স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ বিশ্লেষণ ও ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিন

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ বিশ্লেষণ ও ইতিহাস সম্পর্কে অনেকেই জানে না। তাই যেসব কারণে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছে তা জানা প্রয়োজন। চলুন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় কিভাবে ঘটেছিল তা জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
পূর্ব বাংলার মানুষের উপর সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তারা বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল। এজন্য পূর্ব বাংলার মানুষ বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটিয়েছিল। তাই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ বিশ্লেষণ ও ইতিহাস সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃস্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ ও ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিন

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ বিশ্লেষণ

বাংলাদেশ সৃষ্টির পূর্বে বৈষম্য ছিল পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়। তাই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ বিশ্লেষণ ও ইতিহাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বাঙালিদের বৈষম্য করা হয়েছিল। এজন্যই পরবর্তীতে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল। নিম্নে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ সমূহ আলোচনা করা হলো।

ভৌগোলিক কারণঃ পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান এর মধ্যে ভৌগোলিক অবস্থানের পার্থক্য অনেক। প্রায় ১২০০ মাইলের মত, যেখানে যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা ছিল না। শুধুমাত্র আকাশ পথের মাধ্যমেই যাতায়াত করা যেত, এর কারণেই পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে পারত না। এই ভৌগলিক কারণেই দুই পাকিস্তানের মধ্যে সামাজিক সাংস্কৃতিক আচার-আচরণ এর ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।

ভাষাগত দ্বন্দ্বঃ ভাষাকে নিয়ে পূর্ব পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে প্রথম যে দ্বন্দ্বটা হয়েছিল। কারণ পশ্চিম পাকিস্তানের চাইতে পুর্ব পাকিস্তানের মানুষ বাংলা ভাষায় বেশি কথা বলতো। সেক্ষেত্রে বাংলায় কথা বলতো ৫৬% মানুষ আর উর্দু কথা বলতো মাত্র সাড়ে ৩ % মানুষ। তাছাড়া পাঞ্জাব এটাতে আরো অনেক ভাষায় পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষজন কথা বলতো।

বিবেচনায় পুরো পাকিস্তানের মানুষ সংখ্যায় বেশি ছিল এরপরেও পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের এই বাংলা ভাষাকে বিলুপ্ত করে দিতে চেয়েছিল। উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা করার চিন্তা ভাবনা করেছিল। যার কারণেই বাঙালি রক্ত দিয়ে এদেশের ভাষাকে রক্ষা করেছিল এবং বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে তারা বাধ্য হয়েছিল। এভাবেই বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়।

সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বঃ পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানদেরকে তারা পূর্ণ মুসলমান হিসাবে স্বীকার করত না। কারণ তারা মনে করত বাংলা ভাষা তারা কথা বলে যাহোক তারা বাংলা ভাষার উপরও আক্রমণাক্ত ব্যবহার করেছিল।

এজন্য ভাষা আন্দোলনে পূর্ব পাকিস্তানের লোকজন বিজয় লাভ করার পর ৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট ৬৬ এর ছয় দফা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশের ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করেছিল। যার পরিবর্তে এই বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সূচনা হয়েছিল।

সামাজিক কারণঃ পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তান এর মধ্যে সামাজিক কাঠামো এবং জীবন প্রণালী একরকম ছিল না। একই রাষ্ট্রে বসবাস করে ভাষা সংস্কৃতি শিল্প-সাহিত্য আচার-আচরণ পোশাক পরিচ্ছদ খাবার আবেগ অনুভূতি সকল ক্ষেত্রেই পার্থক্য ছিল।

এছাড়াও একটি দিক মিল ছিল সেটা হল ধর্মীয় ক্ষেত্রে কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থকে বড় করে দেখার কারণে সে ধর্মকেই তারা ব্যবহার করেছিল। যার কারণে পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্প্রদায়িক এর ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনাবধ সৃষ্টি হয়েছিল। এজন্যই মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয় যার ফলে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছিল।

