গাঁজানো রসুন মধু তৈরির নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

অনেকেই জানে না গাঁজানো রসুন মধু তৈরির নিয়ম সম্পর্কে এবং এভাবে তৈরি করে খেলে রসুন ও মধুর প্রাকৃতিক গুনাগুণ আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকার। চলুন, রসুন ও মধু খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
রসুন ও মধু প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে কাজ করে। তাই যদি কেউ নিয়মিত এটা খায় তাহলে তার শরীরের রোগ ব্যাধি কম হবে, তাই মধু ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃগাঁজানো রসুন মধু তৈরির নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

গাঁজানো রসুন মধু তৈরির নিয়ম

প্রাকৃতিক মধু ও রসুন এর উপকারিতা রয়েছে, তাই গাঁজানো রসুন মধু তৈরির নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলো,

রসুন ও মধু গাঁজানো রসুন তৈরি করার জন্য যে উপাদান গুলো লাগবে তা হল, প্রাকৃতিক খাঁটি মধু এবং পরিমাণ মতো রসুন দরকার।

কাঁচের বোয়াম নিতে হবে এ বয়ামের অর্ধেক মধু এবং চার ভাগের এক ভাগ রসুন এর কোয়া নিয়ে বয়াম ভরে নিতে হবে। বাকি অংশ এমনি রেখে দিন, মধু এবং রসুনের এই মিশ্রণটি তৈরি করতে আপনার অবশ্যই খাঁটি প্রাকৃতিক মধু হতে হবে ও ভালো রসুনের দরকার।

বাজারে যেসব কোম্পানি গুলো মধু বিক্রি করে এতে ভেজাল থাকে। তাই আপনি চেষ্টা করবেন গ্রাম থেকে প্রাকৃতিক ভাবে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করবেন। তারপর রসুনের কোয়া গুলো বড় সাইজের যেন হয় এবং দেশি রসুন হতে হবে। তাহলে উপকার বেশি পাওয়া যাবে।
প্রথমে পরিষ্কার কাঁচের পাত্র নিতে হবে এরপর এই পাত্রে মধ্যে খোসা ছাড়ানো রসুনগুলো পরিষ্কার করে এর ভিতরে ঢেলে দিতে হবে। রসুনের কুয়াগুলো পরিষ্কার করে এর ভিতরে ঢেলে দিন। মধু এমনভাবে ঢালতে হবে যেন মধু দ্বারা রসুনের সম্পূর্ণভাবে ডুবে যায়। এই কাঁচের জার এক তৃতীয় অংশ ফাঁকা রাখতে হবে। তারপরে এই পাত্রটির মুখ বন্ধ করে দিবেন এবং ঠান্ডা স্থানে রেখে দেবেন।

খেয়াল রাখবেন বয়ামের ভিতরে যেন কোনো ভাবে বাতাস না ঢুকে, এভাবে আপনি সাতদিন রেখে দিতে পারেন। তারপর বয়ামের মুখটা খুলে দিবেন, যেন ভেতরে জমা গ্যাস গুলো বের হয়ে যায়। এরপর চামচ দিয়ে সুন্দর করে নেরে দিবেন।

তারপর আরো সাত দিন পর রসুনের রং পরিবর্তন সোনালী রং হবে, এরপর আবার পাত্রের মুখ খুলে দিয়ে গ্যাস বের করে দিতে হবে। তারপর মিশ্রণটি আবার নেরে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে রসুনের রসুন মধুর উপরে চলে আসছে কিনা বা ভেসে থাকে কিনা। যদি ৩-৪ দিন পর পর পাত্রটি অবশ্যই ঝাকিয়ে দিবেন যেন রসুনগুলো নিচে নেমে যায়।

এভাবে দুই মাস আপনাকে কাজ করতে হবে, দুই মাসের মধ্যেই এই মিশ্রণটি সুন্দরভাবে মিশে যাবে এবং খাওয়ার জন্য উপযোগী হবে। দুই মাসের প্রতি সপ্তাহেই একবার করে বয়ামের মুখ খুলে দিবেন, গ্যাস গুলো বের করে দিবেন।

