পাথরকুচি পাতা কিভাবে খেতে হয় ও উপকারিতা, অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
অনেকে পাথরকুচি পাতা কিভাবে খেতে হয় জানেনা। তবে আপনি যদি পাথরকুচি পাতা নিয়ম অনুযায়ী খেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাবেন। চলুন, পাথরকুচির পাতা কিভাবে খাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পাথরকুচি পাতা এক ধরনের ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। আপনি বিভিন্ন ধরনের রোগের জন্যও এই পাতা খেতে পারেন। তাই পাথরকুচি পাতা কিভাবে খেতে হয় এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃপাথরকুচি পাতা কিভাবে খেতে হয় ও উপকারিতা, অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
পাথরকুচি পাতা
আমাদের বাড়ির আশেপাশে প্রায়ই পাথরকুচি পাতা গাছটি দেখা যায়। এগুলো তেমন একটা যত্ন নেওয়া হয় না। এরা যত্ন ছাড়াই বেড়ে ওঠে, এই গাছটি ওষুধ গাছ হিসাবে পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Kalanchoe pinnata Pers এই গাছটি বাড়ির আশেপাশে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য অনেকে ব্যবহার করে থাকে।
এই গাছটি শুধু কি সৌন্দর্য বর্ধন করে তা কিন্তু নয় এটা ঔষধি গাছ হিসাবে পরিচিত। এর আকৃতি দুই থেকে প্রায় তিন ফুট উচ্চতা হয়। এই গাছের পাতাগুলো বেশ পুরো হয়ে থাকে। পাতার অংশ বিশেষ খাজ কাটা হয়ে থাকে, এই গাছের পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
পাথরকুচি পাতা কিভাবে খেতে হয়
পাথরকুচি পাতা বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে, এটা একটু ঔষধি গাছ তাই পাথরকুচি পাতা কিভাবে খেতে হয় জানার জন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। বহুকাল আগে থেকেই এই পাথরকুচি পাতা ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয় কিন্তু পাথরকুচি পাতা খাওয়া যায় এ সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেনা। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আপনার শরীরের যদি কোন জ্বালাপোড়া সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে পাথরকুচি পাতা গরম করে পানিতে পরিষ্কার করে নিবেন। এরপর এগুলো বেটে নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ভালো উপকার পাবেন।
আপনার যদি গলগন্ড রোগ থাকে সেক্ষেত্রে পাথরকুচি পাতার রস দুইবেলা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
সর্দি কাশি সমস্যায় যদি ভুগতে থাকেন তাহলে পাথরকুচি পাতার রস মধু দিয়ে খেতে পারেন ভালো উপকার পাবেন।
জন্ডিসের সমস্যা থাকলে আপনি সারানোর জন্য পাথরকুচির পাতা বেটে রস দিয়ে নিয়মিত অল্প করে খেলে জন্ডিস প্রতিরোধ করতে পারবেন।
পাথরকুচি পাতা খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি এই পাতা নিয়ম অনুযায়ী খান তাহলে অনেক উপকার পাবেন। তাই পাথরকুচি পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
প্রতিদিন অতিরিক্ত পাথরকুচি পাতা খাওয়া যাবে না, এতে ক্ষতি হতে পারে তাই তিন থেকে চারটি পাতা বা এক থেকে দুই চামচ পাথরকুচি পাতার রস আপনি খেতে পারবেন।
পাথরকুচি পাতা দীর্ঘদিন খাওয়া ঠিক হবে না, খাওয়ার মাঝখানে বিরত রাখবেন তাহলে উপকার পাবেন।
পাথরকুচি পাতার প্রচুর পরিমাণ খান তাহলে পানি খেতে হবে বেশি, তাহলে শরীরের দ্রুত উপকার করবে।
গর্ভাবস্থায় বা স্তন্যদান কালে তাছাড়া যকৃত ও কিডনির সমস্যা যাদের আছে তারা পাথরকুচি পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
যদি আপনার শিশুর পেট ব্যথা হয় তাহলে ৩০-৪০ ফোটা পাথরকুচি রস পেটে মালিশ করে দিতে পারলে, শিশুর পেট ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।
