পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ কত জেনে নিন
বিভিন্ন কারণে নতুন মিটারের প্রয়োজন হয় কিন্তু অনেকেই জানেনা যে পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ কত। চলুন, নতুন মিটারের আবেদন খরচ কত এবং পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে কি কি লাগে এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অনেকে সময়ের অভাবে বিদ্যুৎ অফিসে যেতে পারে না। সেই ক্ষেত্রে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারেন। তাই পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃপল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ কত জেনে নিন
বিদ্যুৎ মিটার নষ্ট হলে করণীয়
আমরা বিদ্যুৎ মিটার ব্যবহার করি কিন্তু বিদ্যুৎ মিটার নষ্ট হলে করণীয় কি অনেকেই জানিনা। তাই আজকের আর্টিকেলটিতে বিদ্যুৎ মিটার নষ্ট হলে যে কাজগুলো করবেন সে বিষয়ে আলোচনা করব। আমাদের বাসা বাড়িতে যে মিটার গুলো ব্যবহার করে থাকি। তা সাধারণত কাজের জায়গা গুলোতেই হয়তো লাগানো থাকে। দেখা যায় হঠাৎ করে কোন এক কারণে নষ্ট হয়ে যায়। বিদ্যুৎ মিটার নষ্ট হলে করণীয় সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
যখন আপনার বিদ্যুৎ মিটার নষ্ট হবে সে ক্ষেত্রে খেয়াল করবেন। এখন বর্তমানে বিদ্যুৎ বিলের কাগজের সাথে আপনার নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিসের নাম্বার দেওয়া থাকে, সেই নাম্বার গুলোতে কল দিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। সরাসরি ঠিকানা নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করবেন।
যারা বিদ্যুতের অফিসার বা কর্মকর্তা রয়েছেন তারা আপনার আবেদনের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ মিটার নতুন করে লাগিয়ে দিয়ে যাবে।
আপনার মিটার কি কারনে নষ্ট হয়েছে। তার যদি কোন ডকুমেন্ট থাকে সেগুলো সংগ্রহ রেখে দেন। মোবাইল এর মাধ্যমে আপনার মিটারের ছবি তুলুন কিংবা ভিডিও করুন। কেননা আবার অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি যে মিটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা বা কর্মচারীরা বলে থাকেন যে আপনার মিটারের রিডিং এর ভিডিও করে নিয়ে আসুন।
তাহলে আমরা বুঝতে পারবো আপনার মিটার কি সমস্যা হয়েছে। তাই যদি কোন বিলের কাগজ অথবা অন্যান্য তথ্য থাকে সেক্ষেত্র এগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে যাবেন। অনেক সময় বিদ্যুৎ অফিসের নিয়ম অনুযায়ী অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমেও আপনি মিটার পরিবর্তন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে মিটার যে নষ্ট হয়েছে তার প্রমাণাদি সেখানে প্রয়োগ করতে হবে।
তাছাড়া আপনি নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনি পল্লী বিদ্যুতের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রবেশ করে সেখানে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারেন। এছাড়া আপনার কাছে যদি পরবর্তী বিদ্যুৎ বিলের কপি থাকে তাহলে সেটা রেখে দিতে পারেন এবং এই বিদ্যুৎ বিল এর কাগজগুলো প্রমাণস্বরূপ থাকবে।
আপনার মিটার নষ্ট হওয়ার যদি কোন তথ্যাদি থাকে সকল কিছু নিয়ে আপনি আপনার এলাকায় নিকটস্থ যে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস রয়েছে সেখানে গিয়ে অফিসারদের সাথে কথা বলে আপনার সমস্যার সমাধান করুন।
প্রিপেইড মিটারের দাম কত
অনেকে প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করতে চায়, কিন্তু তারা জানে না যে প্রিপেইড মিটারের দাম কত। সেই বিষয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
অধিকাংশ মানুষ বিদ্যুতের অপচয় করে । তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে প্রিপেইড মিটার যদি ব্যবহার করা হয় এই ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ অপচয় কমে যাবে। কারণ কে কতটুকু ব্যবহার করবে তারপর ভিত্তি করেই বিল পরিশোধ করবে। এতে করে ইচ্ছা করলেই সে বেশি ব্যবহার করতে চাইবে না। এক কথায় প্রিপেইড মিটার হলো মোবাইলে টাকা লোড করার মত।
