মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বাবরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর সম্পর্কে জেনে নিন
ভারতীয় উপমহাদেশে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সম্রাট বাবর। তাই মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বাবরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। চলুন,সম্রাট বাবর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সম্রাট বাবর ভারতবর্ষকে তার দক্ষতা সাহসিকতা দিয়ে শাসন কার্য পরিচালনা করেছিলেন। যার কারণে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য তার অবদান সবচেয়ে বেশি। তাই মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বাবরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃমুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বাবরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর সম্পর্কে জেনে নিন
মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে
অনেকেই জানতে চায় যে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে? আসলে ভারতীয় উপমহাদেশে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হলেন সম্রাট বাবর। যার প্রকৃত নাম জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর। তাকে বাবর বলেই সম্বোধন করা হতো। পুরো নাম মির্জা জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর। লোকজন তাকে বাবর নামেই ডাকতো। বাবর শব্দের অর্থ হলো সিংহ বা বাঘ।
সম্রাট বাবরের জন্মঃ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর ১৪৮৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি মধ্য এশিয়ার তুর্কিস্তানের ফারগনা প্রদেশের আন্দিজান শহরে জন্ম ফারগানা প্রদেশটি বর্তমানে উজবেকিস্তান বলা হয়ে থাকে। আন্দিজন শহরের অধিকাংশ মানুষ ছিলেন তুর্কি।
সম্রাট বাবরের বংশ পরিচয়ঃ সম্রাট বাবর পিতার দিক দিয়েছিলেন তুর্কি বীর তৈমুর লং এর বংশধর এবং মাতার দিক দিয়ে মঙ্গল চেঙ্গিস খান এর বংশধর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বাবরের পিতার নাম দ্বিতীয় ওমর শেখ মির্জা। তিনি ফারগানা প্রদেশের শাসনকর্তা সম্রাট বাবরের বৈধ স্ত্রী ছিল সাতজন এবং তৃতীয় স্ত্রী মোহম বেগমের গর্ভে নাসির উদ্দিন হুমায়ুন জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এ ছাড়াও তার অনেক সন্তান ছিল।
বাবরের সিংহাসন লাভঃ ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে ১০ই জুন ফারগানার দুর্গে হঠাৎ করে দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। পিতার মৃত্যু হয় সেই উত্তর অধিকার হিসেবে সম্রাট বাবার মাত্র ১১ বছর ৩ মাস অর্থাৎ ১২ বছর বয়সে ফারগানা প্রদেশের সিংহাসনে বসেছিলেন।
মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বাবরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর
ভারতের উপমহাদেশে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন সম্রাট বাবর, তাই তার কৃতিত্ব রয়েছে। তাই মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বাবরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর এ সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতাঃ সম্রাট বাবর ভারতের মোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ভারতে এই মোগল সাম্রাজ্য প্রায় ৩০০ বছর স্থায়িত্ব ছিল। পরবর্তীতে রাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে সম্রাট বাবর ভবঘুর জীবন যাপন করছিলেন কিন্তু তিনি কখনোই তার ইচ্ছাশক্তি এবং সাহসিকতার কারণে বিভিন্ন বাধা উপেক্ষা করে ভারত একটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করেছিলেন।
সেনাপতি ও সামরিক সংগঠকঃ সম্রাট বাবর তুর্কিদের সাহস ও কর্মদক্ষতার সাথে মঙ্গলদের তেজস্বীতা দুর্ধর্ষ, যাযাবর তাতারদের বীরত্ব সকল কিছু মিলে পারসিক সংস্কৃতির সাথে সংমিশ্রণ করেছিলেন। ১৫২৬ সালে খ্রিস্টাব্দে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদী।
১৫২৭খ্রিস্টাব্দে খানুয়ার যুদ্ধে মেবারের রাজপুত নেতা রানা সংগ্রাম সিংহ, ১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে চান্দেরীয় অভিযান সর্বশেষ ১৫২৯ খ্রিস্টাব্দে গোখরার যুদ্ধে তার দক্ষতা নিপুণতা দিয়ে সামরিক কৌশল দিয়ে এদেরকে পরাজিত করেছিল। যার কারণে তার কৃতিত্ব রয়েছে।
প্রশাসক হিসেবেঃ সম্রাট বাবরের সম্রাজ্য কাবুল থেকে বিহার হিমালয় থেকে চান্দেরি পর্যন্ত তিনি রাজ্যগুলোকে তিনি সুশৃংখলভিত্তির উপর দাঁড় করাতে পারেনি। কারণ ৪ বছর পরেই তিনি মারা যান। এ চার বছরে তেমন তিনি কাজ করতে পারেনি, কারণ এক্ষেত্রে শাসন ব্যবস্থা কে তিনি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে খেলাফতের প্রতি আনুগত্য করে স্বাধীনভাবে নিজেকে বাদশাহ হিসেবে পরিচিত করেছিলেন। প্রশাসনিক কাজগুলোর সাথে করার জন্য প্রশাসনিকভাবে নিয়োগ দেন প্রধানমন্ত্রী, একজন করে ওয়ালি দেওয়ান শিকদার কোতোয়ালি নিয়োগ প্রদান করেছিল।
বিদ্বান ও সংস্কৃতিমনাঃ সম্রাট বাবর বিদ্বান ছিলেন যার কারণে তিনি দিল্লি ও আগ্রায় উদ্যান নর্দমা সেতু তালিকা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করে করেন। এছাড়াও তিনি বীর যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত, ফার্সি ভাষায় যথেষ্ট জ্ঞান লাভ করেছিলেন, এবং তুর্কিও ফারসি ভাষায় অসংখ্য কবিতা লিখেছিলেন। তাছাড়া ভালো পরিচিতি লাভ করেছিল ফারসি ভাষায় বাবর এক প্রকার নতুন সন্ধ্যা আবিষ্কার করেছিল। যা মুবইয়ান নামে বিখ্যাত হয়েছিল।
অসাম্প্রদায়িকঃ একজন ধর্মীয় সুন্নি মুসলমান ছিলেন তিনি ধর্মের প্রতি কখনোই অবিচার বা ঘৃণা করেননি। কোন ধর্মকে ছোট করেননি আর নিজেও একজন ধার্মিক ছিলেন। তিনি ধর্মীয় গোড়ামী এবং অন্য ধর্মের প্রতি বিরোধ প্রকাশ ইত্যাদি এই ধরনের কোন কিছু তার মাঝে ছিল না। কালিদাস রায় বাবু তার গুনগান তার কবিতায় প্রকাশ করেছিলেন।
দুঃসাহসিক ও কারিশ্মাটিক ব্যক্তিত্বঃ সম্রাট বাবর সুষ্ঠ সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন এবং অত্যন্ত সাহসী ব্যক্তি। তার দুই বাহুতে দুইজন নিয়ে অনায়াসে দৌড়াতে পারতেন, এরকম শক্তিশালী ছিলেন। তাছাড়া ও তিনি নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম পরিচর্যা করতেন। এছাড়াও খেলাধুলা পশু শিকার।
ঠান্ডা আবহাওয়া বাহিরে যাওয়া এছাড়াও সাঁতরিয়ে গঙ্গা নদী পাড়ি দেওয়া, যুদ্ধের ময়দানে প্রতিকূল পরিবেশের সৈন্যদেরকে উজ্জীবিত করতেন। প্রতিপক্ষকে ভীতি সঞ্চার করার মতো তার অসাধারণ গুন ছিল। এজন্যই অতি অল্প সংখ্যক সৈন্য নিয়েও তিনি পানিপথের প্রথম যুদ্ধ, খানোয়ার যুদ্ধ বিজয় লাভ করেছিলেন।