অর্থনৈতিক কারণঃ এদেশ থেকে ব্রিটিশরা যাওয়ার পর পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হয় এরপর থেকেই দুই অঞ্চলের মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশাল ব্যবধান ছিল এবং প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই বৈষম্য নীতি। অবহেলা ছিল পূর্ব পাকিস্তানের লোকজনের উপরে বিশেষ করে অর্থনৈতিক বৈষম্যটা বিশাল বড় আকার ধারণ করেছিল। সে ক্ষেত্রে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।

সেই অর্থনৈতিক জিনিসগুলো ভোগ করতে থাকে। এছাড়াও পশ্চিম পাকিস্তানের বৈদেশিক সাহায্য গুলো তারাই গ্রহণ করত কিন্তু পুর্ব পাকিস্তানের লোকজনের ভাগ্য যুটতো না। অর্থনৈতিক ব্যবধান এতে এতটাই বৈষম্য দেখা দিয়েছিল যার কারণে পুর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল এর ফলশ্রুতিতেই বাংলাদেশ স্বাধীন অভ্যুদয় হয়।
শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্যঃ পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই কম ছিল এবং পূর্ব পাকিস্তানের অর্থ নিয়ে তারা পশ্চিম পাকিস্তানের বিশাল বিশাল মানসম্মত স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিল।

যদিও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পূর্ব বাংলার লোকজনই বেশি থাকার কথা ছিল কিন্তু পরিসংখ্যান হিসেবে বলা যেতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা পার্থক্য ছিল ৩৮% ও ৬২% এবং মাধ্যমিক স্কুলের ক্ষেত্রে ৩৬% ও ৬৪% পর্যন্ত ব্যবধান ছিল। এছাড়াও শিক্ষা ক্ষেত্রে আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল যার কারণে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

চাকরি ক্ষেত্রে পার্থক্যঃ পশ্চিম পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে সবাই বড় বড় পদে চাকরি করতো কিন্তু পুর্ব পাকিস্তানের লোকদের চাকরি তো দেওয়া হত না। যদিও দুই একটা দেওয়া হতো সে ক্ষেত্রে খুবই নিম্ন পদে।

তাদেরকে পরীক্ষার ক্ষেত্রে তারা বাংলা ভাষার পরিবর্তে উর্দু ভাষা ব্যবহার সে ক্ষেত্রে পুরো বাংলার মানুষ কেমনে তারা নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে। এভাবে তারা বৈষম্য শুরু করেছিল যার কারণে এই স্বাধীন বাংলা অভ্যুদয় স্বাধীন বাংলাদেশের।

রাজনৈতিক বৈষম্যঃ পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী তারাই কেন্দ্রীয় আইন পরিষদ গণপরিষদের যত বড় বড় প্রশাসনিক পদ রয়েছে। সকল কিছু তারাই দখল করে নিয়েছে বাঙ্গালীদের কে তারা প্রতিনিধিত্ব করতে দিত না। একমাত্র হোসেন সোহরাওয়ার্দী মন্ত্রিসভায় বাঙ্গালীদের ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব করেছিল কিন্তু কিছু চক্র পাকিস্তানি বাহিনীর কারণে বা ষড়যন্ত্রের কারণে তাকে এই পথ থেকে পদচ্যুত করা হয়েছিল।

সামরিক কারণঃ পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকে পুরো পাকিস্তানের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে তেমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ভৌগলিক কারণে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল কিন্তু তারা সামরিক দপ্তর অস্ত্র দপ্তর কারখানা সকল কিছুই পশ্চিম পাকিস্তানের দখলে ছিল। আইয়ুব খানের কথা ছিল পুরো পাকিস্তানের রক্ষা ব্যবস্থা সকল কিছু পশ্চিম পাকিস্তান করবে ১৯৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধ অসারতা ঘটেছিল যার কারণে বাঙালিরা ক্ষিপ্ত হয়েছিল।

শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসনঃ পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী কেন্দ্রকে শক্তিশালী করে তৎকালীন পুরো বাংলাকে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রেখেছিল।

পুর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তানের উপনিবেশ হিসাবে মনে করত, যার কারণে পুরো পাকিস্তানের জনগণ পশ্চিম পাকিস্তানের এই আধিপত্যকে ধ্বংস করার জন্য তারা বাংলাদেশের স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটিয়েছিল।

ছয় দফা আন্দোলনঃ পাকিস্তানের শাসকগণ তাদের অত্যাচার শোষণ নীতি অবিচার ইত্যাদির করার কারণে ছয় দফা আন্দোলন হয়েছিল যা বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে পরিচিত, এ আন্দোলন ছিল মুসলমান হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকলে মিলেই এই আন্দোলনটা করেছিল।

যা ইতিহাসে ছয় দফা আন্দোলন নামে পরিচিত এবং বঙ্গবন্ধু এই ছয় দফা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন ছয় দফা বাংলার কৃষক শ্রমিক দিনমজুর মধ্যবিত্ত সকল জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে বাঙালির মুক্তির সনদ।

১৯৭০ সালের নির্বাচনঃ পাকিস্তান সৃষ্টির পর ২৩ বছরে কোন নির্বাচন হতে দেয়নি। পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ব বাংলায় কিন্তু ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে পূর্ব বাংলার জনগণ আওয়ামীলীগ অংশগ্রহণ করে এবং ব্যাপক ভোটে বিজয় লাভ করে।

কেন্দ্রীয় আসন সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ লাভ করেন এর পরেও পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী এই আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তুলে দিতে অনিহা প্রকাশ করেছিল। যার কারণেই পাকিস্তানের এই কে ভাঙ্গনের করার জন্য স্বাধীন বাংলাদেশের অধ্যায় ঘটেছিল।

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ বিশ্লেষণ ও ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। কেননা এ দেশের স্বাধীন হওয়ার পূর্বে ব্যাপকভাবে অত্যাচার শোষণ নিপীড়ন করা হতো। তাই এই বাংলাদেশের অভ্যুদয় এর ইতিহাস সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ তার ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতার এ দেশকে স্বাধীন করার জন্য তারা রক্ত দিতেও প্রস্তুত ছিল এবং বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে তুলে ধরার জন্য নিজেদের অস্তিত্ব কে রক্ষা করার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিল। 

২৫ শে মার্চ রাতে একটি অপারেশন সার্চ লাইন বলা হয়ে থাকে এই রাত্রিতে যা বাঙালিদের একটি অন্ধকারময় রাত বলা হয়ে থাকে, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিবেন এটা পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বুঝতে পেরেছিল। এজন্য ওই রাত্রিতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর পুরো ঢাকা কে আক্রমণ করেছিল।

২৫শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছিল কিন্তু তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রাত বারোটা বিশ মিনিটে অর্থাৎ ২৬ শে মার্চের প্রথম দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন যার ফলশ্রুতিতে এই ঘোষণার ভিত্তিতে এ দেশের জনগণ উৎসাহিত পেয়েছিল। যার কারণে এই জাতির মুক্তির জন্য লড়াই করেছিল এমন একটি মানুষ জনগণ নিজেকে উৎসর্গ করেছিল।

দেশের জন্য এত অল্প সময়ে এরকম জ্বালাময় বক্তৃতা পৃথিবীর কোন নেতা দিতে পারেনি, যার কারণেই তার এই সাথেই মার্চ 2২৬ শে মার্চ জন্য জনগণ এদেশের রক্ষা করার জন্য পাকিস্তানি বাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এমনই একজন মানুষ ছিলেন এবং বিশ্ব নেতা ছিলেন যার আহবানে সারা দেশের বাঙালি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে পড়েছিল এবং স্বাধীনতা ঘোষণা হওয়ার পরে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। 
কিন্তু বাঙালি জাতি তারা থেমে থাকেনি তার এই ঘোষণার ভিত্তিতেই কাজ করতে ছিল। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম এর মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। কোন কোন দেশ এটা নিয়ে আলোচনা করে আবার কোন কোন দেশের বিপক্ষে শক্তি হিসেবে কাজ করেছিল যেমন আমেরিকা স্বাধীনতার ঘোষণা যুদ্ধকালীন ক্ষেত্রে হয়েছিল।

