চুলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম ও খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

যারা অলিভ অয়েল তেলের মাধ্যমে চুলকে সুন্দর করতে চান, তারা চুলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে ব্যবহার করবেন। চলুন, কিভাবে অলিভ অয়েল তেল চুলে ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
যারা চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রাকৃতিক উপায়ে যদি চুলের সৌন্দর্য ও চুল পড়া, চুল ঘন করা ইত্যাদি বৃদ্ধি করতে চান। তাহলে চুলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃচুলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম ও খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

অলিভ অয়েল তেল খাওয়ার উপকারিতা

অলিভ অয়েল তেল চুলের ব্যবহার করার পাশাপাশি অলিভ অয়েল তেল খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

সাদা তেলের বদলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে অনেক উপকার রয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এই তেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রাকৃতিক তেলের মধ্যে থাকে ওমেগা ৬ এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধিকে প্রতিরোধ করতে পারে। আরও বিভিন্ন ধরনের উপকার করতে পারে, চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

অলিভ অয়েল তেলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এছাড়াও ভিটামিন ই ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে দুরারোগ্য ব্যাধি থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের প্রদাহর বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। রক্তের কোলেস্টেরলকে জারণ থেকে প্রতিরোধ করতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে।

প্রদাহনাশক হিসেবে এই অলিভ অয়েল তেল ভালো কাজ করে থাকে, যেমন ক্যান্সার, হৃদরোগ, হজমের সমস্যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস আর্থ্রাইটিস স্থূলতা ইত্যাদির সমস্যার বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। কারণ আন্টিনফ্লেমেটরি থাকার কারণে এগুলোর প্রতিরোধ করতে পারে।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন যে সাড়ে তিন চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল প্রাপ্তবয়স্করা খেলে প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করবে। এতে আইবুপ্রফেন ওষুধের পরিবর্তে কাজ করে থাকে।

অলিভ অয়েল তেল স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে পারে, রক্ত জমাট বাধা, রক্ত ক্ষরণের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ হতে পারে সে ক্ষেত্রে কাজ করে থাকে। অনেকের স্ট্রোকের সমস্যা হয় সেই স্ট্রোক থেকেও রক্ষা করতে পারে।

গবেষণা করে দেখা গেছে উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে সবচাইতে বেশি স্ট্রোকের সংখ্যা দেখা গেছে। তাই বৈজ্ঞানিকরা তারা অলিভ অয়েল তেল খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। কারণ স্ট্রোক হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে এই জলপাইয়ের তেল নিয়মিত গ্রহণ করার কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকে অনেকটাই কমে গেছে।

যারা নিয়মিত জীবন যাপন করেন তাদের হৃদরোগের সমস্যা দেখা দেয় বেশি। বিশেষ করে যারা ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে তাদের এই সমস্যা বেশি হয়। আর এই ফাস্টফুড জাতীয় খাবার গুলো তৈরি করা হয় সয়াবিন তেলের মাধ্যমে। এজন্যই অলিভ অয়েল তেল নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে হৃদরোগের আশঙ্কা টা কমে যাবে।

শরীরের খারাপ এলডিএল কোলেস্টেরল যদি থাকে সেই ক্ষেত্রেও রক্ষা করতে পারে। রক্তচাপ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকে থেকে বাঁচাতে পারে। কারণ এর মধ্যে পুষ্টিকর জিনিস রয়েছে, এক গবেষণায় দেখা গেছে জলপাই তেল খাওয়ার ফলে রক্তচাপের ঔষধের প্রয়োজনীয়তা প্রায় অর্ধেক কমে গেছে।
যদি অলিভ অয়েল তেল ওজন বৃদ্ধি বা কমার সঙ্গে তেমন কোন সম্পর্ক নাই। তারপরেও স্প্যানিশ কলেজ ছাত্র-ছাত্রীর উপরে এক মাস গবেষণা চালানোর পর দেখা গেছে যে জলপাই তেল তারা খাওয়ার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ ছিল।

