ফেসবুক পেজের ফলোয়ার বাড়ানোর উপায় ও কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানুন
ফেসবুক পেজের ফলোয়ার বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে না জেনে, ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্য করা যাবে না। তাই ফেসবুক পেজের ফলোয়ার বাড়াতে নিয়ম-কানুন জানতে হবে। চলুন, কিভাবে ফেসবুকের ফলোয়ার বাড়াবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমানে ফেসবুক একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে, সেজন্য আপনি ফেসবুক পেজ খোলা থেকে শুরু করে ফলোয়ার বাড়ানো সম্পর্কে জানতে হবে। তাই ফেসবুক পেজের ফলোয়ার বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃফেসবুক পেজের ফলোয়ার বাড়ানোর উপায় ও কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানুন
ফেসবুক পেজের ফলোয়ার বাড়ানোর উপায়
ফেসবুক পেজের ফলোয়ার বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জেনে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্য করতে হবে। কারণ বর্তমানে ফেসবুকের পেজের মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্য একটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে সবাই এই প্লাটফর্মটি ব্যবহার করছেন, তাই প্রতিযোগিতা বেশি এজন্য আপনাকে এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস জানতে হবে। তাহলে আপনি অনলাইন এর মাধ্যমে ভালো ব্যবসা করতে পারবেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ফলোয়ার বাড়াবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
প্রথমে আপনার পেজের মাধ্যমে যে ব্যবসা-বাণিজ্য করবেন, তার সাথে সম্পর্ক রেখে সুন্দর একটি নাম দিতে হবে। নামটা যেন খুবই সহজ হয় যাতে করে লোকজন সার্চ করে খুঁজে পায়। আনকমন যেন হয়, তাহলে আরো ভালো হয়, কারন নাম দেখে আপনার পণ্য বিক্রি হবে, তাই নামটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রোফাইল খুবই সুন্দর করে সাজাতে হবে বিশেষ করে ডেসক্রিপশন, স্লোগান, ঠিকানা, খোলা থাকার সময়, ওয়েবসাইট ফোন নাম্বার লোকেশন সব কিছু সুন্দর করে লিখতে হবে। কোন মিথ্যা তথ্য দেওয়া যাবে না, একটি সুন্দর করে ভিডিও কাভার তৈরি করতে পারেন। তাছাড়া যদি কোন ছবি আপলোড করতে চান সেই ক্ষেত্রে সুন্দর ক্যাপশন লেখবেন। পেজের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পোস্টটাকে পিন করে রাখতে পারেন।
আপনার ফলোয়ার যদি বাড়াতে চান তাহলে অন্য পেজে লাইক করবেন কমেন্ট করবেন এবং সেই পেজের প্রশংসা করবেন তাহলে আপনাকেও ফলো করবে।
আপনার পেজের মাধ্যমে যদি ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চান বা পণ্য বিক্রি করতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সাইন আপ বাটন রাখতে হবে। আর সেটা আপনি সেন্ড মেসেজ নামের অপশনটি রাখতে পারেন। আবার অনেকে শপ সেকশনও রাখতে পারে কিন্তু সে ক্ষেত্রে আইটেম অনেক বেশি থাকলে ভালো হয়। তবে সাধারণত সেন্ড মেসেজ বা কল বাটন এর ব্যবহার সব থেকে বেশি হয়ে থাকে।
