১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও গুরুত্ব বা তাৎপর্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যার কারণে পরবর্তীতে বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা স্বীকৃতি দিয়েছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীগণ। চলুন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যত আন্দোলন হয়েছিল, সকল আন্দোলনের পেছনে প্রেরণা জুগিয়ে ছিল। তাই এই ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও গুরুত্ব বা তাৎপর্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই ভাষা আন্দোলনের কারণেই এদেশের জনগণ উৎসাহিত পেয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ, নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো।

ভাষা আন্দোল আন্দোলনে এদেশের ছাত্ররা তাদের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা মর্যাদায় নিয়ে আসার জন্য আন্দোলন করেছিল। এদেশের বীর সন্তান বাংলার দামাল ছেলেরা তারা নিজের রক্ত দিয়ে মাতৃভাষাকে রক্ষা করেছিল। যা পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষার জন্য রক্ত দিয়েছিল। বাংলার দামাল ছেলেদের সাথে তিনি এই পশ্চিমা গুষ্টির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন।

এই বাংলাদেশের ধামাল ছেলেরা আজও পর্যন্ত রেকর্ড করে আছে। রফিক সালাম বরকত শফিউর সহ আরো অনেকেই এই ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন। তারা নিজের বুক পেতে দিয়ে বাংলার মাতৃভাষাকে রক্ষা করেছিলেন। যা আজও তারা বিশ্বের বুকে বাঙালি কে চির অমর করেছে। যতদিন এই বাংলায় লাল সবুজের পতাকা উদিত হবে ততদিন বাংলায় তাদের নাম উচ্চারিত হবে।

এজন্য বাংলাদেশ এর নাম সারা জীবন লেখা থাকবে, এই বাংলাদেশ যতদিন থাকবে এবং বাঙালিরাও স্মরণ করবে। তাই বঙ্গবন্ধু আমাদের অন্তরে চির অমর হয়ে থাকবে। পৃথিবীর বুকে বাংলা ভাষা চিরজীবী হয়ে থাকবে, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র জন্ম হয়। তখন থেকেই পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী এদেশের মানুষকে অত্যাচার এবং বঞ্চিত করেছিল।

অবশেষে বাঙালির মাতৃভাষাকেড়ে নিতে চেয়েছিল। তারা সংখ্যালঘু জনগণের ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল কিন্তু এদেশের তামাল ছেলেরা তারা গরজে উঠেছিল এর বিরোধিতা করার জন্য। তারা এই উর্দু ভাষা কে মেনে নিতে পারেনি, তারা মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিনিও এই প্রতিবাদ করেছিলেন।

এজন্য ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ গঠন করার ক্ষেত্রে এই মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অবদান রেখেছিলেন। ১৯৫২ সালের রাজপথে আন্দোলন করেছিলেন এবং তা কারাবরণ করেছিলেন পরবর্তীতে আইনসভার সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রভাষার সংগ্রাম ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
এক কথায় রাষ্ট্রভাষা বাংলার আন্দোলন ও মর্যাদার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশভাগ যখন হয়ে গেল এর জন্য মোহাম্মদ আলী জিন্না পাকিস্তানের একচছত্র আধিপত্য গ্রহণ করেছিল। এই সময় দুটি রাষ্ট্র গঠিত হয়। এই পাকিস্তান রাষ্ট্রকে দুটি প্রদেশে বিভক্ত করা হয় একটি হলো পূর্ব বাংলা ও পশ্চিমবাংলা কিন্তু এই পর্ব বাংলা কেউ শাসন করতে পশ্চিমবাংলার শাসকগোষ্ঠী।

তারা বৈষম্যমূলক আচরণ করেছিল এবং অত্যাচার করেছিল এদেশের মানুষকে তাছাড়া তাদের ভাষার উপর তারা আঘাত এনেছিল। যার কারণে এদেশের জনগণ এই ভাষার বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার করার জন্য আন্দোলন করেছিল। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের পর কলকাতার পরবর্তী কর্তব্য নির্ধারণের সমবেত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

