তুলসী পাতা ও মধু খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

যদি তুলসী পাতা ও মধু খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী ও পরিমাণ মতো খেতে পারেন, তাহলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগের সংক্রমণ হতে রক্ষা পাবেন এবং ঠান্ডা সর্দি কাশি কাশির মতো সমস্যা দূর হবে। চলুন, মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
শিশুদের সাধারণত ঘন ঘন ঠান্ডা সর্দি কাশি লেগে থাকে, এজন্য ঔষধ না খেয়ে প্রাকৃতিকভাবে এই তুলসী পাতা ও মধুর মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে পারেন। তাই শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃতুলসী পাতা ও মধু খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

তুলসী পাতা ও মধু খাওয়ার নিয়ম

তুলসী পাতার সাথে মধু খেলে অনেক উপকার, তাই তুলসী পাতা ও মধু খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

এক কাপ চা তৈরি করতে চার-পাঁচটা তুলসী পাতা নিতে হবে এবং এর সাথে এক চামচ পরিমাণ মধ্যে নিবেন, এরপরে সুন্দর করে মিশিয়ে নিবেন। তারপর চেষ্টা করবেন খালি পেটে খাওয়ার তাহলে অনেক উপকার পাবেন।

সকালবেলা সাধারণত তুলসী পাতা এর সাথে মধু দিয়ে চা বানিয়ে যদি আপনি খেতে পারেন অথবা তুলসী পাতার রস বানিয়ে এর সাথে এক চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিয়মিত ভাবে খেতে পারলে অনেক উপকার পাবেন। বিশেষ করে সকালের নাস্তার খাওয়ার আগে এই চা খেয়ে নিতে পারেন।
তুলসী পাতা রস বানিয়ে যদি এর সাথে একটু আদা নিয়ে আদা বেটে রস বানিয়ে এবং এক চামচ মধু দিয়ে যদি মিক্সড করে খেতে পারেন। তাহলে অনেক উপকার পাবেন, চেষ্টা করবেন দিনে দুইবার খাওয়ার জন্য। তাছাড়া তুলসী পাতার পেস্ট বানিয়ে তার মধ্যে মধু মিক্স করে খেতে পারেন। এতেও স্বাস্থ্যের জন্য উপকার।

তুলসী পাতার চা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়, এর জন্য পানি ফুটিয়ে নিয়ে এর মধ্যে তুলসী পাতা ছেড়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পানিটা ফুটানোর পর নামিয়ে নিয়ে মধু ও লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন।

তুলসী পাতার রস এর সাথে মধু এবং আদা মিশিয়ে খেতে পারেন, তাছাড়া এক গ্লাস পানির মধ্যে তুলসী পাতা দিয়ে অনেকে খায় এবং যদি এমনি খেতে সমস্যা হয় তাহলে এর ভিতরে একটু মধু দিতে পারেন।

শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

শিশুদের অল্প ঘন ঘন ঠান্ডা লেগে থাকে তাই তুলসী পাতা খাওয়াতে পারেন, তবে শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াতে হবে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

শিশুদের সারা বছরই কমবেশি সর্দি কাশি ঠান্ডা গলার ব্যথা দাঁতের ব্যথা, কান ব্যথা ইত্যাদি ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এজন্য শিশুদের নিয়ে তার পিতা-মাতা অনেক চিন্তায় পড়ে যায়। তাই তাদেরকে বেশি যত্ন নিতে হয়, এজন্য আপনি প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে তুলসির পাতা খাওয়াতে পারেন। সর্দি-কাশি ঠান্ডা সমস্যা সমাধান হবে এবং পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে। তবে তুলসী পাতা ও মধু খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খাওয়ালে ভালো হবে।

তুলসী পাতার শরবত বানিয়ে খাওয়াতে পারেন এজন্য চার-পাঁচটা তুলসী পাতা নিয়ে তার সাথে আদার রস মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন, এতে আপনার শিশুর সর্দি কাশি এই ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

আপনার শিশুকে সর্দি কাশি হলে তুলসী পাতা মধু মিক্স করে খাওয়াতে পারেন। এতে শিশুটির গলা ব্যথা এবং অন্যান্য ব্যথাগুলো দূর হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম হলো তুলসী পাতা ও ঘি তৈরি করতে হলে প্রথমে তুলসী পাতা গুলোর শুকনো করে নিতে হবে।

