রূপচর্চায় বা চুলের যত্নে লবঙ্গ তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
সাধারণত অনেকে লবঙ্গকে মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকে কিন্তু ত্বকের বা চুলের যত্নের ক্ষেত্রে লবঙ্গ তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকে জানে না। চলুন, রূপচর্চায় লবঙ্গের ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
লবঙ্গ দিয়ে অনেক কিছুই করা যায়, তেমনি রূপচর্চার ক্ষেত্রে ব্যবহার করার পাশাপাশি চুলের সৌন্দর্যে লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। তাই লবঙ্গ দিয়ে চুলের যত্ন সম্পর্কে জানতে পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃরূপচর্চায় বা চুলের যত্নে লবঙ্গ তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
লবঙ্গের উপকারিতা
প্রত্যেকটা মসলার গুনাগুন রয়েছে তার মধ্যে লবঙ্গের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকে হয়তো জানে না, নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
প্রত্যেকটা মসলার আলাদা গুণ রয়েছে কোনটা শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারে আবার খাবারের মসলা হিসেবে স্বাদ ও ঘ্রাণ বৃদ্ধি করতে পারে। লবঙ্গে এমন একটি মসলা যা খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আরো অনেক উপকার করে থাকে।
আঁশ সমৃদ্ধঃ হজম শক্তি বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ যুক্ত খাবার খেতে হয়। মসলার মধ্যে লবঙ্গ এমন একটি উপাদান যা আঁশ তৈরি করতে পারে। এক চামচ লবঙ্গ ১ গ্রাম আঁশ উৎপাদন করতে পারে।
ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করেঃ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার বা খাবার খাওয়া যেমন জরুরী তেমনি লবঙ্গ খাওয়াটাও সমান কাজ করে থাকে। লবঙ্গ তেলের মাঝে আছে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করার মত উপাদান। তাই লবঙ্গ, তুলসী মাউথ ওয়াশ মুখের প্লাগ এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। তবে লবঙ্গ তেল বেশি ব্যবহার করা যাবে না, কেননা ক্ষতি হতে পারে। কারণ লবঙ্গ তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণঃ লবঙ্গ এর মধ্যে আছে খনিজ পদার্থ যা রক্তের শর্করা মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসে। লবঙ্গের মধ্যে ম্যাঙ্গানিজ খনিজ পদার্থ থাকার কারণে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই রান্নার ক্ষেত্রে দুটি লবঙ্গ প্রদান করে প্রয়োগ করে আপনি যদি রান্না করতে পারেন তাহলে সেটা অনেক উপকার দেবে।
দাঁতের ব্যথা কমায়ঃ যাদের দাঁতের ব্যথা সমস্যা রয়েছে তারা লবঙ্গ খেতে পারেন, কেননা এর মাঝে ব্যথা নাশক উপাদান আছে, ইজজেনাল নামক অ্যান্টিসেপটিক থাকার কারণে দাঁতের ব্যথা কমাতে পারে। তাছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে যে তীব্র ব্যথা ও ক্ষত সারাতে লবঙ্গ ভালো কার্যকারিতা রয়েছে।
প্রদাহ দূর করেঃ লবঙ্গের মধ্যে এমন একটি উপাদান আছে যা প্রদাহকে রোধ করতে পারে। এই লবঙ্গের তেল যদি আপনি লোশন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে আপনার প্রদাহ কমতে সাহায্য করবে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন।
পুষ্টিবিদগণ মনে করেন যে এর ভিতরে যে মাইটোকনড্রিয়াল কার্যকলাপ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কারণে মানুষের দীর্ঘায়ু ও সুস্থ থাকতে পারে। এজন্য ভাত বা মিষ্টান্ত খাবার খাওয়ার পূর্বে এক চিমটি লবঙ্গর গুঁড়া এর সাথে খেতে পারেন, এতে আপনার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ করবে।
