গোল মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিয়ম সম্পর্কে জানুন
সাধারণত খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য গোলমরিচ ব্যবহার করা হয় কিন্তু গোল মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। চলুন, সাদা বা কালো গোল মরিচের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
মধু একটি প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে। পাশাপাশি এর সাথে যদি আপনি গোলমরিচ মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে অনেক উপকার পাবেন। তাই গোল মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃগোল মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিয়ম সম্পর্কে জানুন
কালো গোল মরিচের উপকারিতা
গোলমরিচ আমাদের শরীর অনেক উপকার করে থাকে, বিশেষ করে কালো গোল মরিচের উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে এ বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
অনেকেই ধূমপান করার কারণে শরীরের ভিতরে প্রচুর পরিমাণ নিকোটিন জড়ো হয়ে যায়। এতে স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়, তাই এই নেশা ছাড়ার জন্য আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্র্যাকটিস করতে হয়। আর এই এইজন্য কালো গোল মরিচ যদি আপনি নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন, তাহলে এই ধূমপান থেকে আপনি সহজেই বের হতে পারবেন।
তাছাড়া এই মসলাটি অনেক ধরনের উপকার করে থাকে। মশলাটি শুধুমাত্র রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে দেয় তা কিন্তু নয় এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর মাঝে আছে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ফলেট, বেটা ক্যারোটিন, ভিটামিন ই, কে এবং এ আছে। তাই এই গোল মরিচ খেলে আপনার শরীরে অনেক উপকার করবে।
বিশেষ করে সর্দি কাশি সারাতে এই গোলমরিচ অনেক উপকার করে থাকে। তবে বেশি খাওয়া যাবেনা এতে ক্ষতি হতে পারে। কারণ কালো গোল মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটি রয়েছে। তাই সাবধানে সতর্কতার সাথে এটা খাবেন।
এই কালো গোলমরিচ ওজন কমাতে সাহায্য করে, এজন্য এ গোলমরিচ সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন। যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকার, গোলমরিচ হজম এর ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। কেননা এটা পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড এর ক্ষরণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
আপনার শরীরে হাইড্রোক্লোরিক এসিড যদি বেশি থাকে তাহলে খাদ্য হজম করবে তাড়াতাড়ি। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া এই ধরনের সমস্যা সমাধান করে থাকে। তাই খাদ্য হজমের ক্ষেত্রে হলে এর কারণে অনেক ধরনের রোগ ব্যাধি বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই এটা দূর করতে হলে আপনাকে নিয়মিত কালো গোলমরিচ খেতে পারেন।
কালো গোল মরিচ সাদা গোল মরিচের মতই অনেক উপকার করে থাকে, বিশেষ করে ধূমপানের আসক্তকে কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে। তাছাড়া দাঁতের ক্ষয় বা দাঁতের ব্যথা হলে এ গোল মরিচ মুখে দিয়ে রাখলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
