গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আদা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যেতে পারে, তবে গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি রয়েছে। নিয়মিত আদা খেলে শরীরে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করবে। চলুন, আদা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আমরা প্রায় অধিকাংশ মানুষ আদা দিয়ে রং চা খেতে পছন্দ করি। তবে আদা দিয়ে চা খাওয়ার গুনাগুন সম্পর্কে অনেকে জানে না। তাই গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃগরম পানি দিয়ে আদা খাওয়ার উপকারিত সম্পর্কে জেনে নিন
গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার উপকারিতা
আদা এমন একটি মসলা যা অনেক উপকারে করে থাকে, বিশেষ করে গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
আপনার যদি ঠান্ডা কাশি এবং গলা ব্যথা হয় সে ক্ষেত্রে আদা খেতে পারেন। এটা আপনার এ সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। হালকা গরম পানি করে নেবেন, এর সাথে আদা কুচি কুচি করে কেটে মিক্সড করে নিবেন। এর পরে এই পানি খাবেন এতে অনেক উপকার পাবেন।
অনেকের শ্বাসকষ্ট হয় এতে শ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয় এই রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে আদা খুবই উপকার করে থাকে। কেননা এর মাঝে রয়েছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি যা শ্বাসকষ্ট এর অনেক উপকার করে থাকে।
গরম পানির সাথে আদা খেলে আপনার শরীরে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস সংক্রমণ করতে পারবেনা। সাধারণ সর্দি ঠান্ডা কাশি ফ্লু গলা ব্যথা বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ এর বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। এছাড়াও আদার এন্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে ঠান্ডা লাগা থেকে বিরত রাখে। তাই নিয়মিত ভাবে গরম পানির সাথে আদায় খেতে পারেন।
আদা খেলে পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, পেটে গ্যাস হয় না, পেট ফাঁপা দেয় না। এই ধরনের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। যদি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে নিয়মিত ভাবে আদা জল খাবেন। এতে আপনার অনেক উপকার হবে।
আদা খেলে হার্ট ভালো থাকে এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে যে যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা নিয়মিত ভাবে আদা খেলে তাদের উচ্চ রক্তচাপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরও গবেষণায় দেখা গেছে যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে তারা যদি নিয়মিতভাবে গরম পানির সাথে আদা খেতে পারেন। আদা এর মধ্যে যে আনটি ইনফ্লামেটরি উপাদান আছে তার কারণে হাঁপানি অনেকটা কমে যাবে। তাই আদা সাধারণত গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে সবচাইতে ভালো কাজ করে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।
আদা খাওয়ার নিয়ম
এতক্ষণ আমরা জেনেছি গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে, এখন জানবো আদা কিভাবে খেতে হয় এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
আদা বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে বিশেষ করে আদা, চায়ের সাথে খেতে পছন্দ করি। এতে চিনি যারা খায় তাদের উপকার একটু কম হয় চিনি ছাড়া যদি খাওয়া যায় তাহলে আরো বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। এতে খুশখুসে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং অনেকটাই আরাম লাগে।
এক কাপ পানি নিবেন এবং আদা ছোট ছোট করে কেটে নেবেন এরপর এই পানির মধ্যে দিয়ে পানি ফুটিয়ে চা বানিয়ে খাবেন।
কাঁচা আদা সুন্দর করে ব্লেন্ডার করে রস বানিয়ে পানির সাথে হালকা মধু দিয়েও খেতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাবেন, তবে গরম পানির সাথে খেলে আরো ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
আদা এবং রসুন একসাথে ব্লেন্ডার করে বা বেটে রস বানিয়ে রান্না করে খেতে পারেন বিভিন্ন তরকারির সাথে, এতে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
আদা কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে মধুর সাথে মিক্সড করে খেলে সর্দি কাশি ঠান্ডা ইত্যাদি সেরে যায়। কাঁচা আদা এর সাথে আচার বানিয়ে খেতে পারেন।
