মোবাইল ফোন এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
অনেকে জানেনা মোবাইল ফোন এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তাই মোবাইল ফোনের ব্যবহার করার ক্ষেত্রে জানা খুবই প্রয়োজন। চলুন, মোবাইল ফোনের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অনেকেই মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত বেশি, এতে শরীরের ক্ষতি ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য এর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে। তাই মোবাইল ফোন এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পোস্টে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃমোবাইল ফোন এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোনের ব্যবহার
আমরা প্রতিদিন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি। তাই দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ডিজিটাল যুগে এই মোবাইল ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকে মানুষ মোবাইল ফোন ছাড়া চলতে পারে না কিন্তু এর উপকার এবং ক্ষতিকর দুটোই রয়েছে।
তাই সবাই ব্যবহার করে থাকে অনেকে স্টিক হাতে সেলফি তোলে আবার শিশু বৃদ্ধ কৃষক রিকশাচালক শ্রমিক সব পেশার মানুষজনই মোবাইল ব্যবহার করে থাকে, কথা বলা যায়, ছবি খবর আদান প্রদান করা যায়। আমাদের জন্য এটা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মোবাইল ফোনের সুবিধা সমূহঃ নেটওয়ার্কের প্রসারের কারণে আজ সারা বিশ্ব একটি গ্রামের মতো হয়ে গেছে। মোবাইল ব্যবহার করার কারণে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে মানুষের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি ভিডিও কল অডিও কল এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। এর মাধ্যমেও যোগাযোগ করা যেতে পারে এছাড়াও ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
আজকের অনেকেরই স্মার্টফোন হাতে রয়েছে আর এই স্মার্টফোনের অন্যতম ব্যবহার হলো ইন্টারনেট। আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যেতে পারে যেমন সোশ্যাল সাইটে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
তাদের সাথে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করা যেতে পারে, মোবাইল ফোন দিয়ে আমরা এখন টিভির মতো দেখতে পারি। রেডিওর মত শুনতে পারি তাছাড়া অন্যান্য বিনোদনের ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বর্তমান যুগে স্মার্টফোন বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইস্মার্টফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও সিনেমা নাটক গান ছবি গেমস ইত্যাদি সকল ধরনের বিনোদন আমরা উপভোগ করে থাকি। তাছাড়া স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিনোদনের সকল কিছু ব্যবহার করা যায়।
বর্তমানে স্মার্টফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যেতে পারে বিশ্বের যে কোন প্রান্তে। আগের যুগের তথ্য আদান প্রদান করা হতো সপ্তাহে বা মাসে বিভিন্ন চিঠি লেখার মাধ্যমে আর এখন বর্তমানে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তথ্য আদান প্রদান করা যায়।
বর্তমান যেসব মোবাইল ফোন তৈরি করা হচ্ছে তা কম্পিউটারের ভালো কাজ করে থাকে। যেকোনো ধরনের ভিডিও অডিও ফটোগ্রাফি টেক্সট ডকুমেন্ট ইত্যাদি শেয়ার করা যেতে পারে।
তাছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হাজারো সুযোগ সুবিধা রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। দিন দিন যত দেশ উন্নত হচ্ছে আরো মোবাইল ফোনের প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উন্নত হচ্ছে তাই মোবাইল ফোন দিয়ে সারা বিশ্বকে যেন এক বিশ্বায়নে পরিণত করেছে।
মোবাইল ফোন এর উপকারিতা ও অপকারিতা
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারি। তাই মোবাইল ফোন এর উপকারিতা ও অপকারিতা দুই দিক রয়েছে। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
মোবাইল ফোনের উপকারিতাঃ আমরা বিশ্বে যে কোন জায়গায় যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি। বিশেষ করে আমাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব প্রিয়জন পরিবারের সদস্যরা যারা বহির্বিশ্বে থাকে।
তাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করি। অত্যন্ত খুবই কম খরচে এখন এসএমএস এর মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন জায়গায় যোগাযোগ করা যেতে পারে, আবার যদি কোন অপরাধীকে সন্দেহ করা যায় সেই ব্যক্তির অপরাধের ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এফ এম রেডিও সহ বিভিন্ন ধরনের জরুরী কাজগুলো এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করা যেতে পারে। এমনকি বর্তমানে অনেক ভালো ফোন রয়েছে ক্যামেরা ছবি তোলার জন্য আমরা ব্যবহার করে থাকি।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিনোদনের ক্ষেত্রেও এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের নাটক গান হাসির ভিডিও ইত্যাদি সকল কিছু দেখে থাকি। যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে এগুলো দেখানো যেতে পারে, তাই মোবাইল ফোনের উপকারিতা আরো বিভিন্ন ধরনের ক্ষেত্রে রয়েছে।
মোবাইলের অপকারিতাঃ মোবাইল যেরকম বিভিন্ন ধরনের আমাদের উপকার করে থাকে ঠিক তেমনি এর অপকারিতা রয়েছে। বিনা কারণে আমাদের সময় নষ্ট হয়, পর্নোগ্রাফি যারা দেখে এক্ষেত্রেও যুব সমাজের ধ্বংস হয়ে যাবে।
এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তারা যদি দেখে থাকে তাছাড়া আসক্তি বর্তমান যুগে যুব সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে। সব সময় কানের মধ্যে হেডফোন লাগানোর কারণে অনেকে কথা শুনতে সমস্যা হয় বা এর কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাছাড়া বিজ্ঞানীরা আরো বলেছেন অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে মস্তিষ্ক ক্যান্সার দেখা দিতে পারে।
এছাড়া অনেক চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলেছেন অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে অল্প বয়সে চোখের দৃষ্টি নষ্ট হয়ে যাবে এবং দীর্ঘ সময় আঙ্গুল দিয়ে মোবাইল টিপার কারণে আঙ্গুলের জয়েন্টে ব্যথা করতে পারে। যদি বেশি হয় সে ক্ষেত্রে আর্থাইটিসের সমস্যা সমস্যা হতে পারে।
গবেষণায় জানা গেছে যে মোবাইল ফোনের স্কিন থেকে নির্গত আলোর তরঙ্গ শুক্রানুর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাছাড়া বিনা কারণে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে রাতের বেলায় ঘুম হবেনা, এতে শরীরের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল
এতক্ষণে আমরা জেনেছি মোবাইল ফোন এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। চলুন, এই মোবাইল ফোন ছাত্রদের কি উপকার করে এবং ক্ষতি করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
মোবাইল ফোন প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে বিশেষ করে ছাত্ররাই বেশি ব্যবহার করে থাকে। আর সমাজের উচ্চবিত্ত মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত সবাই এখন মোবাইল ব্যবহার করে থাকে। এ যন্ত্রটি অল্প মূল্যে পাওয়া যাওয়ার কারণেই পাওয়া যায়, সেজন্যই অনেকেই ব্যবহার করে থাকে।
তাছাড়া অনেকের স্মার্টফোন অনেক দামি তাও রয়েছে যার কারণে সেগুলো সুযোগ সুবিধা বেশি এবং দেখতে আকর্ষণ লাগে। যার কারণে সর্বস্তরের মানুষ এখন ব্যবহার করতে পারে, বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা মোবাইলের প্রতি আকর্ষণ বেশি ভবিষ্যতের ব্যবহার পেতে পারে।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের পিছনে বা এত জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হতে পারে। দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা করা যায়, অল্প মূল্যে পাওয়া যায় মানুষ এটি সহজে ব্যবহার করতে পারে। মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া যেতে পারে। সব জায়গায় এটা ব্যবহার করা যায়, খুবই কম খরচ এসএমএস পাঠানো যায়।
সংবাদ মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব পরিবার যে কোন মানুষ যেকোনো জায়গায় থাকলে তাদেরকে খুঁজে বেড়ানোর মাধ্যমে খুদেবার্তার মাধ্যমে সংবাদ পাঠানো যায়। ল্যান্ড লাইন ফোন যখন ছিল তখন এটা বেশি ব্যবহার করা হতো কিন্তু এর বিল আসতো বেশি আর মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে খুবই কম টাকার মধ্যে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
পুলিশের যেকোন তদন্তের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অপরাধীদের ব্যবহার করা মোবাইল ফোন কল লিস্ট চেক করা যায় এবং ব্যক্তিদের খোঁজ করতে মোবাইল ফোনের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়।