দুই থেকে তিন চামচ পাথরকুচি পাতার রস গরম করে নিয়ে অল্প একটু পানির মাঝে মিশে খেতে পারেন।
পাথরকুচি পাতা বেটে রস বানিয়ে এর সাথে একটু চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন, এতে আপনার পেট ফাঁপা কমবে।
পাথরকুচি পাতার রসের সাথে জিরা মিশিয়ে যদি খেতে পারেন তাহলে ডায়রিয়া ও কলেরা ভালো হয়ে যাবে।
পাথরকুচি পাতার উপকারিতা
এতক্ষণে আমরা পাথরকুচি পাতা কিভাবে খেতে হয় এ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। চলুন, এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সর্দি কাশিঃ যাদের পুরনো সর্দি কাশি আছে তারা বিকাল বেলা পাথরকুচি পাতার রস একটু গরম করে খেতে পারেন এবং গরম অবস্থায় সঙ্গে কিছুটা সোহাগার খই মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে এই পাতার উপকারিতা আছে, তিন চামচ পরিমাণ এর বেশি খাওয়া যাবে না। দুই চামচ সকালে ও বিকেলে খেতে হবে। আশা করি সেরে যাবে।
কেটে গেলেঃ আপনার কোথাও হঠাৎ করে কেটে গেলে পাথরকুচি পাতা পরিমাণ মতো নিয়ে হালকা তাপে গরম করে নিয়ে কাটা বা যেখানে থেতলে গেছে আর সেখানে সেক দিতে পারেন, এতে অনেক ভালো উপকার পাবেন।
মেহ রোগেঃ অনেকের বিভিন্ন ধরনের ফোড়া উঠে থাকে এর কারণ অনেক ব্যথা হতে পারে যাকে বলা হয় মেহ। এ ধরনের সমস্যা হলে পাথরকুচি পাতার রস এক চামচ পরিমাণ নিয়ে সকাল বিকাল এক সপ্তাহ যদি খেতে পারেন তাহলে উপকার পাবেন।
রক্ত পিত্বেঃ পিত্তজনিত সমস্যার কারণে রক্তক্ষরণ যদি হয় সেক্ষেত্রে দুই বেলা এক চামচ পরিমাণ পাথরকুচির পাতার রস দুইদিন খেলেই উপকার পাবেন।
পেট ফাঁপাঃ অনেকেরই পেট ফুলে যায় প্রসব আটকে আছে অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে আর সেক্ষেত্রে একটু চিনির সাথে এক চামচ পরিমাণ পাথরকুচুর রস নিয়ে একটু গরম করে নিবেন পেট ফুলা কমবে।
শিশুর পেট ব্যথাঃ শিশুরা সাধারণত পেট ব্যথা ভোগতে থাকে এবং কান্না করে। সেই ক্ষেত্রে পাথরকুচির পাতার ৩০ থেকে ৬০ ফোটা পাথরকুচি পাতার রস যদি নিয়ে মালিশ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ব্যথা কমে যাবে, তবে পেট ব্যথা না হলে দিবেন না।
মৃগী রোগেঃ যারা মৃগী রোগে ভুগতেছেন তারা পাথরকুচির পাতা আক্রান্ত ব্যক্তির মুখে এই পাতার রস দুই থেকে দশ ফোটা পর্যন্ত দিতে পারবেন। এতে পেটে যাওয়ার সাথেই রোগের উপশম শুরু করবে।
শরীর জ্বালাপোড়াঃ অনেকের শরীর জ্বালাপোড়া করে থাকে সেক্ষেত্রে দুই চামচ পরিমাণ পাথরকুচি পাতার রস আধা কাপ গরম পানির সাথে মিশিয়ে যদি খেতে পারেন তাহলে উপকার পাবেন।
কিডনিতে পাথর হলেঃ এই পাথরকে দূর করতে এবং গলগন্ড রোগের পাথরের অপারেশনে করে নিতে পারেন। দিনের দুইবার দুই থেকে তিনটি পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন ভালো উপকার পাবেন।
জন্ডিসের ক্ষেত্রেঃ যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে এবং লিভারকে ভালো রাখতে চান সে ক্ষেত্রে পাথরকুচি পাতা এর জুস খেতে পারেন।
উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা নিয়ন্ত্রণঃ যাদের এ সমস্যা রয়েছে তারা পাথরকুচির পাতা খেতে পারেন, এতে অনেক উপকার পাবেন।
পাইলস ও অর্শ রোগঃ যাদের পাইলসের সমস্যা রয়েছে পায়খানা রাস্তা দিয়ে রক্ত বের হয় তারা এই পাথরকুচি পাতার সাথে গোলমরিচ মিক্সড করে খেতে পারেন, এতে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
কলেরা ডায়রিয়া রক্ত আমাশাঃ যারা এই রোগে দীর্ঘদিন যাবত ভুগছেন তারা পাথরকুচি পাতা খেতে পারেন, তিন মিলি লিটার পাথরকুচি পাতার জুসের সাথে তিন গ্রাম থেকে ছয় গ্রাম খেতে পারেন। এতে আপনার রোগ ব্যাধে আক্রমণ করতে পারবে না।
ত্বকের যত্নেঃ যাদের ত্বকে সমস্যা রয়েছে যেমন জ্বালাপোড়া করে ত্বকে ফুসকুড়ি ওঠে ব্রণ উঠে এই ধরনের যাদের সমস্যা রয়েছে তারা পাথরকুচি পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