কিছু রাজনৈতিক কর্মীদেরকে নিয়ে সেখানে পাকিস্তানের একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আন্দোলনের সংগঠন করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন।

এই ভাষা আন্দোলনের বা এই সংগঠনের এই বৈঠকের প্রধান দায়িত্ব ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৪৭ সালের ৬ ও ৭ ই সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পুরো পাকিস্তানের কর্মী সম্মেলন যে করেছিলেন তা যুবলীগ সংগঠন অনুষ্ঠান করেছিল। ওই সম্মেলনে ভাষা বিষয় নিয়ে কথা হয়েছিল সেই প্রসঙ্গে গাজীউল হক ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

সেদিনকার ছাত্রনেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা ভাষাকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কি হবে তা আলোচনা করা হয়েছিল এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত কি নেবে তা জনগণের উপর ছেড়ে দিতে হবে। জনগণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে এই কথাগুলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারত থেকে তৎকালীন পূর্ব বাংলায় প্রত্যাবর্তন করার পর সরাসরি ভাষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে তিনিও আন্দোলন যোগ দেন।

১৯৪৭ সালের যত রাজনীতিবিদ ১৪ জন ভাষা বীর সর্বপ্রথম আন্দোলন করেছিল এবং ২১ দফা দাবি নিয়ে একটি ইশতেহার গঠন করে দাবির মধ্যে দ্বিতীয় দাবি ছিল রাষ্ট্র ভাষা বাংলা দিতে হবে। ভাষা আন্দোলনের জন্য বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং ২১ দফা যে ইশতেহার ছিল সেখানেও বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি বা প্রেক্ষাপট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই ভাষা আন্দোলনের কারণেই পরবর্তীতে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। তাই নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

১৯৪৭ সালে ভারত শাসন আইন অনুযায়ী দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। একটি ভারত অপরটি পাকিস্তান, পাকিস্তানের দায়িত্ব গ্রহণ করে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ আর ভারতের দায়িত্বভার অর্পিত হয় জহরলাল নেহেরু এর উপরে। কিন্তু পাকিস্তান প্রথম থেকেই ভাষাগত দিক দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের উপরে গোলযোগাযোগ সৃষ্টি করে, নিম্নে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ভাষার উপর আঘাতঃ পাকিস্তানি শাসন আমলের প্রথম থেকেই পশ্চিম পাকিস্তান এর শাসকগণ পূর্ব পাকিস্তানের উপরে গুরুত্ব দিত না তাই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তানকে তার ন্যায্য অধিকার হতে বঞ্চিত করার জন্য প্রথমেই ভাষার উপর আঘাত এনেছিলেন। পাকিস্তানের বাঙালিরা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা বাংলাকে সম্পূর্ণ আলাদা করে সংখ্যালঘিষ্ঠ ভাষা উর্দুকে প্রাধান্য দিয়েছিল।

যার কারণে তিনি একটি মারাত্মক ভুল করেন বাঙ্গালীদের ভাষা গত স্বাধীনতা এই হননের কারণে ভাষাকে আলাদা করার কারণে তারা অনেকটাই ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন এবং মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৭ সালে ২১ মার্চ ঢাকায় প্রকাশ্যে জনসভায় ঘোষণা করেন যে উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।

আঞ্চলিক আন্দোলনের সূচনাঃ ১৯৪৭ সালের ২১ শে মার্চ জিন্নাহর ঘোষণা কে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছিল। তারা জিন্নাহর ঘোষণাকে অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচার মুলক হিসেবে ঘোষণা করে কিন্তু জিন্নাহ বুঝতে পারেন যে অলক্ষে ঐদিন তিনি পাকিস্তানের উভয় অঞ্চলের মধ্যে বিচ্ছিন্নতার বীজ বপন করে দিলেন।