পৃথিবীর কোথাও এরকম ঘোষণা দিয়ে একটানা দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করার ফলে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করেছে। এরকম ইতিহাস নেই একমাত্র আমেরিকাতে শুধু ঘোষণা দিয়েছিল কিন্তু যুদ্ধ দীর্ঘদিন যাবত যুদ্ধ হওয়ার ফলে তারা বিজয় লাভ করেছিলেন এবং তাদের ঘোষণা হয়েছিল যুদ্ধ ও চলাকালীন সময়ে ২৭৬ সালের ৪ই জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা হয়েছিল এবং ১৭৮৭ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর এটা সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা হয়।

এছাড়াও আরো বিভিন্ন রাষ্ট্রই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সংগ্রাম করেছিল ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বাধীনতার ঘোষণার পক্ষে চট্টগ্রাম জেলার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন।

এম এ হান্নান সহ আরো অনেকেই তারা এ স্বাধীনতার ঘোষণায় পর্যায়ক্রমে করেছিলেন বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই খবর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট তারা জেনেছিল বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন যে এদেশের মানুষ কে যদি উৎসাহিত করা যায় এবং সেটা তাদের অধিকারের ডাক দেওয়া হয় তাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য।

তাহলে তারা সাড়া দিয়ে দিবে তাই তিনি সাধনার স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশকে বাংলাদেশের অবধ্যায় ঘটিয়েছিলেন তিনি রাজনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত মূল্যবান নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশের রূপকল্প বলা হয়ে থাকে রূপকার বলা হয়ে থাকে।

এজন্য বঙ্গবন্ধুকে অসম্প্রদায়িক নেতা হিসাবে ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বর্তমান সমগ্র বাঙালি জাতির এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিকট অত্যন্ত সম্মানপ্রিয় এবং বঙ্গবন্ধুর নাম স্মৃতি হিসেবে রয়ে যাবে।

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস বলতে কি বুঝ

ইতোপূর্বে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ বিশ্লেষণ ও ইতিহাস সম্পর্কে আমরা জেনেছি এখন জানবো স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বলতে কি বুঝি? চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক তা হল ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট ব্রিটিশ শাসন উপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি পেয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র জন্ম হয়। এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারেনি বাঙালি মুসলমানরা সম্মিলিত স্বপ্নকে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ গুলো তারা পশ্চিম পাকিস্তানের এই শাসক গোষ্ঠীকে তারা মেনে নিয়েছিল।

পাকিস্তানের পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্বস্থান কে উপনিবেশিক মনে করত এবং তারা এই দুই দেশের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করে। প্রথম থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের উপরে বাঙ্গালীদের উপর বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাঙালিরা বিভিন্ন যার কারণে বাঙালি বিভিন্ন কর্মসূচি আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করার জন্য দাবি জানিয়ে আসতেছিল।

দীর্ঘদিন তাদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট ৬৬ সালের ছয় দফা ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান 7৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন সকল এবং সকল ক্ষেত্রেই তারা বিজয় লাভ করেছে সর্বোপরি 1971 সালে স্বাধীনতার যুদ্ধ মধ্য দিয়ে দেশের বাংলাদেশকে স্বাধীন বাংলাদেশের অবোধ্যয় ঘটিয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় রচনা

অনেকে জানতে চায় বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় রচনা সম্পর্কে তাই নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
ছবি
বঙ্গবন্ধু সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এদেশের শাসন পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছিলেন। তিনি ৫৫ বছরের ক্ষণস্থায়ী জীবনকে নিয়ে তেমন কোন মাথা ব্যাথা ছিল না এবং কারো কাছে তিনি মাথা নত করেনি। এজন্য তিনি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখতেন এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য বিভিন্ন চিন্তা চেতনা, পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