আবার অন্যদিকে প্রায় দেড়শ মানুষের উপর তিন বছর মেয়াদী এক গবেষণা করে দেখা যায় যে জলপাই তেল খাওয়ার কারণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং যা ওজন কমতে সাহায্য করেছে।

অনেকেই অ্যালজাইমার রোগে ভূগতে শুরু করে, এই রোগীরা আক্রান্ত হলে তারা সব কিছুই ভুলে যায়। অলিভ অয়েল তেল এই রোগের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে। এটা বিশেষত নিউরোডি জেনারেট ডিসঅর্ডার নামে এই রোগটি বলা হয়ে থাকে।

এটা মস্তিষ্কের কোষের ভিতরে ইমালয়েড বিটা নামক এক ধরনের প্রোটিন উৎপাদন করতে পারে। তাই এক গবেষণায় ইঁদুরের উপরে সমীক্ষা করে দেখা গেছে যে জলপাই তেল খাওয়ানোর কারণে বৃদ্ধির হার অনেকটা কমে গেছে।

জলপাই তেল টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ভালো উপকার করে থাকে। আর গবেষণায় দেখা গেছে অলিভ অয়েল তেল রক্তের শর্করা ও ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। প্রায় সাড়ে চারশ জন সুস্থ ব্যক্তির উপর ক্লিনিক্যাল ট্রাইলে দেখা যায় যে নিয়মিত অলিভ অয়েল তেল গ্রহণ করার কারণে ৪০% পর্যন্ত টাইপ-২ ডায়াবেটিস কমে গেছে।

অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করার কারণে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি অনেকটা কমে যায়। কারণ এই তেলের মধ্যে এন্টি ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা অলিভ অয়েল তেলে এই অ্যান্টি এক্সিডেন্ট থাকার কারণে ফ্রি রেডিক্যাল কে ধ্বংস করতে পারে।

তাই ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যে জলপাই তেলের খাওয়ার কারণে ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে ভালো কাজ করেছে।

যাদের আর্থাইটিস এর সমস্যা আছে বিশেষ করে এই সমস্যাটা বয়স্ক লোকদের হয়ে থাকে। বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা করে তাই তারা যদি জল পাই তেল খেতে পারে। তাহলে অনেক এই ব্যথা বা প্রদাহ দূর হয়ে যাবে।

কারণ এর মাঝে এন্টি ইনফ্লেমেটরি থাকার কারণে আর্থাইটিস রোগের প্রতিরোধ করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে অলিভ অয়েল তেল ফিস অয়েল জয়েন্ট এবং বাত জনিত ব্যথাগুলো দূর করতে সাহায্য করে।

অলিভ অয়েল তেল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল থাকার কারণে শরীরে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করতে পারে। এছাড়াও পেটের মধ্যে যদি কোন জীবাণু বাসা বাঁধে অথবা আলসার পাকস্থলী ক্যান্সার হয়। সে ক্ষেত্রেও এটা প্রতিরোধ করতে পারে গবেষণায় দেখা গেছে। জলপাইয়ের তেল ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

চুলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম

চুলের জন্য অলিভ অয়েল তেল খুবই উপকারী। তাই চুলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম অনুযায়ী পরিমাণ মতো ব্যবহার করবেন। নিম্নে অলিভ অয়েল তেল চুলে কিভাবে ব্যবহার করবেন। সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

অনেকেই চুল সিল্কি করতে চায় এজন্য বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করে থাকে কিন্তু এতে দেখা যায় অনেক সময় চুল পড়ে যায়। তবে অলিভ অয়েল তেল চুলের জন্য খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 
কারণ এর মধ্যে আছে ভিটামিন ই পলিফেনাল।

এবং অলিউরোপেইন নামের এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ থাকার কারণে চুল পড়া, চুল ফেটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। অলিভ অয়েল চুলকে নরম এবং সিল্কি করে, চলুন অলিভ অয়েল তেল কিভাবে চুলে ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