কফ দূর করেঃ যাদের কফের সমস্যা রয়েছে তারা লবঙ্গ খেতে পারেন, এতে আপনার গলার ব্যথা এবং কফ দূর হয়ে যাবে। এজন্য লবঙ্গ না গিলে খেয়ে চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন অথবা চায়ের সাথে লবঙ্গ ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, এতে লবঙ্গের উপকারিতা রয়েছে।
ত্বকের সৌন্দর্যঃ লবঙ্গ তেল ব্যবহার করতে পারেন যেকোনো ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার উপাদান থাকার কারণে সকল ধরনের ব্যথা দূর হয়ে যাবে। তাই লবঙ্গ তেল ব্যবহার করতে পারেন।
লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক
লবঙ্গ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার করে কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহার করলে লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক রয়েছে। নিম্নের সম্পর্কে আলোচনা করা হলো,
যেকোনো বয়স এই লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে, তবে এটা পরিমাণ মতো খেতে হবে তা না হলে ক্ষতি হতে পারে। কারণ অতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। লবঙ্গ তেল ব্যবহারের কারণে অনেকের খিচুনি হতে পারে, লিভারের ক্ষতি হতে পারে এবং ভারসাম্যহীন হয়ে পড়তে পারে। এই ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকার কারণে এটা পরিমাণ মতো খাবেন। কারণ লবঙ্গ তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় রয়েছে।
লবঙ্গের মধ্যে ইউজিনাল থাকার কারণে রক্ত জমাট বাঁধতে দেরি হয়, এজন্য লবঙ্গ তেল যদি অতিরিক্ত খাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে রক্তপাত হওয়ার বেশি থাকে এবং রক্তপাত বৃদ্ধি পায়। রক্তের শর্করার মাত্রা কখনোই বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খেলে এটা বৃদ্ধি পেতে পারে তাই এই ধরনের যারা রোগী রয়েছেন তারা অতিরিক্ত সেবন করা থেকে বিরত থাকবেন কেননা অতিরিক্ত সেবন করলে লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক হলো হাইপার লাই সেন্সিয়ারগ্লইসেমিয়ার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আবার যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তারা লবঙ্গ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন, কারণ এতে আপনার শরীরের র্যাশ অথবা চুলকানি বেশি দেখা দিতে পারে, এরকম অবস্থায় যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে লবঙ্গ না খাওয়াই ভালো।
একজন সুস্থ শরীরের মানুষের জন্য প্রতিদিন দুটি লবঙ্গ খেলে তেমন একটি সমস্যা হবে না। তবে এর বেশি খাওয়া যাবে না, কারণ অতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে মাথা ঘোরাসহ বমি হতে পারে অথবা বমি বমি ভাব হতে পারে। এজন্য এর বেশি খাওয়া ঠিক হবে না।এমনকি লবঙ্গ তেলের ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। কারণ লবঙ্গ তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে।
লবঙ্গ চা এর উপকারিতা
অনেকেই লবঙ্গ চা পছন্দ করেন, কেননা লবঙ্গ চা এর উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা।
দুপুরবেলা কিংবা রাত্রে খাবারের পর যদি আপনি লবঙ্গ চা খেতে পারেন, তাহলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং হজমের ক্ষেত্রে এনজাইমের নিঃসরণকে উন্নত করতে পারবে। তাছাড়া বদহজম, পেটের ফাঁপা দেওয়া গ্যাস হওয়া ইত্যাদির সমস্যার সমাধান করবে।
যাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা থাকে এবং পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহ থাকে, তাছাড়া অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে হজমের সমস্যা হয় এ ধরনের সমস্যার সমাধান করতে হলে ভরা পেটে লবঙ্গ চা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা কারণ এটার ক্ষতি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে।
ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণঃ লবঙ্গ চা খেলে ইনসুলিন ব্যবস্থাপনায় ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। লবঙ্গ চা পান করার কারণে রক্ত প্রবাহ চিনির টেকসই মুক্তি দিতে পারে, যার কারণে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। তাই যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত ভরা পেটে লবঙ্গ চা খেতে পারেন, এতে লবঙ্গ চা এর উপকারিতা পাবেন।
খাবারের পর যদি লবঙ্গের চা খেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনার মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং ক্যাভিটি দূর করতে পারবে। লবঙ্গর মধ্যে আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া গুলোকে দমন করতে পারে। এর কারণে মুখের ভিতরে নিরাপদ থাকে বা সুরক্ষিত হয়।
লবঙ্গের মধ্যে এন্টি এক্সিডেন্ট থাকার কারণে শরীরের ভিতরে ফ্রি রেডিক্যালের উপস্থিতির হওয়ার কারণে অনেকটাই ক্ষতি কমে যায়। নিয়মিত চা খেলে শরীরের মধ্যে আন্টি এক্সিডেন্ট বৃদ্ধি পেতে পারে এবং আপনার শরীর সুস্থ রাখবে তাছাড়া দীর্ঘ দীর্ঘ স্থিত রোগের ক্ষেত্রে অনেক উপকার করে থাকে।
লবঙ্গ চা খাওয়ার পাশাপাশি আপনি লবঙ্গ তেল ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ত্বকে অথবা বিভিন্ন জায়গায় এতে অনেক উপকারিতা আছে, তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে না। তাহলে ক্ষতিও হতে পারে কারণ লবঙ্গ তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা আছে।
যেভাবে আপনি এক কাপ লবঙ্গ চা তৈরি করতে পারেন তা হল দু কাপ পানি নিবেন সেটা ফুটিয়ে নিয়ে নিলে ভালো হবে এরপরে এক চামচ লবঙ্গ দিতে পারেন। মিশ্রণটি ভালোভাবে নেরে ছুটি নেবেন, মিশ্রণটি সুন্দর করে ফোটানোর পর চা ছেঁকে নিতে হবে এরপর এর মধ্যে মধু দিতে পারেন। তারপরে খেতে পারেন তবে চিনি না মেশানের সবচাইতে ভালো হবে অনেক ক্ষতি হতে পারে।
লবঙ্গ তেল কি কি কাজে লাগে
লবঙ্গ তেল বিভিন্ন ধরনের কাজে লাগতে পারে, তাই লবঙ্গ তেল কি কি কাজে লাগে এ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো।
লবঙ্গ সাধারণত ব্যবহার করা হয় তিনটি উপায়ে স্বাস্থ্য লবঙ্গ পুরো লবঙ্গ গুঁড়ো এবং তেল হিসেবে সাধারণত ব্যবহার করা যায়, লবঙ্গ তেলও ব্যবহার করা যায় এ সকল উপাদান সাধারণত রান্নার সময় বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে দৈনন্দিন অন্য কাজে আমরা এটা ব্যবহার করতে পারি। লবঙ্গ তেল কি কি কাজে লাগে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
লবঙ্গ তেল আপনি ব্যবহার করতে পারেন যদি আপনার ত্বক সুস্থ থাকে, এতে ভালো হোক আর পাওয়া যায় এজন্য ঘুমানোর আগে তুলার সাহায্যে তেল টুকু নিয়ে মুখে লাগাতে পারেন ।এতে আপনার ত্বকের সুস্থতা দূর হয়ে যাবে এবং তক উজ্জ্বল কোমল হবে, তবে এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে না এতে ক্ষতি হতে পারে।
যারা মশার কামড়ের কারণে অতিষ্ট হয়ে গেছেন তারা আজ থেকে লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। এতে মশা দূর হয়ে যাবে, এর জন্য লেবু কেটে নিয়ে এর মধ্যে লবঙ্গ লাগিয়ে দিন এরপর মশা যেখানে রয়েছে সেখানে রেখে দিতে হবে। তাহলে দেখবেন মশা দূরে চলে যাবে।
