বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ ও করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

অনেকে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানেনা। তবে বিকাশ একাউন্ট বিভিন্ন কারণে বন্ধ হতে পারে। চলুন, বিকাশ একাউন্ট কি কারনে বন্ধ হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করতে গিয়ে ছোটখাটো কিছু ভুলের কারণে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু এই বন্ধ হওয়ার পিছনে কিছু কারণ থাকে। তাই বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয় কেন, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ

আপনার যদি বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে ধারণা না থাকে, তাহলে আজকের আর্টিকেল টি আপনার জন্য খুবই প্রয়োজন। চলুন, বিকাশ একাউন্ট কেন বন্ধ হয়েছে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিবে যখন সে মনে করবে যে, আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য কেউ অস্বাভাবিকভাবে লেনদেন করছে। যার কারণেই ওই একাউন্টটি বন্ধ করে দেয়। তবে অ্যাকাউন্টে সাময়িকের জন্য

বন্ধ রাখা হয়। এটা কাস্টমারের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থাটি নেওয়া হয়। যেন কাস্টমারের ভোগান্তি না হয় এবং ক্ষতি যেন না হয়। সেজন্যই বিকাশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা টি পালন করে থাকে এবং আপনার একাউন্টে যেন নিরাপদ থাকে।

আমরা অনেকেই বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে থাকি, অনেকে এর ব্যবহার সম্পর্কে জানি আবার অনেকেই জানিনা। একাউন্টে কোন কাজটি করলে ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে আমরা হয়তো অনেকে জানিনা। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট কেন বন্ধ হয় সে সম্পর্কে তুলে ধরা হলো।

অস্বাভাবিক লেনদেনের ক্ষেত্রেঃ বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হতে পারে অথবা অন্য কোন কারণ বন্ধ হতে পারে। এমন অবস্থায় যে ব্যক্তি এই হ্যাক করল সে ব্যক্তি দ্রুত চেষ্টা করে, এই বিকাশের টাকা গুলো অন্য বিকাশ নাম্বারে পাঠানোর জন্য, আর বিকাশে এ সকল অস্বাভাবিক লেনদেন এর ক্ষেত্রে একাউন্টের সুরক্ষার জন্যই বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করে দেয়। বিকাশ ফ্রড এটা ছাড়াও ব্যবহারকারীরাও অস্বাভাবিকভাবে অনেক সময় লেনদেন করে যার কারণে বিকাশ ওই অ্যাকাউন্টটা সাময়িকের জন্য বন্ধ করে দেয়।
পরপর তিনবার ভুল পিন নাম্বার দিলেঃ অনেকেই বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বার ভুলে যায় এর কারণে লগইন করতে গিয়ে অনেকবার চেষ্টা করে। এজন্য বিকাশ মনে করে যে এই মুহূর্তে একাউন্টটা সচল রাখলে হয়তো ব্যবহারকারী ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও বিকাশের পাসওয়ার্ড দুই বারের বেশি ভুল দিলেই যদি ঠিক না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে তৃতীয়বার আর দেওয়া যাবে না।

কারণ বিকাশ পরপর তিনবার ভুল পিন দিলেই বিকাশ একাউন্টটি বন্ধ করে দেয়। এটা ব্যবহারকারীর জন্য উপকার হয়ে থাকে কারণ বিকাশ মনে করে ব্যবহারকারী মূলত একাউন্ট সে ব্যবহার করছে না এই মুহূর্তে, সেজন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষ সাময়িকের জন্য বন্ধ করে থাকে।

অল্প সময়ের মধ্যে একই বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠালেঃ যদি ১৫ মিনিটের মধ্যে একটি বিকাশ নাম্বার থেকে একের অধিক সেন্ড মানি করলে, তখন বিকাশ কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্টটা সাময়িকের জন্য বন্ধ করে দেয়। একই নাম্বারে অল্প সময়ের মধ্যে আবার অধিক বার রিচার্জ করলে অর্থাৎ একই মোবাইলে অল্প সময়ের মধ্যে বারবার যদি রিচার্জ করেন।

সেই ক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হতে পারে, অনেকেই মোবাইল রিচার্জ করার সময় বাসায় এবং পরিশ্রম হয় সেজন্য বিকাশ ব্যবহার করে থাকে কিন্তু এটা ঠিক নয়। আবার অনেকেই ভুলবশত একবার রিচার্জ করলে ওই একই নাম্বার আবার রিচার্জ করতে চায়।

