চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা তেল এর উপকারিতা এবং বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

যদি আপনি প্রাকৃতিক তেল দিয়ে চুলের যত্ন করতে চান, তাহলে চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা তেল নারী-পুরুষ উভয় ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন, চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরার তেল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কালোজিরা ও বিভিন্ন ভাবে উপকার করে থাকে, তাই মিশ্রণটি চুলে ব্যবহার করলে চুল ঘন ও লম্বা এবং উজ্জ্বল ঝলমলে দেখাবে। তাই চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা তেল সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

চুলে প্রাকৃতিক কালোজিরার তেল মাথায় ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। এই তেল কিভাবে মাথায় ব্যবহার করতে হয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

প্রথমে এই কালোজিরার তেল আপনি হাতের তালুতে নেবেন এরপরে আর এক হাতের আঙ্গুল দিয়ে মাথার চুল যেখান থেকে কম আছে সেই স্থানগুলোতে লাগিয়ে দিন। বিশেষ করে যেখানে টাক মাথা রয়েছে সেখানে লাগিয়ে দেওয়ার ১৫ মিনিট পর ম্যাসাজ করবেন। আধা ঘন্টা পরে পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন।

আপেল সিডার ভিনেগার এবং কালোজিরা তেলের ব্যবহারঃ চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য এবং খুশকি মুক্ত করার জন্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাবেন এবং এর সাথে কালোজিরা মিক্স করলে আরো পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে। এই দুইটার মিশ্রনের কারণে চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এবং চুল অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

এজন্য কালোজিরা পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন এরপর সুন্দর করে ছেঁকে নিবেন তারপর ভিনেগার মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে কিছুক্ষণ রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করবেন। সপ্তাহে তিন-দিন, দুই মাস ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পেতে পারেন।

এছাড়া কালোজিরার সাথে আপনি মেথি ব্যবহার করতে পারেন, এতে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। আপনার চুলের অনেক পুষ্টি হবে চুল ঘন এবং উজ্জ্বল দেখাবে।

জলপাই এবং কালোজিরা তেলঃ জলপাই এবং কালোজিরা তেল এর মধ্যে এন্টি মাইক্রোবিয়াল থাকার কারণে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং চুল ঘন হয়। এটা ব্যবহারের জন্য পাত্র নিতে পারেন তার মধ্যে কিছু জলপাই এবং কালোজিরা তেল মিক্সড করে নিবেন। এরপর মাথার যেখানে কম চুল আছে সেখানে লাগিয়ে দিবেন এবং ম্যাসাজ করতে থাকবেন। কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলবেন, এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

মেহেদী ও কালোজিরার প্যাকঃ মেহেদি একটি প্রাকৃতিক উপাদান এর মধ্যে অনেক গুণাগুণ রয়েছে। তাই এটা কালোজিরার সাথে যদি মিশানো যায়। তাহলে আরো চুলের জন্য পুষ্টির কাজ করবে। এছাড়াও মাথার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি দেবে, চুলের গোড়ালি শক্ত করবে এবং চুলকে মজবুত করবে। এজন্য আপনি মেহেদীর গুঁড়ো এবং কালোজিরা একসঙ্গে মিক্স করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে দিন। আধাঘন্টা রেখে দেওয়ার পর শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দর করে চুল পরিষ্কার করুন।

নারকেল তেল এবং কালোজিরাঃ নারকেল তেলের মাঝে এর মাঝে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং এন্টিব্যাকটেরিয়াল পুষ্টিগুণ থাকে যা মাথার ত্বকের জন্য বিভিন্ন ছত্রাকের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। এছাড়াও চর্ম রোগের কারণে চুল অনেক সময় পড়তে শুরু করে সে ক্ষেত্রেও কালোজিরা এবং নারকেলের তেল মিক্স করে ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাবেন।

তার জন্য এক চামচ পরিমাণ কালোজিরা এক চামচ নারকেলের তেল মিশিয়ে নিতে পারেন। এরপরে এর সাথে মধু যোগ করতে পারবেন, এই মিশ্রণটি আপনার মাথার টাক স্থানে ব্যবহার করুন। এতে ভালো ফলাফল পাবেন, তারপর একটি হালকা গরম তোয়ালে আপনার মাথা ঢেকে দিতে পারেন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর এটা ধুয়ে ফেলবেন।

কমপক্ষে এভাবে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেল এবং কালোজিরা,তার সাথে মেথির ব্যবহার করতে পারেন। এতে আরো অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

