জাম বা জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
জাম খেতে অনেকেই পছন্দ করে তবে জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেনা কিন্তু এই জামের বিচির গুঁড়া উপকারিতা আছে। চলুন, জামের বিচি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
জাম অত্যন্ত একটি রসালো ফল যা সবাই খেতে পছন্দ করে, এতে প্রচুর পুষ্টি ও ভিটামিন রয়েছে। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই জাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃজাম বা জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম
জাম খেয়ে জামের বিচি ফেলে দেবেন না, কেননা এর উপকারিতা রয়েছে। তাই জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খেলে উপকার পাবেন। নিম্নে এ বিষয়ে বর্ণনা করা হলো,
জামের বিচির গুড়া খাওয়ার আগে কিভাবে গুড়া করবেন, সেটা জেনে নেওয়া উচিত। তা হল প্রথমত জাম পরিষ্কার করে নিবেন পর পাত্রের মধ্যে রেখে দিবেন। তারপর বিচি ছাড়িয়ে নিবেন, একটি কাঁচের বয়ামে রাখবেন। বীজগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন যাতে করে এর গায়ে শাঁস না থাকে। পরিষ্কার কাপড়ের উপর বীজগুলো ছড়িয়ে দিবেন, দুই থেকে তিন দিন রোদে শুকাবেন।
শুকানো হয়ে গেলে বাইরের খোসা গুলো ছাড়িয়ে নিবেন, তারপর ভিতরে যে সবুজ অংশ আছে সেটা বের করে নিবেন। সবুজ অংশটি আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিবেন এটা ভেঙে যাবে, এভাবে সবগুলো ভেঙে দিবেন এবং রোদ্রে শুকাতে দিবেন। তারপর শুকানো বীজগুলো ভালো করে গুড়া করে নিতে হবে। এরপর গুড়া করা হয়ে গেলে চালনি দিয়ে ছেঁকে নিবেন। তারপর এই বীজ এর গুড়া গুলো একটি নিরোধক কাচের মধ্যে রেখে দিবেন তারপরে প্রয়োজনমতো খেতে পারেন।
জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম হলো আপনি প্রতিদিন সকালবেলা এক গ্লাস পানির সাথে এক চামচ পরিমাণ জামের বিচির গুঁড়ো মিক্সড করে খেতে পারেন। এতে আপনার ব্লাড সুগার অনেকটা কমিয়ে নিয়ে আসবে। তাছাড়া এভাবে আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন, এক সপ্তাহ খেলে আপনি উপকার দেখতে পাবেন।
এছাড়াও এই জামের বিচির গুঁড়ো আরো বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। যদি আপনি পানি দিয়ে মিক্স করে খেতে না পারেন সে ক্ষেত্রে এর মাঝে অল্প একটু মধু দিয়ে খেতে পারেন। এটা আরো অনেক উপকার পাওয়া যেতে পারে। তবে জামে বিচির গুড়ো অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা এবং গর্ভবতী, স্তন্যদানকারী মহিলাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
জামের বিচি খাওয়ার উপকারিতা
জাম খেতে সবাই পছন্দ করে তাই জাম খাওয়ার পাশাপাশি জামের বিচিও খেতে পারেন। কারণ জামের বিচি খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃ আপনি যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান সে ক্ষেত্রে জামের বীজ খেতে পারেন। এজন্য বীজ গুলা গুড়া করে নিবেন। প্রতিদিন সকালবেলা একগ্লাস পানিতে এক চামচ জামের বিচির গুড়া মিক্স করে খেতে পারেন। এভাবে কয়েকদিন খেলে আপনার রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ হবে। কেননা এটি ইন্সুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে পারে যে কারণে রক্তের শর্করার মাত্রা কমতে পারে।
পেট ভালো রাখেঃ যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বদহজম অ্যাসিডিটি ইত্যাদি হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে অনেক ওষুধ খেয়েছেন, কোন কার্যকারিতা পাননি যার ফলে ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লিভার, কিডনির সমস্যা হতে পারে। এজন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি জামের বিচির গুড়া নিতে পারেন।