যদি না করেন তাহলে গ্যাসের প্রেসার এর কারণে কাচের পাত্রটি ফেটে যেতে পারে। আর দুই মাস যখন হয়ে যাবে তখন সাধারণ আর গ্যাস হবে না। সে ক্ষেত্রে মুখের জার খুলে দিতে হবে না। এভাবে আপনি গাঁজানো রসুন তৈরি করতে পারেন।

রসুন ও মধু খাওয়ার নিয়ম

এতক্ষণ আমরা জেনেছি কিভাবে রসুনের মধুর তৈরি করতে হয় এখন জানব রসুন ও মধু খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে তাই নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

মধু এবং রসুন খাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকালবেলা খালি পেটে এটা এক চামচ মধু এবং মধুর সাথে বড় সাইজের রসুন মিশিয়ে খেতে পারেন। দুই থেকে তিন মাস এভাবে খেলে অবশ্যই আপনার শরীরে উপকার আসবে।

রসুন ও মধু খাওয়ার নিয়ম হলো সকালবেলা খালি পেটে খাওয়ার চেষ্টা করবেন, রসুনের মধ্যে থাকে সালফার কম্পাউন্ড তাই চিবিয়ে খেলে সবচাইতে ভালো উপকার পাওয়া যায়। অনেকে ঝাঝালো হওয়ার কারণে খেতে পারেনা, তাই মধু রসুন মিশিয়ে খেলে স্বাদ লাগবে। এছাড়া বিভিন্ন ভর্তা, শাক রান্না ও মুড়ি মাখানোর সাথেও অনেকে কাঁচা রসুন খেয়ে থাকে।

তবে রসুন ও মধু সবচেয়ে সুস্বাদু লাগে, যদি সুস্বাদু উপকার বেশি হয়। যদি আপনি খেতে পারেন গজানো রসুন ও মধু খেতে পারেন। তবে গাঁজানো রসুন মধু তৈরির নিয়ম অনুযায়ী এবং পরিমাণমতো খেতে হবে, তাহলেই উপকার পাবেন।

রসুন ভেজে নিয়ে রান্না করে খেলে এতে রাসায়নিক উপাদান এলিসিনের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করবেন কাচা রসুন ১৫ মিনিট একটি খোলা জায়গায় রেখে দিন, এরপরে সেই রসুন যদি খান তাহলে রসুনের ভেতরে যে এলিসিন আছে সেটা সহজে হজম হতে পারে।

মধু ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা

যদি আপনি নিয়মিত রসুন ও মধু খান, তাহলে শরীরের জন্য ভালো হবে। কেননা মধু ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

রসুন ও মধু নিয়মিত খেলে উপকারিতা রয়েছে, কারণ দুটি উপাদানই হলো প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়। এতে এন্টিব্যাকটেরিয়াল ঔষধ হিসেবে কাজ করে। তাই আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে মধুর রসুনের মিশ্রণ খেলে উপকার পাবেন, তবে যদি আপনি গাজানো রসুন খেতে পারেন।
ছবি
তাহলে রসুন ও মধু খেতে পারেন, এটা আরো অনেক উপকার পাবেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে গাঁজানো রসুন মধু তৈরির নিয়ম ও পরিমাণ জানতে হবে। তা না হলে শরীরের ক্ষতি হবে। উপরে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেখান থেকে জেনে নিবেন। চলুন, মধু রসুন একসাথে খেলে কি উপকার হয় সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আপনার শরীরে যদি কোন ক্ষত থাকে সে ক্ষেত্রে মধু এবং রসুন খেলে আপনার শরীরে এই ক্ষত দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে।
মানবদেহের যেকোন রক্তনালীতে যদি ব্লক হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে মধু এবং রসুনের মিশ্রণটি যদি খেতে পারেন। তাহলে আপনার এই রক্তের ব্লক দূর করে দেবে এবং রক্তের কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।

মধু রসুনের মিশ্রণটি যদি আপনি খেতে পারেন নিয়মিত ভাবে তাহলে আপনার জ্বর সর্দি ঠান্ডা কাশি এগুলোর অনেক উপকার করে থাকে। কেননা এর ভিতরে রয়েছে প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক যা অনেক শক্তিশালী হিসেবে কাজ করে থাকে। কেননা মধু ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে।