কালোজিরা তেল এবং লেবুর রসঃ লেবুর মাঝে আছে ভিটামিন সি যা ত্বকের এবং চুলের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। কালোজিরা তেলের সাথে মিশিয়ে নিয়ে আপনার চুলের ব্যবহার করতে পারেন। এতে দ্রুত চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং নতুন চুল উঠতে থাকবে। কালোজিরার মধ্যে আন্টি এক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটা চুল পড়া রোধে কাজ করে এবং চুলের বৃদ্ধি করতে পারে।

এজন্য মাথার যে অংশগুলোতে চুল কম থাকে সাধারণত সেখানেই মিশ্রণটি প্রয়োগ করবেন। ১৫ মিনিট রেখে দেওয়ার পর শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিবেন। চুল শুকিয়ে যাওয়ার পর কালোজিরা তেল ব্যবহার করতে পারেন।

আপনি যদি নিয়মিত আপনার চুলে কালোজিরা তেল এর সাথে মেথি ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা তেল এর উপকারিতা পাবেন।

মানুষের সৌন্দর্য প্রকাশ পায় তার সুন্দর চুলের কারণে, তাই আপনার চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন। সাথে মেথিও মিক্স করে চুলের ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কেননা দুটোই প্রাকৃতিক জিনিস এতে কোন ভেজাল নেই।

তাই আপনি যদি নিয়মিত ভাবে কালোজিরা তেলের সাথে মেথি মিক্স করে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।

যদি আপনার চুলের সৌন্দর্য ঠিক রাখতে চান তাহলে অবশ্যই কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন। কেননা কালোজিরার তেলের মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান আছে তা চুলের গোড়ালি শক্তকর এবং মজবুত করে, চুল লম্বা, ঘন করে। তবে এর সাথে আরো অন্য কিছু যোগ করতে পারলে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

কালোজিরা তেল যদি কেউ চুলে ব্যবহার করে থাকে তাহলে তার চুল আস্তে আস্তে উন্নতির দিকে যাবে। আর এটা ব্যবহার করার কারণে চুলের পুষ্টি পাবে। কেননা মানুষের খাদ্য যেমন পুষ্টির দরকার থাকে ঠিক তেমনি চুলেরও পুষ্টির দরকার হয়।

এজন্য কালোজিরা তেল ব্যবহার করতে পারেন। কেননা কালোজিরা সম্পর্কে রাসূল সাঃ অনেক হাদিসে বর্ণনা করেছেন এর গুনাগুন সম্পর্কে। তাই এটা আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও কালোজিরা তেল ব্যবহার করার ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়।

কালোজিরা তেল ব্যবহার করলে আপনার মাথায় যদি খুশকি থাকে সেটাও দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও মাথার চুল পাতলা থাকলে ঘন হবে। যদি আপনি নিয়মিত এটা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও নতুন চুল গজাতে থাকবে এবং চুল যদি অনেকের ছোট হয়। সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করলে চুল লম্বা এবং বড় হতে থাকবে। চুলের প্রোটিনের জন্য কালোজিরা তেল ভালো কার্যকারিতা রয়েছে। তাই কালোজিরার তেল আপনি নিজে হাতে বানিয়ে এটা ব্যবহার করবেন,তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।

চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা তেল এর গুন ও উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে চুলের পুষ্টির জন্য মেথি ও কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন। এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

চুলের যত্নে মেথিঃ প্রাচীনকাল থেকেই এই প্রাকৃতিক উপাদান মেথি চুলের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটি ঔষধি গুণ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কেননা এর মধ্যে প্রোটিন ভিটামিন সি আয়রন এবং বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণে রয়েছে, যা চুলের জন্য খুবই উপকার চুলকে মজবুত করে এবং ভাঙ্গা চুলকে প্রতিরোধ করতে পারে, এছাড়া মাথার ত্বকের উন্নতির জন্য কাজ করে।

চুলের যত্নে মেথির উপকারিতাঃ চুলকে বৃদ্ধি করা এবং চুলকে পুনজ্জীবিত করা এই মেথি কাজ করে থাকে। চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে অনেক উপকার করে থাকে। চুলকে স্বাস্থ্যবান এবং মজবুত, উজ্জ্বল করতে পারে। মেথির মধ্যে যে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল থাকার কারণে ত্বকের মধ্যে খুশকি যে থাকে সেটা দূর হয়ে যায়।

জ্বালাপোড়া দূর করে এটা চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে থাকে। মেথির সাথে কালোজিরা মিক্স করেও তেল তৈরি করেও দিতে পারেন। এতে আরো ভালো ফলাফল পাবেন।

মেথির মধ্যে থাকে ফলিক এসিড পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম আয়রন প্রোটিন যা চুলের বৃদ্ধিতে অনেক কাজ করে থাকে। চুল পড়া কমিয়ে দেয় প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে আর আলাদা কোনো কন্ডিশনার ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না।