আপনার পেজের ফ্যান ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য কাস্টমারদের আলাদা মতামতের বা পোস্ট শেয়ার করার জন্য একটি গ্রুপ খুলতে পারেন। সে ক্ষেত্রে এই গ্রুপ খোলার কারনে আপনি অর্গানিক ফলোয়ার পাবেন।
আপনার পেজের ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। একটি উপায় হচ্ছে লাইভ ভিডিও করা এবং পেইজের মাধ্যমে বেশি বেশি লাইক করতে হবে। ভিডিও বর্তমানে ফেসবুক লাইভ ভিডিও কে গুরুত্ব দিয়েছেন। আর এগুলো নিউজ ভেবে রাখার চেষ্টা করে মজার কোন বিষয়গুলো টিউটোরিয়ালে দেখাতে পারেন।
চেষ্টা করবেন অল্প কথার মধ্যে বেশি তথ্য দেওয়া দিয়ে পোস্ট করার জন্য এতে রিচ হয় বেশি এবং একটি আদর্শ পোস্টের দৈর্ঘ্য হবে ৪০ থেকে ৮০ টি শব্দ।
পেজের ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য বানানো কোন কথা দিয়ে ভুল কিছু তথ্য দিয়ে পোস্ট করবেন না। কারণ এই ভুয়া তথ্য যদি আপনার ফেসবুক বুঝতে পারে, তাহলে রিপোর্ট পেলে আপনার পেজটা আর কাজ করবে না।
কাস্টমার সার্ভিসের ক্ষেত্রে তারা যখন কমেন্ট করে দ্রুত গতিতে কমেন্টে রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে ক্রেতাগণ আপনার প্রতি বেশি ইমপ্রেস হবে এবং অটোমেটিক রিপ্লাই আপনার পেজ এর সেটিং অপশনে গিয়ে দেখবেন রেসপন্স অ্যাসিস্ট্যান্ট সিলেক্ট। এই অপশনটি তে গিয়ে সেন্ড ইনস্ট্যান্ট রিপ্লাই এই অপশনটি সিলেক্ট করে নেবেন।
এর পরে চেঞ্জ করে নেবেন আপনার ইচ্ছামত, কাস্টমারা যে ধরনের প্রশ্ন করতে পারে, সেরকম ধরনের উত্তর সেটআপ করে দিবেন এবং যদি বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য করতে চান সেই ক্ষেত্রে বাংলায় লেখার চেষ্টা করবেন অবশ্যই এটা সেভ করে নেবেন।
কিভাবে ফেসবুকে ফলোয়ার অপশন চালু করবো
ফেসবুক ফলোয়ার বাড়ানোর পূর্বে কিভাবে ফেসবুকে ফলোয়ার অপশন চালু করবো সে সম্পর্কে আগে জানতে হবে। চলুন, সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি আপনার ফেসবুকের ফলোয়ার বাটন যুক্ত না করেন, সে ক্ষেত্রে আপনার আইডিতে ফলোয়ারস অপশন টা দেখতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আপনার ফেসবুক আইডিতে ফলোয়ার অপশনটি চালু করে নিতে পারেন। তাহলে আপনার আইডিতে ফলোয়ার বাটনটি দেখতে পারবেন।
তাই যদি কেউ আপনার ফেসবুক আইডিতে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর পরিবর্তে ফলো করবে। আপনার ফেসবুক যদি ওপেন করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ফেসবুক আইডিতে অবশ্যই আপনার বয়স ১৮ বছর উর্ধ্বে দিতে হবে। বাস্তবিক জীবনে আপনার বয়স যাই হোক না কেন ফেসবুক আইডি তো অবশ্যই আপনার ১৮ বছর দিতে হবে।
যখন আপনি ফলোয়ার বাটন যুক্ত করবেন তখন থেকে কেউ আপনাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে সেটা যদি বাটনে চাপ দিয়ে দিলে আপনার ফলোয়ার বেড়ে যাবে। এরপর আপনার প্রোফাইলে আপনি দেখতে পারবেন, আপনার ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখবেন যে কতজন আপনাকে রিকোয়েস্ট করেছে এবং ফলো করেছে।
এক্ষেত্রে আপনি প্রোফাইলে দেখতে পারবেন আর আপনার ফেসবুকের প্রোফাইলে বর্তমান যারা ফলো করবে তারা সকল কিছু বিস্তারিত তথ্য আপনার প্রোফাইলে গেলেই দেখতে পারবেন। তাছাড়া ফেসবুক আইডিতে ফলো বাটন সংক্রান্ত সংখ্যাও বাড়তে থাকবে এজন্য অবশ্যই আপনার ফেসবুক পেজে ফলোয়ার বাটনটি অপশনটি রাখবেন যাতে করে লোকজন আপনাকে ফলো করে।
