পেঁয়াজের রস মাথায় দেওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
পেঁয়াজের রসের গুনাগুন এবং উপকারিতা রয়েছে, তবে পেঁয়াজের রস মাথায় দেওয়ার নিয়ম ও পরিমাণ মতো ব্যবহার না করলে ক্ষতি হবে। চলুন, পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অনেকেই চুল পড়া, মাথায় খুশকি হওয়া এ ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন। এজন্য পেঁয়াজের রস কিভাবে ব্যবহার করতে পারেন। তাই চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস মাথায় দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃপেঁয়াজের রস মাথায় ও চুলে দেওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
পেঁয়াজের রস মাথায় দেওয়ার নিয়ম
পেঁয়াজের রসের অনেক গুন রয়েছে, তাই পেঁয়াজের রস মাথায় দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
প্রথমে আপনি পেঁয়াজগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এরপর পেঁয়াজগুলো খুব সুন্দর করে কেটে নিবেন, তারপর বেলেন্ডার করে নিন। ব্লেন্ডার করার পর রসগুলো বের করে মাথায় লাগাতে পারেন। ৩০ মিনিটের মত অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল গুলো সুন্দর করে ধুয়ে ফেলুন।
পিয়াজ রসের সাথে হালকা গরম পানি মিক্সড করতে পারেন। এরপর গোসল করার সময় এই পানি দিয়ে মাথা , তারপর শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দর করে ধুয়ে ফেলুন। এতে মাথা থেকে যদি হালকা গন্ধ আসে তাহলে সে ক্ষেত্রে ভালো করে পরিষ্কার করবেন শ্যাম্পু দিয়ে।
এই পেঁয়াজের রস এর পানি চুলের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। তাই সপ্তাহে দুই একদিন পেজের রস মাথায় দিতে পারেন।
পেঁয়াজের রসের সাথে নারকেলের তেল দিতে পারেন। আপনার মাথায় বা চুলে ব্যবহার করতে পারেন, এরপর এক ঘন্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করুন।
দুই চামচ পেঁয়াজ রসের সাথে এক চামচ মধু মিক্সড করে মাথায় লাগাতে পারেন। এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করুন, সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করতে পারেন।
পেঁয়াজ বাটার সাথে অলিভ অয়েল তেল মিক্সড করে মাথায় বা ত্বকে লাগাতে পারেন। দুই ঘন্টা অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করুন। এভাবে ব্যবহার করলে আপনি অনেক উপকার পাবেন। তবে অবশ্যই নিয়ম মত দিতে হবে। পেঁয়াজের রস পরিমাণ মতো ব্যবহার করবেন, তা না হলে ক্ষতি হতে পারে।
পেঁয়াজের রস চুলে দেওয়ার নিয়ম
পিয়াজের রস চুলে বা মাথায় দিলে খুবই উপকার পাবেন, তাই পেঁয়াজের রস মাথায় দেওয়ার নিয়ম ও পরিমাণ মতো ব্যবহার করার সম্পর্কে বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলো।
একটি পেঁয়াজ নেওয়ার পর সেটা খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরা করে নিলে ভালো হবে। এরপর ব্লেন্ডার করে নিতে পারেন, তারপর রসগুলো বের করে পরিষ্কার পাত্রে ছেঁকে নিবেন। এ রসগুলো আপনার মাথার ত্বকে বা চুলের গোড়ায় হাত দিয়ে সুন্দর করে লাগিয়ে দিবেন। কয়েক মিনিট সুন্দর করে ম্যাসাজ করতে পারেন। পেঁয়াজের রসগুলো অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট মাথার ভিতরে রেখে দিবেন।
তাহলে সুন্দর করে চুলের গোড়ায় ঢুকে যাবে। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দর করে পরিষ্কার করে নেবেন। তাছাড়া চুল থেকে আপনার পিয়াজের গন্ধ আসতে পারে। সেজন্য শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন।