চিনির কৌটার মধ্যে যদি আপনি লবঙ্গ রেখে দিতে পারেন, সে সেক্ষেত্রে চিনির মধ্যে পিঁপড়ে আসে না। তাই এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
যাদের ব্রণ এর সমস্যা রয়েছে তারা এক চামচ লবঙ্গের গুঁড়া নিয়ে এক চামচ মধু ও ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশ্রণ করে যদি মুখে ২০ মিনিটের মত রাখতে পারেন। এরপরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন এতে অনেক দ্রুতগতিতে আপনার ব্রণের সমস্যা দূর করতে পারবে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে না, এদের ক্ষতি হতে পারে।
যাদের মুখের দুর্গন্ধ আছে তারা যদি এই লবঙ্গ সবসময় মুখে নিয়ে রাখে তাহলে আর মুখের দুর্গন্ধ থাকবে না এবং যাদের চোখের ফোলা ভাব দেখা যায় সেই ক্ষেত্রে চোখের নিচে লবঙ্গে তেল লাগিয়ে দিতে পারেন। এটা আপনার চোখের ফোলা ভাব অনেকটাই কমে যাবে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে না।
কানে যে কোন সমস্যা থাকলে সে ক্ষেত্রে লবঙ্গের তেল কয়েক ফোঁটা কানের মধ্যে দিলে এটা অনেকটা ব্যথা কমে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। তাছাড়া একটি বোতলের মধ্যে লবঙ্গ ও পানি মিশিয়ে নিতে পারেন এরপর স্প্রে বানিয়ে প্রাকৃতিক ভাবে ফ্রেশনারীর কাজ করতে পারেন। ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় ফাটা দাগ থাকলে সেটা দূর করতে লবঙ্গ তেল করলে এই ফাটা দাগ দূর হয়ে যাবে।
রূপচর্চায় লবঙ্গের ব্যবহার
যারা রূপচর্চা করতে পছন্দ করেন তারা আজ থেকে রূপচর্চায় লবঙ্গের ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিতভাবে ব্যবহার করলে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। নিম্নে বিষয়ে আলোচনা করা হলো,
ব্রণ দূর করতেঃ লবঙ্গ সাধারণত ব্রণ দূর করতে ভালো কার্যকারিতা রয়েছে। তবে ব্রণের উপর সরাসরি লবঙ্গ প্রয়োগ করা যাবে না, সামান্য অলিভ অয়েল তেল বানালে তেল মিশিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। ১০ মিনিট পরে এটা পানি দিয়ে ফেলতে হবে তাহলে ত্বকের ব্রণ উঠে যাবে।
ত্বকের দাগ দূর করেঃ যাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ রয়েছে তারা যদি নিয়মিতভাবে এ লবঙ্গের তেল ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে সে ক্ষেত্রে এই ত্বকের দাগ ও দূর হয়ে যাবে। তাছাড়া তোকে উজ্জ্বলা মসৃণ করবে, তাই ঘুমানোর আগে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাবেন তবে কখনো ই অতিরিক্ত এই লবঙ্গের তেল ব্যবহার করবেন না। এতে অনেক ক্ষতি হতে পারে, কারণ রূপচর্চায় লবঙ্গ তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা আছে।
ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করেঃ যে কোন ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করার পূর্বে এর সাথে কয়েক ফোটা তেল মিশিয়ে নিতে পারেন, এতে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন এবং তাদের আর্দ্রতা দূর করতে পারবে।
মেকাপের বেইজের জন্য ভালো কাজ করেঃ মেকআপ করার পর ত্বক মসৃণ অনেকেই পছন্দ করে এজন্য ফাউন্ডেশনের সাথে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গের তেল মিক্স করে নিতে পারেন। এতে আপনার ত্বককে তৈলাক্ত ভাব করবে না এজন্য রূপচর্চায় লবঙ্গের ব্যবহার করতে পারেন।
লবঙ্গ দিয়ে চুলের যত্ন