তাছাড়া দাঁতের রোগ ব্যাধি থেকে দাঁতের ব্যথা থেকে অনেকটাই রক্ষা করতে পারে। অনেকের নাক বন্ধ হয়ে যায়, হাঁপানির মত শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এই ক্ষেত্রে এক কাপ ফুটন্ত গরম পানির মাঝে এক চামচ গোল মরিচ গুড়া যদি খেতে পারেন। তাহলে এ ধরনের শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন এর সাথে গলা ব্যথা সেরে যাবে।
শীতকালে অনেকের বিভিন্ন ধরনের রোগ সংক্রমণ করতে পারে। আর এই ধরনের সংক্রমণের কারণে ঠান্ডা লেগে থাকে। এজন্য তুলসী পাতার সাথে যদি আপনি গোলমরিচ মিশিয়ে পানি ফুটিয়ে নিতে পারেন। তাহলে এই ধরনের ঠান্ডা কাশি থেকে মুক্তি পাবেন।
কেননা এর মাঝে ভিটামিন সি আছে যা ঠান্ডা কাশি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনার শরীরকে শক্তিশালী করতে পারবে। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
গোল মরিচের অপকারিতা
গোল মরিচের উপকারিতা অনেক আছে, তবে গোল মরিচের অপকারিতা রয়েছে। নিম্নে অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
এ মসলাটি সাধারণত অনেক উপকার করে থাকে, তবে হালকা কিছু ক্ষতিও রয়েছে। কিভাবে খেলে ক্ষতি হতে পারে তাহল; গরমকালে সাধারণত গোলমরিচ অতিরিক্ত খেলে নাক দিয়ে রক্তপাতের মত সমস্যা হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় গোলমরিচ খেলে সমস্যা হতে পারে, যারা আগে থেকেই এলার্জির সমস্যায় ভুগতে থাকে তারা যদি গোলমরিচ খান তাহলে সে ক্ষেত্রে ত্বকের চুলকানি এবং লাল ভাব এর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে সতর্কতা থাকবেন। কেননা অতিরিক্ত খেলে ক্ষতি হতে পারে, কারণ গোল মরিচের অপকারিতা রয়েছে।
কালো গোল মরিচ অনেকটাই গন্ধ হয়ে থাকে, যা শ্বাসকষ্ট সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য গোলমরিচ গরমের সময় গোলমরিচ অতিরিক্ত খেলে পেটে জ্বালা পোড়া হতে পারে।
যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারা যদি গোলমরিচ অতিরিক্ত খেয়ে ফেলে তাহলে পেটের অস্বস্তিকার অবস্থা হতে পারে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। তবে চেষ্টা করবেন গোল মরিচ টাটকা খাওয়ার জন্য কেননা এতে সফলতা ভালো পাবেন।
আর যদি অতিরিক্ত খান তাহলে অবশ্যই ক্ষতি হবে এজন্য সঠিক পরিমাণে এই গোলমরিচ খাবেন তাহলে সফলতা পাবেন। তবে যদি আপনি নিয়ন্ত্রক ভাবে খেতে পারেন তাহলে এটার উপকারিতা সবচাইতে বেশি পাওয়া যায়।
মধু ও গোলমরিচ
গোল মরিচের সাথে যদি আপনি মধু দিয়ে খেতে পারেন, তাহলে অনেক উপকার পাবেন। তাই মধু ও গোলমরিচ এর উপকারিতা সম্পর্কে নিম্ন আলোচনা করা হলো,
মাথা ব্যাথা এটি একটি সাধারণ বিষয় প্রত্যেক মানুষেরই এই মাথাব্যথা কমবেশি হয়ে থাকে। তাই মাথা ব্যাথা দূর করার জন্য আপনি একটি ঘরোয়া ব্যবস্থা করতে পারেন। তাহলো রসুন মধু ও গোলমরিচ একসাথে মিশ্রণ করে খেলে অনেক উপকার পাবেন।
আর এটা খাওয়ার কারণে আপনার মাথা ব্যথা কমে যাবে। মাথা ব্যথা দূর করার জন্য রসুন মধু ও গোলমরিচ অনেক উপকার করে থাকে। এটা ব্যবহারের নিয়ম মত খেতে হবে। মধুর সাথে অতিরিক্ত গোল মরিচ দেওয়া যাবে না, এতে ক্ষতি হতে পারে। কারণ গোল মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে।