এটা পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ পতনের পথ প্রশস্ত করেছিল। এ সময় হতেই বাঙালি জাতি মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বদ্ধপরিকর হয়েছিল। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষায় পরিণত করার দাবির সাথে জাতীয় চেতনা বেড়ে চলছিল এবং এটা আঞ্চলিক আন্দোলন মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছিল।

খাজা নাজিমুদ্দিনের ঘোষণাঃ ১৯৫১ সালে লিয়াকত আলী খান আততায়ের হাতে নিহত হলে খাজা নাজিমুদ্দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তারাই নিযুক্ত ছিল বেআইনি ও অগণতান্ত্রিক খাজা নাজিম উদ্দিন শাসন কার্যের পরিচালনা করে কিন্তু তিনি তেমন দক্ষ ছিলেন না তাই শাসনতান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

খাজা নাজিমুদ্দিন ১৯৫২ সালের ৩০শে জানুয়ারি কায়দা আজমের অনুকরণে ঘোষণা করেন যে উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। তার এই ঘোষণা বাংলা জনগণ প্রচন্ড বিস্ফোরণে ফেটে পড়ে আন্দোলন বেগবান হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠনঃ খাজা নাজিমুদ্দিনের ঘোষণা কে কেন্দ্র করে ঢাকা নারায়ণগঞ্জে ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয়, পরে ভাষা আন্দোলনকে সাফল্য করার জন্য সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্ম পরিষদ করা হয়। এর সদস্য ছিলেন জনাব আবুল হাশেম, জমির উদ্দিন আহমদ ও নেত্র স্থানীয় ব্যক্তি।

ভাষা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণাঃ সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হওয়ার পর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। একুশে ফেব্রুয়ারিকে রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। এই উদ্দেশ্য সফল করার জন্য সারাদেশে হরতাল সভা ও শোভা যাত্রার ডাক দেওয়া হয়। একুশে ফেব্রুয়ারি দিবসকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য এদেশের সংগ্রামী ছাত্র-জনতা ৪ই ফেব্রুয়ারি হতে সক্রিয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে।

তাদের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পথসভা ও শোভাযাত্রার বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ সময় নুরুল আমিন ছিলেন পুরো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন সরকার একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচি কে বানচাল করার জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় দীর্ঘ এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। মিছিল মিটিং শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, এতে ছাত্র জনতার ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তাই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

ছাত্রদের মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণঃ ভাষা আন্দোলনের সাহসী সৈনিক বাংলার সংগ্রাম পরিষদ একুশে ফেব্রুয়ারিকে রাষ্ট্রভাষা দিবসের ঘোষণা দেয়। অন্যদিকে একই দিনে একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল পাকিস্তান সরকারের বাজেট অধিবেশনের দিন, ছাত্রদের কর্মসূচি কে বানচাল করার জন্য সরকার পূর্বে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। এ অবস্থায় সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্ররা এক জরুরি বৈঠকে সমবেত হয় এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

২১শে ফেব্রুয়ারি সর্বাত্মক হরতাল পালনের মধ্য দিয়ে ছাত্ররা প্রতি ১০ জনের একটি মিছিল বের করে। এ আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য পুলিশ বাহিনী মাঠে নেমে পড়ে। ফলে ছাত্র মিছিলের উপর লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে কিন্তু দেখা যায় একপর্যায়ে এগুলো কোন কাজ করতে পারছে না। পুলিশ মিছিলের উপর গুলি চালায় এতে বরকত, সালাম, জব্বার ও রফিকসহ নাম না জানা আরো অনেকেই এই ভাষা আন্দোলন সমর্থন করেছিল।

মাওলানা ভাসানী অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ অধ্যাপক, মনির চৌধুরী, জনাব অলি আহাদ, মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্ক-বাগিশ ও এম ওসমান আলী প্রমুখ সহ গ্রেপ্তার হয়। ফলে আন্দোলনের তীব্রতার বেড়ে যায়, বঙ্গবন্ধু কেউ গ্রেফতার করা হয়েছিল।

রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা স্বীকৃতিঃ ভাষা আন্দোলন তখন পরিষদের অধিবেশনে চরম ভাগবিতণ্ড দেখা দেয়, এই সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দিন এবং নুরুল আমিন ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী। মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণের প্রতিবাদের সাংবাদিক আবুল কালাম শামসুদ্দীন আইন পরিষদের তার সদস্য পদ ত্যাগ করে, দেশের সর্বোচ্চ সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ধিক্কার ধ্বনিত হয়।

সেইসাথে বাঙ্গালীদের দাবি আদায়ের সংগ্রাম আর দুর্বার গতিতে এগিয়ে যায়। একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলার দেওয়ালে পথে ঘাটে রক্ত ছড়িয়ে পড়ে। সরকারকে শেষ পর্যন্ত নতি শিকার করতে হয়। তাই পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীকে রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলা কে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য করেছিল বঙ্গবন্ধু।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব বা তাৎপর্য আজকের এই বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে ও বাংলা ভাষার গুরুত্ব রয়েছে। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো,
ছবি
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির জীবন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। একুশের ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতিকে আন্দোলন করার অনুপ্রেরণা যোগিয়েছিল। বাঙালি জাতিকে দিয়েছিল অন্যায় অবিচার অত্যাচার শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রেরণা। ভাষা আন্দোলনের প্রত্যক্ষ ফল ছিল বাঙালি জাতির উপলব্ধি এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা। এই আন্দোলনে বাঙালি জাতিকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়ে ছিল।

পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর সেখানকার শাসকগণ পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক সামাজিক সকল ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং পূর্ব বাংলায় তাদের একটি প্রদেশ মনে করে। তারা বাঙ্গালীদের মাতৃভাষার উপর প্রথমে আঘাত এনেছিল, এতে পাকিস্তান শুরু থেকেই রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন শুরু করে। ১৯৫২ সালে বাঙালি জাতি আন্দোলন করতে সকলের ঐক্যবদ্ধ হয়, ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব এখানেই যে এই প্রদেশের সকল মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন শুরু করে।

এই ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। তাই এই আন্দোলনের মাধ্যমে ভাষার অধিকার ফিরে পেয়েছিল। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রতিটা স্তরে একুশের ভাষা আন্দোলন এ দেশের জনগণকে প্রেরণা দিয়েছিল, তাই আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশকে গড়ে তোলার পেছনে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব রয়েছে।

দেশবিভাগের পর থেকে পশ্চিমা শাসকগণ পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগণ বাঙালি জাতির মুখের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে চেয়েছিল এবং এদেশের মানুষকে দমিয়ে রাখতে চেষ্টা করেছিল কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছিল।
বাঙালি জাতি দমিয়ে থাকেনি বাংলার ছাত্ররা এই আন্দোলনকে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ আন্দোলনকে সর্বদলীয় সকলেই অংশগ্রহণ করে সেরকম প্রচেষ্টা করেছিলাম। যার কারণে জাতীয়তাবাদী চেতনা হয়েছিল এই আন্দোলনে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

জাতীয় সংগ্রাম পরিষদ ভাষা আন্দোলন কে প্রত্যেকটি স্তরে মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল এবং প্রস্তুতি এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী দমন করার জন্য অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল কিন্তু ছাত্রদের কাছে তারা পেরে ওঠেনি ছাত্ররা থেমে থাকেনি এজন্য ছাত্ররা একুশে ফেব্রুয়ারিকে পালন করার জন্য অবশ্যই প্রচেষ্টা করেছিল কিন্তু পাকিস্তানের শাসকগণ বাধা দিয়েছিল।