আপনার চুল যদি স্বাভাবিক থাকে সেক্ষেত্রে একটি ডিম ২ চামচ অলিভ অয়েল মিক্সড করে নিবেন। যদি তৈলাক্ত চুল হয় সেই ক্ষেত্রে শুধু ডিমের সাদা অংশ দিবেন। আর যদি শুষ্ক চুল হয় সে ক্ষেত্রে ডিমের কুসুম দিবেন। ভেজা চুলে মিশ্রণটি লাগিয়ে ২০ মিনিট দেরি করবেন, শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করবেন।

একটি পাকা কলা দিয়ে চটকিয়ে এক চামচ পরিমাণ অলিভ অয়েল মিক্সড করে চুলে দিন। এরপর শাওয়ার দিয়ে মাথা মুড়িয়ে দিন কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।

২ চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে তার সাথে ২ চামচ মায়োনিজের মিশিয়ে চুলে লাগাবেন। এরপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করবেন।

তিন চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এক চামচ মধু একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল সুন্দর করে মেশিয়ে নিবেন। তারপর শুকনা ও পরিষ্কার চুলে লাগিয়ে দিবেন, আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে দেওয়ার পর শাওয়ার দিয়ে ঢেকে দিবেন। দুই ঘন্টা অপেক্ষা করবেন, তারপরে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করবেন।

নারিকেলের তেল ও অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিক্সড করে গরম করে নিবেন। তারপর কুসুম গরম তেলটা ভালো করে চুলে লাগিয়ে দিবেন। এরপর ৪০ মিনিট অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করুন।

২ চামচ বেকিং সোডা এবং ৪ চামচ অলিভ অয়েল মিক্সড করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে দিবেন। কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করতে পারেন এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করবেন।

চুলে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা

এতক্ষণে আমরা জেনেছি চুলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে, এখন জানবো এই তেল চুলে কিভাবে উপকার করে থাকে তা নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ছবি
যাদের চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা আছে তারা এই অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এর মাঝে ওমেগা ৩ এসিড এবং অন্যান্য নিউট্রিয়েন্টস আছে যা চুলের বৃদ্ধি করতে পারে। চুল পড়া কমে যায়, যদি ড্যানড্রাফের সমস্যা থাকে তাহলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন।

এতে আপনার এই সমস্যার সমাধান হবে। অলিভ অয়েল তেল ড্রাই স্কাল্পের সমস্যার সমাধান করে থাকে এবং চুলকে নরম করে। অলিভ অয়েল তেল লেবুর রস এবং পানি দিয়ে ভালো করে মিক্সড করে নিবেন। 

হালকা ভেজা চুলে লাগাতে পারেন এতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করবেন। অতি দ্রুতই জটমুক্ত চুল হবে, চুল সুরক্ষিত রাখার জন্য চুলের বৃদ্ধি এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও চুলের আগা ভেঙ্গে যাওয়া চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে দিতে পারে।

চুলের ময়েশ্চারাইজিংঃ চুলের ময়েশ্চারাইজিং এর জন্য অলিভ অয়েল তেল খুবই উপকার করে থাকে। এতে উচ্চ শতাংশে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা মাথার ত্বক ও চুলের ফলিকলগুলোকে ময়েশ্চারাইজিং করতে পারে। তাছাড়া চুলের পৃষ্ঠের ছিদ্র গুলি বন্ধ করতেও সাহায্য করে, যা চুলের আদ্রতা কমাতে পারে। চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করতে পারে।
চুল মজবুত করেঃ অলিভ অয়েল তেল ভিটামিন-ই থাকার কারণে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে চুলের ফলিকল শক্তিশালী করতে পারে। চুলের বৃদ্ধি করতে পারে এর মধ্যে ভিটামিন এ ভিটামিন কে আয়রন ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম যার কারণে মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নত করতে পারে। চুলের গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত মজবুত করতে পারে।

