হুদায়বিয়ার সন্ধির গুরুত্ব ও তাৎপর্য এবং যারা এই চুক্তি ভঙ্গ করেছিল

হুদায়বিয়ার সন্ধির গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে।কারণ এটা ছিল কুরাইশদের সাথে একটি সন্ধি যা পরবর্তীতে রাসুল সঃ বিনা যুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিলেন। চলুন, হুদাইবিয়ার সন্ধির সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
এই হুদাইবিয়ার সন্ধির মাধ্যমে রাসুল সাঃ এর রাজনৈতিক প্রতিভা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন। যার কারণে এই যুদ্ধকে ফাতহুম মুবিন বা স্পষ্ট বিজয় বলা হয়। তাই হুদায়বিয়ার সন্ধির গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃহুদায়বিয়ার সন্ধির গুরুত্ব ও তাৎপর্য এবং যারা এই চুক্তি ভঙ্গ করেছিল

হুদায়বিয়ার সন্ধি

ইসলামের ইতিহাসে হুদায়বিয়ার সন্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা হযরত মুহাম্মদ সাঃ ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে ১৪০০ সাহাবী নিয়ে মক্কার দিকে ওমরাহ পালন করার জন্য রওনা দিয়েছিলেন কিন্তু পথের মধ্যে হুদাইবিয়া নামক স্থানে মক্কার কুরাইশরা বাধা দিয়েছিলেন। তারপরে বাধা প্রাপ্ত হওয়ার পরে উভয়পক্ষের মধ্যে একটি আলোচনা হয়ে থাকে এবং পরবর্তীতে একটি সন্ধি বা চুক্তি হয়।

ইসলামের ইতিহাসে একে হুদাইবিয়ার সন্ধি বলা হয়ে থাকে। এই সন্ধিতে হযরত মুহাম্মদ সাঃ রাজনৈতিক প্রতিভা এবং দুর্দশা তার পরিচয় দিয়েছিলেন। এজন্য মহানবী সাঃ এর জীবনে এই সন্ধিটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যার কারণে কেননা আল্লাহতালা কোরআনে ফাতহুম মুবিন যাকে বলা হয়ে থাকে স্পষ্ট বিজয়।

হুদায়বিয়ার সন্ধির পটভূমি

হুদায়বিয়ার সন্ধি কি কারণে হয়েছিল সেটা আমাদের জানা প্রয়োজন। তাই হুদায়বিয়ার সন্ধির পটভূমি সম্পর্কে জানলে আপনি বুঝতে পারবেন আসলে কেন এই সন্ধি করা প্রয়োজন ছিল। চলুন নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।

ষষ্ঠ হিজরীতে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করে মক্কার কুরাইশরা মুসলিমদের ক্ষমতার বৃদ্ধির ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে মোহাম্মদ সাঃ মক্কার দিকে রওনা হলেন হজ করার জন্য কিন্তু কুরাইশরা মুসলমানদের প্রবেশ করার ক্ষেত্রে বাধা দেয়নি।

মুসলিম ও কোরাইশদের মধ্যে আলোচনা শুরু হলো আলোচনার ফলে হুদায়বিয়ার সন্ধি স্বাক্ষরিত। এই সময় ১০ বছরের জন্য যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া মুসলিমদের মক্কার হজের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তবে মুসলিমদের অবশ্যই অস্ত্রশস্ত্র নেওয়া যাবেনা।

হুদায়বিয়া সন্ধির কারণঃ এর মধ্যে কয়েকটি স্বাক্ষরিত কারণ রয়েছে বিস্তারিত দেওয়া হলো;

মুসলমানদের ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ ষষ্ঠ হিজরীতে মুসলমানদের অবস্থা ভালো এবং সংখ্যায় বেশি এজন্য মক্কার কুরাইশরা মুসলমানদের ক্ষমতা দেখে ভয় পেয়েছিল। যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে সাহস হয়নি কিন্তু মুসলিমদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির কারণে করায় সেরা যুদ্ধের করতে সাহস দেখায়নি।

মুসলিমদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিঃ হুদায়বিয়ার সন্ধির মাধ্যমে মুসলিমদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথ প্রশস্ত হয় এই সন্ধির মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতাঃ এই সন্ধির মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়। নিশ্চিত পায় নিঃসন্দের মাধ্যমে মুসলিমদের মক্কার হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি পেয়েছিল। হজ্বে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি পেয়েছিল মূলত উপলক্ষে কারণ গুলোর মাধ্যমে হলেও সন্দেহ করা হয়েছিল।

হুদায়বিয়ার সন্ধির গুরুত্ব ও তাৎপর্য

মক্কার কুরাইশদের মধ্যে ও মহানবী সাঃ এর সাথে সন্ধি বা শান্তি চুক্তি হয়েছিল। মহানবী সাঃ সফলতা অর্জন করেছিলেন। তাই হুদায়বিয়ার সন্ধির গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে। নিম্নে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

প্রকাশ্য বিজয়ঃ হুদায়বিয়ার সন্ধি মুসলমানদের জন্য প্রথম দিকে সমস্যা দেখা দিয়েছিল এতে মুসলমানরা নিজেকে অপমানজনক মনে করেছিল। মুসলিমদের সাধারণত তাদের অসুবিধা হয়েছিল ওমর রাঃ তিনি প্রতিক্রিয়া ঘটিয়েছিলেন।

এই সন্ধি বা চুক্তি মুসলমানদের কল্যাণের জন্যই করেছিলেন। যা পরবর্তীতে সফলতা অর্জন করেছিল এবং এর ফলাফল মহান আল্লাহ তায়ালা নিজের হাতে দিয়েছিলেন। যার কারণে এই হুদাইবিয়ার সন্ধিকে কোরআন শরীফে ফাতহুম মবিন বলা হয়ে থাকে।

যুদ্ধ বিরতিঃ মহানবী সাঃ হিযরত করার পর কুরাইশদের সাথে যুদ্ধের সম্ভাবনা ছিল। তবে এই সন্ধির ১০ বছরের সন্ধি কারণে যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ হয়েছিল। তাছাড়া মক্কার কুরাইশরাও যুদ্ধ করে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল।

এই চুক্তির মাধ্যমে তারাও শান্তি পেয়েছিল, আর রাসুল সাঃ এর এই নেতৃত্বের কারণে মুসলমানরা শক্তি লাভ করেছিলেন। পরবর্তীতে ধর্মীয় রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে স্বাধীন ভাবে তারা ইসলাম প্রচারের কাজ করতে পেরেছিলেন।

ইসলামের প্রচারঃ হুদায়বিয়ার সন্ধির কারণে চারিদিকে ইসলাম প্রচার করা শুরু হয়ে যায়। কারণ এই সময়ে মুসলমানদের উপর কোন আক্রমণ করেনি, এজন্য মুসলিমরা তাদের ইসলামের বাণী মানুষের কাছে সুন্দর করে পৌঁছে দিয়েছিলেন এবং মানুষ দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করেছিল। হযরত আবু বকর রাঃ বলেছিলেন হুদায়বিয়ার সন্ধির ফলাফল স্বরূপ বলা যেতে পারে ইসলামের বিজয় এবং ইসলামের প্রসারের সুযোগ হয়েছিল।

সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছিলঃ হুদাইবিয়ার সন্ধির ফলে মুসলমানদের মধ্যে মুসলমান ও কোরাইশদের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। যেহেতু এতদিনে কুরাইশ মুসলমানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি ছিল কিন্তু এই সন্ধির কারণে উভয়ের মাধ্যমে ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।
এজন্য মুসলমানরা ইসলাম সম্পর্কিত আলোচনা কুরাইশদের মাঝে করতে পারতেন এবং তাদেরকে ইসলামে পথে নিয়ে আসতে কোরআন হাদিসের আলোকে তাদের কাছে সুন্দর করে আলোচনা করেছিল। এতে ইসলামের ইসলাম ধর্মের উন্নতি ঘটেছিল।

বীর পুরুষদের ইসলাম গ্রহণঃ হুদায়বিয়ার সন্ধির ফলাফল হিসেবে স্বরূপ আরবের পরিবেশটা যুদ্ধবিগ্রহ থেকে স্বাভাবিক হয়েছিল। এর কারণে সাধারণ মানুষ একটি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল। তাছাড়া কোরাইশদের বীর নেতা খালিদ বিন ওয়ালিদ ও আমর ইবনুল আস তারা ইসলামের আদর্শে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, এতে ইসলামের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছিল।