পেঁয়াজের রস প্রয়োগ করার পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষা করে নিবেন যে এলার্জি আছে কিনা। আপনার ত্বকে যদি এলার্জি থাকে তাহলে ক্ষতি হতে পারে, এজন্য আপনার মাথার ত্বকে অল্প জায়গায় একটু লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিবেন। যদি এলার্জি শুরু হয়ে যায় তাহলে না দেওয়াই ভালো।
কারণ আপনার ত্বক নষ্ট হয়ে যাবে, তাই যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তার আগে পরীক্ষা করে না নিয়ে কখনোই এটা ব্যবহার করবেন না।
পেঁয়াজের রসের অপকারিতা
পেঁয়াজো রসের যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি পেঁয়াজের রসের অপকারিতা আছে। তাই নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
চোখের সমস্যাঃ পেঁয়াজ ছোট ছোট করে টুকরা করার সময় পিয়াজের ঝাঁঝের কারণে বাতাসের সাথে মিক্সডের চোখে লাগলে চোখ দিয়ে পানি ঝরতে থাকে। এর কারণ হলো সালফিউরিক অ্যাসিড থাকার কারণে এই ধরনের সমস্যা হয়। তাই চোখের ঝাঁঝ আসলেই চোখ জ্বালাপোড়াসহ চোখ দিয়ে পানি আসতে পারে। তাই অতিরিক্ত যদি এই ধরনের সমস্যা হয় তাহলে অনেকের চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে তাই এদিকে সতর্ক থাকবেন।
এলার্জি সমস্যাঃ যাদের পূর্বে থেকেই বকে এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাই এলার্জিযুক্ত এই সকল ব্যক্তিদের পেঁয়াজের রস মাথায় ব্যবহার করা ঠিক হবে না। কেননা এতে মাথায় চুলকানি শুরু হতে পারে। প্রথমত আপনি কোন এক পাশে অল্প পরিমাণ জায়গায় আগে ব্যবহার করে দেখবেন যদি এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়।
তাহলে ব্যবহার করবেন না, তবে সাধারণত পেঁয়াজের রসের এলার্জি হতে পারে। ত্বকের চুলকানি, শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে, শরীরের জ্বালাপোড়া করতে পারে, এই ধরনের লক্ষণগুলো সাধারণত দেখা দিতে পারে। যদি অতিরিক্ত সমস্যা দেখা যায়, অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
দুর্গন্ধ হয়ঃ পেয়াজ মাথায় লাগানোর কারণে বা চুলে লাগানোর কারণে পেঁয়াজের একটি গন্ধ বের হয়। যা খুবই অনেকের সমস্যা হতে পারে এজন্য এই ধরনের কাঁচা পেঁয়াজের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে আপনার নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে এবং যাদের সমস্যা রয়েছে তাদের অসুবিধা দেখা দিতে পারে।
চুলের যত্নে পেঁয়াজের রসের উপকারিতা
পেঁয়াজের রসের গুনাগুন অনেক রয়েছে, তাই চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস মাথায় দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে তাই নিম্নে পিয়াজের রসের গুনাগুন ও নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আপনার চুল যদি ঘন করতে চান খুশকি কমাতে চান, তাহলে এই পিয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন। এটা আপনার নতুন চুল উঠবে এবং খুশকি দূর হয়ে যাবে।
চুলের বৃদ্ধি জন্য ব্যবহার করুনঃ অনেকের চুল খুবই কম থাকে তাই আপনার চুল যদি ঘন এবং নতুন চুল গজাতে চান, তাহলে আপনার মাথায় নিয়মিত ভাবে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন।
আর নিয়ম ও পরিমান না মেনে দিলে আপনার ত্বকে ক্ষতি হতে পারে। কেননা এই পেঁয়াজের রসের মাঝে এক ধরনের প্রোটিন থাকে এবং কোলাজেনের উৎপাদন বাড়তে থাকে এজন্য চুলে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে ফলিকল গুলি উজ্জীবিত হতে থাকে এবং চুল দ্রুত বাড়তে থাকে বৃদ্ধি পায়।