আত্মজীবনী লেখকঃ সম্রাট বাবর তিনি তুজুকী বাবর নামের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থটি লিখেছিলেন। যা বাবরনামা হিসেবে পরিচিত, এছাড়াও তিনি মোগল শাসকদের মধ্যে তিনিই প্রথম আত্মজীবনী লিখেছিলেন। যা তুর্কি ভাষায় লেখা হয়েছিল এই গ্রন্থের মধ্যে সম্রাট বাবর এর উত্থান পতনের ঘটনা উল্লেখ করা আছে। তিনি অকপটে তার সততা দুর্বলতা সকল কিছুই তিনি বইয়ে লিখেছিলেন। তাছাড়া আত্মজীবনীর মাধ্যমে তার শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব প্রকাশ ঘটে।
বাবরের ভারত আক্রমণের কারণ
ভারতীয় উপমহাদেশে সম্রাট বাবর বিভিন্ন কারণে আক্রমণ করেছিলেন, তাই বাবরের ভারত আক্রমণের কারণ সমূহ নিম্নে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো।
মধ্য এশিয়ায় সাম্রাজ্য বিস্তারে বাধাঃ জন্মসূত্রে তার পিতাও ছিলেন একজন শাসক। তিনি আফগানিস্তানের পরগনার শাসক ছিলেন। বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে বাবর তার পিতার সিংহাসনে বসতে সমস্যা ছিল। এছাড়াও ষড়যন্ত্রণের মধ্যে মধ্য এশিয়া তিনি সাম্রাজ্য বিস্তার করতে চেয়েছিলেন কিন্তু সেটা আর হয়নি। এজন্য সাম্রাজ্য বিস্তারের নেশায় তিনি ভারত আক্রমণ করেছিলেন।
অস্থিতিশীল রাজনীতিঃ সম্রাট বাবর যখন ভারত আক্রমণ করার জন্য চিন্তা ভাবনা করলেন। তখন ভারতের রাজনীতি অস্থিতিশীল অবস্থা ছোট রাজ্যগুলোতে একে অপরের সাথে যুদ্ধ বিগ্রহ লেগেই ছিল। এর কারণে তিনি বিশৃংখোলার সুযোগ নিয়ে ভারত বর্ষ আক্রমণ করেছিলেন।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যের শাসনঃ সম্রাট বাবর ভারত আক্রমণ করার সময় ভারতে ছোট ছোট রাজ্য ছিল। রাজপূত, শিখ ছাড়াও আরো অনেকে এলাকায় ছোট ছোট রাজ্য ভাগ হয়ে গেছিল। এই রাজ্যগুলোর মধ্যে প্রায়ই দ্বন্দ্বে লেগে থাকতো এটার কারণ হলো তাদের একক কোন কেন্দ্রীয় শাসন ছিল না। এজন্যই এই সুযোগটাই সম্রাট বাবর নিয়ে ভারত আক্রমণ করেছিল।
ভারত আক্রমণের আমন্ত্রণঃ সম্রাট বাবর ভারত আক্রমণের সময় রাজপুত নেতারা শক্তিশালী ছিল। এর কারণে মুসলিম শাসকরা ভয় পেত, অযোদ্ধাসহ আরো অনেক মুসলিম নবাবরা যেমন নজিমুদ্দৌলা সম্রাট বাবরকে ভারত আক্রমণের জন্য আমন্ত্রণ করেন। যার কারণেই বাবর আক্রমণের জন্য সিদ্ধান্ত নেন।
ভারতের সম্পদের প্রতি মোহঃ ভারতবর্ষে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ ছিল, এই সম্পদের প্রাচুর্য মুগ্ধ হয়ে মধ্যশিয়ার শাসক সব সময় এটা দখল করার চিন্তাভাবনা করতো। সম্রাট বাবর তার ভাগ্য উন্নয়নের জন্য এবং এই বিরাট সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখছিলেন। সব মিলিয়ে তিনি ভারত আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেন।
ধর্মপ্রচারঃ ভারতবর্ষ তখন হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল মুসলিমরা তেমন ছিল না। সম্রাট বাবর ধার্মিক ব্যক্তি তিনি ধর্ম প্রচারের জন্যও এবং ইসলামের বাণী পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভারত বর্ষ আক্রমণ করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
সম্রাট বাবরের আত্মজীবনী
ইতোমধ্যে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বাবরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো বাবরের আত্মজীবনী সম্পর্কে, নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