আন্তর্জাতিকভাবে ইসলাম প্রচারঃ হুদায়বিয়ার সন্ধির কারণে ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে কোন আর বাধা রইল না। এজন্য মক্কার বাহিরে সিরিয়া আবিসিনিয়া পারস্য মত রাজ্যগুলোতেও ইসলাম প্রচারের জন্য মুসলমানরা ইসলাম প্রচার শুরু করেছিলেন। বিনা বাধায় তারা ইসলাম প্রচার করেছিল কোন সমস্যায় হয়নি। এর লিখিত পত্র নিয়ে সাহাবায়ে কেরাম বা নবীজির দুধ সম্রাটের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন এবং ইসলামের দিকে আহবান করেছিলেন।

বন্ধুত্ব সৃষ্টিঃ এই সুন্দর ফলে সন্ধির ফলে বা যে শর্ত ছিল সেখানে উল্লেখ করা ছিল, আরবের যেকোন গোত্রের মানুষ হযরত মুহাম্মদ সাঃ অথবা কাফিরদের সঙ্গে সন্ধি বা চুক্তির ক্ষেত্রে আবদ্ধ হতে পারবে। এজন্য মক্কার খোঁজা গোত্রের সাথে এবং বকর গোত্রের কোরাইশদের সাথেও নবী করীম সাঃ এর মিত্রতা সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। যার ফলাফল স্বরূপ অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল।

নিরাপদে হজ পালনঃ এ চুক্তির শর্ততে বলা হয়েছিল আগামী বছর থেকে মুসলিমরা নিরাপদে হজ পালন করবে, এতে কুরাইশরা বাধা দিতে পারবে না। যার কারণে তার সাহাবীসহ তিনি নিরাপদে প্রতিবছর হজ পালন করেছিলেন এবং জন্মভূমি মক্কাকে দেখার সুযোগ হয়েছিল।

অর্থনৈতিক উন্নতিঃ এই চুক্তির কারণে এই সন্ধির কারণে মদিনার সাথে মক্কার ও তায়েফের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নতি হয়েছিল এবং মদিনার ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা বাণিজ্য করতে পেরেছিল। এতে করে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছিল অন্যদিকে ইসলাম প্রচার হয়েছিল এবং ইসলামের প্রচার বৃদ্ধি পেয়েছিল কোন প্রকার ক্ষতি করেনি।

মক্কা বিজয়ের সূচনাঃ এই সন্ধির ফলে মুসলমানরা বিরাট কল্যাণ লাভ করেছিলেন সেটি হল মক্কা বিনা বাধায় মক্কা বিজয় লাভ করেছিল। এই হুদাইবিয়ার সন্ধির ফলাফল স্বরূপ এই সূচনা হয়েছিল দুই বছরের মুসলমানরা মক্কা বিজয় করেছিল এবং ক্ষমতা কোরাইশদের ক্ষমতা ধ্বংস হয়ে গেছিল। ইসলামকে খুবই কাছ থেকে উপলব্ধি করেছিল ইসলাম সম্পর্কে এবং দুই বছরের মধ্যেই তারা মক্কা বিজয় লাভ করেছিল এতে কোন বাধা সৃষ্টি হয়নি।

মুসলিম নারীদের ফিরিয়ে না দেওয়াঃ এই সন্ধির চুক্তি হওয়ার ফলে উম্মে কুলসুম নামের এক মুসলিম নারী মক্কা থেকে মদিনায় এসেছিলেন কিন্তু তার দুই ভাই মদিনায় আশায় কারণে এই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ফেরত দেওয়ার জন্য বলেছিল।

রাসুল সাঃ বললেন এই ধারাটি শুধুমাত্র পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কেননা ওই সময় কোরআনে মুসলিম নারীদেরকে পুরুষদের নিকট ফেরত দেওয়া যাবে না।

কারা হুদায়বিয়ার সন্ধির চুক্তি ভঙ্গ করে

অনেকে জানতে চায় যে কারা হুদায়বিয়ার সন্ধির চুক্তি ভঙ্গ করে? নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