একটি বড় রসুন নিতে পারেন, দুই চামচ গোল মরিচ এর গুড়া নিতে পারেন এবং এক কাপ মধু নিতে পারেন। যেভাবে তৈরি করবেন তা হলো, প্রথমত রসুন এর খোসাগুলো ছাড়িয়ে নিতে হবে এরপর কুয়া গুলো সুন্দর করে কুচি কুচি করে কেটে নেবেন।
তারপর একটি কাচের বোয়াম নিতে পারেন, এর মধ্যে রসুন গুলো রেখে দেন এবং এর মধ্যে মধু দিতে পারেন। তারপর গোলমরিচ দিয়ে বোয়ামের মুখটা ঢেকে দিবেন। এভাবে ৫ দিন রেখে দেওয়ার পরে, আপনি তিন চামচ করে নিয়মিত খেলে অনেক উপকার পাবেন। তবে বড় ধরনের রোগব্যাধি থাকলে সমস্যা হতে পারে তাই সতর্কতার সাথে খেতে হবে।
গোল মরিচ খাওয়ার নিয়ম
ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি গোল মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এখন জানবো এর নিয়ম সম্পর্কে। তাই এর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিত আলোচনা কর।
যারা ঠান্ডা কাশিতে ভুগতে থাকেন এবং ঘন ঘন হাঁচি হয় তারা যদি কয়েকটা গোল মরিচ চিবিয়ে খেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে গোল মরিচ খাওয়ার নিয়ম হলো, হালকা পানি দিয়ে মিক্স করে এই গোলমরিচের গুড়া মিশিয়ে খেলে আরো বেশি উপকারিতা পাবেন।
শরীরের শক্তি এবং কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। শরীরে এনার্জি পাবেন এবং শরীরের পানির খাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। তবে অতিরিক্ত খাবেন না, এতে অনেকের অসুবিধা হতে পারে।
সাদা গোল মরিচের উপকারিতা
গোলমরিচ দুই রকমের হয়ে থাকে তার মাঝে জনপ্রিয় সাদা গোলমরিচ, তাই সাদা গোল মরিচের উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
অনেক মানুষ সাদা গোল মরিচ অনেক আগে থেকেই ব্যবহার করে থাকে। যদি এই মসলা তেমন একটা কেউ গুরুত্ব দেয় না কিন্তু এর উপকারিতা অনেক। সাদা এবং কালো গোল মরিচ এর ভিন্নতা রয়েছে উপকারিতাও ভিন্নতা আছে, তা আলোচনা করা হলো।
ওজন কমায়ঃ ওজন কমানোর জন্য অনেকেই অনেক বিভিন্ন ওষুধ খেয়ে থাকেন। তাই ওজন কমানোর জন্য যত ওষুধ তৈরি করা হয়ে থাকে তার মধ্যে থাকে ক্যাপসাইসিন। শরীরে ফ্যাট জমে গেলে তা ফ্যাট বার্ন করতে পারে, যার কারণে ওজন কমে। সাদা গোলমরিচ এর মধ্যে আছে ক্যাপসাইসিন যা খেলে ওজন কমতে থাকে, তবে এটা অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
আর্থাইটিস এর সমস্যা কমায়ঃ আর্থারাইটিসের কারণে শরীরে ব্যথা এবং পেশি ফুলে যেতে পারে। আর এই পেশি ব্যথা এবং ফুলে যাওয়া কমানোর জন্য আপনি সাদা গোল মরিচ খেতে পারেন। কারণ এর মাঝে থাকে ক্যাপসাইসিন যা প্রদাহ রোধ করতে পারে। তাই আপনি এটা নিয়মিত খেতে পারেন।
মাথাব্যথা দূর করেঃ অনেকের সার্বক্ষণিক মাথা ব্যথা করতে থাকে আর এই মাথা ব্যাথা দূর করার জন্য আপনি প্রাকৃতিক এই সাদা গোলমরিচ খেতে পারেন। মাথা ব্যথা সাধারণত নিউরোপেপটাইড এই ব্যথা তৈরি করতে পারে, যা মস্তিষ্কে পৌঁছে দেয়। তাই সাদা গোলমরিচ যদি আপনি খেতে থাকেন। তাহলে এর মাঝে যে উপাদান গুলো রয়েছে সেটা যে কোন ব্যথা দূর করতে পারে। বিশেষ করে মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যাবে।
খুসখুসে কাশি দূর করেঃ যাদের খুশখুসে কাশি হয়ে থাকে, এটার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে সাদা গোলমরিচ। তাই খুসখুসে কাশির সাথে অনেকের গলা ব্যথা করতে থাকে আর এই ধরনের সমস্যা সমাধান করার জন্য সাদা গোলমরিচের গুড়া তার সাথে মধু মিক্স করে খেতে পারেন। এই দুইটা উপাদান যদি আপনি একসাথে খেতে পারেন।