অনেকের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগতে থাকেন তারা যদি নিয়মিত ভাবে রসুন ও মধু এর মিশ্রণ খেতে পারেন, তাহলে এই ব্লাড প্রেসার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ হবে।

যারা ওজন কমাতে চান তারাও এই মিশ্রণটি খেতে পারেন, যদি নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার ওজন হ্রাস পাবে বা কমে যাবে।

মধু এবং রসুনের মিশ্রণ নিয়মিত সেবন করলে আপনার মস্তিষ্ক ভালো থাকবে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া এটা নিয়মিত যদি খেতে পারেন, তাহলে সেই ক্ষেত্রে পাকস্থলীর হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম মধু এবং রসুনের উপকারিতা সম্পর্কে।

তাই মধুর রসুন যদি আপনি মিক্স করার পদ্ধতিটা জানতে পারেন। তাহলে আরো ভালো কার্যকারিতা পাবে এবং আপনার মুখে সুস্বাদু লাগবে। আর সেটা হলো গাঁজানো রসুন খেতে হবে।

রসুন খাওয়ার উপকারিতা

রসুন প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিকের মত কাজ করে থাকে, তাই রসুন খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। তাই নিয়মিত ভাবেই রসুন খেলে অনেক রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পাবেন। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ছবি
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়ঃ রসুন হলো অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বা অ্যান্টিফাঙ্গাল এর কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে। যদি খালি পেটে রসুন খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে যদি খালি রসুন না খেতে পারেন।

তাহলে সে ক্ষেত্রে মধু এর সাথে মিশিয়ে খেলে আরো উপকার পাওয়া যায় এবং মুখেও সুস্বাদু লাগে। অনেকেই কাঁচা রসুন খেতে পারে না, তারা সেই ক্ষেত্রে এভাবে খেতে পারেন। এজন্য গাঁজানো রসুন মধু তৈরির নিয়ম জেনে খেলে আরো বেশি উপকার পাবেন।

রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়ঃ আপনি যদি নিয়মিত খালি পেটে রসুনের কোয়া খেতে পারেন, এতে আপনার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং রক্ত বাধাগ্রস্ত হবে না। এজন্য যে সকল রোগ সৃষ্টি হয় সেগুলো থেকে আপনি মুক্তি হতে পারবেন। এমন অনেকের হার্টের সমস্যা হলে রক্তের ব্লক হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে রসুনের কার্যকারিতা অনেক বেশি।

হৃদপিণ্ডের ভালো কাজ করেঃ আপনি যদি প্রতিদিন খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার হৃদপিণ্ড অনেক শক্তিশালী হবে এবং রক্ত সঞ্চালনা বৃদ্ধি পাবে। আপনার রক্ত চলাচল ক্ষেত্রে বাধা প্রাপ্ত হবে না এতে বুকের ব্যথা কমে যায়, যদি কারো বুকের ব্যথা থাকে সে ক্ষেত্রে এটা দূর করবে, হার্টের রোগীদের সিঁড়ি বা উঠতে অনেক সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রেও এভাবে নিয়মিত খেলে তার সুন্দরভাবে সিঁড়ি উঠতে পারবে, এতে কোন সমস্যা হবে না।

ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারেঃ যাদের ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি হয় যেমন এলার্জি সমস্যা ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেশি থাকে। এতে ফুসফুসের সংক্রমণ হয় এ থেকে পরিত্রাণ পেতে অবশ্যই রসুন পিষে রস যদি খেতে পারেন। তাহলে রসুন খাওয়ার উপকারিতা পাবেন।

কোষের ক্ষতি রোধ করতে পারেঃ রসুনের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটা সেল ডেমেজ রোধ করতে পারে, ব্রেনের কোষের ড্যামেজ কম হয়। যার কারণে অ্যালজাইমার ও ডিমেনশিয়াল এ ধরনের রোগ থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে।