খুশকি কমায়ঃ পেঁয়াজের রসের মাঝে থাকে এন্টিব্যাকটিরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল উপাদান যার কারণে চুলের ভিতরে খুশকি এটা যদি ব্যবহার করা যায়। তাহলে চুলের খুশকি থাকবে না তাছাড়া মাথার ত্বকে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের কারণে এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। যা চুলের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়, তাই এই খুশকি দূর করার জন্য নিয়মিত পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের ফলিকলকে পুষ্টি দেয়ঃ চুলের সৌন্দর্যের জন্য তার পুষ্টির দরকার হয় এজন্য পেঁয়াজের রস এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে চুলকে পুষ্টি দেয় এবং চুল অকালে যেন পেকে না যায় সেটাও প্রতিরোধ করতে পারে। তাই আপনি নিয়মিত পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন।
চুল মজবুত করেঃ সালফার নামক উপাদান পেঁয়াজের রসের মাঝে থাকে সুন্দর চুলের জন্য এই সালফারের প্রয়োজন হয়। তাই নিয়মিতভাবে এই পিয়াজের রস ব্যবহার করলে আপনার চুল ভাঙ্গা, চুল পড়া কমাতে সাহায্য করবে এবং চুলকে মজবুত করবে। তাই আপনি নিয়মিত ভাবে মাথায় পিয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করেঃ পেঁয়াজের রসের মাঝে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে তা আমাদের ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, এজন্য মাথায় অক্সিজেন সরবরাহ না করতে থাকে যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার। এই জন্য আপনি পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের শুষ্কতার রোধ করেঃ যাদের চুল অত্যন্ত শুষ্ক থাকে তারা নিয়মিতভাবে তিন চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে দুই চামচ লেবুর রস মিক্সড করে চুলে লাগাতে পারেন। এতে চুলের গোড়ায় যদি লাগিয়ে দেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন।
৩০ মিনিটের মত চুলে রাখার পরে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন। এছাড়াও এর সাথে মধু মিক্স করেও মাথায় দিতে পারেন। তাহলে চুলের শুষ্কতা আর থাকবে না।
পেঁয়াজের রস কি দাড়ি গজায়
অনেকের মুখের দাড়ি খুবই কম তারা অনেকেই প্রশ্ন করে যে পেঁয়াজের রস কি দাড়ি গজায়। তাদের জন্য নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পুরুষের দাঁড়ি একটি সৌন্দর্য তাই সবাই চাপ দাড়ি রাখতে পছন্দ করে। অনেকে ফ্যাশন হিসেবে পছন্দ করে। তাছাড়া ধর্মীয় ক্ষেত্রে ও দাঁড়ির গুরুত্ব রয়েছে কিন্তু হরমোনের কারণে অনেকের পাতলা দাড়ি হয়। এজন্য প্রাকৃতিকভাবে ঘন করার জন্য পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন। তবে এর নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে।
পেঁয়াজের রসের ব্যবহারঃ দাড়ি ঘন করতে আপনি পিয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু ভালো উপকারিতা পাবেন। আপনার দাড়ি বড় না হওয়ার কারণ হলো সালফারের পর্যাপ্ত অভাব থাকার কারণে এ ধরনের সমস্যা হয়। পেঁয়াজের মধ্যে সালফার থাকার কারণে পেঁয়াজের রস দাঁড়িতে লাগাতে পারেন।
এতে করে আপনার সালফারের কারণে রক্ত চলাচল দ্রুত করবে এবং ত্বকের মধ্যে কোলাজেন এই উপাদানটি বৃদ্ধি পেয়ে দাড়ি ঘন করতে পারে।
তবে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করার জন্য নিয়ম মানতে হবে, আপনি পেঁয়াজ দাড়ির পাশাপাশি মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে পিয়াজের রস মাথায় দেওয়ার নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। দাড়িতে আপনি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়ম হল তিন চামচ পরিমাণ পেঁয়াজের রস নিবেন এর সাথে দুই চামচ অলিভ অয়েল মেশাতে পারেন। তারপর মিশ্রণটি ভালো করে গালে মেখে নিবেন। ২০ মিনিট রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন, এভাবে দিন থেকে চারবার ব্যবহার করলে আপনার দাড়ি ঘন এবং নতুন দাড়ি গজাতে থাকবে।
পেঁয়াজের রস মুখে দিলে কি হয়