চুলের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করেঃ অর্গানিক অলিভ অয়েল তেল অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন ফলিক অ্যাসিড অলিক এসিড এবং লেনোলিক এসিড থাকার কারণে চুলের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে পারে। চুল ভাঙ্গা প্রতিরোধ করতে পারেন চুল যখন নমনীয় হয় তখন এটি ক্ষতি এবং ভাঙ্গার সম্ভাবনা কম থাকে।

মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ অলিভ অয়েল তেলের মধ্যে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য থাকে যা মাথার ত্বকের জন্য উপকার করে থাকে। এটা চুলকানি ও জ্বালা প্রশমিত করতে সাহায্য করে।

খুশকির সমস্যা থাকলে সেটাও প্রতিরোধ করতে পারে। তাছাড়া চুলের এবং মাথার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে চুলের বৃদ্ধি করে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে পারে। তাই আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

চুল চকচকে করেঃ চুলকে ময়েশচারাইজিং এবং শক্তিশালী করার জন্য অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুল আপনার সৌন্দর্য ফিরে আসবে এবং চকচকে হবে চুলের বাইরের স্তরকে পুনরুদ্ধ করবে পুনরোজ্জীবিত করবে এবং চকচকে নরম হবে।

চুলের ব্যবস্থাপনা উন্নতি করেঃ আপনি যদি নিয়মিতই অলিভ অয়েল তেল চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে চুলের ব্যবস্থাপনা উন্নতি হবে এবং চুলের স্টাইল ও চিরুনি করার সহজ হবে। অলিভ অয়েল তেল প্রদত্ত আর্দ্রতা এবং পুষ্টি চুলের জন্য ভালো কাজ করে থাকে।

চুলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করেঃ ক্ষতিকারক পরিবেশের কারণে চুল ভেঙ্গে যেতে পারে এজন্য অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করলে এই ধরনের সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে। অর্থাৎ ক্ষতিকারক কারণগুলো থেকে রক্ষা করতে পারে এবং চুলকে উন্নত করতে পারে।

বাচ্চাদের অলিভ অয়েল তেল

বাচ্চাদের অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। চলুন, বাচ্চাদের কিভাবে এই তেল ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

শিশুদের ত্বকে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রাপ্তবয়স্কের কেউ যদি একটানা ৪ সপ্তাহ অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করে, তাহলে ত্বকে লাল ভাব দেখা যায়। কারন অলিভয়েলের মধ্যে যে লেয়ার গুলো থাকে তা ত্বকের লেয়ার গুলো পাতলা করে দিতে পারে।

যদি বড়দের ক্ষেত্রেই ত্বকের এই সমস্যা হয় তাহলে বাচ্চাদের নরম ত্বকে আরও ক্ষতির হবে বেশি। বিশেষ করে বাচ্চাদের ত্বকে অনেক সময় একজিমা থাকতে পারে, গবেষণায় দেখা গেছে শতকরা ২০ ভাগ বাচ্চার দুই বছরের কম বয়স ক্ষেত্রে কখনোই একজিমা হতে পারেন না।

যদি এই অলিভ অয়েল তেল ত্বকের ব্যবহার করা যায় তাহলে বাচ্চাদের ত্বকে লাল ভাব এবং জ্বালাপোড়া বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ এর মাঝে অলিক এসিড থাকে যার কারণে এটা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। ত্বকের বাহ্যিক ব্যবহার করা যাবে, তবে নিয়মিত নয়।

অল্প পরিমাণে অনিয়মিতভাবে ব্যবহার করতে পারেন। আর আপনার বাচ্চার যদি ছয় মাস পূর্ণ হয় সেই ক্ষেত্রে সলিড খাবারের সাথে অল্প পরিমাণে অলিভ অয়েল তেল মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। খাবারের ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল তেল অনেক উপকার করে থাকে।

