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।
মুরগির মাংস খেলে কি ওজন বাড়ে
অনেকেই প্রশ্ন করে যে মুরগির মাংস খেলে কি ওজন বাড়ে এ সম্পর্কে বলতে চাই যে মুরগির মাংসের মধ্যে যে প্রোটিন থাকে এবং চর্বি বা ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। এজন্য মুরগির মাংস ওজন বাড়াতে পারে না যদি পরিমাণে কম খাওয়া হয়। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা মনে করেন কিছু প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া মুরগির মধ্যে থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
তাই এই মুরগির মাংস খেলে প্রাকৃতিক গত ভাবে শরীরে ওজনটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তবে অবশ্যই সেই সকল মুরগি খেতে হবে যে মুরগিগুলো প্রাকৃতিক খাবার খায়। মুরগির মধ্যে আছে প্রোটিন শক্তি কার্বোহাইড্রেট ভিটামিন সি ইত্যাদি যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার করে থাকে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে যদি মুরগির মাংস রান্না করতে কম তেল দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে ক্ষতি খুবই কম করে কিন্তু অতিরিক্ত যদি তেল দেওয়া হয় হার্টের জন্য অনেক ক্ষতিকর। মুরগির মধ্যে যে উপাদান গুলো থাকে তা ক্যান্সার রোগীদের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। তাই ওজন যদি হতে কমাতে চান সেই ক্ষেত্রে মুরগি খেতে পারেন। তবে মুরগির মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে।
যে সকল পদ্ধতিতে আপনি মুরগিগুলো খেতে পারেন তাহলে মুরগি যখন রান্না করতে যাবেন সেক্ষেত্রে দই দিতে পারেন। এতে করে মাংস ভিতরে পুষ্টির উপাদান বৃদ্ধি পাবে এবং খাদ্য হজম করতে সাহায্য করবে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা যাবে না। তবে সাধারণত এই ভারী খাবারটির দুপুরে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
মুরগির সুপ খেতে পারেন কেননা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এটা খুবই উপকার করে থাকে। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন ভারী খাবার খাওয়া ঠিক হবে না। সেই ক্ষেত্রে সুপ খাওয়া যেতে পারে এজন্য সুপর মধ্যে লেবু দেওয়া যেতে পারে আরো অনেক সুস্বাদু হবে। সামান্য মসলাও দিতে পারেন লেবু মুরগির সুপ খেতে খুবই মজা লাগবে। এছাড়াও কিছুটা এর সাথে সবজিও খেতে পারেন।
অনেকে মুরগি ছোট ছোট করে নিয়ে তার সাথে কিছু সবজি যেমন শসা গাজর পেঁয়াজ কুচি সিদ্ধ ব্রকলি ইত্যাদি মিশিয়ে সালাতের মত বানিয়ে খেতে পারেন। এতে করে অনেক সুস্বাদু লাগবে এবং শরীরে পুষ্টি যোগাবে।
চাইলে এর সাথে একটু কাঁচা মরিচ কুচি করে দিতে পারেন ঝাল হওয়ার জন্য। হালকা লবণ এছাড়াও মসলাটা মসলা দিতে পারেন তবে এর সাথে হালকা স্যান্ডউইচ অথবা অল্প করে রুটি খেতে পারেন এদের পেটটা ভর্তি থাকবে শরীরে ওজন কমতে থাকবে।
মুরগির কাবাব খেতে পারেন এজন্য আদা রসুন কাঁচা মরিচ কাজুবাদাম কাঠবাদাম লবণ দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ডার করে নিতে পারেন। এরপর মুরগির কিমা যদি থাকে সেই ক্ষেত্রে এর সাথে মিশিয়ে নিবেন মুরগির মাংস ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে এর সাথে পেস্ট করতে পারেন। মিশ্রণটা পেঁয়াজ দিয়ে এবং ধনেপাতা দিয়ে কচি কচি করে মেখে নিতে পারেন এবং কাবাব বানিয়ে ফ্রাই করে প্যানে একটুখানি তেল দিয়ে হালকা আজ দিয়ে ভেজে নিতে পারেন।