এটা যদি আপনি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে সমস্যা দূর হবে। এই জন্য জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী হলো সকালবেলা এক গ্লাস পানির মধ্যে যাবে জামের বিচির গুড়া মিশিয়ে খেতে হবে। এটি খালি পেটে খেলে আরো ভালো উপকারিতা পাবেন।
উচ্চ রক্তচাপ দূর করেঃ যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় রয়েছে তাদের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে তাদের কিডনি, হার্ট চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর জন্য জামের বিচি খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে, তাই আপনি এটা নিয়মিত খেতে পারেন। তবে এর সাথে গুড়া মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়, কয়েকদিন খেয়ে দেখতে পারেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি বৃদ্ধি না পায় তাহলে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি আপনাকে সংক্রমণ করতে পারে। আর এই ধরনের সংক্রমণকে দূর করতে হলে বা ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ও ফাঙ্গাস এর মত জীবাণু কে দূর করতে হলে আপনি নিয়মিতভাবে জামের বিচির গুড়া খেতে পারেন। কারণ এটি খেলে অনেক উপকার পাবেন বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে থাকবে। তাই প্রতিদিন সকালবেলা জামের বিচির গুড়া পানির সাথে মিশে খেতে পারেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ যাদের বেশি ওজনের কারণে ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ কোলেস্টেরল সহ নানা ধরনের রোগ ব্যাধি হয়ে থাকে। এজন্য ওজন নিয়ন্ত্রকের মধ্যে আনতে হবে, তাই নিয়মিত যাবে পেয়েছি খেতে পারেন আপনার শরীরে কমে যাবে এবং ওজন কমতে থাকবে। তাই খেতে পারেন তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না এতে শরীরে ক্ষতি হবে।
জাম খাওয়ার উপকারিতা
জাম খাওয়া অনেকে পছন্দ করে তাই শরীরের জন্য ভালো কাজ করে থাকে। কারণ জাম খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
জামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ও লৌহ থাকে যা হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে এবং হাড় ক্ষয় দ্রুত কাজ করে। বয়স্ক লোকদের জন্য খুবই উপকার করে থাকে, তাই এই জাম নিয়মিত খেতে পারেন।
জামের মধ্যে এক ধরনের অ্যান্টি ম্যালেরিয়াল এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্ড ইনগেস্ট্রো এর মত অনেক এন্টি উপাদান থাকে যা শরীরের ক্ষতি করতে পারে, তাই এ সকল বিষাক্ত ইনফেকশন কে প্রতিরোধ করতে পারে।
এক ধরনের গবেষণায় দেখা গেছে যে জামের মধ্যে প্রটেক্টিভ উপাদান রয়েছে যা এটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। তাই ক্যান্সার হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত খেতে পারেন।
এই জামের মধ্যে ভিটামিন সি থাকে যা স্কিনের জন্য ভালো কাজ করে থাকে। বার্ধক্য জনিত সমস্যা দূর করে এবং চেহারা লাবণ্যময় হয় তাই এটি নিয়মিত খেতে পারেন। আবার এই জাম খাওয়ার পাশাপাশি বীজগুলো ফেলে না দিয়ে সেটি শুকিয়ে সুন্দর করে গুড়ো করে খেতে পারেন। তবে জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খাবেন তাহলে শরীরের উপকারিতা পাবেন।
জামের মধ্যে এক ধরনের অ্যালজেনিক এসিড বা এনথাসিয়াসিন এই ধরনের পুষ্টির উপাদান থাকার কারণে রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং এটি শক্তিশালী এন্টি এক্সিডেন্ট থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। তাছাড়া হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে পারে, তাই এটি নিয়মিত খেতে পারেন।
জামের মধ্যে পটাশিয়াম থাকার কারণে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এর ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারে। তাই আপনি নিয়মিত জাম খেতে পারেন কেননা জাম খাওয়ার উপকারিতা আছে।