কারণ এর মাঝে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ হিসেবে কাজ করবে। এজন্য অবশ্যই এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে হবে। কারণ এতে অনেক পুষ্টি আছে তবে কেমিক্যালমুক্ত অলিভ অয়েল তেল হতে হবে। ১ বছর আগে বাচ্চার ত্বকে এই ধরনের তেল ব্যবহার করবেন না।

তবে যদিও ব্যবহার করেন খুবই অল্প পরিমাণে, অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ক্ষতি হতে পারে। বাচ্চার ত্বকে তেল ব্যবহার ক্ষেত্রে যদি প্রাকৃতিক ব্যবহারে সবচাইতে ভালো সে ক্ষেত্রে এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল তেল ব্যবহার করলে তেমন ক্ষতি হবে না।

ত্বকে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা

ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি চুলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে, এখন জানবো ত্বকে অলিভ অয়েল তেল কি উপকার করে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
ছবি
ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করেঃ আমাদের ত্বকে যদি পানির পরিমাণ কমে যায় সে ক্ষেত্রে ত্বক রুক্ষ হয়। এজন্য অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করলে এই রুক্ষতা দূর হবে। কারণ এর মাঝে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই আছে।

তাছাড়া ভিটামিন ডি ও ভিটামিন কে থাকার কারণে ত্বকের সংবেদনশীল অংশকে সুরক্ষা দিতে পারে। তাই সরাসরি ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষেত্রে শুষ্ক ও আর্দ্রতা দূর হবে।

ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু ঠিক করতে পারেঃ অনেকের কূনই বা হাটুর ছিলে যায় এতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তাছাড়াও মুখের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে, ব্রণের জন্য বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়। এজন্য এই তেলটি ভালো কাজ করে, রোজাছিয়া সোরিয়াসিস এ ধরনের রোগ গুলো এই তেল ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
মুখের সজীবতা রক্ষা করেঃ ত্বকের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো কোলাজল আর এটা যদি বাড়াতে চান সেই ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও এর মধ্যে অলিক অ্যাসিড থাকার কারণে ত্বকের নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করবে এবং মুখের ত্বককে উজ্জ্বলতা দেখাবে।

বয়সের ছাপ দূর করতে পারেঃ অনেকের অল্প বয়সেই বার্ধক্যের ছাপ পড়ে যায়। এতে বিভিন্ন ধরনের দূষিত পরিবেশ মানসিক চাপ এবং বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। এইগুলো সমস্যা সমাধান করার জন্য অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন।

কারণ এই তেলের মাঝে পলিফেনাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে যা বয়স্ক হওয়ার জন্য ফ্রি রেডিক্যাল দায়ী থাকে। তা তৈরি করতে দেবেনা এবং সূর্যের আলো থেকেও রক্ষা করতে পারে।

ত্বক পরিষ্কার রাখতে পারেঃ আপনি যদি নিয়মিত ভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে চান, তাহলে অলিভ অয়েল তেল নিয়মিতভাবে ব্যবহার করতে পারেন। মুখ থেকে মেকআপ বা সানস্ক্রিন ক্রিম এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন। মেকাপ তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী আপনারা ব্যবহার করে থাকেন, এতে ক্ষতি হতে পারে। অলিভ অয়েল তেল সরাসরি মুখে লাগাতে পারেন এতে ত্বকের কোন ক্ষতি হবে না।

লেখকের শেষ মন্তব্য,

পরিশেষে বলা যায় যে অলিভ অয়েল তেল অনেক উপকার করে থাকে। বিশেষ করে চুলের ক্ষেত্রে তাই চুলে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়ম অনুযায়ী পরিমাণমতো ব্যবহার করলে চুল ঘন বৃদ্ধি ও উজ্জ্বলতা দেখাবে। উপরোক্ত আলোচনা থেকে হয়তো উপকার পাবেন। পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