ফেসবুক ফলোয়ার দেখবো কিভাবে
ইতিপূর্বে আমরা ফেসবুক পেজের ফলোয়ার বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জেনেছি, এখন ফেসবুক ফলোয়ার দেখার জন্য কি করতে হবে। সে সম্পর্কে জানব চলুন, নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
আপনার ফেসবুক একাউন্টে যদি ফলোয়ার অপশন চালু করে থাকেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই তথ্যগুলো জেনে রাখা ভালো এবং কারা আপনাকে ফলো করছে সে বিষয়গুলো জানতে হবে। আপনি সহজেই একটি পদ্ধতির মাধ্যমে ফেসবুক আইডিতে ফলো কারা করেছে সেই ব্যক্তি গুলোকে দেখতে পারবেন।
তবে এই কাজটি করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম ফেসবুক আইডিতে লগইন করতে হবে এবং আপনার ফেসবুক আইডিতে প্রোফাইলে গেলে আপনার প্রোফাইলে যদি ফলোয়ার বাটন চালু করা থাকে সেই ক্ষেত্রে ফলোয়ার সংখ্যা দেখতে পারবেন। এজন্য অপশনটির উপর ক্লিক করলেই কত লোক আপনাকে ফলো করেছে সেটা দেখতে পারবেন।
যখন আপনার ফলোয়ার সংখ্যার উপরে ক্লিক করবেন তখন আপনার পেজের ফলোয়ারের কারা কারা আছে তাদের তথ্য সম্পর্কে আপনি জেনে নিতে পারবেন। আপনার ফলোয়ার দেখার পাশাপাশি আপনার যে ফ্রেন্ড সার্কেল রয়েছে তাদেরও ফলোয়ার গুলো সম্পর্কে আপনি জেনে নিতে পারবেন।
এছাড়া যে কোনো ফলোয়ার সংখ্যা কিংবা ফলোকৃত ব্যক্তিদের দেখার জন্য আপনাকে ফলোয়ার সংখ্যার উপর ক্লিক করতে হবে এবং তার ব্যক্তিগত প্রোফাইলে ক্লিক করলে আপনি তার সম্পর্কে জানতে পারবেন। যেকোনো ফেসবুকের ফলোয়ার দেখানোর পদ্ধতি উপরক্ত এই পদ্ধতিটাই আপনি অবলম্বন করতে পারেন, খুবই সহজ একটি বিষয়।
ফেসবুকে ফলোয়ার কমে যাওয়ার কারন কি
অনেকেই জানতে চায় ফেসবুকে ফলোয়ার কমে যাওয়ার কারন কি, তাহলে এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
ফেসবুকের ফলোয়ার কমে যাচ্ছে Bot Account এর মাধ্যমে যারা ফলোয়ার বাড়িয়েছে। তাদের একাউন্ট গুলো রিচ করেনি। যারা Bot Account এর মাধ্যমে অটো ফলোয়ার নেয়নি তাদের তেমন একটা সমস্যা হয়নি বা যদিও সমস্যা হয়ে থাকে তাদের সমাধান হয়ে যাবে।
তবে বিষয়টি ফেসবুকে মূল প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছু বলে নাই এক্ষেত্রে যেসব প্রতিষ্ঠানের ফলোয়ার গুলো হারিয়ে গেছে সেই ক্ষেত্রে তারা কিভাবে ফিরে পাবে আর সে সম্পর্কে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তেমন কিছু জানায়নি।
তবে এক প্রতিবেদন জানা যায় যে এই ফেসবুকের এই হঠাৎ করে ফলোয়ার কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে তেমন জানা যায়নি কিন্তু এই কমে যাওয়ার বিষয়টা ফেসবুকের যিনি প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ তারও ফলোয়ার্স কমে গেছে। এজন্য এটা বলা হয়ে থাকে ফেসবুকের একটি বাগ আবার পুনরায় ফিরে পাওয়া যাবে বা এর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এতে চিন্তার কোন কারণ নেই।
ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার উপায়