এতে একই ফোন নাম্বারে কম সময়ের মধ্যে অধিক বার রিচার্জ করার কারণে বিকাশ থেকে একাউন্টটা বন্ধ করে দিতে পারে। অল্প সময় বলতে বোঝাচ্ছেন ১৫ মিনিটের মধ্যে একই নাম্বারে দুইবার টাকা রিচার্জ করা যাবে না।

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয়

এতক্ষণ আমরা জেনেছি বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে, এখন জানব বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে সে ক্ষেত্রে কি করবেন। নিম্নেএ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

বিকাশ কর্তৃপক্ষ সাধারণত আপনার একাউন্ট সাময়িকের জন্য বন্ধ করতে পারে, এজন্য বিকাশ কাস্টমার সাপোর্ট এর নাম্বার গুলোতে অথবা লাইভ চ্যাট এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। এতে বিকাশ একাউন্ট সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য লাগবে।

সেটা একমাত্র বিকাশ একাউন্টের মালিকই দিতে পারবে। এজন্য বিকাশ প্রতিনিধি এই বিকাশ একাউন্টের মালিক কে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবে। যার কারণে সে নিশ্চিত হতে পারবে যে এই একাউন্টের মালিক সে।

যদি স্থায়ীভাবে কখনো বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়, তাহলে আর সেটা সচল করতে পারা যায় না, বিকাশ প্রথমে কখনো একাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে না। বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে আপনি যে কাজগুলো করতে পারেন, চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

  • বিকাশ সংক্রান্ত যত প্রয়োজন তথ্য আছে সেগুলো সংগ্রহ করে রাখুন
  • বিকাশ কাস্টমার সাপোর্ট বা লাইফ চাটে যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রথমতঃ বিকাশ সংক্রান্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করে আপনি বিকাশ কাস্টমার সাপোর্টে যোগাযোগ করতে পারেন। এরপর বিকাশ প্রতিনিধিরা বিকাশ একাউন্টের আপনি মালিক কিনা সেটা নিশ্চিত হবে। তাই কিছু তথ্য জানার জন্য আপনাকে প্রশ্ন করতে পারে।

এছাড়া সরাসরি বিকাশ কাস্টমার সার্ভিসে যদি যান সে ক্ষেত্রে আপনার আইডি কার্ড টা অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে যাবেন। এজন্য আগেই তথ্যগুলো আপনার সংগ্রহ করে রাখতে হবে, আর যে কাগজপত্র গুলো লাগবে তা হল;
  • জাতীয় পরিচয় পত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট সবগুলোর নম্বর লাগবে, যদি আপনি বিকাশ নাম্বার এগুলোর যে কোন একটি দিয়ে খুলে থাকেন।
  • এছাড়া আপনার জন্ম তারিখ লাগবে।
  • বিকাশ একাউন্টের নাম বা যে নামে আপনি দিয়েছেন।
  • শেষে কয়েকটা লেনদেন যদি করে থাকেন, তার যে কোন একটি লেনদেনের তথ্য লাগবে।
  • সর্বশেষ ব্যালেন্স কত ছিল।
  • পিতা-মাতার নাম প্রয়োজন হতে পারে।
দ্বিতীয়তঃ বিকাশ হেল্পলাইনে যদি কল করেন বা লাইভে যদি মেসেজ দেন, সেই ক্ষেত্রে যে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো আপনার লাগবে, তা হল;
  • বিকাশ কাস্টমার সাপোর্টের নাম্বার হলঃ 16247 এই নাম্বারে কল করবেন অথবা লাইভ চ্যাট এ মেসেজ দিতে পারেন।
  • আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টের যে সমস্যা হয়েছে সেটা বলতে হবে।
  • অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু যদি করতে চান তাহলে যে আইডি দিয়ে খুলছিলেন, তার নাম্বার জন্ম তারিখ এবং বিকাশ একাউন্টের বর্তমান ব্যালেন্স সর্বশেষ লেনদেন ইত্যাদি তথ্যগুলো লাগবে।
  • এই সকল তথ্য যেন ঠিক থাকে এবং সঠিকভাবে দিতে হবে।
  • আপনি যে বিকাশ একাউন্টের আসল মালিক সেটা যখন নিশ্চিত হবেন, সে ক্ষেত্রে আপনার একাউন্ট আবার চালু হয়ে যাবে।
  • বিকাশ লাইভ চ্যাটে আপনার আবেদনটি জমা হলে ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিকাশ থেকে আপনাকে সমস্যার ব্যাপারে কল দেবে এবং সমস্যাটি সমাধান করে দেবে।
আশা করি আপনার বিকাশ একাউন্ট যদি বন্ধ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে আবার পুনরায় চালু হয়ে যাবে।

বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন

আপনার বিকাশ একাউন্টে যদি অন্য কেউ চালাতে চায় সে ক্ষেত্রে পরিবর্তন করার প্রয়োজন হবে। তাই বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য কিভাবে করবেন তা আলোচনা করা হলো,

আপনার বিকাশ একাউন্ট এর মালিক পরিবর্তন করতে যদি চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আগে আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স জিরো রাখতে হবে। তারপর আপনাকে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যাওয়া লাগবে।
ছবি
বিকাশ একাউন্টের যিনি মালিক, মোবাইলের সিমের যিনি মালিক দুইজনকেই যেতে হবে। তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র ও সিম কার্ড এ সকল তথ্য নিয়ে যেতে হবে। সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে বিকাশ একাউন্ট এর মালিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে একাউন্টের অবস্থা উপর নির্ভর করবে।

বিকাশ একাউন্টের নাম্বার পরিবর্তন এই পদ্ধতিতে করা যাবে।
বিকাশ একাউন্টে একটি ভোটার আইডি কার্ড থেকে আরেকটি ভোটার আইডি কার্ডে মালিকানা পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে,

বিকাশ একাউন্টের নাম্বার পরিবর্তন করার ক্ষেত্রেঃ মোবাইল নাম্বার অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে ও বিকাশ একাউন্টের রেজিস্ট্রেশন যেন একই ব্যক্তির না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলেই মালিকানা পরিবর্তন করা যাবে, যে ব্যক্তির নামে বিকাশ একাউন্ট খোলা আছে সেই ব্যক্তি নিজের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিম কার্ডে বিকাশ একাউন্ট পরিবর্তন করতে পারবেন।
এছাড়া আপনার রবি সিমে বিকাশ একাউন্ট খোলা আছে, আপনি চাচ্ছেন গ্রামীন সিমে অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করবেন। এই অবস্থায় আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে bkash কাস্টমার কেয়ার সেন্টার চলে যাবেন। বিকাশ একাউন্টের নাম্বার পরিবর্তন করার জন্য যে পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করতে পারেন।

আপনার নিকটে যদি বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থাকে সেখানে খুজে নেবেন
বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স জিরো রেখে দিবেন।

বিকাশ একাউন্টের মালিক ও সিম কার্ডের মালিক দুজনের জাতীয় পরিচয় পত্রের নিয়ে কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যেতে হবে।

কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি আপনাদের তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করবে পূর্বের সিম কার্ডের বিকাশ একাউন্ট টা ডিলিট করে দেবে।

এরপরে আপনার নিজ নামে নিবন্ধন করা সিমে আপনার নামে বিকাশ একাউন্ট খুলে দেবে অথবা আপনি নিজেও খুলে নিতে পারবেন। এভাবে পুরাতন সিমের একাউন্ট ডিলিট করে দিয়ে নতুন সিমে বিকাশ একাউন্ট খুলবেন কিভাবে বা পরিবর্তন করবেন আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

এক ভোটার আইডি কার্ড থেকে অন্য ভোটার আইডি কার্ডে বিকাশের মালিক পরিবর্তন করাঃ আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে যে সিম টি কিন্তু এটা আপনার বড় ভাইয়ের নামে বিকাশ করা আছে। এক্ষেত্রে আপনি চাচ্ছেন আপনার ভাইয়ের নাম পরিবর্তন করে সেখানে আপনার নামে বিকাশ একাউন্ট করবেন।

এটা কিভাবে করা যায় সে ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর পরিবর্তন করা যাবে না। তাহলে এক ভোটার আইডি কার্ড থেকে অন্য ভোটার আইডি কার্ডে বিকাশ একাউন্ট এর ক্ষেত্রে মালিক পরিবর্তন করবেন, কিভাবে এই ক্ষেত্রে প্রথমে বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স যদি থাকে সে ক্ষেত্রে জিরো করে নেবেন এবং নিচের পদ্ধতি গুলো দেখে নিবেন।