গ্রিল মুরগি খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে ম্যারিনেট করে প্যানে গ্রিল বানাতে পারেন হয়তো একটু সময় লাগতে পারে তারপরও অনেকটাই মজাদার হবে।
মুরগির হার সহ মাংসগুলো রান্না করা ভালো একটি পদ্ধতি এজন্য হাঁড়িতে হাড় সহ মুরগিগুলো টুকরো টুকরো করে পানি দিয়ে এমন ভাবে মুরগিটা ডুবিয়ে রাখবেন এর পরে লবন দিয়ে চুলায় জাল ধরায়ে দিবেন। যখন মুরগির মাংসগুলো অর্ধেক সিদ্ধ হওয়া শুরু করবে।
সে ক্ষেত্রে কাটা পেঁয়াজ ও পছন্দমত সব যে টুকরা গুলো দিতে পারেন যেমন গাজর বরবটি ফুলকপি আরো অনেক ধরনের সবজি রয়েছে এছাড়া আলাদা এবং গোল মরিচ পছন্দ মত মসলা ও দিতে পারেন। এক্ষেত্রে মুরগির টুকরাগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে তারপরে নামিয়ে ফেলবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে মুরগির মাংস খেলে কি ওজন বাড়ে।
প্রতিদিন মুরগির মাংস খেলে কি হয়
এখন আমরা জানবো প্রতিদিন মুরগির মাংস খেলে কি হয় এ সম্পর্কে বলতে গেলে বলা যায় যে প্রতিদিন খেতে পারেন কিন্তু আপনার শরীরে কতটুকু প্রয়োজন সেটা জেনে তারপরে খাবেন। কেননা পরিবারের চেয়ে বেশি খেলে মুরগির মাংসের উপকারিতা ও ক্ষতি হতে পারে।
সেজন্য কতটুকু খাচ্ছেন এবং কিভাবে রান্না করে খাচ্ছেন এই বিষয়গুলো আপনার খেয়াল রাখতে হবে। কেননা মুরগির মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে তাই ভেবেচিন্তে খাবেন।
যে সকল লোকের ৭৫ কেজের বেশি তারা দিনে ২০০ গ্রাম মুরগির বেশি খাওয়া যাবেনা। আর যাদের ওজন ৫০ থেকে ৬০ কেজির মধ্যে তারা ১০০ গ্রাম খেতে পারবেন।
এই মাংস রান্না করার জন্য বেশি তেল দেওয়া ও মসলা দেওয়া যাবে না। এতে করে শরীরের ক্ষতি হবে। প্রতিদিন যে মুরগির মাংস খাবেন সেটা রান্না করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন তেল ঘি মাখন বা মসলা এগুলো দিয়ে মাংসটা রান্না করা যাবে না। এতে করে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে।
সাধারণত সিদ্ধ করে হালকা জল দিয়ে মুরগির মাংস খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে এই মুরগির মাংসের মধ্যে প্রোটিন পাওয়া যায় কিন্তু এর সাথে ভিটামিন ও ফাইবারের চাহিদা পূরণ হবে। যদি আপনি নিয়মিত সবজি দিয়ে সুন্দর করে মুরগি রান্না করতে পারেন।
প্রতিদিন মুরগির মাংস খেলে কি হয় জানেন কি, না জানলে জেনে নিন। বেশি খেলে কি ক্ষতি হতে পারে যদি আপনি এর চেয়ে বেশি খান তাহলে আপনার শরীরে প্রোটিনের সংখ্যা বেশি থাকবে। আর এর কারণে ইউরিক অ্যাসিড সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগতে থাকবেন। এজন্য মুরগিগুলোতে ক্ষতিকারক ফ্যাটও রয়েছে কিন্তু তাই অত্যাধিক মুরগির মাংস খাওয়া যাবে না।
এর মাঝে বেশি তেল দেওয়া ঘি বাটার মাখন ইত্যাদি রান্না করেন তাহলে হার্টের রোগীদের অনেক ক্ষতি হবে।
আমাদের শেষ কথা,
পরিশেষে বলা যায় যে কোন কিছুই অতিরিক্ত ভাবে খাওয়া যাবেনা। এতে শরীরের জন্য ক্ষতি হবে। মুরগির মাংসের অনেক উপকারিতা রয়েছে তবে পরিমাণে যদি বেশি কাজ তাহলে ক্ষতি হতে পারে। তাই মুরগির মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। আশা করি পোস্টটি পড়ে একটু হলেও উপকার পাবেন। যদি আজকের এই পোস্টটি ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url