গর্ভাবস্থায় জামের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে হয় তাই জাম খেতে পারেন। কেননা গর্ভাবস্থায় জামের উপকারিতা রয়েছে নিম্নে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
পুষ্টিগুণঃ জামের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে তবে কিভাবে খাবেন তারপর নির্ভর করে। এর মধ্যে ভিটামিন খনিজ এক্সিডেন্ট রয়েছে যা পুষ্টি উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে।
ভিটামিন সি গ্রহণঃ গর্ভাবস্থায় ভিটামিন সি এর প্রয়োজন হয় এজন্য ভিটামিন সি জাতীয় ফলগুলো খাবেন। তার মধ্যে স্বল্প মূল্যে পাওয়া যায় জাম, যার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এটি আপনি গ্রহণ করতে পারেন। এটা আপনার ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হবে, তাই গর্ভাবস্থায় জামের উপকারিতা রয়েছে।
ফাইবার রয়েছেঃ জামের মধ্যে এক ধরনের ফাইবার এর উৎস আছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তাই গর্ব অবস্থায় যদি আপনি নিয়মিত খেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
শক্তি বৃদ্ধিঃ জামের রসের মধ্যে যে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে তার দ্রুত আপনার শক্তি জগতের সাহায্য করবে এবং গর্ব অবস্থায় এই জাম খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাবেন। ক্লান্তি বন্ধুর হবে এবং শরীরের শক্তি পাবেন। তবে জাম খাওয়ার পাশাপাশি জামের বিচির গুড়া খেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ করতে খেতে হবে, এজন্য জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী পরিমাণ মতো খেতে পারেন, তাহলে কোন সমস্যা হবে না।
আন্টি এক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যঃ গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য জাম খেতে পারেন। এতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রতিরো ধ করতে পারে
মুখের ভিতরে সমস্যা দূরঃ অনেকের ভিটামিন এর অভাবে মুখে ঘা হয়ে থাকে বিশেষ করে গর্ভবতীদের এই সময়ে মুখে ঘা হয়ে থাকে বেশি। আপনি জাম খেতে পারেন কারণ এর মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে, জামের পাতা ঘা ও স্কার্ভি রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
জাম গাছের ছালের উপকারিতা
জাম খাওয়ার পাশাপাশি জাম গাছের ছাল খাওয়া ভালো, যা জাম গাছের ছালের উপকারিতা রয়েছে নিম্নে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ক্ষতস্থান দ্রুত সারায়ঃ আপনার শরীরের যদি কোথাও কেটে যায়, যার কারণে ক্ষত হয়ে যায় অথবা ঘা হতে পারে এজন্য আপনার এই ক্ষতস্থান শুকাচ্ছে না তার জন্য আপনি জাম গাছের ছাল গুড়ো করে ওই ঘা এর উপরে লাগিয়ে দিতে পারেন এতে তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
রক্ত পায়খানা সমস্যাঃ যাদের পায়খানার সাথে রক্ত আসে বিশেষ করে, তারা সকালবেলা জাম গাছের ছাল এইটা রস করে এক থেকে দুই চামচ ছাগলের দুধের সাথে মিক্স করে খেতে পারেন। এতে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে উপকার পাবেন কেননা জাম গাছের ছালের উপকারিতা রয়েছে।
দাঁতের মাড়ির ক্ষতঃ অনেকের দাঁতের মাড়ির ক্ষয় হয়ে যায় এবং আলগা হয়ে যায় রক্ত পড়ে এই ক্ষেত্রে জাম গাছের ছালের গুড়া দিয়ে দাঁত মাজতে পারেন। এটা আপনার অবশ্যই উপকার হবে তবে তাতে একটু ছোপ পড়তে পারে। এজন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন, এটা আপনার দাঁতের ক্ষয় রোধ দূর হয়ে যাবে।
বাচ্চাদের পেটের সমস্যাঃ ছোট বাচ্চাদের সাধারণত পেটের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে, এতে সারতে চায় না। এজন্য ৫ থেকে ৬ গ্রেইন মাত্রায় জাম গাছের ছাল নিতে পারেন এবং এটি গুড়া করে নিয়ে খাঁটি গাওয়া ঘি দিয়ে মিক্স করে খেতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাবেন তবে এর পাশাপাশি গুড়ায় খাওয়াতে পারেন জামের বিচির গুড়া খাওয়াতে পারেন।