এতক্ষণে আমরা ফেসবুক পেজের ফলোয়ার বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জেনেছি, এখন ফেসবুক পেজ কিভাবে জনপ্রিয় করা যায় সে সম্পর্কে জানবো। নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে মানুষ এখন উদ্যোক্তা হচ্ছে। করোনার মধ্যে এই অনলাইনের ব্যবসা সবচাইতে জনপ্রিয় হয়েছিল। বিশেষ করে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনেকে ফেসবুক খুলে সুন্দর করে একাউন্টটা সাজিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য তারা বিক্রি করেছে এবং বাসায় বাসায় পৌঁছে দিয়েছে।
এজন্য জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম হল ফেসবুক পেজ আর এই ফেসবুক খুলে কাঙ্খিত অডিয়েন্স যদি আপনার না পান সেই ক্ষেত্রে আপনার পণ্যের বিক্রি হবে না। তাহলে কিভাবে আপনার ফেসবুক পেজটা জনপ্রিয় করবেন সে বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।
আর শুধুমাত্র ফেসবুকে পোস্ট করলেই যে আপনি জনপ্রিয় হবেন তা কিন্তু নয় এই পোস্টটা সুন্দর করে সাজানোর জন্য আপনাকে এ সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। ফেসবুক পেজ খোলার আগে এবং পরে কিছু পরিকল্পনা করতে হবে এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করা দরকার।
ফেসবুক পেজের লাইক ফলোয়ার বাড়াতে হলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং পাশাপাশি কাজের দক্ষতা বাড়াতে হবে। মনোযোগ সহকারে কাজ করতে হবে এই বিষয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনি কাজ করলে এবং মনোযোগ দিয়ে কাজ করলে আপনার লাইক ফলোয়ার বাড়বে এবং পেজটা জনপ্রিয় হবে।
প্রোফাইল গোছানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে অনেকেই ফেসবুক পেজ খুলে শুধুমাত্র প্রোডাক্ট এর পোস্ট আপলোড করতে থাকে। এটা কখনোই ঠিক নয় কারণ ফেসবুক পেজ খোলার আগেই প্রোফাইল গোছাতে হবে এবং একটি ভালো নাম নির্বাচন করতে হবে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হবে অর্থাৎ এসইও করতে হবে। আর তার সাথে বিষয় ভিত্তিক বিষয়টা নির্বাচন করতে হবে। ফেসবুক পেজের ইউআরএল যথাসম্ভব সাদাসিধে রাখার চেষ্টা করবেন, প্রোফাইলের কাভার ফটো লোগো আকর্ষণীয় হতে হবে যথাসম্ভব সিম্পল রাখার চেষ্টা করবেন।
প্রোডাক্ট আপলোড করার এসব কিছু করার জন্য পেজের ডেসক্রিপশন ঠিকানা তারপর ওয়েবসাইট যদি থাকে ফোন নাম্বার লোকেশন সব কিছু সুন্দর করে সাজাতে হবে, প্রফেশনাল ভাবে পেজটা খুলতে হবে।
অন্য পেজ ফলো করতে পারেনঃ অনেকেই বুঝতে পারে না কিভাবে বিষয়গুলো ঠিক করবেন সে ক্ষেত্রে অন্য একটি ফেসবুক পেজের নিজের পেজের সাথে লিংক কিংবা পেস্ট ফলো করার জন্য অনুরোধ করতে পারেন।
এই ধরনের কাজকে সাধারণ সরাসরি যদি আপনি কোন পেজের হুবহু কিছু নিয়ে ফেলেন তাহলে সে ক্ষেত্রে ওই পেজ কর্তৃপক্ষ যদি রিপোর্ট করে তাহলে আপনার পেজটা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই আপনার পেজ থেকে আপনার পেজের প্রতিযোগী গঠনমূলকভাবে সুন্দর করে কমেন্ট করতে পারেন।
এমন পোস্ট কমেন্ট করবেন যেন স্পামিং না হন। এভাবে পেজের ইম্প্রেশন ভালো রাখার জন্য অর্গানিক ফলোয়ার আসবে। তবে আপনি কারো পেজে কমেন্ট করতে গেলে খুব সুন্দর করে গঠনমূলকভাবে কমেন্ট করবেন এটা আপনার ফলোয়ার বাড়বে।