আপনার ত্বকের সৌন্দর্যের জন্য অনেকেই প্রশ্ন করে যে পেঁয়াজের রস মুখে দিলে কি হয়। তাহলে এর উপকারিতা অনেক রয়েছে নিম্নে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
একদল বিশেষজ্ঞদের মতে তারা গবেষণা করে দেখেছেন যে মাসে যদি কেউ দুইবার তার ত্বকে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করে। তাহলে সে ক্ষেত্রে ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। ত্বক সুন্দর মসৃণ করবে কেননা পেঁয়াজের রসের মাঝে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে তা এই ধরনের সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারে।
তাই আপনি পেঁয়াজের রসের সাথে চাইলে আরো কিছু অন্য উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে তাকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। তাই পেঁয়াজের রস মুখে সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পেঁয়াজের রস ও গোলাপজলঃ প্রথমত আপনার মুখে পিয়াজের রস লাগাতে পারেন এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর একটি তোলার সাহায্যে গোলাপজল দিয়ে মুখ মুছে নিবেন। তারপর হালকা পানি কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করবেন। পেঁয়াজের রসের গুনাগুনের কারণে ত্বকের কোষগুলো মুখ খুলে যাবে এবং গোলাপজল কোষের ময়লা পরিষ্কার করে দেবে ত্বক সুন্দর দেখাবে উজ্জ্বল দেখাবে।
পেয়াজের রস ও নারিকেল তেলঃ দুটো জিনিসই প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ে গঠিত। তাই পেঁয়াজের রস আপনার মুখে লাগানোর পর ১৫ মিনিট রাখবেন। এরপর নারিকেলের তেল দিয়ে সুন্দর করে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলবেন। এতে ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে এবং ত্বক নরম ও মসৃণ হবে। এছাড়াও চুলে ও মাথায় ব্যবহার করতে পারেন।
পিয়াজের রস ও দুধঃ প্রথমত ঠান্ডা দুধ দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নিবেন এবং শুকানোর পর পিয়াজের পেস্ট মুখে লাগিয়ে দিয়ে দিবেন। শুকিয়ে গেলে পেঁয়াজের রস দিয়েই মুখটা পরিষ্কার করে নেবেন। আধা ঘন্টা পর পানি দিয়ে সুন্দর করে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। আপনার ত্বকের খসখসে ও লালচে ভাব ও কালো ভাব দূর হয়ে যাবে।
পিয়াজের রস ও আমন্ড অয়েলঃ পিয়াজের রস দিয়ে মুখ হালকা ম্যাসাজ করে নিবেন এরপর হালকা পানি দিয়ে কিছুক্ষণ পর ১৫ মিনিট পর হালকা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। তারপর বিশ মিনিট অপেক্ষা করে আমন্ড অয়েল দিয়ে মুখ সুন্দর করে মাখিয়ে নিবেন। এ তেলের মাঝে ভিটামিন ই থাকার কারণে ত্বককে নরম ও কোমল করে তুলবে এবং উজ্জ্বল দেখাবে।
পেঁয়াজের রস ও তেলঃ যাদের ত্বক শুষ্ক তারা পিয়াজের রস এর সাথে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে একদিন বা দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণটির মুখে লাগানোর পর কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
এতে আপনার ত্বকের সুস্থতা দূর করবে এবং পক্ষে সুন্দর উজ্জ্বল দেখাবে পেঁয়াজের রস মুখে দেওয়ার পাশাপাশি আপনি মাথায় ও চুলে ব্যবহার করতে পারেন।
আমাদের শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় যে পিয়াজের রস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমাদের চুলের এবং ত্বকের ক্ষেত্রে। তবে প্রত্যেকটা জিনিসের নিয়ম ও পরিমাণমতো ব্যবহার করতে হয়। সেজন্য আপনার মাথা এবং চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তবে পেঁয়াজের রস মাথায় দেওয়ার নিয়ম ও পরিমাণ অনুযায়ী ব্যবহার করবেন। তা না হলে ক্ষতি হতে পারে। যা হোক আজকের পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url