তাহলে এন্টিবায়োটিক ও তাপ উৎপাদনকারী হিসেবে কাজ করবে। এটা খাওয়ার ফলে আপনার সহজে ঠান্ডা সমস্যা সেরে যাবে, তবে একেবারে খুব অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ সাদা গোল মরিচ ব্যথা দূর করার পাশাপাশি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। কেননা এর মধ্যে আছে ফ্লাভনয়েড ভিটামিন এ ও সি যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাছাড়া যারা এই উচ্চ রক্তচাপে সমস্যায় ভুগতেছেন তারা প্রতিদিন আপনার খাদ্যের সাথে এই সাদা গোলমরিচ রাখতে পারেন।
দাঁতের ব্যথা কমায়ঃ অনেকের দাঁতে ব্যথা করে এটা খুবই কষ্টদায়ক বিষয় এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন। যা অনেক ক্ষতি হতে পারে তাই প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে আপনি লবঙ্গর সাথে সাদা গোলমরিচ খেতে পারেন।
এটা খাওয়ার নিয়ম হল এক কাপ পানি হালকা গরম করে নিয়ে এর মধ্যে লবঙ্গ সাদা গোলমরিচ দিয়ে হালকা গরম করে নেয়ার পর মুখের যে পাশে দাঁতের সমস্যা রয়েছে বা ব্যথা করে সেখানে কিছুক্ষণ পানি রেখে দেবেন। এভাবে হালকা কুল কচি করতে থাকবেন এতে আপনার দাঁতের ব্যথা কমে যাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কারণে সাধারণত খাদ্য হজমের দায়ী থাকে, তাই আপনি খাদ্য হজম করতে হলে পেটের মাঝে হাইড্রোক্লোরিক এসিড বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে গোল মরিচ এর মধ্যে যে উপাদান আছে তা খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে।
আপনার খাদ্য হজম অতি সহজে হয়ে থাকে, আমরা পেটের এসিডিটি বেড়ে গেলে সাধারণত গ্যাস্টিকের ওষুধ খেয়ে থাকি, কেউ যদি দীর্ঘদিন যাবত এই ওষুধ খায় তাহলে তার পেটের এসিডটা কমে যায় এর কারণে খাদ্য হজম সমস্যা দেখা যায়।
গোলমরিচ চুলের উপকারিতা
গোলমরিচ সাধারণত আমরা মসলা হিসেবে খেয়ে থাকি, তবে গোলমরিচ চুলের উপকারিতা রয়েছে। যদি আপনি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে চুলের ক্ষেত্রে উপকারিতা পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
গোলমরিচের মধ্যে যে উপাদানটি থাকে আমাদের চুলকে সুন্দর ঝলমল করে এবং উজ্জ্বল করে। তাই আপনি এটা ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এই গোলমরিচের মধ্যে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ফলিক এসিড, পটাশিয়াম ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান আছে। বিশেষ করে এই গোলমরিচের ব্যবহার করার কারণে খুশকি ও চুলের বৃদ্ধি ক্ষেত্রে গোলমরিচ চুলের উপকারিতা করে থাকে।
গোলমরিচের মধ্যে থাকে এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা মাথার ত্বকের ক্ষেত্রে ত্বকের সংক্রমনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে পারে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। তাছাড়া গোলমরিচের মধ্যে ভিটামিন সি থাকার কারণে চুল পড়া এবং চুল পাতলা হওয়া রোধ করতে পারে।
মানুষ চুলের বৃদ্ধির জন্য অনেক কিছুই ব্যবহার করে থাকে, এটা নিয়ে অনেক টেনশন এবং চিন্তিত থাকে। এর মূল কারণ হলো পুষ্টির অভাব থাকার কারণে চুলের এই ধরনের সমস্যা হয়। সঠিক যত্ন না নেওয়ার কারণে চুল পড়ে যায় এবং চুল বৃদ্ধি পায় না।