চুলের যত্নে মেথির হেয়ার অয়েলঃ মেথি গুড়া করে আপনি একটি পাত্রে নিতে পারেন এবং নারকেলের তেল গরম করে সেগুলোর সাথে মিক্স করে নিবেন। এরপর কিছুক্ষণ হালকা আচে গরম করে নিয়ে সুন্দর করে ছেঁকে নিবেন। তারপর ঠান্ডা হলে চুলের ব্যবহার করতে পারেন। আলতোভাবে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে থাকবেন এবং এই মেথির মিশ্রণটি ঘন্টা খানেক রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দর করে মাথা পরিষ্কার করতে হবে।

চুলের যত্নে মেথির হেয়ার মাস্কঃ মেথি দিয়ে আপনি হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন, তবে এই তৈরি করার পূর্বে এই দানাগুলো ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং পরিমাণ মত টক দই নিয়ে ব্যালেন্ডার করতে হবে। তারপর হেয়ার মাস্ক তৈরি হয়ে যাবে যেটা আপনার মাথায় বা চুলে লাগাতে পারেন।

এভাবে এই হেয়ারমাক্স নিয়মিত ব্যবহার করার পরে ঘন্টা খানিক পর শ্যাম্পু দিয়ে আপনার মাথার চুল ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পেতে পারেন। মেথির সাথে কালোজিরা মিক্স তেল তৈরি করেও দিতে পারেন।

চুলের যত্নে কালোজিরা উপকারিতাঃ চুলের যত্নের ক্ষেত্রে কালোজিরার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। এর মধ্যে ফ্যাটি এসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে চুলকে পুষ্টি প্রদান করে এবং চুলকে মজবুত এবং শক্তিশালী করে।

এই কালোজিরার তেল ব্যবহার করার ফলে মাথার ত্বকের মধ্যে যদি কোন সংক্রমণ থাকে প্রদাহ এবং চুলকানি হয়। তাহলে এই ধরনের সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করতে পারে। একসাথে ব্যবহার করলে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। এজন্য মধুর সাথে মেথি ব্লেন্ডার করে নিতে পারেন, আপনার প্রয়োজন মত মাথার ত্বকে বা চুলে এই হেয়ার প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। ৩০ মিনিট পর এটা ভালো সম্পদ দিয়ে পরিষ্কার করে নেবেন।

কালোজিরা তেল এক ধরনের চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কেন একটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নারকেল তেল অথবা জলপাই তেলের সাথে কালোজিরা তেল মেশালে আরো অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই তেলের মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে সুন্দর করে লাগিয়ে দিবেন। এতে সারারাত রাখার পরে সকাল বেলা ধুয়ে ফেলবেন অনেক উপকার পাবেন।

তবে যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা অল্প পরিমাণ আগে ব্যবহার করে দেখবেন যদি অ্যালার্জি বেশি হয়ে যায়। তাহলে না লাগানোই ভালো এবং প্রতিনিয়ত ব্যবহার করতে হবে কেননা মাঝখানে ব্যবহার করা বাদ দিলে বুঝতে পারবেন না, যাদের ত্বকের সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে থাকেন তারা সাধারণত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরে ব্যবহার করবেন।

চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা তেল বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

সাধারণত কালোজিরা তেল বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায় অনেকেই কিনে ব্যবহার করে থাকে কিন্তু এতে ভেজাল থাকতে পারে এবং যাদের সামর্থ্য নাই তারা হয়তো কিনতে পারেন না। তারা কিভাবে কালোজিরা তেল তৈরি করবেন, সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

প্রথমতঃ এক চামচ কালোজিরা নিতে হবে

দ্বিতীয়তঃ এক চামচ পরিমাণ মেথি বীজ নিতে হবে

তৃতীয়ঃ ২০০ মিলি নারিকেল তেল নিতে হবে

চতুর্থঃ নারিকেল তেলের ক্যাস্টর তেল ৫০ মিলি ব্যবহার করতে পারেন এবং সবগুলো উপাদান একসাথে করে একটি পাত্রের মধ্যে পরিষ্কার করে রেখে দিতে পারেন।

উপরের চারটি জিনিস যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে এগুলো দিয়ে আপনি নিজেই এই কালোজিরার তেল বানাতে পারবেন। এই চারটি উপাদান নিয়ে কিভাবে আসলে কালোজিরা তেল বানাবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হলো।

প্রথমত আপনি কালোজিরা ও মেথি এই দুইটা জিনিস নিয়ে সুন্দর করে পরিষ্কার করে ভালোভাবে ব্লেন্ডার করবেন। এরপর ব্লেন্ডার যদি না করতে পারেন ভালো করে পিছিয়ে নিতে হবে যেন এগুলো অক্ষত না থাকে।