আপনি কি পরিমাণ ব্যবহার করবেন সেটা একমাত্র আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই প্রিপেইড মিটার অনেকে পছন্দ করে। প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করা সবার জন্যই ভালো হবে, কেননা বাংলাদেশের বিভিন্ন পাইলট প্রকল্পের কাজ চলছে সেই ক্ষেত্রে প্রিপেইড মিটার ব্যবস্থাও দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রয়োগ করা হচ্ছে। সাধারণত প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার গ্রাহক প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন।
যাহোক সিঙ্গেল ফেজদিয়ে মিটার সাধারণত বাড়িতে লাগানো যায় আবার থ্রি ফে্জ মিটার লাগিয়ে যেমন শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। সিঙ্গেল ফেজ প্রিপেইড মিটারের দাম কত পড়বে তা হলো ২৪০০ টাকা থেকে ৩২০০ টাকা পর্যন্ত। আর থ্রি ফেজ মিটারের দাম পড়বে ১৫২০০ থেকে ১৯ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। আর এই বিদ্যুতের অপচয়ের কারণেই সাধারণত প্রিপেইড মিটার বসানোর চেষ্টা চলছে এর কারণে বিদ্যুৎ অপচয় অনেকটাই কমে যাবে।
আর এসব এগুলো যদি আপনি ব্যবহার করতে না চান সেই ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুৎ এর মিটার ব্যবহার করতে পারেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে কি কি লাগে
আপনি যদি মিটার পরিবর্তন করতে চান সে ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে কি কি লাগে এ বিষয়টা জানা খুবই জরুরী। এছাড়াও আপনি যদি নতুন ঘরবাড়ি তৈরি করেন সেই ক্ষেত্রে মিটার পরিবর্তন করা লাগতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণেই মানুষ মিটারে পরিবর্তন করে থাকে।
আর এ জন্য অবশ্যই আবেদন করতে হয়, এজন্য অনেকেই পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে কি কি লাগে এই সমস্ত বিষয় জানতে চায়। আবার পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ কত হতে পারে এই সকল বিষয়ে জানতে নিম্নে সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
আপনি পল্লী বিদ্যুতের মিটার নিতে চাইলে দুটো উপায়ে আবেদন করা যেতে পারে একটা হল অনলাইনের মাধ্যমে এবং দ্বিতীয়টি সরাসরি অফিসে যাবেন সেখানে একজন অফিসারের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট নিতে হবে অনেকেই হয়তো ভুল করে থাকে। তাই যে কাগজগুলো লাগে তা তুলে ধরা হলো,
পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বা পল্লী বিদ্যুতের অধীনে তাদের একটা আবেদন ফরম রয়েছে সেই আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আপনাকে এ আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করে নিবেন।
এর মধ্যে আপনার নাম, পিতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, চলমান ফোন নাম্বার যদি থাকে সেগুলো উল্লেখ করতে হবে এইগুলো পূরণ করবেন, এই সনদটি আপনি দরকার হবে।
যখন মিটারের জন্য আবেদন করতে যাবেন তখন পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি লাগবে। যদি আপনি নিজেই বাড়ির মালিক হন সে ক্ষেত্রে সেটাও দরকার সেটাও নিয়ে যাবেন। আর যদি বাড়ির মালিক না সেই ক্ষেত্রে বাড়ির মালিকের প্রমাণপত্র নিয়ে যেতে হবে।
মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে যেমন রকেট এর মাধ্যমে আবেদন ফি দিতে পারেন এবং বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর অনুমতির পত্র সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনে কাগজপত্র যদি থাকে যেমন নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, বাড়ির নকশা যদি থাকে এ সকল কাগজপত্র আপনি সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন।
আপনার বাড়ি থেকে অনেক কাছে বিদ্যুতের পোলের দূরত্ব ১৩০ ফুট কম যদি হয় সেটা মেপে নিতে হবে। কেননা এর বেশি হলে আপনার বেশি টাকা লাগতে পারে এবং সমস্যা হতে পারে।
এছাড়াও লাইট ফ্যান ফ্রিজ টিভি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের লোডের কারণে অনেক সময় কি পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হবে তার হিসাবও আপনাকে দিতে হবে।
হাউজ ওয়ারিং নিশ্চিত প্রমাণ করার জন্য গ্র্যান্ড টু রডের ক্যাশ মেমোর ছবি আপনাকে দিতে হবে বা স্ক্যান করে নিতে হবে।