এছাড়া অনেক সময় অনেকের মাথার স্কাল্পে ধুলোবালি ময়লা বা তেল জমে থাকার কারণে চুলের ফলিকল বন্ধ হতে পারে এবং চুলের বৃদ্ধি হয় না। তাই সে ক্ষেত্রে এটাকে দূর করার জন্য আপনি গোলমরিচের সাথে অলিভ অয়েল তেল মিশ করে সপ্তাহে দুইবার আপনার মাথার স্কাল্পে ব্যবহার করতে পারেন, এতে আপনার এ ধরনের সমস্যার সমাধান হবে।
যারা খুশকি সমস্যায় ভুগছেন তারা সারা বছর এই খুশকি যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা সাধারণত গোলমরিচ ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য গোলমরিচ গুলো সুন্দর করে বেটে নিবেন এর সাথে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালো করে লাগাতে পারেন, এতে লাগানোর ২০ মিনিট রেখে দেওয়ার পর চুল সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিবেন, দেখবেন অনেক উপকার পাবেন।
অনেকের বয়স হওয়ার আগেই চুল পেকে যায়, তারা যদি নিয়মিত গোলমরিচের তেল ব্যবহার করে তাহলে এই চুল পাকা বন্ধ হবে। তবে এর সাথে মেথি বীজ, গোল মরিচ, কারিপাতা ও নারিকেল তেল দিয়ে সুন্দর করে মিক্স করে নিয়ে এটা ব্যবহার করলে আপনার এই ধরনের সমস্যা সমাধান পাবেন।
যেভাবে আপনি এটা তৈরি করবেন; অল্প পরিমাণ গোল মরিচের গুঁড়া নিতে পারেন এবং এর সাথে এক চামচ কোকোনাট অয়েল নিবেন এরপরে গোলমরিচের গুঁড়া নিয়ে এই মিশ্রণটি দুই ঘন্টা রেখে দেবেন। যখন এটা মিক্সড হয়ে যাবে তখন নারিকেলের তেলের সাথে ভালো করে মিশে ব্যবহার করতে পারেন।
তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ক্ষতি হতে পারে। তবে এই তেলটা শুধু মাথার স্কাল্পে ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাওয়া যায় এবং স্কাল্পে সুন্দর করে আঙ্গুল দিয়ে ম্যাসাজ করে নিতে হবে।
তারপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজে সেটা চিপে নিয়ে মাথায় পেচিয়ে রাখবেন, এরপর যখন মিশে যাবে তখন পানিতে পরিষ্কার করে নেবেন তাহলে এটা তোয়াল ৩০ মিনিট রাখার পর খুলে ফেলবেন। তবে মাথায় তেলটা যেন এক ঘণ্টার মতো থাকে এভাবে রেখে দিবেন।
এক ঘন্টা পরে সিলিকন ফ্রি শ্যাম্পু দিয়ে খুব সুন্দর করে মাথা পরিষ্কার করে নেবেন। এভাবে যদি আপনি ট্রিটমেন্ট করতে থাকেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। বিশেষ করে প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এভাবে আপনার মাথার স্কাল্পে ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
তবে হালকা একটু জ্বালাপোড়া হতে পারে সে ক্ষেত্রে ভয় পাবেন না, হয়তো একটু পরেই এটা সেরে যাবে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না। কেননা এর কারণে ক্ষতি হতে পারে।
উপসংহারঃ গোল মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিয়ম সম্পর্কে জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে গোলমরিচ শরীরে অনেক ক্ষেত্রেই উপকার করে থাকে, বিশেষ করে ব্যথা জাতীয় সমস্যা কে দূর করতে পারে। এ ছাড়াও আরো অনেক ধরনের উপকার করে। তবে গোল মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। তাই এটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। আজকের পোস্টটা পড়ে ভালো লাগে, আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url