এরপর গুড়ো বানিয়ে নিবেন তারপর ঘির সাথে মিক্স করে রুটি বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। হাফ চামচ তুলসী পাতা গুড়া নিবেন এবং দুই চামচ ঘি নিয়ে মিক্স করে খাওয়াতে পারেন এবং এর সাথে ডাল দিতে পারেন এতে আরো সুস্বাদু হবে।

তুলসী পাতা মধু লেবুর রস মিক্সড করে খাওয়ানো যেতে পারে এতে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। প্রথম একটি পাত্র নিবেন, তার মধ্যে কয়েকটি তুলসী পাতা দিবেন এরপরে পানিটা ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর পানিটুকু ছেঁকে নিবেন, এরপর এর সাথে মধুর ও লেবুর রস মিক্স করে নিবেন। এরপর আপনার শিশুকে শরবত বানিয়ে খাওয়াতে পারেন, এতে অনেক উপকার পাবেন।

কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়া অত্যন্ত উপকারী, তাই কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। আপনার শরীরে কাশি দূর করার পাশাপাশি শরীরের যেকোন ব্যথা ও প্রদাহ দূর করার জন্য এই তুলসির পাতা খেতে পারেন। তাছাড়া এই তুলসী পাতা খেলে আপনার খাদ্য হজম অতি সহজে হবে, কারণ এর ভিতরে যে পুষ্টি উপাদান আছে তা খাদ্য হজম করতে পারে।

তুলসী পাতা শুকনা করে নিয়ে গুড়ো করে নিবেন, এরপরে এটা খেতে পারেন। তবে তুলসী পাতার গুঁড়ো কিছুটা তিতে লাগে যার কারণে এর সাথে মধু মিক্সড করে খেতে পারেন। তবে তুলসী পাতা ও মধু খাওয়ার নিয়ম ও পরিমান মত খাবেন। তাছাড়া বেশি খেলে শরীরে ক্ষতি হতে পারে, তুলসী পাতা ও মধু একসাথে খাওয়ার কারণে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে।
তুলসী পাতার রস যেভাবে খাবেনঃ এক থেকে দুইটি তুলসী পাতা নিয়ে দুই চামচ মধু, আদা পরিমাণ মতো হলুদের গুঁড়া নিবেন এবং এর সাথে লং পেপার কালো গোল মরিচ সবকিছু একসাথে নিয়ে বেলেন্ডার করে নেবেন। এরপর যে রসটা বের হবে তার সাথে মধু মিশিয়ে দেওয়ার কারণে অনেক সুস্বাদু হবে। এক চামচ পরিমাণ দিনে দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন।

এতে আপনার সর্দি-কাশি ঠান্ডা এই ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাবেন। তাছাড়া এই উপাদান গুলো অত্যন্ত গরম প্রকৃতির এজন্য এক থেকে দুই সপ্তাহ খাওয়ার পরে আর খাওয়া যাবে না। অনেকে সকালবেলায় খালি পেটেই তুলসী পাতা কাঁচা চিবিয়ে খায় কিন্তু এতে ক্ষতি হতে পারে, তুলসী পাতার রস খাওয়ার পাঁচ মিনিট পর হালকা গরম পানি খেতে হবে। তাই আপনি নিয়ম অনুযায়ী ও পরিমাণ মতো খেলে অনেক উপকার পাবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম।

মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা

তুলসী পাতার রসের সাথে মধু মিক্সড করে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। তাই মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে নিম্ন আলোচনা করা হলো,

ঠান্ডা থেকে রক্ষা করেঃ ঠান্ডা কাশি দূর করার জন্য সবচেয়ে ভালো উপকার করে থাকে তুলসী পাতার সাথে মধু দিয়ে খেলে। কারণ এর মধ্যে বিশেষ পুষ্টি ও ভিটামিন রয়েছে, সংক্রমণ প্রতিহত করতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
ছবি
কাশি কমাতে পারেঃ তুলসী পাতা ও মধু মিক্স করে যদি খেতে পারেন কাশি কমানোর জন্য কাজ করে থাকে। শ্বাসতন্ত্রের যেকোনো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে, কারণ তুলসী পাতা ও মধুর মধ্যে থাকে আন্টি এক্সিডেন্ট যা কাশি দূর করতে সাহায্য করবে।

এলার্জির সমস্যা দূর করেঃ তুলসী পাতা মধু এর মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান থাকার কারণে ত্বককে এলার্জি ও বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। তবে তুলসী পাতা ও মধু খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে।