তুজুক ই বাবুরি, ওয়াকিয়াতে বাবর অথবা বাবরনামা সকল গুলোই বাবরের আত্মজীবনী নামে পরিচিত লাভ করে। মূলত মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠার জীবনের সকল কিছু তিনি এর ভিতরে বর্ণনা করেছেন। এই বাবরনামা গ্রন্থটি তুর্কি ভাষায় লেখা হয়েছে। এর ভাষা খুবই সহজ পাশ্চাত্য প্রাচ্যের মনীষীদের অনেকেই প্রশংসা করেছে।
এখানে সম্রাট বাবরের জীবনের খুঁটিনাটি ১০ গুণ অভিজ্ঞতা মূর্খতা ভারতের সামাজিক রাজনৈতিক সকল বিষয় নিয়েই তিনি বর্ণনা করেন। এই গ্রন্থটি থেকে বাবরের রাজত্বকাল সম্বন্ধে অনেক কিছু জানা যেতে পারে, এছাড়াও সম্রাট বাবরের পুত্র হুমায়ুনকে নিয়েও জুহুর তিনি হুমায়ুননামা রচনা করেছিলেন।
হুমায়ুনের রচিত গ্রন্থে হুমায়ুন বাদশা কে নিয়ে তার সকল কিছু বর্ণনা করা হয়েছে। পারস্য পলায়ন কালে জহুর কে সাথে করে নিয়েছিলেন। এরপর ভারতে ফিরে এসেই হুমায়ুন তার সেবা করার জন্যই জোহরকে বেছে নেন এবং লাহোরের খাজান্দার হিসেবে তাকে দায়িত্ব দিয়েছিল।
এজন্য হুমায়ুনের সাথে থাকার সময় ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক সুযোগ হয়েছিল জোহরের। হুমায়ুনের ভগ্নি গুলবাদন বেগম সম্রাট আকবরের অনুরোধে হুমায়ুননামা গ্রন্থটি লিখেছিলেন। এছাড়া তাঁর রাজত্বকাল সম্বন্ধে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের তথ্য পরিবেশন করেছিলেন।
সম্রাট বাবরের মৃত্যু
ভারতবর্ষের মোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সম্রাট বাবর, খুবই দক্ষতার সাথে তিনি এই রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং শাসন কার্য পরিচালনা করেন। ১৫৩০ সালের ২৬ শে ডিসেম্বর আগ্রায় সম্রাট বাবরের মৃত্যু হয়। এক বর্ণনায় আছে যে পুত্রের আরোগ্যের জন্য সম্রাট বাবর নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন।
পুত্র হুমায়ুন দুরারোগে বাড়িতে আক্রান্ত হয়েছিল এজন্য পিতা বাবর তার নিজের জীবনের বিনিময়ে স্রষ্টার নিকট পুত্রের জীবনের আরোগ্যতা কামনা করেছিলেন কিন্তু সম্রাট বাবর অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়। পরবর্তীতে মৃত্যুবরণ করেন। ঐতিহাসিকগণ বলেন ইব্রাহিম লোদীর মা বাবরকে হত্যার জন্য বিষ খাওয়া ছিলেন সেই বিষ এর কারণে শরীরকে ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে তিনি মারা যান, আবার অনেকেই বর্ণনা করেন শারীরিকভাবে তিনি শক্তিশালী থাকলেও আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছিল।গুল বোধন বেগম বলছেন বাবর অনেক আগে থেকেই পেটের সমস্যায় ভুক্তে ছিলেন। তাছাড়া মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন সর্বোপরি কথা তিনি মূলত অসুস্থ হয়েই মৃত্যুবরণ করেছেন।
আমাদের শেষ কথা
সর্বশেষ বলা যেতে পারে আর মোগল সম্রাট বাবর ভারতবর্ষ প্রতিষ্ঠা করে কৃতিত্বের সাথে তিনি শাসন কার্য পরিচালনা করেছিলেন। যা আজও ভারতবর্ষ এর মুসলমানগণ তাকে স্মরণ করে, তার অনেক গুনাগুন ছিল এবং তিনি বিভিন্ন প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন। আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বাবরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এই পোস্টটা যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url