হযরত মুহাম্মদ সাঃ ষষ্ঠ হিজরীতে ১৪০০ সাহাবী নিয়ে মক্কায় ওমরা হজ পালনের জন্য রওনা দিয়েছিলেন। পথের মধ্যে হুদায়বিয়া নামক স্থানে কুরাইশরা বাধা দিয়েছিল। তখন তাদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়, তাই ওই বছরে কাবা শরীফ জিয়ারত না করে মদিনায় তারা ফিরে আসে। মক্কাবাসী এই চুক্তি ভঙ্গ করেছিল। যা দুই বছর পরে অষ্টম হিজরীতে আবার মক্কা বিজয় করেছিলেন। তাই এই চুক্তি ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

হুদায়বিয়ার সন্ধির চারটি শর্ত

ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি হুদায়বিয়ার সন্ধির গুরুত্ব ও তাৎপর্য বা ফলাফল সম্পর্কে এখন জানবো হুদায়বিয়ার সন্ধির কয়েকটি শর্ত সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

এ বছর মুসলমানরা শুধু ওমরাহ পালন করবে আগামী বছর থেকে তিন দিনের জন্য এখানে আসতে পারবেন। সঙ্গে তরবারি ছাড়া আর কোন কিছু নিয়ে আসা যাবে না, হাতিয়ার নিয়ে আসা যাবে না।

১০ বছর যাবত এই যুদ্ধ বিরতি থাকে এই সময়ে কোরাইশরা যদি ইসলাম গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে মক্কা থেকে মদিনায় যায়। তাহলে মদিনা বাসী তাকে মক্কায় ফেরত পাঠিয়ে দেবে আর অপরদিকে কেউ যদি মদিনা থেকে মক্কায় যায়। এই ক্ষেত্রে তাকে কোরাইশরা ফেরত দিতে পারবে না।
মক্কার চারপাশে যে গোত্রগুলো আছে যদি তাদের মাঝে দুপক্ষের মধ্যে যদি যুদ্ধ হয়, যে কোন কারো পক্ষ তারা নিতে পারবে এবং এই সন্ধির ধারা গুলো মুসলমানদের জন্য অপমানজনক মনে হতে পারে। কিন্তু এর ফলাফল ভালো হবে।

এজন্য যুক্তিতে মহান আল্লাহ তাআলা বলেছিলেন ফাতহুম মবিন যা স্পষ্ট বিজয় বলা হয়ে থাকে। এর কারনে মুসলমানরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল এবং মহানবী সাঃ পৃথিবীর বিভিন্ন শাসকের নিকট চিঠি লিখেছিলেন ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার জন্য এতে কোন বাধা সৃষ্টি হয়নি।

এই সন্ধির ফলে মদিনা ও আশেপাশের গোত্রগুলো ইসলামকে খুবই নিকট থেকে দেখেছিল এবং ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে পেরেছিল। কোন রকম বাধা সৃষ্টি হয়নি এবং মক্কাতেও কুরাইশ নেতারা ইসলামের ছায়াতলে এসেছিল। যার কারণে পরবর্তীতে ইসলামকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে সুযোগ করে সহজ হয়েছিল।

হুদায়বিয়ার সন্ধির লেখক কে

হুদায়বিয়ার সন্ধির জন্য একটি লেখক দরকার হয়, চলুন হুদায়বিয়ার সন্ধির লেখক কে, এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। হুদায়বিয়ার সন্ধির লেখক ছিলেন হযরত আলী রাঃ তাছাড়াও অন্যান্য সাহাবীগণ ও এই সন্ধি লেখার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছিলেন। আর এই সন্ধির ফলাফল স্বরূপ খালেদ বিন ওয়ালিদ ও আমর ইবনুল আস উভয় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

লেখকের শেষ কথা

সর্বশেষ বলা যেতে পারে যে হুদাইবিয়ার সন্ধি এর ফলে এর ফলাফল স্বরপ মুসলমানরা ইসলামের প্রচার করার ক্ষেত্রে এবং মানুষের কাছে ইসলামের বাণী সহজ ভাবে পৌঁছানোর সুযোগ পেয়েছিল। তাই হুদায়বিয়ার সন্ধির গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে, তাছাড়া এই সন্ধির ফলে মহানবী সাঃ বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় করেছিলেন। এই পোস্টটা যদি আপনার নিকট ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের কাছে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