হাড়ের শক্তি যোগায়ঃ অনেক বয়স্ক লোকের সাধারণত হাড়ের শক্তি থাকে না এবং বিশেষ করে নারীদের হাড়ের শক্তি কমে যেতে থাকে এতে যদি আপনি প্রতিদিন দুই গ্রাম করে খেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে নারীদের অ্যাস্ট্রোজনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং হাড়ের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ত্বকে ব্রণের সমস্যাঃ যাদের ত্বকে সমস্যা রয়েছে এবং ব্রণ ঘন ঘন হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে যদি প্রতিদিন ২ কোয়া খেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ত্বকে কোন সমস্যা হবে না এবং বার্ধক্যের ছাপ পড়বে না, এদের চেহারায় কোন দাগ বা ব্রণের চিহ্ন থাকবে না অতি শীঘ্র দূর হয়ে যাবে।

সকালে খালি পেটে রসুন ও মধু খাওয়ার উপকারিতা

সকালে খালি পেটে রসুন ও মধু খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সবচাইতে বেশি কাজ করে থাকে। আমাদের শরীরের মধ্যে এজন্য সকালবেলা খালি পেটে এই রসুন মিশ্রণটি খেতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাবেন নিম্নে এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ছবি
পেটের সমস্যাঃ যাদের দীর্ঘদিন যাবত পেটের সমস্যা রয়েছে এবং ঘন ঘন ডায়রিয়া হয়ে থাকে। তারা নিয়মিতভাবে রসুন ও মধুর মিশ্রণটি খেলে অনেক উপকার পাবেন। কেননা এর মাঝে রয়েছে উপাদান যা সব ধরনের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। তাই শরীরের যদি বিভিন্ন রকমের ফাংগাল ইনফেকশন হয় সে ক্ষেত্রে রসুন ও মধু খেতে পারেন।

এতে অনেক উপকার পাবেন এই দুটি উপাদান মিশিয়ে খেলে আপনার শরীরের জমে থাকা ফ্যাট কমাতে সাহায্য করবে। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং ঠান্ডা গলা ব্যথা হলে এই রসুন ও মধু খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
ক্লান্তি দূর হয়ঃ যারা অল্প কিছুক্ষণ কাজ করলে ক্লান্ত পথ মনে হয় শরীরে একটানা কাজ করতে পারে না। এই ধরনের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে রসুন ও মধুর মিশ্রণটি খেতে পারেন। তাই প্রথমে রসুনের দুই থেকে তিনটি কোয়া ছোট ছোট করে গুছিয়ে নেবেন, তারপর মধুর সাথে মিক্স করে খেতে পারেন। 

এভাবে প্রতিদিন খেলে আপনার ক্লান্ত বোধ দূর হবে। পাশাপাশি শরীরের ব্যালেন্স ঠিক থাকবে, তবে যদি খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে আরো অনেক উপকার পাবেন। তবে গাঁজানো রসুন মধু তৈরির নিয়ম ও ও পরিমাণ জেনে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

ফ্লু সংক্রান্ত সমস্যা দূর করেঃ যাদের ফ্লু সংক্রান্ত অসুখ রয়েছে তারা নিয়মিত এই রসুন খেলে অনেক উপকার পাবেন। এক্ষেত্রে অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি করে রসুন এর কুচি করে নিয়ে দুটি শুকনা মরিচ ছোট ছোট করে নিয়ে এক টেবিল চামচ আদা কুচি দিয়ে এর সাথে লেবুর রস মিক্স করে আপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে মিক্সড করে নিবেন। এতে অনেক উপকার পাবেন, প্রথমে এগুলো একটি পাত্রের ভিতরে নিয়ে মিশিয়ে নিবেন।

তারপর আলাদা করে লেবু চিপে রসগুলো তারপরে লেবুর রস দিলে অনেক সুস্বাদু হবে এবং পরিমাণ মতো ভিনেগার মিশিয়ে দিয়ে এক সেন্টিমিটার ফাঁকা রেখে পাত্রটি ঢেকে দিন। তাহলে আপনার সর্দি কাশি গলা ব্যথা এবং ফ্লুর সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তবে সকালে খালি পেটে রসুন ও মধু খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে এবং ভালো কাজ করে।

উপসংহারঃ গাঁজানো রসুন মধু তৈরির নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

পরিশেষে বলা যায় যে রসুন ও মধুর গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। কেননা এর মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান আছে, তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকার করে থাকে। তবে যদি আপনি গাঁজানো রসুন ও মধু খেতে পারেন। আশা করি এই পোস্টটি আপনার নিকট অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। তাই ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