তারপর এইগুলো গুড়াগুলো পরিষ্কার কাচের বাটির মধ্যে রেখে দিবেন, তারপর পাতিলের ৫০ মিলি ক্যাস্টর অয়েল এবং ২০০ মিলি নারকেলের তেল ভালো হতে মিশিয়ে নিতে হবে।

তারপর এই পাত্রটি মেশানো এই পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে সুন্দর করে ঢেকে দিতে হবে এবং এই ঢাকনা থাকা অবস্থায় সূর্যের আলোতে রেখে দিতে হবে। এভাবে অবদানগুলো বাতিলের মধ্যে নেওয়ার পরে পাতিলটা ঢাকনা বন্ধ করে সূর্যের আলোতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ রাখতে পারবেন।

চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা তেল প্যাক তৈরি করতে পারেন, এতে অনেক উপকার হবে। কারণ এর মাঝে আয়রন এবং প্রোটিন আছে এই দুটি উপাদান চুলের যত্নার ক্ষেত্রে আপনি মেথি ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং চুল মজবুত হবে খুশকি দূর হবে।

যদি তাই এটা নিয়মিতভাবে ব্যবহার করতে পারেন। কেননা চুলের যত্নে ক্ষেত্রে মেথিও কালোজিরা অনেক উপকার করে থাকে। সে ক্ষেত্রে কালোজিরা মিক্স করে ব্যবহার করতে পারেন।

ভিজিয়ে রাখার পর সুন্দর করে ছেকে নিবেন, তারপর একটি স্প্রে বোতলের মধ্যেই পানিটুকু ঢেলে নিবেন। তারপর সকাল বেলা স্প্রে মেশিন দিয়ে আপনার চুলের স্প্রে করতে থাকবেন।

এরপর মেথি সারারাত পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখার পর পরের দিন সুন্দর করে বেটে আপনার চুলে লাগাতে পারেন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ভালো কাজ করে।

মেথির সাথে নারিকেলের তেল মেথি বেটে নেওয়ার পরে নারিকেলের তেল মিক্সড করবেন। এর সাথে যদি আরও একটু অ্যালোভেরা জেল ও দিতে পারেন। তাহলে আরো ভালো ফলাফল পেতে পারেন। সবচেয়ে ভালো কাজ করে থাকে। এছাড়াও চুল এভাবে রেখে দেওয়ার পরে লাগানোর পরে পরিষ্কার করবেন। তাহলে চুল পড়া কমে যাবে।

দুই চামচ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রাখার পরে পরের দিন বেটে নিবেন এরপর এক চামচ লেবুর রস মিশানো পরে এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে। আধা ঘন্টা রেখে দেওয়ার পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল সুন্দর করে পরিষ্কার করবেন। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারলে চুলের অনেক ভালো কাজ করে থাকে। মাথার ত্বকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত তেলভাব যদি থাকে তাহলে সেটাও দূর করতে সাহায্য করবে।

আধা কাপ দই নিয়ে তার মধ্যে মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে পারেন এবং পরের দিনে একসঙ্গে মিক্স করে চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন। আধা ঘন্টা রাখার পরে শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দর করে ধুয়ে পরিষ্কার করবেন, এতে ভালো ফলাফল পাবেন। এই হেয়ার প্যাকটি খুশকি দূর করতে ভালো কাজ করে এবং চুলকে উজ্জ্বল রাখে।

তিন চামচ মেথি গুড়ার সাথে নারকেলের তেল মিক্সড করে নিবেন এবং চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে। এক ঘন্টা রাখার পরে শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দর করে পরিষ্কার করে ফেলুন। দেখবেন ভালো উপকার পাবেন।

মেথি বাটার সাথে এক চামচ পরিমাণ নারকেলের তেল মিশিয়ে নেওয়ার পর চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দর করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এতে আপনি চুলের গোড়ালের শক্ত হবে এবং মজবুত হবে।

এছাড়াও মেথির পাশাপাশি এর সাথে কালোজিরা তেল মিক্স করেও আপনার চুলের ব্যবহার করতে পারেন। এতে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

পরিশেষে বলা যায় যে মেথি ও কালোজিরার তেল চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো উপকার করে থাকে। যদি নিয়মিত ভাবে এবং ধৈর্য ধরে আপনার চুলে এটি ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে চুল পড়ার রোধ করবে, চুল ঘন করা এবং চুলের উজ্জ্বলতা, মজবুত ইত্যাদি ধরনের উপকার করে থাকে। তাই আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।