প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি কাগজ লাগে ও নিয়ম সম্পর্কে জানুন
অনেকে জানে না প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি কাগজ লাগে ও নিয়ম সম্পর্কে, তাই তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। চলুন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য সহজ ভাবে ঋণ দিয়ে থাকে, এজন্য তাদের জন্য কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। তাই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি কাগজ লাগে এ সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃপ্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি কাগজ লাগে ও নিয়ম সম্পর্কে জানুন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হলো বাংলাদেশের রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক। যা প্রবাসীদের আর্থিক সেবা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা করেন। এক বিলিয়ন টাকা মূলধন নিয়ে ব্যাংকটি শুরু করেছিল।
এ অর্থের ৯৫ ভাগ প্রবাসী শ্রমিকদের থেকেই আসছে এবং বাকি পাঁচ ভাগ বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে। অভিবাসীদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আইন ২০১০ এর মাধ্যমে এই ব্যাংকটি পরিচালনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় একটি সম্মেলনের মাধ্যমে এই ব্যাংকটি শুভ উদ্বোধন করেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শুরু থেকেই এ পর্যন্ত ৮৫০০০ এর বেশি বিদেশগামী কর্মীদেরকে অভিবাসন ঋণ দিয়েছে। ব্যাংকের তিনটি ভাগে এই ঋণ দিয়ে থাকে, এই ঋণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ আবেদনকারীর বাড়িতে সশরীরে গিয়ে দেখে তারপরে ঋণ প্রদানের জন্য ব্যবস্থা করেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রায় ৬৪ জেলায় শাখা খোলার পরিকল্পনা আছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রধান শাখা হতে প্রায় প্রতিদিন দুই হাজার বেশি বিদেশ যাওয়ার জন্য লোকজন রেজিস্ট্রেশন এবং বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। ২০১৪ সাল থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি কাগজ লাগে
অনেকেই জানতে চায় যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি কাগজ লাগে, তাই নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র, বিদেশ ভ্রমণের কাগজ-পত্র ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং আরো বিভিন্ন তথ্য লাগবে। এজন্য লোনের উপর নির্ভর করে কাগজপত্র।
অভিবাসন লোন গ্রহণের জন্য যে কাগজপত্র লাগেঃ
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে
- নাগরিক সনদ লাগতে পারে
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৪ কপি দরকার হয়
- দুজন জমিদাতার ও তাদের সকল কিছু তথ্য দিতে হবে
- ভিসা পাসপোর্ট ও বিএমইটি কার্ডের সকল কপি লাগবে
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখায় অবশ্যই একাউন্ট থাকতে হবে
- জমিদারের স্বাক্ষর করা ব্যাংকের তিনটি চেক দরকার।
পূর্ণবাসন লোন গ্রহণের জন্য যেসব কাগজপত্র দরকারঃ
- আবেদনকারী জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি ছবি দরকার
- জমিদারের ভোটার আইডি কার্ড এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে
- আবেদনকারী ও জামিনদার তার পৌরসভা বা ইউনিয়ন কর্তৃক নাগরিক সনদ লাগবে
- ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি লাগবে
- ঋণ গ্রহীতার বিনিয়োগের জন্য ঘোষণাপত্র দরকার
- বিদেশ থেকে প্রত্যাগমন সংক্রান্ত কাগজপত্র দরকার হতে পারে
- প্রকল্পের তথ্য সহ দুই বছরের আয় ব্যায়ের হিসাব লাগবে।
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবারের লোন গ্রহণের জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবেঃ
- আবেদনকারী জাতীয় পরিচয় পত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি ছবি প্রয়োজন
- ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন
- জমিদারের ভোটার আইডি কার্ড এবং পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি লাগবে
- ব্যবসা বা প্রকল্প স্থান ভাড়া নেওয়ার জন্য লিজের চুক্তিপত্র দরকার
- আবেদনকারী ও জামিনদারের ইউনিয়ন কর্তৃক নাগরিক সনদ লাগবে
- প্রকল্পের এক বছরের আয় হিসাব আয় ব্যয়ের হিসাব এর তথ্য লাগবে
- তিনটি চেকের পাতা স্বাক্ষর করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে
- কোন স্থান থেকে প্রশিক্ষণ করছেন উক্ত স্থানে সার্টিফিকেট লাগবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ও প্রকারভেদ
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে যদি লোন গ্রহন করতে চান, সে ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ও প্রকারভেদ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো,
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের থেকে লোন নেওয়ার জন্য প্রথমে আপনি নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখায় যাবেন। এরপর একটি নির্দিষ্ট ফরম দিবে সেগুলো পূরণ করবেন, প্রয়োজনে ডকুমেন্টস সাথে করে নিয়ে যাবেন।
অথবা আপনারা অনলাইনের মাধ্যমেও লোন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ডাউনলোড করে যথাযথ সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে পারবেন। নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখায় জমা দিবেন, লোনের জন্য আবেদন করতে যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের প্রকারভেদঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বর্তমানে তিন প্রকারে লেনদেন করে থাকে। আর লোন দিয়ে থাকে অভিবাসন ঋণ, পূর্ণবাসন ঋণ, বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ দিয়ে দিয়ে থাকে।
অভিবাসন ঋণঃ প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে থাকে, বাংলাদেশ সরকার বা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন দিয়ে থাকে। তার মধ্যে অভিবাসন ঋণ একপ্রকার হয়ে থাকে। এর জন্য যত ধরনের কাগজপত্র সকল কিছু ব্যাংকে যোগাযোগ করে জমা দিয়ে লোন গ্রহণ করবেন। প্রবাসীরা সর্বোচ্চ ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা অভিবাসন ঋণ পেয়ে থাকে।
পূর্ণবাসন ঋণঃ আপনি যদি বৈধ বিদেশ প্রবাসী হয়ে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে চলে আসার পর আপনি পূর্ণবাসন ঋণ পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিদেশে ভ্রমণ করার জন্য রাজনৈতিক সমাজে অথবা নিয়োগ দাতা কর্তৃক হয়রানির শিকার হয়ে দেশে ফিরে থাকেন।
পরবর্তীতে আপনি স্বাবলম্বী হওয়ার ইচ্ছা যদি পোষণ করেন সে ক্ষেত্রে প্রবাসী লোন পুনবাসন ঋণ পেতে পারেন। এই ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ হয়, একজন গ্রহীতা সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। তবে জামানতবিহীন ৩ লক্ষ টাকা দিতে পারবেন।
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণঃ বিদেশে বৈধ ভাবে চাকরি করার জন্য যদি পরিবারসহ যেকোনো সদস্য যেমন বাবা-মা ভাই-বোন দাদা-দাদী স্ত্রী সন্তান অথবা নিকট আত্মীয় কেউ যদি বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ নিতে চান, তাহলে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে মেয়াদ হবে ১০ বছর, এই ঋণ প্রকল্পে আপনি সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা লোন নিতে পারবেন।
তবে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ নিতে পারবেন। ৫ লক্ষ টাকার বেশি লোন নিতে হলে স্থাবর সম্পত্তির রেজিস্ট্রি উক্ত ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, আপনার জমির সকল কিছুর সম্পত্তির রেজিস্ট্রি দলিলপত্র সবকিছু ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা
ইতোমধ্যে আমরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি কাগজ লাগে এ সম্পর্কে জেনেছি, এখন জানবো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক যে লোন দিয়ে থাকে তার সুবিধা সমূহ সম্পর্কে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বাংলাদেশীদের জন্য বিশেষভাবে একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক, এই ব্যাংক শুধুমাত্র সাধারণ ব্যাংকিং সেবায় প্রদান করে থাকে না বরং প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ঋণ ও দিয়ে থাকে। অবশ্যই বা কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ সুবিধা সময়ের মধ্যে আছে।
- অভিবাসন ঋণ দেয়
- পূর্ণবাসন ঋণ দিয়ে থাকে
- ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প ঋণ নিতে পারেন
- গৃহ নির্মাণ ঋণ নিতে পারবেন
- শিক্ষা ঋণ দিয়ে থাকে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ সুবিধা গুলোর মধ্যে যা আছেঃ
অভিবাসন ঋণঃ বিদেশে যাত্রা ও কর্মসংস্থানের খরচ দিয়ে থাকে, এক্ষেত্রে ঋণ সর্বোচ্চ ৩৫ লক্ষ টাকা দিতে পারবে। সুদের হার ৯% থেকে ১২% পর্যন্ত হয়, মেয়াদ পাঁচ বছর হয়ে থাকে।
পূনর্বাসন ঋণঃ বিদেশ থেকে যদি ফিরে এসে ব্যবসা-বাণিজ্য কৃষি শিল্প প্রতিষ্ঠান যানবাহন ক্রয় শিক্ষাগত উন্নয়ন চিকিৎসা ঘরবাড়ি নির্মাণ ইত্যাদি কাজ করতে চান, সে ক্ষেত্রে ঋণ দিবে এক কোটি টাকার মতো ঋণ দিতে পারে। সুদের হার ৯% থেকে ১২% হতে পারে, মেয়াদ ১০ বছর হয়ে থাকে।
ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পঃ প্রবাসীদের দেশে ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনা সম্প্রসারণ এর ক্ষেত্রেও এই ঋণ পেতে পারেন। সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা, সুদের হার ৯% থেকে ১২% হতে পারে। মেয়াদ ১০ বছর।
গৃহ নির্মাণ ঋণঃ দেশে গৃহ নির্মাণ বা গৃহস্থলের জন্য রিপেয়ারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। ঋণের পরিমাণ ৭৫ লক্ষ টাকা হতে পারে, সুদের হার ৯ পার্সেন্ট থেকে ১২% পর্যন্ত দিয়ে থাকে। সর্বোচ্চ ১৫ বছর মেয়াদে নিতে পারবেন।
শিক্ষা ঋণঃ দেশে বা বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য গ্রহণের ক্ষেত্রে দিতে পারে, ঋণের পরিমাণ ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে ৯% থেকে ১২% পর্যন্ত সুদে ধরে থাকে। মেয়াদ ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঋণের কিছু সুবিধা সমূহঃ সহজে আবেদন করা যেতে পারে দ্রুত ঋণ পাওয়া যায় তুলনামূলকভাবে কমিশন দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেওয়া যায় সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যায়।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি কাগজ লাগে এ সম্পর্কে আমরা জেনেছি, এখন অনলাইনের মাধ্যমে এই ব্যাংকে কিভাবে আবেদন করা যায় সে সম্পর্কে জানবো। চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আবেদন করার জন্য যে সকল যোগ্যতা প্রয়োজন তা হল,
আপনার বয়স হতে হবে ১৮ বছরের উপরে এর কম হলে ঋণ দেবে না।
আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া লাগবে, কারণ আপনি বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাচ্ছেন।
আর আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান বা ভ্রমণ বিষয়ে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ঋণ দেওয়া হবে না। কারণ আপনার একটা বৈধ ভিসা কাজের ভিসা দরকার সেজন্য অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়া যাবে না।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে প্রবাসীরা লোন নিতে পারবে, এজন্য একজন জিম্মাদার থাকতে হবে। তিনি আপনার নিজের আত্মীয়র মধ্যে হলে সবচেয়ে ভালো হয়। যার ঋণ পরিশোধ করার মতো সামর্থ্য রয়েছে এবং যদি সরকারি চাকরিজীবী হয় অথবা ব্যবসায়ী হলে ভালো হয়।