তবে অতিরিক্ত খাওয়ানো যাবে না অতিরিক্ত খাওয়ানো যাবে না এতে আরো পেটের সমস্যা বেশি হতে পারে।
জাম পাতার উপকারিতা
জাম খাওয়ার পাশাপাশি এর পাতাও খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কেননা জাম পাতার উপকারিতা রয়েছে তাই নিম্নে এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কর।
সাদা বা রক্ত আমাশয়ঃ যাদের ঘনঘন আমাশায় হয়ে থাকে, তারা নিয়মিতভাবে জামের কচি পাতার রস বানিয়ে দুই থেকে তিন চামচ একটু গরম পানির মধ্যে ফুটিয়ে রেখে নিতে পারেন। তারপরে খাবেন এতে দুই তিন দিনের মধ্যেই উপকার পাবেন যদি ছাগলের দুধ দিয়ে খেতে পারেন আরো ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
পেটের সমস্যাঃ যারা পেটের সমস্যায় ভুগছেন এবং এর সাথে জ্বর আসে থাকে পেট ফাঁপা দিয়ে থাকে পেট ফুলে থাকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে। তারা এই জাম পাতার রস চামচ করে খেতে পারেন খেতে অনেক উপকার পাবেন।
শয্যামুত্রঃ যে সকল শিশুরা সাধারণত বিছানায় প্রসব করে এতে পিতা-মাতা অনেক সমস্যায় পরে যান এতে কি রক্ষা পাওয়ার জন্য এই জাম পাতার রস বয়স অনুযায়ী পরিমাণ মত খাওয়াতে পারেন কারণ জাম পাতার উপকারিতা রয়েছে।
বমি বমি ভাব দূর করেঃ যাদের পিত্ত বিকৃতিতে হওয়ার কারণে বমি হতে পারে এটা থেকে মুক্তি হওয়ার কারণ মুক্তি পেতে হলে দু-একটা কাঁচা জাম পাতা পানিতে সিদ্ধ করে ছেকে নিবেন এবং দশ ফোটা মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে বমি আর হবেনা।
রক্ত রোধেঃ হঠাৎ করে পা কেটে গেলে বা হাত কেটে গেলে ছিড়ে গেলে জামপাতার রস লাগিয়ে দিতে পারেন। এতে তাৎক্ষণিকভাবে রক্ত পড়া বন্ধ হবে তবে এটা সাবধানে কাজ করতে হবে তাহলে আবার ক্ষতি হতে পারে।
পচা গায়েঃ এই জাম পাতার সিদ্ধ করে এর পানি দিয়ে যেখান থেকে ঘা রয়েছে সেখানে ধুয়ে ফেলবেন দেখবেন দুই তিন দিনের মধ্যে উপকার পেয়ে যাবেন। এটা পশু পাখির ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারেন।
তাছাড়া জাম পাতা আরো অনেক উপকার করে থাকে, বিশেষ করে ত্বকের সমস্যা দূর করে আলসারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ত্বকের ফোলা ভাব ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে, মুখের যদি আলসার হয় সেটাও দূর করতে পারে জাম পাতার মধ্যে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল থাকার কারণে।
ত্বকের যে কোন সংক্রমণকে থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে জ্বরের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভালো উপকার পাওয়া যায়। এটা দীর্ঘদিন যাবতই প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে এই জাম পাতার চিকিৎসা দিয়ে জ্বর সারানো হজম প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে এবং অনেকদিন ধরে যারা পেটের সমস্যায় ভুগতে পারেন তারাও এটা খেতে পারেন। তাই জাম পাতার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে এজন্য আপনি উপরোক্ত নিয়মে ব্যবহার করতে পারেন।
উপসংহারঃ জাম বা জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে যান বা জামের বিচির গুড়া যদি আপনি খেতে পারেন, এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকার হবে। এর জন্য আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখবেন। কারণ এর মধ্যে অনেক উপকারিতা অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা আপনার বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে রক্ষা করবে। তাই যাবার বিচির গুড়া খেতে পারেন। তাহলে জামের বিচি গুড়া খাওয়ার উপকারিতা পাবেন। পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url