ভিজুয়াল মিডিয়ার সাহায্য নিনঃ একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে বিগত কয়েক বছরের আপডেটে দেখা যাচ্ছে যে ফেসবুকে এখন স্কোরিং ফিচার উন্নত করতে পেরেছে। এই স্কুলিং এর কারণে এখন মানুষ মনোযোগ দিয়ে আকর্ষণভাবে ভিজুয়াল মিডিয়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন কিন্তু অনেকেই শুধু পণ্যের যেমন তেমন ছবি দিয়েই পোস্ট পাবলিশ করতে থাকে।
আবার অনেকে গুগল থেকে ছবি নিয়ে আপলোড করে দেয়, এমনটা ঠিক নয় আপনার এটার জন্য কাঠামোগত ভাবে ছবি তুলে নিজেই ভিডিও করতে পারেন। এরপরে দক্ষতার সাথে এডিটিং করবেন তারপরে প্রয়োজনে কাউকে নিয়োগ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে নিজের একটি পণ্য ব্যতিক্রম ভাবে আপনার ভিডিও অথবা ছবি গ্রাফিক ডিজাইনার মাধ্যমে পোস্টটা পাবলিস্ট করলে সবচাইতে ভালো হবে।
ফেসবুক পেজের প্রচারণার জন্য গ্রুপ বানানঃ করোনার মধ্যে অনেকেই খেয়াল করে দেখেছেন ফেসবুক তাদের অভিযোগ সংগ্রহ এবং সমস্যার সমাধানের জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্রুপ খুলে থাকে। এই ক্ষেত্রে আপনার পেজের মেসেজ কিংবা অভিযোগ গ্রহণের জন্য একটি বাড়তি চাপ কমবে।
সে ক্ষেত্রে নিয়মিত গ্রাহকরা আপনার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে। এভাবে আপনি যদি সুন্দর করে একটি গ্রুপ খুলতে পারবেন তাহলে আপনার ফলোয়ার বাড়বে। এছাড়া আপনার নিয়মিত গ্রাহকরা আপনার পেইজে অন্যদের সাথেও এই পণ্যটা নিয়ে কথা বলতে পারবে এতে আপনার অর্গানিক লাইক কমেন্ট পাবেন।
লাইভে অংশগ্রহণ করাঃ ভিডিও কিংবা পোস্টের মাধ্যমে ফেসবুক লাইভ এ আপনি আসতে পারেন। এতে করে পেজের প্রমোশন বাড়বে এবং বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ সংগ্রহের জন্য লাইভ করা যেতে পারে অনেক সময় পেজে টিউটোরিয়াল করে আপনি মানুষকে দেখাতে পারবেন। সেই সাথে ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে পেজের সাথে সংযোগ করে দিবেন। পাশাপাশি গুগল থেকেও আপনি আয় করতে পারেন।
পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবেঃ ফেসবুকের কনটেন্ট বা পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে খুবই দক্ষ হওয়া দরকার। আজকাল অনেক কনফারেন্স শুধুমাত্র অনলাইন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে দেখা যায় হুবহু কপি করে থাকে।
ফেসবুকে এতটাই শক্তিশালী যে এই লেখাগুলো তারা ধরতে পারে। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি সঠিক তথয দিয়ে আপনি সুন্দর করে পোস্টটা সাজিয়ে লিখবেন। এবং শব্দগুলো তথ্যবহুল হতে হবে পোস্টের পরিমাণও দিকে যত্নশীল হতে হবে।
ভুল তথ্য ভুলেও দিবেন নাঃ পেজের ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য অবশ্যই ভুল তথ্য কিংবা মিথ্যা কোন তথ্য দিয়ে আপনার পোস্ট সাজানো যাবে না। এতে আপনার কাস্টমাররা অসন্তুষ্ট হবে এবং প্রতারিত হবে এই ক্ষেত্রে যদি ফেসবুক বুঝতে পারে তাহলে ফলোয়াররা যদি রিপোর্ট করে সেই ক্ষেত্রে ফেসবুক আপনার ফেসবুক পেজটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পোস্ট করার সময়ঃ সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হলো আপনার ফেসবুক পেজের পোস্ট কখন করবেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে মানুষ কখন অ্যাক্টিভ থাকে সেই সময় যদি আপনি আপনার পোস্টটা পাবলিশ করেন সে ক্ষেত্রে দ্রুত মানুষের কাছে রিচ করবে এবং মানুষজন দেখতে পারবে।