লবঙ্গ দিয়ে চুলের যত্ন সাধারণত লবঙ্গ খাবারের সাথে ব্যবহার করে থাকে, খাবার স্বাদ ও গন্ধ যুক্ত করার জন্য। তাই এই মসলাটি রান্নার ভিতরে দিলেও এটা অনেক উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া সর্দি কাশি গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা ইত্যাদি ধরনের সমস্যার সমাধান করে থাকে।
এই লবঙ্গ বিশেষ করে যাদের খুশখুশি কাশি আছে তারা এই লবঙ্গ খেতে পারেন। আমাদের নজর দিতে হবে কেননা চুলের সৌন্দর্য ভালো একটা কাজ করে থাকে। কিভাবে লবঙ্গ চুলের যত্ন নেওয়া যায় নিম্নে আলোচনা করা হলো।
খুশকি দূর করতে পারেঃ লবঙ্গের মধ্যে থাকে এন্টিইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এই উপাদানগুলো থাকার কারণে মাথা থেকে খুশকি দূর হয়ে যায় এবং চুলকানি শুরু হয়। সকল অসুবিধা দূর করতে লবঙ্গ তেল মাথায় দিতে পারেন। যাদের দেখা যায় চুল উঠে গেছে সে ক্ষেত্রে এই মিশ্রণটি ঘন ঘন আপনার মাথায় ফাকা জায়গায় রাখতে হবে, তাই লবঙ্গ দিয়ে চুলের যত্ন নিলে আপনার চুল কোমল ও উজ্জ্বল দেখাবে।
চুলের গঠন মজবুত করেঃ যাদের চুলের গোড়ালি মজবুত করতে পারে এছাড়াও শক্ত করে কারণ এর মাঝে অক্সিডেন্ট এবং থাকার কারণে বিটা ক্যারোটিন থাকার কারণে মাথার ত্বকের সমস্যার সমাধান করতে পারে এবং রক্ত চলাচল দ্রুত কাজ করবে।
এই লবঙ্গ খেলে এজন্য চুলের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চুলও বাড়তে থাকবে এবং চুলের পুষ্টি ও পাবে কিন্তু অনেকের চুলের সমস্যা থাকতে পারে চুল ভেঙ্গে যায় অথবা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এজন্য লবঙ্গ তেল ব্যবহার করতে পারেন।
স্কাল্পে রক্ত সঞ্চালন এবং চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এর মধ্যে ভিটামিন কে থাকে এর জন্য মাথায় স্কাল্পে রক্ত চলাচল দ্রুত করতে পারে। এর মাঝে ভিটামিন আয়রন পটাশিয়াম আছে।
নতুন চুল গজাতে পারে চুলের ক্ষয় রোধ এর সমস্যা সমাধান করতে হলে আপনি লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। চুলের শুষ্কতা দূর হবে এবং চুলের গোড়ালি মজবুত হবে। অনেক বায়ু দূষণের কারণে চুল নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তাই এখান থেকে রক্ষা করতে পারে লবঙ্গ তাছাড়া ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালন হওয়ার জন্য হিয়ার ফলিকলের মুখ গুলো সঠিক উন্মুক্ত হয় এবং নতুন নতুন চুল গজাতে পারবে।
যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ একটি পাত্রের মধ্যে পানি নিবেন এবং সে পানি ফুটাতে থাকবেন এরপর এর মধ্যে ১০ টির মত লবঙ্গ দিতে পারেন এবং পানিটা ভালো করে ফুটিয়ে নিবেন। তারপর মাথায় এটা ব্যবহার করলে চুল ভালো থাকবে এবং পরবর্তীতে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এভাবে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ক্ষতি হতে পারে, কারণ চুলের যত্নে লবঙ্গ তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা আছে।
উপসংহারঃ রূপচর্চায় বা চুলের যত্নে লবঙ্গ তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
পরিশেষে বলা যায় যে লবঙ্গ তেল বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপকার করে থাকে, বিশেষ করে ত্বকের ক্ষেত্রে বা চুলের সৌন্দর্য ব্যবহারের জন্য এই লবঙ্গ তেল আপনি ব্যবহার করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ত্বকের বা চুলের ক্ষতি হতে পারে। যতটুকু পরিমাণ ব্যবহার করার প্রয়োজন ততটুকুই করবেন এর বেশি করবেন না। পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url