আবার অনেকে চিবিয়ে খেতে পছন্দ করে, এতে পাতলা করে কেটে চিবিয়ে খেলে রস গুলো ভিতরে চলে যাবে। তবে আদা খাওয়ার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই । সেই ক্ষেত্রে আপনি রান্না করেও খেতে পারেন, রান্নার সময় মসলা হিসেবে দিতে পারেন।
এছাড়াও এমনিও খেতে পারেন, চায়ের সাথে আদা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায় ইত্যাদি। আপনারা যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে খেলেই উপকার পাবেন।
কাঁচা আদা খাওয়ার উপকারিতা
শুকনা আদা, এমনি খাওয়া যায় না সেই ক্ষেত্রে কাঁচা আদা খেলে ভালো উপকার পাবেন। তাই কাঁচা আদা খাওয়ার উপকারিতা ও গুনাগুন রয়েছে। নিম্নে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো,
আদা সাধারণত আমরা রান্নার ক্ষেত্রেই ব্যবহার করে থাকি বেশি। তাছাড়া চায়ের সাথেও আদা বেশ কার্যকারিতা রয়েছে। অনেকেই পছন্দ করে থাকে তবে কাচা আদাও খাওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাওয়া যায় তাহলে কিভাবে কাচা আদা খাওয়া যায়, সে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
আপনি যদি কাচা আদা এমনি চিবিয়ে খেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে সর্দি কাশি এর ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাবেন। এক টুকরো কাচা আদা খাওয়ার পরে যদি আপনি হালকা গরম পানি খান তাহলে সে ক্ষেত্রে গলা ব্যথা অনেকটা সেরে যাবে।
কারো যদি বমি বমি লাগে সেই ক্ষেত্রে অল্প করে কাঁচা আদা পাতলা করে কেটে হালকা লবণ দিয়ে খেতে পারেন। এতে বমি ভাব দূর হয়ে যাবে এবং যাদের বাতের ব্যথা সমস্যা রয়েছে তারাও কাঁচা আদা খেলে অনেক উপকার পাবেন।
কাঁচা আদা খেলে শরীরে রোগব্যাধি সংক্রমণ প্রতিহত করে। তাছাড়া যাদের দাঁতের সমস্যা রয়েছে এবং জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়,দাঁতকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারাও কাঁচা আদা খেতে পারেন অথবা রস খেতে পারেন।
খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা
গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার উপকারিতা গুণ বেশি। তবে যাদের খালি পেটে খেলে সমস্যা হয় না তারা আদা খালি পেটে খেতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাবেন, কেননা এতে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয় এবং আমাদের শরীরের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকতে পারে।
পেটের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা যদি সকালবেলা খালি পেটে আদা খায় তাহলে সে ক্ষেত্রে সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়া অনেকেই ক্রনিকডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে থাকে, তাহলে ক্ষেত্রে খালি পেটে আদা খেতে পারেন। তাই খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে।
এই আদা সাধারণত কোলেস্টরলকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং রক্তনালীর রক্ত চলাচলকে দ্রুত করে। এজন্য হার্টের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা অনেকটাই সুস্থতা বোধ করে। তাদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে, এছাড়া কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আদা খেতে পারেন। তবে আদা এই কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
যাদের পেটে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস রয়েছে এবং এসিডিটি রয়েছে, তারা নিয়মিতভাবে আদা খেলে এই এসিডিটি এবং গ্যাস অনেক কমে যাবে। আপনি একবার এই আদা খেয়ে দেখুন সাথে সাথে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। আপনার গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ আর খেতে হবে না। তবে এটা নিয়মিত ভাবে খেলে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।
কেননা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ নিয়মিত যদি কেউ খায় তাহলে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি লিভার কিডনির মত অঙ্গকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ আজ থেকে বাদ দিয়ে আপনি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে আদা খেতে পারেন। এজন্য প্রতিদিন সকালবেলা চেষ্টা করবেন গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার।