আপনার নিকটস্থ কোনো বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থাকলে সেখানে যাবেন।

বিকাশ একাউন্টের যিনি এখন মালিক রয়েছেন ও সিম কার্ডের মালিক যিনি এই উভয় ক্ষেত্রেই জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি নিয়ে কাস্টমার সেন্টারে যেতে হবে।

কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে প্রতিনিধিগণ আপনার তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখবে, এরপর আপনার ভাইয়ের নামের বিকাশ একাউন্ট টা ডিলিট করে দেবে। তারপরে ওই সিমেই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে নতুন বিকাশ একাউন্ট খুলে দেবে। আপনি নিজেও খুলতে পারবেন, এভাবে আপনার ভাইয়ের নামের বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করে দেবে এবং আপনার নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।

বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম

ইতিপূর্বে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এখন আমরা জানবো কিভাবে বিকাশে টাকা দেখা যায়, এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বিকাশে কিভাবে টাকা দেখবেন এটা খুবই সহজ একটা বিষয়। দুটি উপায় আপনি এই ব্যালেন্স চেক করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মোবাইলের মাধ্যমে এবং বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনি চেক দিতে পারবেন। তা হলো;
  • *247# এই নম্বরটিতে ডায়াল করতে হবে।
  • এরপর বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমেও দেখতে পারবেন। নিচে দুটি পদ্ধতি বিস্তারিত তুলে ধরা হলো
  • বিকাশের ব্যালেন্স চেক দিবেন যেভাবে তা হল, *247# এ নাম্বারটি ডায়াল করলে আপনার ব্যালেন্স চেক হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে কিভাবে ধাপে ধাপে যাবেন তা নিচে বলা হলো,
  • প্রথমে *247# এই নম্বরটিতে ডায়াল করবেন।
  • তারপরে My bkash এই অপশনটি নিয়ে আসতে আপনাকে ৮ লিখতে হবে এবং সেন্ড করবেন।
  • Balance check দেওয়ার জন্য ১ লিখবেন এবং সেন্ড বাটনে চাপ দিবেন।
  • আপনার বিকাশ পিন নাম্বার টি দিবেন এবং সেন্ড করবেন।
  • তারপরে আপনার মোবাইলে বিকাশের ব্যালেন্স দেখা যাবে।
এখন অ্যাপের মাধ্যমে কিভাবে দেখতে পারবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো, তা হলো; প্রথমে অ্যাপটি ওপেন করার পর বিকাশের ব্যালেন্স চেক কিভাবে করবেন সেটা ধাপে ধাপে বলা হলো,
  • প্রথমে বিকাশ অ্যাপটি চালু করবেন।
  • বিকাশের পিন নাম্বারটা দিতে হবে এবং লগইন করবেন।
  • তারপর ব্যালেন্স দেখুন অথবা check balance এই অপশনটিতে ক্লিক করবেন।
  • তাহলেই আপনার বিকাশ একাউন্টে কত টাকা আছে সেটা দেখতে পারবেন।

বিকাশ হেল্প লাইন নাম্বার

আপনার একাউন্টের কোন সমস্যা হলে সেই ক্ষেত্রে বিকাশ হেল্প লাইন নাম্বার প্রয়োজন হতে পারে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে নিম্নে এ সম্পর্কে সকল তথ্য তুলে ধরা হলো,
ছবি
বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বারঃ বিকাশের সমস্যা দেখা দিলে সমাধান এর ক্ষেত্রে কাস্টমার কেয়ারে কল দিতে পারবেন। এজন্য একটি পাঁচ সংখ্যার নাম্বারটিতে আপনাকে কল করতে হবে। শুধুমাত্র বিকাশ একাউন্টের জন্য যে সমস্যা আছে সেজন্য কল করবেন। এছাড়া অন্য কোন ক্ষেত্রে কল দেবেন না, এক্ষেত্রে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার হলো ১৬২৪৭ , যদি আপনার বিকাশে কোন সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে প্রথমে এই নাম্বারে কল করতে পারেন।