বিষাক্ত পোকায় কামড়ালে পাথরকুচি পাতা রস আগুনের সেক দিয়ে নিবেন এরপরে লাগালে অনেক উপকার পাবেন।
পাথরকুচি পাতার অপকারিতা
পাথরকুচি পাতা অনেক উপকার আছে আবার পাথরকুচি পাতার অপকারিতা রয়েছে, নিম্নে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
এলার্জির প্রতিক্রিয়াঃ পাথরকুচি পাতার মধ্যে ক্যালসিয়াম অক্সলেট নামক রাসায়নিক উপাদান থাকে, যার কারণে মানুষের ত্বকে বা চামড়া এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন ত্বকের ভেতর লালচে ভাব, ফুলে যাওয়া খুসখুস করা যেমন চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারেন।
মহিলার গর্ভ অবস্থায় ও স্তন্যদানঃ বিভিন্ন আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের মতে মহিলাদের গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদান কালে পাথরকুচি পাতা ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এই ওষুধি গুণাবলী গর্ভবতী মা স্তন্যদান কারী মায়েদের শিশুর ক্ষতি হতে হবে। এজন্য গর্ভবতী মায়ের দুগ্ধ দানকারী মায়ের খাওয়া যাবে না।
অ্যানথ্রাকুইনোন জৈব যৌগঃ পাথরকুচি পাতার মধ্যে অ্যানথ্রাকুইনোন জৈব যৌগ থাকার কারণে ডায়রিয়া কোষ্ঠকাঠিন্য পেটের ব্যথা খিঁচুনি বমি বমি ভাব মূত্রের রং পরিবর্তন হওয়া। এই ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে।
পাথরকুচি পাতায় ফ্ল্যাভোনয়েড উপস্থিতিঃ পাথরকুচি পাতা অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। কারণ এতে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকার কারণে মাথাব্যথা পেট খারাপ হওয়া বমি বমি ভাব ডায়রিয়া রক্তপাত পাতলা পায়খানা ইত্যাদি ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পাথরকুচি পাতায় অ্যালকালয়েড উপস্থিতিঃ পাথরকুচি পাতা অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না, কারণ এর মধ্যে অ্যালকালয়েড থাকার কারণে স্নায়ুতন্ত্রের যেমন ঘুমের সমস্যা শরীর কাঁপা স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া। অতিরিক্ত হয়ে গেলে মৃত্যু হতে পারে, তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অন্যান্য ওষুধের মিথস্ক্রিয়াঃ আপনি যদি অন্য কোন ওষুধ খেয়ে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে এর সাথে পাথরকুচি পাতা না খাওয়াই ভালো। কেননা ওষুধের সাথে এটা মিথস্ক্রিয়া ঘটাতে পারে। এজন্য এটা ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।
খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খেলে কি হয়
ইতিপূর্বে আমরা পাথরকুচি পাতা কিভাবে খেতে হয় সে সম্পর্কে জেনেছি, এখন জানবো খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খাওয়ার ফলে কি হয়। চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
খালি পেটে যদি পাথরকুচি পাতা খেতে চান সে ক্ষেত্রে যদি আপনার ডায়রিয়া হয়ে থাকে এবং কলেরা কিংবা পায়খানার সাথে রক্ত আসে। এ ধরনের সমস্যা যদি থেকে থাকে তাহলে খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খেতে পারেন। তবে খাওয়ার সবচাইতে উত্তম উপায় হল সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর পেট খালি থাকলে সামান্য জিরা গুড়া দিয়ে এর সাথে পাথরকুচি পাতা রস মিক্স করে খেতে পারেন।
তবে অনেকেই এটা খেতে পারে না, এজন্য সামান্য চিনি অথবা লবণ খাওয়া যাবে। যা হোক মূল কথা হলো আপনার শরীরে যদি কোন সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে বা আপনার পেটে যদি কোন গ্যাসের সমস্যা থাকে, সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানির মধ্যে পাথরকুচি পাতা রস করে খাবেন। এটা ভালো উপকার পাবেন, খালি পেটে পাথরকুচি পাতা আপনি খেতে পারেন কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