এমনকি তারা ১৪৪ ধারা জারি করেছিল কিন্তু বাংলার ছাত্ররা তারা বাংলা ভাষায় রক্ষার জন্য ১৪৪ ধারা জারি ভঙ্গ করে তারা বিভিন্ন ধরনের মিছিল মিটিং শোভাযাত্রা পালন করেছিল। পুলিশের গুলিতে এ দেশের বাংলার ছাত্ররা জীবন দিয়েছিল, এই ভাষা আন্দোলনের জন্য তাদের মধ্যে এখনো ইতিহাসে এবং যতদিন বাংলা বাংলাদেশ থাকবে ততদিন তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

সালাম বরকত, রফিক ও জব্বার সহ এদেশের আরো ছাত্ররা জীবন দিয়েছিল এই ভাষা আন্দোলনের জন্য। ভাষার জন্য তাছাড়া অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তবুও তাদেরকে দমিয়ে রাখতে পারে নায়। যার কারণে সরকার বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে বাংলা পূর্ব বাংলার ভাষা রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলায় থাকবে।

যা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব রয়েছে, এজন্যই তারা পরবর্তীতে এই বাংলার জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারা পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করার অনুপ্রেরণা পেয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে ছাত্ররা ১১ দফা দাবি বেশ করার মাধ্যমে আন্দোলনে পরিণত করেছিল।

এই ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালিরা পরবর্তীতে মুক্তি সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ার সাহস পেয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেওয়ার মাধ্যমে এ দেশের জনগণের কথা তিনি তুলে ধরেছিলেন এবং পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিবাদ করে তুলতে সাহস যোগিয়েছিলেন।

তিনি ৪ দফা দাবি পালন করার জন্য তিনি জনগণকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছিলেন, যার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের কারণ

ভাষার জন্য পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র বাঙ্গালীরা আন্দোলন করেছিল। তবে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই দিনটি প্রতিবছর বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিকভাবে ও পালন করা হয়ে থাকে। ১৯৪৭ সাল দেশ বিভক্ত হওয়ার পর থেকে বাঙ্গালীদের উপর পাকিস্তানি বাহিনীরা অত্যাচার করতে থাকে। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীরা এদেশের বাঙালি বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র সমাজ বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা আন্দোলন করেছিল।

পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীগণ তারা মোটেও এ দেশের প্রতি আন্তরিক ছিল না, তারা উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা করার জন্য চেষ্টা করেছিল। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে ছাত্রনেতারা এই ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছিল তাছাড়া এই ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে বাঙালির সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এদেশের সাংস্কৃতি বাংলা ভাষা বা এদেশের সংস্কৃতি একটি জাতির প্রাণকেন্দ্র তাই এই সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য তারা আন্দোলন করেছিল।

ভাষা একটি জাতির দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পথ প্রশস্ত করে কিন্তু এ দেশের ভাষার সংস্কৃতির উপর তারা আঘাত এনেছিল। বাঙালি জাতিসত্তাকে ধ্বংস করার জন্যই বাংলা ভাষার উপর আক্রমণ করেছিল।
ভাষা আন্দোলন একটি সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক আন্দোলন হলেও এর পিছনে অর্থনৈতিক কারণ ছিল। 

কারণ পূর্ববঙ্গের মানুষের উপর অর্থনৈতিকভাবে শোষিত করা হয়। তারা বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হয়েছিল শুধুমাত্র এই ভাষার ক্ষেত্রে দিয়ে এই মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ভাষা জনিত জটিলতার কারণে তারা নিজেদেরকে চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। এজন্য তারা এদেশের জনগণ আন্দোলন করেছিল।

এদেশের মানুষের অর্থ সম্পদ তারা নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নত করেছিল কিন্তু এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে শোষণ করেছিল। তাই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের কারণ গুলোর মধ্যে এই কারণগুলো অন্যতম।

এদেশের মানুষকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করেছিল বড় বড় উচ্চ পদ গুলো তারা গ্রহণ করেছিল এবং সরকারি যে ছোট ছোট পদগুলো রয়েছে তাদেরকে দেওয়া হয়েছিল। যারা নিম্ন পদে চাকরি করতো এর বড় একটা অংশ বাস করত নীলক্ষেত, পলাশীয ব্যারাক সহ বিশ্ববিদ্যালয় নিকটবর্তী এলাকাগুলোতে তারা বসবাস করত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। 