যে কোন অপরাধ করলে তার তদন্তের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া স্মার্টফোন বিভিন্ন বিষয়ের খোঁজখবর সংবাদ মাধ্যম ইত্যাদি ক্যামেরা অনেক কিছুই সুযোগ সুবিধা রয়েছে। মোবাইল ফোন শুধুমাত্র যে প্রয়োজন মেটায় তা কিন্তু বিনোদনের ক্ষেত্রে ভালো একটি মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ।
এর মাধ্যমে খুব কম সময়ে ছবি বা যেকোনো ঘটনার অফিস আদালতের সার্কুলার নামে প্রগতি কাজকর্ম করা যেতে পারে। আজকের যুগে বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ কে বিভিন্ন কাগজপত্র বা এই ধরনের তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে সবচাইতে ভালো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তবে ছাত্রদের ক্ষেত্রে এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে তারা বিভিন্ন ধরনের পড়ালেখার তথ্যগুলো গুগলের মাধ্যমে সার্চ করে তারা জানতে পারে। তাছাড়াও এই মোবাইলের মাধ্যমে তারা আরো বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করে থাকে। তবে এই মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে ছাত্ররা কিছু ক্ষতিকর বিষয়ে ব্যবহার করে থাকে।
বিশেষ করে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশি ব্যবহার করে। সেখানে বিভিন্ন কিছু শেয়ার করতে পারে যেখানে ক্ষতির মাধ্যমে হতে পারে। তাছাড়া অনেক ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কথাবার্তা বা বিভিন্ন ধরনের ব্ল্যাকমেইল করেও অনেকের ক্ষতি করতে পারে। তাছাড়া ছাত্রদের টাকা পয়সা অনেক অপচয় হয়ে থাকে।
এজন্য অনেকেই মোবাইল ফোনে অনেক কথা বলে থাকে, যার কারণে মোবাইলে আসক্ত হয়ে যায়। এছাড়াও অনেকের সচেতন না হওয়ার কারণে মোবাইলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ছবি দেখে থাকে, পর্নোগ্রাফি ছবি দেখেও আজ সমাজ বা ছাত্র জীবনটা নষ্ট করে দিচ্ছে। অনেকের নেশার মত হয়ে গেছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
বিশেষ করে ফেসবুক তারা এতটাই আকৃষ্ট বা আসক্ত হয়ে গেছে যার কারণে পড়ালেখার ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এজন্য তারা পড়ালেখায় মনোযোগ না দিয়ে মোবাইল আসক্তি বেশি হয়ে থাকে। আবার অনেক ছোট বাচ্চারা অর্থাৎ যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা রয়েছে তারা সাধারণত গেমস খেলার প্রতিবেশী আকৃষ্ট হয়ে থাকে।
এজন্য তারা পড়ালেখার প্রতি তেমন মনোযোগী হয় না, এতে তার মস্তিষ্কের ক্ষতি হচ্ছে এবং ভালো কিছু করতে পারছে না। এক্ষেত্রে মোবাইল অনেক ক্ষতি করে থাকে আবার অনেকেই মোবাইল ফোনে এতটাই আসক্ত যে তার মোবাইল ফোন অতিরিক্ত দেখার কারণে তার মাথাব্যথা হতে পারে, চোখের সমস্যা হতে পারে, অনেক শিশু প্রতিবন্ধীর মতো হয়ে যায়।
অনেকের মস্তিষ্কের সমস্যা দেখা দিতে পারে, মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবেও পরিণত হয়েছে অনেক শিশু যে সকল ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। তাছাড়া অনেকের মস্তিষ্কের আঘাত লাগার কারণে অনেকের মস্তিষ্ক ক্যান্সার হয়ে গেছে তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকা খুবই জরুরী।
দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত
ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি মোবাইল ফোন এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। চলুন, দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মানুষের একদিনের সর্বোচ্চ তিন ঘন্টার বেশি মোবাইল দেখা যাবে না। এতে ব্যবহারকারী চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে আবার অনেক ধরনের শরীরের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে আমাদের অনেকেই দেশ-বিদেশে যাদের আত্মীয়-স্বজন থাকে তারা মোবাইলে বেশি কথা বলে থাকে।
এছাড়াও অনেকেই মোবাইলে বেশি কথা বলতেই পছন্দ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি থাকতে পছন্দ করে, বিশেষ করে গেমস খেলা এতে বেশি আসক্ত হয় ছাত্রছাত্রীরা এবং দিনের বেলায় প্রায় ১০ ঘণ্টার মতো অনেকেই মোবাইল ব্যবহার করে।
এক ঘন্টা কারো সাথে কথা বলার কারণে দুই থেকে তিন ঘন্টা ব্যবহার করতে পারেন। সর্বপরি কথা হল আপনি দিনে দুই থেকে তিন ঘণ্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু একসাথে নয় মাঝে মাঝে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন ঘন্টা মোবাইল ব্যবহার করবেন।
মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার
আপনি যে মোবাইল ফোনটা ব্যবহার করছেন সেটা অবশ্যই সঠিক ব্যবহার করতে হবে। তাই মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো,
মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার জানতে হবে কিভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে আপনার অসুবিধা হবে না সে সম্পর্কে জানা দরকার।
- দীর্ঘ সময় আলাপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- মোবাইল ফোনের হেডফোন ব্যবহার করা ভালো এতে কানের সমস্যা কম হবে।
- প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে বেশি মোবাইল ফোনে কথা বলা যাবে না এবং মোবাইল ফোনের ডাটা অথবা ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখাই ভালো হবে।
- আপনার হাতের কাছে যে ল্যান্ডফোন থাকে সেটা মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
- শিশুদের হাতের কাছে মোবাইল ফোন না দেওয়াই ভালো কেননা তারা মোবাইল ফোনে বেশি আসক্ত হয়ে থাকে।
- মোবাইল ফোন চার্জে দেওয়ার সময় অবশ্যই নিরাপত্তার বিষয়টা মাথায় রাখবেন।
- মোবাইল ফোনের ভিতরে অপ্রয়োজনীয় জিনিস না রাখাই ভালো, শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রাখবেন বাকিগুলো ডিলিট করে দিবেন।
শিশুদের হাতে সবসময় মোবাইল দেবেন না, তাহলে তারা নেশায় আসক্তের মতো হয়ে যাবে। এতে শিশুর শারীরিক ও মানসিক ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রাত জেগে মোবাইল চালালে কি হয়
অনেকেই জানতে চায় যে, রাত জেগে মোবাইল চালালে কি হয়? চলুন রাত জেগে মোবাইল দেখলে যে সমস্যাগুলো হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
ক্লান্ত শরীরে রাত জেগে অনেক স্মার্টফোনে বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন বয়সের মানুষগুলো দেখে থাকে, যার কারণে শরীরে ক্ষতি হতে পারে। কেননা বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে ঘুম না আসার পিছনে যারা রাত জেগে স্মার্টফোন দেখে তাদের ঘুম রাত্রিতে হয় না। শুধু শরীরের ক্ষেত্রে যে ক্ষতি হয় তা কিন্তু নয় প্রতিদিন জীবনযাত্রার মানের উপর প্রভাব পড়তে পারে।
এই অভ্যাসটা খুবই খারাপ এবং আপনার জীবনের ধ্বংস নিয়ে আসতে পারে। গবেষণা করে দেখা গেছে অনেকের মেজাজ হঠাৎ করে সমস্যা দেখা দিতে পারে বা বিগড়ে যেতে পারে। প্রিয়জনদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া করতে পারে। এগুলো সম্পূর্ণ রাতে ঘুম না হওয়ার কারণেই হতে পারে।
রাত জাগার কারণে তাদের ত্বকের উপরও এর প্রভাবটা ফেলতে পারে আর চোখের তলায় কালো হয়ে যায় ফোলাফোলা ভাব দেখা যায়। এছাড়াও অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে গবেষণায় দেখা গেছে যে অনিদ্রার কারণে শরীরের হরমোনের মাত্রা কমে যায়। এতে দাম্পত্য জীবনেও সমস্যা দেখা দিতে পারে, কারণ তাদের সবসময় মেজাজ খিটখিটে থাকে এর কারণে সম্পর্ক ভেঙে যায়।
তাছাড়া আরো অনেক ক্ষতি হতে পারে যেমন যদি কোন মানুষ সুস্থ মানুষ রাত্রিতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা না ঘুমায় তাহলে তার শরীরের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি স্মার্টফোনের নীল আলো গুলো আপনার শরীরে মেলাটোনিন হরমোন এর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রাতে ঘুমানোর আগে কখনোই স্মার্টফোন দেখা যাবে না, এতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে এবং মস্তিষ্কের ও মনেরও উপর প্রভাব পড়তে পারে।
রাতে ঘরের আলো নেভানোর পর যারা ফোন দেখে তাদের চোখে সাধারণত আলোটা লেগে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চোখের কোষের ক্ষতি হতে পারে এবং চোখ প্রচন্ড পরিমাণ ব্যথা করে।
রাত জেগে স্মার্ট ফোন দেখলে যদি ঘুম কম হয় এতে মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। অল্পতেই সে রেগে যাবে মেজাজ খিটখিটে দেখাবে এবং তাদের মানসিক চিন্তাশক্তি ও শারীরিক শক্তি ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মোবাইল ফোনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ছড়ার কারণে কয়েক ধরনের ক্যান্সারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসোসিয়েশন এই বিষয়ে কথা বলেছেন।
লেখকের শেষ কথা,
পরিশেষে বলা যায় যে মোবাইল ফোন আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করে। তাই মোবাইল ফোন এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। আজকের আর্টিকেলটি আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে উপকার হতে পারে। পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url