আপনি যেভাবে আদা খেতে পছন্দ করেন সেভাবেই খেতে পারেন। তবে সাধারণত আদা টুকরো টুকরো করে কেটে পানি দিয়ে সুন্দর করে পরিষ্কার করে এক গ্লাস পানির ভিতরে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এরপরে সুন্দর করে ছেকে নিয়ে পানিটুকু খেতে পারেন, তাহলে অনেক ভালো উপকার পাবেন।
আদা খাওয়ার অপকারিতা
আদা খেলে উপকারিতা রয়েছে তবে কিছু ক্ষেত্রে আদা খাওয়ার অপকারিতা আছে। তাই কোন কোন ক্ষেত্রে আদা খেলে ক্ষতি হতে পারে, নিম্নে সে বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
রক্ত ক্ষরণের ঝুঁকিঃ আদার মধ্যে থাকে এন্টিপ্লেটলেট যা অতিরিক্ত খেলে রক্তক্ষরণের সমস্যা হতে পারে। তাই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না, এতে আপনার সমস্যা হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে নিয়ম মতে আদা খাবেন।
ডায়রিয়ার হতে পারেঃ যাদের পেটের সমস্যা আছে তারা যদি অতিরিক্ত আদা খেয়ে ফেলে এবং অনিয়ম মেনে খায় তাহলে সে ক্ষেত্রে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আদা অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এজন্য আপনি রান্নার ক্ষেত্রে পরিমাণ মতো আদা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
সরাসরি আদা খেলে যদি আপনার পেটের সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে না খাওয়াই ভালো চেষ্টা করবেন। তাই গরম পানির সাথে আদা খেতে পারেন।
হার্টের সমস্যাঃ যাদের আগে থেকেই হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা যদি অতিরিক্ত আদা খেয়ে ফেলে তাহলে সে ক্ষেত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এতে হৃদযন্ত্রের গতি বৃদ্ধি পাবে এবং স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
তাছাড়া চোখে ঝাপসা দেখা, দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলা, অনিদ্র হওয়া এই ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। এর কারণে রক্তচাপ ওঠা নামা করতে পারে। যার কারণে হৃদরোগের সমস্যা হতে পারে। এজন্য হৃদরোগকে ভালো রাখার জন্য অবশ্যই আপনি আদা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন।
ত্বকের সমস্যাঃ যাদের ত্বকে বাইরের ধুলোবালি বা রোদকে সহ্য হয় না। তাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় খাদ্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে এতে অতিরিক্ত আদা খেলে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাছাড়া হঠাৎ করে ঠোঁট ফুলে যেতে পারে, গলা অস্বস্তিকর সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। যাদের ত্বকে এলার্জি সমস্যা আছে, তারা অতিরিক্ত আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
আদা কতটুকু খাওয়া প্রয়োজনঃ তাহলে এবার আসুন আদা কতটুকু খাওয়া যায় তা জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন আপনি ১.৫ মিলিগ্রাম এর মত আদা খেতে পারেন। এর বেশি খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। আবার গর্বঅবস্থায় অতিরিক্ত আদা খেলে মিসক্যারেজের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আদা চায়ের উপকারিতা
যাদের ঘন ঘন ঠান্ডা আকাশে কাশি লেগেই থাকে তারা আদা চা খেতে পারেন। এতে আদা চায়ের উপকারিতা রয়েছে, নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
আমরা সবাই কমবেশি চা খেতে পছন্দ করি বিশেষ করে রং চায়ের সাথে এক টুকরো আদা দিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আদা গুলো ছোট ছোট করে টুকরো করে যদি আপনি চায়ের সাথে খেতে পারেন। এতে আপনার চায়ের নেশা ও তার চাহিদা ও পূরণ হয়ে গেল এবং সাথে আদার গুণ পেয়ে গেলেন।
অনেক যুগ আগে থেকেই এই আদা চা ছোট থেকে বড় পর্যন্ত অনেকেই খেয়ে থাকে। তাই এটি একটি প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান হিসেবে আমাদের শরীরের কাজ করে থাকে। কেননা এর মাঝে যে পুষ্টিগুণ আছে, তা ব্যাকটেরিয়া রোধ করতে পারে এবং ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারে। এর মধ্যে ঔষধি গুণ রয়েছে যেমন ভিটামিন এ, সি, ই এবং বি কমপ্লেক্স যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার।