এরপর কাস্টমার কেয়ারের প্রতিনিধি এর সাথে কথা বলে আপনার সমস্যাগুলো তুলে ধরবেন। যদি অল্প কোন সমস্যা হয় তাহলে তারা মোবাইলে সমাধান করার চেষ্টা করবে।আর যদি জটিল সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে আপনাকে কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহের শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার এদের অফিস খোলা থাকবে।

সাপ্তাহিক শুক্রবার এবং সরকারের ছুটির দিনে অফিসগুলো বন্ধ থাকবে। সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত কাস্টমার কেয়ার এর নাম্বার গুলোতে আপনি যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। যেকোন সিমের অপারেটর নাম্বার থেকে কল করতে পারবেন তবে আপনার যে নাম্বারটি বিকাশে খোলা আছে সে নাম্বার দিয়ে কল ওই নাম্বার দিয়ে কল দিয়ে সমস্যার কথা বললে ভালো হয় তবে ওই নাম্বার দিয়ে কল দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার হেল্প লাইনের নাম্বারঃ বিকাশ প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে বলতে যদি চান সেই ক্ষেত্রে আরো কিছু নাম্বার রয়েছে, এ তো কলই নাম্বারগুলো করতে পারেন এদের হেল্পলাইন নাম্বার হল ০২-৫৫৬৬৩০০১ এই নাম্বারটিতে কল করে বিকাশ হেল্প এর ক্ষেত্রে সমস্যার কথাগুলো বলে তুলে ধরবেন।
এতে আপনার সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবে এবং এদের একটি সাপোর্ট জিমেইল নাম্বার আছে তা হল; support@bkash.com এই gmail নাম্বারটিতে আপনি মেইল করতে পারেন এতে আপনার সমস্যার কথাগুলো তুলে ধরবেন।

লাইভ চ্যাট এর ক্ষেত্রে লিঙ্ক হলোঃ  http://www.bkash.com/help/livechat

তারপর বিকাশের ফেসবুক পেজ লিংক হলঃ  https://www.facebook.com/bkashlimited

ফ্যাক্স নাম্বার হলঃ  ০০৮৮-০২-৯৮৯৪৯১৬

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বারগুলোতে কল করে যে সকল সমাধান পাবেনঃ আপনার বিকাশ একাউন্টে যত ধরনের সমস্যা রয়েছে এই নাম্বারে কল করে হয়তো সমাধান পেতে নাও পারেন। এজন্য আপনার বড় ধরনের কোন সমস্যা হল অবশ্যই কাস্টমার কেয়ার সেন্টার যাওয়াই ভালো। সাধারণ কিছু সমস্যার জন্য কাস্টমার কেয়ার নাম্বারে ফোন করে আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। 

একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন এর আইডি কার্ড পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন একাউন্ট ডিলিট করতে চাচ্ছেন এ সকল কাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই সরাসরি কাস্টমার কেয়ার সেন্টার যেতে হবে। তা না হলে এগুলো কল করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না।

এক্ষেত্রে এই সমস্যাগুল নিচের কিছু ছোটখাটো সমস্যার জন্য আপনি কল করতে পারেন সে নাম্বারটি হল ১৬২৪৭ এই নাম্বারটি কল করে আপনার সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারেন এবং আপনার সমাধান পাবেন তা হল,
  • নতুন পিন নাম্বার সেট করতে চাচ্ছেন
  • পিন পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন
  • অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যদি থাকে সে ক্ষেত্রে রিকভার করতে চাচ্ছেন।
  • একাউন্টের ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাচ্ছেন
একাউন্টটা লগইন করতে পারছেন না এই ধরনের সমস্যাগুলো হেল্পলাইনগুলোতে কল করে আপনি জানতে পারবেন মূলত এই দুটি নাম্বারে কল দিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।

আমাদের শেষ কথা

দৈনন্দিন জীবনে আমরা লেনদেনের ক্ষেত্রে বিকাশের মাধ্যমেই সাধারণত করে থাকি, এক্ষেত্রে বিকাশ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। তাই যদি কোন কারণে আপনার একাউন্টটি বন্ধ হয় সেজন্য বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ গুলো নির্ণয় করবেন। এরপর জন্য চালু হওয়ার জন্য কি করতে হবে তা কিভাবে চালু করবেন। তা উপরোক্ত প্রশ্নের মাধ্যমে হয়তো এতক্ষণে জানতে পেরেছেন। পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