আর এই সরকারি কর্মচারীরা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সহায়ক শক্তি হিসেবে জড়িত ছিল। ভাষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে তারা সচেতনতার দাবি আদায় করেছিল। তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সকল ক্ষেত্রেই এদেশের মানুষ বঞ্চিত হয়েছিল। এ কারণেও তারা আন্দোলন করেছিল।

ভাষা আন্দোলনের ফলাফল

ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষাকেই প্রতিষ্ঠা করেছিল না, এ দেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবেও প্রতিষ্ঠা করেছিল। তাই ভাষা আন্দোলনের ফলাফল সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো,
ছবি
জাতীয়তাবোধ সৃষ্টিঃ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাঙ্গালীদের জাতীয়তাবোধ সৃষ্টি করার জন্য ঐক্যবদ্ধ করেছিল এবং এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ভাষা আন্দোলন। তাই এই ভাষা আন্দোলনের ফলাফল রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল।

দাবি আদায়ের শিক্ষাঃ ভাষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে দাবি আদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এ দেশের জনগণ ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য ৭১ সাল পর্যন্ত সর্বপ্রথম এই দাবি আদায়ের ক্ষেত্রেই কেন্দ্র করে বাংলার ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করলে সফলতা অর্জন করে। তার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে এ দেশকেও স্বাধীন করেছিল। তাই ১৯৫২ সালের আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সাম্প্রদায়িকতার অবসান হয়ঃ ভাষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে বাঙালিরা হিন্দু-মুসলিম সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করার ফলে তাদের মাঝে সম্প্রীতি ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং সাম্প্রদায়িকতা এখানে কোন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এখানে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ভাষা কে রাষ্ট্রীয় ভাষা করতে হবে, এটা হিন্দু মুসলিম সবার একই দাবি ছিল।
মুসলিম লীগের পরাজয়ঃ ১৯৫৪ সালের যে নির্বাচন হয়েছিল যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগ পরাজয় বরণ করেছিল এবং এই নির্বাচনের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

সকল আন্দোলনের প্রেরণা উৎস দিয়েছিলঃ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন কে কেন্দ্র করেই পরবর্তীতে যত আন্দোলন হয়েছিল এই ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই তারা উৎসাহিত হয়েছিল। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন হয় ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনের সাথে ১১ দফা ছাত্রদের আন্দোলন। 

১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুদানের আন্দোলন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ বিজয় লাভ করেছিল। তাই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতা যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এলেট শ্রেণীর উদ্ভবঃ ভাষা আন্দোলনের ফলে এলিট শ্রেণীর উদ্ভব ঘটে বাঙালি কবি সাহিত্যিকরা ছাত্র-জনতার উৎসাহিত করেছিল এবং তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।

ছাত্র রাজনীতির প্রসারঃ ছাত্র রাজনীতির ক্ষেত্রে এই ভাষা আন্দোলনকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তাই পরবর্তীতে ছাত্র আন্দোলন আরও দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায় এবং তারা বুঝতে পারে যে দাবি আন্দোলনের ক্ষেত্রে ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সকলে মিলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছিল।

উপসংহারঃ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও গুরুত্ব বা তাৎপর্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

পরিশেষে বলা যায় যে আজকের এই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পিছনে ১৯৫২ সালের আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কেননা ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা প্রতিষ্ঠা করতে পেরে এদেশের জনগণ ছাত্র-জনতা সকল শ্রেণীর লোকজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাহস পেয়েছিল যে ভাষা আন্দোলন যদি আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি, তাহলে দেশকেও স্বাধীন করতে পারব। আর এই প্রেরণা জুগিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যা পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ক্ষেত্রেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