এখন আপনি অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে আবেদন করবেন, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- প্রথমে আপনাকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
- তারপরে সেবা সমূহ থেকে কোন ঋণ নিবে এরকম ট্যাবে ক্লিক করা লাগে লাগবে।
- আপনি যে ঋণের জন্য আবেদন করবেন তারপর ক্লিক করা লাগবে।
- অনলাইনে আবেদন বাটনে ক্লিক করা লাগবে।
- একটি নতুন পৃষ্ঠা চলে আসবে।
- আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পূরণ করবেন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান করে দিবেন।
- সাবমিট বাটনে ক্লিক করবেন।
- এরপর আপনার আবেদনটি জমা হবে।
- এরপর নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনাকে একটি ইমেইল পাঠানো হবে।
কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়
অনেকেই প্রশ্ন করে যে কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়, এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত বলা হলো।
বিদেশে যাওয়ার জন্য অনেকেই অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় পড়ে থাকে, এজন্য কিছু ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য ঋণ দিয়ে থাকে। এ ঋণ গুলো বিভিন্ন নামেই পরিচিত হয়ে থাকে, প্রবাসী ঋণ অভিবাসনের ওর কাছে বিভিন্ন নাম দিয়ে থাকে, কোন ব্যাংকগুলো প্রবাসীদেরকে ঋণ দেয়।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকঃ সবচেয়ে সুযোগ-সুবিধা বেশি দিয়ে থাকে, এই ব্যাংকটি প্রবাসীদের জন্য একটি বিশেষিত ব্যাংক। বিভিন্ন ধরনের প্রবাসীদেরকে ঋণ দিয়ে থাকে, তার মধ্যে অভিবাসন ঋণ, ব্যবসার ঋণ, শিক্ষার জন্য ঋণ দিয়ে থাকে, গৃহঋণ দিয়ে থাকে।
সোনালী ব্যাংকঃ প্রবাসী কর্মসংস্থান ঋণ প্রকল্প নামে ঋণ দিয়ে থাকে।
অগ্রণী ব্যাংকঃ অভিবাসী শ্রমিক ঋণ প্রকল্প নামে তারা ঋণ দিয়ে থাকে।
পূবালী ব্যাংকঃ প্রবাসী ঋণ প্রকল্প নামে তারা ঋণ দিয়ে থাকে।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকঃ প্রবাসী কর্মসংস্থান ঋণ নামের প্রকল্প হিসেবে ঋণ দিয়ে থাকে।
জনতা ব্যাংকঃ বাংলাদেশ আরেকটি বড় রাষ্ট্র ব্যাংক যারা এই প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ঋণ দিয়ে থাকে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার
প্রবাসীরা যে লোন নিয়ে থাকে তার সুদের হার সম্পর্কে জানা খুবই দরকার। তাই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার কত হতে পারে। এই সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
বিদেশে যাওয়ার জন্য যারা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে থাকে, সাধারণত তাদেরকে ১ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে।
২ বছরের জন্য হয়ে থাকে এর মধ্যে পরিশোধ করে দিতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রবাসীদের জন্য ১০ থেকে ২২ টি কিস্তির মধ্যেই এই শোধ করতে হবে। আপনি যদি ১ বছরের মধ্যে কিস্তি শেষ করতে চান। সেই ক্ষেত্রে ১০ টা কিস্তি আপনাকে দিতে হবে। আর ২ বছরের মধ্যে যদি শেষ করতে চান সেই ক্ষেত্রে ২২ টি দিতে হবে।
প্রথম ২ মাস কিস্তি দেওয়া লাগবে না, ৩ মাস থেকে কিস্তি দেওয়া শুরু করতে হবে। ১ বছরের মধ্যে কিস্তি শেষ করতে পারেন।
শুধুমাত্র সিঙ্গাপুরের জন্য ১ বছরের মধ্যেই ঋণ পরিশোধ করা লাগবে।
প্রবাসী লোন এর ক্ষেত্রে সুদ হতে পারে ৯% হারে।
লেখকের শেষ কথা,
পরিশেষে বলা যায় যে যারা বিদেশ যেতে চান, তারা এই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন। এটা আপনার অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এজন্য যে সকল কাগজ পাতি লাগে তা অবশ্যই জেনে রাখা ভালো। তাই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি কাগজ লাগে এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটিতে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন। পোস্টটা যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url