পরবর্তীতে এই দেশকে স্বাধীন করে বাংলাদেশ নামের এই দেশটি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল এবং জাতীয় পতাকা মানচিত্র এবং স্বাধীন ভূখণ্ড হিসেবে পরিচালিত হয়। বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা। ১৯৭১ সালেও ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন করেছিল এবং পরবর্তীতে মুক্তির পথ দেখেছিল।

১৭৫৭ সালের যুদ্ধে এদেশের মানুষ বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল কিছু মানুষ যাদের ষড়যন্ত্রের কারণে এদেশ স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল যার মাধ্যমে ১৯৪০ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্না দ্বিজাতি তথ্য পেশ করেছিলেন এর মাধ্যমে ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট পাকিস্তান এবং ১৫ ই আগস্ট নামের দুটি রাষ্ট্র স্বাধীন হয়।
পাকিস্তানের ভারত ব্রিটিশদের কাছে থেকে স্বাধীন হলেও বাঙালিরা পাকিস্তানের অধীরের ২৪ বছর বাঙালিরা রাজনীতি অর্থনীতি ভাষা শিক্ষা সংস্কৃতি চাকরি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বঞ্চিত হয়েছিল। এদেশের জনগণ তাদের উপর এতটাই অত্যাচারিত করা হতো যার কারণে তারা পরবর্তীতে আন্দোলন করেছিলেন। এদেশের মানুষের ৫৬% মানুষের বাঙালি জাতির বাংলা ভাষা ছিল যেটাকে তারা উর্দু ভাষায় পরিণত করার চেষ্টা করেছিল।

কিন্তু ১৯৫২ সালের ভাষা জন্য এদেশের বীর সন্তানরা রক্ত দিয়ে এই ভাষাকে রক্ষা করেছিল, উৎসাহিত হয়েই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের সাথে মার্চ রেসকোর্স ময়দান, বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখানে লাখো জনতার সামনে তিনি বক্তৃতা দিয়েছিলেন। যার কোন পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না এর ভিত্তিতেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে।

২৫ শে মার্চ রাত্রিতে নিরীহ বাঙ্গালীদের উপর পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং অনেক শিশু হত্যা করে এবং এই রাত্রিতেই বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কিন্তু এর পূর্বেই আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।

স্বাধীন করেছিলেন কিন্তু এ দেশ বিজয় লাভ করলেও বঙ্গবন্ধু স্বদেশে না ফেরা পর্যন্ত এই বিজয় পরিপূর্ণতা লাভ করেনি। পরবর্তীতে পাকিস্তান এর কারাবন্দি থেকে মুক্তি পেয়ে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের আগে জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছিলেন ফিরে আসেন দশ জানুয়ারি এ দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন।

হাজারো লক্ষ লক্ষ মানুষ তাকে দেখতে গিয়েছিলেন এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়েছিলেন তাছাড়া অনেক মানুষ বঙ্গবন্ধুকে দেখতে গিয়েছিলেন যার কারণেই আজকের এই বাঙালি জাতি স্বাধীন ও সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে। পেরেছিলেন তাই বাংলাদেশের অধ্যায়ের পিছনে বঙ্গবন্ধুর অবদান রয়েছে

আমাদের শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায় যে বাঙ্গালীরা বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হয়েছিল পুরো পাকিস্তানের লোকজনের বেঁচে থাকার অধিকার, তাদের সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সকল ক্ষেত্রেই বঞ্চিত করা হয়েছিল। তাই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কারণ বিশ্লেষণ হিসাবে ধরে নেওয়া হয়, পরবর্তীতে তারা এ দেশকে স্বাধীন করেছিল। আজকের এই পোষ্টটির থেকে যদি উপকার পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