অকাল বার্ধক্য কমায়ঃ তুলসী পাতা ও মধুর মধ্যে যে ভিটামিন ও অ্যান্টি এক্সিডেন্ট থাকে তা কোষের অকাল বার্ধক্যকে দূর করতে পারে এবং বয়সের ছাপ পড়ে না তাই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কিডনিতে পাথরঃ কিডনিতে পাথরের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা এই উপাদানটি খেতে পারেন। এতে আপনার কিডনির বিষাক্ত পদার্থ গুলো দূর করে দেবে এবং কিডনিকে ভালো রাখবে। কিডনিতে পাথর দূর করার জন্য মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা রয়েছে।

হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখেঃ তুলসী পাতা মধু একসাথে খেলে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কে কমিয়ে দেয় এবং নিয়ন্ত্রণ রাখে। যার কারণে হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখে।

তুলসী পাতার উপকারিতা

তুলসী পাতা অত্যন্ত উপকারী একটি গাছ যা আমাদের শরীরের এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাই তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

সর্দি কাশি দূর করেঃ সর্দি কাশি দূর করতে তুলসী পাতা খেতে হবে, এটা অনেকেই জানে। কেননা এই তুলসী পাতার সর্দি কাশি সারাতে অনেক ভালো উপকার করে থাকে এবং দ্রুত কাজ করতে পারে। কারো যদি কফ বুকে বসে যায় সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন তুলসী পাতা সকাল বেলা খেতে পারেন। তুলসী পাতার সাথে আদা খেতে পারেন, তাহলে আরো ভালো কাজ করবে।

গলা ব্যথা দূর করাঃ যাদের ঠান্ডা লাগলে গলা ব্যথা করে এবং গলা বসে যায় সে ক্ষেত্রে তুলসী পাতা খেলে এই সমস্যা দূর হবে। যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে সে ক্ষেত্রে তুলসী পাতা খেতে পারেন। কেননা এই তুলসী পাতার মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান আছে তা এই ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারে। 

তুলসী পাতা খেতে হয়তো মুখে স্বাদ লাগবে না সেজন্য তার সাথে মধু মিক্স করে খেতে পারেন। এজন্য তুলসী পাতা পানির মাঝে নিয়ে পানিটুকু ফুটিয়ে নেবেন এবং সেই পানি দিয়ে গার্গল করলে আপনার দ্রুত গলা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ ক্যান্সার একটি মরণঘাতী রোগ যা দূর করা অনেকটাই কঠিন সাধ্য বিষয়। তাই ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করার জন্য আপনি নিয়মিত তুলসী পাতা খেতে পারেন। কারণ এর মাঝে রেডিও প্রটেকটিভ উপাদান আছে যা ক্যান্সারের কোষগুলোকে মেরে ফেলতে পারে। এর কারণে তুলসী পাতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এটি আরো ফাইটোকেমিক্যাল থাকার কারণে রস এই উপাদানগুলো থাকার কারণে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। তাছাড়া এটি অগ্নাশয় যে টিউমার হয় সেটাও কেউ দূর করতে সাহায্য করতে পারে। পাশাপাশি ব্রেস্ট ক্যান্সার এর বিরুদ্ধে কাজ করে এজন্য তুলসী পাতার উপকারিতা রয়েছে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তারা সাধারণত ঘন ঘন ঘন ঠান্ডা কাশিতে সংক্রমিত হয়। এজন্য দেখা যায় অ্যাজমা ফুসফুসের সমস্যা ব্রংকাইটিস এই ধরনের সমস্যাগুলো বেশি হয়ে থাকে। তাই তুলসী পাতা খেতে পারেন। এগুলো মোকাবেলা করতে পারে বিশেষ করে তাছাড়া জ্বর সারানো ভালো করে থাকে।

এই তুলসী পাতা তুলসী পাতার সাথে এলাচ মিশিয়ে পানিটা ফুটিয়ে নিয়ে আপনি যদি নিয়মিতভাবে খেতে পারেন। তাহলে অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়া ক্ষতস্থানে তুলসী পাতা বেটে যদি লাগাতে পারেন, সে ক্ষেত্রে কত দ্রুত সারতে পারে।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ যাদের ওজন নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন তারা তুলসী পাতা খেলে রক্তের সুগারের মাত্রা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসে। যার কারণে অতি দ্রুত ওজন কমতে সাহায্য করে, ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে একদল গবেষক গবেষণা করেছেন যে তুলসী পাতা দিয়ে ২৫০ মিলিগ্রামের একটি ক্যাপসুল তৈরি করে।

সেই ক্যাপসুল প্রতিদিন খাওয়ানোর ফলে ওবিসিডি ও লিপিড প্রোফাইল অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। তাই এই তুলসী পাতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমে ওষুধ খাবেন। তবে তুলসী পাতা যদি এমনি না খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে মধু মিক্সড করে খেতে পারেন।

তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক

তুলসী পাতা আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে থাকে, তবে তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক রয়েছে নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

গর্ভাবস্থায় বা স্তন্যদান কারী মায়েদের জন্যঃ তুলসী পাতা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায় তবে গর্ভবতী এবং দুগ্ধ দানকারী মায়েদের পরিমাণ মতো খেতে হবে। অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না এতে জটিল সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তুলসী পাতা না খাওয়াই ভালো। গবেষণা করে বলা হয়েছে যে নারীর ক্ষেত্রে তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক হতে পারে।

রক্তপাতের সমস্যা হতে পারেঃ তুলসী পাতা যদি অতিরিক্ত খান সে ক্ষেত্রে রোগ শরীরের রক্ত প্রবাহের বৃদ্ধি পেতে পারে এবং শরীরের স্বাভাবিকের চেয়ে যদি রক্ত বেশি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে। রক্ত জমাট বাধা হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয় এজন্য অতিরিক্ত তুলসী পাতা খাওয়া যাবে না। কারণ সার্জারি করার পূর্বে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আগে থেকে তুলসী পাতা খাওয়া যাবে না।

নিম্ন রক্তচাপঃ তুলসী পাতা অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে, কারণ এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যার কারণেই এই সমস্যা হয়। তাই অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা তবে যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে তারা তুলসী পাতা এড়িয়ে চলবেন।

এক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন তবে তুলসী পাতা খাওয়া যেতে পারে অল্প পরিমাণে, সে ক্ষেত্রে মধুর সাথে মিক্স করে খেলে ভালো উপকার পাবেন। কারণ দুটি প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান, এতে শরীর ও স্বাস্থ্য সুন্দর থাকবে, আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণও থাকবে।

তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা

অনেকেই পছন্দ করে তুলসী পাতার চা, কারণ তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা রয়েছে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য তুলসীপাতার চা খেতে পারেন। নিম্নে এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ছবি
তুলসী পাতার সাথে চা মিক্সড করে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কারণ আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের শরীরে জ্বর ঠান্ডা লেগেই থাকে, আপনি তুলসী পাতার চা খেতে পারেন। কারণ সারা বিশ্ব এই তুলসী পাতা চায়ের গ্রহণযোগ্যতা আছে, তাছাড়া খুবই সহজ এবং অতি তাড়াতাড়ি বানানো যায়। এজন্য আপনি আদা মধু তুলসী পাতা আর লেবুর রস মিক্স করে চা বানিয়ে খেতে পারেন। এতে তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা রয়েছে।

এছাড়া আপনার মনকে ফ্রেশ করে দেবে এবং আপনার শরীরকে ভালো রাখবে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। হৃদরোগের ঝুকি কমাতে এই তুলসী চা অনেক উপকার করে থাকে। এছাড়াও লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে, স্তন ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করে এবং রাত্রিতে ভালো ঘুম হয়।
তাই আপনি এই তুলসী চা পাতা খেতে পারেন, যাদের শ্বাসকষ্ট সমস্যায় রয়েছে তারা এটা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন চায়ের সাথে আপনি তুলসী পাতা চা খেলে ভালো উপকার পাবেন। সে ক্ষেত্রে তুলসী পাতার যার সাথে যদি মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতে চান সেই জন্য এক চামচ পরিমাণ মধু দিতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাবেন, তবে তুলসী পাতা ও মধু খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী পরিমাণ মতো খেতে হবে, তাহলে উপকার পাবেন।

চা প্রায় মানুষই খেয়ে থাকে কারণ এটা একটি আড্ডা দেওয়ার জন্য ভালো একটি উপাদান, এজন্য ঘরে অথবা বাইরে যেখানেই যান না কেন সময় কাটানোর জন্য এক কাপ চা খেতে পারেন, তবে সেই চা যেন স্বাস্থ্যকর হয় সেজন্য এর সাথে তুলসী পাতা ও মধু খেতে পারেন। এতে ঠান্ডা সর্দি কাশি দূর হয়ে যাবে এবং আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

উপসংহারঃ তুলসী পাতা ও মধু খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

পরিশেষে বলা যেতে পারে যে তুলসী পাতা এর গুনাগুন ও মধুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি থাকে, যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ রোগের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারবে। এছাড়াও তুলসী পাতা ও মধু ঠান্ডা কাশি সর্দি জ্বর ইত্যাদি সারাতে ভালো কাজ করে থাকে। পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