চুলের যত্নে পাথরকুচি
পাথরকুচি পাতা খাওয়ার পাশাপাশি আপনি চুলের যত্নে পাথরকুচি ব্যবহার করতে পারেন। এটা ভালো উপকার পাবেন। তাই চুলের যত্নে কিভাবে এটা ব্যবহার করবেন, সে সম্পর্কে নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
নারী পুরুষ উভয় এই পাতা চুলের ব্যবহার করতে পারবেন এবং চুলকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য এটা অনেক উপকার করে থাকে। আর এজন্য আপনি এই পাথরকুচি পাতার মাধ্যমে চুলের যত্ন নিতে পারেন।
এতে চুল আপনার উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে এবং সৌন্দর্য সৃষ্টি হবে চুলের স্বাস্থ্য উন্নতি হবে এবং চুলের প্রোটিন বৃদ্ধি পাবে। এজন্য আপনি পাথরকুচি পাতা ব্যবহার করতে পারেন। চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক পাথরকুচি পাতা চুলের ক্ষেত্রে কি উপকার করে থাকে।
পাথরকুচি পাতা রস যদি আপনার চুলে ব্যবহার করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুলের সৌন্দর্য ফিরে আসবে। তাই আপনি এটা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
চুল পড়া বন্ধের পাশাপাশি খুশকি দূর করতে পারেন, এই পাথরকুচি পাতার ব্যবহার করতে পারেন। তার পাশাপাশি মাথার ত্বক কেউ সুন্দর রাখে এবং ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে। তাই এটি নিঃসন্দেহে ভালো উপকার করে থাকে। আপনি এটা ব্যবহার করতে পারেন।
চুল পড়া রোধ করার পরে ও এটা চুল ঘন করে এবং চুলের পোস্টে যোগায় তাছাড়া চুলকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
পাথরকুচি পাতা বেটে যদি নির্যাস গুলো আলাদা করে আপনি নিয়মটা চলে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে অনেক ভালো উপকার পাওয়া যাবে, এটা আপনি তেল হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
বেটে নেওয়ার পরে যে পাতা থাকে সেটা ফেলে না দিয়ে চুলে ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে মাথা ভালো ভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট পাথরকুচি পাতা বেটে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে চুলগুলো ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে চার মাস থেকে পাঁচ মাস যদি ব্যবহার করেন, তাহলে নিজেই বুঝতে পারবেন চুলের উন্নতি ঘটবে।
পাথরকুচি পাতা ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে এ ক্ষেত্রে যেটা আপনি করতে পারেন। এক মগ পানির মধ্যে পাথরকুচি পাতা গরম করে নেবেন। চার থেকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করার পর এই পানিগুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে প্রতিদিন সেই পানিতে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত হবে।
পাথরকুচি পাতা ব্যবহার করার পাশাপাশি পেয়ারা পাতাও চুলের যত্নের ব্যবহার করতে পারেন। ভালো উপকার করে থাকে এতে চুল পড়ার সমস্যা দূর করে। এ ছাড়াও আপনার চুল ঝরে পড়বে না এবং চুলের যত্নে পাথরকুচি পাতার ব্যবহার করতে পারেন।
আমাদের শেষ কথা
সবশেষে বলা যায় যে পাথরকুচি পাতা অনেক উপকারী, এজন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে এটা যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে অনেক উপকার পাবেন। তবে পাথরকুচি পাতা কিভাবে খেতে হয় এ সম্পর্কে জেনে খেতে পারেন তাহলে উপকার বেশি পাবেন। এছাড়াও এটি চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে, এতেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। আজকের পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url