আপনার পণ্যটা বিক্রি হবে আপনি লাভবান হবেন সেই ক্ষেত্রে আপনি দেখবেন যে কোন টাইমে একটি পোস্ট করে দেখবেন যে কোন টাইমে বেশি লাইক কমেন্ট এবং ফলো করে থাকে এবং সাথে সাথে যদি কেউ আপনার ফলোয়ার যদি কেউ কমেন্ট করে সে ক্ষেত্রে দ্রুত রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
এতে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয় এবং পরবর্তীতে ফলোয়ারও বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে অবশ্য একটি ইনস্ট্যান্ট রিপ্লাই সিস্টেম চালু করে রাখবেন। তাহলে দ্রুতগতিতে তারা উত্তর পেয়ে যাবেন।
ফেসবুক পিক্সেলের ব্যবহারঃ আইপি কিংবা ট্যাগ ও টেক সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার। ফেসবুক পিক্সেল ব্যবহার করতে পারেন আর ব্যবহার করলে আপনার ব্যবসার আরো উন্নতি হবে এবং সেজন্য আপনার একটা ওয়েবসাইট থাকতে হবে। একটি ছোট একটি কোড সিস্টেম এই কোডের মাধ্যমে আপনার ফেসবুকে ভিজিট করবে গ্রাহকরা।
সেজন্য ওয়েবসাইটের যদি আপনার থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার ফেসবুক পেজে ওয়েবসাইটের লিংক কমেন্ট বক্সে দিয়ে দিতে পারেন। তাহলে তারা বিস্তারিতভাবে ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। এতে করে আপনার অডিয়েন্সটা আরো ভালোভাবে পূর্ণ সম্পর্কে জেনে তারা ক্রয় করতে পারবে। সেক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইট থাকা খুবই জরুরী।
বেশি বেশি বুস্টের দিকে যাবেন নাঃ বুস্ট করলেই যে আপনার ফলোয়ার বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার পণ্য বেশি ক্রয় হবে এই ধারণাটা একদমই ভুল। কারণ বাস্তবে এটা প্রয়োগ করলে দেখা যায় ফলোয়ার কমে যায়, সে ক্ষেত্রে পোস্ট করার ক্ষেত্রে বারবার আপনার বুস্ট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই টাকা শুধু অপচয় হয়ে থাকে। এজন্য আপনার ফেসবুকের এডভাইস এর ক্ষেত্রে মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার জ্ঞান রাখতে হবে।
নিজের একটি টিম থাকতে হবেঃ অনেক নামিদামে ফেসবুক ব্রাঞ্চ এরাও তাদের ব্যবস্থাপনার ভালো না থাকার কারণে তাদের ফেসবুক পেজটা বন্ধ হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে আপনার সুন্দর একটি পরিকল্পনার সাথে টিম গুছিয়ে নিতে হবে। তাহলেই প্রত্যেকটা ব্যাপারে এক একজন করে লোক নিয়োগ দিলে সুন্দর করে কাজ করতে পারবে।
আমাদের শেষ কথা,
অবশেষে বলা যেতে পারে যে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন জানতে হবে, তাহলে আপনার ফেসবুক ফলোয়ার বাড়বে। তাই ফেসবুক পেজের ফলোয়ার বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে উপরোক্ত পোষ্টের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। আশা করি সেখান থেকে জেনে নিতে পারবেন। পোস্টটা যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url