উপরোক্ত এই কাগজপত্রগুলো আপনি অবশ্যই সঙ্গে করে নিয়ে নিকটস্থ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে অফিসারদের সাথে যোগাযোগ করে, আপনি নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারেন।
পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ কত
আবেদন করার পরে অবশ্যই আপনাকে পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ কত হতে পারে, তা অনেকেই জানতে চায় তাই এ সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
আবেদন করার সাথে সাথেই আপনাকে ফি প্রদান করার জন্য বলবে এই ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ ১১৫ টাকা, এই টাকা জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন ফি দুই ভাবে দিতে পারেন। এক মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দিতে পারবেন, দুই বিদ্যুৎ অফিসে সরাসরি দিতে পারেন।
আপনি যেহেতু পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যাবেন সেক্ষেত্রে সরাসরি ফি প্রদান করাই ভালো হবে। এছাড়াও নিরাপত্তা জামানত হিসাবে টাকা দিতে হয় সেই ক্ষেত্রে দুই কিলোওয়াট ৪০০ টাকা প্রতি কিলোওয়াট এর জন্য এবং দুই কিলোওয়াট এর বেশি যদি ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রে ৬০০ টাকা প্রতি কিলোওয়াট এর প্রদান করা লাগবে। দুই কিলোওয়াট এর বেশি যদি ব্যবহার করতে চান নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি অতিক্রম করে ফেলেছেন, সেই ক্ষেত্রে অন্য ক্যাটাগরিতে আপনাকে টাকা দিতে হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা
পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানা খুবই প্রয়োজন। কেননা এখানে কয়েকটি ধাপ রয়েছে সেই ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপটা হল আবেদনের নাম্বার যদি আপনি ভুলে যান তাহলে অবশ্যই সরাসরি অফিসে গিয়ে আবেদন নাম্বারটি সংগ্রহ করে নিবেন। এছাড়া আরো কিছু পদক্ষেপ রয়েছে নিম্নে আলোচনা করা হলো,
- বর্তমানে অনলাইনের যুগে আপনি পল্লী বিদ্যুতের সর্বশেষ অবস্থা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারবেন। এ জন্য কি ব্যবস্থা নিতে হয় তা নিম্নে বলা হলো,
- পিবিএস এর মোবাইল অ্যাপ রয়েছে তা ডাউনলোড করে রাখুন
- অ্যাপটিতে অবশ্যই লগইন করবেন
- আবেদনের অবস্থা অপশনটি নির্বাচন করে রাখবেন
- আপনার আবেদনের নাম্বার এবং মোবাইল নাম্বার দিতে হবে
- সাবমিট বাটনে ক্লিক করে জানতে পারবেন
- আপনার আবেদনের বর্তমান অবস্থা কেমন রয়েছে সেটা পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন।
এছাড়াও পল্লী বিদ্যুতের অনেক তথ্য আপনি হেল্প লাইনেও ফোন করে জানতে পারবেন। এছাড়াও আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কেও জানতে হেল্প লাইনে ফোন দিন।
বিদ্যুৎ বিভাগ কল সেন্টার নাম্বার হল ১৬৯৯৯ আপনি বাংলাদেশের সব জায়গায় থেকে আপনি কল দিয়ে জানতে পারবেন।
আপনি কল দিয়ে সেখানে আবেদন সম্পর্কে জানতে পারবেন বা জিজ্ঞাসা করুন যে আমার আবেদন ফরমের সর্বশেষ অবস্থা কি। হেল্প লাইন কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক আপনার আবেদন ফরমের সকল তথ্য জানিয়ে দেবে।
এছাড়া আপনি সর্বশেষ সরাসরি গিয়েও আবেদনের অবস্থা জানতে পারবেন। এজন্য আপনার নিকটস্থ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যাবেন যেখানে গ্রাহক সেবা লেখা রয়েছে সেই রুমে চলে যাবেন। আবেদন নাম্বারটা সম্পর্কে জানবেন একজন কর্মকর্তা রয়েছেন তিনি আপনাকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করবে।
পল্লী বিদ্যুৎ অনলাইন আবেদন
আপনি যদি নতুন মিটার নিতে চান সেই ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুৎ অনলাইন আবেদন করতে পারেন। বর্তমান যুগে ডিজিটাল যুগে আপনি ঘরে বসেই পল্লী বিদ্যুতের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এজন্য কিছু পদক্ষেপ আপনাকে নিতে হবে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন এরপরে ওয়েব সাইটের উপর ক্লিক করবেন।
লগইন বা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন, যদি আপনার কোন একাউন্ট না থাকে সে ক্ষেত্রে নতুন একাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং লগইন করে নিতে হবে।