যারা চা খেতে পছন্দ করেন না তারা সাধারণত আদা জল খেতে পারেন। তাই এই ক্ষেত্রে আদা গুলো ছোট ছোট করে নিয়ে এক গ্লাস পানি মধ্যে মিশিয়ে পানিটা হালকা গরম করে খেলে অনেক উপকারিতা পাবেন। কারণ আদা খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগণ সবচেয়ে বেশি, যা আমাদের শরীরে ভালো কাজ করে থাকে।
তাছাড়া আদার মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস আয়রন জিং ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি ইত্যাদি যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। আর আমাদের হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, লিভার পরিষ্কার করে অ্যাজমা ও হাঁপানি রোগীদের জন্য ভালো কাজ করে থাকে।
তাই নিয়মিতভাবে একটা আদা চা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, তবে মনে রাখবেন যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে। তারা আদা চায়ের সাথে কখনোই চিনি খাবেন না। এটা কিন্তু সুগার লেভেল বেড়ে যাবে। যাদের প্রেসারের সমস্যা রয়েছে তারাও এই আদা চা এর সাথে চিনি খাবেন না।
ওজন এবং রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করেঃ গবেষণায় দেখা গেছে যে শরীরের যাদের মেদ পড়ে গেছে এদের ক্ষেত্রে আদা চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। এই চা খেলে সাধারণত দেহের ফ্যাট দ্রুত ভেঙ্গে ফেলতে পারে এবং শরীরে নতুন করে ফ্যাট জমতে দেয় না। এজন্য ওজন কমতে থাকে তাই আপনার নিত্যদিনের সঙ্গে হিসাবে আদা চা খেতে পারেন।
যাদের টাইফ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয়েছেন তারা নিয়মিতভাবে আদা চা খেতে পারেন। তবে চিনি ছাড়া খেতে হবে, কেননা এতে আপনার ইন্সুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি সুগার লেভেল কমিয়ে নিয়ে আসবে। গবেষণায় দেখা গেছে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগীরা তিন মাস নিয়মিত ভাবে চিনি ছাড়া আদা চা খাওয়ার কারণে তাদের সুগার লেভেল অনেক নিয়ন্ত্রণে এসেছিল।
ব্যথা দূর করেঃ যাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা করে তারা নিয়মিতভাবে আদা চা খেতে পারেন। বিশেষ করে মহিলাদের এই রোগের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই গবেষণায় দেখা গেছে যে আদা চা খেলে শরীরের ব্যথা অনেকটাই কমে যায়। সে ক্ষেত্রে আপনি আদা চায়ের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন এটা আরো অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারেঃ ক্যান্সারের রোগী সবচাইতে বেশি কষ্টে থাকে, তাই ক্যান্সার প্রতিরোধ করা আমাদের খুবই দরকার এজন্য চিনি ছাড়া আদা চা খেলে ক্যান্সার প্রতিরো ধ করতে পারবে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে আদার মধ্যে জিংগেরল ও শ্যাগল নামক যে দুটি উপাদান আছে তা ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। মৃত কোষগুলোকে বের করে দিতে পারে, তাই ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত ভাবে আপনি আদা চা খেতে পারেন।
ব্লাড প্রেসার কমাতে পারেঃ যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তারা চিনি ছাড়া দিনে এক থেকে দুই কাপ আদা চা খেতে পারেন। এটা আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকার হবে এবং উচ্চ রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কেননা আদা খেলে প্রেসার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্তের কোলেস্টেরল মাত্র নিয়ন্ত্রণ হয়।
তাছাড়া হার্টকে সুস্থ রাখে এবং হার্টের রোগ থেকেও বিরত রাখে। তবে আদা চা যদি খেতে না পারেন তাহলে গরম পানির সাথে আদা খেতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাবেন। তাই আপনি নিশ্চিন্তে এই আদা জল খেতে পারে।
উপসংহারঃ গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
পরিশেষে বলা যায় যে আদা একটি প্রাকৃতিক ঔষধি গুণ হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই এই প্রাকৃতিক চিকিৎসা যদি নিতে চান সে ক্ষেত্রে আদা নিয়মিত খেতে পারেন। কারণ যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারা নিয়মিতভাবে গরম পানির সাথে আদা খেতে পারেন। বিভিন্ন ভাবেই আদা খাওয়া যেতে পারে এবং আদা বিভিন্ন রোগ বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে পারে। তাই নিয়মিতভাবে আদা খেতে পারেন। আজকের পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url