এরপর আবেদন ফরম রয়েছে সেখানে আপনি ক্লিক করে আবেদন ফরমটি সুন্দরভাবে পূরণ করবেন। সেখানে সামাজিক আর্থিক তথ্য ঠিকানা যোগাযোগ এগুলো তথ্য আপনার প্রয়োজন হতে পারে সে ক্ষেত্রে আগে থেকেই এই বিষয়গুলো সংগ্রহ করে রাখবেন।
ডকুমেন্টগুলি সঠিকভাবে আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। সেই ক্ষেত্রে উপরে আলোচনা করা হয়েছে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে সেগুলো জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখবেন।
যেখানে যে সকল কলামে স্টার রং এর চিহ্ন দেওয়া থাকবে অবশ্যই সেগুলো পূরণ করা লাগবে। তাছাড়া আপনার আবেদন ভুল হবে সে বিষয়ে আপনার খেয়াল রাখতে হবে। সমস্ত তথ্য যখন দেওয়া শেষ হয়ে যাবে সেই ক্ষেত্রে ডকুমেন্টস গুলো ঠিকমতো দেওয়া হয়েছে কিনা যাচাই করে নিবেন এরপরে সাবমিট করবেন।
আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি তারা পর্যালোচনা করবে এরপরে আপনাকে অনুমোদন দেওয়া হবে। যখন আপনি আবেদনের অনুমোদন পেয়ে যাবেন, তাহলেই আপনি মিটার পাবেন। আপনি পল্লী বিদ্যুৎ অনলাইনে আবেদন সম্পর্কে এবং ডকুমেন্টসগুলোর পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ কত হতে পারে উপরে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ টাকাটাও আপনি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দিয়েছেন কিনা এসএমএসটাও প্রমাণ রেখে দিবেন।
যদি আপনি এভাবে পল্লী বিদ্যুৎ অনলাইন আবেদন করেন এতে আপনার সময় নষ্ট হবে না, টাকা অপচয় হবে না পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যেতে হবে না অনেক সুযোগ-সুবিধা আপনি ঘরে বসেই আপনি মিটার পেয়ে যাবেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম
আপনি যদি পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটার নিতে চান সেক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। যদি না জানেন এ আবেদন প্রক্রিয়াটা তাহলে হয়তো সমস্যা হতে পারে। বাংলাদেশের পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে নিম্নে বর্ণনা করা হলো,
প্রথমত আপনাকে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এই ফর্মটি প্রয়োজনীয় যে তথ্যগুলো চেয়েছে সেগুলো পূরণ করে দিবেন। এই ক্ষেত্রে কম বেশি হলে সমস্যা হতে পারে এবং আপনারা আবেদন ফর্মটা বাতিল হয়ে যেতে পারে। ওয়েবসাইটের প্রবেশ করে পেজে কয়েকটি অপশন আসবে সেখানে আপনি আবেদন ক্লিক করবেন।
এরপরে সাতটি বিষয় আপনাকে দেখা হবে। আবেদনের উপর ক্লিক করুন আপনার সামনে অনলাইন ফর্মটা চলে আসবে। তখন আপনি পূরণ করবেন আবেদনের উপরে লাল রঙের চিহ্নিত স্থান অবশ্যই পূরণ করবেন। এরপরে আপনার আশেপাশে যদি কোন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বা জনাল অফিস লিস্ট থাকে সে ক্ষেত্রে সেট করবেন।
এক্ষেত্রে একক বাসা বাড়ির সংযোগের জন্য ট্যারিফ হিসেবে এলটিএ সিলেট করতে হবে, তাছাড়া যদি বহুৎ ফ্ল্যাট বাড়ির ক্ষেত্রে হয় সে ক্ষেত্রে এমটিএ সিলেক্ট করতে হবে। এরপর আপনাকে নাম, পিতার নাম এই সকল যে কলামগুলো রয়েছে সেগুলো পূরণ করে দিবেন সকল কিছু ইংরেজিতে লিখতে হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম হলো আপনাকে যখন সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আবেদন ফরমটা সাথে করে নিয়ে যাবেন। তাহলে আপনার প্রমাণপত্র সাথে থাকবে অনেক সময় আবেদনটি অনুমোদন নাও করতে পারে।
যদি অনুমোদিত হয় সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদনকারীকে বিল্ডিং সংক্রান্ত তথ্য ও মিটার ইনস্টলেশন এর সময় ও নির্দেশ প্রদান করবে।
উপসংহারঃ পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ কত জেনে নিন
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে চান সে ক্ষেত্রে উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে আপনাকে আবেদন করতে হবে এবং সকল ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে হবে। এগুলো তথ্যের মাধ্যমে আবেদন ফরম সুন্দর করে পূরণ করে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করবেন। আশা করি আপনার কাঙ্খিত ফলাফল পেয়ে যাবেন। আজকের পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url